ফিন্যান্স ব্যাংকিং ও বিমা ২য় | অধ্যায় ৬ | সৃজনশীল প্রশ্ন ৬-১০ | PDF: ফিন্যান্স, ব্যাংকিং ও বিমা দ্বিতীয় পত্রের ষষ্ঠ অধ্যায়ের গুরুত্বপূর্ণ সব কমন উপযোগী সৃজনশীল প্রশ্ন গুলো আমাদের এই পোস্টে পাবেন।
প্রিয় ছাত্র ছাত্রী বন্ধুরা আল্লাহর রহমতে সবাই ভালোই আছেন । এটা জেনে আপনারা খুশি হবেন যে, আপনাদের জন্য ফিন্যান্স, ব্যাংকিং ও বিমা দ্বিতীয় পত্রের ষষ্ঠ অধ্যায়ের গুরুত্বপূর্ণ সব কমন উপযোগী সৃজনশীল প্রশ্ন গুলো নিয়ে আলোচনা করতে যাচ্ছি ।
সুতরাং সম্পূর্ণ পোস্টটি মনোযোগ সহকারে পড়ুন। আর এইচ এস সি- HSC এর যেকোন বিভাগের গুরুত্বপূর্ণ সকল সাজেশন পেতে জাগোরিকের সাথে থাকুন।
ফিন্যান্স ব্যাংকিং ও বিমা ২য় | অধ্যায় ৬ | সৃজনশীল প্রশ্ন ৬-১০ | PDF
প্রশ্ন ৬:
চেকটি ০৮/০৪/২০১৭ তারিখে আল্ফা ব্যাংক লি.-এর প্রাপকের হিসাবে জমা করা হলে চেকটি প্রত্যাখ্যাত হয়। [য. বো. ১৭]
ক.চেক কী?১
খ.বাহক চেক, হুকুম চেক পেক্ষা কম নিরাপদ কেন?২
গ.উদ্দীপকে প্রদর্শিত চেকটি কোন ধরনের চেক? ব্যাখ্যা করো।৩
ঘ.আল্ফা ব্যাংক লি. কর্তৃক প্রাপকের হিসাবে জমাকৃত চেকটি প্রত্যাখ্যানের যৌক্তিকতা বিশ্লেষণ করো।৪
৬ নং প্রশ্নের উত্তর
ক উত্তর: আমানতকারী কর্তৃক ব্যাংক থেকে অর্থ উত্তোলনের লিখিত শর্তহীন নির্দেশনামাকে চেক বলে।
খ উত্তর: বাহক চেক কেবল র্পনের দ্বারা হস্তান্তরযোগ্য বলে তা হুকুম চেক পেক্ষা কম নিরাপদ।
হুকুম চেকের প্রাপক ন্য কোনো ব্যক্তিকে চেক হস্তান্তর করলে চেকে যথাযথ নুমোদন থাকতে হয়। এক্ষেত্রে ব্যাংক প্রাপক বা নুমোদন বলে প্রাপকের যথাঅর্থতা যাচাই করে অর্থ প্রদান করে। আর বাহক চেকে এ সুযোগ থাকে না বিধায় তা কম নিরাপদ।
গ উত্তর: উদ্দীপকে প্রদর্শিত চেকটি হলো বিশেষভাবে দাগকাটা চেক।
দাগকাটা চেক দুই ধরনের। যথা- সাধারণভাবে দাগকাটা চেক এবং বিশেষভাবে দাগকাটা চেক। সাধারণভাবে দাগকাটা চেকের ক্ষেত্রে চেকের উপরিভাগে দুটি আড়াআড়ি সমান্তরাল রেখা থাকে। বিশেষভাবে দাগকাটা চেকের ক্ষেত্রে এ দুই রেখার মাঝে কোনো ব্যাংকের নাম উলেখ থাকে।
উদ্দীপকে কিশোর নাক উত্তর: একজন প্রাপককে একটি চেক দেয়া হয়েছে। চেকটির উপরিভাগে বাম কোণায় দুটি আড়াআড়িভাবে সমান্তরাল রেখা টানা রয়েছে। রেখা দুটির মাঝে ডেলটা ব্যাংক লি. এর নাম রয়েছে।
