HSC | বাংলা ২য় | সংলাপ রচনা ১১-২০ | PDF Download: বাংলা দ্বিতীয় পত্র হতে গুরুত্বপূর্ণ সব সংলাপ রচনা পত্র গুলো আমাদের এই পোস্টে পাবেন।
প্রিয় ছাত্র ছাত্রী বন্ধুরা আল্লাহর রহমতে সবাই ভালোই আছেন । এটা জেনে আপনারা খুশি হবেন যে, আপনাদের জন্য বাংলা দ্বিতীয় পত্র বিষয়টির গুরুপূর্ণ কিছু সংলাপ রচনা পত্র নিয়ে আলোচনা করতে যাচ্ছি ।
সুতরাং সম্পূর্ণ পোস্টটি মনোযোগ সহকারে পড়ুন। আর এইচ এস সি- HSC এর যেকোন বিভাগের গুরুত্বপূর্ণ সকল সাজেশন পেতে জাগোরিকের সাথে থাকুন।
১১. গ্রাম ও শহর জীবনের সুবিধা ও অসুবিধা নিয়ে দুই বন্ধুর মধ্যে কাল্পনিক সংলাপ।
মিঠু : শাহিন আচ্ছা শাহিন, তোমার কোথায় থাকতে বেশি ভালো লাগে, গ্রামে নাকি শহরে?
শাহিন : শহর আমার বেশি পছন্দ। এখানে সব আছে।
মিঠু : আমার কিন্তু গ্রাম বেশ পছন্দ। সেখানে যেসব সুযোগ সুবিধা রয়েছে তা শহরে নেই।
শাহিন : যেমন?
মিঠু : গ্রামে আছে সবুজ গাছপালা, পর্যাপ্ত বিশুদ্ধ আলো বাতাস, টাটকা ফলমূল-শাকসবজি, মাছ মাংস ইত্যাদি। তাছাড়া গ্রামের মানুষগুলো খুবই আন্তরিক ও পারস্পরিক সহযোগী।
শাহিন : মিঠু, এটা ঠিক গ্রামে এসব আছে। কিন্তু শহরে যেসব সুযোগ সুবিধা পাওয়া যায় সেটা গ্রামে নেই। এই ধরো লেখাপড়ার কথাই বলি। শহরে উন্নত স্কুল-কলেজ-বিশ্ববিদ্যালয় রয়েছে। ভালো শিক্ষক রয়েছে। প্রচুর রাস্তাঘাট ও উন্নত যোগাযোগ ব্যবস্থা রয়েছে। অত্যাধুনিক চিকিৎসা সেবা পেতে সাবইকে শহরে আসতে হয়। তাছাড়া শিল্প-কারখানা, ব্যবসা বাণিজ্যের জন্য শহর যতটা সুবিধাজনক গ্রাম তেমন নয়।
মিঠু : তুমি শুধু সুযোগ সুবিধার কথাই চিন্তা করছ কিন্তু সমস্যার তো শেষ নেই।
শাহিন : হ্যাঁ, শহরের যানজট সমস্যা, বায়ু, পানি, শব্দ দূষণ আমাদের স্বাভাবিক জীবনকে বাধাগ্রস্থ করছে।
মিঠু : শুধু কী তাই, প্রতিদিন বাসা থেকে বের হয়ে ভাবি সুস্থমতো ফিরতে পারব কিনা। চারিদিকে ছিনতাইকারী, পকেটমার, মাস্তানে পূর্ণ।
শাহিন : এক্ষেত্রে তোমার সাথে আমি একমত। কিন্তু শহর ছাড়া যে আমাদের উপায় নেই।
সিরাজউদ্দৌলা | সিকান্দার আবু জাফর | সৃজনশীল প্রশ্নোত্তর ১-৮ | PDF
সিরাজউদ্দৌলা | সিকান্দার আবু জাফর | সৃজনশীল প্রশ্নোত্তর ৯-১৭ | PDF
নাটকঃ সিরাজউদ্দৌলা | সৃজনশীল প্রশ্নোত্তর ১৮-২৫ | PDF
নাটকঃ সিরাজউদ্দৌলা | সৃজনশীল প্রশ্নোত্তর ২৬-৩১ | PDF
HSC | বাংলা ২য় | সংলাপ রচনা ১১-২০ | PDF Download
১২. খাদ্যে ভেজাল এবং তার বিষক্রিয়া সম্পর্কে দুই বন্ধুর সংলাপ
উৎপল : কিছু খেলেই মনে হয় বিষ খাচ্ছি।
নাজিম : এতো ভয় কেন বন্ধু?
