ফিন্যান্স ব্যাংকিং ও বিমা ২য় | অধ্যায় ৮ | সৃজনশীল প্রশ্ন ২৬-২৮ | PDF: ফিন্যান্স, ব্যাংকিং ও বিমা দ্বিতীয় পত্রের অষ্টম অধ্যায়ের গুরুত্বপূর্ণ সব কমন উপযোগী সৃজনশীল প্রশ্ন গুলো আমাদের এই পোস্টে পাবেন।
প্রিয় ছাত্র ছাত্রী বন্ধুরা আল্লাহর রহমতে সবাই ভালোই আছেন । এটা জেনে আপনারা খুশি হবেন যে, আপনাদের জন্য ফিন্যান্স, ব্যাংকিং ও বিমা দ্বিতীয় পত্রের অষ্টম অধ্যায়ের গুরুত্বপূর্ণ সব কমন উপযোগী সৃজনশীল প্রশ্ন গুলো নিয়ে আলোচনা করতে যাচ্ছি ।
সুতরাং সম্পূর্ণ পোস্টটি মনোযোগ সহকারে পড়ুন। আর এইচ এস সি- HSC এর যেকোন বিভাগের গুরুত্বপূর্ণ সকল সাজেশন পেতে জাগোরিকের সাথে থাকুন।
ফিন্যান্স ব্যাংকিং ও বিমা ২য় | অধ্যায় ৮ | সৃজনশীল প্রশ্ন ২৬-২৮ | PDF
প্রশ্ন ২৬ : জনাব তহিদ সাহেব চিকিৎসার জঅন্য কানাডায় যাবেন। এ জঅন্য তিনি তার সাথে ৩০ লাখ টাকা নিয়ে যেতে চান। কিন্তু তিনি তার ৩০ লাখ টাকা ব্যবহারের সুবিধাঅর্থে ডলারে রূপান্তর করেছেন। তিনি স্বর্ণমান ব্যবস্থার পরিবর্তে টাকা বিনিময় করতে চান। বর্তমানে ১ ডলারের বিপরীতে ৮০ টাকা পাওয়া যায়। [দর্শনা সরকারি কলেজ, চুয়াডাঙ্গা]
ক.বৈদেশিক বিনিময় হার কী?১
খ.প্রত্যয়পত্র বলতে কী বোঝ?২
গ.স্বর্ণমান ব্যবস্থায় কীভাবে বিনিময় হার নির্ধারণ করা হয়? বর্ণনা করো। ৩
ঘ.জনাব তহিদ সাহেব স্বর্ণমান ব্যবস্থার পরিবর্তে টাকা বিনিময় করতে চান কেন? আলোচনা করো। ৪
২৬ নং প্রশ্নের উত্তর
ক উত্তর: বৈদেশিক মুদ্রা যে হারে লেনদেন করা হয় তাকেই বৈদেশিক বিনিময় হার বলে।
খ উত্তর: যে দলিলের মাধ্যমে ব্যাংক আমদানিকারককের পক্ষে রপ্তানিকারককে পণ্যের মূল্য পরিশোধের নিশ্চয়তা প্রদান করে তাকে প্রত্যয়পত্র বলে।
প্রত্যয়পত্রের মাধ্যমে ব্যাংক আমদানিকারক এবং রপ্তানিকারকের মধ্যে মধ্যস্থতা করে। এক্ষেত্রে আমদানিকারক কোনো কারণে মূল্য পরিশোধে ব্যঅর্থ হলে ব্যাংক রপ্তানিকারককে মূল্য পরিশোধ করে দেয়। ফলে বৈদেশিক বাণিজ্যের ধারাবাহিকতা বজায় থাকে।
গ উত্তর: স্বর্ণমান ব্যবস্থায় একই পদ্ধতি নুসরণকারী দুটি দেশের মধ্যে তাদের মুদ্রার মান নির্ধারণ করা হয়। এই পদ্ধতিকে মিট প্যারিটি তত্ত¡ও বলা হয়।
