HSC | জাদুঘরে কেন যাব | সৃজনশীল প্রশ্নোত্তর ১-৫ | বাংলা ১ম | PDF: বাংলা ১ম পত্রের জাদুঘরে কেন যাব গল্পটি হতে যেকোনো ধরনের সৃজনশীল প্রশ্ন ও উত্তর গুলো আমাদের এই পোস্টে পাবেন ।
প্রিয় ছাত্র ছাত্রী বন্ধুরা আল্লাহর রহমতে সবাই ভালোই আছেন । এটা জেনে আপনারা খুশি হবেন যে, আপনাদের জন্য বাংলা ১ম পত্রের জাদুঘরে কেন যাব গল্পটি হতে গুরুপূর্ণ কিছু সৃজনশীল প্রশ্নোত্তর নিয়ে আলোচনা করতে যাচ্ছি ।
সুতরাং সম্পূর্ণ পোস্টটি মনোযোগ সহকারে পড়ুন। আর এইচ এস সি- HSC এর যেকোন বিভাগের গুরুত্বপূর্ণ সকল সাজেশন পেতে জাগোরিকের সাথে থাকুন।
জাদুঘরে কেন যাব | সৃজনশীল প্রশ্নোত্তর ১-৫:
নিচের উদ্দীপকটি পড় এবং প্রশ্নগুলোর উত্তর দাও।
ফ্রান্সের লোকদের দেশাত্মজ্ঞান অমনি করেই হয় বলে তাদের দেশাত্মবোধ আপনা আপনিই জন্মায়। শৈশব থেকেই তারা পথ চলতে চেনে তাদের জাতীয় পূর্ব-পুরুষদের, যাদের নিয়ে তাদের ইতিহাস লেখা হয়েছে। আর দেশের প্রতি জেলার প্রতি পর্বতের নামÑযাদের কোলে তাদের অখণ্ড জাতি লালিত হয়েছে। স্বদেশকে চেনে বলেই তারা বিশ্বকেও চিনতে পারে।
ক. পৃথিবীর প্রথম জাদুঘর স্থাপিত হয়েছিল কোথায়?
খ. জাদুঘর কীভাবে গড়ে ওঠে?
গ. অনুচ্ছেদের সঙ্গে ‘জাদুঘরে কেন যাব’ প্রবন্ধের যে সাদৃশ্য লক্ষ করা যায় তা ব্যাখ্যা কর।
ঘ. সাদৃশ্যগত দিকটি ‘জাদুঘরে কেন যাব’ প্রবন্ধের বিষয়বস্তুর সঙ্গে কতটুকু সম্পর্কিত? যাচাই কর। ১
১ নং প্রশ্নের উত্তর
ক উত্তর:
প্রথম জাদুঘর স্থাপিত হয়েছিল মিশরের আলেকজান্দ্রিয়ায়।
খ উত্তর:
- বিত্তশালী ব্যক্তি বা পরিবারের উদ্যোগে জাদুঘরের উৎপত্তি হয়।
- কৌতূহলী, রুচিসম্পন্ন ও বিদগ্ধ ব্যক্তি বা পরিবারের উদ্যোগে নানা দু®প্রাপ্য ও চমকপ্রদ বস্তু সংগৃহীত হয়ে থাকে। ক্রমান্বয়ে জনগণের চাহিদা আর সমাজ, সরকার তথা রাষ্ট্রের অর্থানুকূল্যে, পৃষ্ঠপোষকতায় কোনো একটি জাদুঘর গড়ে ওঠে।
গ উত্তর:
- আত্মপরিচয় লাভের ক্ষেত্র হিসেবে অনুচ্ছেদের সঙ্গে ‘জাদুঘরে কেন যাব’ প্রবন্ধের সাদৃশ্য লক্ষ করা যায়।
‘দেশ’ শব্দটি ক্ষেত্রবিশেষে রাষ্ট্র, সরকার, সমাজ ও জাতি ইত্যাদির সমার্থক হিসেবে ব্যবহৃত হয়। বর্তমানে বিশ্বের যেকোনো স্থানেই দেশ বা রাষ্ট্র সর্বপ্রধান রাজনৈতিক সংগঠন। আর আত্মপরিচয় লাভ হলো জাতীয়তাবাদ, যা দেশ বা রাষ্ট্রের অন্যতম গৌণ উপাদান।
- অনুচ্ছেদে ফ্রান্সে লোকদের দেশাত্মজ্ঞান ও দেশাত্মবোধ জাগ্রত হওয়ার পদ্ধতি সম্পর্কে আলোচনা করা হয়েছে। বলা হয়েছে, শৈশব থেকেই তারা পথ চলতে চেনে তাদের জাতীয় পূর্বপুরুষদের নিয়ে, যাদের নিয়ে তাদের ইতিহাস লেখা হয়েছে। আর দেশের প্রতি জেলার প্রতি পর্বতের নামÑযাদের কোলে তাদের অখণ্ড জাতি লালিত হয়েছে, তাদের নাম।
