৬ষ্ঠ শ্রেণি-বাংলা ৬ষ্ঠ অধ্যায় : সাহিত্য পড়ি লিখতে শিখি,নাটক।। ৬ষ্ঠ শ্রেণি-বাংলা ৬ষ্ঠ অধ্যায় : সাহিত্য পড়ি লিখতে শিখি,নাটক>
৬ষ্ঠ শ্রেণি – বাংলা
৬ষ্ঠ অধ্যায় : সাহিত্য পড়ি লিখতে শিখি
৫ম পরিচ্ছেদ – নাটক
মূলকথা:
অভিনয়ের উপযোগী করে লেখা সংলাপ-নির্ভর রচনাকে নাটক বলে। নাটক মূলত অভিনয়ের জন্য লেখা হয়। অভিনয়ের সময় নাটকের চরিত্রগুলো একজন অন্যজনের সঙ্গে কথা বলে, সেই কথাগুলোকে বলা হয় সংলাপ। সংলাপ যাদের মুখ দিয়ে উচ্চারিত হয়, তাদের বলে চরিত্র। নাটকের কাহিনি সংলাপের মাধ্যমে এগিয়ে যায়। নাটকে এক বা একের বেশি দৃশ্য থাকে। “সুখী মানুষ’ নাটকে দুটি দৃশ্য আছে। প্রথম দৃশ্য মোড়লের বাড়ি, আর দ্বিতীয় দৃশ্য বনের ধারে ছোট একটি কুঁড়েঘরের সামনে। নাটক যারা লেখেন তাঁদের নাট্যকার বলে। যেখানে নাটক অভিনয় করা না, সেই জায়গাকে বলা হয় ম্য। নাটকের বিভিন্ন চরিত্রে যাঁরা অভিনয় করেন তাদের বলা হয় অভিনেতা। মঞ্চের সামনে বসে যাঁরা নাটক উপভোগ করেন, তাঁদের বলা হয় দর্শক। এ সবকিছু মিলেই নাটকের সার্থকতা।
টাইপ-১ : পাঠ্যবইয়ের বিষয়বস্তু সংশ্লিষ্ট একক ও দলীয় কাজের সমাধান
কাজ-১ : অভিনয় করি। (মূল বই পৃষ্ঠা -১৩১)
উত্তর: শিক্ষকের নির্দেশনায় ‘সুখী মানুষ’ নাটকটি সহপাঠীদের সাথে নিয়ে অভিনয় করো।
কাজ-২ : বলি ও লিখি “সুখী মানুষ’ নাটকটির কাহিনি প্রথমে গল্পের মতো করে বলো, তারপর দেখো। (মূল বই পৃষ্ঠা – ১২৯)
৬ষ্ঠ শ্রেণি-বাংলা ৬ষ্ঠ অধ্যায় : সাহিত্য পড়ি লিখতে শিখি,নাটক
- আরো পড়ুন: ৬ষ্ঠ শ্রেণি-বাংলা ৬ষ্ঠ অধ্যায় : সাহিত্য পড়ি লিখতে শিখি,কবিতা
- আরো পড়ুন:৬ষ্ঠ শ্রেণি-বাংলা ৬ষ্ঠ অধ্যায় : সাহিত্য পড়ি লিখতে শিখি,গান
- আরো পড়ুন: ৬ষ্ঠ শ্রেণি-বাংলা ৬ষ্ঠ অধ্যায় : সাহিত্য পড়ি লিখতে শিখি,গল্প
- আরো পড়ুন: ৬ষ্ঠ শ্রেণি-বাংলা ৬ষ্ঠ অধ্যায় : সাহিত্য পড়ি লিখতে শিখি,প্রবন্ধ
- আরো পড়ুন: ৬ষ্ঠ শ্রেণি-বাংলা ৬ষ্ঠ অধ্যায় : সাহিত্য পড়ি লিখতে শিখি,নাটক
উত্তর: অসুস্থ মোড়ল বিষানায় শুয়ে ছটফট করছে। কবিরাজ মোড়লের ধমনি পরীক্ষা করছেন। মোড়লের একজন আত্মীয় হাসু মিয়া মোড়লের বিশ্ব চাকরকে বিদ্রুপ করে যদল, কবিরাজ যতই পরীক্ষা-নিরীক্ষা করুক, মোড়লের রেহাই নেই। মোড়ল একটা কঠিন লোক। সুবর্ণপুরের মানুষদের অনেক যন্ত্রণা দিয়েছে। এর গোরু তার যান আত্মসাৎ করে মোড়ল ধনী হয়েছে। মোড়লের বিশ্বম চাকর রহমত আলী ভয়ে কাতর হয়ে যায়। সে মানুকে অনুরোধ করে তাকে যেন তা না দেখায়। ভয়ে সে কেঁদে ফেলতে পারে। হাসু বলল, যত ইচ্ছা কাঁদো।
