৮ম শ্রেণির অষ্টম শ্রেণি জীবন ও জীবিকা‘র পর্যবেক্ষণমূলক প্রশ্নোত্তর | Class8 2024 | সমাধান : ৮ম শ্রেণির অষ্টম শ্রেণি জীবন ও জীবিকা‘র এর অধ্যায়টি হতে গুরুত্বপূর্ণ সব সমাধানগুলো গুলো আমাদের এই পোস্টে পাবেন। অতএব সম্পূর্ণ পোস্টটি মনোযোগ সহকারে পড়তে থাকুন।
ধরন ৩ পর্যবেক্ষণমূলক প্রশ্ন ও উত্তর
প্রশ্ন ১। কোনো স্থানে আগুন লাগলে করণীয় কী? উত্তর : কোনো স্থানে আগুন লাগলে যা যা করতে হবে-(ক) বিচলিত হওয়া যাবে না ৷
(খ) ফায়ার সার্ভিসের নাম্বারে (১৬১৬৩) নাম্বারে কল দিতে হবে। (গ) পরিধানের কাপড়ে আগুন লাগলে গায়ে ভেজা কম্বল জড়াতে হবে । অথবা মাটিতে গড়াগড়ি দিতে হবে । (ঘ) আগুন নিয়ন্ত্রণ করা সম্ভব না হলে দ্রুত নিরাপদ স্থানে সরে _আসুন এবং অন্যদেরকেও সাহায্য করুন বের হয়ে আসতে। (ঙ) বাসায় আগুন লাগলে আগুনের ধরন বুঝে তা নির্বাপণের চেষ্টা করুন। গ্রামের চুলায় আগুন ধরলে ভেজা কাথা বা বস্তা ইত্যাদি দিয়ে ঢেকে দিলে আগুন নিভে যাবে ।
প্রশ্ন ২। ফায়ার ড্রিল পরিচালনায় কী কী সুবিধা ও অসুবিধা রয়েছে?
উত্তর : সুবিধাসমূহ
১. এটি একটি সহজ ব্যবহার প্রক্রিয়া এবং
২. এটি আগুন নিরাপত্তা বৃদ্ধি করে ।
ফায়ার ড্রিল পরিচালনায় অসুবিধাসমূহ:
১. ফায়ার তার আটকানোর সময় সমস্যা হতে পারে ।
২. এটি দখলকারীর চিহ্নিত করার ব্যবস্থা নেই।
৩. এটি বিদ্যুৎ লাগার কাজে ব্যবহার করা যায় না ইত্যাদি ।
প্রশ্ন ৩। কীভাবে কোনো কঠিন কাজও আনন্দদায়কভাবে করা যায়? ব্যাখ্যা কর।
উত্তর : কাজ যতই কঠিন হোক না কেন, যদি কাজের প্রতি ভালোবাসা ও আগ্রহ থাকে তাহলে কঠিন কাজটিও সহজ হয়ে যায়। কেননা, কাজের প্রতি ভালোবাসা ও আগ্রহ শরীরকে স্বয়ংক্রিয়ভাবে কষ্ট সহ্য করার প্রস্তুত করে তোলে ।
অনেক কঠিন কাজ করার পরও তার সাফল্যের দিকে তাকালে মন আনন্দে ভরে উঠে। তাই কাজের ব্যস্ততা ও কঠোর পরিশ্রমের পর সাফল্য পাওয়ার আগ পর্যন্ত এটা বলা যাবে না, আমি খুবই ক্লান্ত, তাহলে ব্যর্থতা জেঁকে বসবে।
বরং নিজেকে বলতে হবে আমি ক্লান্ত নই; এতে রক্তে অক্সিজেনের মাত্রা বেড়ে যাবে, কাজের উদ্দীপনা তৈরি হবে। আর কাজের সফলতা আনন্দিত ও উৎফুল্লিত করে তেলে ।
আমাদের ইউটিউব চ্যানেলে যুক্ত হন। নিয়মিত শিক্ষামূলক ভিডিও আপলোড করা হচ্ছে।
প্রশ্ন ৪। “নিজ হাতে করি কাজ, নেই তাতে কোনো লাজ” চরণটির ব্যাখ্যা কর।
