ফিন্যান্স ব্যাংকিং ও বিমা ২য় | অধ্যায় ৬ | সৃজনশীল প্রশ্ন ১৬-২০ | PDF: ফিন্যান্স, ব্যাংকিং ও বিমা দ্বিতীয় পত্রের ষষ্ঠ অধ্যায়ের গুরুত্বপূর্ণ সব কমন উপযোগী সৃজনশীল প্রশ্ন গুলো আমাদের এই পোস্টে পাবেন।
প্রিয় ছাত্র ছাত্রী বন্ধুরা আল্লাহর রহমতে সবাই ভালোই আছেন । এটা জেনে আপনারা খুশি হবেন যে, আপনাদের জন্য ফিন্যান্স, ব্যাংকিং ও বিমা দ্বিতীয় পত্রের ষষ্ঠ অধ্যায়ের গুরুত্বপূর্ণ সব কমন উপযোগী সৃজনশীল প্রশ্ন গুলো নিয়ে আলোচনা করতে যাচ্ছি ।
সুতরাং সম্পূর্ণ পোস্টটি মনোযোগ সহকারে পড়ুন। আর এইচ এস সি- HSC এর যেকোন বিভাগের গুরুত্বপূর্ণ সকল সাজেশন পেতে জাগোরিকের সাথে থাকুন।
প্রশ্ন ১৬:
সোনালী ব্যাংক লিমিটেড
…………… শাখা
/ঈ ৭২৪৩০২৮
কামরুল কে থবা বাহককে
টাকা ত্রিশ হাজার টাকা মাত্র প্রদান করুন।
টাকা: ৩০০০০/-
হাসান
স্বাক্ষর
[বেপজা পাবলিক স্কুল এন্ড কলেজ, সাভার]
ক.বাসি চেক কী?১
খ.সরকারি নোট বলতে কী বোঝ?২
গ.প্রদর্শিত চিত্রটি কোন ধরনের চেক? ব্যাখ্যা করো।৩
ঘ.এরুপ চেক পাওয়ার পর গ্রাহক হিসেবে তোমার কী করণীয় ব্যাখ্যা করো।৪
১৬ নং প্রশ্নের উত্তর
ক উত্তর: কোনো চেক প্রস্তুত তারিখের পর ছয় মাস বা ১৮০ দিনের মধ্যে ভাঙ্গানো না হলে ঐ চেককে বাসি চেক বলে।
খ উত্তর: একটি দেশের সরকার নিজ দায়িত্বে বিহিত মুদ্রা হিসেবে যে নোটের প্রচলন করে তাকে সরকারি নোট বলে।
সরকারি নোট আইনসঙ্গত বিহিত মুদ্রা। তাই এই মুদ্রার বৈধতার বিষয়ে কোনো প্রশ্ন ওঠে না। সরকারি নোট গ্রহণে জনগণ আইনানুযায়ী বাধ্য থাকে। বাংলাদেশে এক, দুই ও পাঁচ টাকার নোট সরকারি নোট হিসেবে ইস্যু করা হয়।
গ উত্তর: উদ্দীপকে প্রদর্শিত চিত্রটি বিশেষভাবে দাগকাটা চেক।
বাহক চেক বা হুকুম চেকের উপরে বামপাশে দুটি আড়াআড়ি রেখা ঙ্কন করে উক্ত চেককে দাগকাটা চেকে রূপান্তর করা হয়। আর দুটি রেখার মধ্যে ব্যাংক শব্দের উলেখ থাকলে তাকে বিশেষভাবে দাগকাটা চেক বলে।
উদ্দীপকে প্রদর্শিত চিত্রে বাহক চেককে বিশেষভাবে দাগকাটা চেকে রূপান্তর করা হয়েছে। কারণ চেকটিতে ওপরে বামপাশে আড়াআড়ি দুটো রেখা ঙ্কন করা হয়েছে এবং দু’রেখার মধ্যে ইঈ ইধহশ খঃফ লেখা হয়েছে। সুতরাং ব্যাংক শব্দটি উলেখ থাকায় এটি বিশেষভাবে দাগকাটা চেক।
ঘ উত্তর: উদ্দীপকে প্রদর্শিত চেকটি পাওয়ার পর গ্রাহক হিসেবে আমাকে ইঈ ইধহশ খঃফ এ চেকটি জমা দিতে হবে।