উৎপল : ভয় হবে না, সব কিছুতে ভেজাল আর ভেজাল।
নাজিম : ও এই কথা। সেটা আর বলে কোনো লাভ নেই। তবে এটুকু বলতে পারি আমরা যা খাচ্ছি তার অধিকাংশই বিষাক্ত উপাদানে মিশ্রিত।
উৎপল : বাজারে এতো সুন্দর সুন্দর ফল সাজিয়ে রাখে। কিন্তু যখনি মনে পড়ে এসবে বিষাক্ত কেমিক্যাল মেশানো হয়েছে তখনই কেনার আগ্রহে ভাটা পড়ে।
নাজিম : উৎপল, তুমিতো শুধু ফলের কথা বলেছো। খাদ্যদ্রব্য না হয় বাদই দিলাম, রোগ বালাই থেকে সুরক্ষার জন্য যে ঔষধ সেবন করি সেটা কী নিরাপদ? সেখানেও ভেজাল। এছাড়াও ভোজ্যতেলে ভেজাল মেশানো হয়, যা দিয়ে আমরা প্রতিদিন কত খাবার তৈরি করি।
উৎপল : এই ভেজাল খাদ্যের বিষক্রিয়ার ফলেই আমাদের শরীরে দুরারোগ্য বিভিন্ন ব্যাধি ভর করছে। অকালে হারাতে হচ্ছে অনেক জীবন। ভেজাল প্রতিরোধে আমাদের সবাইকে এখনই সোচ্চার হতে হবে। নইলে এ বিষক্রিয়া সকলের মাঝে ছড়িয়ে পড়বে।
নাজিম : উৎপল সরকাকে এ বিষয়ে কঠোর পদক্ষেপ নিতে হবে।
উৎপল : শুধু সরকারের পক্ষে এটা নিয়ন্ত্রণ করা সম্ভব নয় বন্ধু। যতদিন আমাদের মধ্যে মানবিক মূল্যবোধের বিকাশ না হবে ততদিন এই সমস্যার সমাধান হবে না।
নাজিম : ঠিকই বলেছ বন্ধু আমাদেরই এই সমস্যার সমাধান করতে হবে।
১৩. জনজীবনে বিজ্ঞানের প্রভাব নিয়ে দুই বন্ধুর মধ্যে সংলাপ।
পিয়াস : পৃথিবী খুব দ্রæত এগিয়ে যাচ্ছে। পৃথিবীটা যেন হাতের মুঠোয় চলে এসেছে। বুঝলে রবিন?
রবিন : বুঝলাম না। কীভাবে সম্ভব? পৃথিবী হাতের মুঠোয় চলে আসা বলতে কী বুঝাতে চাও?
পিয়াস : কেন, তুমি কী দেখতে পাচ্ছ না, শিক্ষা, স্বাস্থ্য, চিকিৎসাসহ প্রতিটি ক্ষেত্রে যে উত্তরোত্তর উন্নতি হচ্ছে এবং সহজ হচ্ছে তা কীসের কারণে?
রবিন : এটাতো সহজ কথা। বিজ্ঞান এক্ষেত্রে সবচেয়ে বড় ভূমিকা রেখেছে।
পিয়াস : আমি সেটাই বোঝাতে চেয়েছি। বিজ্ঞান আমাদের চলার পথ সহজ করে দিয়েছে। মুহূর্তেই পৃথিবীর এই প্রান্ত থেকে অন্য আরেক প্রান্তের খবর সরবরাহ করছে, অত্যাধুনিক যন্ত্রপাতির ফলে জটিল ও কঠিন রোগ নির্ণয় সম্ভব হচ্ছে।
রবিন : বিজ্ঞানের উৎকর্ষ গোটা বিশ্বটাকেই পাল্টে দিয়েছে। বিশেষ করে কম্পিউটার ও ইন্টারনেটের আবির্ভাব বিজ্ঞানের উৎকর্ষের ফসল একটি ছোট্ট ডিভাইসের মধ্যে মনে হয় জগৎটাকে আবদ্ধ করে ফেলেছে।
পিয়াস : রবিন তুমি সম্ভবত মোবাইল ফোনের প্রতি ইঙ্গিত করছ।
রবিন : হ্যা, মোবাইল ফোনের কথাই বলছি। ছোট একটি মোবাইলে কী নেই, সবই আছে।
পিয়াসা : এজন্যেই তোমাকে বলেছিলাম পৃথিবীটা হাতের মুঠোয় চলে এসেছে বিজ্ঞানের কল্যাণে।
রবিন : দেখবে ভবিষ্যতে এটি আরো উন্নত ও সহজ হবে।
পিয়াস : আমারও তাই মনে হয় রবিন।
১৪. প্রাথমিক স্তরে মাতৃভাষা বা শিক্ষা সম্পর্কে দুই বান্ধবীর সংলাপ।
নাদিয়া : তুমি জানো মুনিরা আমরা মাতৃভাষা প্রথম কোথায় শিখেছিলাম?