- অনুচ্ছেদের দেশাত্মবোধ বা জাতীয়তাবাদী চেতনার বিষয়টি ‘জাদুঘরে কেন যাব’ প্রবন্ধে প্রাবন্ধিক তুলে ধরেছেন। পূর্ব পাকিস্তানের তৎকালীন গভর্নর মোনায়েম খানের জাদুঘরের ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপনকে কেন্দ্র করে আলোচনার কোনো এক প্রসঙ্গে প্রাবন্ধিক বলেন, জাদুঘরকে যদি তিনি আত্মপরিচয় লাভের ক্ষেত্র হিসেবে দেখে থাকেন, তাহলে মোটেই ভুল করেন নি। অল্প বয়সে লেখক যখন প্রথম ঢাকা জাদুঘরে গিয়েছিলেন, অতটা সচেতনভাবে না হলেও তিনিও এক ধরনের আত্মপরিচয়ের সূত্র সেখানে খুঁজে পেয়েছিলেন।
ঘ উত্তর:
সাদৃশ্যগত দিকটি ‘জাদুঘরে কেন যাব’ প্রবন্ধের বিষয়বস্তুর সঙ্গে অত্যন্ত নিবিড়ভাবে সম্পর্কিত।
- জাদুঘর হচ্ছে এমন এক সর্বজনীন প্রতিষ্ঠান যেখানে মানবসভ্যতা ও সংস্কৃতির বৈচিত্র্যপূর্ণ ও ঐতিহাসিক নিদর্শন সংগ্রহ করে রাখা হয় প্রদর্শন ও গবেষণার জন্য। অর্থাৎ, জাদুঘর কেবল বর্তমান প্রজন্মের কাছে নিদর্শনগুলো প্রদর্শন করে না, ভবিষ্যৎ প্রজন্মের জন্যেও সেগুলো সংরক্ষণ করে রাখে। সংগৃহীত নিদর্শনগুলোকে জাদুঘরে যথাযথভাবে পরিচিতিমূলক বিবরণসহ এমন আকর্ষণীয়ভাবে প্রদর্শন করা হয়, যেন তা থেকে দর্শকরা অনেক কিছু জানতে পারেন, পাশাপাশি আনন্দও পান।
- অনুচ্ছেদে ফ্রান্সের লোকদের দেশাত্মজ্ঞান ও দেশাত্মবোধ জাগ্রত হওয়া সম্পর্কে আলোচনা করা হয়েছে। বলা হয়েছে, শৈশব থেকেই তারা পথ চলতে চেনে তাদের জাতীয় পূর্বপুরুষদের নিয়ে, যাদের নিয়ে তাদের ইতিহাস লেখা হয়েছে। আর দেশের প্রতি জেলার প্রতি পর্বতের নামÑযাদের কোলে তাদের অখণ্ড জাতি লালিত হয়েছে। স্বদেশকে চেনে বলেই তারা বিশ্বকেও চিনতে পারে। স্বদেশকে চেনার, দেশাত্মবোধ তথা জাতীয়তাবোধে উদ্বুদ্ধ হয়ে বিশ্ব নাগরিক হয়ে ওঠার দীক্ষা ‘জাদুঘরে কেন যাব’ প্রবন্ধে উলিখিত হয়েছে।জাদুঘরে কেন যাব’ প্রবন্ধে লেখক দেশকে জানা এবং দেশাত্মবোধে উদ্বুদ্ধ হওয়ার ব্যক্তিগত অভিজ্ঞতা বর্ণনায় বলেন, অল্প বয়সে তিনি যখন প্রথম ঢাকা জাদুঘরে যান, তখন অতটা সচেতনভাবে না হলেও এক ধরনের আত্মপরিচয়ের সূত্র সেখানে খুঁজে পান। মুদ্রা এবং অস্ত্রশস্ত্র দেখে বাংলায় মুসলিম শাসন সম্পর্কে কিছু ধারণা হয়েছিল। ঈসা খাঁর কামানের গায়ে লেখা দেখে মুগ্ধ হয়েছিলেন।
- প্রবন্ধের এক অংশে লেখক বলেন যে, জাদুঘরে যখন তিনি অন্য জাতির অনুরূপ কীর্তির সঙ্গে একাত্মতা অনুভব করেন, তখন তার বৃহত্তর মানবসমাজে উত্তরণ হয়। যা উদ্দীপকের সাথে নিবিড় সম্পর্ক স্থাপন করে। সুতরাং সাদৃশ্যগত দিকটি ‘জাদুঘরে কেন যাব’ প্রবন্ধের বিষয়বস্তুর সাথে অত্যন্ত নিবিড়ভাবে সম্পর্কিত।
নিচের উদ্দীপকটি পড় এবং প্রশ্নগুলোর উত্তর দাও।
নালন্দা মহাবিহার হলো ভারতীয় উপমহাদেশের প্রথম বিশ্ববিদ্যালয়। সম্রাট কুমারগুপ্তের রাজত্বকালে (৪১৫-৪৫৫) খ্রিষ্টাব্দে প্রতিষ্ঠানটির বিকাশ ঘটে। প্রথম দিকে ভারতীয় বৌদ্ধদের বৌদ্ধদর্শন আলোচিত হলেও কালক্রমে এখানে চীন, গ্রিস ও পারস্যের শিক্ষার্থীরা জ্ঞান লাভ করতেন। ফলে এটি বৌদ্ধ বিহার থেকে ক্রমান্বয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ে পরিণত হয়।
ক. আলেকজান্দ্রিয়ায় পৃথিবীর প্রথম জাদুঘর স্থাপিত হয়েছিল কোন শতাব্দীতে?
