(Constitution and incorporation)
৪৷ (১) এই আইনের অধীনে কোম্পানী হিসাবে নিবন্ধিকৃত না হইলে, অথবা অন্য কোন আইনের দ্বারা বা অধীনে গঠিত না হইলে, ব্যাংক-ব্যবসা পরিচালনার উদ্দেশ্যে দশের অধিক ব্যক্তি-সমন্বয়ে কোন কোম্পানী, সমিতি বা অংশীদারী কারবার (partnership) গঠন করা যাইবে না৷
(২) এই আইনের অধীনে কোম্পানী হিসাবে নিবন্ধিকৃত না হইলে, অথবা অন্য কোন আইনের দ্বারা বা অধীনে গঠিত না হইলে, বিশ জনের অধিক ব্যক্তি-সমন্বয়ে এমন কোন কোম্পানী, সমিতি বা অংশীদারী কারবার গঠন করা যাইবে না যাহার উদ্দেশ্য হইতেছে ব্যাংক-ব্যবসা ব্যতীত অন্য কোন ব্যবসা পরিচালনা করিয়া উক্ত কোম্পানী, সমিতি, কারবার বা উহার কোন সদস্যের জন্য মুনাফা অর্জন করা৷
(৩) যৌথ-পারিবারিক ব্যবসা পরিচালনাকারী যৌথ-পরিবারের ক্ষেত্রে এই ধারার বিধান প্রযোজ্য হইবে না :
তবে শর্ত থাকে যে, দুই বা ততোধিক যৌথ-পরিবার মিলিয়া কোন অংশীদারী কারবার, সমিতি বা কোম্পানী গঠন করিলে উহাদের ক্ষেত্রে এই ধারার অন্যান্য উপ-ধারার বিধান প্রযোজ্য হইবে; এবং এই ধারার উদ্দেশ্য পূরণকল্পে, উক্ত পরিবারসমূহের সদস্যগণের সংখ্যা গণনা করার সময় অপ্রাপ্তবয়স্ক সদস্যগণকে বাদ দিতে হইবে৷
(৪) কোন কোম্পানী, সমিতি বা অংশীদারী কারবার এই ধারার বিধান লংঘন করিয়া ব্যবসা পরিচালনা করিলে, উহার প্রত্যেক সদস্য উক্ত ব্যবসা হইতে উদ্ভূত দায়-দেনার জন্য ব্যক্তিগতভাবে দায়ী থাকিবেন৷
(৫) এই ধারার বিধান অমান্য করিয়া গঠিত কোন কোম্পানী, সমিতি বা অংশীদারী কারবারের প্রত্যেক সদস্য অনধিক পাঁচ হাজার টাকা অর্থদণ্ডে দণ্ডনীয় হইবেন৷
সংঘস্মারক
৫৷ পাবলিক কোম্পানী গঠনের ক্ষেত্রে সাত বা ততোধিক ব্যক্তি এবং প্রাইভেট কোম্পানী গঠনের ক্ষেত্রে দুই বা ততোধিক ব্যক্তি, আইনানুগ যে কোন উদ্দেশ্যে, নিগমিত কোম্পানী গঠন করিতে পারিবে, এবং উহা করিতে চাহিলে, তাহারা তাহাদের নাম সংঘস্মারকে স্বাক্ষর করিয়া (subscribe) এবং নিবন্ধিকরণ সংক্রান্ত এই আইনের বিধান মোতাবেক অন্যান্য ব্যবস্থা গ্রহণ করিয়া সীমিতদায়সহ বা সীমিতদায় ব্যতিরেকে নিম্নরূপ যে কোন কোম্পানী গঠন করিতে পারিবেন, যথা :-
(ক) শেয়ার দ্বারা সীমিতদায় কোম্পানী, অর্থাৎ এমন কোম্পানী যাহার সংঘস্মারক দ্বারা কোম্পানীর সদস্যগণের দায় এর পরিমাণ তাহাদের নিজ মালিকানাধীন শেয়ারের অপরিশোধিত অংশ, যদি থাকে, পর্যন্ত সীমিত রাখা হয়; অথবা
(খ) গ্যারান্টি দ্বারা সীমিতদায় কোম্পানী, অর্থাৎ এমন কোম্পানী যাহার সদস্যগণের দায় এর পরিমাণ কোম্পানীর সংঘস্মারক দ্বারা এইরূপে সীমিত রাখা হয় যে, উক্ত কোম্পানী অবলুপ্তির ক্ষেত্রে তাহারা প্রত্যেকে উহার পরিসম্পদে (asset) একটি নির্দিষ্ট সীমা পর্যন্ত অর্থ প্রদানে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ থাকেন; অথবা
(গ) অসীমিতদায় কোম্পানী, অর্থাৎ এমন কোম্পানী যাহার সদস্যগণের দায় এর কোন নির্দিষ্ট সীমারেখা থাকে না৷
৬৷ শেয়ার দ্বারা সীমিতদায় কোম্পানীর ক্ষেত্রে-
(ক) সংঘস্মারকে নিম্নবর্ণিত বিষয়গুলি বিধৃত থাকিবে, যথা :-
(অ) কোম্পানীর নাম, যাহার শেষে “সীমিতদায়” বা “লিমিটেড” শব্দটি লিখিত থাকিবে;
(আ) নিবন্ধিকৃত কার্যালয়ের ঠিকানা;
(ই) কোম্পানীর উদ্দেশ্যসমূহ এবং বাণিজ্যিক (Trading) কোম্পানী ব্যতীত অন্যান্য ক্ষেত্রে, যে সকল এলাকায় উহার উদ্দেশ্য ও কার্যাবলী পরিব্যাপ্ত থাকিবে উহার উল্লেখ;