মুনিয়া : কেন, এটাতো সবারই জানা। প্রাথমিক স্তরের শিক্ষাই মাতৃভাষা শিক্ষায় সবচেয়ে কার্যকরী ছিল।
নাদিয়া : তুমি ঠিকই ধরেছ। মায়ের কাছে থেকে মুখে মুখে জন্মের প্রথমই আমরা ভাষা শিখেছি। সে শিক্ষাই ধীরে ধীরে বিকাশ লাভ করেছে।
মুনিরা : তবে একটা বিষয় স্বীকার করতেই হবে। জীবনের প্রথম যে প্রাথমিক শিক্ষা স্কুলে দেয়া হয় সেটা ভাষা শিক্ষার মূল ভিত্তি।
নাদিয়া : হ্যা, ঠিক বলেছ। প্রাথমিক বিদ্যালয়ে অ আ ক খ শেখার মধ্য দিয়ে মাতৃভাষা শেখার হাতেড়ি হয়।
মুনিরা : শব্দগঠন, বাক্যগঠন, ধ্বনি এ বিষয়গুলে সেখান থেকেই আমাদের শেখা। ভাষার সেই ভিত্তির উপর দাঁড়িয়ে আজ আমরা
নাদিয়া মনের ভাষা সাবলীলভাবে বলতে লিখতে ও প্রকাশ করতে পারি।
নাদিয়া : মুনিরা তুমি খুব ভালো একটি স্মৃতি মনে করিয়ে দিলে। সেই ছোট বেলার শিক্ষা পদ্ধতি সত্যিই খুব তাৎপর্যপূর্ণ।
মুনিরা : তোমাকে ধন্যবাদ নাদিয়া।
১৫. সড়ক দুর্ঘটনা নিয়ে দুই শিক্ষার্থীর মধ্যে সংলাপ।
বিজয় : প্রতিদিন কতজন লোক সড়ক দুর্ঘটনায় মারা যায় তুমি জানো মুহিন?
মুহিন : আমার মনে হয় এর সঠিক হিসেব নেই, কারণ সব খবর তো পত্রিকা আর টিভিতে আসে না।
বিজয় : আমাদেরে দেশের কত মূল্যবান জীবন এভাবে শেষ হয়ে যায়। সতিই ভাবতে অবাক লাগে। এ নিয়ে কারো যেন কোনো মাথা ব্যথা নেই।
মুহিন : বিজয়, তুমি ঠিকই বলেছ। এর একটা প্রতিকার হওয়া দরকার। আচ্ছা এসব দুর্ঘটনার পেছনে মূল কারণ কী তুমি বলতে পার?
বিজয় : আমার মনে হয়, সড়ক দুর্ঘটনার অন্যতম কারণ প্রতিযোগিতার মনোভাব।
মুহিন : সেটা কেমন? কিসের প্রতিযোগিতা?
বিজয় : গাড়ি চালকরা কার আগে কে যাবে এই প্রতিযোগিতায় বেপরোয়াভাবে দ্রæত গাড়ি চালায়। এছাড়াও অনভিজ্ঞ চালক সড়ক দুর্ঘটনার ক্ষেত্রে দায়ী।
মুহিন : হ্যা, লাইসেন্স নেই এমন অসংখ্য চালক রয়েছে যারা প্রশিক্ষণ না নিয়েই বড় গাড়ির চালক হয়ে যায়। ট্রাফিক পুলিশ এদের ব্যাপারে কঠোর হলে এমনটা হতো না।
বিজয় : আইনের প্রয়োগ যেমন এক্ষেত্রে জরুরী তেমনি জনসচেতনতারও প্রয়োজন রয়েছে। অতিরিক্ত যাত্রী হয়ে গাড়িতে না উঠলেও আমরা পারি। কিন্তু জীবনের ঝুঁকি নিয়ে আমরা সেই কাজটি করি।
মুহিন : আমরা একটা কাজ করতে পারি। আমাদের ক্লাসের সকল শিক্ষার্থীদের নিয়ে সড়ক দুর্ঘটনার কারণ ও প্রতিকার বিষয়ে একটি স্মারকলিপি তৈরি করে জেলা প্রশাসকের নিকট জমা দিতে পারি।
বিজয় : ভালো চিন্তা করেছ। চলো আগে সবার সাথে এ বিষয়ে কথা বলি।
১৬. মোবাইল ফোনের অপব্যবহার নিয়ে দুই বন্ধুর মধ্যে সংলাপ।
আনোয়ার : মাজিদ, তুমি নাকি মোবাইল কিনেছো?
