চতুর্থ শ্রেণীর হিন্দু ধর্ম | পঞ্চম অধ্যায় – ত্যাগ ও উদারতা প্রশ্ন ও উত্তর : চতুর্থ শ্রেণির হিন্দু ধর্ম বিষয়টির পঞ্চম অধ্যায়টি হতে গুরুত্বপূর্ণ সব প্রশ্ন ও উত্তর গুলো আমাদের এই পোস্টে আলোচনা করা হয়েছে। অতএব সম্পূর্ণ পোস্টটি মনযোগ সহকারে পড়ুন।
পঞ্চম অধ্যায় – ত্যাগ. ও উদারতা
অধ্যায়টি পড়ে জানতে পারব
ত্যাগের অর্থ ও সংজ্ঞা
সমাজ ও ব্যক্তিজীবনে ত্যাগের প্রয়োজনীয়তা
ধর্মীয় দৃষ্টিকোণ থেকে ত্যাগের গুরুত্ব
উদারতার সংজ্ঞা
ত্যাগ. ও উদারতার সম্পর্ক
ত্যাগ. ও উদারতা সম্পর্কে দধীচি মুনির উপাখ্যান
ত্যাগ. ও উদারতার বাস্তব শিক্ষা গ্রহণের উদাহরণ
অধ্যায়ের মূলভাব জেনে নিই
ত্যাগ. ও উদারতা ব্যক্তির নৈতিক. গুণ এবং ধর্মেরও অঙ্গ। ত্যাগের অর্থ হলো নিজের স্বার্থ লাভের চিন্তা ও কর্ম থেকে বিরত থাকা। উদারতা হলো সকল মানুষকে সমান মনে করার মানসিকতা। এই দুই গুণের কারণে সমাজের সবার মাঝে স¤প্রীতির পরিবেশ তৈরি হয়। সমাজ থেকে ভেদাভেদ দূর হয়। ত্যাগ. ও উদারতা একটির সাথে অন্যটি গভীরভাবে সম্পর্কযুক্ত। ত্যাগী না হলে উদার হওয়া যায় না। তাই আমরা সবাই ত্যাগী ও উদার হব।
ক. শূন্যস্থান পূরণ কর :
১। ত্যাগ. একটি ——— গুণ।
২। ত্যাগ. ——— অঙ্গ।
৩। উদারতাও একটি নৈতিক. ———।
৪। ——— মুনি ত্যাগ. ও উদারতার পরিচয় দিয়েছিলেন।
৫। আমরা নানাভাবে ——— পরিচয় দিতে পারি।
উত্তর : ১। নৈতিক. ২। ধর্মের ৩। গুণ ৪। দধীচি ৫। ত্যাগ. ও উদারতার
খ. ডান পাশ থেকে শব্দ এনে বাম পাশের শব্দের সঙ্গে মেলাও :
১। ত্যাগী ব্যক্তি ২। বসুধা মানে ৩। পৃথিবীর সকল মানুষ ৪। দধীচি মুনি ত্যাগ. করেছিলেন ৫। ত্যাগ. ও উদারতা |
একটি পৃথিবী। এক। রাজ্য। ধার্মিক। প্রাণ। নৈতিক. গুণ |
উত্তর :
১। ত্যাগী ব্যক্তি ধার্মিক।
২। বসুধা মানে পৃথিবী।
৩। পৃথিবীর সকল মানুষ এক।
৪। দধীচি মুনি ত্যাগ. করেছিলেন প্রাণ।
৫। ত্যাগ. ও উদারতা একটি নৈতিক. গুণ।
গ. সঠিক. উত্তরটির পাশে টিক. () চিহ্ন দাও :
১। মুক্তিযোদ্ধারা ত্যাগ. স্বীকার করেছিলেন-
ক. দেশের জন্য
খ. যশের জন্য
গ. টাকার জন্য
ঘ. স্বর্গের জন্য
২। উদারতার পরিচয় দিয়েছিলেন-
ক. বৃত্র
খ. ইন্দ্র
গ. চন্দ্র
ঘ. দধীচি
৩। কে বৃত্রাসুরকে বর দিয়েছিলেন?
