HSC | ফিন্যান্স ব্যাংকিং ও বিমা: দ্বিতীয় পত্র | অধ্যায় ৮ ও ৯ | PDF : ফিন্যান্স, ব্যাংকিং ও বিমা দ্বিতীয় পত্রের অষ্টম ও নবম অধ্যায় হতে গুরুত্বপূর্ণ সব প্রশ্ন উত্তর গুলো আমাদের এই পোস্টে পাবেন।
প্রিয় ছাত্র ছাত্রী বন্ধুরা আল্লাহর রহমতে সবাই ভালোই আছেন । এটা জেনে আপনারা খুশি হবেন যে, আপনাদের জন্য ফিন্যান্স, ব্যাংকিং ও বিমা দ্বিতীয় পত্রের অষ্টম ও নবম অধ্যায় অধ্যায় হতে গুরুত্বপূর্ণ সব প্রশ্ন উত্তর নিয়ে আলোচনা করতে যাচ্ছি ।
সুতরাং সম্পূর্ণ পোস্টটি মনোযোগ সহকারে পড়ুন। আর এইচ এস সি- HSC এর যেকোন বিভাগের গুরুত্বপূর্ণ সকল সাজেশন পেতে জাগোরিকের সাথে থাকুন।
অষ্টম অধ্যায়: বৈদেশিক বিনিময় ও বৈদেশিক মুদ্রা
১. জনাব রায়হান তৈরি পোশাক রপ্তানি করেন। তিনি যুক্তরাষ্ট্রের ব্যবসায়ী মি. জন কে ১০ লক্ষ টাকার তৈরি পোশাক রপ্তানি করেছেন। এর জন্য তিনি গোল্ডম্যান ব্যাংকের মাধ্যমে অর্থ প্রাপ্তির নিশ্চয়তাস্বরূপ প্রত্যয়পত্র গ্রহণ করেছেন। পোশাক রপ্তানির পূর্বে ডলার-এর মূল্য বেশি থাকলেও পরবর্তীতে তা প্রাস পায়। জনাব রায়হান খোঁজ নিয়ে জানতে পারেন, আমদানি কমে যাওয়ায় ডলারের চাহিদা হ্রাস পেয়েছে, এতে জনাব রায়হান আর্থিকভাবে কিছুটা ক্ষতিগ্রস্ত হয়। [রাজউক উত্তরা মডেল কলেজ, ঢাকা]
ক. ভাসমান মুদ্রা কী?
খ. মেয়াদপূর্তির পূর্বেই প্রাপ্ত বিল বিক্রয় করাকে কী বলে? ব্যাখ্যা করো।
গ. উদ্দীপকেকে জনাব রায়হান কোন ধরনের প্রত্যয়পত্র পেয়েছিল? ব্যাখ্যা করো।
ঘ. উদ্দীপকে নির্দেশিত বৈদেশিক বিনিময় হার নির্ধারণ পদ্ধতি কতটুকু যৌক্তিক বলে তুমি মনে করো? ব্যাখ্যা করো।
উত্তর: মেইড ইজি উত্তরপত্র বইয়ের পৃষ্ঠা ৪০৪ এর ৯ নম্বর দ্রষ্টব্য
২. জনাব সাঈদ একজন গার্মেন্টস ব্যবসায়ী। তিনি জানেন দেশের রপ্তানি আয়ের ৮০% আসে এ খাত থেকে। তবে তা আমাদের দেশের মুদ্রাকে শক্তিশালী করছে না। এর কারণ জনাব সাঈদের তৈরি পোশাকের জন্য বেশিরভাগ খরচই চলে যায় কাঁচামাল আমদানি বাবদ ব্যয়ে। আবার আরব বিশ্বে বেশ কয়েক বছর ধরে শ্রমিক নেয়া বন্ধ ছিল। সম্প্রতি সৌদি আরব আবার শ্রমিক নিবে বলে ঘোষণা দেয়। এ ঘোষণায় জনাব সাঈদ ভবিষ্যতে মুদ্রার মূল্যমান শক্তিশালী হবে বলে আশা করছেন। [আবদুল কাদির মোলা সিটি কলেজ, নরসিংদী]
ক. ভাসমান মুদ্রা কী?
খ. প্রত্যয়পত্র বলতে কী বোঝায়? ব্যাখ্যা করো।
গ. জনাব সাঈদ টাকা শক্তিশালী না হওয়ার ক্ষেত্রে কোন কারণ উলেখ করেছেন? ব্যাখ্যা করো।
ঘ. জনাব সাঈদের প্রত্যাশা অনুযায়ী মুদ্রামান শক্তিশালী হবে কীভাবে? বিশ্লেষণ করো।
উত্তর: মেইড ইজি উত্তরপত্র বইয়ের পৃষ্ঠা ৪০৭ এর ১৪ নম্বর দ্রষ্টব্য।
ক ও খ নং প্রশ্নের সাজেশন
ক নং প্রশ্ন (জ্ঞানমূলক)
প্রশ্ন-১. বৈদেশিক বিনিময় কী? [রা. বো.; কু. বো.; য. বো. ১৭]
উত্তর: বৈদেশিক বিনিময় বলতে সাধারণত এক দেশের সাথে অন্য দেশের লেনদেন বা বিনিময়কে বোঝায়।
প্রশ্ন-২. বৈদেশিক বিনিময় হার কী? [চ. বো. ১৭; ব. বো. ১৬]
উত্তর: বৈদেশিক বিনিময়ে দেশীয় মুদ্রা দ্বারা যে পরিমাণ বিদেশি মুদ্রা ক্রয় করা সক্ষম হয় তাকে বৈদেশিক বিনিময় হার বলে।
প্রশ্ন-৩. স্বর্ণের অনুপাত তত্ত¡ পরিচিত কী নামে?