খ. আলেকজান্দ্রিয়া জাদুঘর কেমন ছিল?
গ. উদ্দীপকের নালন্দা মহাবিহার ও ‘জাদুঘরে কেন যাব’ প্রবন্ধে বর্ণিত আলেকজান্দ্রিয়া জাদুঘরের মধ্যে বৈসাদৃশ্য তুলে ধর।
ঘ. ‘কিছু পার্থক্য সত্তে¡ও নালন্দা মহাবিহার ও আলেকজান্দ্রিয়া জাদুঘরের প্রাচীনত্ব ও উৎপত্তিগত দিক মূলত একই,Ñউক্তিটির যৌক্তিকতা বিচার কর। ১
২ নং প্রশ্নের উত্তর
ক উত্তর: আলেকজান্দ্রিয়ায় পৃথিবীর প্রথম জাদুঘর স্থাপিত হয়েছিল খ্রিষ্টপূর্ব তৃতীয় শতাব্দীতে।
খ উত্তর: আলেকজান্দ্রিয়া জাদুঘর আজকের দিনের আধুনিক জাদুঘরের তুলনায় একটু ভিন্ন প্রকৃতির ছিল।
- পৃথিবীর প্রথম এই জাদুঘর। অর্থাৎ, আলেকজান্দ্রিয়া ছিল নিদর্শন-সংগ্রহশালা ও গ্রন্থাগার, ছিল উদ্ভিদ উদ্যান ও উন্মুক্ত চিড়িয়াখানা। তবে এটা নাকি ছিল মুখ্যত দর্শন চর্চার কেন্দ্র।
গ উত্তর:পৃথিবীর দুটি প্রাচীন ও গুরুত্বপূর্ণ প্রতিষ্ঠান হওয়া সত্তে¡ও উদ্দীপকের নালন্দা মহাবিহার ও ‘জাদুঘরে কেন যাব’ প্রবন্ধে বর্ণিত আলেকজান্দ্রিয়া জাদুঘরের মধ্যে যথেষ্ট বৈসাদৃশ্য লক্ষণীয়।
১.প্রাচীনত্বের দিক দিয়ে আলেকজান্দ্রিয়া জাদুঘর এবং নালন্দা মহাবিহারের মিল বর্তমান। কিন্তু ভৌগোলিক অবস্থান, প্রতিষ্ঠানের ধরনের দিক দিয়ে এগুলোর মধ্যে যথেষ্ট ভিন্নতা রয়েছে।
২. আলেকজান্দ্রিয়া জাদুঘরটি জাদুঘর হলেও নালন্দা মহাবিহার একটি বিশ্ববিদ্যালয়। আলেকজান্দ্রিয়া মিশরে অবস্থিত এবং তা স্থাপন করেন আলেকজান্ডার দি গ্রেট। অন্যদিকে নালন্দা মহাবিহার ভারতের বিহারে অবস্থিত আর এর প্রতিষ্ঠাতা সম্রাট কুমারগুপ্ত। নালন্দা মহাবিহার ক্রমান্বয়ে বৌদ্ধ বিহার থেকে বিশ্ববিদ্যালয়ে পরিণত হয়। যেখানকার মূলপাঠ্য বৌদ্ধ দর্শন। অন্যদিকে আলেকজান্দ্রিয়া জাদুঘর আসলেই একটি জাদুঘর যদিও সেখানে দর্শন চর্চা করা হতো।
ঘ উত্তর:‘জাদুঘরে কেন যাব’ প্রবন্ধে বর্ণিত আলেকজান্দ্রিয়া জাদুঘর এবং উদ্দীপকে বর্ণিত নালন্দা মহাবিহার দুটি ভিন্ন প্রতিষ্ঠান হলেও উৎপত্তিগত দিক দিয়ে এদের যথেষ্ট মিল রয়েছে।
১. উদ্দীপকের নালন্দা মহাবিহার ভারতের প্রাচীনতম বিশ্ববিদ্যালয়, অন্যদিকে আলেকজান্দ্রিয়া জাদুঘর মিশর তথা বিশ্বের প্রাচীনতম জাদুঘর। উৎপত্তিগত দিক দিয়েও আলেকজান্দ্রিয়া জাদুঘর ও নালন্দা মহাবিহারের যথেষ্ট মিল রয়েছে।