ক. শিব
খ. বিষ্ণু
গ. ইন্দ্র
ঘ. দুর্গা
৪। আমরা উদার হব কেন?
ক. লোকে ভালো বলবে
খ. অনেক. টাকা পাব
গ. সমাজের মঙ্গলের জন্য
ঘ. নিজের আনন্দের জন্য
৫। দধীচির হাড় দিয়ে কী বানানো হয়েছিল?
ক. ধনুক.
খ. বজ্র
গ. বর্শা
ঘ. খড়গ
ঘ. নিচের প্রশ্নগুলোর সংক্ষেপে উত্তর দাও :
১. ত্যাগী কে?
উত্তর : যে ব্যক্তি অন্যের মঙ্গলের জন্য সবকিছু ত্যাগ. করেন তিনিই ত্যাগী।
২. উদারতা বলতে কী বোঝায়?
উত্তর : সকল মানুষকে সমান মনে করাকে উদারতা বলে।
৩. দেবরাজ ইন্দ্র কেন শিবের কাছে গিয়েছিলেন?
উত্তর : বৃত্রাসুর শিবের বর পেয়ে স্বর্গরাজ্য জয় করে নিলেন এবং সেখান থেকে দেবরাজ ইন্দ্রসহ সকলকে তাড়িয়ে দিলেন। হারানো স্বর্গরাজ্য ফিরে পাবার জন্য দেবরাজ ইন্দ্র সকল দেবতাদের নিয়ে শিবের কাছে গিয়েছিলেন।
৪. পৃথিবীর সবাই কার আত্মীয় হয়ে যায়?
উত্তর : পৃথিবীর সবাই উদার ব্যক্তির আত্মীয় হয়ে যায়।
৫. দধীচির আত্মত্যাগে কিসের পরিচয় পাওয়া যায়?
উত্তর : দধীচির আত্মত্যাগে ত্যাগ. ও উদারতার পরিচয় পাওয়া যায়।
ঙ. নিচের প্রশ্নগুলোর উত্তর দাও :
১. ত্যাগ. কাকে বলে? উদাহরণসহ বুঝিয়ে লেখ।
উত্তর : ত্যাগ. একটি নৈতিক. গুণ। সাধারণভাবে ত্যাগ. বলতে কোনো কিছু ছেড়ে দেওয়া বা বর্জন করা বোঝায়। বিশেষভাবে ত্যাগ. মানে নিজের স্বার্থ, নিজের সুখ. বা লাভের চিন্তা ও কর্ম থেকে বিরত থাকা। যেমন- আমার এক. সহপাঠী টিফিন আনেনি, আমি আমার টিফিন তার সাথে ভাগাভাগি করে খেলাম। এখানে সহপাঠীর জন্য আমি আমার স্বার্থ ত্যাগ. করেছি।
২. ‘উদারতা ধর্মের অঙ্গ’- উদাহরণসহ এ কথাটি ব্যাখ্যা কর।
উত্তর : উদারতা একটি নৈতিক. গুণ। সকল মানুষকে সমান মনে করার নাম উদারতা। উদার ব্যক্তি কাউকে ছোট বা বড় মনে করেন না। তাঁর কাছে ধনী-গরিব, সবল-দুর্বল সকলেই সমান। উদার ব্যক্তির কাছে আপন-পর কোনো ভেদ থাকে না।
সকল ধর্মের, সকল স¤প্রদায়ের মানুষকে তিনি আপন মনে করেন। তাই তো বলা হয়েছে- ‘উদারচরিতানাং তু বসুধৈব কুটুম্বকম্।’ এর মানে হলো- উদার ব্যক্তির কাছে পৃথিবীর সকলেই আত্মীয়। মোটকথা উদারতা একটি নৈতিক. গুণ এবং ধর্মের অঙ্গ।
৩. দেবতারা স্বর্গরাজ্য হারিয়েছিলেন কেন?