কোনো লাভ নেই। রহমত আঁতকে উঠে বলল- মোড়ল অন্যায় করেছে বলে কি মোড়লের ব্যারাম ভালো হবে না? হাসুর এক কথা- মোড়ল অত্যাচারী, পাপী। মনের মধ্যে অশান্তি থাকলে ওষুধে কাজ হয় না। মোড়ল ভালো হবে না। সে মরবেই। দেখে নিও। রহমত হাসুকে অভিমানের পরে আজেবাজে কথা না বলে বাড়ি চলে যেতে বলল। হাসু মিয়া আর রহমত আলির তর্কাতর্কিতে বিরক্ত হয়ে কবিরাজ তাদেরকে কোলাহল করতে মানা করল। কবিরাজ গভীর মনোযোগ দিয়ে মোড়লের নাড়ি পরীক্ষা করছিল।
৬ষ্ঠ শ্রেণি-বাংলা ৬ষ্ঠ অধ্যায় : সাহিত্য পড়ি লিখতে শিখি,নাটক
মোড়ল বাঁচবে কিনা, মোড়লের নাড়ি কী বলছে, কবিরাজ পরীক্ষা করে কী বুঝতে পারল এসব জিজ্ঞেস করে রহমত আলী কবিরাজের কান ভারি করে ফেলল। কবিরাজ শান্তঘরে তাকে বলল মূর্খের মতো কথা বলবে না। কোনো মানুষই অমর নয়। আমার কথা মনোযোগ দিয়ে শোনো। কবিরাজের কথা শুনে হাসু মিয়া বলে উঠল, আমাকে বলুন, আমি মোড়লের মামাতো ভাই। রহমত আলীও বলে উঠল আমাকে বলুন, মোড়ল আমার মনিব। কবিরাজ তাদের দুজনকেই উদ্দেশ্য করে বলল, এই নিষ্ঠুর মোড়কে বাঁচাতে চাইলে একটি কঠিন কাজ করতে হবে। একটি অসাধ্য সাধন করতে হবে। যাদু মিয়া জানতে চাইল, বাঘের চোখ আনতে হবে?
কবিরাজের দাবি এ কাজটি আরও কঠিন। রহমত জানতে চাইল, হিমালয় পাহাড় তুলে আনতে হবে? কবিরাজের উত্তর, পাহাড়, চন্দ্র, সমুদ্র, গ্রহ, নক্ষত্র কিছুই আনতে হবে না। ঠিক এই মুহূর্তে মোড়ল ব্যথায় ককিয়ে উঠে আহাজারি করতে লাগল। মোড়ল ব্যথা সহ্য করতে পারছিল না। গা জ্বালা-পোড়া করতে লাগল। হাত ভেঙে যাওয়ার উপক্রম হলো। বাঁচার জন্য মোড়লের সে কী আকুতি। সবার কাছে সাহায্য চাইতে লাগল। কবিরাজ মোড়লকে শান্ত হতে বলে রহমতকে বলল শরবত খাওয়াতে। হাসু মোড়লের প্রতি অভিযোগ করে বলল, এই মোড়ল জোর করে তার মুরগি জবাই করে খেয়েছে। হাসু আজ মুরগির দাম নিয়ে ছাড়বে।
মোড়ল হাসুর সব অভিযোগ স্বীকার করে নিয়ে হাসুকে কাছে ডাকল। হাসুকে তার প্রাপ্য ফিরিয়ে দেওয়ার প্রতিশ্রুতি দিল। বিনিময়ে মোড়ল হাসুর কাছে শান্তি এনে দেওয়ার আবদার করল। তখন কবিরাজ মুখ খুলল। কবিরাজ মোড়লের কাছে জানতে চাইল আর কোনো দিন মিথ্যা বলবে কিনা। লোভে পাপ, পাপে মৃত্যু। আর কোনোদিন লোভ করবে কিনা। মোড়ল কবিরাজের মাথায় হাত রেখে প্রতিজ্ঞা করল সে আর কোনোদিন মিথ্যা বলবে না। মানুষের উপর জুলুম-অত্যাচার করবে না। কারও উপর জবরদস্তি করবে না।
কখনো লোড করবে না। সকল পাপকর্ম ছেড়ে দেওয়ার প্রতিশ্রুতি করে মোড়লের একটাই অনুনয়, তাকে সুখ এনে দিতে হবে। কবিরাজ ওষুধের কথা চিন্তা করার জন্য মোড়লকে চুপচাপ মনের সুখে শুয়ে থাকতে নির্দেশ দিলেন। কিন্তু মোড়লের মনে সুখ নেই। সে সুখ খুঁজে বেড়াচ্ছে। তাকে সুখ এনে দেওয়ার জন্য অনুনয় করল। হাসু মোড়লকে ব্যঙ্গ করে বলল, অন্যের মনে দুঃখ দিয়ে কোনোদিন সুখ পাওয়া যায় না। কিন্তু মোড়লের তখনও শিক্ষা হয়নি। সে তার অঢেল টাকা ও বিরাট আলিশান বাড়ির বড়াই করে চলল।