যে চেকের ওপরে সাধারণত বাক উত্তর:োণে আড়াআড়ি ঙ্কিত রেখার মধ্যে ব্যাংক শব্দটি উলেখ করা হয়, তাকে বিশেষভাবে দাগকাটা চেক বলা হয়।
বিশেষভাবে দাগকাটা চেকের দুই রেখার মধ্যে যে ব্যাংকের নাম উলেখ করা থাকে ঐ ব্যাংকেই চেক জমা দিয়ে টাকা উত্তোলন করতে হয়। আর এরূপ চেকের অর্থ উত্তোলনের জন্য প্রাপকের ব্যাংক হিসাবে চেকটি জমা দিতে হয়।
যেহেতু বিশেষভাবে দাগকাটা চেকের অর্থ উত্তোলনের জন্য উলিখিত ব্যাংকে চেকটি জমা দিতে হয়, তাই প্রথম কাজ হচ্ছে চেকটি ইঈ ইধহশ খঃফ এ জমা দেয়া। দুই দাগের মধ্যে প্রাপকের হিসাব কথাটি লেখা না থাকায় যেকোনো হিসাব থেকেই এ অর্থ উত্তোলন করা যাবে। আর যদি দুই দাগের মাঝে প্রাপকের হিসাব কথাটি উলেখ থাকতো তাহলে প্রাপকের হিসাবেই চেকটি জমা দিতে হতো।
প্রশ্ন ১৭: জনাব রাজন এমন একটি চেক পেয়েছেন যা সরাসরি ব্যাংক কাউন্টার থেকে ভাঙানো যাবে না। প্রাপকের হিসাবে জমা দিয়ে অর্থ সংগ্রহ করতে হবে। [আবদুল কাদির মোলা সিটি কলেজ, নরসিংদী]
ক.হস্তান্তরযোগ্য ঋণের দলিল কী?১
খ.সরকারি নোট ও ব্যাংক নোটের মধ্যে পাঅর্থক্য কী? ব্যাখ্যা করো।২
গ.উদ্দীপকে জনাব রাজন কী ধরনের চেক পেয়েছেন? ব্যাখ্যা করো।৩
ঘ.“জনাব রাজনের চেকটি ধিক নিরাপদ”-উদ্দীপকের আলোকে বিশ্লেষণ করো।৪
১৭ নং প্রশ্নের উত্তর
ক উত্তর: যে ঋণের দলিল হস্তান্তরের মাধ্যমে গ্রহীতা এর মালিকানা লাভ করে তাকে হস্থান্তরযোগ্য ঋণের দলিল বলে।
খ উত্তর: ব্যাংক নোট ও সরকারি নোটের ব্যবহার ও উদ্দেশ্যগত দিক একই হলেও এদের মধ্যে কিছু পাঅর্থক্য রয়েছে। নিæে পাঅর্থক্যসমূহ তুলে ধরা হলো :
পা^ট্টএকঞ্ঝর বিষয় সরকারি নোট ব্যাংক নোট
সংজ্ঞা দেশের সরকার নিজ কর্তৃক ও নিজ দায়িত্বে বিহিত মুদ্রা হিসেবে যে নোটের প্রচলন করে তাকে সরকারি নোট বলে। সরকারের নুমতিক্রমে কেন্দ্রীয় ব্যাংক কর্তৃক ইস্যুকৃত কাগজী মুদ্রা বা নোটকে ব্যাংক নোট বলে।
মূল্যমান বাংলাদেশের এক টাকা, দুই টাকা ও পাঁচ টাকার নোটগুলো সরকারি নোট। এক টাকা, দুই টাকা ও পাঁচ টাকার নোট ব্যতীত বাকি সব কাগজী নোট ব্যাংক নোট।
ইস্যুকারী কর্তৃপক্ষ সরকারি নোট অর্থ মন্ত্রণালয়ের দায়িত্বে ও প্রত্যক্ষ নিয়ন্ত্রণে ইস্যু হয়ে থাকে। ব্যাংক নোট কেন্দ্রীয় ব্যাংকের ধীনে ইস্যু হয়ে থাকে।
