৬ষ্ঠ শ্রেণি-বাংলা ৬ষ্ঠ অধ্যায় : সাহিত্য পড়ি লিখতে শিখি,কবিতা ।।
৬ষ্ঠ শ্রেণি – বাংলা
৬ষ্ঠ অধ্যায় : সাহিত্য পড়ি লিখতে শিখি
১ম পরিচ্ছেদ – কবিতা
মূলকথা:
মনের ভাব সুন্দর ভাষায় ছোটো ছোটো বাক্যে যখন প্রকাশিত হয় তখন তা হয় কবিতা। কবিতার ভাষা হয় পদ্য। কবিতার অন্যতম বৈশিষ্ট্য হলো পর পর দুই লাইনের শেষে মিল-শব্দ থাকা। কবিতার বিষয় হতে পারে বৈচিত্র্য। কাজী নজরুল ইসলাম রচিত ‘আমি সাগর পাড়ি দেবো’ কবিতায় কবি নিজের মনের ইচ্ছা সুন্দর ভাষায় ব্যক্ত করেছেন।
এই কবিতায় কবি সওদাগর হয়ে দেশ-বিদেশে ঘুরে-বেড়ানো, বিভিন্ন দেশের সাথে পারস্পরিক সম্পর্ক স্থাপন ও পণ্য বিনিময়, বাধা-বিপত্তির ক্ষেত্রে সাহসী পদক্ষেপ গ্রহণ এবং নিজের দেশমাতৃকার প্রতি অগাধ ভালোবাসা প্রকাশ করেছেন। এই কবিতায় পর পর দুই লাইনের শেষে মিল-শব্দ রয়েছে। যেমন : সওদাগর-মধুকর, ঘাটে হাটে তুলে-দুলে ইত্যাদি।
কবিতার বৈচিত্র্য বিষয় হিসেবে পল্লিকবি জসীমউদ্দীন ‘আমার বাড়ি’ কবিতায় পরিপ্রকৃতির ও জীবনের পরিচয় তুলে ধরেছেন। এক্ষেত্রে তিনি কবিতায় ছন্দ মেলাতে গিয়ে শব্দের চেহারায় পরিবর্তন ঘটিয়েছেন। যেমন: যেয়ো হয়েছে যাইও, ভ্রমর হয়েছে তোমর, পিঁড়ি হয়েছে পিঁড়ে, শুয়ে থেকো হয়েছে শুয়ো ইত্যাদি। এই কবিতায়ও মিল-শব্দ রয়েছে। কবিতায় পল্লিপ্রকৃতি হিসেবে আম, কাঁঠাল, গাই, কলা, ধান, ডালিম প্রভৃতি ব্যবহার করা হয়েছে। এই কবিতায় কবি বন্ধুকে তাঁর বাড়িতে বেড়াতে আসার জন্য নিমন্ত্রণ জানিয়েছেন।
৬ষ্ঠ শ্রেণি-বাংলা ৬ষ্ঠ অধ্যায় : সাহিত্য পড়ি লিখতে শিখি,কবিতা
- আরো পড়ুন: ৬ষ্ঠ শ্রেণি-বাংলা ৬ষ্ঠ অধ্যায় : সাহিত্য পড়ি লিখতে শিখি,কবিতা
- আরো পড়ুন:৬ষ্ঠ শ্রেণি-বাংলা ৬ষ্ঠ অধ্যায় : সাহিত্য পড়ি লিখতে শিখি,গান
- আরো পড়ুন: ৬ষ্ঠ শ্রেণি-বাংলা ৬ষ্ঠ অধ্যায় : সাহিত্য পড়ি লিখতে শিখি,গল্প
- আরো পড়ুন: ৬ষ্ঠ শ্রেণি-বাংলা ৬ষ্ঠ অধ্যায় : সাহিত্য পড়ি লিখতে শিখি,প্রবন্ধ
- আরো পড়ুন: ৬ষ্ঠ শ্রেণি-বাংলা ৬ষ্ঠ অধ্যায় : সাহিত্য পড়ি লিখতে শিখি,নাটক
শামসুর রাহমান রচিত ‘বাঁচতে দাও’ কবিতাটিতে প্রকৃতির বিভিন্ন অনুষঙ্গ হিসেবে গোলাপ ফুল, সোনালি চিল, জোনাকি পোকা, ঘুঘু ইত্যাদি ব্যবহৃত হয়েছে। কবিতা যে হাততালি দিয়ে পড়া যায় তার একটি উজ্জ্বল নিদর্শন হলো ‘বাঁচতে দাও’ কবিতা। যেমন: এই তো দ্যাখো/ ফুলবাগানে / গোলাপ ফোটে / ফুটতে দাও। এভাবে কবিতায় বৈশিষ্ট্য তুলে ধরা হয়েছে আলোচা কবিতায়। এই কবিতায় কবি আমাদের চারপাশের সবকিছুর স্বাভাবিকতা বজায় রাখার আহ্বান জানিয়েছেন।
