জুতা আবিষ্কার কবিতার জ্ঞানমূলক ও অনুধাবনমূলক প্রশ্ন ও উত্তর- PDF: জুতা আবিস্কার কবিতাটি মূলত বীন্দ্রনাথ ঠাকুরের কল্পনা কাব্যগ্রন্থ থেকে নেওয়া হয়েছে । জুতা আবিষ্কার কবিতার যেকোনো ধরনের প্রশ্ন উত্তর গুলো আমাদের এই পোস্টে পাবেন ।প্রিয় ছাত্র ছাত্রী বন্ধুরা আল্লাহর রহমতে সবাই ভালোই আছেন ।
এটা জেনে আপনার খুশি হবেন যে, আপনাদের জন্য জুতা আবিষ্কার হতে গুরুপূর্ণ কিছু প্রশ্ন উত্তর আলোচনা করতে যাচ্ছি । সুতরাং সম্পূর্ণ পোস্টটি মনোযোগ সহকারে পড়ুন। আর এসএসসি- SSC এর যেকোন বিভাগের গুরুত্বপূর্ণ সকল সাজেশন পেতে জাগোরিকের সাথে থাকুন।
জুতা আবিষ্কার কবিতার জ্ঞানমূলক ,অনুধাবনমূলক ও সৃজনশীল প্রশ্ন ও উত্তর- PDF
জুতা আবিষ্কার কবিতার বহুনির্বাচনি প্রশ্ন ও উত্তর -বাংলা ১ম পত্র
বঙ্গবাণী কবিতার বহু নির্বাচনী প্রশ্নোত্তর -বাংলা ১ম পত্র (PDF MCQ)
জুতা আবিষ্কার কবিতার জ্ঞানমুলক প্রশ্নোত্তর:
প্রশ্ন-১. মলিন ধুলা লাগে কোথায়?
উত্তর: মলিন ধূলা লাগে রাজার পায়ে।
প্রশ্ন-২. হবু অশ্রজলে কী ভাসালো?
উত্তর: হবু অশ্রজলে পাকা দাড়ি ভাসালো।
প্রশ্ন-৩. কত পিপে নস্য ফুরিয়ে গেল?
উত্তর: উনিশ পিপে নস্য ফুরিয়ে গেল।
প্রশ্ন-৪. মশক কাঁখে কে এলো?
উত্তর: মশক কাঁখে একুশ এলো।
প্রশ্ন-৫. রাজ্যের গুণবানেরা চোখে কী দেখল?
উত্তর: রাজ্যের গুণবানেরা চোখে সর্ষে দেখল।
জুতা আবিষ্কার কবিতার অনুধবানমূলক প্রশ্নোত্তর:
প্রশ্ন-১. রাজার মন্ত্রীকে কী আদেশ করেন?
উত্তর: পায়ে যাতে ধুলা না লাগে সে ব্যবস্থা করতে রাজা মন্ত্রী কে আদেশ করেন।
পায়ে ধুলা লাগা নিয়ে চিন্তিত হয়ে রাজা মন্ত্রীকে ডাকেন এবং আদেশ করেন যাতে তার পায়ে আর কোনো ভাবেই ধুলা না লাগে। তারই রাজ্যের ধুলা তার পায়ে লাগবে এ অন্যায় তিনি মেন নিতে পাছেন না।
প্রশ্ন-২. ‘কিনিল ঝাঁটা সাড়ে সতেরো লক্ষ্য কেন?
উত্তর: রাজার আদেশে রাজ্য থেকে ধূলো দূর করতে সাড়ে সতেরো লক্ষ ঝাঁটা কেনা হয়।
রাজা হবুর পায়ে যেন ধূলো না লাগে সে ব্যবস্থার আদেশ দিলে সবাই চোখে অন্ধকার দেখে। সব জ্ঞানী-গুণী মন্ত্রীর এক সাথে বসে ভেবে ঝাঁটা দিয়ে ধূলো দুর করার সিদ্ধান্ত নেয়। আর তার জন্য সাড়ে সতেরো লক্ষ ঝাঁটা কেনা হয়।
প্রশ্ন-৩. ‘ধুলার বেগে কাশিয়া করে লোক’Ñবলতে কী বোঝানো হয়েছে?
