চতুর্থ শ্রেণি | বাংলা | কাজলা দিদি | অনুশীলনী ও অতিরিক্ত প্রশ্ন উত্তর: চতুর্থ শ্রেণির বাংলা বিষয়টির কাজলা দিদি কবিতাটির অনুশীলনী হতে গুরুত্বপূর্ণ সব প্রশ্ন উত্তর গুলো আমাদের এই পোস্টে আলোচনা করা হয়েছে। অতএব সম্পূর্ণ পোস্টটি মনযোগ সহকারে পড়ুন।
কাজলা দিদি
যতীন্দ্রমোহন বাগচী
কবি পরিচিতি
নাম : যতীন্দ্রমোহন বাগচী।
জন্মতারিখ. : ১৮৭৮ সাল ২৭-এ নভেম্বর।
জন্মস্থান : পশ্চিমবঙ্গের নদীয়া জেলা।
বিশেষ পরিচিতি : ‘মানসী’ ও ‘পূর্বাচল’ পত্রিকা সম্পাদনা করেন।
লেখার বৈশিষ্ট্য : পল্লিপ্রীতি।
উল্লেখযোগ্য গ্রন্থ : ‘লেখা’, ‘কেয়া’, ‘বন্ধুর দান’ ‘কাজলা দিদি’। ‘কাজলা দিদি’ কবিতাটি নেওয়া হয়েছে
‘কাব্যমালঞ্চ’ কাব্যগ্রন্থ থেকে।
মৃত্যুতারিখ. : ১৯৪৮ সাল ১লা ফেব্রæয়ারি।
কবিতাটি পড়ে জানতে পারব
সহোদর বোনের প্রতি ভালোবাসার কথা
সন্তানহারা মায়ের বেদনার কথা
গ্রামের প্রকৃতির কথা
অবুঝ শিশু-মনের নানা অনুভ‚তির কথা
বানানগুলো লক্ষ করি
বাঁশ, শোলক, আঁচল, ভুঁইচাঁপা, ঝিঁঝি, মুহূর্ত, সারাক্ষণ, ঝোপে-ঝাড়ে।
১. জেনে নিই।
ছোট্ট বোনটির সারাক্ষণের সাথি ছিল কাজলা দিদি। দিদি চিরদিনের জন্য তাদের ছেড়ে চলে গেছে, তা সে জানে না। প্রতি মুহূর্তেই সে তার প্রিয় কাজলা দিদির জন্য অপেক্ষায় থাকে। সে কোথায় গেছে, কেন আসে না, তা জানতে চায় মায়ের কাছে। মা উত্তর দিতে পারেন না। মুখ. লুকিয়ে কাঁদেন।
২. শব্দগুলো পাঠ থেকে খুঁজে বের করি, অর্থ বলি এবং নতুন বাক্য লিখি।
শোলক. জোনাই দিদি নেবু ভুঁইচাঁপা মাড়াসনে
উত্তর :
শব্দ ———-অর্থ ———-বাক্য
শোলক.—–শ্লোক, ছোট পদ, ছড়া।—–চাঁদনি রাতে উঠানে বসে মা শোলক. বলতেন।
জোনাই—–জোনাকি পোকা।—–আঁধার রাতে ঝোপে-ঝাড়ে জোনাই জ্বলে।
দিদি—–বড় বোন, আপা।—–দিদি আমাকে খুব স্নেহ করেন।
নেবু—–লেবু।—–মা নেবু দিয়ে আচার তৈরি করছেন।
ভুঁইচাঁপা—–মাটির উপর জন্মানো ছোট চাঁপা ফুল।—–ভুঁইচাঁপা গাছে মাঠ ছেয়ে গেছে।
মাড়াসনে—–পা দিয়ে পিষে না যাওয়ার নির্দেশ।—–নিপা, ফুল গাছগুলো মাড়াসনে।
৩. বিপরীত শব্দগুলো জেনে নিই।
দিন—–রাত
ঘুম—–জাগরণ
ঢাকা—–খোলা
নতুন—–পুরনো
জ্বলা—–নেভা
৪. ডান দিক. থেকে ঠিক. উত্তরটি বেছে নিই ও খাতায় লিখি।
ক) কোথায় জোনাকি জ্বলে?