(ঈ) সদস্যগণের দায় শেয়ার দ্বারা সীমিত, এই মর্মে একটি বিবৃতি; এবং
(উ) যে শেয়ার-মূলধন (share capital) লইয়া কোম্পানী নিবন্ধিকৃত হওয়ার প্রস্তাব করিতেছে, টাকার অংকে উহার পরিমাণ এবং সে অনুসারে নির্দিষ্ট সংখ্যক শেয়ারে উক্ত মূলধনের বিভাজন;
(খ) সংঘস্মারকে স্বাক্ষরকারী প্রত্যেক ব্যক্তির অন্যুন একটি শেয়ার থাকিবে; এবং
(গ) সংঘস্মারকে স্বাক্ষরকারী প্রত্যেক ব্যক্তি তাহার নামের বিপরীতে তৎকর্তৃক গৃহীত শেয়ার সংখ্যা উল্লেখ করিবেন৷
৭৷ গ্যারান্টি দ্বারা সীমিতদায় কোম্পানীর ক্ষেত্রে-
(ক) সংঘস্মারকে নিম্নবর্ণিত বিষয়গুলি বিধৃত থাকিবে, যথা :-
(ই) কোম্পানীর উদ্দেশ্যসমূহ এবং বাণিজ্যিক কোম্পানী ব্যতীত অন্যান্য ক্ষেত্রে, যে সকল এলাকায় কোম্পানীর উদ্দেশ্যে ও কার্যাবলী পরিব্যাপ্ত থাকিবে, উহার উল্লেখ;
(ঈ) সদস্যগণের দায় গ্যারান্টি দ্বারা সীমিত, এই মর্মে একটি বিবৃতি; এবং
৮৷ অসীমিতদায় কোম্পানীর ক্ষেত্রে-
(খ) যদি কোম্পানীর শেয়ার-মূলধন থাকে, তাহা হইলে-
(আ) সংঘস্মারকে স্বাক্ষরকারী প্রত্যেক ব্যক্তি তাহার নামের বিপরীতে তৎকর্তৃক গৃহীত শেয়ারের সংখ্যা উল্লেখ করিবেন৷
৯৷ প্রত্যেক কোম্পানীর-
(ক) সংঘস্মারক মুদ্রিত হইতে হইবে;
(খ) সংঘস্মারকে বিধৃত বিষয়াবলী ধারাবাহিকভাবে সংখ্যানুক্রমিক অনুচ্ছেদে বিভক্ত থাকিবে; এবং
(গ) সংঘস্মারকে স্বাক্ষরকারী প্রত্যেক ব্যক্তি তাহার ঠিকানা এবং পরিচয়সহ অন্ততঃ দুইজন স্বাক্ষীর সম্মুখে স্বাক্ষর করিবেন এবং স্বাক্ষীগণ উক্ত স্বাক্ষর সত্যায়ন করিবেন৷
১০৷ (১) এই আইনে স্পষ্ট বিধান করা হইয়াছে এইরূপ ক্ষেত্র ও পদ্ধতি ব্যতিরেকে এবং উক্ত বিধানে অনুমোদিত সীমার অতিরিক্ত কোন পরিবর্তন সংঘস্মারকে বিধৃত শর্তাবলীতে করা যাইবে না৷
(২) উপ-ধারা (১) এর উদ্দেশ্য পূরণকল্পে, এই আইনের অন্য কোন নির্দিষ্ট বিধান অনুযায়ী যে সকল বিধি-বিধান কোম্পানীর সংঘস্মারকে উল্লেখ করিতে হইবে কেবলমাত্র সেইগুলি সংঘস্মারকে বিধৃত শর্তাবলী বলিয়া গণ্য হইবে৷
(৩) ব্যবস্থাপনা পরিচালক, ম্যানেজিং এজেন্ট বা ম্যানেজারের নিয়োগ সংক্রান্ত বিধানসহ সংঘস্মারকের অন্যান্য বিধান কোম্পানীর সংঘবিধির ন্যায় একই পদ্ধতিতে পরিবর্তন করা যাইবে; কিন্তু সংঘস্মারকের বিধানসমূহ অন্য কোনভাবে পরিবর্তনের জন্য যদি এই আইনে সুস্পষ্ট কোন বিধান থাকে, তবে সংঘস্মারকের বিধানগুলি সেই প্রকারেও পরিবর্তন করা যাইবে৷
(৪) এই আইনের কোন বিধানে সংঘবিধির কোন উল্লেখ থাকিলে, উক্ত বিধানে উপ-ধারা (৩) এ উল্লেখিত সংঘস্মারকের অন্যান্য বিধানসমূহও উল্লেখিত হইয়াছে মর্মে উক্ত বিধানের ব্যাখ্যা করিতে হইবে৷
১১৷ (১) কোন কোম্পানী এমন নামে নিবন্ধিকৃত হইবে না, যে নামে একটি বিদ্যমান কোম্পানী ইতিপূর্বে নিবন্ধিকৃত হইয়া উক্ত নামেই বহাল আছে অথবা যে নামের সহিত প্রস্তাবিত নামের এমন সাদৃশ্য থাকে যে, উক্ত সাদৃশ্যের ফলে প্রতারণা করা সম্ভব; তবে বিদ্যমান কোম্পানীটি অবলুপ্ত হওয়ার প্রক্রিয়াধীন থাকিলে এবং রেজিষ্ট্রার কর্তৃক নির্দেশিত পদ্ধতিতে উক্ত কোম্পানী লিখিত সম্মতিদান করিলে, বিদ্যমান কোম্পানীর নামে বা উহার সাদৃশ নামে প্রথমোক্ত কোম্পানীটি নিবন্ধিকৃত হইতে পারে৷