মুদ্রামান নির্দিষ্ট স্বর্ণমানের সাথে সম্পর্কযুক্ত রেখে বৈদেশিক মুদ্রার বিনিময় হার নির্ধারণ করলে তাকে স্বর্ণমান ব্যবস্থার বিনিময় হার নির্ধারণ বলে।
উদ্দীপকে জনাব তহিদ সাহেব চিকিৎসার জঅন্য কানাডায় যাবেন। এ জঅন্য তিনি ৩০ লাখ টাকা ডলারে রূপান্তর করে সাথে নিয়ে যেতে চান। তিনি চাইলে স্বর্ণমান ব্যবস্থায় টাকা ডলারে রূপান্তর করতে পারেন যদিও এ পদ্ধতি বর্তমানে প্রচলিত নয়।
কিন্তু করতে চাইলে তাকে প্রথমেই স্বর্ণের মূল্য নির্ধারণ করতে হতো। যেমন, ধরা যাক কানাডায় ১ ডলারের বিপক্ষে ০.০০১ আউন্স স্বর্ণ সংরক্ষণ করা হয় এবং বাংলাদেশে ৮৩ টাকার বিপক্ষে ০.০০১ আউন্স স্বর্ণ সংরক্ষণ করা হয়। তাহলে স্বর্ণমান ব্যবস্থায় টাকা মান হার (গরহঃ ঢ়বৎ বীপযধহমব) হলো ১ ডলার = ৮৩ টাকা। অর্থাৎ ৩০ লক্ষ টাকা বিনিময়ে তহিদ সাহেব পাবেন ৩০,০০,০০০/৮৩ = ৩৬,১৪৪.৫৮ ডলার।
ঘ উত্তর: স্বর্ণমান ব্যবস্থা বর্তমানে প্রচলিত না থাকায় এবং এর কিছু সমস্যা থাকায় জনাব তহিদ টাকা বিনিময় করতে চাইলেন।
যে ব্যবস্থায় মুদ্রার মান নির্দিষ্ট পরিমাণ স্বর্ণের সাথে তুলনা করে নির্ধারণ করা হয় তাকে স্বর্ণমান ব্যবস্থা বলা হয়। তবে স্বর্ণমান ব্যবস্থা এখন প্রচলিত নেই। বিনিময় হার নির্ধারণ করার জঅন্য বর্তমানে ক্রয়ক্ষমতা সমতা তত্ত¡, চাহিদা-যোগান তত্ত¡ ইত্যাদি ব্যাপকভাবে ব্যবহৃত হয়।
উদ্দীপকে জনাব তহিদ সাহেব চিকিৎসার জঅন্য কানাডায় যাবেন। তিনি সাথে করে ৩০ লাখ টাকা নিয়ে যেতে চান। তবে ব্যবহারের সুবিধাঅর্থে তিনি টাকাগুলোকে ডলারে রূপান্তর করেছেন। তিনি স্বর্ণমান ব্যবস্থার পরিবর্তে টাকা বিনিময় করেন। ৮০ টাকার বিপরীতে বর্তমানে ১ ডলার পাওয়া যায় উদ্দীপক নুযায়ী। তবে এ হার পরিবর্তনশীল।
জনাব তহিদ সাহেব স্বর্ণমান ব্যবস্থায় টাকা রূপান্তর করতে নাগ্রহী কারণ এই পদ্ধতি এখন ব্যবহৃত হয় না বললেই চলে। আবার বর্তমানে বৈদেশিক মুদ্রার মান উক্ত দেশের আমদানি-রপ্তানি পরিস্থিতির উপর নির্ভর করে।
এছাড়াও ভাসমান মুদ্রা ব্যবস্থায় এখনকার মুদ্রা বাজার পরিস্থিতির উপর নির্ভর করে। সর্বোপরি স্বর্ণমান ব্যবস্থার চেয়ে বিনিময় হার নির্ধারণের ভালমানের ব্যবস্থা থাকায় জনাব তহিদ স্বর্ণমান ব্যবস্থার পরিবর্তে টাকা বিনিময় করতে চান।