উত্তর : পুরাকালে বৃৃত্র নামে এক. অসুর খুব শক্তিশালী হয়ে ওঠেন। তদুপরি দেবতা শিবকে কঠোর সাধনা দ্বারা সন্তুষ্ট করে তিনি একটি বর আদায় করে নেন।
এই বরের কারণে দেবতা বা অসুরদের অস্ত্রের আঘাতে বৃত্রের মৃত্যু হবে না। শিবের বর পেয়ে বৃত্রাসুর আরও প্রবল হয়ে ওঠলেন। তিনি স্বর্গ. থেকে দেবরাজ ইন্দ্রসহ সকল দেবতাকে তাড়িয়ে দিলেন।
৪. দেবতারা কীভাবে বৃত্রাসুরের কাছ থেকে স্বর্গরাজ্য উদ্ধার করেছিলেন?
উত্তর : বৃত্রাসুর দেবরাজ ইন্দ্রসহ সকল দেবতাকে স্বর্গরাজ্য থেকে তাড়িয়ে দিলেন। তখন দেবরাজ ইন্দ্রসহ সকল দেবতা স্বর্গরাজ্য ফিরে পাওয়ার জন্য একে একে শিব, বিষ্ণু এবং দধীচি মুনির কাছে গেলেন। দধীচি মুনি তাদের বললেন, প্রচলিত অস্ত্র দিয়ে বৃত্রাসুরকে বধ করা যাবে না। তিনি আরও বললেন, আমি দেহ ত্যাগ. করব।
দেহ ত্যাগ. করার পর আমার হাড় দিয়ে অস্ত্র তৈরি করে আপনারা বৃত্রাসুরকে বধ করবেন। তারপর দধীচির দেহের হাড় দিয়ে দেবতাদের প্রকৌশলী বিশ্বকর্মা বজ্র তৈরি করলেন। ইন্দ্র সেই বজ্র দিয়ে বৃত্রাসুরকে বধ করলেন। পুনরুদ্ধার করলেন স্বর্গরাজ্য।
৫. দধীচি মুনি কীভাবে দেবতাদের সাহায্য করেছিলেন?
উত্তর : দেবরাজ ইন্দ্রসহ সকল দেবতা স্বর্গরাজ্য হারিয়ে তা পুনরুদ্ধারের আশায় এলেন দধীচি মুনির কাছে। দধীচি মুনি তাদের সব কথা শুনে বললেন, শিবের বলে বলীয়ান বৃত্রাসুরকে কোনো অস্ত্র দিয়ে বধ করা যাবে না।
এজন্য আমি দেহ ত্যাগ. করব। আমার হাড় দিয়ে আপনারা অস্ত্র তৈরি করে তা দিয়ে বৃত্রাসুরকে বধ করবেন। এভাবেই দধীচি তার কথা মতো দেহ ত্যাগ. করে, তার হাড় দিয়ে অস্ত্র তৈরি করতে দেবতাদের সাহায্য করলেন।
ডান পাশ থেকে শব্দ এনে বাম পাশের শব্দের সঙ্গে মেলাও :
১. আমাদের স্বাধীনতার জন্য মুক্তিযোদ্ধারা ২. সমাজের মঙ্গলের জন্য ৩. উদার না হলে ৪. বৃত্রাসুর দেবতাদের ৫. নশ্বর দেহ একদিন |
ত্যাগ. স্বীকার করাও ধর্ম। স্বর্গরাজ্য জয় করে নিলেন। বিনষ্ট হবে। প্রচলিত অস্ত্র নয়। ত্যাগী হওয়া যায় না। প্রাণ ত্যাগ. করেছেন। |
উত্তর :
১. আমাদের স্বাধীনতার জন্য মুক্তিযোদ্ধারা প্রাণ ত্যাগ. করেছেন।
