সামাজিক ও মানসিক চাপ নিয়ন্ত্রণে ‘সেলফ টক’ পদ্ধতি ।। গেস্ট ব্লগিং জয়দেব বেরা ।। ‘সেলফ টক’ (Self talk) পদ্ধতি হল এক ধরনের সাইকোলজিক্যাল পদ্ধতি।এই পদ্ধতিকে ‘অটোসাজেশন'(Auto Suggestion) পদ্ধতিও বলা হয়।
সেলফ টক পদ্ধতি বলতে বোঝায় নিজেকে অধ্যয়নের পদ্ধতি।নিজের সঙ্গে নিজেকে কথা বলাই হল ‘সেলফ টক”) বা ‘অটোসাজেশন’ পদ্ধতি।
যন্ত্রণাদায়ক কোষ্ঠকাঠিন্য থেকে মুক্তির ৬ উপায়
এই ‘অটোসাজেশন’ বা ‘সেলফ টক’ সিস্টেমের মাধ্যমে ব্যক্তিকে চেক করে দেখতে হয় তার মনে কি ভাবনা-চিন্তার প্রবাহ চলছে। ব্যক্তির নিজের সাথে কথা বলা (self talk), যেটা আমাদের সচেতন বা অবচেতন মনে চলতেই থাকে তা নিজের সচেতন মন দ্বারা পরিচালনা করে।
যখন আমরা নানান সমস্যার (পড়াশোনা,ইন্টারভিউ, চাকরির পরীক্ষা, দাম্পত্য সমস্যা,পারিবারিক দায়িত্ব,নেশায় আসক্তি প্রভৃতি) সম্মুখীন হই তখন বুঝতেই পারিনা যে কি করবো বা কি করা উচিৎ।
সমস্যা গুলো নিয়ে এতটাই চিন্তায় পড়ি যাই যে আমরা সামাজিক ও মানসিকভাবে ভেঙে পড়ি।এর ফলে মাথা ঠান্ডা রাখতেও পারিনা, অজান্তে নানান সমস্যায় জড়িয়ে পড়ি।
ভালো-খারাপ দিক গুলো বুঝতেই পারিনা।যারফলে সামাজিক ও মানসিকভাবে খুব অসহায় লাগে।বার বার হতাশায় ভুগি।তাই এই সমস্যা গুলোকে সমাধান করতে এই সেলফ টক পদ্ধতিকে কাজে লাগান।
অর্থাৎ কোনো সমস্যা হলে আগে নিজের সাথে কথা বলুন।যেমন- কেনো এই সমস্যা এলো,কিসের জন্য এলো,কার জন্য এলো,কি করে এটাকে সমাধান করা যেতে পারে এই সব প্রশ্ন-উত্তর গুলো নিয়ে ঠান্ডা মাথায় নিজের সাথে কথা বলুন।
দেখবেন অনেকটাই হালকা লাগবে এবং সমাধানের কিছু একটা পথও খুঁজে পাবেন।যেমন- যদি আপনি নেশায় আসক্তি হন এবং এই নিয়ে খুব সমস্যা হয় তাহলে সর্বপ্রথম নিজের সাথে কথা বলুন (self talk)।
নিজেকে প্রশ্ন করুন- কেনো এই নেশা খাচ্ছি, নেশার জন্য কেনো পারিবারিক সমস্যা সৃষ্টি করেছি,কেনো নিজের স্বাস্থ্য নষ্ট করছি, কেনো নিজেকে আর পাঁচ জনের মতো ভালো করতে পারছি না, আমিও পারি ভালো মানুষ হতে,আমিও পারি ভালো ছেলে, ভালো স্বামী,ভালো দাদা-ভাই,ভালো প্রতিবেশী হতে।
এই সমস্ত প্রশ্ন-উত্তর গুলো নিজেকে করুন,নিজের সাথে এইভাবে সমস্যা গুলো নিয়ে কথা বলুন, নিজেকে স্টাডি করুন দেখবেন সমাধান নিশ্চয় পাবেন,নিশ্চই মনের সাহসও ফিরে পাবেন।
সামাজিক ও মানসিকভাবে অনেকটাই হালকাবোধ হবে।তাই বলবো যেকোনো সমস্যা হলে আগে নিজের সাথে কথা বলুন অর্থাৎ সেলফ টক করুন দেখবেন অনেক কিছুই সমাধান হয়ে যাবে এবং হতাশা মুক্ত হতে পারবেন।
ছাত্র-ছাত্রীদের পড়াশোনা, চাকরি, পরীক্ষা, ইন্টারভিউ নিয়েও মনে অনেক দ্বন্দ্ব কাজ করে,হতাশাবোধ হয়।মনে হয় আমার দ্বারা হবে না,পরীক্ষায় কমন প্রশ্ন আসবে না,ইন্টারভিতে কথা বলতে পারবো না প্রভৃতি।
এই রকম সমস্যা হলে আগে নিজের সাথে নিজেই কথা বলুন- কেনো পারবো না,আমিও এই এই বিষয় গুলো পড়েছি,এই গুলো কমন পাবোই,আমাকে ভালো ফল করতেই হবে,চাকরি পেতেই হবে।এই ভাবে ইতিবাচক কথা বলুন নিজের সাথে দেখবেন সমাজিক ও মানসিক চাপ থেকে মুক্তি পাবেন।
তাই চেষ্টা করুন প্রতিদিন কাজের শেষে নিজেকে স্টাডি করা।নিজের সাথে কথা বলা বিভিন্ন বিষয় নিয়ে।দেখবেন অনেকটাই চাপ মুক্ত লাগবে।
●(লেখক ভারতবর্ষের একজন তরুণ কবি,প্রাবন্ধিক,সমাজকর্মী, সমাজতত্ত্বের গেস্ট লেকচারার, সাহিত্য পত্রিকার সম্পাদক)
উক্ত বিষয় সম্পর্কে কিছু জানার থাকলে কমেন্ট করতে পারেন।
আমাদের সাথে ইউটিউব চ্যানেলে যুক্ত হতে এখানে ক্লিক করুন এবং আমাদের সাথে ফেইজবুক পেইজে যুক্ত হতে এখানে ক্লিক করুন। গুরুত্বপূর্ণ আপডেট ও তথ্য পেতে আমাদের ওয়েবসাইটে ভিজিট করুন।