প্রশ্ন ২৭: বিশ্বজুড়ে বর্তমানে অন্যতম প্রধান ব্যবসায় হলো বৈদেশিক মুদ্রার ক্রয় বিক্রয়। তীতে আন্তর্জাতিক বাণিজ্যের পরিমাণ ও জনশক্তি রপ্তানির পরিমাণ কম থাকলেও এখন তা কয়েকগুণ বৃদ্ধি পেয়েছে। ফলে বৈদেশিক মুদ্রার চাহিদাও বেড়ে গেছে। বর্তমানে প্রতিযোগিতামূলভাবে বৈদেশিক মুদ্রার বিনিময় হার নির্ধারিত হয়।
[পটুয়াখালী সরকারি কলেজ]
ক.বৈদেশিক বিনিময় কী?১
খ.স্বর্ণমান পদ্ধতি বলতে কী বোঝায়? ২
গ.উদ্দীপকে বৈদেশিক মুদ্রার বিনিময় হার নির্ধারণের কোন ধরনের পদ্ধতির কথা ইঙ্গিত হয়েছে? ব্যাখ্যা করো। ৩
ঘ.বৈদেশিক বিনিময় হার নির্ধারণ ছাড়া আন্তর্জাতিক বাণিজ্য পরিচালনা সম্ভব নয় উক্তিটির যথাঅর্থতা মূল্যায়ন করো। ৪
২৭ নং প্রশ্নের উত্তর
ক উত্তর: এক দেশের মুদ্রাকে অন্য দেশের মুদ্রায় রূপান্তর ও লেনদেন নিষ্পত্তির কৌশলকে বৈদেশিক বিনিময় বলে।
খ উত্তর: কোনো মুদ্রার মান নির্দিষ্ট স্বর্ণমানের সাথে সম্পর্কযুক্ত রেখে বৈদেশিক বিনিময় হার নির্ধারণ করলে তাকে স্বর্ণমান ব্যবস্থার বিনিময় হার নির্ধারণ বলে।
স্বর্ণমান ব্যবস্থায় বিনিময় হার নির্ধারণ করার জঅন্য কোনো দেশের নির্দিষ্ট পরিমাণ মুদ্রার বিনিময়ে কতটুকু স্বর্ণ সংরক্ষণ করা হয় তা নির্ধারণ করা হয়।
আর ঠিক ঐ পরিমাণ স্বর্ণ অন্য দেশে কী পরিমাণ মুদ্রার বিপক্ষে সংরক্ষণ করা হয় তা থেকে বিনিময় হার নির্ধারণ করা হয়। যেমন যদি যুক্তরাষ্ট্রে ১ ডলারের বিপক্ষে ০.০০১ আউন্স স্বর্ণ সংরক্ষণ করা হয় এবং সমপরিমাণ স্বর্ণ বাংলাদেশে ৮৩ টাকার জঅন্য সংরক্ষণ করা হয় তাহলে বিনিময় হার হবে ১ ডলার = ৮৩ টাকা। বর্তমানে এই পদ্ধতি ব্যবহৃত হয় না।
গ উত্তর: উদ্দীপকে বৈদেশিক মুদ্রার বিনিময় হার নির্ধারণের চাহিদা-যোগান পদ্ধতির উপর ইঙ্গিত করা হয়েছে।
দুদেশের মুদ্রার বিনিময় হার তাদের মুদ্রার পারস্পরিক চাহিদা ও যোগান নুযায়ী নির্ধারণ সংক্রান্ত তত্ত¡কেই চাহিদা ও যোগান তত্ত¡ বলে। এই তত্ত¡কে বিনিময় হার নির্ধারণের আধুনিক তত্ত¡ও বলা হয়।