উত্তর : নিজ হাতে নিজের কাজ করতে কোনো লাজ নেই । আমরা যদি আমাদের কাজগুলো নিজেরাই করি, এতে আমাদের আত্মবিশ্বাস বৃদ্ধি ও পরিবারে সুখ-সমৃদ্ধি নিয়ে আসে। এভাবে আমাদের পরিবারের কিছু কাজ থাকে, আমাদের সামাজিক কিছু কাজ থাকে । যা আমাদের দায়িত্ববান করে তোলে ।
প্রশ্ন ৫। আমরা কীভাবে পরিবারকে আর্থিক কাজে সহায়তা করতে পারি? আলোচনা কর।
উত্তর : পারিবারিক কাজের মধ্যে গুরুত্বপূর্ণ একটি কাজ হলো পরিবারের বিভিন্ন আর্থিক কাজে সহায়তা করা। আমরা পরিবারকে বিভিন্নভাবে আর্থিক কাজে সহায়তা করতে পারি ।
যেমন- নিজের পোশাক দোকানে ইস্ত্রি না করে যদি নিজেই করি, এতে কিছু আর্থিক ব্যয় কমে; পরিবারের বিভিন্ন কাজে সহায়তা করলে গৃহকর্মী বাবদ কিছু খরচ বেঁচে যায়। অল্প দূরত্বের রাস্তা হেঁটে গেলে কিছু খরচ বেঁচে যায়।
অযথা খরচ কমিয়ে দিয়েও আমরা পরিবারকে আর্থিক সহায়তা করতে পারি। অপরদিকে পোশাকে ডিজাইন, বিভিন্ন খাবার, ডিজিটাল কন্টেন্ট ইত্যাদি তৈরি করে বিক্রয়ের মাধ্যমেও আমরা পরিবারে আর্থিক কাজে সহায়তা করতে পারি।
প্রশ্ন ৬। পরিবারে পারিবারিক মজুদ ব্যবস্থাপনার সুফল আলোচনা কর।
উত্তর : পারিবারিক মজুদ ব্যবস্থাপনা বলতে একটি পরিবারে যেসব নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্য ব্যবহার করা হয়, তার যথাযথ মজুদ থাকাকে বোঝায় ।
এর অনেক সুফল রয়েছে। যেমন- ব্যয় কমে : পারিবারিক মজুদ ব্যবস্থাপনা থাকলে আর্থিক ব্যয়। কমানো যায়। কেননা, কেউ যখন কোনো পণ্য একসাথে পরিমাণে বেশি ক্রয় করে এতে করে কম টাকায় পণ্য কেনা যায়। এতে পারিবারিক ব্যয় কমে যায়।
সময়ের সাশ্রয় হয় : এক সাথে পরিমাণে বেশি পণ্য কিনলে, পণ্যটি ঘরে মজুদ থাকে বিধায় বার বার বাজারে যেতে হয় না । এর ফলে সময়েরও সাশ্রয় হয় ।
অনাকাঙ্ক্ষিত পরিস্থিতি সৃষ্টি হয় না : পারিবারিক মজুদ ব্যবস্থাপনা থাকলে অনাকাঙ্ক্ষিত পরিস্থিতি থেকে রক্ষা পাওয়া যায়। পরিবারের কর্তা ব্যক্তিরা সব সময়ই ব্যস্ত সময় কাটায়। যার কারণে, প্রতিদিনই তাকে নানান কাজের আঞ্জাম দিতে হয়। অনেক সময় খুব প্রয়োজনীয় নিত্যপণ্যের কথা ভুলে গেলে অনেক ক্ষেত্রে অনাকাঙ্ক্ষিত পরিস্থিতির তৈরি হয় ।’
৮ম শ্রেণির অষ্টম শ্রেণি জীবন ও জীবিকা‘র পর্যবেক্ষণমূলক প্রশ্নোত্তর | Class8 2024
আরো দেখুন
বরিশাল ইতিহাস ঐতিহ্য
বরিশাল ইতিহাস ঐতিহ্য ।। বরিশাল বাংলাদেশের একটি প্রাচীন ও ঐতিহ্যবাহী অঞ্চল। এর ইতিহাস ও সংস্কৃতি দীর্ঘ এবং সমৃদ্ধ। বরিশালকে বলা...