(২) অসতর্কতার কারণেই হউক বা অন্য কোন কারণেই হউক, যদি কোন কোম্পানী উপ-ধারা (১) এ উল্লেখিত সম্মতি গ্রহণ না করিয়া পূর্বে নিবন্ধিকৃত বিদ্যমান কোন কোম্পানীর নামে নিবন্ধিকৃত হয় অথবা বিদ্যমান কোম্পানীর নামের সাদৃশ্য এমন কোন নামে নিবন্ধিকৃত হয়, যে উক্ত সাদৃশ্যের ফলে প্রতারণা করা সম্ভব, তাহা হইলে প্রথমোক্ত কোম্পানী রেজিষ্ট্রারের নির্দেশ মোতাবেক, অনধিক একশত বিশ দিনের মধ্যে উহার নাম পরিবর্তন করিবে৷
(৩) যদি কোন কোম্পানী উপ-ধারা (২) এর অধীন প্রদত্ত নির্দেশ পালনে ব্যর্থ হয় তাহা হইলে উক্ত কোম্পানী অনুরূপ ব্যর্থতা অব্যাহত থাকাকালীন সময়ের প্রতিদিনের জন্য পাঁচশত টাকা করিয়া অর্থদণ্ডে দণ্ডনীয় হইবে; এবং উহার প্রত্যেক কর্মকর্তা, যিনি নির্দেশ পালনে ব্যর্থ হন তিনিও প্রতিদিনের জন্য একশত টাকা করিয়া অর্থদণ্ডে দণ্ডনীয় হইবেন৷
(৪) সরকার, সরকারী গেজেটে প্রজ্ঞাপনের দ্বারা, অনভিপ্রেত বলিয়া ঘোষণা করিয়াছে এমন কোন নামে, সরকারের লিখিত পূর্ব অনুমতি ব্যতিরেকে, কোন কোম্পানী নিবন্ধিকৃত করা যাইবে না:
তবে শর্ত থাকে যে, এই আইন প্রবর্তনের পূর্বে নিবন্ধিকৃত কোম্পানীর ক্ষেত্রে এই উপ-ধারার কোন কিছুই প্রযোজ্য হইবে না৷
(৫) জাতিসংঘ বা জাতিসংঘ কর্তৃক গঠিত ইহার কোন সহায়ক সংস্থা অথবা বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার নামে বা ঐসব নামের শব্দ সংতেগপ সম্বলিত কোন নামে, জাতিসংঘ বা উহার সহায়ক সংস্থার তেগত্রে, জাতিসংঘের সেক্রেটারী জেনারেল এবং বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার ক্ষেত্রে, উহার ডাইরেক্টর জেনারেলের লিখিত পূর্ব অনুমতি ব্যতীত, কোন কোম্পানী নিবন্ধিকৃত করা যাইবে না৷
(৬) যে কোন কোম্পানী উহার বিশেষ সিদ্ধান্তক্রমে (special resolution) এবং রেজিষ্ট্রারের লিখিত অনুমোদন সাপেতেগ উহার নাম পরিবর্তন করিতে পারিবে৷
(৭) কোন কোম্পানী উহার নাম পরিবর্তন করিলে রেজিষ্ট্রার তাহার নিবন্ধন-বহিতে কোম্পানীর পূর্ব নামের পরিবর্তে নূতন নাম লিপিবদ্ধ করিবেন, এবং পরিবর্তিত অবস্থার পরিপ্রেতিগতে উক্ত কোম্পানীর পরিবর্তিত নামে নিগমিতকরণের একটি প্রত্যয়নপত্র প্রদান করিবেন এবং তাহা প্রদানের পর, কোম্পানীর নাম পরিবর্তনের কাজ সমাপ্ত হইবে৷
(৮) নামের পরিবর্তন কোম্পানীর কোন অধিকার বা দায়-দায়িত্বে পরিবর্তন হইবে না অথবা উক্ত কোম্পানী কর্তৃক বা উহার বিরুদ্ধে সূচিত কোন আইনানুগ কার্যধারাকে ত্রুটিপূর্ণ প্রতিপন্ন করিবে না, এবং উক্ত কোম্পানীর পূর্ব নামে উহার বিরুদ্ধে কোন আইনানুগ কার্যধারা অব্যাহত থাকিলে বা কোম্পানীর দ্বারা সূচিত হইয়া থাকিলে উহা কোম্পানীর নূতন নামে অব্যাহত থাকিবে৷
(৯) কোন কোম্পানী নির্ধারিত ফিস প্রদান করিয়া রেজিষ্ট্রারের নিকট এই মর্মে তথ্য সরবরাহের জন্য আবেদন করিতে পারিবে যে, উক্ত আবেদন পত্রে উল্লেখিত নামে কোন কোম্পানী নিবন্ধিকৃত হইয়াছে বা হইবে বলিয়া প্রস্তাব করা হইয়াছে কি না; এবং রেজিষ্ট্রার এইরূপ আবেদন প্রাপ্তির তারিখ হইতে ত্রিশ দিনের মধ্যে প্রয়োজনীয় তথ্য সরবরাহ করিবেন৷
3[১১ক। এই আইনের অন্যান্য বিধানে যাহা কিছুই থাকুক না কেন, সীমিতদায় কোম্পানী নিম্নবর্ণিতভাবে সনাক্ত করিতে হইবে, যথা:-
(ক) সীমিতদায় পাবলিক কোম্পানীর ক্ষেত্রে উহার নামের শেষে “পাবলিক সীমিতদায় কোম্পানী” বা “PLC.” শব্দসমূহ লিখিতে হইবে;
(খ) সীমিতদায় প্রাইভেট কোম্পানীর ক্ষেত্রে উহার নামের শেষে “সীমিতদায়” বা “LTD.’’ শব্দ লিখিতে হইবে;
(গ) সীমিতদায় এক ব্যক্তি কোম্পানীর ক্ষেত্রে উহার নামের শেষে “এক ব্যক্তি কোম্পানী বা One Person Company বা OPC” শব্দসমূহ লিখিতে হইবে:
তবে শর্ত থাকে যে, ধারা ২৮ এর অধীন মুনাফা ব্যতীত ভিন্ন উদ্দেশ্য বিশিষ্ট সমিতি এবং ধারা ২৯ এর অধীন গ্যারান্টি দ্বারা সীমিতদায় কোম্পানীর ক্ষেত্রে এই ধারার কোনো কিছুই প্রযোজ্য হইবে না।]
১২৷ (১) এই আইনের বিধানাবলী সাপেক্ষে, কোন কোম্পানী উহার বিশেষ সিদ্ধান্তক্রমে, নিম্নলিখিত সকল বা যে কোন কার্য সম্পাদনের প্রয়োজনে, কোম্পানীর উদ্দেশ্য সম্পর্কিত ইহার সংঘস্মারকের বিধানসমূহ পরিবর্তন করিতে পারে, যথা :-
(ক) মিতব্যয়িতা বা অধিকতর দক্ষতার সহিত উহার কার্যাবলী (business) পরিচালনা করা; অথবা
(খ) নূতন বা উন্নততর উপায়ে উহার উদ্দেশ্য বাস্তবায়ন করা; অথবা
(গ) যে সকল এলাকায় উহার কার্যাবলী পরিব্যাপ্ত সেই সকল এলাকার সম্প্রসারণ বা পরিবর্তন করা; অথবা
(ঘ) বিদ্যমান পরিস্থিততে কোম্পানীর কার্যাবলীর সহিত সুবিধাজনকভাবে বা লাভজনকভাবে সংযুক্ত হইতে পারে এমন কোন কার্যাবলী পরিচালনা করা; অথবা
(ঙ) সংঘস্মারকে নির্দিষ্টকৃত যে কোন উদ্দেশ্য পরিত্যাগ করা বা উহাতে বাধা-নিষেধ আরোপ করা; অথবা
(চ) কোম্পানীর গৃহীত কোন উদ্যোগের (undertaking) সম্পূর্ণ বা অংশবিশেষ বিক্রয় বা নিষ্পত্তি করা; অথবা
(ছ) অন্য কোন কোম্পানী বা ব্যক্তি-সংঘের সহিত একত্রিত হওয়া৷
(২) উক্ত পরিবর্তন সাধন সম্পর্কে আবেদন করিবার পর আদালত কর্তৃক তাহা অনুমোদিত না হওয়া পর্যন্ত এবং আদালত কর্তৃক যতটুকু গৃহীত হয় ততটুকুর অতিরিক্ত উহা কার্যকর হইবে না৷
(৩) উক্ত পরিবর্তন অনুমোদনের পূর্বে আদালতকে এই মর্মে সন্তুষ্ট হইতে হইবে যে, –
(ক) কোম্পানীর প্রত্যেক ডিবেঞ্চারধারীকে এবং পরিবর্তনের ফলে আদালতের মতে যাহাদের স্বার্থ ক্ষুণ্ণ হইবে এইরূপ প্রত্যেক ব্যক্তি বা গোষ্ঠীকে পর্যাপ্ত নোটিশ দেওয়া হইয়াছে; এবং
(খ) আদালতের বিবেচনায় উক্ত পরিবর্তন সম্পর্কে আপত্তি করার অধিকারী প্রত্যেক পাওনাদার তাহার আপত্তি, যদি থাকে, আদালত কর্তৃক নির্ধারিত পদ্ধতিতে উত্থাপনের সুযোগ পাইয়াছে অথবা উক্ত পাওনাদারের সম্মতি গ্রহণ করা হইয়াছে, অথবা তাহার পাওনা বা দাবী পরিশোধ করা হইয়াছে, অথবা আদালতের সন্তুষ্টি মোতাবেক উক্ত পাওনা বা দাবী পরিশোধের জন্য জামানত দেওয়া হইয়াছে :
তবে শর্ত থাকে যে, আদালত বিশেষ কোন কারণবশতঃ কোন ব্যক্তি বা গোষ্ঠীকে এই উপ-ধারার অধীন প্রয়োজনীয় নোটিশ প্রদান করার ব্যাপারে কোম্পানীকে অব্যাহতি দিতে পারে৷
১৩৷ আদালত উহার বিবেচনামত উপযুক্ত শর্তাবলী সাপেক্ষে প্রস্তাবিত পরিবর্তনের সম্পূর্ণ বা আংশিক অনুমোদন করিতে পারিবে এবং খরচের ব্যাপারে উহার বিবেচনামত যথোপযুক্ত আদেশ দিতে পারিবে৷
১৪৷ আদালত ধারা ১২ এবং ১৩ মোতাবেক উহার স্বেচ্ছাধীন ক্ষমতা প্রয়োগকালে কোম্পানীর সদস্যগণ কিংবা তাহাদের যে কোন শ্রেণীর এবং পাওনাদারগণের অধিকার ও স্বার্থের প্রতি লক্ষ্য রাখিবে; এবং আদালত উপযুক্ত মনে করিলে উহার কার্যধারা মূলতবী রাখিতে পারিবে, যাহাতে কোম্পানীর ভিন্ন মতাবলম্বী সদস্যগণের স্বত্ব ক্রয়ের জন্য আদালতের নিকট গ্রহণযোগ্য একটি ব্যবস্থা করা যায়; এবং আদালত অনুরূপ কোন ব্যবস্থা কার্যকর করার জন্য যেরূপ সমীচীন ও প্রয়োজনীয় মনে করে সেরূপ নির্দেশ বা আদেশ প্রদান করিতে পারিবে:
তবে শর্ত থাকে যে, অনুরূপ কোন ক্রয়ের ক্ষেত্রে কোম্পানীর শেয়ার-মূলধনের কোন অংশই ব্যয় করা যাইবে না৷