নেবুর তলে/বাঁশবাগানে/ শিউলিতলে/তালতলায়
খ) বুলবুলি কোথায় লুকিয়ে থাকে?
শিউলির ডালে/ ভুঁইচাঁপার ডালে/আমের ডালে/ডালিমের ডালে।
গ) কে শোলক. বলতেন?
মা/দিদি/দাদু/বাবা
ঘ) ঝিঁঝি কোথায় ডাকে?
ঝোঁপে-ঝাড়ে/গাছের ডালে/আঁধার রাতে/ঘরের মাঝে
ঙ) ঘুম আসে না কেন?
নেবুর গন্ধে/ঝিঁঝির ডাকে /চাঁদের আলোতে/ফুলের গন্ধে
উত্তর : ক) নেবুর তলে; খ) ডালিমের ডালে; গ) দিদি; ঘ) ঝোপেঝাড়ে; ঙ) নেবুর গন্ধে/ফুলের গন্ধে।
[বি.দ্র. (ঙ) নং -এর দুটি উত্তরই সঠিক]
৫. প্রশ্নগুলোর উত্তর বলি ও লিখি।
ক) কাজলা দিদি কোথায় গেছে?
উত্তর : কাজলা দিদি চিরদিনের জন্য সবাইকে ছেড়ে চলে গেছে। অর্থাৎ দিদি মারা গেছে।
খ) কখন কাজলা দিদির কথা বেশি মনে পড়ে?
উত্তর : যখন বাঁশবাগানের মাথার উপর চাঁদ ওঠে, পুকুর ধারে ও নেবুর তলে থোকা থোকা জোনাকির আলো জ্বলে, নেবু আর ফুলের গন্ধে যখন ঘুম আসে না তখন ছোট্ট বোনটির কাজলা দিদির কথা বেশি মনে পড়ে।
গ) কাজলা দিদির কথা উঠলে মা আঁচল দিয়ে মুখ. ঢাকেন কেন?
উত্তর : কাজলা দিদি সবাইকে ছেড়ে না ফেরার দেশে চলে গেছে। কিন্তু ছোট্ট বোনটি সেটি বুঝতে পারে না। তাই মায়ের কাছে সে বারবার জানতে চায় তার কাজলা দিদি কোথায় গেছে, কবে ফিরবে। মা তার কথার উত্তর দিতে পারেন না। দিদির কথা তুললে তাঁর চোখে পানি আসে। কান্না লুকোতে মা আঁচল দিয়ে মুখ. ঢাকেন।
ঘ) পুতুলের বিয়ের সময় দিদির কথা মনে পড়ে কেন?
উত্তর : কাজলা দিদি ছিল ছোট্ট বোনটির সারাক্ষণের সাথি। আগামীকাল তার নতুন ঘরে পুতুলের বিয়ে। এ সময় তার কাজলা দিদি তার পাশে নেই, এটি ভেবে সে কষ্ট পাচ্ছে। দিদিকে ছাড়া পুতুলের বিয়ে হতে পারে, এ কথা বোনটি ভাবতেই পারে না। তাই পুতুলের বিয়ের সময় তার কাজলা দিদির কথা মনে পড়ে।
ঙ) আমিও নাই, দিদিও নাই, কেমন মজা হবে- এ কথা বলে কী বোঝানো হয়েছে?
উত্তর : ছোট্ট বোনটির ধারণা কাজলা দিদি বুঝি তাকে ফাঁকি দিয়ে কোথাও গিয়ে লুকিয়ে আছে। দিদি কোথায় আছে মা তা জেনেও তাকে বলছে না। মায়ের উপর তাই তার খুব অভিমান হয়েছে। যে কারণে দিদির মতো সেও ফাঁকি দিয়ে কোথাও লুকিয়ে থাকার ভয় দেখায় মাকে।
চ) খুকি মাকে কেন শিউলি ফুলের গাছের নিচে সাবধানে যেতে এবং ডালিম গাছের ফল ছিঁড়তে বারণ করেছে?