উত্তর: স্বর্ণের অনুপাত তত্ত¡ ‘গরহঃ ঢ়বৎ াধষঁব ঃযবড়ৎু’ নামে পরিচিত।
প্রশ্ন-৪. স্বর্ণমান হার কী?
উত্তর: স্বর্ণের অনুপাত তত্তে¡র মাধ্যমে যে হার নির্ণয় হয় তাকে স্বর্ণমান হার বলে।
প্রশ্ন-৫. ক্রয়ক্ষমতার সমতা তত্ত¡ কী?
উত্তর: দু’দেশের মুদ্রার ক্রয়ক্ষমতার ভিত্তিতে মুদ্রার বিনিময় হার নির্ধারণ সংক্রান্ত তত্ত¡কেই ক্রয়ক্ষমতার সমতা তত্ত¡ বলে।
প্রশ্ন-৬. চাহিদা ও যোগান তত্ত¡ বা আধুনিক তত্ত¡ কী?
উত্তর: দু’দেশের মুদ্রার বিনিময় হার তাদের মুদ্রার পারস্পরিক চাহিদা ও যোগান অনুযায়ী নির্ধারণ সংক্রান্ত তত্ত¡কেই চাহিদা ও যোগান তত্ত¡ বলে।
প্রশ্ন-৭. বৈদেশিক বিনিময় বিল কী?
উত্তর: যে পদ্ধতিতে পাওনাদার অর্থ পরিশোধের জন্য বিদেশি দেনাদারের ওপর একটি শর্তহীন লিখিত নির্দেশ প্রদান করে এবং দেনাদার বিলে স্বীকৃতি দিয়ে তা বৈধ বিলে পরিণত করে তাকে বৈদেশিক বিনিময় বিল বলে।
প্রশ্ন-৮. নোটিফিকেশন কী?
উত্তর: সাধারণত সব পক্ষের সমন্বয়ে রপ্তানিকারক যে ফ্যাক্টরিং করা হয় তাকে নোটিফিকেশন বলে।
প্রশ্ন-৯. ব্যাক টু ব্যাক প্রত্যয়পত্র কী?
উত্তর: যে প্রত্যয়পত্রের মাধ্যমে গ্রহীতার বিপক্ষে বা এর জামানতের ভিত্তিতে অন্যের অনুক‚লে ব্যাংক থেকে নতুন প্রত্যয়পত্র সংগ্রহ করা হয় তাকে ব্যাক টু ব্যাক প্রত্যয়পত্র বলে।
প্রশ্ন-১০. ভাসমান মুদ্রা কী? [ঢা. বো. ১৭]
উত্তর: যে ধরনের মুদ্রার মান বাজারের চাহিদা ও যোগানের ভারসাম্য অবস্থা দ্বারা সৃষ্ট হয় তাকে ভাসমান মুদ্রা বলে।
প্রশ্ন-১১. ঝডওঋঞ-এর পূর্ণ অর্থ কী?
উত্তর: ঝডওঋঞ-এর পূর্ণ অর্থ হলো “ঞযব ঝড়পরবঃু ভড়ৎ ডড়ৎষফরিফব ওহঃবৎনধহশ ঋরহধহপরধষ ঞবষব-পড়সসঁহরপধঃরড়হ”.
প্রশ্ন-১২. সবুজ দফা অগ্রিম প্রত্যয়পত্র কী?
উত্তর: যে প্রত্যয়পত্রের মাধ্যমে ব্যাংক রপ্তানিকারককে শুধু অগ্রিম গুদাম ভাড়া গ্রহণের ক্ষমতা প্রদান করে তাকে সবুজ দফা অগ্রিম প্রত্যয়পত্র বলে।
প্রশ্ন-১৩. নগদ প্রত্যয়পত্র কী?
উত্তর: আমদানিকারক ব্যাংকে অর্থ জমা দিয়ে প্রত্যয়পত্র খুলে তা বিদেশে পাওনাদারের নিকট পাঠিয়ে দেয় এবং পাওনাদার তার ব্যাংকে জমা দিয়ে অথবা সরাসরি আদেষ্টার ব্যাংকের শাখা বা প্রতিনিধি থেকে অর্থ সংগ্রহ করতে পারাকে নগদ প্রত্যয়পত্র বলে।
প্রশ্ন-১৪. প্রত্যয়পত্র কী?
উত্তর: যে পত্রের মাধ্যমে ব্যাংক আমদানিকারকের পক্ষে রপ্তানিকারকের অনুক‚লে আমদানিকৃত পণ্যের মূল্য পরিশোধের নিশ্চয়তা প্রদান করে তাকে প্রত্যয়পত্র বলে।
প্রশ্ন-১৫. পে-অর্ডার কী?
উত্তর: সাধারণত একই এলাকায় নিরাপদে অর্থ আদান-প্রদানের জন্য ব্যাংক গ্রাহকদেরকে নির্দিষ্ট ফি-এর বিনিময়ে যে অর্ডার ইস্যু করে তাকে পে-অর্ডার বলে।
প্রশ্ন-১৬. ব্যাংকের নিশ্চয়তাপত্র কী?
উত্তর: যে পত্রের মাধ্যমে ব্যাংক গ্রাহকের ঋণ পরিশোধের নিশ্চয়তা প্রদান করে তাকে ব্যাংকের নিশ্চয়তাপত্র বলে।
প্রশ্ন-১৭. ভ্রমণকারীর প্রত্যয়পত্র কী?
