এই পৃথিবীতে এক স্থান আছে | জ্ঞান ও অনুধাবনমূলক প্রশ্নোত্তর | PDF: বাংলা ১ম পত্রের এই পৃথিবীতে এক স্থান আছে কবিতাটি হতে যেকোনো ধরনের জ্ঞান ও অনুধাবনমূলক প্রশ্ন ও উত্তর গুলো আমাদের এই পোস্টে পাবেন।
প্রিয় ছাত্র ছাত্রী বন্ধুরা আল্লাহর রহমতে সবাই ভালোই আছেন । এটা জেনে আপনারা খুশি হবেন যে, আপনাদের জন্য বাংলা ১ম পত্রের এই পৃথিবীতে এক স্থান আছে কবিতাটি হতে গুরুপূর্ণ কিছু জ্ঞান ও অনুধাবনমূলক প্রশ্ন ও উত্তর নিয়ে আলোচনা করতে যাচ্ছি ।
সুতরাং সম্পূর্ণ পোস্টটি মনোযোগ সহকারে পড়ুন। আর এইচ এস সি- HSC এর যেকোন বিভাগের গুরুত্বপূর্ণ সকল সাজেশন পেতে জাগোরিকের সাথে থাকুন।
রিভিশন অংশ
আলোচ্য অংশে জ্ঞানভাণ্ডারকে সমৃদ্ধ করার জন্য বাড়ির কাজ, গুরুত্বপূর্ণ তথ্যকণিকা, জ্ঞানমূলক এবং অনুধাবনমূলক আরও কিছু প্রশ্নোত্তর উলেখ করা হয়েছে। এ অংশটি অনুশীলনের মাধ্যমে পরীক্ষার চূড়ান্ত প্রস্তুতি ও জবারংরড়হ সম্পূর্ণ হয়ে যাবে।
বাড়ির কাজ
এ পৃথিবীর স্থানগুলো এত সুন্দর কেন? বর্ণনা কর।
বাংলার প্রকৃতির অপরূপ রূপ ঐশ্বর্যের বর্ণনা দাও।
‘সকল দেশের রাণী আমাদের এই সোনার বাংলা’ -এর ব্যাখ্যা কর।
আলোচ্য কবিতায় কবির প্রকৃতির চেতনার প্রতিফলন বিশ্লেষণ কর।
গুরুত্বপূর্ণ তথ্যকণিকা
১. ‘এই পৃথিবীতে এক স্থান আছে’ এখানে ‘স্থান’ বলতে বাংলাদেশকে বোঝানো হয়েছে।
২. ‘এই পৃথিবীতে এক স্থান আছে’ কবিতায় বাংলাদেশের রূপবৈচিত্র্যের বর্ণনা দেয়া হয়েছে।
৩. ‘এই পৃথিবীতে এক স্থান আছে’ কবিতায় কর্ণফুলি, ধলেশ্বরী, পদ্মাসহ ৩টি নদীর উলেখ আছে।
৪. ‘এই পৃথিবীতে এক স্থান আছে’ কবিতায় লেবুর শাখা অন্ধকারে ঘাসের উপর নুয়ে থাকার কথা বলা হয়েছে।
৫. ‘এই পৃথিবীতে এক স্থান আছে’ কবিতায় ৫টি গাছের নাম উলেখ আছে।
৬. ‘বিশালাক্ষী দিয়েছে বর’ বলতে দেবির আশীর্বাদকে বোঝানো হয়েছে।
টেক্সট বুক অ্যানালাইসিস
ক জ্ঞানমূলক প্রশ্নোত্তর
১. ‘করুণ’ শব্দের অর্থ কী?
উত্তর : ‘করুণ’ শব্দটির অর্থ বেদনাপূর্ণ।
২. সবচেয়ে সুন্দর করুণ স্থানটি কোথায় আছে?
উত্তর : সবচেয়ে সুন্দর করুণ স্থানটি আছে এই পৃথিবীর এক স্থান তথা বাংলাদেশে।
৩. এই পৃথিবীতে সবচেয়ে সুন্দর করুণ স্থানের নাম কী?