তাই চেকের প্রাপক কিশোরকে এ চেকের অর্থ উক্ত ব্যাংকের মাধ্যমে উত্তোলন করতে হবে। চেকটিতে দুটি সমান্তরাল রেখার মাঝে ডেলটা ব্যাংকের নাম উলেখ থাকার নির্দ্বিধায় বলা যায় চেকটি হলো বিশেষভাবে দাগকাটা চেক।
ঘ উত্তর: উদ্দীপকে বর্ণিত চেকটি বিশেষভাবে দাগকাটা চেক হওয়ার কারণে আলফা ব্যাংক লি. প্রাপকের হিসাবে জমাকৃত চেকটি প্রত্যাখ্যান করে।
বিশেষভাবে দাগকাটা চেকের ক্ষেত্রে আড়াআড়িভাবে দুটি সমান্তরাল রেখার মাঝে নির্দিষ্ট কোনো ব্যাংকের নাম উলেখ থাকে। প্রাপককে ঐ নির্দিষ্ট ব্যাংক হতেই তার হিসাবের মাধ্যমে চেকের অর্থ উত্তোলন করতে হয়।
উদ্দীপকে বর্ণিত চেকটির উপরিভাগে বাম কোণায় আড়াআড়িভাবে দুটি সমান্তরাল রেখা টানা রয়েছে। রেখাদ্বয়ের মাঝে ডেলটা ব্যাংক লি. এর নাম উলেখ থাকায় চেকটি বিশেষভাবে দাগকাটা চেকে রূপান্তরিত হয়েছে। চেকটি ৮/০৪/২০১৭ তারিখে আলফা ব্যাংকে প্রাপকের হিসাবে জমা করা হলে তা প্রত্যাখ্যাত হয়।
চেকটি বিশেষভাবে দাগকাটা চেক হওয়ার কারণে প্রাপককে বশ্যই ডেলটা ব্যাংকের হিসাবের মাধ্যমে এর অর্থ উত্তোলন করতে হবে। ন্য কোনো ব্যাংকের মাধ্যমে চেকটি উপস্থাপিত হলে এর অর্থ পরিশোধিত হবে না। সুতরাং, আলফা ব্যাংক কর্তৃক চেকটি প্রত্যাখ্যাত করার সিদ্ধান্তটি যৌক্তিক। কারণ এটি ন্য ব্যাংকের উপর ঙ্কিত চেক।
প্রশ্ন ৭: জনাব শাকিনুর একজন ব্যবসায়ী। তিনি তার ব্যবসায়িক প্রয়োজনে মাঝে মাঝে বাকিতে লেনদেন করেন। লেনদেনকৃত বাকি টাকা পরবর্তীতে নগদে এবং চেকের মাধ্যমে সংগ্রহ করেন। তি সম্প্রতি তিনি দু’টি চেকের মাধ্যমে বাকি টাকা জনাব ফরিদের নিকট থেকে পেয়েছেন। জনাব শাকিনুর জনতা ব্যাংকে লেনদেন করেন। কিন্তু তিনি চেক দু’টি জনতা ও গ্রণী ব্যাংকের নামে পেয়েছেন। তিনি চেক দুটি নিয়ে তার লেনদেনকৃত জনতা ব্যাংকে যান। ব্যাংক তাৎক্ষণিকভাবে একটি চেকের টাকা দিতে চাইলেও ন্যটির জন্য সাত দিন সময় চাইল। [ব. বো. ১৭]
ক.নিকাশ ঘর কী?১
খ.সঞ্চয়ী হিসাবে টাকা কি ইচ্ছামত যত খুশি যখন তখন তোলা সম্ভব? ব্যাখ্যা করো।২
গ.জনতা ব্যাংক জনাব শাকিনুরকে কোন চেকের টাকা তাৎক্ষণিকভাবে দিতে চাইল এবং কেন? ব্যাখ্যা করো।৩
ঘ.ব্যাংক কেন ন্য চেকের টাকা দিতে সাত দিন সময় চাইল? দু’টি চেকের বৈশিষ্ট্য উলেখপূর্বক তা ব্যাখ্যা করো।৪