২. আলেকজান্দ্রিয়া প্রতিষ্ঠিত হয় এক বিখ্যাত সম্রাট দ্বারা। আলেকজান্ডার দি গ্রেট এটি স্থাপন করেন। অন্যদিকে ভারত সম্রাট কুমারগুপ্তের রাজত্বকালে নালন্দা মহাবিহারের বিকাশ ঘটে। এছাড়া উভয় প্রতিষ্ঠানে দর্শন চর্চা হতো। আলেকজান্দ্রিয়া ও নালন্দা মহাবিহারের প্রাতিষ্ঠানিক ধরনগত ভিন্নতা আছে সত্য কিন্তু দুটি প্রতিষ্ঠানই বহু প্রাচীন এবং দুজন বিখ্যাত সম্রাট দ্বারা প্রতিষ্ঠিত। এছাড়া উভয় প্রতিষ্ঠানেই দর্শন চর্চা হতো।
উপরিউক্ত আলোচনার পরিপ্রেক্ষিতে ‘জাদুঘরে কেন যাব’ এবং উদ্দীপকের আলোকে বলা যায়Ñ ‘পার্থক্য সত্তে¡ও নালন্দা মহাবিহার ও আলেকজান্দ্রিয়া জাদুঘরের প্রাচীনতত্ত¡ ও উৎপত্তিগত দিক মূলত একই’।
নিচের উদ্দীপকটি পড় এবং প্রশ্নগুলোর উত্তর দাও।
লাইব্রেরি এখন আর আগের মতো নেই। লাইব্রেরি বলতে এখন আর কোনো বিশাল ভবনের অসংখ্য বইয়ের সমাহারকে বোঝায় না। ‘বিশ্বসাহিত্য কেন্দ্রের’ ভ্রাম্যমাণ লাইব্রেরিটি লাইব্রেরি সংক্রান্ত এক অভিনব ধারণা। অন্যদিকে ইন্টারনেটে আছে ই-বুকের বিশাল সংগ্রহশালা।
ক. আজকের দিনে আলেকজান্দ্রিয়ার মতো মেলানো মেশানো জাদুঘরের সবচেয়ে বড় দৃষ্টান্ত কোনটি?
খ. জাদুঘর বলতে আজ আর ব্রিটিশ মিউজিয়ম, ল্যুভ ও হার্মিতিয়ের মতো বিশাল প্রাসাদকে বোঝায় না-কেন?
গ. উদ্দীপকের মূলবক্তব্য ‘জাদুঘরে কেন যাব’ প্রবন্ধের কোন দিকটিকে ইঙ্গিত করে? ব্যাখ্যা কর।
ঘ. “সময়ের সঙ্গে সঙ্গে সকল জিনিসই পরিবর্তিত হয়।”-উদ্দীপক ও ‘জাদুঘরে কেন যাব’ প্রবন্ধের আলোকে উক্তিটি বিশ্লেষণ কর।
৩ নং প্রশ্নের উত্তর
ক উত্তর: আজকের দিনে আলেকজান্দ্রিয়ার মতো মেলানো -মেশানো জাদুঘরের সবচেয়ে বড় দৃষ্টান্ত ব্রিটিশ মিউজিয়ম।
খ উত্তর: নানা বিষয়ে বৈচিত্র্যপূর্ণ জাদুঘর গড়ে ওঠায় এখন আর জাদুঘর বলতে ব্রিটিশ মিউজিয়ম, ল্যুভ বা হার্মিতিয়ের মতো বিশাল প্রাসাদকে বোঝায় না।
১. আজকের দিনে বৈচিত্র্যপূর্ণ জাদুঘর তৈরি হচ্ছে। এ বৈচিত্র্য একদিকে যেমন সংগ্রহের বিষয়গত তেমনি গঠনগত এবং অন্যদিকে প্রশাসনগত। এমনকি উন্মুক্ত জাদুঘর জিনিসটাও এখন খুবই প্রচলিত, জনসমাদৃত। প্রতœতত্ত¡, ইতিহাস, নৃতত্ত¡, উদ্ভিদ উদ্যান এমনকি মৎস্যাধারও এখন জাদুঘর হিসেবে বিবেচ্য। এ কারণে জাদুঘর বলতে আজ আর ব্রিটিশ মিউজিয়াম ল্যুভ বা হার্মিতিয়ের মতো বিশাল প্রাসাদকে বোঝায় না।
গ. উত্তর: উদ্ধৃত উদ্দীপকের মূলবক্তব্যে লাইব্রেরি বৈচিত্র্যের কথা বলা হয়েছে, যা ‘জাদুঘরে কেন যাব’ প্রবন্ধে জাদুঘরের বৈচিত্র্যের দিকটিকে ইঙ্গিত করে।