১৬৷ ধারা ১৫ এর বিধানাবলী অনুসারে সংঘস্মারকের পরিবর্তন নিবন্ধিকৃত না করা পর্যন্ত উক্ত পরিবর্তন কার্যকর হইবে না; এবং যদি উক্ত ধারায় উল্লিখিত সময়ের মধ্যে নিবন্ধিকরণের কাজ সম্পন্ন না হয়, তাহা হইলে উক্ত পরিবর্তন, উহার অনুমোদন আদেশ ও তত্সংক্রান্ত সমুদয় কার্যধারা উল্লিখিত সময় অতিক্রান্ত হওয়ার পর সম্পূর্ণরূপে অকার্যকর গণ্য হইবে :
তবে শর্ত থাকে যে, উপযুক্ত কারণ দর্শাইয়া উক্ত সময়ের পরবর্তী ত্রিশ দিনের মধ্যে আবেদন পেশ করা হইলে আদালত উহার আদেশ পুনর্জীবিত করিতে পারিবে৷
সংঘবিধি
১৭৷ (১) গ্যারান্টি দ্বারা সীমিত দায় কোম্পানী এবং অসীমিতদায় কোম্পানীর ক্ষেত্রে আবশ্যিকভাবে উহার সংঘবিধি থাকিবে, এবং শেয়ার দ্বারা সীমিত দায় কোম্পানীর ক্ষেত্রেও উহার সংঘবিধি থাকিতে পারে; সংঘবিধিতে কোম্পানীর কর্মকাণ্ড পরিচালনা সম্পর্কিত বিধান থাকিবে; এবং সংঘস্মারকে স্বাক্ষরকারীগণের দ্বারা সংঘবিধি স্বাক্ষর করিয়া সংঘস্মারক নিবন্ধনের সময়ই সংঘবিধিও নিবন্ধিকৃত করাইতে হইবে৷
(২) সংঘবিধিতে তফসিল ১ এ বিধৃত প্রবিধানসমূহের সমুদয় বা যে কোন প্রবিধান অর্ন্তভূক্ত করা যাইতে পারে, তবে প্রবিধানগুলি অন্তর্ভুক্ত করা হউক বা না হউক, উক্ত প্রবিধানগুলির মধ্যে ৫৬, ৬৬, ৭১, ৭৮, ৭৯, ৮০, ৮১, ৮২, ৯৫, ৯৭, ১০৫, ১০৮, ১১২, ১১৩, ১১৪, ১১৫ এবং ১১৬ নম্বর প্রবিধানগুলির মত একই বা সমফলপ্রদ প্রবিধান সকল সংঘবিধিতে অন্তর্ভুক্ত হইয়াছে বলিয়া গণ্য হইবে :
তবে শর্ত থাকে যে, কোন প্রাইভেট কোম্পানীর সংঘবিধিতে ৭৮, ৭৯, ৮০, ৮১ ও ৮২ নং প্রবিধান অন্তর্ভুক্ত বলিয়া গণ্য হইবে না, কিন্তু উহা কোন পাবলিক কোম্পানীর অধীনস্থ কোম্পানী হইলে এই প্রবিধানগুলি অন্তর্ভুক্ত বলিয়া গণ্য হইবে :
আরও শর্ত থাকে যে, যেক্ষেত্রে কোন খাতে সম্পূর্ণ ব্যয়ের পরিমাণ এমন হয় যে, উহা একাধিক বত্সরের ব্যয়ের সমান হইতে পারে অথচ উক্ত ব্যয়ের অংশবিশেষ একটি নির্দিষ্ট বছরের লাভ-ক্ষতির হিসাবে ঐ বৎসরে আয়ের বিপরীতে প্রদর্শিত হইতেছে, সেক্ষেত্রে উক্ত রূপ প্রদর্শনের কারণ লাভক্ষতির হিসাবে বিবৃত করিবার জন্য প্রবিধান ১০৮ এ যে বিধান আছে সেই কারণ প্রদর্শন সম্পর্কে কোম্পানী উহার সাধারণ সভায় ভিন্নরূপ সিদ্ধান্ত গ্রহণ করিতে পারে৷
(৩) যদি কোন অসীমিতদায় কোম্পানী বা গ্যারান্টি দ্বারা সীমিত দায় কোম্পানীর শেয়ার মূলধন থাকে, তবে উহা যে পরিমাণ শেয়ার-মূলধন লইয়া নিবন্ধিকৃত হওয়ার প্রস্তাব করিতেছে তাহা সংঘবিধিতে বিধৃত থাকিতে হইবে৷
(৪) যদি কোন অসীমিতদায় কোম্পানী বা গ্যারান্টি দ্বারা সীমিত দায় কোম্পানীর শেয়ার মূলধন না থাকে, তবে উহা যতজন সদস্য লইয়া নিবন্ধিকৃত হওয়ার প্রস্তাব করিতেছে সংঘবিধিতে সেই সংখ্যা বিধৃত থাকিতে হইবে; এবং রেজিষ্ট্রার উক্ত সদস্য-সংখ্যার ভিত্তিতে কোম্পানীর নিবন্ধনের জন্য প্রদেয় ফিস ধার্য করিবেন৷
১৮৷ এই আইন প্রবর্তনের পর নিবন্ধিকৃত শেয়ার দ্বারা সীমিতদায় কোম্পানীর ক্ষেত্রে, যদি সংঘবিধি নিবন্ধিকৃত করা না হয় অথবা সংঘবিধি নিবন্ধিকৃত হইয়া থাকিলেও যদি তফসিল-১ এ বর্ণিত কোন প্রবিধানকে উক্ত সংঘবিধি দ্বারা সুনির্দিষ্টভাবে বর্জন বা পরিবর্তন না করা হয়, তবে উক্ত কোম্পানী পরিচালনার ব্যাপারে প্রবিধানগুলি, যতদূর সম্ভব, প্রথমোক্ত সংঘবিধির ক্ষেত্রে সম্পূর্ণরূপে এবং দ্বিতীয় ক্ষেত্রে, উক্ত বর্জন বা পরিবর্তন সাপেতেগ প্রযোজ্য হইবে; এবং উহারা কোম্পানীর প্রবিধান বলিয়া এরূপ গণ্য হইবে যেন প্রবিধানগুলি নিবন্ধিকৃত সংঘবিধিতে যথাযথভাবে বিধৃত হইয়াছে৷
