৬ষ্ঠ শ্রেণি-বাংলা ৬ষ্ঠ অধ্যায় : সাহিত্য পড়ি লিখতে শিখি,গান।।
৬ষ্ঠ শ্রেণি – বাংলা
৬ষ্ঠ অধ্যায় : সাহিত্য পড়ি লিখতে শিখি
২য় পরিচ্ছেদ – গান
মূলকথা:
সাধারণত কোনো একটি ভাব নিয়ে গান রচিত হয়। রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর রচিত ‘আমরা সবাই রাজা’ গানটি মূলত মনের ইচ্ছার ক্ষেত্রে সকল মানুষই স্বাধীন এবং নিজেই মনের ইচ্ছার রাজা এই ভাব নিয়ে রচিত হয়েছে। গান ও কবিতার মধ্যে মিল থাকলেও অমিলও রয়েছে। যেমন : গান ও কবিতার দুই লাইনের শেষে মিল-শব্দ থাকলেও গানে কোনো একটা মিল বারবার ফিরে আসে। ‘আমরা সবাই রাজা’ গানে ‘নইলে মোদের রাজার সনে মিলব কী স্বত্বে’ লাইনটি বারবার ফিরে এসেছে। এছাড়াও পান কবিতার মতো সুর করে পড়া পেলেও গান পাওয়ার জন্য তবলা, ঢোল ইত্যাদি বাদ্যযন্ত্র ব্যবহার করা হয়, যা কবিতায় ব্যবহৃত হয় না। গান যিনি লেখেন তাঁকে গীতিকার বলা হয়। যিনি গানে সুর দেন তাঁকে বলা হয় সুরকার। আর যিনি গান গেয়ে শোনান তাকে বলা হয় গায়ক বা শিল্পী।
টাইপ-১ : পাঠ্যবইয়ের বিষয়বস্তু সংশ্লিষ্ট একক ও দলীয় কাজের সমাধান
কাজ-১ : বুঝে লিখি- “আমরা সবাই রাজা’ গানটি পড়ে কী বুঝতে পারলে তা নিচে লেখো। (বাংলা মূলবই পৃষ্ঠা : ১০৫)
উত্তর:
‘আমরা সবাই রাজা” গানটির মাধ্যমে শিশুমনে সমাজের প্রতি দায়বদ্ধতা, সম্প্রীতি ও গণতান্ত্রিক মূল্যবোধের ভাব জাগ্রত করার চেষ্টা করা হয়েছে। এর মূলভাব হলো- স্বাধীনতা, শক্তি ও ঐক্য। গানটি অধিকার চেতনার। মানুষে মানুষে সমতা ও গণতান্ত্রিক চেতনার গানও এটি। সবাইকে সাথে নিয়ে, সবাইকে সম্মান ও গুরুত্ব দিয়ে রাজ্য শাসন করলে রাজা ব্যর্থ হন না। জনগণকে সম্মান দিলে প্রকৃতপক্ষে রাজাই সম্মানিত হন, এই দিকগুলো খুব সুন্দরভাবে ফুটিয়ে তোলা হয়েছে গানটিতে।
৬ষ্ঠ শ্রেণি-বাংলা ৬ষ্ঠ অধ্যায় : সাহিত্য পড়ি লিখতে শিখি,গান
- আরো পড়ুন: ৬ষ্ঠ শ্রেণি-বাংলা ৬ষ্ঠ অধ্যায় : সাহিত্য পড়ি লিখতে শিখি,কবিতা
- আরো পড়ুন:৬ষ্ঠ শ্রেণি-বাংলা ৬ষ্ঠ অধ্যায় : সাহিত্য পড়ি লিখতে শিখি,গান
- আরো পড়ুন: ৬ষ্ঠ শ্রেণি-বাংলা ৬ষ্ঠ অধ্যায় : সাহিত্য পড়ি লিখতে শিখি,গল্প
- আরো পড়ুন: ৬ষ্ঠ শ্রেণি-বাংলা ৬ষ্ঠ অধ্যায় : সাহিত্য পড়ি লিখতে শিখি,প্রবন্ধ
- আরো পড়ুন: ৬ষ্ঠ শ্রেণি-বাংলা ৬ষ্ঠ অধ্যায় : সাহিত্য পড়ি লিখতে শিখি,নাটক