কবিরাজ মোড়লকে ধমক দিয়ে বললেন, চুপ থাক। যত কোলাহল করবে শুভ দুঃখ পাবে। কবিরাজ মোড়লের অসুখ ভালো করার পথা খুঁজে বের করলেন। হাসুকে ভেকে বললেন, মনোযোগ দিয়ে যেন কবিরাজের কথা শ্রবণ করে। যদি আজ রাতের মাঝেই একটি ফড়ুয়া এনে মোড়লকে পরাতে পারে তাহলে মোড়লের ক্যারাম ভালো হতে পারে। তবে শর্ত হলো, জামাটা হতে হবে একজন সুখী মানুষের, যার মনে কোনো দুঃখ নেই। এমন একজন সুখী মানুষ খুঁজে বের করতে হবে, যার চারপাশ আনন্দে ভরপুর। দুঃখ যাকে স্পর্শ করতে পারে না।
এমন সুখী মানুষের জামা এনে মোড়লকে পরাতে পারলেই মোড়লের অসুখ ভালো হয়ে যাবে। কবিরাজ মোড়লের অসুখটা ধরতে পেরেছেন। মোড়লের অসুখটার নাম হাড়-মড়মড় রোগ। রহমত ভেবেছিল এটা খুব সোজা ওষুধ। কবিরাজ রহমতের ভুল ধারণা ভেঙ্গে দিয়ে বললেন, কাজটা সোজা নয়। কাজটা বড়ই কঠিন। তোমাদের ধারণার চাইতেও কঠিন। সুখী মানুষের জামা খুঁজে আন। সুখী মানুষের আমা না আনতে পারলে অসুখী মোড়ল মারা যাবে। মোড়ল তখনও দ- করে বলল, সে বাঁচবে। জামা আনার বদলে প্রয়োজনে হাজার টাকা বখশিশ দেবে।
হাসু মিয়া আর রহমত আলী সুখী মানুষের সন্ধানে বের হলো। কিন্তু আশ্চরে্যর কথা, তারা পাঁচ গ্রাম খুঁজেও একজনও সুখী মানুষ পেল না। যাকেই ধরে সেই বলে দেয়, সে সুখী মানুষ নয়। তার মনে অনেক দুঃখ। তখন রাত বারোটা। তারা দুইজনে সুখী মানুষ খুঁজে ক্লান্ত-শ্রান্ত হয়ে গেল। বনের ধারে অন্ধকার রাতে চাদের ম্লান আলোয় বিষন্ন মনে তারা বসে পড়ল। সামনে ছোট্ট একটি কুঁড়েঘর। হাসু মিয়া ও রহমত আলী গালে হাত নিয়ে সুচিন্তা করছিল। তখন রাত বারোটা। কবিরাজের বেঁধে দেওয়া সময় প্রায় শেষ হতে চলল।
সুখী মানুষ পাওয়া যায়নি। সুখী মানুষের জামাও পাওয়া যায়নি। মোড়লের বেঁচে থাকার আশা ধীরে ধীরে কমে আসছে। মোড়লের মৃত্যু সুনিশ্চিত। তারা কী করবে কিছুই বুঝে উঠতে পারছে না। তাদের দিশেহারা অবস্থা। রহমত একজন সুখী মানুষের জন্য হাহাকার করতে লাগল। হাসু বলল, সুখী মানুষ পাওয়া যাবে না, জগতে সুখ বড় কঠিন জিনিস। এই সংসারে ধনী আরও বেশি বেশি ধন চায়। একজন ভিক্ষুক বেশি বেশি ভিক্ষা পাওয়ার কামনা করে। পেটুকের ভাই আরও খাবার। সবাই অসুখী। কারও মুখ নেই। কারও তৃপ্তি নেই।
রহমত তখন চরম ভিন্ন একটা বাস্তবসম্মত কথা বলে ফেলল। রহমত এবং হাসু হন্যে হয়ে সুখী মানুষ খুঁজে বেড়াচ্ছে। অথচ তারা নিজেরাই সুখী নয়। মোড়লের বখশিশের লোভে তারা সুখী মানুষের জামা খুঁজে বেড়াচ্ছে। এই মুহূর্তে কুঁড়েঘর থেকে একটা মৃদু আওয়াজ তাদেরকে চমকে দিল। রহমত ভেবেছিল ভূত। এই নির্জন বনে ভূতের খপ্পরে প্রাণ দেওয়ার চাইতে সে পালিয়ে যাওয়ার পরামর্শ দিল। কিন্তু হাসু সাহস করে ঘরের। ভেতর কে আছে বলে হাঁক দিল। রহমত হাসুকে ডাকাডাকি করতে বারণ করছিল। এরই মধ্যে ঘর থেকে একজন লোক বেরিয়ে এসে তাদেরকে ফিরে তারা কারা? কী চায়?