৭ নং প্রশ্নের উত্তর
ক উত্তর: ব্যাংকিং লেনদেন থেকে উদ্ভ‚ত আন্তঃব্যাংকিং দেনা-পাওনার নিষ্পত্তিস্থলই হলো নিকাশ ঘর।
খ উত্তর: সঞ্চয়ী হিসাবের টাকা ইচ্ছামতো যত খুশী যখন তখন তোলা সম্ভব নয়।
এ হিসাবের গ্রাহকগণ ব্যাংক চলাকালীন যতবার খুশি হিসাবে অর্থ জমাদানের সুযোগ পেলেও সপ্তাহে দুই বারের বেশি অর্থ উত্তোলনের সুবিধা পান না। সাধারণত সঞ্চয়ের উদ্দেশ্য নিয়ে গ্রাহক এ ধরনের হিসাব খুললেও সীমিত ব্যাংকিং লেনদেনেরও সুযোগ পেয়ে থাকেন।
গ উত্তর: উদ্দীপকে জনতা ব্যাংক শাকিনুরকে বাহক চেকের টাকা তাৎক্ষণিকভাবে দিতে চেয়েছে।
বাহক চেকের ক্ষেত্রে সাধারণত প্রাপকের নামের শেষে ‘থবা বাহককে’ শব্দদ্বয় লিখা থাকে। এ চেক ব্যাংকে উপস্থাপন করা মাত্রই ব্যাংক এর অর্থ প্রদানে বাধ্য থাকে।
উদ্দীপকে জনাব ফরিদের নিকট হতে জনাব শাকিনুর দুটি চেক পেয়েছেন।
তিনি চেক দুটি নিয়ে তার লেনদেনকৃত জনতা ব্যাংকে যান। ব্যাংক তাৎক্ষণিকভাবে একটি চেকের অর্থ প্রদানে রাজি হয়। সাধারণত বাহক চেকের অর্থ ব্যাংক তৎক্ষণাৎ প্রদান করে থাকে।
এখানেও জনাব শাকিনুর চেকটি জনতা ব্যাংকে উপস্থাপন করা মাত্রই ব্যাংক তার অর্থ প্রদান করেছে। তাই চেকের বৈশিষ্ট্য বিবেচনায় বলা যায়, জনতা ব্যাংক জনাব শাফিনুরকে বাহক চেকের অর্থ পরিশোধ করেছে।
ঘ উত্তর: উদ্দীপকে ন্য চেকটি দাগকাটা হওয়ার কারণে ব্যাংক নিকাশ ঘর প্রক্রিয়া সম্পন্ন করার জন্য সাত দিন সময় চেয়েছে।
নিকাশ ঘর হলো আন্তঃব্যাংকিং দেনা-পাওনা নিষ্পত্তির একটি প্রক্রিয়া। কেন্দ্রীয় ব্যাংকের তত্ত¡াবধানে বাণিজ্যিক ব্যাংকগুলো এ প্রক্রিয়ায় গ্রাহকের চেক, বিনিময় বিল, ব্যাংক ড্রাফট ইত্যাদির দেনা-পাওনা নিষ্পত্তি করে থাকে।
উদ্দীপকে জনাব শাকিনুর জনাব ফরিদের কাছ থেকে দুটি চেক গ্রহণ করেন। তিনি একটি চেক জনতা ব্যাংকের নামে এবং ন্যটি গ্রণী ব্যাংকের নামে পেয়েছেন। একটি চেক বাহক চেক হওয়ার কারণে জনতা ব্যাংক সাথে সাথেই তা পরিশোধ করে দেয়। কিন্তু ন্য চেকটি দাগকাটা চেক হওয়ার কারণে ব্যাংক সাত দিন সময় চায়।
উদ্দীপকের জনাব শাকিনুরের জনতা ব্যাংকে হিসাব রয়েছে। কিন্তু ন্য চেকটি পেয়েছেন গ্রণী ব্যাংকের। অর্থাৎ তার ন্য চেকটি হলো দাগকাটা চেক। তাই নিকাশঘর প্রক্রিয়ার মাধ্যমে এ চেকের অর্থ আদায় করতে হবে। ব্যাংক এ নিকাশ প্রক্রিয়া সম্পন্ন করার জন্যই এতদিন সময় চেয়েছে।