ফ্রী শিক্ষামূলক ভিডিও মেকার,শিক্ষামূলক ভিডিও কিভাবে করা যায়
ফ্রী শিক্ষামূলক ভিডিও মেকার,শিক্ষামূলক ভিডিও কিভাবে করা যায়।। শিক্ষামূলক ভিডিও তৈরি করতে কিছু ধাপ অনুসরণ করা প্রয়োজন। এখানে কিছু ধাপ...
দাঁত ও দাঁতের মাড়ি সুস্থ রাখতে চাইলে যেসব কাজ গুলো করা জরুরী
প্রতিটি মানুষের সকল মন্ত্রের মূল চাবিকাঠী স্বাস্থ্য! স্বাস্থ্য ভালো থাকলে মন ভালো থাকে, কাজের অগ্রগতিও ভাড়ে, স্বাস্থ্য ভালো আপনার সব...
শান্তিগঞ্জের বগুলারকাড়া গ্রামের স্কুল মাঠে কাবাডি খেলা
শান্তিগঞ্জের বগুলারকাড়া গ্রামের স্কুল মাঠে কাবাডি খেলা।। সুনামগঞ্জ প্রতিনিধি।। গ্রামবাংলার প্রাচীনতম ঐতিহ্য বাংলাদেশের জাতীয় খেলা কাবাডি(হা ডু ডু) খেলার ঐতিহ্য...
প্রশ্ন ৭। পারিবারিক মজুদ ব্যবস্থাপনায় বিবেচ্য দিকগুলো কী কী? আলোচনা কর ।
উত্তর : পারিবারিক মজুদ ব্যবস্থাপনার ক্ষেত্রে কয়েকটি বিষয় বিবেচনায় নিয়ে আমরা অতি সহজেই আমাদের পরিবারে দৈনন্দিন ব্যবহার্য পণ্যের ঘাটতি বা অত্যধিক মজুদায়নের সমস্যার সমাধান করতে পারি :
(ক) আগে ক্রয়কৃত মজুদ আগে ব্যবহার (দ্রুত পচনশীল পণ্যের ক্ষেত্রে) : কিছু নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্য দ্রুত নষ্ট হয়ে যায় (যেমন : শাকসবজি, মাছ-মাংস)। ফলে এ জাতীয় পণ্যের ক্ষেত্রে যেটি আগে ক্রয় করা হয়েছে, সেটি আগে ব্যবহার করতে হবে।
(খ) কী পরিমাণ মজুদ হাতে রেখে পুনরায় ক্রয়ের উদ্যোগ নিতে হবে তা নির্ধারণ : আমরা লক্ষ করলে দেখতে পাই যে, প্রতিদিন আমাদের পরিবারে যে পরিমাণ চাল বা সবজি প্রয়োজন হয়, সেই পরিমাণ লবণ বা তেল প্রয়োজন হয় না।
তাই প্রতিটি পণ্যের ক্ষেত্রে কী পরিমাণ মজুদ হাতে রেখে পুনরায় ক্রয়ের উদ্যোগ নিতে হবে তা হিসাব করে নির্ধারণ করতে হবে। এক্ষেত্রে প্রতিটি দ্রব্যের পরিমাণ ভিন্ন ভিন্ন হতে পারে।
(গ) বেশি পরিমাণ/পাইকারি ক্রয়ের ব্যবস্থা করা : আমরা জানি, কোনো একটি পণ্য একত্রে বেশি পরিমাণ বা পাইকারি আকারে ক্রয় করলে দামে ছাড় পাওয়া যায়, পরিবহন খরচ সাশ্রয় হয় এবং সময় বাঁচে। তাই পরিবারে নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্যের চাহিদা, পরিমাণ ও আর্থিক সচ্ছলতার বিষয়টি বিবেচনায় রেখে পাইকারিভাবে পণ্য ক্রয়ের বিষয়টি বিবেচনা করতে হবে ।
(ঘ) কী পরিমাণ পণ্য নতুন করে কিনতে হবে তা নির্ধারণ : এ ক্ষেত্রে কী পরিমাণ পণ্য নতুন করে ক্রয় করলে অতি মজুদায়নের জন্য পণ্য নষ্ট হবে না, সেদিকে লক্ষ রাখতে হবে। তবে এর পাশাপাশি এটাও লক্ষ রাখতে হবে- অল্প মজুদের কারণে পরিবারের দৈনন্দিন কাজ যেন ব্যাহত না হয় ।
প্রশ্ন ৮। মজুদ খতিয়ান ব্যবহারের সুবিধা কী কী?