মাজিদ : তোমাকে কে বলেছে?
আনোয়ার : ক্লাসের সবাইতো জানে। অথচ তুমি আমাকে বলোনি।
মাজিদ : বন্ধু, মন খারাপ করো না। আসলে এ যুগে মোবাইল না হলে চলা যায় না। কতো প্রয়োজন যে এ যন্ত্রটা পূরণ করে। তাই সুযোগ এল ঝটপট কিনে ফেললাম।
আনোয়ার : দেখো মাজিদ, মোবাইল নিয়েছ ভালো কথা। কিন্তু মনে রেখো এটা দিয়ে যাতে তোমার এবং অন্যের ক্ষতি না হয়।
মাজিদ এটা কি বলছ! মোবাইল দিয়ে আবার ক্ষতি কিভাবে হয়?
আনোয়ার : প্রতিটা জিনিসের ভালো এবং খারাপ দুটো দিক আছে। তোমার হাতে একটি ছুরি থাকলে তা দিয়ে আপেল কেটেও খেতে পারো, আবার কাউকে হত্যাও করতে পারো। মোবাইলটাও তেমনি।
মাজিদ : হেয়ালি না করে খুলে বলো আনোয়ার।
আনোয়ার : এটা ব্যবহার করে তুমি যেমন কম সময়ে তোমার প্রয়োজন পূরণ করতে পারো, আবার অযথা ব্যবহার করে তোমার সময় নষ্ট যেমন হতে পারে, তেমনি অপরকে অযথা ফোন করে বিরক্ত করা, কাউকে হুমকি দেয়া, অশ্লীল ছবি বা ভিডিও করা ইত্যাদির মাধ্যমে অপরের ক্ষতি সাধনও করতে পার।
মাজিদ : আমিতো এভাবে কখনো ভাবিনি। তোমাকে অনেক ধন্যবাদ। তুমি আমাকে সচেতন করে দিলে।
১৭. জ্ঞানচর্চায় বিজ্ঞানের ভূমিকা দুই বন্ধুর মধ্যে সংলাপ।
হাদী : দোস্ত, শুনলাম তুই নাকি নেট কানেকশন নিয়েছিস?
সাদী : হ্যাঁ, নিলাম তো।
হাদী : ভালো হলো, স্যারের অ্যাসাইনমেন্ট করতে সুবিধা হবে।
সাদী : হ্যা, স্যার যে কোথা থেকে সব লেটেস্ট বিষয় ধরে নিয়ে আসেন, বই খুঁজে কিছুই পাই না।
হাদী : তোর এখন সারা দুনিয়া খোলা।
সাদী : মানে কী?
হাদী : মানে খুব সোজা। যে বিষয়টি তোর জানা দরকার সে বিষয়টি টাইপ করে তুই গুগলে সার্চ দিবি। তারপর দেখবি তোর সামনে একাধিক অপশন এসে হাজির। তারপর তুই তোর পছন্দমতো সাইটটি ওপেন করে জেনে নে তোর প্রয়োজনীয় তথ্য।
সাদী : খুব ভালো তো। দোস্ত, আমি কিন্তু আগে নেট ব্যবহার করি নাই, তুই কিন্তু আমাকে একটু শিখিয়ে দিবি।
হাদী : কী যে বলিস না। আমি শিখাব না? তুই হলি আমার জানের দোস্ত।
সাদী : আচ্ছা হাদী, নেট কী সারাদিনই সার্চ করা যায়?
হাদী : আরে দিন-রাত ২৪ ঘণ্টা।
সাদী : তাই নাকি? ওদের কোনো অফিস আওয়ার নেই।
হাদী : না দোস্ত, তোমার জন্য সারাদিন খোলা।
সাদী : যাক, তাহলে ভালোই হলো, ক্লাস শেষে রাতে বাসায় ফিরে অ্যাসাইনমেন্টের কাজ করা যাবে।
১৮. সংবাদপত্র পাঠের উপকারিতা সম্পর্কে দুই সহপাঠীর মধ্যে সংলাপ।
পিনু : সকালে বাসা থেকে বেরোতে দেরি করিস কেন?
নীলু : আসলে বন্ধু সকালে একটু পত্রিকাটা না পড়ে বেরোলে কেমন যেন খালি খালি লাগে।
পিনু : তুই বুদ্ধিজীবী হবি নাকি?