রূপান্তরযোগ্যতা সরকারি নোট হস্তান্তরযোগ্য বিহিত মুদ্রা হওয়ায় এটি চিহ্নিত মুদ্রায় রূপান্তর করা যায় না। ব্যাংক নোট চিহ্নিত মুদ্রায় রূপান্তরযোগ্য।
গ উত্তর: উদ্দীপকে জনাব রাজন দাগকাটা চেক পেয়েছেন।
বাহক চেক বা হুকুম চেকের উপরের বাম কোণে আড়াআড়ি দুটি রেখা আঁকা থাকলে তাকে দাগকাটা চেক বলে। দাগকাটা চেক ব্যাংক কাউন্টার থেকে সরাসরি উত্তোলন করা যায় না। এরূপ চেক সাধারণত প্রাপকের হিসাবে জমা দিয়ে ভাঙানো যায়।
উদ্দীপকে জনাব রাজন এমন একটি চেক পেয়েছেন যা সরাসরি ব্যাংক কাউন্টার থেকে ভাঙানো যাবে না। প্রাপকের হিসাবে জমা দিয়ে অর্থ সংগ্রহ করতে হবে। যা দাগকাটা চেকের বৈশিষ্ট্যপূর্ণ। সুতরাং জনাব রাজন দাগকাটা চেক পেয়েছেন।
ঘ উত্তর: উদ্দীপকে জনাব রাজনের চেকটি দাগকাটা চেক, যা আঅর্থিক লেনদেনের ক্ষেত্রে ধিক নিরাপদ।
দাগছাড়া চেক বলতে বাহক বা হুকুম চেককে বোঝায়। এই উভয় চেকের উপরিভাগে বামপাশে দুইটি সমান্তরাল রেখা টানলে তা দাগকাটা চেকে পরিণত হয়। দাগকাটা চেকের টাকা উত্তোলন করতে প্রাপকের ব্যাংক হিসাবে তা জমা দিতে হয়।
উদ্দীপকে জনাব রাজন একটি চেক পেয়েছেন। যা সরাসরি ব্যাংক কাউন্টার থেকে ভাঙানো যাবে না। জনাব রাজনের হিসাবে চেকটি জমা দিয়ে এর টাকা তোলা যাবে। অর্থাৎ চেকটি দাগকাটা চেক।
দাগকাটা চেকের টাকা কোনো বস্থাতেই প্রকৃত প্রাপক ছাড়া ন্য কেউ সংগ্রহ করতে পারে না। ফলে চুরি বা জালিয়াতির সুযোগ থাকে না। দাগকাটা চেক চুরি বা হারানো গেলেও যে কেউ এর টাকা তুলে নিতে পারে না। যেহেতু দাগকাটা চেক হারানো গেলেও ক্ষতি হয় না এবং এই চেকের মাধ্যমে জালিয়াতিরও সম্ভাবনা নাই তাই এই চেক ধিকতর নিরাপদ।
প্রশ্ন ১৮ জনাব মাহাদি তার কর্মচারীকে ডেকে একটি চেক ব্যাংকে গিয়ে ভাঙিয়ে আনতে বলেন যেটি তিনি শেয়ারে লভ্যাংশ বাবদ পেয়েছিলেন। যাতে লেখা ছিল “জনাব মাহাদিকে ১০,০০০ টাকা পরিশোধ করুন”। ব্যাংকে চেকটি উপস্থাপিত হলে ব্যাংক কর্তৃপক্ষ আইনের কথা বলে টাকা দিতে স্বীকৃতি জানায় এবং চেকটি ফেরত প্রদান করে একটি জায়গায় টিক চিহ্ন দিয়ে তাতে স্বাক্ষর আনতে বলে। [ক্যান্টনমেন্ট পাবলিক স্কুল এ্যান্ড কলেজ, সৈয়দপুর]
ক.বিনিময় বিল কী?১
খ.“চেকের মর্যাদার জন্য চেক সঠিকভাবে প্রস্তুত করা উচিত”-ব্যাখ্যা করো।২