টাইপ-১ : পাঠ্যবইয়ের বিষয়বস্তু সংশ্লিষ্ট একক ও দলীয় কাজের সমাধান
কাজ-১ : বুঝে লিখি- ‘আমি সাগর পাড়ি দেবো’ কবিতাটি পড়ে কী বুঝতে পারলে তা নিচে লেখো। (বাংলা মূলবই পৃষ্ঠা : ৯১)
উত্তর:
‘আমি সাগর পাড়ি দেবো মাতৃপ্রেম ও দেশপ্রেমের কবিতা। এই কবিতায় মা ও স্বদেশ একাকার হয়ে আছে। কবি এখানে দুঃসাহসী সওদাগর হয়ে সপ্ত মধুকর সাগরে ভাসিয়ে দেশান্তরে যেতে ইচ্ছুক। পথের সকল বাধা অতিক্রম করে তিনি পৃথিবীর সমুদয় দেশ থেকে ধনরতœ বোঝাই করে দেশে ফিরতে চান। এমনকি নিজ দেশের উদ্বৃত্ত পণ্য অন্য দেশে রপ্তানি করতেও চান। আর নিজের দেশের অভাবও মিটাতে চান অন্য দেশ থেকে সম্পদ আহরণ করে। কারণ কবির দেশমাতা বড়ো দুঃখী, বড়ো অভারী। তাই মায়ের অভাব ও দুঃখ ঘুচিয়ে থাকে সুখী করাই কবির জীবনের একমাত্র ব্রত।
কাজ-২ : বুঝে লিখি- ‘আমার বাড়ি’ কবিতাটি পড়ে কী বুঝতে পারলে তা লেখো। (বাংলা মূলবই পৃষ্ঠা : ৯৪)
উত্তর: ‘আমার বাড়ি’ কবিতায় প্রিয়জনকে কবির নিজের গ্রামের বাড়িতে নিমন্ত্রণ জানাচ্ছেন। কবি তাকে নানা যতœআত্তি ও আদর সমাদর করবেন। কবি তাকে শালিধানের চিড়ে, বিন্নি ধানের খই, বাড়ির গাছের কবরি কলা এবং গামছা বাঁধা দই দিয়ে আপ্যায়ন করবেন। প্রকৃতির সান্নিধ্যে কেমন করে অতিথির প্রাণ জুড়াবেন তারও বর্ণনা দিয়েছেন কবি। এছাড়াও কবি বন্ধুকে নিজ বাড়ির পথও বাতলে দিয়েছেন। কোন পথে তার বাড়ি যেতে হবে, কীভাবে বাড়ি চিনতে হবে তা বলে দিয়েছেন। কবিতায় প্রিয়জনের প্রতি ভালোবাসার মনোভাব ও অতিথি সৎকারে বাঙালি জীবনের সৌজনাও ফুটে উঠেছে।
কাজ-৩ : বুঝে লিখি- ‘বাঁচতে দাও’ কবিতাটি পড়ে কী বুঝতে পারলে তা নিচে লেখো। (বাংলা মূলবই পৃষ্ঠা : ৯৯)
উত্তর:
কবি শামসুর রাহমান ‘বাঁচতে দাও’ কবিতার প্রকৃতি পরিবেশ ও প্রাণিজগতের সুস্থ ও স্বাভাবিক বিকাশের কথা বলেছেন। একটি শিশুর বিকাশের সাথে তার চারপাশের সুস্থ পরিবেশের সম্পর্ক রয়েছে। প্রকৃতি ও পরিবেশ মানুষের বেঁচে থাকার প্রধান আশ্রয়। কিন্তু মানুষই এই সুন্দর পৃথিবীর ধ্বংস ডেকে আনছে। যদি পৃথিবীতে ফুল না থাকে, পাখি না থাকে, সবুজ ধ্বংস হয়ে যায়, তাহলে শিশুর স্বাভাবিক বিকাশ বাধাগ্রস্ত হবে।