হাসু বলল, আমাদের খুব মুঃখ, আমরা দুঃখী মানুষ। তুমি কে? লোকটি মনের আনন্দে উত্তর দিল, সে একজন সুখী মানুষ।
তার মনে কোনো দুঃখ-কণী নেই। সে কখনই বেশি পাওয়ার আকাক্সক্ষা করে না। সারাদিন বনে বনে কাঠ কাটে। সেই কাঠ বাজারে বিক্রি করে যা পায়, তাই দিয়ে চাল, ডাল কিনে মনের সুখে পরম তৃপ্তি সহকারে খেয়ে গান গাইতে গাইতে ঘুমিয়ে পড়ে। সুনিদ্রা হয়। এক ঘুমেই রাত পার হয়। হাসু অবাত হয়ে জানতে চাইল, বনের মধ্যে একলা ঘুমাতে ভয় করে কি না। চোর আসলে কী হবে? চোর এসে সোনাদানা, জামা-জুতা সব নিয়ে গেলে কী হবে। হাসুর কথা শুনে লোকটির হাসি আর ধরে না। মনে হয় সে এমন অদ্ভুত কথা কোনোদিন শোনেনি। লোকটি হাসতে হাসতেই বলল, চোর এলে বলব আমার যা কিছু আছে সব নিয়ে যাও। হাসু আর রহমত নিশ্চিত হলো লোকটি আসলেই একজন সুখী মানুষ।
লোকটি গলা ছেড়ে বলতে লাগল, দুনিয়াতে আমার মতো সুখী কেউ নেই। আমি সুখের রাজা। আমি মস্ত বড়ো বাদশা। তারা সুখী লোকটির কাছে তার জামাটা চাইল। ঘর থেকে জামাটা নিয়ে আসতে চান। বিনিমিয়ে ১০০ টাকা বখশিশ দেওয়ার প্রস্তাব দিল। লোকটি জামার কথা শুনে অবাক হলো। রহমত তাকে বোঝাল মানুষ গায়ে যেই জামা পরে সেই জামা। প্রয়োজনে তাকে পাঁচশো টাকা দেবে। মোড়লকে বাঁচানোর জন্য জামাটা খুব দরকার। মোড়লের খুব কষ্ট হচ্ছে। লোকটি তাদেরকে বলল যে, তার কোনো জামা নেই। হাসু ভাবল সে মিথ্যা কথা বলছে। আসলে লোকটি মিথ্যা কথা বলেনি। লোকটির কাছে আসলেই জামা নেই। তার ঘরে জামা-কাপড় আসবাবপত্র কিছুই নেই। আর কিছু নেই বিধায়ই সে রাগতের সুখী মানুষ।
কাজ-৩ : জীবনের সম্পর্ক ‘সুখী মানুষ’ নাটকের সাথে তোমার জীবনের বা চারপাশের কোনো নিল খুঁজে পাও কি না, কিংবা কোনো সম্পর্ক খুঁজে পাও কি না, তা নিচে লেখো। (মূল বই পৃষ্ঠা – ১৩০)
উত্তর: আমাদের গ্রামে একটি জমিদার বাড়ি আছে। জমিদারের অঢেল সম্পত্তি ছিল। বেশিরভাগ সম্পত্তিই হয় মানুষের দখলে চলে গিয়েছে নয়তো সরকার বাজেয়াপ্ত করেছে। জমিদার বাড়িটি এখন সরকারি সম্পত্তি। আমাদের গ্রামে প্রচলিত আছে, এই জমিদার খুবই ভয়ংকর প্রকৃতির মানুষ ছিলেন। প্রজাদের উপর অত্যাচার চালাতেন। তার বাড়ির চাকর-চাকরানিরা সব সময় তার ভয়ে তটস্থ থাকত। চাষিদেরকে ফসলের ন্যায্য অধিকার দিত না। মানুষকে বিপদে ফেলে তার সহায়-সম্পত্তি হাতিয়ে নিত।
কেউ অভাবী হয়ে জমিদারের শরণাপন্ন হলে জমিদার তাকে সাহায্য করত না। কেউ ঋণের জন্য আসলে কঠিন শর্তে চড়া সুদে ঋণ দিত। সময় মতো ঋণ পরিশোধ করতে না পারলে এই ব্যক্তির চাষের জমি, গোয়ালের পর এমনকি ভিটেমাটি পর্যন্ত জমিদার দখল করে নিত। তাতেও যেন জমিদারের শখ মেটে না। সে উক্ত ব্যক্তিকে তার স্ত্রী-সন্তানসহ নিজের চাকর বানিয়ে নিত। যৎসামান্য খাদ্য উপকরণ ছাড়া জমিদারের কাছ থেকে কিছুই পেত না। এভাবে রক্ত চুষে গরিব অসহায় মানুষের উপর অত্যাচার করে জমিদার সম্পদের পাহাড় গড়ে তোলে।
শত শত মানুষের দীর্ঘশ্বাস আর অভিশাপের উপর বালাখানা তৈরি করে জমিদার জাইন জারি করে যে, তার বাড়ির ত্রি-সীমানায় কেউ জুতা পরে হাঁটতে পারবে না। জমিদারের বহর যে রাস্তা দিয়ে যাবে সেই রাস্তা দিয়ে কেউ চলতে পারবে না। জমিদার বহর নিয়ে চলে গেলেই কেবল ঐ রান্না ব্যবহার করতে পারবে। জমিদারের সামনে মাথা উঁচু করে কথা বলা যাবে না। দুই বগলের নিচে ছাতা এবং জুতা রেখে মাথা নিচু করে দাঁড়িয়ে থাকতে হবে।