গ.উদ্দীপকে কর্মচারী কর্তৃক বহনকৃত চেকটির কোন সমস্যার কারণে ব্যাংক টাকা দিতে স্বীকৃতি জানায় বলে তুমি মনে করো?৩
ঘ.কোন আইনের বদৌলতে ব্যাংক টাকা দিতে স্বীকৃতি জানায় এবং সেটি কতটুকু গুরুত্বপূর্ণ এ সম্পর্কে তোমার মতামত দাও।৪
১৮ নং প্রশ্নের উত্তর
ক উত্তর: নির্দিষ্ট সময়ে নির্দিষ্ট পরিমাণ অর্থ পরিশোধে দেনাদারের প্রতি পাওনাদারের লিখিত নির্দেশকে বিনিময় বিল বলে।
খ উত্তর: আমানতকারী কর্তৃক ব্যাংক থেকে অর্থ উত্তোলনের লিখিত শর্তহীন নির্দেশকে চেক বলে।
চেকে নির্দিষ্ট টাকার পরিমাণ, স্বাক্ষর, তারিখ ঠিক থাকলে এবং ব্যাংকে যথাযথভাবে উপস্থাপন করলে ব্যাংক চেকের টাকা পরিশোধ করে। ন্যথায় ব্যাংক টাকা পরিশোধে স্বীকৃতি জানায়। তাই ব্যাংক থেকে টাকা উত্তোলন করার জন্য চেক সঠিকভাবে প্রস্তুত করা উচিত।
গ উত্তর: উদ্দীপকে কর্মচারী কর্তৃক বহনকৃত চেকটির নুমোদন ছিল না বলে ব্যাংক টাকা দিতে স্বীকৃতি জানায়।
হুকুম চেক বা আদেশ চেকে প্রাপকের নামের স্থানে যার নাম লেখা থাকে ব্যাংক শুধু তাকে বা তার লিখিত নুমোদন দ্বারা ন্য ব্যক্তিকে টাকা দিতে বাধ্য থাকে। উক্ত চেকের টাকা উঠানোর জন্য প্রাপককে বা নুমোদন বলে প্রাপককে ব্যাংকের কাছে গ্রহণযোগ্য পরিচিতি দিতে হয়। হুকুম চেক হস্তান্তর করতে হলে চেকের পিছনে নুমোদনকারীর স্বাক্ষর থাকতে হয়। একে চেকের নুমোদন বলে।
উদ্দীপকে জনাব মাহাদি তার কর্মচারীকে ডেকে একটি চেক ব্যাংকে গিয়ে ভাঙিয়ে আনতে বলেন। উক্ত চেকে লেখা ছিল “জনাব মাহাদিকে ১০,০০০ টাকা পরিশোধ করুন”, অর্থাৎ চেকটি ছিল হুকুম চেক।
হুকুম চেক ন্য কাউকে হস্তান্তর করলে চেকের পিছনে নুমোদনকারীর স্বাক্ষর থাকতে হয়। তা না হলে ব্যাংক উক্ত চেকের টাকা পরিশোধে স্বীকৃতি জানায়। জনাব মাহাদি চেকের পিছনে স্বাক্ষর না করায় অর্থাৎ নুমোদন না দেয়ায় ব্যাংক টাকা দিতে স্বীকৃতি জানায়।
ঘ উত্তর: ১৮৮১ সালের হস্তান্তরযোগ্য দলিল আইনের ১৪নং ধারার বদৌলতে ব্যাংক টাকা দিতে স্বীকৃতি জানায়।
নুমোদন শব্দের অর্থ হলো পিছন পিঠে স্বাক্ষর করা। অর্থাৎ কারও নিকট হস্তান্তরের উদ্দেশ্যে চেকের উল্টো পিঠে স্বাক্ষর করাকে চেকের নুমোদন বলে। হস্তান্তরযোগ্য দলিল আইন নুযায়ী চেক বৈধ নুমোদনের দ্বারা একজনের কাছ থেকে ন্যজনের কাছে হস্তান্তর করা যায়।