নীলু : এ কথা বলিস কেন? এখন দৈনিক পত্রিকায় এমন কিছু বিষয় থাকে যা আমাদের মতো শিক্ষার্থীদের জন্য খুবই উপকারী।
পিনু : পত্রিকায় তো বড়দের দরকারি খবর থাকে।
নীলু : না না, তোর ধারণাটা ঠিক নয়। পত্রিকায় এখন ছাত্রছাত্রীদের পাঠ্যপুস্তকের পড়াশোনার বিষয় এবং প্রশ্নের উত্তরও দেওয়া হয়।
পিনু : তাই নাকি? দেখিনি তো।
নীলু : তুই কালকেই আমার বাসার আয়। স্কুলে যাওয়ার আগে দেখে যাবি। পড়াশোনা ছাড়াও খেলার খবর, দেশ বিদেশের মজার মজার খবর, বিভিন্ন বড় বড় মানুষের খবর, গল্প ইত্যাদি থাকে। তুই পড়ে খুব আনন্দ পাবি।
পিনু : তুই তো ভালো কথা বললি দোস্ত। ঠিক আছে, কাল থেকে আমিও পত্রিকা পড়ব।
নীলু : পত্রিকা আসলে আমাদের জ্ঞানকে হালনাগাদ করে দেয়।
১৯. বৈশ্বিক উষ্ণতার ভয়াবহতা নিয়ে পরিবেশবিদ ও ছাত্রের মধ্যে সংলাপ।
পরিবেশবিদ : তুমি বৈশ্বিক উষ্ণতা সম্পর্কে কী জানো?
ছাত্র : দিনে দিনে পৃথিবীর উষ্ণতা বৃদ্ধি পাচ্ছে।
পরিবেশবিদ : এর কারণ বলতে পারো?
ছাত্র : পরিবেশের প্রতি আমাদের অবহেলা এবং পরিবেশের ভারসাম্য রক্ষা সম্পর্কে আমাদের অজ্ঞতা।
পরিবেশবিদ : আর এর ফলে আমাদের কী ক্ষতি হচ্ছে?
ছাত্র : এটা বলতে পারব না স্যার।
পরিবেশবিদ : বৈশ্বিক উষ্ণতা বৃদ্ধির ফলে দিন দিন পৃথিবী আমাদের বসবাসের অযোগ্য হয়ে পড়ছে। এর মধ্যেই অনেক প্রাণী বিলুপ্ত হয়ে গেছে। আর পরিবেশ দিন দিন আমাদের জন্য বৈরী হয়ে আসছে।
ছাত্র : তাহলে এ থেকে রক্ষা পাবার উপায় কী স্যার?
পরিবেশবিদ : আমাদের পরিবেশের বিষয়ে সচেতন হতে হবে। এমন কিছু করা যাবে না যার ফলে পরিবেশ বিপর্যয়ের মুখে পড়ে।
ছাত্র বুঝতে পেরেছি স্যার। আমাদের সচেতনতাই পারে এ বিপদ থেকে পৃথিবীকে রক্ষা করতে।
HSC | বাংলা ২য় | কলেজ ভিত্তিক অনুবাদ ১৬১-১৮৫ | PDF Download
HSC | বাংলা ২য় | কলেজ ভিত্তিক অনুবাদ ১৪১-১৬০ | PDF Download
HSC | বাংলা দ্বিতীয় | কলেজ ভিত্তিক অনুবাদ ১২১-১৪০ | PDF Download
HSC | বাংলা দ্বিতীয় | বোর্ড ভিত্তিক অনুবাদ ১০১-১২০ | PDF Download
HSC | বাংলা দ্বিতীয় পত্র | অনুবাদ ৬১-৮০ | Onubad | PDF Download
২০. নারী শিক্ষার গুরুত্ব বিষয়ে বাবা ও মেয়ের মধ্যে সংলাপ।
সীমা : বাবা শুনেছ, মা বলল আমাকে নাকি আর কলেজে যেতে হবে না।
বাবা : কেন রে মা?
সীমা : প্রথমত, আমাদের অভাবের সংসার। পড়ার খরচ জোগাতে কষ্ট হবে। দ্বিতীয়ত, একটা মেয়ের যতটুকু পড়াশোনা জানা দরকার, আমার নাকি তা হয়ে গেছে।
বাবা : তোর মা বললেই তো আর হবে না। অর্থের অভাবে তোর পড়ালেখা আমি বন্ধ করব না।
সীমা : কষ্ট হবে না?