২. সমাজের মঙ্গলের জন্য ত্যাগ. স্বীকার করাও ধর্ম।
৩. উদার না হলে ত্যাগী হওয়া যায় না।
৪. বৃত্রাসুর দেবতাদের স্বর্গরাজ্য জয় করে নিলেন।
৫. নশ্বর দেহ একদিন বিনষ্ট হবে।
শুদ্ধ-অশুদ্ধ নির্ণয় কর :
১. বিশেষ চাহিদাসম্পন্ন শিশুর প্রতি উদারতা দেখানো যাবে না।
২. দধীচি বজ্র দিয়ে বৃত্রাসুরকে বধ করলেন।
৩. বিষ্ণুর পরামর্শে দেবরাজ দধীচি মুনির কাছে গেলেন।
৪. বৃত্রাসুরের বর পেয়ে শিব আরও প্রবল হয়ে উঠলেন।
৫. নৈমিষারণ্য একটি বিখ্যাত তপোবন।
উত্তর : ১. ‘অ’ ২. ‘অ’ ৩. ‘শু’ ৪. ‘অ’ ৫. ‘শু’
শূন্যস্থান পূরণ :
১. সহপাঠীকে সহযোগিতার মধ্য দিয়ে প্রকাশ পায় থথথথ।
২. দধীচি মুনির ত্যাগের কথা আজও থথথথ হয়ে আছে।
৩. দধীচির হাড় দিয়ে বজ্র তৈরি করলেন থথথথ।
৪. উদার ব্যক্তির কাছে আপন-পরে কোনো থথথথ থাকে না।
৫. আমাদের মুক্তিযোদ্ধারা দেশের জন্য থথথথ ত্যাগ. করেছেন।
উত্তর : ১. উদারতা, ২. অমর, ৩. বিশ্বকর্মা, ৪. ভেদ, ৫. প্রাণ।
সাধারণ
ত্যাগ
১. সাধারণভাবে ত্যাগের অর্থ কোনটি?
ক. কোনো কিছু ছেড়ে দেওয়া বা বর্জন করা
খ. কাউকে কিছু দান করা
গ. দরিদ্রকে সহায়তা করা
ঘ. নিজের স্বার্থ বিসর্জন দেওয়া
২. কোনটি সর্বোচ্চ ত্যাগ?
ক. রক্ত দান
খ. প্রাণ ত্যাগ
গ. অর্থ দান
ঘ. সম্পত্তি ত্যাগ
উদারতা
৩. উদারতা কোন ধরনের গুণ?
ক. বিশেষ গুণ
খ. রাজনৈতিক. গুণ
গ. নৈতিক. গুণ
ঘ. সামাজিক. গুণ
৪. নিচের কোনটি উদারতা?
ক. গরিবদের ভালোবাসা
খ. অসহায়কে সাহায্য করা
গ. আপন মানুষকে সাহায্য করা
ঘ. সবাইকে সমান মনে করা
৫. কোন ব্যক্তির নিকট আপন-পরের কোনো ভেদাভেদ থাকে না?
ক. ধনী বক্তির নিকট
খ. ধার্মিক. ব্যক্তির নিকট
গ. সরল ব্যক্তির নিকট
ঘ. উদার ব্যক্তির নিকট
৬. কোনটি না থাকলে ত্যাগী হওয়া যায় না?
ক. ধন-দৌলত
খ. উদারতা
গ. ক্ষমতা
ঘ. কঠোরতা
দধীচি মুনির ত্যাগ. ও উদারতা
৭. দধীচি মুনি কোথায় বাস করতেন?
ক. নৈমিষারণ্যে
খ. বৃন্দাবনে
গ. গয়াতে
ঘ. কাশিতে
৮. বৃত্র কে ছিলেন?
ক. দেবদূত
খ. দেবরাজ
গ. অসুর
ঘ. ঋষি
৯. বৃত্রাসুর কার কাছ থেকে বর পেয়েছিলেন?
ক. ইন্দ্র
খ. শিব
গ. দুর্গা
ঘ. বিষ্ণু
১০. শিব দেবতাদের কার কাছে যেতে বললেন?