প্রশ্ন ৮ জনাব শিহাব একটি ব্যবসায় প্রতিষ্ঠানের মালিক। তিনি তার কর্মচারীদের চেকের মাধ্যমে বেতন দেন। হাসিব নামে এক নতুন কর্মচারী তার কাছ থেকে একটি চেক পায়। হাসিব চেকের বাম কোণে দুটি রেখা ও এর মধ্যে /ঈ চধুবব লেখাটি দেখতে পায়। হাসিবকে তার বন্ধু নাছির জানায়, চেকটি ধিক নিরাপদ। [ব. বো. ১৭]
ক.চেকের প্রাপক কে?১
খ.ব্যাংক হিসাবে পর্যাপ্ত অর্থ না থাকা সত্তে¡ও চেক ইস্যু করা কি চেকের মর্যাদার মধ্যে পড়ে?২
গ.উদ্দীপকে উলিখিত চেকটি নিরাপদ কেন? ব্যাখ্যা করো।৩
ঘ.জনাব শিহাবের সাথে কর্মচারীদের আঅর্থিক লেনদেন কি সঠিক? ব্যাখ্যা করো।৪
৮ নং প্রশ্নের উত্তর
ক উত্তর: চেকের আদেষ্টা অর্থ পরিশোধের নিমিত্তে যার নাম চেকের পাতায় উলেখ করে তাকে চেকের প্রাপক বা চধুবব বলে।
প্রাপক : আদেষ্টাই চেকের উপর প্রাপকের নাম লিখে থাকেন। বশ্য আদেষ্টা নিজে অর্থ গ্রহণ করলে তিনিই প্রাপক হবেন।
খ উত্তর: ব্যাংক হিসাবে পর্যাপ্ত অর্থ না থাকা সত্তে¡ও চেক ইস্যু করা হলে উপস্থাপনের পর ব্যাংক তা প্রত্যাখান করলে সেটি চেকের মর্যাদা হিসেবে গণ্য হয়।
ব্যাংক কর্তৃক চেকের অর্থ প্রদানের স্বীকৃতিই মূলত চেকের মর্যাদা।
আর চেক ব্যাংকে উপস্থাপন মাত্র কোনো প্রকার নিয়ম না থাকলে ব্যাংক উক্ত চেকের অর্থ প্রদানে বাধ্য থাকে। তবে একটি বৈধ চেকও কতগুলো পরিহার্য শর্তের ঘাটতির কারণে স্বভাবতই মর্যাদাকৃত হতে পারে। আর এর মধ্যে ন্যতম হলো ব্যাংক হিসাবে আমানতকারীর পর্যাপ্ত টাকা না থাকা।
গ উত্তর: উদ্দীপকে উলিখিত চেকটি হলো দাগকাটা চেক এবং ন্য কেউ এ চেকের অর্থ উত্তোলন করতে পারে না। তাই এ ধরনের চেক ধিক নিরাপদ।
দাগকাটা চেকের ক্ষেত্রে চেকের উপরিভাগে বাক উত্তর:োণায় আড়াআড়িভাবে সমান্তরাল দুটি রেখা টানা থাকে। এই দুই রেখার মাঝে কিছু লেখা থাকতেও পারে, আবার নাও থাকতে পারে।
উদ্দীপকে জনাব শিহাব একটি ব্যবসায় প্রতিষ্ঠানের মালিক। তিনি তার নতুন কর্মচারী হাসিবকে একটি চেক প্রদান করেন। হাসিব চেকের বাক উত্তর:োণায় দুইটি রেখা ও এর মধ্যে /ঈ চধুপব লেখাটি দেখতে পায়। অর্থাৎ চেকটি হলো দাগকাটা চেক।