উত্তর : খুকির কাজলা দিদি ফুল, পাখি ইত্যাদি ভালোবাসত। শিউলি গাছের তল ভুঁইচাঁপায় ভরে গেছে। মা যেন পুকুর থেকে জল আনতে গিয়ে ভুলে তা না মাড়ান-খুকি তাঁকে সে ব্যাপারে সাবধান থাকতে বলেছে।
ডালিম গাছের ডালের ফাঁকে একটি বুলবুলি পাখি লুকিয়ে থাকে। মা ফল ছিঁড়তে গেলে পাখিটি ভয় পেয়ে উড়ে যেতে পারে। তাই খুকি মাকে ডালিম গাছের ফল ছিঁড়তে বারণ করেছে।
৬. নিচের শব্দগুলো ঠিকভাবে সাজাই (যেমন- বাঁশবাগান)।
পুতুল তলে
থোকায় ধারে
পুকুর বিয়ে
নেবুর ঘরে
শোলক. থোকায়
কাজলা বাগান
বাঁশ বলা
নতুন দিদি
উত্তর : পুতুলবিয়ে
থোকায় থোকায়
পুকুর ধারে
নেবুর তলে
শোলকÑবলা
কাজলা দিদি
বাঁশবাগান
নতুন ঘরে
৭. কবিতাটি বিরামচিহ্ন দেখে ও ভাব বজায় রেখে পড়ি।
উত্তর : নিজে নিজে চেষ্টা কর।
সঠিক. উত্তরটি লেখ।
১) দিদির কথা উঠলে মা জ
ক. খুশি হন
খ. বিরক্ত হন
গ. কষ্ট পান
ঘ. লুকিয়ে থাকেন
২) শিউলি গাছের তল কিসে ভরে গিয়েছে? জ
ক. নেবুতে
খ. জোনাকি পোকায়
গ. ভুঁইচাঁপাতে
ঘ. শিউলি ফুলে
৩) ছোট্ট বোনটি সবসময় অপেক্ষায় থাকে চ
ক. দিদির জন্য
খ. জোনাই জ্বলার জন্য
গ. বুলবুলির জন্য
ঘ. ভুঁইচাঁপা ফোটার জন্য
নিচের শব্দগুলো দিয়ে বাক্য রচনা কর।
চাঁদ, আঁচল, চুপটি, একলা।
উত্তর :
শব্দ ———-বাক্য
চাঁদ—–আকাশে কী সুন্দর চাঁদ উঠেছে!
আঁচল—–মা আঁচল দিয়ে মুখ. মুছলেন।
চুপটি—–বিড়ালটি চুপটি করে বসে আছে।
একলা—–একলা ঘরে ভালো লাগে না।
শূন্যস্থান পূরণ কর।
ক) ভুঁইচাঁপাতে ভরে গেছে —– গাছের তল।
খ) ফুলের গন্ধে —– আসে না।
গ) —– মাথার উপর চাঁদ উঠেছে ওই।
ঘ) —– কথায় আঁচল দিয়ে মুখটি কেন ঢাকো?