উত্তর : পরিবারে মজুদ খতিয়ান ব্যবহারের ফলে প্রতিটি পণ্য কী পরিমাণ মজুদ আছে, কী পরিমাণ পণ্য নতুন করে ক্রয় করতে হবে তা সহজেই জানা যায়। এছাড়া নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্যের শূন্যতা বা আধিক্যের কারণে নষ্ট হওয়ার সম্ভাবনা কম থাকে ।
প্রশ্ন ৯। একটি অনুষ্ঠান আয়োজনে কী কী দিক লক্ষ রাখতে হয়? আলোচনা কর।
উত্তর : একটি অনুষ্ঠান পরিচালনা করার বিস্তারিত পরিকল্পনা বা প্রক্রিয়া হলো ইভেন্ট ম্যানেজমেন্ট। এ ধরনের কার্যক্রমে যেসব দিক লক্ষ রাখতে হয় সেগুলো হলো-
- দলগত যোগাযোগের মাধ্যমে কার্যকর সিদ্ধান্ত গ্রহণ : ইভেন্ট ম্যানেজমেন্ট একটি দলগত কাজ, তাই দলের প্রত্যেক সদস্যের মাঝে বোঝাপড়া ভালো হতে হবে। যোগাযোগের ক্ষেত্রে কোনোরকম বিঘ্ন (কমিউনিকেশন গ্যাপ) যেন তৈরি না হয়, সেদিকে লক্ষ রাখতে হবে। আয়োজনে অভিনবত্ব আনয়ন : যে ধরনের অনুষ্ঠানই হোক না কেন, তার আয়োজনে সৃজনশীলতার ছাপ থাকতে হবে। উপস্থাপনায়, ভাবগাম্ভীর্যে এবং সঞ্চালনায় যেন অভিনত্ব থাকে; দর্শক যেন অনুষ্ঠানে এসে একঘেয়েমিতে না ভোগেন; আকর্ষণ ও বৈচিত্র্য খুঁজে পান, সেদিকে বিশেষভাবে নজর রাখতে হবে ।
- চাহিদা/উদ্দেশ্য অনুযায়ী অনুষ্ঠান সাজানো : অনুষ্ঠানের চাহিদা ভালোভাবে বুঝে নিয়ে সেভাবে সাজানো ও পরিচালনার পরিকল্পনা করতে হবে। উক্ত পরিকল্পনায় কোনো কিছু বাদ পড়েছে কি না, তা বারবার ফিরে দেখতে হবে ।
- নিষ্ঠার সঙ্গে মিতব্যয়ী বাজেট প্রণয়ন ও পরিচালনা : অনুষ্ঠানটিকে নিজের বলে ভাবতে হবে। অযথা খরচ বা বাড়তি খরচ যেন না হয়, সেদিকে সতর্ক দৃষ্টি রাখতে হবে। পরিমিত খরচের মধ্যে সুন্দরভাবে উপস্থাপন করতে পারার কৌশল রপ্ত করতে হবে, যাতে আয়োজক প্রতিষ্ঠান বিমুখ বা অসন্তুষ্ট না হয়ে যায় ।
- আয়োজনে শৃঙ্খলা, নিরাপত্তা এবং সকলের প্রবেশগম্যতা নিশ্চিত করতে হবে ।
- নির্ধারিত সময়ের মধ্যেই আয়োজন সম্পন্ন করতে হবে।
- আয়োজনে প্রয়োজনীয় সব জিনিসের প্রাপ্তি/অনুমতি গ্রহণ ইত্যাদি নিশ্চিত করতে হবে।
- আয়োজন শেষে পরিচ্ছন্নতা নিশ্চিত করতে হবে।
প্রশ্ন ১০ । অনুষ্ঠান পরিচালনায় কী কী দক্ষতা গুরুত্বপূর্ণ? আলোচনা কর।
উত্তর : যোগাযোগ দক্ষতা : ইভেন্ট ম্যানেজমেন্টের ক্ষেত্রে এটি একটি গুরুত্বপূর্ণ দক্ষতা। অনুষ্ঠান আয়োজনের জন্য মৌখিক ও লিখিত দুই ধরনের যোগাযোগ দক্ষতাই প্রয়োজন। অনুষ্ঠানের জন্য সরাসরি কিংবা ফোনে কথা বলা, আমন্ত্রণপত্র তৈরি ও বিতরণ, অনুষ্ঠান-সংশ্লিষ্ট বিভিন্ন ধরনের তথ্য সংগ্রহ ও সরবরাহ, অনুষ্ঠানের প্রচার-প্রচারণা, মতামতের ভিত্তিতে কোনো সিদ্ধান্তের প্রতি কাজ করানো বা আকৃষ্ট করা, (convinced) ইত্যাদি কাজ করার জন্য যোগাযোগে পারদর্শী হতে হবে।