উত্তর: রাজার পায়ে ধূলো লাগার সমস্যা সমাধানে সাড়ে সতেরো লক্ষ ঝাঁটা দিয়ে রাজ্য ঝাঁটা দেওয়ায় ধুলো সব অন্ধকার হয়ে যায় এবং রাজ্যের সবাই কাশতে থাকে।
রাজা তার পায়ে ধূলো লাগার সমস্যার সমাধান করতে বললে তা নিয়ে মন্ত্রী রাজ্যের পন্ডিতদের সঙ্গে সভা করে ঝাঁটা দিয়ে ধুলো ঝাঁট দেয় এবং এতে ধূলো উড়ে নানা বিপত্তি ঘটে। ধূলোয় রাজ্যের মানুষের কাশ শুরু হয়ে যায়।
প্রশ্ন-৪. ‘নদীর জলে নাহিক চলে কিস্ত।’ Ñকেন?
উত্তর: রাজ্যের ধূলো দুল করতে জলাশয় থেকে পানি তোলা হলে জলাশয় পানিশূন্য হয়ে যায়।
রাজা হবু তার মন্ত্রী গোবুরায়কে ডেকে জানায়, তার পায়ে পৃথিবীর ধূলো যেন না লাগে সে ব্যবস্থা করতে। এ আদেশ পালনের জন্য মন্ত্রী তার রাজ্যের পন্ডিতদের নিয়ে সভা করে জলাশয় থেকে পানি ঢেলে সর্বত্র কর্দমাক্ত করে ফেলে। জলাশয় প্রায় পানিশূন্য করে ফেলায় নৌকা বা জাহাজ চলাচল বন্ধ হয়ে যায়।
প্রশ্ন-৫. ‘ডাঙ্গায় প্রাণী সাঁতার করে চেষ্টা’Ñকেন?
উত্তর: রাজ্যের ধুলো দূর করে জলাশয়ের পানি ডাঙায় ফেলায় ডাঙায় পানি জমে কাঁদা হয়ে যায়।
রাজা হবুব নির্দেশে রাজ্যের ধূলো দূল করতে জলাশয় থেকে পানি তুলে ডাঙায় ফেলা হলে ডাঙায় পানি জমে যায়। কাঁদায় সাধারণ জীবনযাপন বাধাপ্রাপÍ হয়। অবস্থা এমন হয়ে যায় সে ডাঙায়ও সাঁতার দেবার প্রয়োজন হতে পারে।
জুতা আবিষ্কার কবিতার সৃজনশীল প্রশ্ন ও উত্তর : ০১
রসুলপুর গ্রাম থেকে নবীগঞ্জ উচ্চ বিদ্যালয়ে যাওয়ার একমাত্র রাস্তাটি গত বছর বন্যায় ভেঙে যায়। রাস্তাটি মেরামতের জন্য বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক ইউনিয়ন পরিষদে আবেদন করেন। ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য এতো সময় নষ্ট করতে থাকে যে, পুনরায় বর্ষা আসার উপক্রম হয়।
এদিকে বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা সমস্যাটি নিয়ে নিজেদের মধ্যে আলোচনা করে এবং কোনো এক ছুটির দিনে টুকরি কোদাল নিয়ে নিজেরাই রাস্তাটি মেরামতে নেমে পড়ে।
গ্রামের লোকরাও তাদের সাথে যোগ দেয়। এভাবে রাস্তাটি মেরামত হলে চেয়ারম্যান সাহেব বলেন, আমিও সরকারি কাজের মন্থর গতি দেখে ইউনিয়নবাসীদের সাথে নিয়ে কাজ করার কথা ভাবছিলাম। কিন্তু তার আগেই কাজটি হয়ে গেল।
ক.‘মহী’ শব্দের অর্থ কী?