ঙ) দিস না তারে —– মা গো, ছিঁড়তে গিয়ে ফল।
উত্তর : ক) শিউলি; খ) ঘুম; গ) বাঁশবাগানের; ঘ) দিদির; ঙ) উড়িয়ে।
নিচের বানানগুলো শুদ্ধ করে লেখ।
ভুঁইচাপা, ঝিঁঝিঁ, সারাক্ষন, মুহুর্ত, জোনাঈ।
উত্তর :
ভুল বানান ———-শুদ্ধ বানান
ভুঁইচাপা ———- ভুঁইচাঁপা
ঝিঁঝিঁ ———- ঝিঁঝি
সারাক্ষন ———- সারাক্ষণ
মুহুর্ত ———- মুহূর্ত
জোনাঈ ———- জোনাই
নিচের শব্দগুলোর কোনটি কোন পদ লেখ।
ঢাকো, ভুঁইচাঁপা, উঠেছে, জ্বলে, ঘুম।
উত্তর :
মূল শব্দ ———-পদ
ঢাকো—–ক্রিয়া
ভুঁইচাঁপা—–বিশেষ্য
উঠেছে—–ক্রিয়া
জ্বলে—–ক্রিয়া
ঘুম—–বিশেষ্য
বুঝিয়ে লেখ
বাঁশবাগানের মাথার উপর চাঁদ উঠেছে ওই,
মাগো, আমার শোলক-বলা কাজলা দিদি কই?
উত্তর : আলোচ্য চরণ দুটি যতীন্দ্রমোহন বাগচী রচিত ‘কাজলা দিদি’ কবিতা থেকে নেওয়া হয়েছে।
এখানে কাজলা দিদির প্রতি ছোট্ট শিশুমনের গভীর ভালোবাসার প্রকাশ ঘটেছে।
ছোট্ট শিশুটি মৃত্যুর মানে বোঝে না। তাই সে হারিয়ে যাওয়া কাজলা দিদিকে সারাদিন খুঁজে ফেরে। মায়ের কাছে কাজলা দিদি কোথায় আছে তা জানতে চায়। সহোদর বোনের প্রতি ছোট্ট শিশুটির হৃদয়ের টানের দিকটি ফুটে উঠেছে লাইন দুটিতে।
নিচের কবিতাংশটি পড়ে ১, ২, ৩ ও ৪ নম্বর প্রশ্নের উত্তর লেখ।
বাঁশবাগানের মাথার উপর চাঁদ উঠেছে ওই
মাগো, আমার শোলক-বলা কাজলা দিদি কই?
পুকুর ধারে, নেবুর তলে থোকায় থোকায় জোনাই জ্বলে,
ফুলের গন্ধে ঘুম আসে না, একলা জেগে রই;
মাগো, আমার কোলের কাছে কাজলা দিদি কই?
খাবার খেতে আসি যখন দিদি বলে ডাকি, তখন
ও-ঘর থেকে কেন মা আর দিদি আসে নাকো,
আমি ডাকি,—–তুমি কেন চুপটি করে থাকো?
ভুঁইচাঁপাতে ভরে গেছে শিউলি গাছের তল,
মাড়াস নে মা পুকুর থেকে আনবি যখন জল;
দিদি এসে শুনবে যখন, বলবে কী মা বল!
১. সঠিক. উত্তরটি উত্তরপত্রে লেখ।
১) বাঁশবাগানের মাথার উপর কী দেখা যাচ্ছে?
(ক) ঘুড়ি
(খ) চাঁদ
(গ) সূর্য
(ঘ) পাখি
২) কাজলা দিদি ছোট বোনটিকে কী শোনাত?
(ক) কবিতা
(খ) ছড়া
(গ) গল্প
(ঘ) কৌতুক
৩) খাবার খেতে এলে মেয়েটির মনে পড়েÑ
(ক) মায়ের কথা
(খ) দিদির কথা
(গ) নেবুর কথা
(ঘ) জলের কথা
৪) মেয়েটির ঘুম আসে না
(ক) জোনাকির আলোর কারণে
(খ) চাঁদের আলোর কারণে
(গ) ফুলের সুবাসের কারণে
(ঘ) দিদির জ্বালাতনের কারণে
৫) অনুচ্ছেদে প্রকাশিত হয়েছে
(ক) নানা ধরনের ফুলের পরিচয়
(খ) মায়ের প্রতি ভালোবাসা
(গ) জোছনা রাতের প্রকৃতির বর্ণনা
(ঘ) বোনের প্রতি ভালোবাসা
উত্তর : ১) (খ) চাঁদ; ২) (খ) ছড়া; ৩) (খ) দিদির কথা; ৪) (গ) ফুলের সুবাসের কারণে; ৫) (ঘ) বোনের প্রতি ভালোবাসা।
২. নিচের শব্দগুলোর অর্থ লেখ।
নেবু, শোলক, জোনাই, দিদি, চুপটি।
উত্তর :
শব্দ———- অর্থ
নেবু—–লেবু।
শোলক.—–ছোট পদ।
জোনাই—–জোনাকি পোকা।
দিদি—–বড় বোন।
চুপটি—–একেবারে নীরব।
৩. নিচের প্রশ্নগুলোর উত্তর লেখ।
ক) কোথায় থোকায় থোকায় জোনাই জ্বলে?