জাদুঘরে কেন যাব’ প্রবন্ধে উপাদানগত, গঠনগত, প্রশাসনগতভাবে বৈচিত্র্যপূর্ণ জাদুঘরের কথা বলা হয়েছে। জাদুঘরের এই বৈচিত্র্যের বিষয়টিকেই ইঙ্গিত করা হয়েছে আলোচ্য উদ্দীপকে। সেখানে অবশ্য বিবেচ্য বিষয় জাদুঘর নয়, লাইব্রেরি।
সভ্যতার উন্নয়ন এবং মানুষের বহুমুখী চাহিদার ফলে লাইব্রেরি হোক আর জাদুঘর হোক কোনোটিই আর সরল নেই। এদের মধ্যে এসেছে নানা বৈচিত্র্য। উদ্দীপকে তাই রয়েছে লাইব্রেরির নানা বৈচিত্র্যের কথা। আছে ভ্রাম্যমাণ লাইব্রেরি কিংবা ই-বুক-এর প্রসঙ্গ। উদ্দীপকে লাইব্রেরির এই বৈচিত্র্য স্মরণ করিয়ে দেয় ‘জাদুঘরে কেন যাব’ প্রবন্ধে বর্ণিত জাদুঘরের বৈচিত্র্যের প্রসঙ্গটি। ফলে প্রবন্ধে বলা হয়েছে জাতীয় জাদুঘর, আঞ্চলিক জাদুঘর কিংবা ব্যক্তিগত জাদুঘরের কথা।
অধ্যাপক আনিসুজ্জামান রচিত ‘জাদুঘরে কেন যাব’ প্রবন্ধটিতে জাদুঘরের ক্রমবিবর্তনের কথা বর্ণিত হয়েছে, যা উদ্ধৃত উদ্দীপকটিতেও লাইব্রেরির বিবর্তনে ও বৈচিত্র্যে লক্ষণীয়।
ঘ উত্তর: উদ্দীপকে দিনে দিনে লাইব্রেরির কেমন পরিবর্তন হচ্ছে তা দেখানো হয়েছে। লাইব্রেরি এখন আর আগের মতো নেই। তাতে এসেছে নানারকম পরিবর্তন। উদ্দীপকের মতো প্রবন্ধে বর্ণিত জাদুঘরেও এসেছে নানা পরিবর্তন।
‘জাদুঘরে কেন যাব’ প্রবন্ধে খ্রিষ্টপূর্ব তৃতীয় শতকে প্রতিষ্ঠিত আলেকজান্দ্রিয়া জাদুঘর থেকে শুরু করে কীভাবে ক্রমবিবর্তন ও পরিবর্তনের মাধ্যমে জাদুঘরের নানা বৈচিত্র্য সৃষ্টি হয় তা আমরা দেখতে পাই। লাইব্রেরিতেও সেই পরিবর্তন আজ চোখে পড়ে। বর্তমানে লাইব্রেরি বিশাল প্রাসাদে না থেকে যেমন হয়েছে ভ্রাম্যমাণ অন্যদিকে যুক্ত হয়েছে তথ্য প্রযুক্তির স্পর্শ। একইভাবে জাদুঘরও এখন কেবল ব্রিটিশ মিউজিয়মের মতো বিশাল প্রাসাদে আবদ্ধ নয়। উন্মুক্ত জাদুঘরও এখন দেখা যায়।
পরিবর্তন-লাইব্রেরি এবং জাদুঘর উভয় ক্ষেত্রেই সত্য। এ কারণে উদ্দীপক ও ‘জাদুঘরে কেন যাব’ প্রবন্ধের আলোকে বলা যায়, সময়ের সাথে সাথে সকল জিনিসই পরিবর্তিত হয়।
নিচের উদ্দীপকটি পড় এবং প্রশ্নগুলোর উত্তর দাও।
রূপম ঢাকার বলধা গার্ডেনে বেড়াতে গেল। সেখানে সে বিভিন্ন জাতের অসংখ্য গাছ দেখতে পেল। কোনো গাছ ঔষধি, কোনো গাছ ফলদ, কোনো গাছে কেবল ফুল ফোটে। তার মনে হলো, এ উদ্যান যেন একটা জীবন্ত জাদুঘর।
ক. বর্তমানে কোন মিউজিয়ামে স্বতন্ত্রভাবে উদ্ভিদ বিজ্ঞান ও জীববিদ্যার জাদুঘর রয়েছে?
খ. উন্মুক্ত জাদুঘর বলতে কী বোঝ?