উত্তর: যে প্রত্যয়পত্রের মাধ্যমে ইস্যুকারী ব্যাংক তার বিদেশস্থ শাখা বা প্রতিনিধিকে নির্দিষ্ট পরিমাণ অর্থ নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যে চাহিবামাত্র কোনো ভ্রমণকারীকে প্রদানের জন্য লিখিত নির্দেশ প্রদান করে তাকে ভ্রমণকারীর প্রত্যয়পত্র বলে।
প্রশ্ন-১৮. নির্দিষ্ট প্রত্যয়পত্র কী?
উত্তর: যে প্রত্যয়পত্রের মাধ্যমে ইস্যুকারী ব্যাংক গ্রহীতার অনুক‚লে শুধু নির্দিষ্ট শাখা বা প্রতিনিধির কাছ থেকে অর্থ উত্তোলনের সুযোগ দেয় তাকে নির্দিষ্ট প্রত্যয়পত্র বলে।
- উত্তর ডাউনলোড করুন> (১ম পত্র) ব্যবসায়ের মৌলিক ধারণা ১ম পত্র সৃজনশীল প্রশ্ন
- উত্তর ডাউনলোড করুন>(১ম পত্র)১ম: ব্যবসায়ের মৌলিক ধারণা প্রশ্ন উত্তরসহ PDF
- উত্তর ডাউনলোড করুন> HSC ব্যবসায়ের মৌলিক ধারণা প্রশ্নের উত্তরসহ অধ্যায়-১: PDF
- উত্তর ডাউনলোড করুন> HSC অধ্যায়-১: প্রশ্নের উত্তরসহ ব্যবসায়ের মৌলিক ধারণা PDF
- উত্তর ডাউনলোড করুন>অধ্যায়৩: SSC ফিন্যান্স ও ব্যাংকিং‘র সৃজনশীল প্রশ্নোত্তর PDF
- উত্তর ডাউনলোড করুন> অধ্যায়৩: SSC ফিন্যান্স ও ব্যাংকিং‘র জ্ঞানমূলক প্রশ্নোত্তরPDF
প্রশ্ন-১৯. ফ্যাক্টরিং কী? [দি. বো. ১৭]
উত্তর: কোনো ব্যবসায় প্রতিষ্ঠান কোনো আর্থিক প্রতিষ্ঠানের নিকট বাট্টায় প্রাপ্য বিল বিক্রি করলে তাকে ফ্যাক্টরিং বলে।
প্রশ্ন-২০. ফোরফেটিং কী? [রা. বো. ১৬]
উত্তর: বৈদেশিক বাণিজ্যের ক্ষেত্রে আমদানি ও রপ্তানিকারককে প্রাপ্য বিলের বিপরীতে স্বল্প ও মধ্যম মেয়াদি অর্থায়নের আধুনিক ব্যবস্থাকেই ফোরফেটিং বলে।
খ নং প্রশ্ন (অনুধাবনমূলক)
প্রশ্ন-১. বৈদেশিক বিনিময় হার নির্ধারণের আধুনিক তত্ত¡ কোনটি এবং কেন?
[কু. বো. ১৭, ১৬]
উত্তর: বৈদেশিক বিনিময় হার নির্ধারণের আধুনিক তত্ত¡ হলো চাহিদা ও যোগান তত্ত¡।
দেশের মুদ্রার বিনিময় হার তাদের মুদ্রার পারস্পরিক চাহিদা ও যোগান অনুযায়ী নির্ধারণ সংক্রান্ত তত্ত¡কেই চাহিদা ও যোগান তত্ত¡ বলে। এক্ষেত্রে মনে করা হয় যে, চাহিদা ও যোগানের ভারসাম্য বিন্দুতে কোনো কিছুর দাম যেমনি নির্ধারিত হয় তেমনি অর্থের বিনিময় মূল্যও বৈদেশিক বাজারে এর চাহিদা ও যোগান দ্বারা নির্ধারিত হয়। এক্ষেত্রে চাহিদার বিষয়টি দেশগুলোর মধ্যকার লেনদেন উদ্বৃত্তের ওপর নির্ভরশীল।
প্রশ্ন-২. বৈদেশিক বিনিময় হার হ্রাস-বৃদ্ধি হয় কেন?
উত্তর: বৈদেশিক মুদ্রাবাজারে মুদ্রার চাহিদা ও যোগানের ওপর বিনিময় হারের হ্রাস-বৃদ্ধি নির্ভর করে।
বাজারে কোনো দেশের মুদ্রার চাহিদা কমে গেলে বিনিময় হার বেড়ে যায় আবার চাহিদা বেড়ে গেলে বিনিময় হার কমে যায়। এভাবে দেশীয় মুদ্রার মূল্য কমে গেলে বিদেশি মুদ্রার চাহিদা বেড়ে যায়। আবার দেশীয় মুদ্রার মূল্য বেড়ে গেলে বিদেশি মুদ্রার চাহিদা কমে যায়।
প্রশ্ন-৩. ঋণের দলিলের ব্যবহারের ফলে বৈদেশিক বিনিময় হারের কেন হ্রাস-বৃদ্ধি ঘটে?