উত্তার : এই পৃথিবীতে সবচেয়ে সুন্দর করুণ স্থানের নাম বাংলাদেশ।
৪. ‘অবিরল’ শব্দের অর্থ কী?
উত্তর : অবিরল শব্দের অর্থ নিবিড়, ঘন, নিরন্তর।
৫. কী ভরে আছে মধুক‚পী ঘাসে?
উত্তর : সবুজ ডাঙা ভরে আছে মধুক‚পী ঘাসে।
৬. সবুজ ডাঙা ভরে আছে কোন ঘাসে?
উত্তর : সবুজ ডাঙা ভরে আছে মধুক‚পী ঘাসে।
৭. ‘মধুক‚পী’ কী?
উত্তর : মধুক‚পী এক ধরনের ঘাস।
৮. কবিতায় কোন রঙের ডাঙা আছে?
উত্তর : কবিতায় সবুজ রঙের ডাঙা আছে।
৯. ‘অশ্বত্থ’ কীসের নাম?
উত্তর : ‘অশ্বত্থ’ একটি গাছের নাম।
১০. ‘অরুণ’ শব্দের অর্থ কী?
উত্তর : ‘অরুণ’ শব্দের অর্থ সূর্য।
১১. কোন সময়ের মেঘে নাটার রঙের মতো অরুণ জেগেছে?
উত্তর : ভোরের মেঘে নাটার রঙের মতো অরুণ জেগেছে।
১২. কীসের রঙের মতো অরুণ জাগছে?
উত্তর : নাটার রঙের মতো অরুণ জাগছে।
১৩. বারুণী কোন সাগরের বুকে থাকে?
উত্তর : বারুণী গঙ্গা সাগরের বুকে থাকে।
১৪. গঙ্গা সাগরের বুকে কে থাকে?
উত্তর : গঙ্গা সাগরের বুকে থাকে বারুণী।
১৫. বারুণী কে?
উত্তর : বারুণী জলের দেবতা বরুণের স্ত্রী।
১৬. ভোরের কীসে নাটার রঙের মতো অরুণ জাগছে?
উত্তর : ভোরের মেঘে নাটার রঙের মতো অরুণ জাগছে।
১৭. জলের রাজা কে?
উত্তর : জলের রাজা বরুণ।
১৮. ‘জলাঙ্গী’ শব্দের অর্থ কী?
উত্তর : জলাঙ্গী শব্দের অর্থ জলাশয় বা জলধারণকারী।
১৯. ‘এই পৃথিবীতে এক স্থান আছে’ কবিতায় কয়টি নদীর নাম উলেখ আছে?
উত্তর : ‘এই পৃথিবীতে এক স্থান আছে’ কবিতায় তিনটি নদীর নাম উলেখ আছে।
২০. ‘এই পৃথিবীতে এক স্থান আছে’ কবিতায় কী সাগরের নাম উলেখ আছে?
উত্তর : গঙ্গা সাগরের নাম উলেখ আছে।
২১. কর্ণফুলী, ধলেশ্বরী ও পদ্মা জলাঙ্গীরে কে অবিরল জল দেয়?
উত্তর : কর্ণফুলী, ধলেশ্বরী ও পদ্মা জলাঙ্গীরে বরুণ অবিরল জল দেয়।
২২. ‘এই পৃথিবীতে এক স্থান আছে’ কবিতায় কয়টি সাগরের নাম উলেখ আছে?
উত্তর : ‘এই পৃথিবীতে এক স্থান আছে’ কবিতায় একটি সাগরের নাম উলেখ আছে।
২৩. পানের বনের মতো হাওয়ায় চঞ্চল কী?
উত্তর : পানের বনের মতো হাওয়ায় চঞ্চল শঙ্খচিল।
২৪. শঙ্খচিল কীসের মতো হাওয়ায় চঞ্চল?
উত্তর : শঙ্খচিল পানের বনের মতো হাওয়ায় চঞ্চল।
২৫. ‘চঞ্চল’ শব্দের অর্থ কী?