সংগঠন ও সময় ব্যবস্থাপনা দক্ষতা : ইভেন্ট ম্যানেজমেন্টের জন্য সাংগঠনিক দক্ষতা থাকা জরুরি। কারণ, একটি ইভেন্টের সাফল্য একক কোনো ব্যক্তির কাজের ওপর নির্ভর করে না। দলগতভাবে সবার দায়িত্ব পালনের মাধ্যমেই কাজটি নিখুঁতভাবে সম্পন্ন হয়। তাই সবাইকে কাজে সম্পৃক্ত করে কাজ করিয়ে নেওয়ার সক্ষমতা অর্জন করতে হবে ।
বাজেট ব্যবস্থাপনা দক্ষতা : এটি একটি অতি গুরুত্বপূর্ণ দক্ষতা। ইভেন্টের নকশার ওপর ভিত্তি করে উপকরণ ও অন্যান্য প্রয়োজনীয় সামগ্রী ক্রয় কিংবা ভাড়া করা, যাতায়াত খরচ, শ্রমিক মজুরি, বিশেষ কোনো সম্মানী ইত্যাদি সংক্রান্ত আয় ও ব্যয়ের হিসাব সংরক্ষণ ও নির্বাহ করার দক্ষতা অর্জন করতে হবে ।
সৃজনশীলতা ও উদ্ভাবনী দক্ষতা : ইভেন্ট বা অনুষ্ঠান আয়োজন, পরিচালনা কাজে অবশ্যই সৃজনশীল হতে হবে। অনুষ্ঠানের ধরন অনুযায়ী সাজসজ্জায় নতুনত্ব, সুশৃঙ্খল, আকর্ষণীয় ও অভিনব উপস্থাপনা ইত্যাদির ওপর এ সফলতা অনেকখানি নির্ভর করে। নিয়মিত চর্চার মাধ্যমে সৃজনশীলতা ও উদ্ভাবনী দক্ষতা বিকশিত কারয়ে করা সম্ভব।
প্রশ্ন ১১। তোমার শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে ‘২১ ফেব্রুয়ারি, আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস’ যথাযথ মর্যাদার সঙ্গে পালনের লক্ষ্যে একটি অনুষ্ঠানসূচি তৈরি কর ।
উত্তর : আমার শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে ‘২১ ফেব্রুয়ারি, আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস’ পালনের লক্ষ্যে একটি অনুষ্ঠানসূচি তৈরি করা হলো-
অনুষ্ঠানের স্থান : শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের কেন্দ্রীয় মঞ।
অনুষ্ঠানের সময় : সকাল ৭টা
অনুষ্ঠানের লক্ষ্য : আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবসের মর্যাদা রক্ষা প্রসঙ্গে ।
অনুষ্ঠানের কার্যসূচি:
১. অনুষ্ঠানের সূচনা : কোরআন তিলাওয়াতের মাধ্যমে অনুষ্ঠান শুরু হবে ।
২. সঙ্গীত পরিবেশনা : সুললিত কণ্ঠে, গভীর ভক্তি ও শ্রদ্ধার সাথে আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস উপলক্ষে রচিত সঙ্গীত পরিবেশন ।
৩. স্বাগত বক্তব্য : অনুষ্ঠানের সভাপতি স্বাগত বক্তব্যের মাধ্যমে সবাইকে বরণ করে নিবেন।
৪. বক্তব্য : আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবসের মর্যাদা ও গুরুত্ব প্রসঙ্গে ছাত্র-ছাত্রী, গুণীজন ও শিক্ষাবিদদের বক্তব্য । ৫. পুরস্কার ও সম্মাননা : আন্তর্জাতিক মাতৃভাষার ওপর অনুষ্ঠিত প্রতিযোগিতার পুরস্কার ও অতিথিদের সম্মাননা ক্রেস্ট প্ৰদান ।
৬. প্রধান অতিথির বক্তব্য : মাতৃভাষার সম্মান রক্ষায় আমাদের করণীয় বিষয়ে বক্তব্য প্রদান করবেন ।
৭. সমাপনী : ভাষাশহিদসহ সকলের জন্য দোয়া ও মুনাজাতের মাধ্যমে অনুষ্ঠানের সমাপ্তি ঘোষণা ।
প্রশ্ন ১২। তোমার স্কুলের বিতর্ক প্রতিযোগিতা আয়োজন করা হবে। তুমি অষ্টম শ্রেণির ক্লাস ক্যাপ্টেন হিসেবে আয়োজনটির আহ্বায়ক হলে কীভাবে অনুষ্ঠানটি আয়োজন করবে?