খ.রান্নাঘরে হাড়িচড়া বন্ধ হলো কেন?
গ.উদ্দীপকের সমস্যা সমাধানের পদ্ধতির সাথে ‘জুতা-আবিষ্কার’ কবিতার সমস্যা সমাধানের পদ্ধতির সাদৃশ্য-বৈসাদৃশ্যগুলো উল্লেখ করো।
ঘ.‘উদ্দীপকের চেয়ারম্যান সাহেব’‘জুতা-আবিষ্কার’ কবিতার মন্ত্রী গোবু চরিত্রের সমগোত্রীয়’Ñএ কথার যথার্থতা মূল্যায়ন করো।
১নং প্রশ্নের উত্তর:
উত্তরঃ (ক)
‘মহী’ শব্দের অর্থ পৃথিবী।
উত্তরঃ (খ)
রাজার পায়ের ধুুলা লাগার প্রতিকার করতে ব্যর্থ হলে রাজমন্ত্রী ও পন্ডিতদের শাস্তি পেতে হবে এই ভয়ে তাদের ঘরে রান্না-বান্না বন্ধ হয়েছিল।
রাজা যখন মন্ত্রী গোবু রায়কে পায়ের ধুলা দূর করার নির্দেশ দিলেন এবং বললেন, আদেশ পালনে ব্যর্থ হলে কারো রক্ষা থাকবে না, তখন মন্ত্রী গোবু রায় ও রাজ্যের পন্ডিতদের মুখ ফ্যাকাশে হয়ে গেল। তাদের আহার নিদ্রা সব বন্ধ হয়ে গেল। বাড়িতে বাড়িতে রান্না-বাড়া বন্ধ হয়ে কান্নার রোল পড়লো।
উত্তরঃ (গ)
উদ্দীপকের ভাঙা রাস্তা মেরামতের সমস্যার সাথে ‘জুতা-আবিষ্কার’ কবিতার সমস্যার সমাধানের কিছু সাদৃশ্য থাকলেও কিছু বৈসাদৃশ্য লক্ষণীয়।
উদ্দীপকের ভাঙা রাস্তা মেরামত না করার কারণে গ্রামের ছেলে-মেয়েদের স্কুলে যেতে অসুবিধার সৃষ্টি হয়েছিল। অনুরূপ ‘জুতা-আবিষ্কার’ কবিতায় জুতা না থাকায় রাজাসহ রাজ্যের প্রজাদের অসুবিধা সৃষ্টি হয়েছিল।
উদ্দীপকে বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক চেয়ারম্যান সাহেবের কাছে সমাধানের আবেদন করে দীর্ঘদিনেও তার ফল পেতে ব্যর্থ হয়েছিলন। অনুরূপ ‘জুতা-আবিষ্কার’ কবিতায় রাজা মন্ত্রীর কাছে সমস্যা সমাধান চেয়ে দীর্ঘদিনেও তার ফল পাননি।
উপরিউক্ত ক্ষেত্রে উদ্দীপক ও কবিতার সমস্যার মধ্যে সাদৃশ্য থাকলেও কিছু ক্ষেত্রে উভয়ের মধ্যে বৈসাদৃশ্য রয়েছে। উদ্দীপকের চেয়ারম্যান সমস্যা সমাধানের জন্য ঊধ্বতন কর্তৃপক্ষের সহযোগিতা কামনা করে নিষ্ক্রিয় ছিলেন। পক্ষান্তরে ‘জুতা-আবিষ্কার’ কবিতায় মন্ত্রী সমস্যা সমাধানে শুধু সক্রিয় ছিলেন না বরং রাজ্যের পন্ডিতদের নিয়ে সমস্যাটি সমাধানের জন্য গলদঘর্ম হচ্ছিল।