এ চেকের অর্থ শুধু প্রাপক হাসিবের ব্যাংক হিসাবের মাধ্যমেই উত্তোলন করতে হবে। তাই চেকটি হারিয়ে গেলে বা ছিনতাই হলেও হাসিব আঅর্থিকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হবে না। এ কারণেই এ চেকটি ধিক নিরাপদ।
ঘ উত্তর: উদ্দীপকে জনাব শিহাব কর্তৃক কর্মচারীদের সাথে দাগকাটা চেকের মাধ্যমে আঅর্থিক লেনদেন করা বশ্যই সঠিক।
দাগকাটা চেকের অর্থ প্রাপক ব্যতীত ন্য কেউ টাকা উত্তোলন করতে পারে না। এক্ষেত্রে চেকের প্রাপককে বশ্যই তার ব্যাংক হিসাবের মাধ্যমে অর্থ উত্তোলন করতে হয়।
উদ্দীপকে জনাব শিহাব একটি ব্যবসায় প্রতিষ্ঠানের মালিক। তিনি তার ন্যান্য কর্মচারীর মতো হাসিবের সাথেও দাগকাটা চেকের মাধ্যমে লেনদেন করেন।
দাগকাটা চেক হওয়ার কারণে হাসিব ব্যতীত ন্য কেউ এ চেকের অর্থ উত্তোলন করতে পারবে না।
কেননা, এরূপ চেকের অর্থ শুধু প্রাপকের ব্যাংক হিসাবে প্রদেয়। ফলে এ চেক চুরি বা ছিনতাই হয়ে গেলেও কোনো কর্মচারী আঅর্থিকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হবে না। উপরিউক্ত বিষয়সমূহ বিবেচনা করে বলা যায়, জনাব শিহাবের কর্মচারীদের সাথে আঅর্থিক লেনদেন করার পদ্ধতি বা কৌশলটি সঠিক এবং যৌক্তিক।
প্রশ্ন ৯: রহিম, করিমের কাছ থেকে ৫ লক্ষ টাকার একটি চেক পেল। করিম চেকটির বাম কোণে আড়াআড়িভাবে দু’টি রেখা টেনে তার মাঝখানে প্রাইম ব্যাংক লিমিটেড কথাটি লিখে দিল। রহিম চেকটি তার এক্সিম ব্যাংক শাখায় উপস্থাপন করলে ব্যাংকটি তাকে তার চেকটি প্রাইম ব্যাংক শাখায় উপস্থাপনের পরামর্শ দিল। [দি. বো. ১৬]
ক.আদেষ্টা কে?১
খ.হস্তান্তরযোগ্য ঋণের দলিল বলতে কী বোঝায়?২
গ.করিম কী প্রক্রিয়ায় চেকে টাকা উত্তোলন করতে পারবে? ব্যাখ্যা করো।৩
ঘ.উদ্দীপকের চেকটি কি ঋণ আমানত সৃষ্টি করতে পারে বলে তুমি মনে করো? ব্যাখ্যা করো।৪
৯ নং প্রশ্নের উত্তর
ক উত্তর: যিনি চেক প্রস্তুত করেন তিনিই আদেষ্টা।
খ উত্তর: যথানিয়মে এক হাত থেকে ন্য হাতে হস্তান্তরের মাধ্যমে যে দলিলের হস্তান্তরগ্রহীতা এর বৈধ মালিকানা লাভ করে তাকে হস্তান্তরযোগ্য ঋণের দলিল বলে।
বাংলাদেশে প্রচলিত হস্তান্তরযোগ্য ঋণের দলিলগুলোর মধ্যে রয়েছে ঙ্গীকারপত্র, বিনিময় বিল ও চেক।