উদ্দীপকে বৈদেশিক মুদ্রার বিনিময় হার নির্ণয়ের পদ্ধতি চাহিদা-যোগান তত্তে¡র প্রতি ইঙ্গিত করা হয়েছে। চাহিদা-যোগান তত্ত¡ নুযায়ী প্রতিযাগিতামূলক বাজার পরিস্থিতির উপর ভিত্তি করে বিনিময় হার নির্ধারিত হয়। এ তত্তে¡র ধীনে সব দেশের মুদ্রাই ভাসমান মুদ্রা। কোনো দেশে যখন অন্য কোনো দেশের মুদ্রার চাহিদা বৃদ্ধি পায় তখন সেই মুদ্রার মান বাড়ে। আবার যখন মুদ্রার যোগান বাড়ে তখন দাম কমে। এই চাহিদা ও যোগানকে এককভাবে কেউ প্রভাবিত করতে পারে না। দেশের আমদানি-রপ্তানি এবং সাগ উত্তর:্রিক অর্থনীতির বিভিন্ন ংশের সফলতার উপর নির্ভর করে। ফলে প্রতিযোগিতামূলকভাবে প্রতিটি দেশ আমদানি কমাতে এবং রপ্তানি বাড়াতে চায়। আর এই প্রতিযোগিতামূলক বস্থার মধ্যে চাহিদা ও যোগান তত্ত¡ নুযায়ী বিনিময় হার নির্ধারিত হয়। সুতরাং বলা যায়, উদ্দীপকে মূলত চাহিদা-যোগান তত্তে¡র প্রতি নির্দেশ করা হয়েছে।
ঘ উত্তর: বৈদেশিক বিনিময় হার নির্ধারণ করা ছাড়া আন্তর্জাতিক বাণিজ্য সম্ভব নয়-উক্তিটি যথাঅর্থ।
কোনো দেশের এক একক মুদ্রা অন্য আরেকটি দেশের যে পরিমাণ মুদ্রা ক্রয় করতে সক্ষম তাকে বৈদেশিক বিনিময় হার বলে। আন্তর্জাতিক বাণিজ্য এবং লেনদেন নিষ্পত্তি করার ক্ষেত্রে বৈদেশিক বিনিময় হার নির্ধারণ করা বাঞ্ছনীয়।
উদ্দীপকে বৈদেশিক মুদ্রার বিনিময় হার এবং আন্তর্জাতিক বাণিজ্য সম্পর্কে ধারণা দেওয়া হয়েছে। তীতে আন্তর্জাতিক বাণিজ্যের পরিমাণ ও জনশক্তির পরিমাণ কম থাকলেও এখন তা কয়েকগুণ বৃদ্ধি পেয়েছে। আন্তর্জাতিক বাণিজ্য বৃদ্ধি পাওয়ার ফলে বৈদেশিক মুদ্রার চাহিদাও বৃদ্ধি পেয়েছে।
একটি দেশের অর্থনৈতিক পরিস্থিতি এবং মুদ্রার মান একই না হওয়ায় আন্তর্জাতিক বাণিজ্যের ক্ষেত্রে মুদ্রার বিনিময় হার নির্ধারণ করতে হয়। এক দেশের পণ্যের মূল্য অন্য দেশে একই নয়। এর কারণ হচ্ছে বিনিময় হার।
যেমন যুক্তরাষ্ট্রে ১ ডলার দিয়ে যে পরিমাণ পণ্য পাওয়া যাবে, বাংলাদেশে ১ টাকায় সেই পরিমাণ পণ্য পাওয়া যাবে না। সেজঅন্য বৈদেশিক মুদ্রার বিনিময় হার নির্ধারণ করা হয় যেন আন্তর্জাতিকভাবে পণ্য আদান প্রদান করা যায় এবং লেনদেন নিষ্পত্তি করা যায়।
অন্যথায় আন্তর্জাতিক বাণিজ্য হওয়া সম্ভব নয়। সুতরাং বলা যায়, আন্তর্জাতিক বাণিজ্য বৈদেশিক বিনিময় হার নির্ধারণ করা ছাড়া সম্ভব নয়।
প্রশ্ন ২৮: মি. সেলিম কানাডা থাকেন। প্রতি মাসের শেষে সপ্তাহে তিনি দেশে টাকা পাঠান। দেশে টাকা পাঠাতে তিনি বৈধ কোনো প্রতিষ্ঠানের সহযোগিতা নেন না। পরবর্তীতে জানতে পারনে উক্ত পথে টাকা পাঠানো দেশের জঅন্য ক্ষতিকর। [সরকারি সোহরাওয়ার্দী কলেজ, পিরোজপুর]