১৯৷ সংঘবিধি-
(ক) মুদ্রিত হইবে;
(খ) ধারাবাহিকভাবে সংখ্যানুক্রমিক অনুচ্ছেদে বিভক্ত হইবে; এবং
(গ) সংঘস্মারকে স্বাক্ষরকারী প্রত্যেক ব্যক্তি নিজ ঠিকানা ও পরিচয় প্রদান করতঃ কক্ষে দুইজন স্বাক্ষীর সম্মুখে স্বাক্ষর করিবেন এবং স্বাক্ষীগণ উক্ত স্বাক্ষরগুলি প্রত্যয়ন করিবেন৷
২০৷ এই আইনের বিধানাবলী এবং কোম্পানীর সংঘস্মারকে বিধৃত শর্তাবলী সাপেক্ষে, কোম্পানী বিশেষ সিদ্ধান্তক্রমে উহার সংঘবিধির বিধানাবলী বর্জন বা উহাতে সংযোজনসহ যে কোনভাবে পরিবর্তন করিতে পারিবে; এবং অনুরূপভাবে কৃত কোন পরিবর্তন, বর্জন বা সংযোজন এইরূপ কার্যকর হইবে যেন তাহা মুল সংঘবিধিতে বিধৃত ছিল; এবং বিশেষ সিদ্ধান্তক্রমে ঐগুলি একই প্রকারে পরিবর্তন, বর্জন বা উহাতে সংযোজন করা যাইবে৷
২১৷ কোম্পানীর সংঘস্মারক বা সংঘবিধিতে যাহা কিছুই থাকুক না কেন, উহাতে কৃত কোন পরিবর্তনের কারণে, উক্ত পরিবর্তনের তারিখের অব্যবহিত পূর্বে বিদ্যমান কোন সদস্য, তাহার লিখিত সম্মতি ব্যতিরেকে, উক্ত তারিখের অব্যবহিত পূর্বে তাহার যে দায়-দায়িত্ব ছিল উহার অতিরিক্ত কোন প্রকার দায়-দায়িত্ব গ্রহণে অথবা তৎকর্তৃক গৃহীত শেয়ার অপেতগা অধিক সংখ্যক শেয়ার গ্রহণে বা কোম্পানীর শেয়ার-মূলধনে অর্থ প্রদানে বা অন্য কোন প্রকারে কোম্পানীকে অর্থ পরিশোধে বাধ্য থাকিবেন না৷
সাধারণ বিধানাবলী
২২৷ (১) কোম্পানীর সংঘস্মারক এবং সংঘবিধি নিবন্ধিকৃত হইলে, ঐগুলি উক্ত কোম্পানী ও উহার সদস্যগণকে এইরূপ চুক্তিবদ্ধ করিবে যেন এগুলি প্রত্যেক সদস্য কর্তৃক স্বাক্ষরিত হইয়াছে এবং যেন ঐগুলিতে শর্ত রহিয়াছে যে প্রত্যেক সদস্য, তাহার উত্তরাধিকারী এবং প্রতিনিধি, এই আইনের বিধানাবলী সাপেক্ষে, সংঘস্মারক এবং সংঘবিধির বিধানাবলী মানিয়া চলিতে বাধ্য৷
(২) সংঘস্মারক বা সংঘবিধির অধীনে কোন সদস্য কর্তৃক কোম্পানীকে প্রদেয় অর্থ তাহার নিকট হইতে উক্ত কোম্পানী কর্তৃক আদায়যোগ্য বকেয়া ঋণ হিসাবে গণ্য হইবে৷
২৩৷ (১) কোম্পানীর সংঘস্মারক এবং উহার সংঘবিধি থাকিলে উক্ত সংঘবিধি রেজিষ্ট্রারের নিকট দাখিল করিতে হইবে, এবং দাখিল হওয়ার পর উহাদের সম্পর্কে যদি তিনি এই মর্মে সন্তুষ্ট হন যে, এই আইনের সংশ্লিষ্ট বিধানাবলী পালিত হইয়াছে, তাহা হইলে তিনি উহা সংরতগণ করিবেন এবং দাখিল হওয়ার তারিখ হইতে ত্রিশ দিনের মধ্যে উহাদিগকে নিবন্ধিকৃত করিবেন; এবং যদি তিনি নিবন্ধন না করেন, তবে উহার কারণ উক্ত মেয়াদের পরবর্তী দশ দিনের মধ্যে কোম্পানীকে অবহিত করিবেন৷
(২) রেজিষ্ট্রার কর্তৃক উপ-ধারা (১) মোতাবেক প্রত্যাখ্যাত হওয়ার কারণে যদি কোন ব্যক্তি সংক্ষুদ্ধ হন, তাহা হইলে তিনি উক্ত প্রত্যাখ্যান আদেশ প্রাপ্তির ত্রিশ দিনের মধ্যে সরকারের নিকট আপীল করিতে পারিবেন৷
(৩) আপীলের দরখাস্তের সহিত এতদুদ্দেশ্যে বিনির্দিষ্ট হিসাব-খাতে দুইশত পঞ্চাশ টাকার ফিস জমা করার নিদর্শন সম্বলিত ট্রেজারী চালান থাকিতে হইবে৷
(৪) এই ধারার অধীন কোন আপীলে সরকারের সিদ্ধান্তই চূড়ান্ত হইবে৷
২৪৷ (১) কোন কোম্পানীর সংঘস্মারক নিবন্ধনের পর রেজিষ্ট্রার তাহার নিজ হস্তে এই মর্মে একটি প্রত্যয়নপত্র প্রদান করিবেন যে, উক্ত কোম্পানী নিগমিত করা হইয়াছে এবং কোম্পানীটি সীমিত দায় কোম্পানী হইলে, উহাতে উল্লেখ করিবেন যে, উহা একটি সীমিত দায় কোম্পানী৷