উত্তর : ‘চঞ্চল’ শব্দের অর্থ অস্থির/চালু।
২৬. শঙ্খচিল পানের বনের মতো কীসে চঞ্চল?
উত্তর : শঙ্খচিল পানের বনের মতো হাওয়ায় চঞ্চল।
২৭. শঙ্খচিল কীসের বনের মতো হাওয়ায় চঞ্চল?
উত্তর : শঙ্খচিল পানের বনের মতো হাওয়ায় চঞ্চল।
২৮. ধানের গন্ধের মতো অস্ফুট কী?
উত্তর : ধানের গন্ধের মতো অস্ফুট ল²ীপেঁচা।
২৯. ল²ীপেঁচা কীসের গন্ধের মতো অস্ফুট?
উত্তর : ল²ীপেঁচা ধানের গন্ধের মতো অস্ফুট?
৩০. ‘অস্ফুট’ শব্দের অর্থ কী?
উত্তর : ‘অস্ফুট’ শব্দের অর্থ ফোটেনি/ অবিকশিত।
৩১. কীসের শাখা নুয়ে থাকে অন্ধকারে ঘাসের ওপর?
উত্তর : লেবুর শাখা নুয়ে থাকে অন্ধকারে ঘাসের ওপর।
৩২. লেবুর শাখা নুয়ে থাকে কীসের ওপর?
উত্তর : লেবুর শাখা নুয়ে থাকে ঘাসের ওপর।
৩৩. ‘নুয়ে থাকা’ শব্দের অর্থ কী?
উত্তর : ‘নুয়ে থাকা’ শব্দের অর্থ ঝুলে থাকা।
৩৪. লেবুর কী নুয়ে থাকে অন্ধকারে?
উত্তর : লেবুর শাখা নুয়ে থাকে অন্ধকারে।
৩৫. সুদর্শন কী?
উত্তর : সুদর্শন এক ধরনের গোবরে পোকা।
৩৬. অন্ধকার বাতাসে কী উড়ে যায় ঘরে?
উত্তর : অন্ধকারে বাতাসে সুদর্শন উড়ে যায় ঘরে।
৩৭. অন্ধকারে সন্ধ্যার বাতাসে সুদর্শন কোথায় উড়ে যায়?
উত্তর : অন্ধকারে সন্ধ্যার বাতাসে সুদর্শন তার ঘরে উড়ে যায়।
৩৮. কার শরীরে হলুদ শাড়ি লেগে থাকে?
উত্তর : রূপসীর শরীরে হলুদ শাড়ি লেগে থাকে?
৩৯. রূপসীর শরীরের ওপর কোন রঙের শাড়ি লেগে থাকে?
উত্তর : রূপসীর শরীরের ওপর হলুদ রঙের শাড়ি লেগে থাকে।
৪০. রূপসীর শরীরে হলুদ কী লেগে থাকে?
উত্তর : রূপসীর শরীরে হলুদ শাড়ি লেগে থাকে।
৪১. শঙ্খমালা কে?
উত্তর : শঙ্খমালা একটি মেয়ে।
৪২. ‘এই পৃথিবীতে এক স্থান আছে’ কবিতায় ‘বর’ শব্দের অর্থ কী?
উত্তর : ‘বর’ শব্দের অর্থ আশীর্বাদ।
৪৩. ‘বিশালাক্ষী’ শব্দের অর্থ কী?
উত্তর : ‘বিশালাক্ষী’ শব্দের অর্থ আয়তলোচনযুক্তা।
৪৪. কে বর দিয়েছিলেন?
উত্তর : বিশালাক্ষী বর দিয়েছিলেন।
৪৫. ‘এই পৃথিবীতে এক স্থান আছে’ কবিতায় বর্ণিত বাংলার রং কেমন?
উত্তর : ‘এই পৃথিবীতে এক স্থান আছে’ কবিতায় বর্ণিত বাংলার রং নীল।
৪৬. শঙ্খমালা নীল বাংলার কোথায় জন্মেছিল?