উদ্দীপকে জনাব মাহাদি তার কর্মচারীকে দিয়ে ব্যাংকে একটি চেক পাঠান। তবে চেকটি হুকুম চেক হওয়ায় ব্যাংক উক্ত চেকের অর্থ কর্মচারীকে পরিশোধ করেনি।
হস্তান্তরযোগ্য দলিল আইন নুযায়ী কোনো হুকুম চেক যদি প্রাপক ব্যতীত ন্য কেউ ব্যাংকে উপস্থাপন করে তাহলে ব্যাংক অর্থ প্রদানে স্বীকৃতি জানায়।
এক্ষেত্রে ব্যাংক শুধু নুমোদন বলে প্রাপককেই অর্থ পরিশোধে বাধ্য থাকে। উদ্দীপকে জনাব মাহাদি তার কর্মচারীকে দিয়ে যে চেক পাঠান তাতে প্রাপককে নুমোদন করা ছিল না। তাই হস্তান্তরযোগ্য দলিল আইন ১৮৮১ নুযায়ী ব্যাংক টাকা দিতে স্বীকৃতি জানায়।
প্রশ্ন ১৯: জনাব জামান তার পাওনাদার সালমাকে ৪/১/২০১২ তারিখে একটি চেক ইস্যু করে। চেকের বাম কোণায় দুটি সমান্তরাল রেখা টেনে দেন। সালমাকে চিকিৎসার জন্য বিদেশ যেতে হয়। তাই জামানের কাছ থেকে প্রাপ্ত চেকটি টাকা উত্তোলনের জন্য ৪/৭/২০১২ তারিখে ব্যাংকে উপস্থাপন করেন। ব্যাংক চেকটি প্রত্যাখ্যান করে।
[নোয়াখালী সরকারি মহিলা কলেজ]
ক.চেকের আদেষ্টা কে?১
খ.চেকের হস্তান্তর বলতে কী বোঝায়?২
গ.উদ্দীপকের চেকটি কোন প্রকারের দাগকাটা চেক? ব্যাখ্যা করো।৩
ঘ.উদ্দীপকের আলোকে ব্যাংক কর্তৃক চেক প্রত্যাখ্যানের যথাঅর্থতা মূল্যায়ন করো।৪
১৯ নং প্রশ্নের উত্তর
ক উত্তর: চেকের আদেষ্টা হলো ব্যাংকের আমানতকারী যিনি চেক প্রস্তুত করে ব্যাংকের ওপর অর্থ পরিশোধের আদেশ জারি করেন।
খ উত্তর: চেক একটি হস্তান্তরযোগ্য ঋণের দলিল।
ঋণের যে দলিলের মালিকানা এক হাত থেকে ন্য হাতে হস্তান্তর করলে গ্রহীতা এর বৈধ মালিকানা পায় তাকে হস্তান্তরযোগ্য ঋণের দলিল বলে। চেক সাধারণভাবে নগদ অর্থের মতোই হস্তান্তরযোগ্য হয়ে থাকে। চেক হস্তান্তরের ক্ষেত্রে হস্তান্তর গ্রহীতা এতে স্বত্ব লাভ করে।
গ উত্তর: উদ্দীপকে সালামের চেকটি একটি সাধারণভাবে দাগকাটা চেক।
সাধারণভাবে দাগকাটা চেকের উপরে আড়াআড়িভাবে দুটি দাগকাটা হয়। চেকের ঙ্কিত রেখাদ্বয়ের মধ্যে ‘এন্ড কোং’ ‘প্রাপকের হিসাব দেয়’ বা ‘নট নেগোশিয়েবল’ ইত্যাদি কথা উলেখ থাকতেও পারে আবার নাও থাকতে পারে। তবে ‘হস্তান্তরযোগ্য নয়’ এ ধরনের কোনো শব্দ উলেখ থাকে না।
উদ্দীপকে জনাব জামান তার পাওনাদার জনাব সালাক উত্তর:ে একটি চেক ইস্যু করেন। চেকের বাম কোণায় দুটি সমান্তরাল রেখা টেনে দেন। অর্থাৎ এটি একটি দাগকাটা চেক।