এভাবে জমিদার চারপাশে একক তাসের রাজত্ব কায়েম করেছিল। জমিদার এর পেটোয়া বাহিনী তৈরি করেছিল, যাদের কাজ ছিল, যারা জমিদারের আইনের সামান্য হেরফের করবে তাদেরকে শাস্তি দেওয়া। মাঝে মাঝে জমিদার মানুষকে এত কঠিন শাস্তি দিত যে, মানুষের অলহানি ঘটত। মারা যাওয়ার ঘটনাও নতুন কিছু নয়। এত সব অত্যাচারের পরেও মানুষ মুখ বুজে সব সহ্য করে যেত।
কারণ জমিদারের অন্যায়ের প্রতিবাদ করার মতো ক্ষমতা কারও ছিল না। কিন্তু প্রকৃতি কাউকে ছাড় দেয় না। মানুষের দ্দন আহাজারি সর্বশক্তিমান আল্লাহ ঠিকই শুনেছিলেন। আল্লাহর কুদরত বোঝা বড় দায়। জমিদারের এত এত সম্পদ, সুরম্য প্রাসাদ, সুসজ্জিত বাগিচা, চারদিকে অসংখ্য অগণিত সেবক-সেবিকা, পাইক-পেয়াদা, লোক-লশকর থাকা সত্ত্বেও জমিদারের মনে কোনো সুখ ছিল না। প্রথমত সব সময় তাকে ভয়ে ভয়ে থাকতে হতো। কারণ তার বাবাও জমিদার ছিল এবং নিজ দেহরক্ষীর হাতে নির্মমভাবে নিহত হয়েছিল।
এই কারণে অমিদারের মনে সর্বদা ভয় কাজ করত। কখন, কোথা থেকে কে আক্রমণ করে কিছুই বলা যায় না। জমিদারের মানসিক শান্তি নষ্ট হয়ে গিয়েছিল। রাতে ঘুমাতে পারত না। এরই মধ্যে জমিদারের আরও একটা উপসর্গ দেখা দিল। পেটের পীড়া। সে প্রায় কিছুই খেতে পারত না। যা-ই খায় না কেন, পেটে হজম হয় না। ঘরভর্তি খানা। ফল-ফলাদির অভাব নেই। পুকুরভরা নানান প্রজাতির বিশাল বিশাল মাছ। সব চাকর-চাকরানিদের পেটে যায়। খাবার টেবিনে হরেক রকম খাদ্যের পসরা সাজানো থাকে। কয়েক রকমের পোলাও।
চার- পাঁচ প্রজাতির উন্নত মানের চাউলের ভাত, খাঁটি গাওয়া ঘি, পাখির গোশত, গরুর গোশতের নানান মানুন আরও কত কী! কিন্তু জমিদার কিছুই যেতে পারে না। বদহজম হয়। অনেক ডাক্তার-বৈদ্য দেখাল। কিছুতেই রোগ সারে না। শেষে দলবল নিয়ে বিলাতে গিয়েছিল চিকিৎসা করাতে। বিলাতি জাব্বাররা নানান রকম পরীক্ষা-নিরীক্ষা করে জমিদারকে শুধু চিড়া ভিজিয়ে লবণ দিয়ে খেতে বলেছেন।
লোকমুখে প্রচলিত আছে, এতে নাকি জমিদারের পেটের কিছুটা উপকার হয়েছিল। কিন্তু আমৃত্যু তাকে লবণ দিয়ে চিড়া ভিজিয়ে খেতে হয়েছিল। শুধু লবণ চিড়া খাওয়ার কারণে দিন দিন তার স্বাস্থ্য ভেঙে পড়েছিল। চেহারা নষ্ট হয়ে গিয়েছিল। শরীর ভালো না থাকলে মনও ভালো থাকে না। জমিদারিও ভালো লাগে না। মানুষ বলাবলি করত জমিদার মানুষের রিজিক নষ্ট করেছে, আল্লাহ জমিদারের রিজিক কেড়ে নিয়েছেন।
এত প্রাচুরে্যর মাঝেও জমিদারকে খাবারের কষ্ট করতে হয়েছিল। এইসব সমস্যার বাইরেও জমিদারের আরও একটা বিরাট সমস্যা ছিল। জমিদার ছিল নিঃসন্তান। এত বড় জমিদারি, অথচ কোনো উত্তরাধিকারী নেই। জমিদার নির্বংশের ভয়ে সর্বদা লজ্জিত থাকত। একটি সন্তানের আশায় দ্বিতীয় বিয়ে করেছিল। জমিদারেরা দুই স্ত্রীর মাঝেও সব সময় বিবাদ লেগেই থাকত। এ কারণে জমিদারের অন্তরের শান্তিও নষ্ট হয়ে যায়। এভাবে জমিদারের সকল নিয়ন্ত্রণ আছে আছে ভেঙে পড়ে। অসুস্থ শরীর, নিঃসন্তানের হতাশা, ভেতরের কোন্দল ইত্যাদির কারণে জমিদার ঠিকমতো জমিদারি পরিচালনা, করতে পারছিল না। ফলে সময়মতো ব্রিটিশদের কর পরিশোধ করতে পারেনি। একপর্যায়ে তার জমিদারি নিলামে ওঠে।
জমিদারের চারপাশের লোকেরা জমিদারকে একে একে সবাই ছেড়ে যেতে লাগল। জমিদার নিঃস্ব এবং অসহায় হয়ে গেল। জমিদারের এতটাই করুণ পরিণতি হয়েছিল, যে, যারা তাকে এতদিন হত্যা করার জন্য দ্রুত পেতে ছিল, তারাও তাকে হত্যা করার আগ্রহ হারিয়ে ফেলন। কারণ জমিদারের মৃত্যুর চাইতে তার বেঁচে থাকাটা বেশি কষ্টকর। তাকে হত্যা করার চাইতে বাঁচিয়ে রাখাটাই বেশি শাস্তির।