ক. বিষ্ণুর কাছে
খ. গৌরির কাছে
গ. কৃষ্ণের কাছে
ঘ. দধীচি মুনির কাছে
১১. বৃত্রাসুরকে বধ করার উপায় কে বের করলেন?
ক. শিব
খ. বিষ্ণু
গ. ইন্দ্র
ঘ. দধীচি
১২. বিশ্বকর্মা কে ছিলেন?
ক. দেবদূত
খ. শিবের সহচর
গ. স্বর্গের দারোয়ান
ঘ. দেবতাদের প্রকৌশলী
- চতুর্থ শ্রেণি | বাংলা | পাঠান মুলুকে | অনুশীলনী ও অতিরিক্ত প্রশ্ন উত্তর
- চতুর্থ শ্রেণি | বাংলা | কাজলা দিদি | অনুশীলনী ও অতিরিক্ত প্রশ্ন উত্তর
- চতুর্থ শ্রেণি | বাংলা | পাখির জগৎ | অনুশীলনী ও অতিরিক্ত প্রশ্ন উত্তর
যোগ্যতাভিত্তিক
শিখনফল : উদার ব্যক্তির গুণ উপলব্ধি করব।
১৩. কানাই একজন উদার ব্যক্তি। তার কাছে পৃথিবীর সকল মানুষ কেমন? ছ
ক. বন্ধু
খ. আত্মীয়
গ. শত্রæ
ঘ. ছোট
শিখনফল : ত্যাগ. ও উদারতার সম্পর্ক. বুঝতে পারব।
১৪. কৃষ্ণ বিভিন্ন কাজে ত্যাগ. স্বীকার করেন। কোন গুণের কারণে তার ত্যাগ. স্বীকার সহজ হয়? জ
ক. দয়া
খ. দানশীলতা
গ. উদারতা
ঘ. সত্যবাদিতা
শিখনফল : ত্যাগ. স্বীকার করতে পারব।
১৫. বনভোজনে গিয়ে তোমাদের খাবারের সাথে পথশিশুদের শামিল করলে। তোমাদের এ কাজ নিচের কোন গুণটির সাথে তুলনীয়? চ
ক. ত্যাগ.
খ. উদারতা
গ. সহনশীলতা
ঘ. মহানুভবতা
প্রশ্ন ও উত্তরঃ
১. ত্যাগের বিশেষ অর্থ কী?
উত্তর : বিশেষভাবে ত্যাগ. মানে নিজের স্বার্থ, নিজের সুখ. বা লাভের চিন্তা ও কর্ম থেকে বিরত থাকা।
২. উদার ব্যক্তির কাছে পৃথিবীর সকলেই আত্মীয়-সংস্কৃত ভাষায় লেখ।
উত্তর : উদার ব্যক্তির কাছে পৃথিবীর সকলেই আত্মীয়-এর সংস্কৃত হলো- ‘উদারচরিতানাং তু বসুধৈব কুটম্বকম্’।
৩. বৃত্রাসুর শিবের কাছ থেকে কীভাবে বর পেয়েছিলেন?
উত্তর : বৃত্রাসুর শিবের কঠোর সাধনা করে তার কাছ থেকে বর আদায় করে নেন। দেবতারা কারও প্রার্থনায় সন্তুষ্ট হলে তাকে বর দেন।
৪. শিবের কাছ থেকে পাওয়া বৃত্রাসুরের বরটি কী ছিল?
উত্তর : শিবের কাছ থেকে পাওয়া বৃত্রাসুরের বরটি ছিল যে, দেবতা বা অসুরদের অস্ত্রের আঘাতে তার মৃত্যু হবে না।
৫. শিব স্বর্গ. থেকে বিতাড়িত দেবতাদের কী পরামর্শ দিলেন?
