অসুস্থ ব্যক্তির জন্য নবীর (স:) এর আরবির দোয়া ।। সুস্থতা-অসুস্থতা নিয়েই জীবন। অসুস্থতার কারণে মুমিনের গুনাহ মাফ হয়। আবার সুস্থতার সময় ভালোভাবে আল্লাহর ইবাদত করা যায়। তাই দুটোই আল্লাহ তাআলার নেয়ামত। মুসলমানের উচিত- সুস্থতার সময় আল্লাহর শুকরিয়া আদায় করা এবং যারা রোগে-শোকে, অসুস্থতায় বাড়ি কিংবা হাসপাতালে অবস্থান করছেন তাদের জন্য দোয়া করা। প্রিয়নবী (স.) অসুস্থ ব্যক্তির পাশে বসতেন এবং তাদের জন্য দোয়া করতেন।
হাদিসে রাসুলুল্লাহ (স.) অসুস্থ ব্যক্তির জন্য একাধিক দোয়া শিখিয়েছেন। তার মধ্যে একটি দোয়া হলো— أَسْأَلُ اللهَ العَظيمَ رَبَّ العَرْشِ العَظِيمِ أَنْ يَشْفِيَكَ উচ্চারণ: ‘আসআলুল্লাহাল আজীম, রাব্বাল আরশিল আজীম, আঁই য়্যাশফিয়াক।’ অর্থ: ‘সুমহান আল্লাহ, মহা আরশের প্রভুর নিকট আমি তোমার আরোগ্য প্রার্থনা করছি।’
ইবনে আব্বাস (রা.) হতে বর্ণিত, নবী (স.) বলেছেন, ‘যে ব্যক্তি এমন কোনো রুগ্ন মানুষের সঙ্গে সাক্ষাৎ করবে, যার এখনও মৃত্যুর সময় উপস্থিত হয়নি এবং তার নিকট সাতবার উক্ত দোয়াটি বললে আল্লাহ তাকে সে রোগ থেকে মুক্তি দান করবেন। (আবু দাউদ: ৩১০৮; তিরমিজি: ২০৮৩; হাকেম: ১২৬৮)
এ সম্পর্কিত আরেকটি দোয়া হলো— لَا بَأْسَ طَهُوْرٌ إِنْ شَاءَ اللّٰهُ উচ্চারণ: ‘লা বা’সা তহূরুন ইনশাআল্লাহ।’ অর্থ: ‘কোনো দুশ্চিন্তার কারণ নেই, ইনশাআল্লাহ গুনাহ থেকে তুমি পবিত্র হয়ে যাবে।’বিপদ থেকে মুক্তি পাওয়ার ৭০টি দোয়া
ইবনে আব্বাস (রা.) থেকে বর্ণিত, রাসুলুল্লাহ (স.) একদিন অসুস্থ একজন বেদুইনকে দেখতে গেলেন। বর্ণনাকারী বলেন, রাসুল (স.)-এর অভ্যাস ছিল যে, পীড়িত ব্যক্তিকে দেখতে গেলে বলতেন, ‘কোনো দুশ্চিন্তার কারণ নেই, ইনশাআল্লাহ গুনাহ থেকে তুমি পবিত্র হয়ে যাবে।’ ওই বেদুইনকেও তিনি তা-ই বললেন।
বেদুইন বলল, আপনি বলেছেন গুনাহ থেকে তুমি পবিত্র হয়ে যাবে, তা নয়; বরং এ তো এমন এক জ্বর, যা বয়োবৃদ্ধের ওপর প্রভাব ফেলছে। তাকে কবরের সাক্ষাৎ করাবে। তখন রাসুল (স.) বললেন, তা-ই হোক। (বুখারি: ৩৬১৬) দোয়া কুনুত বাংলা উচ্চারণ ও অর্থসহ
হাদিসে আরেকটি দোয়ার উল্লেখ আছে, রোগীকে দেখে দোয়াটি পড়লে আল্লাহ তাআলা ওই রোগ থেকে পাঠকারীকে রক্ষা করেন। দোয়াটি হলো—الْحَمْدُ لِلَّهِ الَّذِي عَافَانِي مِمَّا ابْتَلاَكَ بِهِ وَفَضَّلَنِي عَلَى كَثِيرٍ مِمَّنْ خَلَقَ تَفْضِيلاً উচ্চারণ: ‘আলহামদু লিল্লাহিল্লাজি আ-ফানি মিম্মাবতালা-কা বিহি, ওয়া ফাদ্দলানী আলা কাছী-রিম মিম্মান খলাকা তাফদী-লা।’ অর্থ: ‘সব প্রশংসা আল্লাহ তাআলার, তিনি তোমাকে যে ব্যাধিতে আক্রান্ত করেছেন, তা থেকে আমাকে নিরাপদ রেখেছেন এবং তার অসংখ্য সৃষ্টির ওপর আমাকে সম্মান দান করেছেন।’রোজার নিয়ত ও ইফতারের দোয়া
আবু হুরায়রা (রা.) ও আবদুল্লাহ ইবনে উমর (রা.) থেকে বর্ণিত হাদিসে রাসুলুল্লাহ (স.) বলেন, যে ব্যক্তি কোনো রোগাক্রান্ত বা বিপদগ্রস্ত লোককে দেখে দোয়াটি পাঠ করবে, সে ওই ব্যাধিতে কখনো আক্রান্ত হবে না।’ (তিরমিজি: ৩৪৩২; জামেউস সগির: ৮৬৬৭; সিলসিলাতুস সহিহা: ২৭৩৭)
আল্লাহ তাআলা আমাদেরকে অসুস্থ ভাই-বন্ধু, আত্মীয়-স্বজনের জন্য উক্ত দোয়াগুলো পাঠ করার তাওফিক দান করুন। আমিন।
উক্ত বিষয় সম্পর্কে কিছু জানার থাকলে কমেন্ট করতে পারেন।
আমাদের সাথে ইউটিউব চ্যানেলে যুক্ত হতে এখানে ক্লিক করুন এবং আমাদের সাথে ফেইজবুক পেইজে যুক্ত হতে এখানে ক্লিক করুন। গুরুত্বপূর্ণ আপডেট ও তথ্য পেতে আমাদের ওয়েবসাইটে ভিজিট করুন।