উদ্দীপকের সমস্যা সমাধানের ক্ষেত্রে প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টি করেছে দীর্ঘ সূত্রিতা, অমনোযোগিতা, এবং আমলাতান্ত্রিক জটিলতা। পক্ষান্তরে কবিতায় সমস্যা সমাধানে প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টি করেছে মন্ত্রী ও পন্ডিতদের বুদ্ধিহীনতা। সুতরাং সমস্যা সমাধানের ব্যাপারে উদ্দীপক ও ‘জুতা-আবিষ্কার’ কবিতার মধ্যে সাদৃশ্য ও বৈসাদৃশ্য উভয়ই লক্ষ করা যায়।
উত্তরঃ (ঘ)
উদ্দীপকের চেয়ারম্যান এবং কবিতার মন্ত্রী গোবু চরিত্রের মধ্যে অবস্থানগত ভিন্নতা থাকলেও স্বভাবের দিক থেকে তাদের বেশ মিল রয়েছে।
সমাজে এমন অনেক মানুষ আছেন যারা গুরুত্বপূর্ণ দায়িত্বে থাকেন। কিন্তু নির্বুুদ্ধিতা, অকর্মণ্যতা ও দায়িত্বে অবহেলার কারণে কোনো কাজই ঠিক মতো করতে পারেন না। আর এর পেছনে তারা একের পর এক অজুহাত দাঁড় করান। সহজ কোনো বিষয়কে তারা কঠিনভাবে সমাধান করার চেষ্টা করেন। উদ্দীপক ও কবিতায় এ বিষয়টিই লক্ষ করা যায়।
উদ্দীপকের চেয়ারম্যান গ্রামের একটি ভাঙা রাস্তা মেরামতের উদ্যোগ না নিয়ে তা উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে অবহিত করেই তার দায়িত্ব শেষ করেন। শিক্ষার্থী ও গ্রামবাসীর সম্মিলিত প্রচেষ্টায় সমস্যার সমাধান হওয়ার পর নিজের দোষ ঢাকা দিয়ে কৃতিত্ব প্রকাশ করতে বলেন, ইউনিয়নবাসীদের সাথে নিয়ে তিনিও কাজটি করতে চেয়েছিলেন।
অন্যদিকে ‘জুতা-আবিষ্কার’ কবিতার মন্ত্রী গোবু রায় পন্ডিতদের নিয়ে সমস্যা সমাধানে ব্যর্থ হয়। পরে চর্মকার কুলপতি যখন তা সমাধান করে তখন মন্ত্রী বলে, ‘আমারো ছিল মনে কেমনে বেটা পেরেছে সেটা জানতে।’
উদ্দীপক ও আলোচ্য কবিতার বিশ্লেষণে দেখা যায়, অবস্থানগত ভিন্নতা সত্তে¡ও চেয়ারম্যান ও মন্ত্রী উভয়েই নিজের ব্যর্থতা ঢাকা দিয়ে অপরের সফলতাকে নিজের চিন্তার ফসল বলে কৃতিত্ব নিতে চান। এদিক থেকে তারা উভয়েই সমগোত্রীয়।
জুতা আবিষ্কার কবিতার সৃজনশীল প্রশ্ন ও উত্তর : ০২
বাবুই পাখিরে ডাকি,বলিছে চড়াই,
‘কুড়ে ঘরে থেকে কর শিল্পের বড়াই,
আমি থাকি মহাসুখে অট্টালিকা পরে
তুমি কত কষ্ট পাও রোদ,বৃষ্টি ঝড়ে।’
বাব্ইু হাসিয়া কহে ‘সন্দেহ কি তায়?
কষ্ট পাই,তবু থাকি নিজের বাসায়।
পাকা হোক,তবু ভাই,পরেরও বাসা,
নিজ হাতে গড়া মোর কাঁচা ঘর খাসা।’
ক.রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর কোথায় জন্মগ্রহণ করেন?