(২) নিগমিতকরণের প্রত্যয়নপত্রে (certificate of incorporation) উল্লেখিত নিগমিতকরণের তারিখ হইতে সংঘস্মারকে স্বাক্ষরকারীগণ এবং সময় সময় কোম্পানীর সদস্য হন এমন অন্যান্য ব্যক্তিগণ সংঘস্মারকে বিধৃত নামে একটি নিগমিত সংস্থায় পরিণত হইবেন এবং অবিলম্বে উক্ত সংস্থা নিগমিত কোম্পানীর সকল কার্য সম্পাদনের ক্ষমতাসম্পন্ন হইবে; এবং উহার চিরস্থায়ী উত্তরাধিকার 4[***] থাকিবে; এবং উক্ত কোম্পানীর অবলুপ্তি ঘটিলে এই আইনের বিধানাবলী অনুসারে উহার সদস্যগণকে কোম্পানীর পরিসম্পদে (asset) অর্থ প্রদানের জন্য দায়-দায়িত্ব বহন করিতে হইবে
২৫৷ (১) রেজিষ্ট্রার কোন সমিতি নিগমিতকররে প্রত্যয়নপত্র প্রদান করিলে তাহা এইরূপ চূড়ান্ত সাক্ষ্য বহন করিবে যে, সমিতির নিবন্ধন এবং অনুবর্তী ও আনুষংগিক বিষয়াদি সম্পর্কে এই আইনের যাবতীয় শর্ত পালন করা হইয়াছে এবং উক্ত সমিতি নিবন্ধিকৃত হইবার অধিকারী একটি কোম্পানী এবং উহা আইন মোতাবেক যথাযথভাবে নিবন্ধিকৃত হইয়াছে৷
(২) উপ-ধারা (১) এ উল্লিখিত সকল বা সংশ্লিষ্ট যে কোন শর্ত পালনের ব্যাপারে একজন এডভোকেট, যিনি কোম্পানী গঠনের কাজে নিয়োজিত ছিলেন এবং হাইকোর্ট বিভাগে আইনজীবি হিসাবে হাজির হওয়ার অধিকারী, অথবা কোম্পানীর সংঘবিধিতে কোম্পানীর পরিচালক, ম্যানেজার বা সচিব হিসাবে যাহার নাম উল্লেখিত আছে এমন ব্যক্তি কর্তৃক প্রদত্ত ঘোষণাপত্র রেজিষ্ট্রারের নিকট দাখিল করিতে হইবে এবং রেজিষ্ট্রার অনুরূপ ঘোষণাপত্রকে উক্ত শর্তাবলী পালনের পর্যাপ্ত সাক্ষ্য হিসাবে গ্রহণ করিতে পারিবেন৷
২৬৷ (১) কোম্পানীর প্রত্যেক সদস্য সংঘস্মারকের এবং, সংঘবিধি থাকিলে, সংঘবিধির প্রতিলিপি পাওয়ার জন্য কোম্পানীকে অনুরোধ করিতে পারিবেন; এবং লিখিতভাবে এইরূপ অনুরোধ করা হইলে এবং পঞ্চাশ টাকা বা কোম্পানী কর্তৃক নির্ধারিত তদক্ষেপা কম পরিমাণের ফিস পরিশোধ করা হইলে, কোম্পানী অনুরোধ প্রাপ্তির চৌদ্দ দিনের মধ্যে উক্ত প্রতিলিপি সরবরাহ করিবে৷
(২) যদি কোন কোম্পানী এই ধারার বিধান পালনে ব্যর্থ হয়, তাহা হইলে উক্ত কোম্পানী প্রতিটি লংঘনের জন্য অনধিক দুইশত টাকা অর্থদণ্ডে দণ্ডনীয় হইবে; এবং উহার প্রত্যেক কর্মকর্তা, যিনি জ্ঞাতসারে ও ইচ্ছাকৃতভাবে উক্ত ব্যর্থতার জন্য দায়ী তিনিও, একই দণ্ডে দণ্ডনীয় হইবেন৷
২৭৷ (১) কোম্পানী সংঘস্মারক বা সংঘবিধির কোন পরিবর্তন করা হইলে উক্ত পরিবর্তনের তারিখের পর ইস্যুকৃত সংঘস্মারক বা সংঘবিধির প্রত্যেক প্রতিলিপিতে উক্ত পরিবর্তন লিপিবদ্ধ করিতে হইবে৷
(২) যদি উক্তরূপ কোন পরিবর্তনের ক্ষেত্রে, পরিবর্তনের তারিখের পর কোম্পানী কর্তৃক ইস্যুকৃত কোন সংঘস্মারক বা সংঘবিধির কোন প্রতিলিপি উক্ত পরিবর্তনের সহিত সংগতিপূর্ণ না হয়, তাহা হইলে উক্ত কোম্পানী এইরূপ অসংগতিপূর্ণ প্রত্যেক প্রতিলিপির জন্য অনধিক একশত টাকা অর্থদণ্ডে দণ্ডনীয় হইবে এবং উহার প্রত্যেক কর্মকর্তা, যিনি জ্ঞাতসারে ও ইচ্ছাকৃতভাবে উহা ইস্যুর জন্য দায়ী তিনিও, একইরূপ দণ্ডে দণ্ডনীয় হইবেন৷
মুনাফা ব্যতীত ভিন্ন উদ্দেশ্য বিশিষ্ট সমিতি