বাবা : না রে মা, আমার যত কষ্টই হোক, আমি তোকে উচ্চশিক্ষায় শিক্ষিত করব। কোনো জাতিকে শিক্ষিত করে তুলতে হলে, নারীকে আগে শিক্ষিত করা উচিত।
সীমা : তোমার সাথে আমি একমত বাবা। প্রত্যেক মানুষই তার জীবনের প্রথম শিক্ষাটা পায় মায়ের কাছ থেকে।
বাবা : সে জন্যেইতো বললাম, মা শিক্ষিত হলে জাতিও শিক্ষিত হবে। সমাজের জন্য, রাষ্ট্রের জন্য, এমনকি পৃথিবীর জন্য যে জিনিসটি সবচেয়ে বেশি গুরুত্বপূর্ণ সেটি হলে নারী শিক্ষা।
সীমা : কিন্তু আমাদের দেশের অবস্থা তো বেহাল। স্কুলের গÐি পেরোবার আগেই অনেক মেয়ের বিয়ে হয়ে যায়। পড়ালেখার বদলে ওদের ঘর সংসার করতে হয়।
বাবা : আমাদের পিছিয়ে পড়ার মূল কারণগুলোর মধ্যে এটিও একটি। তবে এখন কিন্তু মানুষ সচেতন হচ্ছে। সরকারও নারী শিক্ষার প্রতি জোর দিচ্ছে।
সীমা : শুধু সরকার জোর দিলেই তো হবে না বাবা। সবচেয়ে বড় ভূমিকা পালন করতে হবে বাবা-মাকে।
বাবা : হ্যা রে মা, এখন বাবা-মায়েরাও সচেতন হচ্ছে। তারাও বুঝতে পারছে, তাদের পরবর্তী প্রজন্মকে শিক্ষিত করে তুলতে হলে নারী শিক্ষার কোনো বিকল্প নেই। তুই কলেজে যা মা। আমি কাল-পরশুর মধ্যে তোর সমস্ত বেতন পরিশোধ করে দেব।
সীমা : ধন্যবাদ বাবা। তুমি পৃথিবীর শ্রেষ্ঠ বাবা।
পরীক্ষা উপযোগী কিছু গুরুত্বপূর্ণ সংলাপ
১. একটি পূর্ণিমা রাতের সৌন্দর্য প্রসঙ্গে দুই বন্ধুর মধ্যে সংলাপ রচনা কর।
২. ‘শিশু ও নারীর প্রতি সহিংসতা’ বিষয়ে শিক্ষক-শিক্ষার্থীর সংলাপ রচনা কর।
৩. স¤প্রতি পড়া একটি বই সম্পর্কে দুই বন্ধুর কথোপকথন রচনা কর।
৪. ক্লাসে দেরি করে আসায় শিক্ষার্থী ও শ্রেনি-শিক্ষকের মধ্যে সংলাপ লেখ।
৫. উচ্চশিক্ষা গ্রহণে আগ্রহী দুই বন্ধুর মধ্যে একটি সংলাপ রচনা কর।
৬. পারুল ও সুলতানা দুই বান্ধবী। তাদের মধ্যে যৌতুক প্রথা নিয়ে একটি সংলাপ উপস্থাপ কর।
৭. একজন বন্ধুর কাছে বইমেলায় আসার অভিজ্ঞতা সংলাপের মাধ্যমে তুলে ধর।
অথবা, বইমেলা সম্পর্কে দুই বন্ধুর মধ্যকার সংলাপ উপস্থাপন কর।
৮. মনে কর, তোমার নাম সুমনা। তুমি এইচএসসি পরীক্ষা দিয়েছ। ভবিষ্যতে ডাক্তার হতে চাও। এ ব্যাপারে বাবার কাছ থেকে তোমার পরামর্শ নেওয়ার বিষয়টি সংলাপের আকারে তূলে ধর।
৯. ইভটিজিং নিয়ে দুই বান্ধবীর প্রতিক্রিয়া সংলাপের আকারে তুলে ধর।
১০. আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবসের গুরুত্ব বিষয়ে একটি সংলাপ রচনা কর।
১১. তোমার কলেজের কৃতিত্বপূর্ণ ফল লাভে অধ্যক্ষ ও দৈনিক পত্রিকার প্রতিবেদকের কথোপকথন সংলাপ আকারে তুলে ধর।
১২. নারীশিক্ষার গুরুত্ব বিষয়ে বাবা ও মেয়ের মধ্যে সংলাপ রচনা কর।
১৩. গ্রীষ্মের ছুটিতে বেড়াতে যাওয়ার পরিকল্পনা নিয়ে দুই বন্ধুর মধে সংলাপ রচনা কর।