খ.‘জুতা-আবিষ্কার’ কবিতায় রাজা পন্ডিতদের ‘গাধা’ বলেছেন কেন?
গ.উদ্দীপকের চড়–ই পাখির স্বভাব ‘জুতা-আবিষ্কার’ কবিতায় কার স্বভাবের সাথে কীভাবে মিলে যায় তা আলোচনা করো।
ঘ.‘উদ্দীপকের চড়–ই এবং বাবুই যথাক্রমে ‘জুতা-আবিষ্কার’ কবিতার মন্ত্রী গোবু এবং চামার কুলপতির প্রতিনিধিত্ব করে।’Ñউক্তিটির তাৎপর্য বিশ্লেষণ করো।
২নং প্রশ্নের উত্তর:
উত্তরঃ (ক)
রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর কলকাতার জোড়াসাঁকোর ঠাকুর পরিবারে জন্মগ্রহণ করেন।
উত্তরঃ (খ)
পন্ডিতদের একের পর এক অমূলক কাজে বিরক্ত হয়ে রাজা তাদের গাধা বলেছেন।
‘জুতা-আবিষ্কার’ কবিতায় রাজা পন্ডিতদের ‘গাধা’ বলেছেন। কারণ রাজার পায়ের ধুলা দূর করতে তারা প্রথমে রাজ্যে ঝাঁট দিয়ে ধুলা উড়িয়ে বিপত্তি ঘটায়। রাজা এতে বিরক্তি প্রকাশ করলে পন্ডিতরা পুনরায় সেই ধুলা দূর করার জন্য নদী-নালা, খাল-বিলের পানি তুলে গোটা রাজ্যে ঢালতে লাগল। এতে রাজ্য কর্দমাক্ত হয়ে নতুন বিপত্তি দেখা দিল। পন্ডিতদের এই সকল কর্মকান্ডে বিরক্ত হয়ে রাজা তাদের গাধা বলেছেন।
উত্তরঃ (গ)
উল্লেখিত কবিতাংশের চড়ুই পাখির স্বভাব ‘জুতা-আবিস্কার’ কবিতার মন্ত্রী গোবুরায়ের সাথে স্বভাবগতভাবে মিলে যায়।
কবিতাংশের চড়ুই পাখি নিজে বাসা তৈরি করতে পারে না। সে বাস করে পরের নির্মিত অট্টালিকায়। অথচ বাসা নির্মাণে দক্ষ ও স্বনির্ভর বাবুই পাখি কুঁড়ে ঘরে বাস করে বলে সে ব্যঙ্গ করে।
চড়ুই একথা ভাবে না যে, ঝড়-বৃষ্টিতে বাবুই পাখির বাসা ক্ষতিগ্রস্ত হলে সে অল্প সময়ের মধ্যে তা পুনরায় নির্মাণ করার ক্ষমতা রাখে। কিন্তু কোনো কারণে চড়ুই পাখির বাসস্থান ক্ষতিগ্রস্ত হলে সেটি নির্মাণের ক্ষমতা তার নেই। বাবুই স্বনির্ভর আর চড়–ই পরনির্ভরশীল।
অনুরূপ ‘জুতা-আবিষ্কার’ কবিতায় মন্ত্রী গোবু রায় রাজার পায়ের সামান্য ধুলা দূর করার উপায় খুুঁজে পাননি। এজন্যে তিনি রাজ্যের পন্ডিতদের নিয়ে নানারকম উদ্ভট ও হাস্যকর কর্র্মকান্ডের মাধ্যমে বিপুল অর্থ অপচয় করেন।
এমন সময় বৃদ্ধ চামার কুলপতি অতি সহজেই রাজার পদযুগল চামড়া দিয়ে ঢেকে সমস্যার সমাধান করে। কিন্তু মন্ত্রী চামার কুলপতির সাফল্যের প্রশংসা না করে তাকে শূলে চড়ানোর ভয় দেখায় এবং কারাগারে বন্ধি করে রাখতে চায়। সবশেষে চামার কুলপতির জুতা তৈরির কাজকে নিজের মনের ধারণা বলে মিথ্যা প্রচার করেন।