গ. ‘জাদুঘরে কেন যাব’ প্রবন্ধের সঙ্গে উদ্দীপকের রূপমের দৃষ্টিভঙ্গির তুলনা কর।
ঘ. “উদ্ভিদ উদ্যানও একটি জাদুঘর হতে পারে।” Ñউদ্দীপক ও ‘জাদুঘরে কেন যাব’ প্রবন্ধের আলোকে মন্তব্যটির সত্যতা নিরূপণ কর।
HSC | জাদুঘরে কেন যাব | আনিসুজ্জামান | বাংলা ১ম পত্র | PDF
HSC | জাদুঘরে কেন যাব | সৃজনশীল প্রশ্নোত্তর ৬-৯ | বাংলা ১ম | PDF
HSC | জাদুঘরে কেন যাব | জ্ঞান ও অনুধাবনমূলক প্রশ্নোত্তর | PDF
৪ নং প্রশ্নের উত্তর
ক উত্তর: বর্তমানে ব্রিটিশ মিউজিয়মে স্বতন্ত্রভাবে উদ্ভিদ বিজ্ঞান ও জীববিদ্যার জাদুঘর রয়েছে।
খ উত্তর: বিশাল বা সাধারণ প্রাসাদে অবস্থিত না হয়ে যে জাদুঘর উন্মুক্ত পরিবেশে অবস্থিত, তাকে উন্মুক্ত জাদুঘর বলা যায়।
আজকের দিনে জাদুঘরের আছে নানা বৈচিত্র্য। আগের মতো জাদুঘর বলতে আজ আর ব্রিটিশ মিউজিয়াম, ল্যুভ বা হার্মিতিয়ের মতো বিশাল প্রাসাদ বোঝায় না। উদ্ভিদ উদ্যান, চিড়িয়াখানা কিংবা নক্ষত্রশালা জাদুঘর হিসেবে বিবেচ্য। এগুলো গড়ে ওঠে উন্মুক্ত পরিবেশে এবং এ ধরনের জাদুঘরকে বলা যায় উন্মুক্ত জাদুঘর।
গ উত্তর: অধ্যাপক আনিসুজ্জামান রচিত ‘জাদুঘরে কেন যাব’ প্রবন্ধে জাদুঘরকে কোনো নির্দিষ্ট কাঠামোয় না ফেলে এর বৈচিত্র্যকে স্বীকৃতি দেয়া হয়েছে, যে মনোভাবের পরিচয় পাওয়া যায় রূপমের দৃষ্টিভঙ্গিতে।
উদ্দীপকের রূপম তার নিজস্ব মনোভাবের কারণে জাতীয় উদ্যানকে একটা জীবন্ত জাদুঘর হিসেবে স্বীকৃতি দিয়েছে। ‘জাদুঘরে কেন যাব’ প্রবন্ধে এই একই মনোভাবের কারণে বলা হয়েছে মৎস্যাধার ও নক্ষত্রশালাও এখন জাদুঘর হিসেবে বিবেচিত।
উদ্দীপকের রূপম বলধা গার্ডেনের অসংখ্য গাছ দেখে বিস্মিত হয়েছে। তার মনে হয়েছে এটিও এক ধরনের জাদুঘর। এ হলো উদ্ভিদের জীবন্ত জাদুঘর। এই একই মনোভাব প্রকাশ পেয়েছে প্রবন্ধে। যেখানে প্রাবন্ধিক বলেছেন জাদুঘরের বৈচিত্র্য আজ খুবই চোখে পড়ে। জাদুঘর বলতে আজ আর ব্রিটিশ মিউজিয়ম বা হার্মিতিয়ের মতো বিশাল প্রাসাদকে বোঝায় না। আর এভাবেই প্রাবন্ধিকের দৃষ্টিভঙ্গির সঙ্গে রূপমের দৃষ্টিভঙ্গি অভিন্ন হয়ে গেছে।
ঘ উত্তর: আধুনিক যুগে যেকোনো বিষয় নিয়ে জাদুঘর তৈরি হচ্ছে-এ কথার সমর্থন রয়েছে ‘জাদুঘরে কেন যাব’ প্রবন্ধে এবং এই একই মনোভাবের কারণে উদ্দীপকেও একটি উদ্ভিদ উদ্যানকে জাদুঘর হিসেবে বিবেচনা করা হয়েছে।
উদ্দীপকের রূপম বলধা গার্ডেনে গিয়ে বিভিন্ন শ্রেণির উদ্ভিদ দেখে বিস্মিত হয়েছে। তার মনে হয়েছে এটি কেবল উদ্যান নয়, এ উদ্যান যেন একটা জীবন্ত জাদুঘর। অর্থাৎ, রূপমের চেতনায় একটি উদ্ভিদ উদ্যান জাদুঘরে পরিণত হয়েছে। প্রবন্ধেও রয়েছে এ মতের সমর্থন।