শেষ জীবনে জমিদার মানুষের করুণার উপর বেঁচে ছিল। তার কয়েবাঞ্জন বিশ্বষ পেয়াদা নিঃস্বার্থভাবে তাকে সেবাযতœ করত। সেই সময়ে জমিদারের কিছু স্বার্থান্বেষী সুযোগসন্ধানী আৰীয়-স্বজন তার মৃত্যুর পর অবশিষ্ট সম্পত্তির লোভে তার চারপাশে ভিড় জমিয়েছিল। জমিদার সবই বুঝতে পারত।
কিন্তু কিছুই বলতে পারত না। জমিদার একসময় নিঃসঙ্গ অবস্থায় মারা গেল। নিঃসন্তান হওয়ার কারণে তার আত্মীয়-স্বজন তার সম্পত্তি ভোগ-দখলের জন্য নানান তদবির করতে লাগল। তাদের মধ্যে কোমল তৈরি হলো। হতাহতের মতো ঘটনাও ঘটল। আদালতে মামলা হলো। এই মামলায় কেউই জিততে পারেনি। সবাই ক্ষতিস্ত হলো। জমিদার তার সকল প্রভাব-প্রতিপত্তি, অর্থ-বিত্ত, সুরম্য প্রাসাদ রেখে লাঞ্ছনার জীবন বয়ে শেষমেশ কবরে চলে যায়। তার অধিকাংশ সম্পত্তি এখন বেওয়ারিশ চারপাশের মানুষ লুটেপুটে খাচ্ছে। বাড়ি এবং স্থাবর কিছু সম্পত্তি সরকারি তত্ত্বাবধানে রয়েছে। মানুষকে কষ্ট নিয়ে কখনই সুখী হওয়া যায় না।
টাইপ-২ : অধিকতর অনুশীলন সহায়ক অতিরিক্ত একক ও দলীয় কাজের সমাধান
কাজ-১ : তোমাদের এলাকার এক প্রভাবশালী লোক মানুষের উপর অত্যাচার করে। জোর খাটিয়ে এটা ওটা কেড়ে নেয়া। সম্পদের মোহে সে জন্য হয়ে গেছে। সুখী মানুষ গল্প থেকে শিক্ষা নিয়ে তুমি তাকে কীভাবে সৎপথে আনবে?
উত্তর: আমি লোকটিকে সুখের স্বরূপ বোঝানোর চেষ্টা করব। তাকে বলব আপনি এতসব তো সুখের জন্যই করেছেন। সুখ আসলে অর্থসম্পদ থেকে আসে না। সুখের উৎপত্তি মনে। আপনি মানুষের মনে কষ্ট দিয়ে কখনো সুখী হতে পারবেন না। যদি সত্যিকারের সুখী হতে চান তাহলে মানুষের অধিকারগুলো ফিরিয়ে নিন। যার যার প্রাপ্য তাদেরকে নিয়ে দিন। মানুষের উপর অত্যাচার করা বন্ধ করুন। মানুষকে ভালোবাসুন।
লোভলালসা ত্যাগ করুন। আপনার যতটুকু আছে তাতেই সন্তুষ্ট থাকুন। আপনার আকাক্সক্ষা যত বাড়বে আপনার সুখ তত কমে যাবে। কারও বিপন দেখে হাসবেন না। বিপদে-আপদে মানুষের পাশে দাঁড়াবেন। মন থেকে আপনার জন্য মঙ্গল কামনা করবে এমন কিছু মানুষ তৈরি করুন। তাহলেই দেখবেন প্রকৃত সুখ আপনার কাছে ধরা দেবে।
কাজ-২ : গল্প অভিনয় করা যায়। তোমাদের পাঠ্যবই এর কয়েকটি ছাড়া ও পরে তোমরা অভিনয় করতে পারো। নিচের নির্দেশিকা অনুসরণে বন্ধুদের নিয়ে অভিনয় করো।
উত্তর:
ক. চিঠি বিশি’ ছড়াটি সহপাঠীদের সাথে অভিনয় করে দেখাও।
চরিত্র পরিচিতি : ব্যাঙ (পোস্টম্যান), মাকি (চিংড়ি মাছের বাচ্চা), খলসে, ভেটকি মাছের নাতনি, কাতলা।
[অভিনয়ের আগে সহপাঠীদের সঙ্গে আলোচনা করে প্রত্যেকে এক একটি চরিত্র অনুযায়ী অভিনয় করবে।]
মঞ্চের দৃশ্যপট : (বারকার করে বৃষ্টি পড়ছে। ব্যাস্ত ছাতা মাথায় চিঠি বিলি করতে চলেছে। এ ক্ষেত্রে ব্যাঙের কাঁধে থাকবে একটি ঝুলি। চিংড়ি হলো খেয়ানৌকার মাঝি। সে নৌকার হাল ধরে চোখ বুজে বসে থাকবে।)
ব্যাঙ : (ব্যাঙ চিংড়িকে বলবে) তোমাকে বিলের খলসে চিঠি লিখেছে। (এ ক্ষেত্রে ব্যাঙ তার ঝুলি থেকে একটি চিঠি বের করে চিংড়ি মাথকে দেবে।)
(ব্যাঙ একটু সামনের দিকে এগিয়ে যাবে, মনে করতে হবে নদীর ওপারে গিয়েছে এবং সামনে সকলকে ডেকে জিজ্ঞাসা করার ভঙ্গিতে বলবে)
ব্যাঙ : ভাইসব, ভেটকি মাছের নাতনি নাকি বিদেশে গেছে?