ক.ভাসমান মুদ্রা কী?১
খ.বৈদেশিক বিনিময় হার নির্ধারণের আধুনিক তত্ত¡ কোনটি এবং কেন? ২
গ.মি. সেলিম কোন পদ্ধতিতে রেমিটেন্স পাঠান? ব্যাখ্যা করো। ৩
ঘ.সেলিমের রেমিটেন্স পাঠানোর পদ্ধতিটি দেশের জঅন্য ক্ষতিকর হবে কি? মতামত দাও। ৪
২৮ নং প্রশ্নের উত্তর
ক উত্তর: কোন দেশের মুদ্রার মান সরকারিভাবে নিয়ন্ত্রণ না করে বৈদেশিক মুদ্রার চাহিদা ও যোগান বা বাজার পরিস্থিতির উপর ছেড়ে দিলে ঐ মুদ্রাকে ভাসমান মুদ্রা বলে।
খ উত্তর: বৈদেশিক বিনিময় হার নির্ধারণের আধুনিক পদ্ধতিটি হলো চাহিদা-যোগান তত্ত¡ পদ্ধতি।
দুটি দেশের মুদ্রার বিনিময় হার তাদের পরস্পর চাহিদা ও যোগানের উপর ভিত্তি করে নির্ধারণ করা সংক্রান্ত তত্ত¡কেই চাহিদা-যোগান তত্ত¡ বলে। চাহিদা-যোগান তত্ত¡কে আধুনিক তত্ত¡ও বলা হয়। কারণ এটি সবার কাছে গ্রহণযোগ্য।
গ উত্তর: মি. সেলিম নানুষ্ঠানিক পদ্ধতিতে রেমিট্যান্স পাঠান।
নানুষ্ঠানিক পদ্ধতি হলো বৈধ উপায়ে আঅর্থিক প্রতিষ্ঠানের সাহায্য ব্যতীত একক ব্যক্তির তত্ত¡াবধানে বিদেশ থেকে অর্থ প্রেরণ পদ্ধতি। নানুষ্ঠানিক পদ্ধতিতে অর্থ প্রেরণের একটি মাধ্যম হলো হুন্ডি। এটি একটি বৈধ উপায়।
উদ্দীপকে মি. সেলিম কানাডায় থাকেন। প্রতি মাসের শেষে তিনি টাকা পাঠান এবং টাকা পাঠানোর জঅন্য কোনো আঅর্থিক প্রতিষ্ঠানের সাহায্য নেন না। আঅর্থিক প্রতিষ্ঠানের সাহায্য ব্যতীত টাকা পাঠানো নানুষ্ঠানিক পদ্ধতি।
মি. সেলিম বিভিন্নভাবে নানুষ্ঠানিক প্রক্রিয়ায় টাকা পাঠাতে পারেন যেমন হুন্ডিযোগে অর্থ প্রেরণ। হুন্ডিতে অর্থ প্রেরণ করলে নেক দ্রুত টাকা পাঠানো যায়। মি. সেলিম এতে বেশি লাভবানও হতে পারবেন। কিন্তু হুন্ডিযোগে টাকা প্রেরণ করাটা বৈধ নয়।
এভাবেই আরো নেক নানুষ্ঠানিক মাধ্যম আছে যা ব্যবহার করে টাকা পাঠানো যায় কিন্তু এর কোনোটিই বৈধ নয়। সুতরাং বলা যায়, মি. সেলিম আঅর্থিক প্রতিষ্ঠানের সাহায্য না নিযে নানুষ্ঠানিক পদ্ধতিতে বৈধ উপায়ে রেমিট্যান্স পাঠিয়েছেন।
- উত্তর ডাউনলোড করুন> (১ম পত্র) ব্যবসায়ের মৌলিক ধারণা ১ম পত্র সৃজনশীল প্রশ্ন