এসব দলিলের ক্ষেত্রে দেনাদার এ মর্মে শর্তহীন প্রতিশ্র“তি দেয় যে, প্রাপককে বা তার নির্দেশ নুসারে কোনো ব্যক্তিকে বা বাহককে নির্দিষ্ট পরিমাণ অর্থ নির্দিষ্ট সময় পর পরিশোধ করবে।
গ উত্তর: উদ্দীপকে করিম দাগকাটায় উলিখিত ব্যাংকের হিসাবের মাধ্যমে এ চেকের টাকা উত্তোলন করতে পারবে।
যে দাগকাটা চেকে দুই দাগের মাঝখানে কোনো নির্দিষ্ট ব্যাংকের নাম উলেখ থাকে তাকে বিশেষ দাগকাটা চেক বলে।
উদ্দীপকে রহিম করিমের নিকট পাওনার নিষ্পত্তিতে ৫ লাখ টাকার একটি চেক গ্রহণ করল। চেকটির বাম কোণে আড়াআড়ি দু’টি রেখা ঙ্কিত এবং এর মধ্যে প্রাইম ব্যাংক লিমিটেডের নাম উলেখ রয়েছে। অর্থাৎ দুই দাগের মাঝখানে নির্দিষ্ট ব্যাংকের নাম উলেখ থাকায় চেকটি বিশেষ দাগকাটা চেক।
এক্ষেত্রে রহিম চেকের টাকা প্রাপ্তির লক্ষ্যে তার এক্সিম ব্যাংকে চেকটি জমা দিলে ব্যাংক কর্ক উত্তর:র্তা তাকে প্রাইম ব্যাংকে চেকটি উপস্থাপনের পরামর্শ দিল। চেকের অর্থ উত্তোলনে তাকে প্রাইম ব্যাংকে তার হিসাবে চেকটি জমা দিতে হবে।
তবে প্রাইম ব্যাংকে তার কোনো হিসাব না থাকলে সে করিম কর্তৃক চেকের দুই দাগের মাঝখানে ব্যাংকের নাম কেটে করিমের স্বাক্ষর সংযুক্ত করে তার এক্সিম ব্যাংক হিসাবের মাধ্যমে চেকের অর্থ উত্তোলন করতে পারবে।
ঘ উত্তর: উদ্দীপকের দাগকাটা চেকটি ঋণ আমানত সৃষ্টি করতে পারে বলে আমি মনে করি।
ব্যাংক যখন সরাসরি ঋণ মঞ্জুর না করে ঋণগ্রহীতার আমানত হিসেবে স্থানান্তরপূর্বক পুনরায় ঐ আমানত থেকে নতুন ঋণ সৃষ্টি করে তাকে ঋণ আমানত সৃষ্টি বলে।
উদ্দীপকে রহিম করিমের নিকট থেকে ৫ লাখ টাকার একটি দাগকাটা চেক পায়। দাগকাটা চেকের অর্থ ব্যাংক নগদে প্রদান করে না। গ্রাহকের ব্যাংক হিসাবের মাধ্যমে চেক জমাপূর্বক ব্যাংক চেকের অর্থ সংগ্রহ করে গ্রাহকের হিসাবে স্থানান্তর করে। ফলে উক্ত চেকের অর্থ পুনরায় ব্যাংকে জমা হয়, যা আমানত ও একই প্রক্রিয়ায় ঋণের সৃষ্টি করে।
রহিমের প্রাপ্ত দাগকাটা চেকটি দিয়ে সে সরাসরি ব্যাংক কাউন্টার থেকে নগদে উত্তোলন করতে পারবে না। এর অর্থ ব্যাংক তাকে তার হিসাবের মাধ্যমে প্রদান করবে। যা ব্যাংকে নতুন আমানতের সৃষ্টি করবে।
রহিম যদি এ অর্থ উত্তোলন না করে তবে ব্যাংকের এ আমানত থেকে ব্যাংক নতুন ঋণের সৃষ্টি করবে। সুতরাং রহিমের চেকটি ঋণ আমানত সৃষ্টিতে সক্ষম।