১৪. সংস্কৃতি ও অপসংস্কৃতি সম্পর্কে দুই বন্ধুর/বান্ধবীর মধ্যে সংলাপ তৈরি কর।
১৫. দ্রব্যমূল্য বৃদ্ধি নিয়ে দুই বন্ধুর মধ্যে সংলাপ তৈরি কর।
১৬. এইচএসসি পরীক্ষার প্রস্তুতি নিয়ে দুই বন্ধুর মধ্যে সংলাপ রচনা কর।
১৭. বৃক্ষের প্রয়োজনীয়তা বিষয়ে দুই বন্ধুর মধ্যে সংলাপ রচনা কর।
১৮. ধূমপানের ক্ষতিকর দিক নিয়ে দুই বন্ধুর মধ্যে সংলাপ তৈরি কর।
১৯. ইংরেজি শিক্ষার গুরুত্ব সম্পর্কে দুই বন্ধুর মধ্যে সংলাপ রচনা কর।
২০. সা¤প্রদায়িক সম্পীতি সম্পর্কে বাবা ও মেয়ের মধ্যে সংলাপ রচনা কর।
২১. বাংলা নববর্ষ উদযাপন উপলক্ষ্যে দুই বান্ধবীর মধ্যে সংলাপ রচনা কর।
২২. বৈশ্বিক জলবায়ু পরিবর্তনের সা¤প্রতিক প্রবণতা সম্পর্কে দুই বন্ধুর মধ্যে সংলাপ রচনা কর।
২৩. পানি দূষণ সম্পর্কে দুই বান্ধবীর মধ্যে সংলাপ রচনা কর।
২৪. পরিবেশ দূষণ সম্পর্কে দুই বান্ধবীর মধ্যে সংলাপ রচনা কর।
২৫. বায়দূষণ সম্পর্কে দুই বান্ধবীর মধ্যে সংলাপ রচনা কর।
২৬. ফুল ক্রেতা ও বিক্রেতার মধ্যে একটি সংলাপ রচনা কর।
২৭. কলেজ থেকে প্রশংসাপত্র পাওয়ার জন্য অধক্ষের সাথে একজন ছাত্রের সংলাপ রচনা কর।
২৮. তোমার বাবা স¤প্রতি ঢাকায় বদলি হয়েছেন। ঢাকার একটি কলেজে ভর্তি হবার জন্য অধক্ষের সাথে তোমার একটি সংলাপ রচনা কর।
২৯. হঠাৎ অসুস্থ হয়ে পড়ায় কলেজ ত্যাগের জন্য অধক্ষের সাথে ছাত্রের সংলাপ।
৩০. বই ক্রয়-বিক্রয় বিষয়ে ক্রেতা-বিক্রেতার মধ্যে সংলাপ রচনা কর।
৩১. বিদ্যুৎ বিভ্রাটে জনজীবনের দুর্ভোগ ও লেখাপড়ার ক্ষতি নিয়ে দুই বন্ধুর মধ্যে সংলাপ তৈরি কর।
৩২. যানজটের অসহনীয় অবস্থা সম্পর্কে দুই বন্ধুর মধ্যে সংলাপ রচনা কর।
৩৩. আবাসিক হোটেলে থাকার জন্য একজন গ্রাহকের হোটেল ম্যানেজারের সাথে সংলাপ রচনা কর।
৩৪. ই-লার্নিং সম্পর্কে দুই বন্ধুর মধ্যে সংলাপ রচনা কর।
৩৫. ফেসবুক সম্পর্কে দুই বান্ধবীর মধ্যে সংলাপ রচনা কর।
৩৬. ই-মেইল সম্পর্কে দুই বান্ধবীর মধ্যে একটি সংলাপ রচনা কর।
৩৭. ক্রীড়া সামগ্রী ক্রয়-বিক্রয়ের ব্যাপারে ক্রেতা ও বিক্রেতার মধ্যে সংলাপ রচনা কর।
৩৮. কিছু মালামাল/বইপত্র পার্সেল করার প্রয়োজনে দায়িত্বে থাকা ব্যক্তির সঙ্গে জিনিস প্রেরণকারীর একটি সংলাপ রচনা কর।
৩৯. কলেজের গ্রন্থাগার থেকে গ্রন্থাগার কার্ড পাওয়া প্রসঙ্গে গ্রন্থাগারিকের সাথে শিক্ষার্থীর একটি সংলাপ রচনা কর।
৪০. মোবাইল ফোনের উপকারিতা ও অপকারিতা সম্পর্কে দুই বন্ধুর সংলাপ রচনা কর।
৪১. শব্দদূষণ সম্পর্কে দুই বন্ধুর মধ্যে সংলাপ রচনা কর।
৪২. বই পড়ার গুরুত্ব সম্পর্কে দুই বন্ধুর মধ্যে একটি সংলাপ রচনা কর।
৪৩. শিশুশ্রম সম্পর্কে দুই বন্ধুর মধ্যে একটি সংলাপ রচনা কর।