উত্তর : দেবরাজ ইন্দ্র স্বর্গ. থেকে বিতাড়িত হয়ে শিবের কাছে গেলেন। শিব তাঁদেরকে বললেন, ‘তোমরা বিষ্ণুলোকে যাও। সেখানে বিষ্ণু তোমাদের উপযুক্ত পরামর্শ দেবেন।’
সাধারণ
১. ত্যাগ. ও উদারতা পাঠের ত্যাগী ব্যক্তির পরিচয় তুলে ধর।
উত্তর : ত্যাগ. ও উদারতা পাঠের ত্যাগী ব্যক্তিটি হলেন নৈমিষারণ্যের দধীচি মুনি। দধীচি মুনি নৈমিষারণ্যে কঠোর সাধনা করেন। সকলের মঙ্গলের জন্য প্রার্থনা করেন। তার সময়ে বৃত্র নামে এক. অসুর শিবের বর পেয়ে খুব শক্তিশালী হয়ে ওঠে। দধীচি মুনি এই বৃত্রকে বধ করার জন্য নিজের দেহ ত্যাগ. করেন। মৃত্যুর পরে দধীচি মুনির হাড় দিয়ে তৈরি বজ্র দিয়ে ইন্দ্র বৃত্রাসুরকে বধ করেন। দধীচি মুনির এই ত্যাগ. ও উদারতার কথা আজও অমর হয়ে আছে।
২. বৃত্রাসুর কার কাছ থেকে এবং কীভাবে বর লাভ করেছিলেন?
উত্তর : বৃত্রাসুর শিবের কাছ থেকে বর লাভ করেছিলেন।
বৃত্র দেবতা শিবকে কঠোর সাধনা দ্বারা সন্তুষ্ট করে তার কাছ থেকে বর আদায় করে নেন। দেবতারা কারও প্রার্থনায় সন্তুষ্ট হলে তাকে বর দেন। তা সে দেব, দানব, মানব যেই হোক।
যোগ্যতাভিত্তিক
৩. তোমার সহপাঠী স্বপন বিশেষ চাহিদাসম্পন্ন। তার প্রতি তুমি ত্যাগ. ও উদারতা দেখাবে কীভাবে? ৫টি বাক্যে লেখ।
উত্তর : আমার সহপাঠী স্বপন বিশেষ চাহিদাসম্পন্ন। তার প্রতি আমার ত্যাগ. ও উদারতা দেখানোর উপায় সম্পর্কে নিচে ৫টি বাক্যে লেখা হলো-
১) তার হাঁটা-চলায় সাহায্য করব।
২) আমি রোজ তাকে সঙ্গে করে স্কুলে নিয়ে যাব এবং নিয়ে আসব।
৩) খেলার সময় তাকে আমাদের সাথে রাখব।
৪) বিদ্যালয় এবং বাড়ির অনুষ্ঠানে তার সাথে আনন্দ ভাগাভাগি করব।
৫) পড়ালেখায় তাকে সহযোগিতা করব।
৪. তোমার এক. সহপাঠী অন্য ধর্মের ছেলেমেয়েদের পছন্দ করে না। তুমি তাকে উদারতার শিক্ষা দিবে কীভাবে? ৫টি বাক্যে লেখ।
উত্তর : আমার সহপাঠী বন্ধুটিকে উদার হতে নিচের বিষয়গুলো মেনে চলতে পরামর্শ দেব-
১) ধনী-গরিব, সবল-দুর্বল সবাইকে সমান চোখে দেখতে বলব।
২) আপন-পরে কোনো ভেদাভেদ করা চলবে না বলে জানাব।
৩) সকল ধর্ম ও স¤প্রদায়ের মানুষকে আপন মনে করতে পরামর্শ দেব।
৪) অহংকার না করার পরামর্শ দেব।
৫) ধর্মীয় পুস্তক. পাঠের পরামর্শ দেব।
উক্ত বিষয় সম্পর্কে কিছু জানার থাকলে কমেন্ট করতে পারেন।
আমাদের সাথে ইউটিউব চ্যানেলে যুক্ত হতে এখানে ক্লিক করুন এবং আমাদের সাথে ফেইজবুক পেইজে যুক্ত হতে এখানে ক্লিক করুন। গুরুত্বপূর্ণ আপডেট ও তথ্য পেতে আমাদের ওয়েবসাইটে ভিজিট করুন।