প্রশ্ন ১০: জনাব রহমান একটি দশ তলাবিশিষ্ট ভবনের মালিক। তিনি তার ভাড়াটিয়াদের নিকট থেকে নগদে থবা চেকের মাধ্যমে মাসিক বাড়িভাড়া গ্রহণ করেন। ২০১৫ সালের ক্টোবর মাসের ভাড়া বাবদ তিনি পাঁচজন ভাড়াটিয়ার নিকট থেকে মোট ৯০,০০০ টাকার সোনালী ব্যাংক লিমিটেড আগ্রাবাদ শাখায় পাঁচটি চেক পান। জনাব রহমানের সোনালী ব্যাংক লি. আগ্রাবাদ শাখায় একটি ব্যাংক হিসাব আছে। প্রাপ্ত চেক ৫ টিতে জনাব রহমানকে থবা বাহককে’ কথাটি লেখা ছিল। তিনি চেক পাঁচটির বাম কোণায় দুটি করে রেখা টেনে দিয়ে সোনালী ব্যাংকে জমাদানের জন্য তার এক নিকটাÍীয়ের নিকট হস্তান্তর করলেন। উক্ত আÍীয় ব্যাংকে চেক পাঁচটি জমা দিয়ে নগদ অর্থ দাবি করলে ব্যাংক কর্তৃপক্ষ তার দাবি প্রত্যাখ্যান করেন। [কু. বো. ১৬]
ক.নমুনা স্বাক্ষর কার্ড কী? ১
খ.চেকের আদিষ্ট কে? বুঝিয়ে লেখো।২
গ.জনাব রহমান ভাড়াটিয়াদের নিকট থেকে কী ধরনের চেক পেয়েছিলেন? ব্যাখ্যা করো।৩
ঘ.উদ্দীপকের জনাব রহমান কর্তৃক চেকের কোণায় লাইন টেনে দেয়ার যৌক্তিকতা বিশ্লেষণ করো।৪
১০ নং প্রশ্নের উত্তর
ক উত্তর: চেকের স্বাক্ষর যথাঅর্থ কিনা তা মিলিয়ে দেখার জন্য ব্যাংক যে কার্ডে আমানতকারীর নমুনা স্বাক্ষর সংরক্ষণ করে তাই নমুনা স্বাক্ষর কার্ড।
খ উত্তর: আদেষ্টা চেক প্রস্তুত করে মূলত যার প্রতি অর্থ পরিশোধের নির্দেশ দেয় সেই চেকের আদিষ্ট।
যে ব্যাংকের ওপর চেক কাটা হয় ঐ ব্যাংকই চেকের আদিষ্ট বা টাকা প্রদানকারী। আদিষ্ট চেকের দ্বিতীয় পক্ষ বলে পরিচিত। চেক প্রস্তুতের মাধ্যমে মূলত আদিষ্টকেই চাহিবামাত্র অর্থ পরিশোধের নির্দেশ দেয়া হয়।
গ উত্তর: উদ্দীপকে জনাব রহমান ভাড়াটিয়াদের নিকট থেকে বাহক চেক পেয়েছিলেন।
যেকোনো ব্যক্তি বা বাহক ব্যাংকে উপস্থাপন করে যে চেকের অর্থ সংগ্রহ করতে পারে তাকে বাহক চেক বলে। এ চেকে প্রাপকের নামের শেষে থবা বাহককে শব্দদ্বয় লেখা থাকে। নুমোদন ছাড়াই এ চেক হস্তান্তর করা যায়।
উদ্দীপকে জনাব রহমানের একটি দশতলা ভবন রয়েছে। ২০১৫ সালের ক্টোবর মাসের ভাড়া বাবদ তিনি ৫টি চেক পান। চেকগুলোতে জনাব রহমানকে থবা বাহককে কথাটি লেখা ছিল। ব্যাংকে এ চেকগুলো উপস্থাপন করলে ব্যাংক জনাব রহমানকে থবা বাহককে অর্থ পরিশোধে বাধ্য থাকবে। অর্থাৎ, জনাব রহমানের প্রাপ্ত চেকগুলো বাহক চেক।
