৮ম শ্রেণির ইসলাম শিক্ষা:অ্যাসাইনমেন্ট এর প্রশ্ন উত্তর ২০২৪ | Class 8 Islam Shikkha : অষ্টম শ্রেণীর ইসলাম শিক্ষা এর অধ্যায়টি হতে গুরুত্বপূর্ণ সব সমাধানগুলো গুলো আমাদের এই পোস্টে পাবেন। অতএব সম্পূর্ণ পোস্টটি মনোযোগ সহকারে পড়তে থাকুন।
৮ম শ্রেণির ইসলাম শিক্ষা অ্যাসাইনমেন্ট এর প্রশ্ন উত্তর ২০২৪ | Class 8 Islam Shikkha
অ্যাসাইনমেন্ট-১
অ্যাসাইনমেন্ট | বিষয়বস্তু | নির্দেশনা |
রিসালাত কী? নবি-রাসুলগণের প্রতি ইমান আনার অপরিহার্যতা তুলে ধর। | ১. রিসালাত
২. নবি-রাসুলগণের প্রতি ইমান |
১. অ্যাসাইনমেন্টের আলোকে ভূমিকা লিখতে হবে।
২. নবি-রাসুলগণের প্রতি ইমান ২. নবি-রাসুলগণের প্রতি ইমান আনার অপরিহার্যতা বর্ণনা করতে হবে । |
অ্যাসাইনমেন্ট ১-এর উত্তর
অ্যাসাইনমেন্টের শিরোনাম : নবি-রাসুলগণের প্রতি ইমান আনার অপরিহার্যতা ।
ভূমিকা : মানবজাতিকে সরল সঠিক পথপ্রদর্শনের জন্য আল্লাহ তা’আলা যুগে যুগে অসংখ্য নবি-রাসুল প্রেরণ করেছেন। তাঁদের প্রতি বিশ্বাস স্থাপন ছাড়া মুমিন হওয়া সম্ভব নয় ।
রিসালাত : রিসালাত আরবি শব্দ। এর অর্থ বার্তা, চিঠি পৌঁছানো, পয়গাম ও সংবাদ। ইসলামি পরিভাষায় আল্লাহ তা’আলার বাণী মানুষের কাছে পৌঁছে দেওয়ার দায়িত্বকে রিসালাত বলে ।
নবি-রাসুলগণের প্রতি ইমান আনার অপরিহার্যতা : আল্লাহ তা’আলার একত্বের প্রতি বিশ্বাস স্থাপন করা যেমন আবশ্যক তেমন নবি-রাসুলগণের প্রতিও ইমান আনা অপরিহার্য। মহান আল্লাহ তা’আলার পরিচয়, তাঁর অস্তিত্ব ও একত্ব নবি-রাসুলগণের মাধ্যমেই আমরা জানতে পেরেছি।
তাই তাঁদের প্রতি অবিশ্বাস করলে প্রকারান্তরে আল্লাহ তা’আলাকেই অস্বীকার করা হয়। এজন্য নবি- রাসুলগণের প্রতি বিশ্বাস স্থাপন ইমানের অপরিহার্য অঙ্গ। নবি-রাসুলগণের প্রতি বিশ্বাসের অর্থ এই যে, নবি-রাসুলগণ আল্লাহর পক্ষ থেকে মানুষকে হেদায়েতের পথপ্রদর্শন করার জন্য প্রেরিত হয়েছেন।
তারা ছিলেন মাসুম বা নিষ্পাপ । তাঁরা আল্লাহর পক্ষ থেকে যে বাণী ও জীবন বিধান নিয়ে এসেছেন তা তাঁরা রচনা করেননি; আল্লাহই তা রচনা করেছেন। আল্লাহ তা’আলা মানুষের কল্যাণের জন্যই তাঁর বিধান দিয়ে নবি-রাসুলকে প্রেরণ করেছেন।
সুতরাং রাসুলগণের প্রতি ইমান না আনলে মুমিন হওয়া যাবে না । কারণ ইসলামের মৌলিক সাতটি বিষয়ের মধ্যে রাসুলগণের প্রতি ইমান আনা অন্যতম ।
আরো দেখুন
বরিশাল ইতিহাস ঐতিহ্য
বরিশাল ইতিহাস ঐতিহ্য ।। বরিশাল বাংলাদেশের একটি প্রাচীন ও ঐতিহ্যবাহী অঞ্চল। এর ইতিহাস ও সংস্কৃতি দীর্ঘ এবং সমৃদ্ধ। বরিশালকে বলা...