উত্তর : শঙ্খমালা নীল বাংলার নদী আর ঘাসে জন্মেছিল।
৪৭. পৃথিবীর নদী ঘাসে কাকে খুঁজে পাওয়া যাবে না?
উত্তর : পৃথিবীর নদী ঘাসে শঙ্খমালাকে খুঁজে পাওয়া যাবে না।
৪৮. বিশালাক্ষী কে?
উত্তর : বিশালাক্ষী স্বর্গীয় দেবী।
৪৯. ‘এই পৃথিবীতে এক স্থান আছে’ কবিতাটির কবি কে?
উত্তর : ‘এই পৃথিবীতে এক স্থান আছে’ কবিতাটির কবি জীবনানন্দ দাশ।
৫০. কবি জীবনানন্দ দাশের জন্মসাল কোনটি?
উত্তর : কবি জীবনানন্দ দাশের জন্মসাল ১৮৯৯।
খ অনুধাবনমূলক প্রশ্নোত্তর
১. পৃথিবীর স্থানটি সবচেয়ে সুন্দর করুণ কেন?
উত্তর : সবুজ শ্যামল অপরূপ সৌন্দর্যের আধার বাংলাদেশে দারিদ্র্য, হতাশা, অসহায়ত্ব ইত্যাদি রয়েছে বলে এটি সুন্দর করুণ।
আমাদের প্রিয় বাংলাদেশ প্রাকৃতিক পরিবেশে খুবই মনোমুগ্ধকর। আশাহীনতার মাঝে আশা জাগায়, অসৌন্দর্যের মাঝে সৌন্দর্যের মহিমা দান করে। আবার সুন্দর সবুজ রং ফ্যাকাশে করতে দারিদ্র্য, হতাশা, নিরাশা, শোক ও দুঃখ ইত্যাদি এসে বিরাজ করে। তাই পৃথিবীর এ স্থানটি সবচেয়ে সুন্দর করুণ।
২. ‘বিশালাক্ষী কীভাবে বর দিয়েছিল?
উত্তর : বিশালাক্ষী অত্যন্ত স্নেহ, মায়া, সৌন্দর্য ও শ্যামলিমা দিয়ে বর দিয়েছিল।
স্বর্গীয় সৌন্দর্যে গড়া বিশালাক্ষী বাংলাদেশকে স্নেহের, মায়ার, কোমলত্বের পরশে বর দিয়েছিলেন। ফলে এ দেশটি অসাধারণ সৌন্দর্য আর শ্যামলিমায় রঙিন পরিবেশ নিয়ে বিশ্বের বুকে মাথা উঁচু করে দাঁড়ায়। দেবীর আশীর্বাদপুষ্ট এ দেশটি পূর্ণিমা রাতের চাঁদের স্নিগ্ধ আলোর মতো মায়ার বন্ধন তৈরি করে সবার মাঝে। তাই বলা যায়, বাংলাদেশকে স্নেহ, মায়া ও প্রেম দ্বারা বিশালাক্ষী বর দিয়েছিলেন।
৩. বিশালাক্ষী বলতে কী বোঝায়?
উত্তর : বিশালাক্ষী বলতে এমন নারীকে বোঝায়, যিনি আয়তলোচনাযুক্ত পরমা সুন্দরী।
স্বর্গীয় দেবী বা আয়তলোচনা যিনি পৃথিবীর সৌন্দর্যের আধার। তার কোমল পরশ, মায়াবী স্নিগ্ধ রূপ আর টানা টানা চোখের চাহনি সবকিছুই মানুষকে বিমোহিত করে। বাংলাদেশও তার আশীর্বাদপুষ্ট হয়ে অপরূপ সৌন্দর্যের দেশ হিসেবে পরিচিতি পেয়েছে পৃথিবীতে। মায়াময়ী, প্রেমময়ী, স্নেহময়ী নারীই বিশালাক্ষী।
৪. কীভাবে মধুক‚পী ঘাসে সবুজ ডাঙা ভরে আছে?