উত্তর : আমি বিতর্ক প্রতিযোগিতার আয়োজন সম্পর্কে আগ্রহী হওয়ায় স্কুলের প্রধান শিক্ষকের সাথে যোগাযোগ করব । প্রতিযোগিতার সমস্ত বৈশিষ্ট্য ও বিবরণ জানার পরে আমি একটি নোট তৈরি করব যাতে তার দ্বারা তিনি প্রতিযোগিতার সমস্ত বিবরণ এবং নিয়ম সম্পর্কে জানতে পারেন। আবশ্যক হিসেবে আমি প্রতিযোগিতার জন্য একটি নির্দিষ্ট কক্ষ করব।
একটি প্লেব্যাক তৈরি করব। যাতে প্রতিযোগীদের উত্তরগুলো ভিন্ন ভিন্ন কার্ডে তাদের নম্বরটি স্ক্রিনে দেখা যায়। আমি স্থানীয় পত্রিকা দ্বারা অনুষ্ঠানের আয়োজন ঘোষণা করব এবং প্রতিযোগিতা বিজয়ীদের জন্য বিজয়ীদের জন্য পুরস্কার পুরস্কার বিতরণ করব।
প্রতিযোগিতার সমগ্র পরিচালনার জন্য ভলান্টিয়ার নিয়োগ করব। তাদের কাজগুলো বুঝিয়ে দিব এবং নিয়মিতভাবে কাজগুলো সম্পর্কে তথ্য নিব। শেষে আমি প্রতিযোগিতার বিজয়ীদের জন্য পুরস্কারের ব্যবস্থা করব যাতে সবাই উৎসাহ পায়। .
৮ম শ্রেণির অষ্টম শ্রেণি জীবন ও জীবিকা‘র পর্যবেক্ষণমূলক প্রশ্নোত্তর | Class8 2024
প্রশ্ন ১৩। মনে কর, তুমি তোমার মায়ের ছোটবেলার বান্ধবীদের একটা মিলনমেলা আয়োজনের দায়িত্ব পেয়েছ । আনন্দঘন পরিবেশে দিনটি তাদের উপহার দেওয়ার জন্য তুমি অনুষ্ঠানটি কীভাবে পরিচালনা করবে তার একটি পরিকল্পনা কর ।
উত্তর : প্রথমে মায়ের বান্ধবীদের এ বিষয়ে মতামত নেওয়ার জন্য যাব। তাদের সামনে বিস্তারিত পরিকল্পনা তুলে ধরা এবং তাদের মতামত ও পরামর্শ শোনা ।
এরপরে মায়ের বান্ধবীদের ও তাদের সন্তানদের জন্য উপযোগী একটি সুন্দর লোকেশন সিলেক্ট করতে হবে।
মনোযোগ দেওয়া উচিত আগে সকলের অর্থনৈতিক এবং স্বাস্থ্য সমস্যাগুলো সিলেক্ট করতে হবে।
অনুষ্ঠানে খাদ্য, পানীয় এবং প্রাথমিক চিকিৎসা সম্পর্কিত বিষয়গুলো অন্তর্ভুক্ত রাখতে হবে ।
উপযোগী ভলান্টিয়ারদের একটি সম্ভাব্য তালিকা তৈরি করতে হবে ।
উপযোগী স্মার্টফোন অ্যাপস অনুসরণ করা যায় যাতে মোবাইলে বিভিন্ন তথ্য-উপাত্ত পোস্ট এবং সম্পর্কিত তথ্যগুলো সার্ভ করতে হবে। সকলের জন্য একটি তালিকা তৈরি করতে হবে, যাতে স্থানের নাম এবং তথ্য বর্ণনা থাকবে ।
যাতে প্রত্যেকেই নিশ্চিত হতে পারেন যে সকল পদক্ষেপ সময় মতো হবে এবং সবকিছু বিন্যাস ভালো হবে যাতে সকলকে সন্তুষ্ট করা যায়।
প্রশ্ন ১৪। তোমার পরিবারে মজুদ ব্যবস্থাপনার লক্ষ্যে তুমি কী কী পদক্ষেপ নিয়েছ?