- উত্তর ডাউনলোড করুন>(১ম পত্র)১ম: ব্যবসায়ের মৌলিক ধারণা প্রশ্ন উত্তরসহ PDF
- উত্তর ডাউনলোড করুন> HSC ব্যবসায়ের মৌলিক ধারণা প্রশ্নের উত্তরসহ অধ্যায়-১: PDF
- উত্তর ডাউনলোড করুন> HSC অধ্যায়-১: প্রশ্নের উত্তরসহ ব্যবসায়ের মৌলিক ধারণা PDF
- উত্তর ডাউনলোড করুন>অধ্যায়৩: SSC ফিন্যান্স ও ব্যাংকিং‘র সৃজনশীল প্রশ্নোত্তর PDF
- উত্তর ডাউনলোড করুন> অধ্যায়৩: SSC ফিন্যান্স ও ব্যাংকিং‘র জ্ঞানমূলক প্রশ্নোত্তরPDF
ঘ উত্তর: সেলিমের রেমিট্যান্স পাঠানোর পদ্ধতিটি দেশের জঅন্য ক্ষতিকর।
বিদেশের প্রবাসী বাংলাদেশীদের পাঠানো অর্থকেই রেমিট্যান্স বলে। রেমিট্যান্স দেশের বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ বৃদ্ধি করে। তবে বৈধ উপায়ে বিদেশ থেকে রেমিট্যান্স প্রেরণ করলে তা দেশের ক্ষতি করে।
উদ্দীপকে মি. সেলিম কানাডা থেকে টাকা পাঠানোর জঅন্য কোনো আঅর্থিক প্রতিষ্ঠানের সাহায্য নেন না। অর্থাৎ তিনি নানুষ্ঠানিক পদ্ধতিতে টাকা প্রেরণ করেন। কিন্তু পরবর্তীতে তিনি জানতে পারেন যে উক্ত মাধ্যমে টাকা পাঠানো দেশের জঅন্য ক্ষতিকর।
নানুষ্ঠানিক উপায়ে টাকা প্রেরণ করলে তা সরকারি হিসাবে লিপিবদ্ধ হয় না। ফলে দেশের বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ বৃদ্ধি পায় না এবং সরকারও আয়কর থেকে বঞ্চিত হয়। যেমন: হুন্ডির মাধ্যমে টাকা পাঠালে বিদেশে প্রেরকের কাছ থেকে একজন অর্থ গ্রহণ করে।
তারপর তিনি দেশে অন্য একজন প্রতিনিধিকে টাকা পরিশোধ করতে বলেন। ফলে অর্থের প্রাপক টাকা পেয়ে যায়। এতে কোনো আঅর্থিক প্রতিষ্ঠান যুক্ত থাকে না বিধায় এর কোনো হিসাব সরকারের কাছে থাকে না। ফলে রেমিট্যান্স দেশের ভ্যন্তরে আসার পরেও কোনো ধরনের হিসাবে ন্তর্ভুক্ত না হওয়ায় দেশের ক্ষতি হয়।
উক্ত বিষয় সম্পর্কে কিছু জানার থাকলে কমেন্ট করতে পারেন।
আমাদের সাথে ইউটিউব চ্যানেলে যুক্ত হতে এখানে ক্লিক করুন এবং আমাদের সাথে ফেইজবুক পেইজে যুক্ত হতে এখানে ক্লিক করুন। গুরুত্বপূর্ণ আপডেট ও তথ্য পেতে আমাদের ওয়েবসাইটে ভিজিট করুন।
আমাদের সাথে ইউটিউব চ্যানেলে যুক্ত হতে এখানে ক্লিক করুন এবং আমাদের সাথে ফেইজবুক পেইজে যুক্ত হতে এখানে ক্লিক করুন। গুরুত্বপূর্ণ আপডেট ও তথ্য পেতে আমাদের ওয়েবসাইটে ভিজিট করুন।