কবিতায় এসব প্রতিকূলতাকে জয় করার কথাই সুন্দর করে ফুটিয়ে তোলা হয়েছে। প্রকৃতির প্রতি বিরূপ আচরণের ফলে পরিবেশের বিপর্যয় নেমে এসেছে। খাল-বিল ভরাট হয়ে যাচ্ছে। ফলে নদীর নাব্যতা নষ্ট হচ্ছে। মাঝিরা নদীতে নৌকায় পাল লাগাচ্ছে না। পানকৌড়ি তার বিচরণের জন্য স্বাভাবিক পরিবেশ পাচ্ছে না। মানুষ দিন দিন শহরমুখী হচ্ছে। ময়লা-আবর্জনায় দিন দিন পরিপূর্ণ হচ্ছে নদী- নালা, খাল-বিল। প্রকৃতি আজ হুমকির মুখে। মানুষ প্রকৃতির সন্তান। কিন্তু এই মানুষই আবার প্রাকৃতিকে নিমর্মভাবে নষ্ট করছে।
কাজ-৪ : জীবনের সঙ্গে সম্পর্ক বুঝি আমি সাগর পাড়ি দেবো’ কবিতাটির সাথে তোমার জীবনের বা চারপাশের কোনো মিল খুঁজে পাও কি না, কিংবা কোনো সম্পর্ক খুঁজে পাও কি না, তা নিচে লেখো। (বাংলা মূলবই পৃষ্ঠা : ৯২)
উত্তর:
‘আমি সাগর পাড়ি দেবো’ কবিতার মতো আমিও সওদাগর হয়ে দেশে-বিদেশে গিয়ে ব্যবসাবাণিজ্য করতে চাই। সাহসী নাবিবেনা মতো ভেসে বেড়াতে চাই সাত সাগরের বুকে। আমি আমার বন্ধুদের সাথে এমন কোনো অভিযানে যেতে চাই যেখান থেকে আমরা অনেক ধন- দৌলত, সোনা-রূপা, মণি-মুক্তা লাভ করতে পারবো। তারপর দেশের জন্য দেশের মানুষের জন্য বিলিয়ে দেবো মুঠি ভরে ভরে মণি আর মুক্তা। মায়ের জন্য তৈরি করবো বিশাল এক রাজপ্রাসাদ। নিজের বন্ধুবান্ধব আত্মীয়স্বজন সকলের দুঃখ-কষ্ট চিরতরে মুচিয়ে হাসি ফোটাবো সকলের মুখে। সর্বোপরি নিজ দেশের মানুষের সকল কষ্ট-বেদনার অবসান ঘটানোই হবে আমার চির সংকল্প।
কাজ-৫ : জীবনের সঙ্গে সম্পর্ক খুঁজি – ‘আমার বাড়ি’ কবিতাটির সাথে তোমার জীবনের বা চারপাশের কোনো মিল খুঁজে পাও কি না, কিংবা কোনো সম্পর্ক খুঁজে পাও কি না, তা নিচে লেখো। (বাংলা মূলবই পৃষ্ঠা : ৯৫)
উত্তর:
‘আমার বাড়ি’ একটি জীবনঘনিষ্ঠ কবিতা। গ্রাম-বাংলার চিরায়ত অতিথিপরায়ণতা এ কবিতায় অসাধারণভাবে চিত্রিত হয়েছে। উনুনের পাশে পিঁড়িতে বসে খাওয়া বাংলার বহু বছরের ঐতিহ্য। সকালের নাস্তা হিসেবে আমরা খই, চিড়া-মুড়ি খাই। নিজের জমি থেকে আসা শালি ধান দিয়ে ঘরে তৈরি ঢেঁকিছাঁটা চিড়ার তুলনা হয় না। বর্ষা আসার আগে যখন মাঠে কোনো কাজ থাকে না তখন মা চাচিরা সারাদিন বসে বসে বিভিন্ন ধানের মুড়ি ভাজে। হাতে তৈরি সেই মুড়ির সে কি স্বাদ। গাছের ভেজালমুক্ত পাকা কলা আর পোষা গরুর নির্জল দুধের দই একবার খেলে মুখে স্বাদ লেগে থাকে দীর্ঘদিন।