উত্তর: বৈদেশিক বিনিময় হার পরিবর্তনে যে সকল কারণ প্রভাব বিস্তার করে তার মধ্যে ঋণের দলিলের ব্যবহার উলেখযোগ্য।
ঋণের দলিল যেমন : প্রত্যয়পত্র, ব্যাংক ড্রাফট, পর্যটক চেক ইত্যাদি দলিল ইস্যুর দ্বারা বিনিময় হারের পরিবর্তন হয়। কারণ বিদেশে এরূপ দলিল ভাঙানোর ফলে বিদেশি মুদ্রার চাহিদা বৃদ্ধি পায়। ফলে বিনিময় হার বিদেশের অনুক‚লে যায়। বিদেশ থেকে বাংলাদেশে অধিক হারে এ ধরনের দলিল ভাঙানো হলে বিপরীত অবস্থা ঘটে।
প্রশ্ন-৪. প্রত্যয়পত্র বলতে কী বোঝ? [দি. বো. ১৭]
উত্তর: আমদানিকারকের পক্ষে ব্যাংক কর্তৃক রপ্তানিকারকের অনুক‚লে অর্থ পরিশোধের নিশ্চয়তা পত্রকে প্রত্যয়পত্র বলে।
আন্তর্জাতিক বাণিজ্যের আমদানিকারক ও রপ্তানিকারকের মধ্যকার দূরত্বে মুদ্রার ভিন্নতাসহ বিভিন্ন বাধার সৃষ্টি হয়। এতে বৈদেশিক বাণিজ্যে মূল্য পরিশোধ বিষয়ে জটিলতা ও সন্দেহের সৃষ্টি হয়ে থাকে। আর এসব সমস্যা দূর করার জন্য মূল্য পরিশোধের নিশ্চয়তা দিয়ে ব্যাংক প্রত্যয়পত্র ইস্যু করে।
প্রশ্ন-৫. ঘূর্ণায়মান প্রত্যয়পত্র বলতে কী বোঝায়? [চ. বো. ১৭]
উত্তর: যে প্রত্যয়পত্র নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যে সর্বোচ্চ নির্দিষ্ট পরিমাণ অর্থ সীমা পর্যন্ত একাধিক লেনদেনের জন্য বারে বারে ব্যবহার করা যায় তাকে ঘূর্ণায়মান প্রত্যয়পত্র বলে।
বারে বারে প্রত্যয়পত্র খোলার ঝামেলা থেকে গ্রাহকদের রেহাই দেয়ার জন্য এরূপ প্রত্যয়পত্রের উদ্ভব ঘটেছে।
প্রশ্ন-৬. কখন বিনিময় হার নির্ধারিত হয়? [ঢা. বো. ১৬]
উত্তর: দুটি ভিন্ন দেশের লেনদেন নিষ্পত্তির সময় বিনিময় হার নির্ধারণ করা হয়।
সাধারণত এক দেশের সঙ্গে অন্য দেশের লেনদেন বা বিনিময়কে বৈদেশিক বিনিময় বলে। এরূপ বৈদেশিক বিনিময় সুষ্ঠুভাবে সম্পাদনের জন্যই বিনিময় হার নির্ধারণের প্রয়োজন পড়ে। কেননা, ভিন্ন ভিন্ন দেশের মুদ্রা ভিন্ন ভিন্ন হয়ে থাকে। তাই সঠিক মান নির্ধারণের জন্য উভয় দেশের লেনদেন নিষ্পত্তিতে এ হার নির্ধারণ করা হয়।
প্রশ্ন-৭. স্বর্ণের বিনিময় দিন দিন কমে যাচ্ছে কেন?
উত্তর: স্বর্ণের দুষ্প্রাপ্যতা ও ঝুঁকির কারণে এর বিনিময় দিন দিন কমে যাচ্ছে।
বিদেশে অর্থ প্রেরণের পদ্ধতিসমূহের মধ্যে স্বর্ণ অন্যতম মাধ্যম হিসেবে বিশ্বের সর্বত্র জনপ্রিয় ও সর্বজন স্বীকৃত। কিন্তু স্বর্ণের দুষ্প্রাপ্যতার কারণে বর্তমানে বৈদেশিক লেনদেনে স্বর্ণ কম ব্যবহার করা হয়। তাছাড়া স্বর্ণ পরিবহন করা অত্যন্ত ঝুঁকিপূর্ণ। তাই দিন দিন স্বর্ণের বিনিময় হ্রাস পাচ্ছে ও অন্যান্য স্বীকৃত আধুনিক মাধ্যমের ব্যবহার বৃদ্ধি পাচ্ছে।
প্রশ্ন-৮. আমদানি-রপ্তানি ব্যবসায়ের ক্ষেত্রে বিনিময় হার নির্ধারণ কি গুরুত্বপূর্ণ? ব্যাখ্যা করো।[রা. বো. ১৭]
উত্তর: আমদানি রপ্তানি ব্যবসায়ের ক্ষেত্রে বিনিময় হার নির্ধারণ গুরুত্বপূর্ণ।
এক দেশের মুদ্রার পরিপ্রেক্ষিতে আরেক দেশের মুদ্রার মূল্যকে বিনিময় হার বলে। পৃথিবীর প্রতিটি দেশের নিজস্ব মুদ্রা আছে। তাই এক দেশের মুদ্রা অন্য দেশে গ্রহণযোগ্য নয়। সেক্ষেত্রে বৈদেশিক লেনদেন নিষ্পত্তিতে উভয় দেশের মুদ্রার বিনিময় হার নির্ধারণ প্রয়োজন। যাতে উভয় দেশ ঐ বিনিময় হারে নিজ দেশের মুদ্রায় রূপান্তর করতে পারে।