২৮৷ (১) যদি সরকারের নিকট সন্তোষজনকভাবে প্রমাণিত হয় যে, সীমিতদায় কোম্পানী হিসাবে গঠিত হওয়ারযোগ্য কোন সমিতি বাণিজ্য, কলা, বিজ্ঞান, ধর্ম, দাতব্য বা অন্য কোন উপযোগিতামূলক উদ্দেশ্যের উন্নয়নকল্পে গঠিত হইয়াছে অথবা গঠিত হইতে যাইতেছে এবং যদি উক্ত সমিতি উহার সম্পূর্ণ মুনাফা বা অন্যবিধ আয় উক্ত উদ্দেশ্যের উন্নতিকল্পে প্রয়োগ করে বা প্রয়োগ করার ইচ্ছা প্রকাশ করে এবং উহার সদস্যগণকে কোন লভ্যাংশ প্রদান নিষিদ্ধ করে, তবে সরকার উহার একজন সচিবের অনুমোদনক্রমে প্রদত্ত লাইসেন্সের মাধ্যমে এই মর্মে নির্দেশ দিতে পারিবে যে, উক্ত সমিতির নামের শেষে “সীমিতদায়” বা “লিমিটেড” শব্দটি যোগ না করিয়াই উহাকে একটি সীমিতদায় কোম্পানী হিসাবে নিবন্ধিকৃত করা হউক, এবং অতঃপর উক্ত সমিতিকে তদনুযায়ী নিবন্ধিকৃত করা যাইতে পারে৷
(২) এই ধারার অধীন লাইসেন্স প্রদানের তেগত্রে সরকার যেরূপ উপযুক্ত মনে করে সেইরূপ শর্ত ও বাধা-নিষেধ সাপেক্ষে লাইসেন্স প্রদান করিতে পারে, এবং এইরূপ শর্ত ও বাধা-নিষেধ আরোপ করা হইলে উহা মানিয়া চলিতে উক্ত সমিতি বাধ্য থাকিবে এবং সরকার নির্দেশ প্রদান করিলে সংঘস্মারক ও সংঘবিধিতে অথবা ঐ দুইটির যে কোন একটিতে ঐগুলি সন্নিবেশিত করিতে হইবে৷
(৩) নিবন্ধনের পর উক্ত সমিতি সীমিতদায় কোম্পানীর সকল সুযোগ সুবিধা ভোগ করিবে এবং একটি সীমিতদায় কোম্পানীর যে সকল দায়-দায়িত্ব থাকে উক্ত সমিতিরও তাহা থাকিবে, তবে উহার নামের অংশ হিসাবে “সীমিতদায়” বা “লিমিটেড” শব্দটি ব্যবহার করিতে তত্সহ অথবা উহার নাম প্রকাশ করিতে অথবা রেজিষ্ট্রারের নিকট সদস্যগণের তালিকা প্রেরণ করিতে অন্যান্য সীমিতদায় কোম্পানীর মত বাধ্য থাকিবে না৷
(৪) সরকার এই ধারার অধীনে প্রদত্ত লাইসেন্স যে কোন সময়ে বাতিল করিতে পারে এবং তাহা করা হইলে রেজিষ্ট্রার নিবন্ধন-বহিতে উক্ত সমিতির নামের শেষে “সীমিতদায়” বা “লিমিটেড” শব্দটি লিপিবদ্ধ করিবেন এবং উক্ত সমিতি এই ধারা বলে প্রদত্ত অব্যাহতি ও অতিরিক্ত সুযোগ-সুবিধা আর ভোগ করিতে পারিবে না :
তবে শর্ত থাকে যে, অনুরূপভাবে কোন লাইসেন্স বাতিল করার পূর্বে, সরকার সংশ্লিষ্ট কারণ উল্লেখর্পূবক স্বীয় অভিপ্রায় সম্পর্কে সমিতিকে লিখিতভাবে নোটিশ প্রদান করিবে, এবং উক্ত বাতিলকরণের বিরুদ্ধে সমিতির বক্তব্য পেশ করার জন্য উহাকে পর্যাপ্ত সুযোগ দান করিবে৷
গ্যারান্টি দ্বারা সীমিতদায় কোম্পানী
২৯৷ (১) কোন কোম্পানী গ্যারান্টি দ্বারা সীমিতদায় কোম্পানী হইলে এবং উহার কোন শেয়ার-মূলধন না থাকিলে এবং এই আইন প্রবর্তনের পরে উহা নিবন্ধিকৃত হইলে উক্ত কোম্পানীর সংঘস্মারক বা সংঘবিধির কোন বিধানে কিংবা কোম্পানীর কোন সিদ্ধান্তে, কোন ব্যক্তির সদস্য হওয়া ব্যতীত অন্য কোন কারণে, তাহাকে কোম্পানীর বন্টনযোগ্য মুনাফা লাভের অধিকার প্রদান করা যাইবে না এবং তাহা করা হইলে উক্ত বিধান বা সিদ্ধান্ত বাতিল বলিয়া গণ্য হইবে৷
(২) গ্যারান্টি দ্বারা সীমিতদায় কোম্পানীর সংঘস্মারক সংক্রান্ত এই আইনের অন্যান্য বিধানাবলী এবং এই ধারার উদ্দেশ্য পূরণকল্পে, এই আইন প্রবর্তনের পরে নিবন্ধিকৃত এবং গ্যারান্টি দ্বারা সীমিতদায় সম্পন্ন কোন কোম্পানীর সংঘস্মারকে বা সংঘবিধিতে কিংবা কোন সিদ্ধান্তে যদি এমন বিধান থাকে যে, তদ্বারা উক্ত কোম্পানীর গৃহীত উদ্যোগকে (Undertaking) শেয়ার বা স্বার্থাধিকাররূপে বিভক্ত করা হইয়াছে বলিয়া বিবেচনা করা যায়, তবে এই উদ্যোগ, উক্ত বিধান দ্বারা সুনির্দিষ্ট সংখ্যক টাকার অংকে শেয়ার বা স্বার্থাধিকাররূপে প্রকাশিত না হওয়া সত্ত্বেও, উক্ত কোম্পানীর শেয়ার-মূলধন হিসাবে গণ্য হইবে৷
আমাদের সাথে ইউটিউব চ্যানেলে যুক্ত হতে এখানে ক্লিক করুন এবং আমাদের সাথে ফেইজবুক পেইজে যুক্ত হতে এখানে ক্লিক করুন। গুরুত্বপূর্ণ আপডেট ও তথ্য পেতে আমাদের ওয়েবসাইটে ভিজিট করুন।