ফ্রী শিক্ষামূলক ভিডিও মেকার,শিক্ষামূলক ভিডিও কিভাবে করা যায়
ফ্রী শিক্ষামূলক ভিডিও মেকার,শিক্ষামূলক ভিডিও কিভাবে করা যায়।। শিক্ষামূলক ভিডিও তৈরি করতে কিছু ধাপ অনুসরণ করা প্রয়োজন। এখানে কিছু ধাপ...
দাঁত ও দাঁতের মাড়ি সুস্থ রাখতে চাইলে যেসব কাজ গুলো করা জরুরী
প্রতিটি মানুষের সকল মন্ত্রের মূল চাবিকাঠী স্বাস্থ্য! স্বাস্থ্য ভালো থাকলে মন ভালো থাকে, কাজের অগ্রগতিও ভাড়ে, স্বাস্থ্য ভালো আপনার সব...
শান্তিগঞ্জের বগুলারকাড়া গ্রামের স্কুল মাঠে কাবাডি খেলা
শান্তিগঞ্জের বগুলারকাড়া গ্রামের স্কুল মাঠে কাবাডি খেলা।। সুনামগঞ্জ প্রতিনিধি।। গ্রামবাংলার প্রাচীনতম ঐতিহ্য বাংলাদেশের জাতীয় খেলা কাবাডি(হা ডু ডু) খেলার ঐতিহ্য...
প্রত্যেক নবি-রাসুল মহান আল্লাহ তা’আলার প্রেরিত পুরুষ। তাঁদের কাউকে বিশ্বাস করা আর কাউকে অবিশ্বাস করা যাবে না। বরং প্রত্যেকেই বিশ্বাস করতে হবে এবং যথাযথ সম্মান দিতে হবে। কেননা, তাঁদের প্রতি বিশ্বাস স্থাপন করা প্রত্যেক মুমিনের একান্ত কর্তব্য।
অ্যাসাইনমেন্ট-২
অ্যাসাইনমেন্ট | বিষয়বস্তু | নির্দেশনা |
১. খতমে নবুওয়াত কাকে বলে?
(সা.) সর্বশেষ নবি ও রাসুল— প্রমাণ কর । |
১. খতমে নবুওয়াত
২. মহানবি (সা.) সর্বশেষ নবি ও রাসুল |
১. খতমে নবুওয়াতের পরিচয় বর্ণনা করতে হবে।
২. মহানবি (সা.) সর্বশেষ নবি ও রাসুল-এর প্রমাণ তুলে ধরতে হবে। |
অ্যাসাইনমেন্ট ২-এর উত্তর
অ্যাসাইনমেন্টের শিরোনাম : ‘মহানবি (সা.) সর্বশেষ নবি ও রাসুল’-এর প্রমাণ ।
ভূমিকা : মানবজাতির হেদায়েতের জন্য আল্লাহ তা’আলা যুগে যুগে বহু নবি-রাসুল প্রেরণ করেন। নবুওয়াতের ক্রমধারা শুরু হয় হযরত আদম (আ.)-এর মাধ্যমে এবং হযরত মুহাম্মদ (সা.)-এর আগমনের মাধ্যমে তা শেষ হয় ।
সুতরাং তিনিই সর্বশেষ নবি ও রাসুল । খতমে নবুওয়াত : খাতামুন অর্থ শেষ বা সমাপ্ত। আর নবুওয়াত অর্থ পয়গম্বারি, নবিগণের দায়িত্ব ইত্যাদি। নবুওয়াত তথা নবি- রাসুলগণের আগমনের ক্রমধারার সমাপ্তিকেই খতমে নবুওয়াত বলা হয় ।
রাসুল (সা.) সবশেষ নবি ও রাসুল : হযরত মুহাম্মদ (সা.) কে সর্বশেষ নবি ও রাসুল বা খাতামুন নাবিয়্যিন হিসেবে বিশ্বাস করা ইমানের অন্যতম অঙ্গ। কুরআন মাজিদ ও হাদিসে খতমে নবুওয়াতের অনেক প্রমাণ বিদ্যমান ।