প্রশ্ন-৯. ফ্যাক্টরিং-এর চেয়ে ফোরফেটিং কার্য ব্যাপকতর কেন? [য. বো. ১৭]
উত্তর: ফোরফেইটিং-এ আমদানি-রপ্তানির সমগ্র লেনদেন বিবেচিত হয় বিধায় এটি ফ্যাক্টরিং এর চেয়ে বেশি জনপ্রিয়।
ফ্যাক্টরিং এ শুধু বিল ক্রয়, হিসাব সংরক্ষণ, বিলের অর্থ আদায় ইত্যাদি ম“খ্য। কিন্তু ফোরফেটিং এর ক্ষেত্রে আমদানিকারক ও রপ্তানিকারকের মধ্যকার প্রস্তাবিত পুরো লেনদেনই বিবেচিত হয় বিধায় এর ব্যাপকতা বেশি।
প্রশ্ন-১০. রেমিটেন্স বলতে কী বোঝায়? [রা. বো. ১৬]
উত্তর: বিদেশে কর্মরত ব্যক্তিরা অর্থাৎ প্রবাসীরা দেশে যে অর্থ পাঠান তাকে রেমিটেন্স বলা হয়।
সাধারণত এক দেশ থেকে অন্য দেশে টাকা পাঠানোর ক্ষেত্রে রেমিট্যান্স শব্দটি ব্যবহৃত হয়। অর্থাৎ কোনো দেশে কর্মরত বিদেশি কোনো কর্মী যদি তার উপার্জিত অর্থ তার নিজের দেশে প্রেরণ করেন, তাহলে তার দেশের জন্য এ অর্থ হলো রেমিট্যান্স। কোনো দেশের আর্থসামাজিক উন্নয়ন অনেকাংশেই এই রেমিটেন্সের অর্থাৎ বিদেশ থেকে আগত টাকার উপর নির্ভর করে।
নবম অধ্যায়: ইলেকট্রনিক ও আধুনিক ব্যাংকিং
১. নাহিদ সাহেব ডাচ্ বাংলা ব্যাংকের মোবাইল ব্যাংকিং ব্যবহার করে নানান ধরনের সুবিধা পাচ্ছেন। তিনি মোবাইল ব্যাংকিং-এর বিভিন্ন সেবা সম্পর্কে তার প্রতিবেশি আলামিন সাহেবকে বলেন। আলামিন সাহেব সব শুনে ডাচ্ বাংলা ব্যাংকের মোবাইল ব্যাংকিং খুলতে আগ্রহী হন। [ক্যান্টনমেন্ট কলেজ, যশোর]
ক. ঙহব ঝঃড়ঢ় ঝবৎারাব কী?
খ. ডেবিট কার্ড ও ক্রেডিট কার্ডের মধ্যে ২টি পার্থক্য লেখো।
গ. উদ্দীপকে উলিখিত মোবাইল ব্যাংকিং-এর যে সব সুবিধা সম্পর্কে বলা হয়েছে তা ব্যাখ্যা করো।
ঘ. উদ্দীপকে উলিখিত আল আমিনের ডাচ্ বাংলা ব্যাংকের মোবাইল ব্যাংকিং সেবা গ্রহণ করা যথাযথ হবে কিনা? মূল্যায়ন করো।
ত্তর: মেইড ইজি উত্তরপত্র বইয়ের পৃষ্ঠা ৪২৫ এর ১৯ নম্বর দ্রষ্টব্য।
২. মালিহা ও নিশিতা বসুন্ধরা সিটিতে কেনাকাটা করতে গেল। দুজনেই কোনো নগদ টাকা যায়নি। অথচ প্রচুর পরিমাণে কেনাকাটা ও খাওয়া-দাওয়া করল। তারা এক ধরনের কার্ড ব্যবহার করে কেনাকাটার মূল্য পরিশোধ করেছে। মালিহার ব্যাংক হিসাবে টাকা ছিল কিন্তু নিশিতার হিসাবে কোন টাকা ছিল না। [কুমিলা ভিক্টোরিয়া সরকারি কলেজ]
ক. ওয়ান স্টপ সার্ভিস কী?
খ. মোবাইল ব্যাংকিং বলতে কী বোঝায়?
গ. মালিহা কোন ধরনের কার্ড ব্যবহার করেছে? ব্যাখ্যা করো।
ঘ. নিশিতার হিসাবে টাকা না থাকলেও সে কী কার্ড ব্যবহার করে কেনাকাটা করল? বিশ্লেষণ করো।
উত্তর: মেইড ইজি উত্তরপত্র বইয়ের পৃষ্ঠা ৪২৪ এর ১৭ নম্বর দ্রষ্টব্য।
ক ও খ নং প্রশ্নের সাজেশন
ক নং প্রশ্ন (জ্ঞানমূলক)
প্রশ্ন-১. ইলেকট্রনিক ব্যাংকিং কী?
[ঢা. বো. ১৬, ১৭; রা. বো. ১৭; দি. বো. ১৭; চ. বো. ১৭; সি. বো. ১৬, ১৭]
উত্তর: ইলেকট্রনিক ব্যাংকিং হলো এমন একটি সমন্বিত প্রক্রিয়া যেখানে কম্পিউটার প্রযুক্তির মাধ্যমে গ্রাহকদের বিভিন্ন ব্যাংকিং সুবিধা ও সেবা প্রদান করা হয়।
প্রশ্ন-২. অঞগ-এর পূর্ণরূপ কী?
উত্তর: অঞগ-এর পূর্ণরূপ হলো ‘অঁঃড়সধঃবফ ঞবষষবৎ গধপযরহব’.
প্রশ্ন-৩. অঞগ পদ্ধতিকে কত ভাগে ভাগ করা যায়?
উত্তর: অঞগ পদ্ধতিকে ২ ভাগে ভাগ করা যায়। যথা: লবি অঞগ এবং দেয়াল সংশ্লিষ্ট অঞগ.
প্রশ্ন-৪. লবি অঞগ কী?