আম কাঁঠালের ঘন ছায়ায় শীতল পাটি বিছিয়ে শুয়ে পড়লে স্নিগ্ধ বাতাসে দেহ-মন জুড়িয়ে যায়। সুনিদ্রা হয়। সকালের ঝিরিঝিরি বাতাসে বাছুরের হাম্বা হাম্বা ডাকের সময় দুধ দোহনের আওয়াজে ঘুম ভেঙে যায়। গ্রামের ছেলেমেয়েরা সারাদিন খেলাধুলায় মেতে থাকে। আমাদের বাড়ির আশেপাশে অসংখ্য গাছগাছালি প্রকৃতির শোভা বর্ধন করে। দিঘির কালো জলে হাঁসের ভেসে বেড়ানো সৌন্দরে্যর মাঝে নতুন মাত্রা যোগ করে। এসবই কবিতায় বর্ণিত আমাদের প্রকৃতির অংশ। এগুলো আমাদের জীবনের সাথে মিলেমিশে একাকার হয়ে গেছে।
কাজ-৬ : জীবনের সঙ্গে সম্পর্ক খুঁজি- ‘বাঁচতে দাও’ কবিতাটির সাথে তোমার জীবনের বা চারপাশের কোনো মিল খুঁজে পাও কি না, কিংবা কোনো সম্পর্ক খুঁজে পাও কি না, তা নিচে লেখো। (বাংলা মূলবই পৃষ্ঠা : ৯৯)
উত্তর:
প্রকৃতি, পরিবেশ ও প্রাণিজগতের সুস্থ ও স্বাভাবিক বিকাশ নিশ্চিত করা ‘বাঁচতে দাও’ কবিতার মূল সুর। একটি মানব শিশু তার চারপাশের পরিবেশ দ্বারা সবচেয়ে বেশি প্রভাবিত হয়। সুজলা-সুফলা, শস্য-শ্যামলা প্রাকৃতিক সৌন্দরে্যর লীলাভূমি আমাদের দেশ। প্রকৃতির অনিন্দ্য সুন্দরের মাঝেই আমাদের বেড়ে ওঠা। ফুলবাগানে মৌমাছির আনাগোনা, সুতো কাটা ঘুড়ির পিছনে দুরন্ত বালকের ছুটে বেড়ানো, বাংলার গাঢ় নীল আকাশের বিশালতায় ডানা মেলে দাপিয়ে বেড়ানো চিল, সন্ধ্যায় জোনাকির মিটিমিটি আলো, ক্লান্ত দুপুরে ঘুঘুর ডাক, মাঝির গান, খাল-বিল-পুকুরে পানকৌড়ির ভেসে বেড়ানো এসবই আমাদের প্রকৃতির অংশ। এমন নির্মল পরিবেশ আজ হুমকির মুখে।
আমরা সভ্যতার নামে। আমাদের প্রাকৃতিক বাসস্থানকে ধ্বংস করে চলেছি। প্রকৃতিকে আমরা প্রকৃতির মতো রাখতে পারছি না। এর প্রভাব আমাদের উপরই পড়ছে। বাতাসে কার্বন-ডাই-অক্সাইড, ভারি ধাতু ও সীসা নিঃশ্বাসের সাথে আমরা প্রতিনিয়ত গ্রহণ করছি। আমরা আমাদের শিশুদেরকে গৃহবন্দি করে ফেলেছি। তাদের বেড়ে ওঠার সময় আমরা তাদেরকে যন্ত্র বানিয়ে ফেলছি।
কাজ-৭ : কবিতা লিখি- নিচে কিছু ফাঁকা জায়গা রাখা হয়েছে। এই ফাঁকা জায়গায় তুমি নিজে বানিয়ে বানিয়ে একটি কবিতা লেখো। কবিতাটি হতে পারে চার, আট বা বারো লাইনের। কবিতা লেখার সময়ে কবিতার বৈশিষ্ট্যগুলো খেয়াল রেখো। কবিতার একটি নাম দাও। (বাংলা মূলবই পৃষ্ঠা : ১০২)
উত্তর:
মা
সূর্য যখন যায় পাটে
খেলা ফেলে বসি পাঠে
বাংলা পড়ি নিয়ে আশা
মা তখন পাশে বসা
পড়ান তিনি করে যতœ
যেন আমি হই রতœ
মা থাকলে নেই ভয়
সব কিছু করব জয়।
যাচাই করি : আমার লেখা কবিতায় নিচের বৈশিষ্ট্যগুলো আছে কি না, যাচাই করে দেখি।
প্রশ্ন ১: পর পর দুই লাইনের শেষে মিল-শব্দ আছে কি না?