সবকিছু পর্যালোচনা করলে দেখা যায়, কবিতাংশের চড়ুই পাখি এবং ‘জুতা-আবিষ্কার’ কবিতার মন্ত্রী গোবু রায়Ñউভয়ই স্বভাবগতভাবে নিষ্কর্মা, পরনির্ভশীল এবং ঈর্ষাপরায়ণ। এদিক থেকে উভয়ের স্বভাবে যথেষ্ট মিল রয়েছে।
উত্তরঃ (ঘ)
আচরণগত সাদৃশ্যের কারণে উদ্দীপকের চড়ুই এবং বাবুই যথাক্রমে ‘জুতা-আবিষ্কার’ কবিতার মন্ত্রী গোবু এবং চামার কুলপতির সার্থক প্রতিনিধি।
কবিতাংশের চড়ুই পাখি পরের অট্টালিকায় বাস করে নিজের তৈরি বাসায় বসবাস করা বাবুই পাখিকে কুঁড়ে ঘরে বাস করে বলে তিরস্কার করে। চড়ুই পাখি নিজে নিষ্কর্মা ও পরনির্ভরশীল হয়েও কর্মঠ ও স্বনির্ভর বাবুই পাখিকে তিরস্কার করতে লজ্জাবোধ করে না।‘জুতা-আবিষ্কার’ কবিতায় মন্ত্রী গোবু রাজার পায়ে ধুলি লাগার সমস্যা সমাধানকারী চামার কুলপতিকে তুচ্ছতাচ্ছিল্যের ভাব দেখায়।
এমনকি চামার কুলপতির কৃতিত্বকে নিজের চিন্তার ফসল বলে অপপ্রচার চালাতেও লজ্জাবোধ করে না। এদিক থেকে বিচার করলে মন্ত্রী গোবু কবিতাংশের চড়ুই পাখিরই প্রতিনিধিত্ব করছে। আবার উদ্দীপকের বাবুই পাখি নিজে কর্মঠ, স্বনির্ভর হয়েও চড়ুই পাখির তিরস্কারকে হেসে উড়িয়ে দেয় এবং নিজ হাতে গড়া কুঁড়ে ঘরকেই খাসা মনে করে। উদ্দীপকের বাবুই পাখির মধ্যে স্পষ্ট বিনয়ভাব লক্ষনীয়।
‘জুতা-আবিষ্কার’ কবিতায় চামার কুলপতি নিপুণভাবে ধুলি সমস্যার সমাধানে উদ্যোগী হয়েও মন্ত্রী গোবুর তিরস্কার ও ধমককে উপেক্ষা করে বিনয়ের সাথে রাজার চরণ চর্ম-আবরণে ঢেকে দিয়ে ধুলি সমস্যার সমাধানের কাজটি শেষ করে। তার আচরণেও বিনয়ের ভাব স্পষ্টভাবে প্রতীয়মান। অতএব স্বীকার করতে দ্বিধা নেই যে ‘জুতা-আবিষ্কার’ কবিতার চামার কুলপতি বাব্ইু পাখির এবং মন্ত্রী গোবু চড়ুইয়ের প্রতিনিধিত্ব করে।
উক্ত বিষয় সম্পর্কে কিছু জানার থাকলে কমেন্ট করতে পারেন।
আমাদের সাথে ইউটিউব চ্যানেলে যুক্ত হতে এখানে ক্লিক করুন এবং আমাদের সাথে ফেইজবুক পেইজে যুক্ত হতে এখানে ক্লিক করুন। গুরুত্বপূর্ণ আপডেট ও তথ্য পেতে আমাদের ওয়েবসাইটে ভিজিট করুন।