উত্তর : শ্যামলময়ী বাংলাদেশের মধুক‚পী ঘাসে অত্যন্ত স্নিগ্ধের সাথে সবসময় সবুজ ডাঙা ভরে থাকে।
শ্যামলী বাংলাদেশের রূপ অনন্যসাধারণ। সবুজ সুন্দর প্রাকৃতিক পরিবেশ এ দেশকে দিয়েছে অভিনব প্রাণ, অজানা সৌন্দর্যের শিহরণ। সবুজ প্রাকৃতিক সৌন্দর্যে ঘেরা পরিবেশকে আরও চমৎকার রূপ দান করে মধুক‚পী ঘাসে সবুজ ডাঙা পরিপূর্ণ হওয়ার মধ্য দিয়ে। মূলত এভাবেই মধুক‚পী ঘাসে সবুজ ডাঙা ভরে থাকে।
৫. কাঁঠাল, অশ্বত্থ, বট, জারুল, হিজল ইত্যাদি দ্বারা কবি কী বুঝিয়েছেন?
উত্তর : কাঁঠাল, অশ্বত্থ, বট, জারুল, হিজল ইত্যাদি বৃক্ষকে উলেখ করে কবি বৃক্ষশোভিত বাংলাদেশকে বুঝিয়েছেন।
রূপময়ী বাংলাদেশে রয়েছে অসংখ্য গাছ, যেমনÑ কাঁঠাল, অশ্বত্থ, বট, জারুল, হিজল ইত্যাদির সমাহার। এসব বৃক্ষ একদিকে যেমন প্রাকৃতিক সৌন্দর্য বাড়িয়ে দিচ্ছে, অন্যদিকে প্রাকৃতিক দুর্যোগ থেকে দেশকে অনেকটা শঙ্কামুক্ত করছে। কবি এখানেই বৃক্ষের প্রয়োজনীয়তায় বৃক্ষশোভিত বাংলাদেশের বর্ণনা দিয়েছেন।
৬. নাটার রঙের মতো অরুণ জাগে কেন?
উত্তর : মেঘের আড়াল থেকে সূর্যের দীপ্তি প্রকাশের জন্য নাটার রঙের মতো অরুণ জাগে।
ছয় ঋতুর এই বাংলাদেশ বিভিন্ন ঋতুতে বিচিত্র রূপ ধারণ করে। বর্ষাকালে আকাশে মেঘের পর্দা ভেসে বেড়ায়। ভোরের আকাশে সূর্য উঠলে অনেক সময় মেঘ স্নিগ্ধ আলোকে বাধা দিতে থাকে। তখন সে সূর্যের আলো আরও সুন্দররূপে আবির্ভূত হয়, যাকে কবি নাটার রঙের সাথে তুলনা করেছেন।
৭. গঙ্গাসাগরের বুকে বারুণী থাকার কারণ কী?
উত্তর : বরুণের স্ত্রী বারুণী জলদেবী বলে গঙ্গাসাগরের বুকে অবস্থান করেন।
বাংলাদেশের প্রাকৃতিক সৌন্দর্যকে আরও মহিমা দান করে নদীর নান্দনিক নয়নাভিরাম দৃশ্য। গঙ্গাসাগরের বুকে আশীর্বাদরূপিণী হয়ে অবস্থান করেন বারুণী। তিনি জলদানে জলাঙ্গীগুলোকে প্রাণবন্ত বা উদ্দীপ্তময় করে রাখেন। বারুণী জলদাত্রী হয়ে গঙ্গাসাগরের বুকে অবস্থান করেন।
৮. কর্ণফুলী, ধলেশ্বরী, পদ্মা, জলাঙ্গীরে বরুণের অবিরল জল দেয়ার কারণ কী?