আল-কুরআনের দলিল : মহান আল্লাহ তা’আলা রাসুল (সা.) কে সরাসরি সর্বশেষ নবি হিসেবে উল্লেখ করে বলেছেন- “মুহাম্মাদ তোমাদের মধ্যে কোনো পুরুষের পিতা নন, বরং তিনি আল্লাহর রাসুল এবং সর্বশেষ নবি।”
(সূরা আল-আহযাব, আয়াত : ৪০) হাদিসের দলিল : খতমে নবুওয়াত প্রমাণে অনেক হাদিস বর্ণিত হয়েছে। মহানবি (সা.) বলেন, “বনি ইসরাইলে নবিগণই নেতৃত্ব আসবে না।” (বুখারি) দিতেন। যখনই কোনো নবি ইন্তেকাল করতেন তখনই পরবর্তী নবি তাঁর স্থলাভিষিক্ত হতেন। কিন্তু আমার পর আর কোনো নবি
যৌক্তিক প্রমাণ : পূববর্তী নবির শিক্ষা যদি নির্দিষ্ট সময়ের জন্য হয় অথবা বিলুপ্ত বা বিকৃত হয়ে যায় অথবা নতুন কিছু সংযোজন- বিয়োজনের প্রয়োজন হয় তাহলেই কেবল নতুন নবি আসার প্রয়োজন হয়। কিন্তু মহানবি (সা.)-এর নবুওয়াতের ক্ষেত্রে উপরিউক্ত কারণগুলোর কোনোটিই প্রযোজ্য নয় ।
উপরিউক্ত আলোচনা থেকে এটা অকাট্যভাবে প্রমাণিত হয় যে, হযরত মুহাম্মদ (সা.) সর্বশেষ ও সর্বশ্রেষ্ঠ নবি ও রাসুল। তাঁর পরে আর কোনো নবি বা রাসুল আসবে না এবং আসার প্রয়োজনও নেই ।
অ্যাসাইনমেন্ট-৩
অ্যাসাইনমেন্ট | বিষয়বস্তু | নির্দেশনা |
শিরক কী? শিরকের পরিণাম ও প্রতিকার আলোচনা কর/তুলে ধর। | ১. শিরক কী?
২. শিরকের পরিণাম ও প্রতিকার |
১. শিরকের পরিচয় বর্ণনা করতে হবে ।
২. শিরকের পরিণাম ও প্রতিকার আলোচনা করতে হবে । |
অ্যাসাইনমেন্ট ৩-এর উত্তর
অ্যাসাইনমেন্টের শিরোনাম : শিরকের পরিণাম ও প্রতিকার ।
ভূমিকা : আল্লাহ তা’আলার নিকট সবচেয়ে জঘন্যতম অপরাধ হচ্ছে শিরক। এর পরিণাম ভয়াবহ। পবিত্র কুরআন ও হাদিসে শিরক থেকে বেঁচে থাকার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
শিরক : ইসলামি পরিভাষায় কোনো ব্যক্তি বা বস্তুকে আল্লাহ তা’আলার সমকক্ষ বা সমতুল্য মনে করাকে শিরক বলে। যে শিরক করে তাকে মুশরিক বলে ।
শিরকের পরিণাম ও প্রতিকার : মানুষ আশরাফুল মাখলুকাত বা সর্বশ্রেষ্ঠ সৃষ্টি। আল্লাহ তা’আলা মানুষকে অফুরন্ত নিয়ামত দান করেছেন। তারপরেও আল্লাহ তা’আলার অফুরন্ত নিয়ামত পেয়েও যারা আল্লাহ তা’আলার সাথে শিরক করে তাদের প্রতি আল্লাহ তা’আলা খুবই অসন্তুষ্ট হন। তিনি ক্ষমাশীল ও দয়ালু হওয়া সত্ত্বেও শিরকের অপরাধ ক্ষমা করবেন না ।
যারা শিরকের লিপ্ত হয় তাদের দুনিয়ার কল্যাণ ও আখিরাতে মুক্তি সম্ভব নয়। তাদের জন্য জান্নাত হারাম হয়ে যাবে। জাহান্নামই হবে তার আবাসস্থল। তাদের জন্য কোনো শাফাআতকারী থাকবে না।