উত্তর: যে সকল অঞগ বুথসমূহ সংশ্লিষ্ট ব্যাংকের লবিতে স্থাপন করা হয় তাকে লবি অঞগ বলে।
প্রশ্ন-৫. ডেবিট কার্ড কী?
উত্তর: ইলেকট্রনিক ফান্ড ট্রান্সফারের জন্য ব্যাংক ও অন্যান্য আর্থিক প্রতিষ্ঠান কর্তৃক গ্রাহককে প্রদত্ত চুম্বুকভিত্তিক সাংকেতিক নম্বরযুক্ত এক বিশেষ ধরনের প্লাস্টিক কার্ডকে ডেবিট কার্ড বলে।
প্রশ্ন-৬. মাস্টার কার্ড কী?
উত্তর: মাস্টার কার্ড এক ধরনের ক্রেডিট কার্ড, যা আন্তর্জাতিক মাস্টার কার্ডের অধীনে ইস্যু করা হয়।
প্রশ্ন-৭. মোবাইল ব্যাংকিং কী?
উত্তর: তারবিহীন টেলিকমিউনিকেশন ব্যবস্থায় মোবাইল হ্যান্ডসেট ব্যবহার করে ব্যাংকের সাথে যোগাযোগ প্রতিষ্ঠা, তথ্য সংগ্রহ, তথ্য প্রদান ও লেনদেন করাকেই মোবাইল ব্যাংকিং বলে।
প্রশ্ন-৮. অনলাইন ব্যাংকিং কী?
উত্তর: অনলাইন ব্যাংকিং হলো কোনো একক ব্যাংকের একাধিক শাখা বা একাধিক ব্যাংকের বিভিন্ন শাখার মধ্যে কম্পিউটার প্রযুক্তিনির্ভর একটি নেটওয়ার্ক ব্যবস্থা।
প্রশ্ন-৯. চঙঝ-এর পূর্ণ অর্থ কী?
উত্তর: চঙঝ-এর পূর্ণরূপ হলো ‘চড়রহঃ ড়ভ ঝধষব ংবৎারপব’.
প্রশ্ন-১০. চেক স্ত‚প পরিষ্কারকরণ কী?
উত্তর: চেক স্ত‚প পরিষ্কারকরণ এমন একটি ইলেকট্রনিক ব্যাংকিং সেবা, যা সাধারণত গ্রাহকের কোনো চেক কালেকশনের জন্য ব্যাংক জমা নিলে যদি তা অমর্যাদাকৃত হয় তবে তা গ্রাহককে জানিয়ে ফেরত দেয়।
- HSC ব্যবসায়ের মৌলিক ধারণা প্রশ্নের উত্তরসহ অধ্যায়-১: PDF
- HSC অধ্যায়-১: প্রশ্নের উত্তরসহ ব্যবসায়ের মৌলিক ধারণা PDF
- (১ম পত্র)১ম: ব্যবসায়ের মৌলিক ধারণা প্রশ্ন উত্তরসহ PDF
- (১ম পত্র) অধ্যায়-২ ব্যবসায় পরিবেশ সৃজনশীল প্রশ্নোত্তর PDF
- (PDF ১ম পত্র) অধ্যায়-২ ব্যবসায় পরিবেশ সৃজনশীল প্রশ্নোত্তর
প্রশ্ন-১১. ‘অঈঐ’-এর পূর্ণ অর্থ কী?
উত্তর: ‘অঈঐ’-এর পূর্ণ অর্থ হলো ‘অঁঃড়সধঃবফ ঈষবধৎরহম ঐড়ঁংব ংবৎারপব’.
প্রশ্ন-১২. ‘ঙহব ংঃড়ঢ় ংবৎারপব’ কী? [কু. বো. ১৬]
উত্তর: ‘ঙহব ংঃড়ঢ় ংবৎারপব’ বলতে একজন ব্যাংক কর্মকর্তার কাছ থেকে গ্রাহক কর্তৃক তার প্রয়োজনীয় সার্ভিস লাভকে বোঝায়।
প্রশ্ন-১৩. ভিসা কার্ড কী?
উত্তর: ভিসা কার্ড এক ধরনের ক্রেডিট কার্ড, যা আন্তর্জাতিক ভিসা করপোরেশনের সাথে সংযুক্ত যেকোনো ব্যাংক ইস্যু করতে পারে।
প্রশ্ন-১৪. স্মার্ট কার্ড কী?
উত্তর: স্মার্ট কার্ড একটি চুম্বক ছাপযুক্ত অথবা ছাপ ব্যতীত একটি প্লাস্টিক কার্ড। এ কার্ডকে ইলেকট্রনিক অর্থ বা ই-পার্সও বলা হয়।
প্রশ্ন-১৫. টেলিফোন ব্যাংকিং কী?
উত্তর: টেলিফোন ব্যাংকিং হলো এমন একটি পদ্ধতি যেখানে ব্যাংক তার গ্রাহককে টেলিফোনের মাধ্যমে আর্থিক লেনদেন করার সুযোগ প্রদান করে।
প্রশ্ন-১৬. ‘চওঘ’-এর পূর্ণ অর্থ কী?
উত্তর: ‘চওঘ’-এর পূর্ণ অর্থ হলো ‘চবৎংড়হধষ ওফবহঃরভরপধঃরড়হ ঘঁসনবৎ’।
প্রশ্ন-১৭. ‘ঝগঝ’-এর পূর্ণ অর্থ কী?
উত্তর: ‘ঝগঝ’-এর পূর্ণ অর্থ হলো ‘ঝযড়ৎঃ গবংংধমব ঝবৎারপব’।
প্রশ্ন-১৮. ‘ঊঋঞ’-এর পূর্ণরূপ কী?