উত্তর : জলের দেবতা বরুণ করুণাময় হয়ে কর্ণফুলী, ধলেশ্বরী, পদ্মা, জলাঙ্গীরে জল দিয়েছেন।
নদীবহুল দেশ বাংলাদেশ। এদেশে কর্ণফুলী, ধলেশ্বরী, পদ্মা, জলাঙ্গী প্রভৃতি নদী রয়েছে। নদীর সৌন্দর্য পরিস্ফুটিত হয় মূলত জলরাশির পূর্ণতা দ্বারা। নদীকে প্রাণবন্ত ও উজ্জীবিত রাখতে জলদেবতা বরুণের আশীর্বাদ অনস্বীকার্য। নদীসমূহকে সৌন্দর্যচেতনাতে উদ্দীপ্ত রাখতে বরুণ জল দান করে থাকেন।
৯. শঙ্খচিল পানের বনের মতো হাওয়ায় চঞ্চল কীভাবে?
উত্তর : বাংলাদেশের আকাশে অসংখ্য শঙ্খচিলের আপন মনে গান গেয়ে উড়ে বেড়ানোর দিকটি কবি তুলে ধরেছেন।
প্রকৃতির চোখ-ধাঁধানো সৌন্দর্যে বাংলার নীল আকাশ উদ্ভাসিত হয় সে সৌন্দর্যকে বাড়িয়ে দিতে। শঙ্খচিল এখানে উড়ে বেড়ায়। তবে সবচেয়ে বেশি শঙ্খচিলকে নদীর ওপরের আকাশে উড়ে বেড়াতে দেখা যায় হাওয়ায় চঞ্চল হয়ে ঠিক পানের বনের মতোই। কবি এভাবেই বিষয়টিকে তুলে ধরেছেন।
১০. ধানের গন্ধের মতো অস্ফুট, তরুণ ল²ীপেঁচা বলতে কী বোঝানো হয়েছে?
উত্তর : সৌন্দর্যে ঘেরা বাংলাদেশের অন্যতম ফসল ধানের অপ্রকাশিত গন্ধকে ল²ীপেঁচার সাথে তুলনা করাকে বোঝানো হয়েছে।
বাংলাদেশে প্রকৃতির নয়নাভিরাম সৌন্দর্যকে আরও প্রাণবন্ত করে থাকে সোনারূপী ফসল। এ ফসল থেকে সতেজ, কোমল, প্রাণচঞ্চল এবং অবিকশিত গন্ধ বের হয়। এ গন্ধকে কবির মনে হয় যেন ল²ীপেঁচারই গন্ধ। ল²ীপেঁচার অনিন্দ্য সৌন্দর্যকে উদ্ভাসিত করতেই কবি এই প্রসঙ্গ এনেছেন বলে মনে হয়।
১১. লেবুর শাখা ঘাসের ওপর কেন নুয়ে থাকে?
উত্তর : লেবুর শাখার ঘাসের ওপর নুয়ে থাকার কারণ নিসর্গের মায়াময় শোভাকে আরও রূপ দান করা।
প্রকৃতির অনেক সৌন্দর্যই বাংলাদেশে প্রকাশিত হয় বিভিন্ন গাছ ও লতাপাতার মাধ্যমে। সন্ধ্যার অন্ধকারে যখন লেবুর শাখা হেলে পড়ে সবুজ ঘাসে, তখন প্রকৃতির সৌন্দর্য আরও বেশি আকর্ষণীয় হয়। ঐ বিষয়টিকে উপস্থাপন করতেই কবি লেবুর শাখাকে ঘাসের ওপর নুয়ে পড়ার দিকটি বর্ণনা করেছেন।
১২. সুদর্শন বলতে কী বোঝানো হয়েছে?
উত্তর : সুদর্শন বলতে এক ধরনের গুবরে পোকাকে বোঝানো হয়েছে। সুদর্শন পোকাও বাংলার রূপটিকে ফুটিয়ে তুলতে সহায়তা করছে। সুদর্শনের বাস গোবরের ঢিবিতে। এটি প্রকৃতির মায়া ও বেঁচে থাকার জন্য সারাটি দিন বাইরে থাকে। আবার এটি সন্ধ্যার অন্ধকারের সিক্ত বাতাসে তার প্রিয় ঘরটিতেই ফিরে যায়, ঠিক যেন বাংলা মায়ের চঞ্চল চপল ছোট ছেলেমেয়েদের মতো।
১৩. অন্ধকারের সন্ধ্যার বাতাসে সুদর্শন কেন উড়ে যায়?