তাই সকলের কর্তব্য হলো সর্বদা শিরক থেকে বেঁচে থাকা। কোনোভাবে শিরক হয়ে গেলে পুনরায় বিশুদ্ধ অন্তরে তাওবা করে ইমানের দিকে ফিরে আসতে হবে। আমরা শিরক থেকে বেঁচে থাকতে সচেষ্ট থাকব এবং এ বিষয়ে মহান আল্লাহর সাহায্য প্রার্থনা করব ।
অ্যাসাইনমেন্ট-৪
অ্যাসাইনমেন্ট | বিষয়বস্তু | নির্দেশনা |
শাফা’আত কী? মানবজীবনে আখিরাতের প্রতি ইমান কেমন প্রভাব ফেলে আলোচনা কর। | ১. শাফায়াত
২. মানবজীবনে আখিরাতের প্রতি ইমানের প্রভাব |
১. শাফাআত-এর পরিচয় বর্ণনা করতে হবে।
২. মানবজীবনে আখিরাতে প্রতি ইমানের প্রভাব আলোচনা করতে হবে । |
অ্যাসাইনমেন্ট ৪-এর উত্তর
অ্যাসাইনমেন্টের শিরোনাম : মানবজীবনে আখিরাতের প্রতি ইমানের প্রভাব ।
ভূমিকা : আখিরাতের প্রতি ইমান বা বিশ্বাস মানুষকে সুশৃঙ্খল ও বিধিবদ্ধ জীবনাচারে বাধ্য করে। আখিরাতে বিশ্বাস যেকোনো পরিস্থিতিতে মানুষকে সৎকর্মশীলতার ওপর দৃঢ় রাখে ।
শাফা’আত : ইসলামি পরিভাষায় শেষ বিচারের দিন ক্ষমা ও কল্যাণ লাভের জন্য মহান আল্লাহর অনুমতিক্রমে নবি-রাসুলগণ, ফেরেশতাগণ ও পুণ্যবান বান্দাগণ কর্তৃক মহান আল্লাহর কাছে সুপারিশ করাকে শাফাআত বলে ।
মানবজীবনে আখিরাতের প্রতি ইমানের প্রভাব : আখিরাতের প্রতি ইমান মানুষকে সর্বাবস্থায় তাকওয়াবান বানায় এবং সে প্রবৃত্তির তাড়না থেকে দূরে থাকে। আখিরাতের প্রতি ইমান থাকলে মানুষ সৎকর্মশীল হয় এবং লোভ-লালসা ত্যাগ করে অল্পে তুষ্ট থাকার গুণ অর্জন করে।
আখিরাত বিশ্বাস মানুষকে বিপদে ধৈর্যধারণের শক্তি যোগায়। আখিরাতের স্বার্থে মানুষ ইহলৌকিক স্বার্থ ত্যাগ করে শরিয়তের সকল বিধিবিধান নির্দ্বিধায় পালন করতে পারে।
আখিরাতের প্রতি বিশ্বাস থাকলে এভাবে ব্যক্তি ও সমাজজীবনে আসে আমূল আখিরাতের সর্বশেষ ধাপ জান্নাত লাভের আশায় এবং জাহান্নাম থেকে মুক্তি লাভের জন্য মানুষ সর্বদা সতর্ক থাকে এবং পাপাচার থেকে বেঁচে থাকার চেষ্টা করে।
তাই আমরা পার্থিব জীবনে শরিয়ত মেনে চলব এবং আখিরাতের মুক্তির জন্য আল্লাহর কাছে সাহায্য কামনা করব ।
উক্ত বিষয় সম্পর্কে কিছু জানার থাকলে কমেন্ট করতে পারেন।
আমাদের সাথে ইউটিউব চ্যানেলে যুক্ত হতে এখানে ক্লিক করুন এবং আমাদের সাথে ফেইজবুক পেইজে যুক্ত হতে এখানে ক্লিক করুন। গুরুত্বপূর্ণ আপডেট ও তথ্য পেতে আমাদের ওয়েবসাইটে ভিজিট করুন।