উদ্দীপকের মতো প্রবন্ধেও জাদুঘর সম্পর্কিত ধারণাকে কোনো বিশেষ গণ্ডিতে বাঁধা হয়নি। প্রাবন্ধিকের মতে, আজ ভিন্ন ভিন্ন বিষয়ের জাদুঘর গড়ে তোলার চেষ্টাই প্রবল। প্রততত্ত¡ ও ইতিহাস, মানববিকাশ ও নৃতত্ত¡, পরিবেশ, কৃষি, উদ্ভিদ বিজ্ঞান, জীবতত্ত¡ ইত্যাদি বিষয় এখন জাদুঘরের বিষয় হিসেবে বিবেচিত হচ্ছে। এমনকি মৎস্যাধার ও নক্ষত্রশালাও এখন জাদুঘর বলে বিবেচিত। প্রবন্ধ ও উদ্দীপক উভয় ক্ষেত্রেই জাদুঘরের বিষয়গত বৈচিত্র্যকে স্বীকার করা হয়েছে।
উদ্দীপকের রূপমের চেতনায় জাতীয় উদ্যান যেন একটা জীবন্ত জাদুঘর। অন্যদিকে প্রাবন্ধিক যে সকল বিষয় নিয়ে জাদুঘর তৈরি হতে পারে বলে মনে করেন, তার মধ্যে উদ্ভিদ উদ্যান রয়েছে।
উদ্দীপক ও ‘জাদুঘরে কেন যাব’ প্রবন্ধের আলোকে উদ্ভিদ উদ্যানও একটি জাদুঘর হতে পারে। উক্তিটি সর্বাংশে সত্য।
নিচের উদ্দীপকটি পড় এবং প্রশ্নগুলোর উত্তর দাও।
আমরা বাঙালি! আমাদের ইতিহাস-ঐতিহ্য পরিবর্তনশীল ও বৈচিত্র্যময়। এখানে এক সময় বৌদ্ধদের প্রভাব-প্রতিপত্তি ছিল। এরপর শুরু হয় হিন্দুদের লৌকিক পৌরাণিক দেব-দেবীর প্রভাব। মুসলিম শাসনও এদেশে চলেছে দীর্ঘদিন। যে সকল ঐতিহাসিক নিদর্শন এদেশে ছড়িয়ে-ছিটিয়ে ছিল, এর বেশ কিছু সংগৃহীত হয়েছে বিভিন্ন জাদুঘরে। এসব সংরক্ষিত নির্দশন প্রদর্শনের মাধ্যমে আমরা বাঙালি হিসেবে নিজেদের আত্মপরিচয় লাভ করতে পারি।
ক. ঈসা খাঁর কামানের গায়ে কী লেখা দেখে লেখক মুগ্ধ হয়েছিলেন?
খ. ‘জাদুঘরে কেন যাব’ প্রবন্ধে লেখক কীভাবে প্রথম বাঙালির আত্মপরিচয় লাভ করেছিলেন? ব্যাখ্যা দাও।
গ. উদ্দীপকটি ‘জাদুঘরে কেন যাব’ প্রবন্ধের কোন দিকটিকে ইঙ্গিত করে? Ñবুঝিয়ে দাও।
ঘ. ‘জাদুঘর থেকে আমরা বাঙালির আত্মপরিচয় লাভ করতে পারি।’Ñউদ্দীপক এবং ‘জাদুঘরে কেন যাব’ প্রবন্ধের আলোকে উক্তিটি বিশ্লেষণ কর।
৫ নং প্রশ্নের উত্তর
ক উত্তর: ঈসা খাঁর কামানের গায়ে বাংলা লেখা দেখে লেখক মুগ্ধ হয়েছিলেন।
খ উত্তর: ঢাকা জাদুঘরে বাংলার হাজার বছরের ইতিহাস ও সমৃদ্ধ সংস্কৃতির বিভিন্ন নিদর্শন দেখে ‘জাদুঘরে কেন যাব’ প্রবন্ধের লেখক প্রথম বাঙালির আত্মপরিচয় লাভ করেছিলেন।
লেখক অল্প বয়সে ঢাকা জাদুঘরে গিয়ে বাংলার স্থাপত্য ও ভাস্কর্যের সঙ্গে প্রথম পরিচিত হন। তিনি দেখতে পান বৌদ্ধমূর্তি, অসংখ্য লৌকিক ও পৌরাণিক দেব-দেবীর মূর্তি। দেখতে পান মুসলিম যুগের মুদ্রা, অস্ত্রশস্ত্র, এবং ব্রিটিশ আমলের নীল জাল দেয়ার কড়াই। এসব ঐতিহাসিক ও সাংস্কৃতিক উপাদান থেকে লেখক বুঝতে পারেন হাজার বছর ধরে বাঙালির জীবন কেমন বিবর্তিত হচ্ছে।