৪৪. গ্রাম্যমেলা সম্পর্কে দুই বন্ধুুর মধ্যে সংলাপ রচনা কর।
৪৫. মাদকাসক্তির প্রতিকার বিষয়ে দুই বন্ধুর মধ্যে একটি সংলাপ রচনা কর।
৪৬. হরতালের ক্ষতিকর প্রভাব সম্পর্কে দুই বন্ধুর মধ্যে একটি সংলাপ রচনা কর।
৪৭. দুনীর্তির ক্ষতিকর প্রভাব সম্পর্কে দুই বন্ধুর মধ্যে একটি সংলাপ রচনা কর।
৪৮. খাদ্যে ভেজাল সম্পর্কে দুই বন্ধুর মধ্যে একটি সংলাপ রচনা কর।
৪৯. বাগান করা সম্পর্কে দুই বন্ধুর মধ্যে একটি সংলাপ রচনা কর।
৫০. সৎসঙ্গ ও অসৎসঙ্গ সম্পর্কে দুই বন্ধুর মধ্যে একটি সংলাপ রচনা কর।
৫১. আর্সেনিক দূষণ সম্পর্কে দুই বন্ধুর মধ্যে একটি সংলাপ রচনা কর।
৫২. সন্ত্রাস সম্পর্কে দুই বন্ধুর মধ্যে একটি সংলাপ রচনা কর।
৫৩. জনসংখ্যা বৃদ্ধির সমস্যা নিয়ে দুই বন্ধুর মধ্যে একটি সংলাপ রচনা কর।
৫৪. বেকারত্ব সম্পর্কে দুই বন্ধুর মধ্যে একটি সংলাপ রচনা কর।
৫৫. সড়ক দূর্ঘটনা সম্পর্কে দুই বন্ধুর মধ্যে একটি সংলাপ রচনা কর।
অথবা, ‘নিরাপদ সড়ক চাই’ বিষয়ে দুই বন্ধুর মধ্যে একটি সংলাপ রচনা কর।
অথবা, মনে কর, তুমি সাকিব, তোমার বন্ধু মিলন।“নিরাপদ সড়ক চাই” বিষয়ে দুজনের মধ্যে একটি সংলাপ রচনা কর।
অথবা, “সড়ক দূর্ঘটনা বিষয়ে সচেতনতা” এই শিরোনামে দুই বন্ধুর মধ্যে একটি সংলাপ রচনা কর।
৫৬. ডিজিটাল বাংলাদেশ সম্পর্কে দুই বন্ধুর মধ্যে একটি সংলাপ রচনা কর।
৫৭. কম্পিউটার শিক্ষা সম্পর্কে দুই বন্ধুর মধ্যে একটি সংলাপ রচনা কর।
৫৮. স্যাটেলাইট টেলিভিশন চ্যানেল সম্পর্কে দুই বন্ধুর মধ্যে একটি সংলাপ রচনা কর।
৫৯. সংবাদপত্রের উপকারিতা ও গুরুত্ব নিয়ে ছোট ভাই ও বড় ভাইয়ের মধ্যে একটি সংলাপ রচনা কর।
৬০. বাংলাদেশ ক্রিকেট দলের স¤প্রতি অর্জিত কোনো সাফল্য নিয়ে দুই বন্ধুর মধ্যে একটি সংলাপ রচনা কর।
৬১. স¤প্রতি সাফ গেমস ফুটবলে ব্যর্থতা নিয়ে দুই বন্ধুর মধ্যে একটি সংলাপ রচনা কর।
৬২. বাল্যবিবাহ নিরোধের গুরুত্ব সর্ম্পকে শিক্ষক ও শিক্ষার্থীর মধ্যে একটি সংলাপ রচনা কর।
৬৩. সা¤প্রতিক “জঙ্গিবাদ” সমস্যা সর্ম্পকে শিক্ষার্থী ও শিক্ষকের মধ্যে একটি সংলাপ রচনা কর।
৬৪. জনজীবনের উপর বিজ্ঞাপনের প্রভাব সম্পর্কে দুই বন্ধুর মধ্যে একটি সংলাপ রচনা কর।
৬৫. নারীশিক্ষার গুরুত্ব নিয়ে দুই বন্ধুর মধ্যে একটি সংলাপ রচনা কর।
৬৬. উচ্চমাধ্যমিক পরীক্ষায় পাশের পর ভবিষ্যৎ পরিকল্পনা নিয়ে দুই বন্ধুর মধ্যে একটি সংলাপ রচনা কর।
উক্ত বিষয় সম্পর্কে কিছু জানার থাকলে কমেন্ট করতে পারেন।
আমাদের সাথে ইউটিউব চ্যানেলে যুক্ত হতে এখানে ক্লিক করুন এবং আমাদের সাথে ফেইজবুক পেইজে যুক্ত হতে এখানে ক্লিক করুন। গুরুত্বপূর্ণ আপডেট ও তথ্য পেতে আমাদের ওয়েবসাইটে ভিজিট করুন।