তার যে চিঠি এসেছে আজ। বিলের কাতলা তাকে চিঠি লিখেছে।
(তারপর আবার সবাইকে সতর্ক করার উদ্দেশ্যে বলবে) – সারা দেশে প্রচুর বৃষ্টিপাত হবে। এ কারণে ছাতা কিনেছি। (চিংড়ি মাঝির নৌকা আর ছাতা দেখিয়ে বলবে) যতই বর্ষা আসুক, এগুলোই আমার ভরসা।
খ. শ্রেণির বন্ধুদের সাথে মিলে ‘সাত ভাই চম্পা’ গল্পটি অভিনয় করে দেখাও।
চরিত্র পরিচিতি : রাজা, বড়ো রানি, ছোটো রানি, খালি, পাইক-পেয়াদা।
যন্ধের দৃশ্যপট : (রাজা চরিত্রটি বিষয় হয়ে সিংহাসনে বয়ে থাকবেন। হঠাৎ ছোটো রানির সন্তান হওয়ার খবর শুনে আনন্দিত হবেন। পাইক- পেয়াদাদেরকে রাজ্যে তা ঘোষণা দিতে বলবেন। পাইক-পেয়াদারা ঢাক-ঢোল বাজিয়ে সকলের উদ্দেশে ঘোষণা দেবে।
পাইক : ঘোষণা! ঘোষণা! ঘোষণা। ছোটো রানির সন্তান হওয়ার কথা শুনে রাজা খুশি হয়ে রাজভান্ডার খুলে দিয়েছেন। যে যত পারো মিঠাই- ম-া, মণি-মানিক দুহাত ভরে নিয়ে আসো।
(কয়েকজন সহপাঠী মিলে বড়ো রানিদের ভূমিকায় অভিনয় করবে এবং একজন ছোটো রানির ভূমিকায় অভিনয় করবে। রাজা ও ছোটো রানির কোমরে লম্বা দড়ি বেঁধে দিতে হবে এবং আলাদা স্থানে একটি কাপড় টানিয়ে আঁতুড়ঘরে ছোটো রানিকে নিয়ে যাওয়া হবে। একটু পরেই বড়ো রাদিয়া দিলে দড়ি ধরে টান দেবে এবং রাজা তৎক্ষণাৎ চলে আসবেন। এভাবে পর পর তিনবার করবে এবং রাজা সন্তান দেখতে না পেয়ে রাগ করে বাড়া রানিদের বলবেন।)
রাজা : রাজ্য এবার ছেলে না হওয়ার আগে দড়ি ধরে টান দিলে সব রানিকে কেটে ফেলব।
(রাজার প্রস্থান ঘটবে)
(ছোটো রানির সাতটি ছেলে এবং একটি মেয়ে হবে। এ ক্ষেত্রে পুতুল ব্যবহার করা যেতে পারে। ছোটো রানি বড়ো রানিদের বলবে।)
ছোটো রানি : দিনি, কী ছেলে হলো একবার দেখালি না।বড়ো রানিরা হাত-পা নাড়াচাড়া করে, মুখ বিকৃত করে ছোটো রানিকে জবাব দেবে)-
বড়ো রানিরা : ছেলে না হাতি রয়েছে ওর আবার ছেলে হবে? কয়টা ইঁদুর আর কয়টা কাঁকড়া হয়েছে।
[এ ক্ষেত্রে ইঁদুর ও কাঁকড়া হিসেবে খেলনা ব্যবহার করা যেতে পারে।]
ছোটো রানি এ কথা শুনে অজ্ঞান হয়ে যাবে। এই সুযোগে বড়ো রানিরা পুতুলগুলোকে অন্য জায়গায় সরিয়ে ফেলবে। তারপর আবার দড়ি ধরে টান দেবে। রাজা তৎক্ষণাৎ আসবেন এবং বড়ো রানিরা তাঁকে খেলনা ইঁদুর ও কাঁকড়া দেখাবে। রাজা রেগে গিয়ে রানিকে তিরস্কার করে তাঁর চোখের সামনে থেকে চলে যেতে বলবেন। বড়ো রানিরা আনন্দে হাসি-খুশি থাকবে এবং ছোটো রানি মনমরা হয়ে থাকবে।
হঠাৎ মালি চরিত্র এসে রাজাকে বলবে যে সে বাগানে সাতটি চাঁপা ও একটি পারুল ফুলকে কথা বলতে দেখেছে। এক্ষেত্রে ফুলগুলো সাতটি ছেলে সহপাঠী ও একজন মেয়ে সহপাঠীর হাতে দিয়ে কথা বলার বিষয়টি বলানো যেতে পারে। শুনে রাজা হতবাক হয়ে যাবেন এবং সকল রানিসহ (ছোটো রানি ছাড়া বাগানে যাবেন। ফুলেরা ছোটো রানির কথা বললে ছোটো রানির আগমন ঘটবে এবং ফুলগুলো ছোটো রানির সন্তান সেই কথা বলবে। রাজা বড়ো রানিদের তিরস্কার করবেন এবং ছোটো রানিকে নিয়ে ঘরে ফিরে যাবেন।