উত্তর: ‘ঊঋঞ’-এর পূর্ণরূপ হলো ‘ঊষবপঃৎড়হরপ ঋঁহফ ঞৎধহংভবৎ ংুংঃবস’।
প্রশ্ন-১৯. ঝডওঋঞ কী? [য. বো. ১৭]
উত্তর: যে নেটওয়ার্কের মাধ্যমে আন্তর্জাতিক লেনদেন ও তথ্য সহজে ও নিরাপদে আদান-প্রদান করা হয় তাকে ঝডওঋঞ বলে।
প্রশ্ন-২০. ‘ঊ-ইধহশরহম’-এর পূর্ণ অর্থ কী?
উত্তর: ‘ঊ-ইধহশরহম’-এর পূর্ণ অর্থ হলো ‘ঊষবপঃৎড়হরপ ইধহশরহম’।
খ নং প্রশ্ন (অনুধাবনমূলক)
প্রশ্ন-১. অনলাইন ব্যাংকিং জগতে কাগজী মুদ্রার ব্যবহার হ্রাস পাওয়ার কারণ কী? ব্যাখ্যা করো। [ঢা. বো. ১৭]
উত্তর: অনলাইন ব্যাংকিং প্রক্রিয়ায় কম্পিউটার প্রযুক্তিনির্ভর একটি নেটওয়ার্ক ব্যবস্থায় গ্রাহক ব্যাংকের যেকোনোশাখা হতে ব্যাংকিং সুবিধা ভোগ করে, যা কাগজী মুদ্রার ব্যবহার হ্রাস করেছে।
অর্থ জমাদান, অর্থ সংগ্রহ, চেকের অর্থ সংগ্রহ, বিল প্রদান ইত্যাদি কাজে অনলাইন ব্যাংকিং সেবা কাজে লাগানো যায়। যার ফলে গ্রাহককে ব্যাংকের নির্দিষ্ট শাখায় ব্যাংকিং এর জন্য নগদ অর্থ বহন করতে হয় না।
প্রশ্ন-২. নগদ ব্যবস্থাপনা বলতে কী বুঝ? [দি. বো. ১৭]
উত্তর: দক্ষতার সাথে নগদ আদায়, নগদ পরিশোধ এবং কী পরিমাণ অর্থ হাতে রাখা প্রয়োজন তা নির্ধারণ করাকে নগদ ব্যবস্থাপনা বলে।
ব্যবসায়ের স্বাভাবিক কার্যক্রম পরিচালনার জন্য নগদ অর্থ প্রয়োজন। আবার অপ্রত্যাশিত কোনো ঘটনা মোকাবিলা করার জন্যও নগদ ব্যবস্থাপনা জরুরি। এছাড়াও লাভজনক বিনিয়োগের সুযোগ গ্রহণ করতে নগদ ব্যবস্থাপনা করা হয়ে থাকে।
প্রশ্ন-৩. অনলাইন ব্যাংকিং-এর সুবিধা কী? ব্যাখ্যা করো। [য. বো. ১৭]
উত্তর: অনলাইন ব্যাংকিং এর প্রধান সুবিধা হলো খুব সহজে ও দ্রুত ব্যাংকিং কার্যক্রম সম্পন্ন করা যায়।
এ পদ্ধতিতে লেনদেন করার জন্য গ্রাহক ব্যাংকের যেকোনো শাখায় গিয়ে তার ব্যাংক হিসাবের সুবিধা গ্রহণ করতে পারে। যা ব্যাংকিং কার্যকে সহজ ও দ্রুততম করেছে। এছাড়া অনলাইন ব্যাংকিং এ ২৪ ঘণ্টা সেবা দানের কারণে ব্যাংকিং লেনদেনে গতিশীলতা আসে।
প্রশ্ন-৪. ঋণ সুবিধাসহ এটিএম কার্ডকে কী বলে? বুঝিয়ে লেখো। [কু. বো. ১৬]
উত্তর: ঋণ সুবিধাসহ এটিএম কার্ডকে ‘ক্রেডিট কার্ড’ বলে।
ক্রেডিট কার্ড হলো ব্যাংক কর্তৃক ইস্যুকৃত ঋণ সুবিধা সম্বলিত চুম্বকীয় শক্তিসম্পন্ন কার্ড। এর মাধ্যমে অর্থ উত্তোলন এবং সেবা ক্রয় করা যায়। এরূপ কার্ডের মাধ্যমে গ্রাহককে ঋণ সুবিধাও দেয়া হয়।
প্রশ্ন-৫. ব্যাংকিং খাতে তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তির ব্যবহার কেন গুরুত্বপূর্ণ? ব্যাখ্যা করো। [চ. বো. ১৭]
উত্তর: ব্যাংকিং খাতে তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তির ব্যবহার ব্যাংকের আধুনিকায়নের নীতি বাস্তবায়নে অধিক গুরুত্বপূর্ণ।
সর্বাধিক প্রযুক্তি ব্যবহার করে গ্রাহক সন্তুষ্টি অর্জন ও দক্ষ গ্রাহক সেবা নিশ্চিত করার লক্ষ্যেই ব্যাংকসমূহ এ ধরনের প্রযুক্তি ব্যবহার করে থাকে। এক্ষেত্রে ব্যাংক কম্পিউটারাইজড হিসাব পদ্ধতি, অনলাইন ব্যাংকিং, মোবাইল ব্যাংকিং, এটিএম কার্ড ইত্যাদি প্রযুক্তি দ্বারা সেবা দানের প্রয়াস চালায়।