উত্তর : অন্ধকারের সন্ধ্যার বাতাসে সুদর্শন নীড়াশ্রয়ে উড়ে যায়। নীড় প্রতিটি প্রাণির জন্য নিরাপদ স্থান। সাধারণত সারাদিনের শ্রান্ত-ক্লান্ত শরীরকে শান্তি দিতে স্নিগ্ধ আবহ তৈরি করে থাকে এটি। সুদর্শন একটি গুবরে পোকা যেটি সারাদিন প্রকৃতির আলো-বাতাসে ঘুরে বেড়ায়। অন্ধকারের আভাসই তাকে মৃদু বাতাসে প্রকৃতির স্বাদ নিতে নীড়ে ফিরে আসতে উৎসাহিত করে।
১৪. ‘জলাঙ্গী’ বলতে কী বোঝায়?
উত্তর : জলাঙ্গী বলতে জলধারণ করার পাত্র বা অবয়ব অথবা যেখানে জলরাশির অবস্থান তাকেই বোঝায়।
নদীর বিচিত্র সৌন্দর্য বাংলাদেশকে যেমন প্রাণবন্ত করে থাকে, তেমনি এ দেশের মানুষের মনে শান্তির পরশ বুলিয়ে দেয়। জলাঙ্গী হলো মূলত জলের আধার বাংলাদেশের অসংখ্য নদীই তার প্রমাণ বহন করে থাকে। ছোট-বড় অনেক নদীতেই পানির পরিপূর্ণতা বা টইটম্বুর ভাব লক্ষ করা যায়। মূলত জলাঙ্গী দ্বারা জলরাশির অবস্থানকেই বোঝায়।
HSC | জাদুঘরে কেন যাব | আনিসুজ্জামান | বাংলা ১ম পত্র | PDF
HSC | জাদুঘরে কেন যাব | সৃজনশীল প্রশ্নোত্তর ৬-৯ | বাংলা ১ম | PDF
HSC | জাদুঘরে কেন যাব | সৃজনশীল প্রশ্নোত্তর ১-৫ | বাংলা ১ম | PDF
HSC | বিভীষণের প্রতি মেঘনাদ | মাইকেল মধুসূদন দত্ত | PDF
HSC | বিভীষণের প্রতি মেঘনাদ | সৃজনশীল প্রশ্নোত্তর ১-৫ | PDF
১৫. গঙ্গা সাগরের পরিচয় তুলে ধর।
উত্তর : ভারতের যে-নদীটি গঙ্গা নামে পরিচিত-সেটিই আমাদের এখানে পদ্মা নদী নামে পরিচিত।
গঙ্গা সাগর পৃথিবীর অন্যতম নদী, যেটির প্রাকৃতিক সৌন্দর্য খুবই মনোমুগ্ধকর। এটিই বাংলাদেশে পদ্মা নদী নামে পরিচিতি। এ সাগরের সুদীর্ঘ ইতিহাস ও ঐতিহ্য বিদ্যমান, যা মানুষকে বিভিন্নভাবে সচেতন করে থাকে এবং নতুনত্ব সৃষ্টিতে সৃজনশীলতা দেখায়। এই গঙ্গা সাগরই আমাদের অহংকার, যা বাংলায় পদ্মা নামে পরিচিত।
উক্ত বিষয় সম্পর্কে কিছু জানার থাকলে কমেন্ট করতে পারেন।
আমাদের সাথে ইউটিউব চ্যানেলে যুক্ত হতে এখানে ক্লিক করুন এবং আমাদের সাথে ফেইজবুক পেইজে যুক্ত হতে এখানে ক্লিক করুন। গুরুত্বপূর্ণ আপডেট ও তথ্য পেতে আমাদের ওয়েবসাইটে ভিজিট করুন।