গ উত্তর: ‘জাদুঘরে কেন যাব’ প্রবন্ধে বাঙালির ইতিহাস ও সংস্কৃতির বিবর্তন এবং জাদুঘর প্রদর্শনে লেখকের যে ধারণা লাভের বিষয়টি বর্ণিত হয়েছে তা আলোচ্য উদ্দীপকেও ইঙ্গিত করা হয়েছে।
লেখক জাদুঘর দেখতে গিয়ে সেখানকার বৌদ্ধ নিদর্শন, পৌরাণিক নিদর্শন, মুসলিম শাসনের নানা নিদর্শন দেখে বাঙালির ইতিহাসের বিবর্তন এবং বাঙালির আত্মপরিচয় লাভ করেন। উদ্ধৃত উদ্দীপকের মূলবক্তব্যে বাঙালির ইতিহাসের বিবর্তন এবং আত্মপরিচয় লাভের উলেখ রয়েছে।
উদ্দীপকে বলা হয়েছে, বাঙালির ইতিহাস পরিবর্তনশীল ও বৈচিত্র্যময়। কীভাবে ক্রমান্বয়ে বৌদ্ধ-হিন্দু-মুসলিমের প্রভাব এদেশে পড়েছে তার ইঙ্গিত আছে সেখানে। জাদুঘরে সংরক্ষিত নানা ঐতিহাসিক নিদর্শনের মাধ্যমে আমরা যে বাঙালির আত্মপরিচয় পেতে পারি, সে মন্তব্যও আছে উদ্দীপকটিতে। উদ্দীপকের মতো মূল রচনাতেও দেখি লেখক ঢাকা জাদুঘরে রক্ষিত বাঙালির হাজার বছরের ঐতিহাসিক ও সাংস্কৃতিক নিদর্শন দেখে বাঙালির আত্মপরিচয় লাভ করেছেন। আর এ বিষয়টিই নির্দেশিত হয়েছে আলোচ্য উদ্দীপকে।
ঘ উত্তর: অধ্যাপক আনিসুজ্জামান-এর ‘জাদুঘরে কেন যাব’ প্রবন্ধে জাদুঘরের মাধ্যমে বাঙালির আত্মপরিচয় লাভের যে বিষয়টি বর্ণিত হয়েছে উদ্ধৃত উদ্দীপকটিতেও তা উপস্থাপিত হয়েছে।
উদ্দীপকে সরাসরি বলা হয়েছে, জাদুঘরে সংরক্ষিত নিদর্শন থেকে বাঙালি হিসেবে আমারা আত্মপরিচয় লাভ করতে পারি। ‘জাদুঘরে কেন যাব’ প্রবন্ধেও রয়েছে এ বক্তব্যের সমর্থন।
‘জাদুঘরে কেন যাব’ প্রবন্ধে দেখি লেখক ঢাকা জাদুঘরে বেড়াতে গিয়ে বাঙালির হাজার বছরের ঐতিহাসিক নিদর্শন দেখে আত্মপরিচয় লাভ করেছেন। অন্যদিকে ঐতিহাসিক নিদর্শন সংগ্রহ ও সংরক্ষণের মাধ্যমে কীভাবে আত্মপরিচয় লাভ করতে পারি তার নির্দেশ বর্তমান। উদ্দীপক থেকে জানতে পাই, বাঙালির বৈচিত্র্যময় ঐতিহাসিক ও সাংস্কৃতিক নিদর্শন সারাদেশে ছড়িয়ে-ছিটিয়ে আছে। জাদুঘরে এগুলো সংগৃহীত হয়। আর এগুলো থেকেই আমরা লাভ করি আমাদের আত্মপরিচয়।
‘জাদুঘরে কেন যাব’ প্রবন্ধে লেখক ঢাকা জাদুঘরে বৌদ্ধ নিদর্শন, পৌরাণিক-লৌকিক নিদর্শন, মুসলিম শাসনামলের নিদর্শন দেখে বিস্মিত হয়েছেন এবং প্রথমবারের মতো লাভ করেছেন বাঙালির আত্মপরিচয়। আর উদ্দীপক ও প্রবন্ধ দুইদিক থেকে প্রতীয়মান হয় জাদুঘর থেকে আমরা আমাদের আত্মপরিচয় লাভ করতে পারি।
উক্ত বিষয় সম্পর্কে কিছু জানার থাকলে কমেন্ট করতে পারেন।
আমাদের সাথে ইউটিউব চ্যানেলে যুক্ত হতে এখানে ক্লিক করুন এবং আমাদের সাথে ফেইজবুক পেইজে যুক্ত হতে এখানে ক্লিক করুন। গুরুত্বপূর্ণ আপডেট ও তথ্য পেতে আমাদের ওয়েবসাইটে ভিজিট করুন।