গ. সহপাঠীদের সঙ্গে আলোচনা করে ‘ম্যাজিক’ গল্পটি অভিনয় করে দেখাও।
চরিত্র পরিচিতি : টুটুর বাবা, মা ও টুটু।
[সহপাঠীদের সঙ্গে আলাপ-আলোচনা করে কে কোন চরিত্রে অভিনয় করবে তা ঠিক করে নাও।]
মঞ্চের দৃশ্যপট : (একটি ইমিটেশনের চুড়ির দুটি টুকরো নিয়ে এসে টুটুর মা টুটুর বাবাকে বলবে।)-
টুটুর মা : মেয়ে কী কাজ করেছে জানো? সোনার চুরিটা ভেঙে দু-টুকরো করে ফেলেছে।
টুটু : ইচ্ছে করে ভেঙেছি নাকি? পা পিছলে পড়ে গিয়েছিলাম। তাই চুড়িটা ভেঙে গেছে।
(টুর মা চুড়ির টুকরো দুটো বালিশের নিচে রেখে দিতে গিয়ে বালিশের কভারের নিচে রেখে দেবেন। কিছুক্ষণ পর তিনি সেটা খুঁজতে থাকবেন কিন্তু তা খুঁজে পাবেন না। চুচুর মা টুটুর বাবাকে বললেন)-
টুটুর মা : চুরির টুকরো দুটো কি তুমি সরিয়ে রেখেছ। আমি তা খুঁজে পাচ্ছি না।
টুটুর বাবা : না, আমি তো নিইনি। ভালো করে খুঁজে দেখো।
টুটুর মা : সত্যি নাওনি?
টুটুর বাবা : না।
(কিছুক্ষণ ভেবে টুটুর বাবা টুটুর মাকে বলবেন বালিশের ওয়াড়ের ভিতর খুঁজে দেখো তো, যাও। পরে টুটুর মা সেটা খুঁজতে যাবেন এবং অবশেষে চুড়ির টুকরো দুটো পাবেন।)
- আরো পড়ুন: Class 6: ষষ্ঠ শ্রেণির নতুন বাংলা বই || অনুশীলনমূলক কাজ ও সমাধান
- আরো পড়ুন:ষষ্ঠ শ্রেণির বাংলা অভিজ্ঞতাভিত্তিক অনুশীলনমূলক কাজ ও সমাধান
- আরো পড়ুন: ষষ্ঠ শ্রেণির নতুন বাংলা বই || অভিজ্ঞতাভিত্তিক অনুশীলনমূলক কাজ ও সমাধান
- আরো পড়ুন: ষষ্ঠ শ্রেণির নতুন বাংলা বই || অনুধাবনমূলক অনুশীলনমূলক কাজ ও সমাধান
- আরো পড়ুন: ষষ্ঠ শ্রেণির নতুন বাংলা বই || সৃজনশীল প্রশ্নব্যাংক অনুশীলনমূলক কাজ ও সমাধান
ঘ. সহপাঠীদের সঙ্গে মিলে ‘পুতুল’ গল্পটির অভিনয় করে দেখাও।
চরিত্র পরিচিতি : পুরুল, পুতুলের বাবা রহমান সাহেব। (নিজেদের মধ্যে আলোচনা করে ঠিক করো কে কোন চরিত্রে অভিনয় করতে ইচ্ছুক।)
[পুরুলের বাবা পুতুলকে দেখে জিজ্ঞাসা করবেন।]
রহমান সাহেব : আজ তোমার শরীর কেমন?
পুতুল : ভালো।
রহমান সাহেব : কী রকম ভালো সেটা বলো- খুব ভালো, না অল্প ভালো নাকি মন্দের ভালো।
পুতুল : খুব ভালো।
(পুতুলের মতানুসারে গাছ কাটা উচিত নয়। কারণ সে গাছকে ভালোবাসে। তাই সে তার বাবাকে বলবে)-
পুতুল : বাবা গাছগুলো কেন কাটবে?
রহমান সাহেব : গাছ কাটা তোমার পছন্দ নয়?
পুতুল : না।
রহমান সাহেব : গাছগুলোয় শুঁয়োপোকা হয়, তোমার মা এই পোকাটা সহ্য করতে পারেন না। এ ছাড়াও আরেকটি কারণ আছে।
পুতুল : (কিছুক্ষণ চুপ করে থেকে) কী কারণ বাবা?
রহমান সাহেব : গাছগুলোর জন্য ঘরে আলো-হাওয়া তেমন ঢুকতে পারে না। এখন দেখবে প্রচুর রোদ আসবে।
উক্ত বিষয় সম্পর্কে কিছু জানার থাকলে কমেন্ট করতে পারেন।
আমাদের সাথে ইউটিউব চ্যানেলে যুক্ত হতে এখানে ক্লিক করুন এবং আমাদের সাথে ফেইজবুক পেইজে যুক্ত হতে এখানে ক্লিক করুন। গুরুত্বপূর্ণ আপডেট ও তথ্য পেতে আমাদের ওয়েবসাইটে ভিজিট করুন।