উত্তর : পুকুর ধারে আর নেবুর তলে থোকায় থোকায় জোনাই জ্বলে।
খ) দিদির কথা জিজ্ঞেস করলে মা চুপটি করে থাকেন কেন?
উত্তর : দিদি সবাইকে ছেড়ে চিরদিনের জন্য চলে গেছে। কিন্তু ছোট বোনটি সেটি বুঝতে পারে নি। মাকে দিদির কথা জিজ্ঞেস করলে তিনি কষ্টে কোনো কথা বলতে পারেন না। তাই মা চুপটি করে থাকেন।
গ) মেয়েটি তার মাকে কোন ব্যাপারে সাবধান থাকতে বলেছে?
উত্তর : মেয়েটি তার মাকে বলেছে পুকুর থেকে জল আনার সময় মা যেন সাবধান থাকেন। তা না হলে মা শিউলি গাছের নিচে জন্ম নেয়া ভুঁইচাঁপাগুলো ভুলে মাড়িয়ে দিতে পারেন।
৪. কবিতাংশটির মূলভাব লেখ।
উত্তর : ছোট্ট বোনটির সবসময়ের খেলার সাথি ছিল তার কাজলা দিদি। দিদি যে সবাইকে ছেড়ে চিরদিনের জন্য চলে গেছে তা সে বোঝে না। তাই সে দিদিকে সারাটি দিন খুঁজে ফেরে। মাকে বার বার জিজ্ঞেস করে দিদির কথা। কিন্তু মা তার কোনো জবাব দিতে পারেন না।
এ অংশে পাঠ্য বই বহির্ভূত অনুচ্ছেদ/কবিতাংশ দেওয়া থাকবে। প্রদত্ত অনুচ্ছেদ/কবিতাংশটি পড়ে ৩ ধরনের প্রশ্নের উত্তর করতে হবে। এখানে থাকবে (৫) বহুনির্বাচনি প্রশ্ন (৬) শূন্যস্থান পূরণ ও (৭) প্রশ্নের উত্তর লিখন। প্রতিটি প্রশ্নের উত্তর করতে হবে।
পাঠ্য বই বহির্ভূত অনুচ্ছেদ/কবিতাংশ পরীক্ষায় কমন পড়বে না। তাই এটি এখানে দেওয়া হলো না। তবে পরীক্ষার প্রশ্নের পূর্ণাঙ্গ. নমুনা (ঋড়ৎসধঃ) বোঝার সুবিধার্থে বইয়ের প্রথম দুটি অধ্যায়ে পাঠ্য বই বহির্ভূত অংশটি সংযোজন করা হয়েছে।
……………………………………………………………..