উত্তর : হ্যাঁ, আছে।
প্রশ্ন ২: তালে তালে পড়া যায় কি না?
উত্তর : হ্যাঁ, পড়া যায়।
প্রশ্ন ৩: লাইনগুলো নির্দিষ্ট দৈর্ঘ্যের কি না?
উত্তর : হ্যাঁ, লাইনগুলো নির্দিষ্ট দৈর্ঘ্যের।
প্রশ্ন ৪: এর ভাষা গদ্যের ভাষার চেয়ে আলাদা কি না?
উত্তর : হ্যাঁ, এর ভাষা গদ্যের ভাষার চেয়ে আলাদা।
প্রশ্ন ৫: শব্দের চেহারায় কোনো পরিবর্তন হয়েছে কি না?
উত্তর : হ্যাঁ, হয়েছে।
টাইপ-২ : অধিকতর অনুশীলন সহায়ক অতিরিক্ত একক ও দলীয় কাজের সমাধান
কাজ-১ : পাঠ্যবইয়ে কবিতার যে বৈশিষ্ট্য জেনেছ সেই অনুযায়ী একটি কবিতা লেখ।
উত্তর:
বর্ষা
আমার প্রিয় ঋতু
কারণ আছে নানা,
কদমফুল যে আসল কারণ
নয় কারো অজানা।
মাছ ধরাতে ছিলাম পটু
ছুটির দিনে নিত্য,
যেদিন সফল হতাম বেশি
শীতল হতো চিত্ত।
নৌকা নিয়ে যেতাম বিলে
বাতাস এবং বিষ্টি,
শাপলা তুলে নৌকা বোঝাই
কাজ-২ : আমি নাগর পাড়ি দেবো’ কবিতাটি একক অভিনয়ের মাধ্যমে উপস্থাপন করো।
উত্তর:
চরিত্র পরিচিতি: সওদাগর
মঞ্চের দৃশ্যপট ও নির্দেশনা : সওদাগর চরিত্রটির পোশাক হবে বণিকের পোশাক। এক্ষেত্রে মাথায় পাতলা কাপড়ের টোপরের মতো পেঁচাতে হবে এবং গায়ে পাঞ্জাবি থাকবে। তারপর চরিত্রটি হাত-পা নাড়াচাড়ার মাধ্যমে কবিতাটি প্রমিত উচ্চারণে আবৃত্তি করবে।
কাজ-৩ : তালে তালে কবিতাটি পড়ি এবং হাততালি পড়ে যে জায়গাগুলোয় সেখানে সেখানে হাততালি দাও।
উত্তর:
‘ডাক’ কবিতাটি তালে তালে পড়ি। যেখানে যেখানে বাঁকা দাঁড়ি দেওয়া হয়েছে সেখানে সেখানে পড়ার সময় একটা করে হাততালি পড়বে।
ডাক
/শেয়াল ডাকে/ হুক্কা হুয়া /
/ ময়ূর ডাকে/ কেকা/
/নদীর পাড়ে গাইয়ের বাছুর/
/হাম্বা ডাকে/ একা/
/মোরগ ডাকে/ কুক্কু-রু-কু
/বিড়াল ডাকে/ মেউ/
/ চোর তাড়াতে / মধ্যরাতে/
/কুকুর ডাকে/ ঘেউ।
/বর্ষাকালে / ডোবায় বসে
/ হাজার কোলা/ ব্যাঙ/
/বৃষ্টি এলেই/ ডাক জুড়ে দেয়/
/ ঘ্যাঙর ঘ্যাঙর ঘ্যাঙ /
কাজ-৪ : কবিতাটির গদ্যে রূপান্তর করো।
উত্তর:
পল্লী স্মৃতি
বেগম সুফিয়া কামাল।
বহুদিন পরে মনে পড়ে আজি পল্লী মায়ের কোল,