প্রশ্ন-৬. নির্ভুল লেনদেন করার ক্ষেত্রে ইলেকট্রনিক ব্যাংকিং কীভাবে গুরুত্বপূর্ণ ভ‚মিকা পালন করে? ব্যাখ্যা করো।
উত্তর: বর্তমান যুগে নির্ভুল লেনদেন করার ক্ষেত্রে ইলেকট্রনিক ব্যাংকিং অনেক গুরুত্বপূর্ণ ভ‚মিকা পালন করছে।
কারণ ইলেকট্রনিক ব্যাংকিং-এ সকল ধরনের লেনদেনের কাজ কম্পিউটারের মাধ্যমে পরিচালনা করা হয়। এতে করে হিসাবে ভুল হওয়ার অথবা কোনো ধরনের ত্র“টিপূর্ণ হিসাব সংঘটিত হওয়ার ঝুঁকি কমে যায়। এতে করে হিসাবগুলো নির্ভুলভাবে সম্পাদিত হয়।
প্রশ্ন-৭. মোবাইল ব্যাংকিং কেন জনপ্রিয়? [সি. বো. ১৭]
উত্তর: মোবাইল ব্যাংকিং ব্যবস্থায় মোবাইল ফোন ব্যবহার করে গ্রাহক ব্যাংকিং সুবিধা গ্রহণের পাশাপাশি বিভিন্ন বিল পরিশোধের সুযোগ পায়, যা মোবাইল ব্যাংকিং সেবাকে জনপ্রিয় করেছে।
আধুনিক ব্যাংকিং এর নতুনতম সংযোজন হলো মোবাইল ব্যাংকিং। বাংলাদেশে ব্রাক ব্যাংক বিকাশ নামে ডাচ্ বাংলা-ব্যাংক মোবাইল ব্যাংকিং সেবা নামে এরূপ ব্যাংকিং চালু করেছে, যা আমাদের দেশে মোবাইল ব্যাংকিংকে জনপ্রিয় করেছে।
প্রশ্ন-৮. ইলেকট্রনিক ব্যাংকিং ব্যবস্থায় গ্রাহকের তথ্য কীভাবে সংরক্ষণ করা হয়? ব্যাখ্যা করো।
উত্তর: ই-ব্যাংকিং ব্যবস্থায় কম্পিউটার ডেটাবেজে গ্রাহকের তথ্য সংরক্ষণ করা হয়।
এ ব্যাংকিং ব্যবস্থায় গ্রাহক হিসাব খুলতে আসলে ব্যাংক তখন কণঈ নামক একটি ফরম পূরণ করে। এতে গ্রাহকের ব্যক্তিগত ও আর্থিক সকল লেনদেনের বিভিন্ন বিবরণ থাকে। পরবর্তীতে ব্যাংক গ্রাহকের এ সকল তথ্য কম্পিউটারে সংরক্ষণ করে, যার কারণে তথ্যগুলো অনেক নিরাপদে সংরক্ষিত থাকে।
প্রশ্ন-৯. স্বয়ংক্রিয় নিকাশঘর কার্য কীভাবে সম্পাদন করা হয়? ব্যাখ্যা করো।
[রা. বো. ১৭]
উত্তর: আধুনিক ব্যাংকিং পদ্ধতিতে ইলেকট্রনিক উপায়ে ব্যাংকগুলোর মধ্যে আন্তঃব্যাংকিং লেনদেন সম্পাদিত হয়।
এ পদ্ধতিতে ইলেকট্রনিক উপায়ে ব্যাংকগুলোর মধ্যে মেশিনের সাহায্যে কাগজবিহীন লেনদেন সম্পাদিত হয়। এক্ষেত্রে মেশিনের সাহায্যে কাগজি চেকের বিকল্প হিসেবে ও কাগজি লেনদেনগুলো রেকর্ডভুক্ত হয় এবং তা একটি একাউন্টকে ডেবিট এবং অন্য একাউন্টকে ক্রেডিট করে আন্তঃব্যাংকিং লেনদেন মিমাংসা করে। এভাবেই স্বয়ংক্রিয় নিকাশ ঘরের কার্য সম্পাদিত হয়।
প্রশ্ন-১০. ঠওঝঅ ঈঅজউ কোন ধরনের কার্ড? ব্যাখ্যা করো। [কু. বো. ১৬]
উত্তর: ঠওঝঅ ঈঅজউ এক ধরনের ক্রেডিট কার্ড।
গ্রাহকদের প্রয়োজন, বাণিজ্য প্রতিযোগিতা প্রভৃতির ওপর ভিত্তি করে ব্যাংক ভিসা কার্ড ইস্যু করে। আন্তর্জাতিক ভিসা কর্পোরেশনের সাথে সংযুক্ত যেকোনো ব্যাংক এ কার্ড ইস্যু করতে পারে। এই কার্ড ইস্যুকারী ব্যাংককে আন্তর্জাতিক ভিসা কার্ডের প্রতিনিধি বলা হয়। ব্যবসায় বাণিজ্যে ভিসা কার্ড আন্তর্জাতিকভাবে স্বীকৃত একটি ক্রেডিট কার্ড।
উক্ত বিষয় সম্পর্কে কিছু জানার থাকলে কমেন্ট করতে পারেন।
আমাদের সাথে ইউটিউব চ্যানেলে যুক্ত হতে এখানে ক্লিক করুন এবং আমাদের সাথে ফেইজবুক পেইজে যুক্ত হতে এখানে ক্লিক করুন। গুরুত্বপূর্ণ আপডেট ও তথ্য পেতে আমাদের ওয়েবসাইটে ভিজিট করুন।