৮. নিচের যুক্তবর্ণগুলো কোন কোন বর্ণ দিয়ে গঠিত ভেঙে দেখাও এবং প্রতিটি যুক্তবর্ণ দিয়ে একটি করে শব্দ গঠন করে বাক্যে প্রয়োগ. দেখাও।
ন্ধ, জ্ব, ক্ষ, ট্ট, প্র।
উত্তর :
ন্ধ = ন + ধ—–সন্ধ্যা
সন্ধ্যায় পড়তে বসব।
জ্ব = জ + ব ফলা—–জ্বর
খোকার জ্বর কমেছে।
ক্ষ = ক. + ষ—–ক্ষমা
ক্ষমা মহত্তে¡র লক্ষণ।
ট্ট = ট + ট—–হট্টগোল
শ্রেণিকক্ষে হট্টগোল করব না।
প্র = প + র-ফলা ( ্র )—–প্রতি
তোমার প্রতি আমার অনুরোধ রইল।
৯. সঠিক. স্থানে বিরামচিহ্ন বসিয়ে অনুচ্ছেদটি আবার লেখ।
(পদ্যের ক্ষেত্রে প্রযোজ্য নয়)
১০. নিচের ক্রিয়াপদগুলোর চলিত রূপ লেখ।
জাগিয়া, জ্বলিতেছে, বলিবে, রহিয়াছি, শুনিবে।
উত্তর :
ক্রিয়াপদ ———-চলিত রূপ
জাগিয়া ———- জেগে
জ্বলিতেছে ———- জ্বলছে
বলিবে ———- বলবে
রহিয়াছি ———- রয়েছি
শুনিবে ———- শুনবে
১১. নিচের শব্দগুলোর বিপরীত শব্দ লেখ।
উপর, জেগে, উত্তর, কাঁদা, জানা।
উত্তর :
মূল শব্দ ———-বিপরীত শব্দ
উপর ———- নিচ
জেগে ———- ঘুমিয়ে
উত্তর ———- দক্ষিণ
কাঁদা ———- হাসা
জানা ———- অজানা
১২. নিচের প্রশ্নগুলোর উত্তর দাও :
কাল যে আমার নতুন ঘরে পুতুল-বিয়ে হবে!
তুমি তখন একলা ঘরে কেমন করে রবে?
বল মা, দিদি কোথায় গেছে, আসবে আবার কবে?
আমিও নাই দিদিও নাই কেমন মজা হবে!
আমি ডাকি, তুমি কেন চুপটি করে থাকো?
দিদির মতন ফাঁকি দিয়ে আমিও যদি লুকোই গিয়েÑ
ক) কবিতার চরণগুলো সাজিয়ে লেখ
খ) কবিতাংশটি কোন কবিতার অংশ?
গ) কবিতাটির কবির নাম কী?
ঘ) পুতুলের বিয়ের সময় খুকুর দিদির কথা মনে পড়ে কেন?
উত্তর :
ক) কবিতার চরণগুলো নিচে সাজিয়ে লেখা হলো
আমি ডাকি, তুমি কেন চুপটি করে থাকো?
বল মা, দিদি কোথায় গেছে, আসবে আবার কবে?
কাল যে আমার নতুন ঘরে পুতুল-বিয়ে হবে!
দিদির মতন ফাঁকি দিয়ে আমিও যদি লুকোই গিয়েÑ
তুমি তখন একলা ঘরে কেমন করে রবে?
আমিও নাই দিদিও নাই কেমন মজা হবে!
খ) কবিতাংশটি ‘কাজলা দিদি’ কবিতার অংশ।
গ) কবিতাটির কবির নাম যতীন্দ্রমোহন বাগচী।
ঘ) কাজলা দিদি ছিল ছোট্ট বোনটির সারাক্ষণের সাথি। আগামীকাল তার নতুন ঘরে পুতুলের বিয়ে। এ সময় তার কাজলা দিদি তার পাশে নেই, এটি ভেবে সে কষ্ট পাচ্ছে। দিদিকে ছাড়া পুতুলের বিয়ে হতে পারে, এ কথা বোনটি ভাবতেই পারে না। তাই পুতুলের বিয়ের সময় তার কাজলা দিদির কথা মনে পড়ে।
উক্ত বিষয় সম্পর্কে কিছু জানার থাকলে কমেন্ট করতে পারেন।
আমাদের সাথে ইউটিউব চ্যানেলে যুক্ত হতে এখানে ক্লিক করুন এবং আমাদের সাথে ফেইজবুক পেইজে যুক্ত হতে এখানে ক্লিক করুন। গুরুত্বপূর্ণ আপডেট ও তথ্য পেতে আমাদের ওয়েবসাইটে ভিজিট করুন।