ছোটো-বড়ো ভেদাভেদ ভুলে গিয়ে সবাইকে একইসূত্রে গাঁথা হয়েছে এখানে। যার যার নিজস্ব ঢঙে আলাদা ব্যক্তিসত্তার প্রতি গুরুত্ব দিয়ে রচিত হয়েছে গানটি। সর্বোপরি, এই গানের মধ্য দিয়ে সকলের সম অধিকারের কথা বলা হয়েছে।
টাইপ-২ : অধিকতর অনুশীলন সহায়ক অতিরিক্ত একক ও দলীয় কাজের সমাধান
কাজ-২ : একদিন তুমি বিদ্যালয় থেকে বাড়ি ফেরার সময় দেখলে তোমার এলাকার একজন প্রভাবশালী মাতব্বর তার বাড়ির কাজের লোকের সাথে খারাপ ব্যবহার করছে। ঘটনাটি কেমন হলে ভালো হতো বলে তুমি মনে করো? তোমার পঠিত আমরা সবাই রাজা’ গানটির আলোকে ঘটনাটি বিশ্লেষণ করতে পারবে? তোমার মতামতটি খাতায় লেখো।
উত্তর:
পৃথিবীতে কোনো মানুষ অন্য মানুষের দাস নয়। মানুষের সবচেয়ে বড় পরিচয় সে মানুষ। দাসত্বের শৃঙ্খল থেকে বেরিয়ে এসে মাথা উঁচু করে বাঁচতে শিখতে হবে। উল্লিখিত মাতব্বরের কাজটি কোনোভাবেই ঠিক হয়নি। সে মানুষকে মানুষ হিসেবে। মূল্যায়ন করতে ব্যর্থ হয়েছে। ক্ষমতাবান ব্যক্তি যদি তার অধীনদের সাথে ভালো ব্যবহার করে, তাকে শ্রদ্ধা করে তারা সম্মানের জায়গাটা সুরক্ষিত রাখে তাহলে দিন শেষে ক্ষমতাবান ব্যক্তিটি অধিক সম্মানিত হয়। অধীনরা তাকে মন থেকে শ্রদ্ধা-ভক্তি করে। ঊর্ধ্বতন এবং অধীন যদি একসাথে হাতে হাত রেখে কাজে নামে তাহলে সেই কাজে সফল হওয়ার সম্ভাবনা বেশি থাকে।
কাজ-৩ : মনে করো তুমি বড়ো হয়ে কোনো একটা অফিসের বস হলে। তুমি তোমার অধীনদের সাথে কেমন আচরণ করবে। ‘আমরা সবাই রাজা’ গানটির আলোকে বিষয়টি ব্যাখ্যা করো।
উত্তর:
আমি যদি বড় হয়ে কোনো অফিসের বস হই তাহলে আমি আমার অধীনদের সাথে সভা, মার্জিত, সম্মানজনক এবং বন্ধুত্বসুলভ আচরণ করব। মানুষের আসল পরিচয় তারা মানুষ। কেউ কারও চেয়ে বড়ো নয়, কেউ কারও চেয়ে ছোটো নয়। কেউ কারও প্রভু নয়, আবার কেউ কারও দাস নয়। মানুষকে তার প্রাপ্য সম্মান দিলে সেই সম্মান আবার বহুগুণে ফেরত পাওয়া যায়। আমি যেকোনো কাজ তাদের সাথে মিলে করব।
কাজের প্রশংসা করে তাদেরকে উদ্বুদ্ধ করব। আমাদের যেকোনো সাফল্যকে দলীয় সাফল্য হিসেবে আখ্যায়িত করব। এভাবে প্রত্যেক অধীনের মনে জায়গা করে নেওয়ার চেষ্টা করব। কেউ ভুল করলে তাকে তিরষ্কার না করে শুধরে দেব।
কাজ-৪ : আমরা সবাই রাজা’ গানটির মর্মার্থ উপলবদ্ধি করে তোমরা কি বলতে পারবে একজন আদর্শবান রাজা কী ধরনের বৈশিষ্ট্যের অধিকারী হবেন।
উত্তর:
একজন রাজা হবেন সৎ, নির্ভীক, ন্যায়বিচারক, পরোপকারী, পরমতসহিষ্ণু। তিনি তাঁর সকল আমলা ও প্রজাকে নিয়ে একত্রে কাজ করবেন। রাজ্যের গুরুত্বপূর্ণ পদে যথাযোগ্য ব্যক্তিকে দায়িত্ব দেবেন। প্রত্যেক ব্যক্তিকে প্রাপ্য অনুযায়ী সম্মান দেবেন। রাজা তার রাজ্যে অন্যায়, জুলুমের কোনো চিহ্ন রাখবেন না। তিনি ত্রাসের রাজত্ব কায়েম করবেন না। কাউকে দাসেও পরিণত করবেন না। সবাই রাজার আপনজন। রাজা সবাইকে সম্মান করার ফলে তিনি সেই সম্মান বহুগুণে ফেরত পাবেন। রাজা কাউকে ছোটোও করবেন না। একসাথে কাজ করলে কোনো কাজে ব্যর্থ হবেন না।
- আরো পড়ুন: Class 6: ষষ্ঠ শ্রেণির নতুন বাংলা বই || অনুশীলনমূলক কাজ ও সমাধান
- আরো পড়ুন:ষষ্ঠ শ্রেণির বাংলা অভিজ্ঞতাভিত্তিক অনুশীলনমূলক কাজ ও সমাধান
- আরো পড়ুন: ষষ্ঠ শ্রেণির নতুন বাংলা বই || অভিজ্ঞতাভিত্তিক অনুশীলনমূলক কাজ ও সমাধান
- আরো পড়ুন: ষষ্ঠ শ্রেণির নতুন বাংলা বই || অনুধাবনমূলক অনুশীলনমূলক কাজ ও সমাধান
- আরো পড়ুন: ষষ্ঠ শ্রেণির নতুন বাংলা বই || সৃজনশীল প্রশ্নব্যাংক অনুশীলনমূলক কাজ ও সমাধান
কাজ-৫ : নিচের গানে গানের কোন কোন বৈশিষ্ট্য প্রকাশ পেয়েছে?
মোরা ঝঞ্ঝার মতো উদ্দাম
গীতিকার- কাজী নজরুল ইসলাম
মোরা ঝঞ্ঝার মত উদ্দাম, মোরা ঝর্ণার মত চঞ্চল।
মোরা বিধাতার মত নির্ভয়, মোরা প্রকৃতির মত সচ্ছল।।
মোরা আকাশের মত বাধাহীন,
মোরা মরু সঞ্চার বেদুঈন,
মোরা জানি না কো রাজা রাজ-আইন,
মোরা পারি না শাসন-উদূখল !
মোরা বন্ধন-হীন জন্ম-স্বাধীন, চিত্ত মুক্ত শতদল।।
মোরা সিন্ধু-জোয়ার কল-কল্
মোরা পাগলা-ঝোরার ঝরা-জল
কল কল কল ছল ছল ছল কল কল কল ছল ছল ছল।।
মোরা দিল-খোলা খোলা প্রান্তর,
মোরা শক্তি-অটল মহীধর,
মোরা মুক্ত-পক্ষ নভ-চর,
মোরা হাসি-গানসম উচ্ছল।
মোরা বৃষ্টির জল বনফল খাই, শয্যা শ্যামল বন-তল।।
মোরা প্রাণ-দরিয়ার কল-কল,
মোরা মুক্তধারার ঝরা-জল।
কল-কল-কল ছল-ছল-ছল কল-কল কল ছল ছল-ছল।।
উত্তর:
১। পর পর দুই লাইনের শেষে মিল-শব্দ আছে।
২। হাততালি দিয়ে পড়া যায়।
৩। সুর করে পড়া ও গাওয়া যায়।
৪। এটি পদ্য ভাষায় লেখা।
৫। এটি শ্রুতিমধুর।
উক্ত বিষয় সম্পর্কে কিছু জানার থাকলে কমেন্ট করতে পারেন।
আমাদের সাথে ইউটিউব চ্যানেলে যুক্ত হতে এখানে ক্লিক করুন এবং আমাদের সাথে ফেইজবুক পেইজে যুক্ত হতে এখানে ক্লিক করুন। গুরুত্বপূর্ণ আপডেট ও তথ্য পেতে আমাদের ওয়েবসাইটে ভিজিট করুন।