উত্তর : আমার পরিবারে মজুদ ব্যবস্থাপনার লক্ষ্যে আমি যে যে পদক্ষেপ নিয়েছি-
১. পরিবারে যেসব নিত্যপণ্যের প্রয়োজন হয়, সেগুলোর তালিকা তৈরি করেছি।
২.. দ্রুত পচনশীল পণ্যগুলোকে পৃথক করেছি ।
৩. পরিবারের চাহিদা ও আয়ের ওপর ভিত্তি করে সাপ্তাহিক ও মাসিক পারিবারিক মজুদ খতিয়ান (স্টক লেজার) তৈরি করেছি।
৪. মজুদ খতিয়ানে (স্টক লেজারে) পণ্যের নাম, পরিমাণ ও মূল্য অনুমান করে নির্ধারণ করেছি।
৫. দ্রুত পচনশীল পণ্যবাদে, দাম ও সময় বাঁচানোর জন্য মাসের শুরুতে পাইকারিভাবে অন্যান্য পণ্য ক্রয়ের ব্যবস্থা করেছি।
প্রশ্ন ১৫। মজুদ ব্যবস্থাপনা বলতে কী বোঝ?
উত্তর : ‘পারিবারিক মজুদ ব্যবস্থাপনা’ কথাটি প্রধানত দুটি ধারণা নিয়ে গঠিত। একটি হলো ‘পারিবারিক মজুদ’ অন্যটি হলো ব্যবস্থাপনা। এখানে ‘পারিবারিক মজুদ’ বলতে একটি পরিবার যেসব নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্য ব্যবহার করে তার পর্যাপ্ত/যথাযথ পরিমাণ জমা বা মজুদ থাকাকে বোঝায় ।
এ পণ্যগুলোর মধ্যে রয়েছে চাল, ডাল, আটা, ময়দা, লবণ, তেল, পেঁয়াজ, মরিচ, মাছ, মাংস, শাকসবজি ইত্যাদি। আর ব্যবস্থাপনা বলতে বোঝায় নিত্যব্যবহার্য পণ্যের যথাযথ তালিকা তৈরি, সংগ্রহ বা ক্রয়, সংরক্ষণ ও ব্যবহার ব্যবস্থাপনা যথাযথ করতে হলে লক্ষ রাখতে হবে, পরিবারে কোনো এক বা একাধিক নিত্যব্যবহার্য পণ্য (চাল, ডাল, আটা, ময়দা, লবণ, তেল, পেঁয়াজ, মসলা ইত্যাদি) যেন পুরোপুরি শেষ না হয়ে যায়। যার কারণে আমাদের পরিবারে খাদ্য তৈরিতে ব্যাঘাত ঘটে।
উক্ত বিষয় সম্পর্কে কিছু জানার থাকলে কমেন্ট করতে পারেন।
আমাদের সাথে ইউটিউব চ্যানেলে যুক্ত হতে এখানে ক্লিক করুন এবং আমাদের সাথে ফেইজবুক পেইজে যুক্ত হতে এখানে ক্লিক করুন। গুরুত্বপূর্ণ আপডেট ও তথ্য পেতে আমাদের ওয়েবসাইটে ভিজিট করুন।