- উত্তর ডাউনলোড করুন> (১ম পত্র) ব্যবসায়ের মৌলিক ধারণা ১ম পত্র সৃজনশীল প্রশ্ন
- উত্তর ডাউনলোড করুন>(১ম পত্র)১ম: ব্যবসায়ের মৌলিক ধারণা প্রশ্ন উত্তরসহ PDF
- উত্তর ডাউনলোড করুন> HSC ব্যবসায়ের মৌলিক ধারণা প্রশ্নের উত্তরসহ অধ্যায়-১: PDF
- উত্তর ডাউনলোড করুন> HSC অধ্যায়-১: প্রশ্নের উত্তরসহ ব্যবসায়ের মৌলিক ধারণা PDF
- উত্তর ডাউনলোড করুন>অধ্যায়৩: SSC ফিন্যান্স ও ব্যাংকিং‘র সৃজনশীল প্রশ্নোত্তর PDF
- উত্তর ডাউনলোড করুন> অধ্যায়৩: SSC ফিন্যান্স ও ব্যাংকিং‘র জ্ঞানমূলক প্রশ্নোত্তরPDF
ঘ উত্তর: উদ্দীপকের জনাব রহমান কর্তৃক বাহক চেকের কোণায় লাইন টেনে দাগকাটা চেকে পরিণত করার যথে®¡ যৌক্তিকতা রয়েছে।
বাহক বা হুকুম চেকের উপরে বাক উত্তর:োণে আড়াআড়িভাবে দুটি রেখা ঙ্কন করলে তাকে দাগকাটা চেক বলে। এ চেকের টাকা উত্তোলন সহজসাধ্য নয়। গ্রাহকের ব্যাংক হিসাবের মাধ্যমে এ চেক উপস্থাপন করতে হয়।
উদ্দীপকে জনাব রহমান নগদে বা চেকের মাধ্যমে ভাড়াটিয়াদের নিকট থেকে মাসিক বাড়িভাড়া গ্রহণ করেন। ২০১৫ সালের ক্টোবর মাসে ভাড়া বাবদ তিনি ৫টি বাহক চেক পান। তিনি চেক পাঁচটির বাম কোণায় রেখা টেনে দাগকাটা চেক প্রস্তুত করেন। তার এক আÍীয় ব্যাংকে চেক উপস্থাপন করলে ব্যাংক কর্তৃপক্ষ দাবি প্রত্যাখ্যাত করে।
দাগকাটা চেকের টাকা কোনো বস্থাতেই প্রকৃত প্রাপক ছাড়া ন্য কেউ সংগ্রহ করতে পারে না। ফলে আদেষ্টা ও আদিষ্ট সর্বাধিক নিরাপত্তাবোধ করে। দাগকাটা চেকের অর্থ কেবল প্রাপকের হিসাবের মাধ্যমেই সংগ্রহ করতে হয়। এতে তার অর্থের নিরাপত্তা বৃদ্ধি পায়।
তাই কেউ ইচ্ছা করলেও এর অর্থ চুরি বা জালিয়াতি করতে পারবে না। সুতরাং বলা যায়, উদ্দীপকের জনাব রহমান কর্তৃক চেকের কোণায় লাইন টেনে দেওয়া যথাঅর্থই যৌক্তিক হয়েছে।
উক্ত বিষয় সম্পর্কে কিছু জানার থাকলে কমেন্ট করতে পারেন।
আমাদের সাথে ইউটিউব চ্যানেলে যুক্ত হতে এখানে ক্লিক করুন এবং আমাদের সাথে ফেইজবুক পেইজে যুক্ত হতে এখানে ক্লিক করুন। গুরুত্বপূর্ণ আপডেট ও তথ্য পেতে আমাদের ওয়েবসাইটে ভিজিট করুন।
আমাদের সাথে ইউটিউব চ্যানেলে যুক্ত হতে এখানে ক্লিক করুন এবং আমাদের সাথে ফেইজবুক পেইজে যুক্ত হতে এখানে ক্লিক করুন। গুরুত্বপূর্ণ আপডেট ও তথ্য পেতে আমাদের ওয়েবসাইটে ভিজিট করুন।