কাউশাখে যেথা বনলতা বাঁধি হরষে খেয়েছি দোল।
কুলের কাঁটার আঘাত সহিয়া কাঁচা পাকা কুল খেয়ে,
অমৃতের স্বাদ যেন লভিয়াছি গাঁয়ের দুলালী মেয়ে।
পৌষ-পার্বণে পিঠা খেতে বসে খুশীতে বিষম খেয়ে,
আরো উল্লাস বাড়িয়াছে মনে মায়ের বকুনি খেয়ে।
চৈত্র-নিশির চাঁদিমায় বসি শুনিয়াছি রূপকথা,
মনে বাজিয়াছে সুয়ো দুয়োরাণী দুখিনী মায়ের ব্যথা।
তবু বলিয়াছি মার গলা ধরে, মাগো, সেই কথা বল,
রাজার দুলালে পাষাণ করিতে ডাইনী করে কি ছল!
সাতশা সাপের পাহারা কাটায়ে পাতালবাসিনী মেয়ে,
রাজার ছেলেরে বাঁচায়ে কী করে পৌঁছিল দেশে যেয়ে।
- আরো পড়ুন: Class 6: ষষ্ঠ শ্রেণির নতুন বাংলা বই || অনুশীলনমূলক কাজ ও সমাধান
- আরো পড়ুন:ষষ্ঠ শ্রেণির বাংলা অভিজ্ঞতাভিত্তিক অনুশীলনমূলক কাজ ও সমাধান
- আরো পড়ুন: ষষ্ঠ শ্রেণির নতুন বাংলা বই || অভিজ্ঞতাভিত্তিক অনুশীলনমূলক কাজ ও সমাধান
- আরো পড়ুন: ষষ্ঠ শ্রেণির নতুন বাংলা বই || অনুধাবনমূলক অনুশীলনমূলক কাজ ও সমাধান
- আরো পড়ুন: ষষ্ঠ শ্রেণির নতুন বাংলা বই || সৃজনশীল প্রশ্নব্যাংক অনুশীলনমূলক কাজ ও সমাধান
গদ্যে রূপান্তর : অনেকদিন পর আজ পরিমায়ের কোল মনে পড়ে। সেখানে ঝাউগাছের শাখায় বনলতা বেঁধে মনের আনন্দে দোল খেয়েছি। কাঁটার আঘাত সহ্য করে কাঁচা-পাকা বরই খেয়ে অমৃতের স্বাদ লাভ করেছি। পৌষ-পার্বণে পিঠা খেতে বসে খুশিতে বিষম খেলে, মায়ের বকুনি খেলে আরও উল্লাস বেড়ে যেত।
চৈত্রের রাতে চাঁদিমায় বসে রূপকথা শুনেছি আর স্বপনে দেখেছি সুয়ো দুয়ো রানি দুঃখিনী মায়ের ব্যথা। মায়ের গলা ধরে জানতে চেয়েছি, মাগো সেই কথা বল- রাজার দুলালকে পাষাণ করতে ডাইনি কী ছলনা করেছিল? সাতশত সাপের পাহারা কাটিয়ে, পাতালবাসিনী মেয়ে রাজার সেই ছেলেকে বাঁচিয়ে কী করে দেশে পৌঁছেছিল?।
উক্ত বিষয় সম্পর্কে কিছু জানার থাকলে কমেন্ট করতে পারেন।
আমাদের সাথে ইউটিউব চ্যানেলে যুক্ত হতে এখানে ক্লিক করুন এবং আমাদের সাথে ফেইজবুক পেইজে যুক্ত হতে এখানে ক্লিক করুন। গুরুত্বপূর্ণ আপডেট ও তথ্য পেতে আমাদের ওয়েবসাইটে ভিজিট করুন।