যে ধরনের দাগকাটা চেকে দুই দাগের মাঝখানে ‘হস্তান্তরযোগ্য নয়’ কথাটি উলেখ থাকে না, তা সাধারণভাবে দাগকাটা চেক। জনাব সালামের চেকটিতেও এ ধরনের কোনো কথা লেখা ছিল না। তাই জনাব সালামের চেকটি একটি সাধারণভাবে দাগকাটা চেক।
ঘ উত্তর: বাসি চেক হওয়ায় উদ্দীপকের চেকটি ব্যাংক কর্তৃক প্রত্যাখ্যাত হওয়া বশ্যই যৌক্তিক হয়েছে।
চেক প্রস্তুতের পর থেকে আইনানুগ নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যে চেকের অর্থ উত্তোলন করা না হলে চেকটি বাসি চেকে পরিণত হয়। যথাযথভাবে প্রস্তুত করা হলেও বাসি চেকের অর্থ ব্যাংক পরিশোধ করে না।
উদ্দীপকে জনাব জামান তার পাওনাদার সালাক উত্তর:ে ০৪/০১/২০১২ তারিখে একটি দাগকাটা চেক ইস্যু করে। বেশ কিছুদিন পর অর্থাৎ ০৪/০৭/২০১২ তারিখে জনাব সালাম অর্থ উত্তোলনের জন্য চেকটি ব্যাংকে উপস্থাপন করে। কিন্তু ব্যাংক চেকের অর্থ পরিশোধে স্বীকৃতি জানায়।
চেক প্রস্তুতের পর নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যে চেকের অর্থ উত্তোলন না করা হলে উক্ত চেকটি বাসি চেকে পরিণত হয়। আমাদের দেশে চেকের অর্থ উত্তোলনের বৈধ মেয়াদকাল ছয় মাস।
এ সময়ের পরের কোনো চেকের অর্থ ব্যাংক পরিশোধে করে না। উদ্দীপকের চেকটি প্রস্তুতের ছয় মাস পরে ব্যাংকে উপস্থাপন করা হয়। অর্থাৎ চেকটি বাসি হয়ে গেছে। তাই ব্যাংক কর্তৃক চেকের অর্থ পরিশোধ না করা বশ্যই যৌক্তিক বলা যায়।
প্রশ্ন ২০: চট্টগ্রামের বিশিষ্ট ব্যবসায়ী মি. মাসুদ টাকার ঙ্ক না বসিয়ে তার ছেলেকে একটি চেক প্রদান করেন। ন্যদিকে মি. মামুন প্রদত্ত একটি চেক ব্যাংকে উপস্থাপনের পর স্বাক্ষর না মেলার জুহাতে ব্যাংক কর্তৃক ফেরত দেয়া হয়। [চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশন আন্তঃকলেজ]
ক.গওঈজ কী?১
খ.কোন চেক ধিক নিরাপদ ও কেন?২
গ.ছেলেকে মি. মাসুদ কোন ধরনের চেক প্রদান করেছেন? ব্যাখ্যা করো।৩
ঘ.মি. মামুন কীভাবে তার চেকের অর্থ উত্তোলন করতে পারেন? বিশ্লেষণ করো।৪
২০ নং প্রশ্নের উত্তর
ক উত্তর: গওঈজ এর পূর্ণরূপ হচ্ছে গধমহবঃরপ ওহশ ঈযধৎধপঃবৎ জবপড়মহরঃরড়হ.’ এর ব্যবহারে চেক প্রোসেসিং এ সময় কম লাগে এবং চেক সম্পর্কিত প্রতারণা কমে।
খ উত্তর: দাগকাটা চেক ধিক নিরাপদ।
বাহক চেক বা হুকুম চেকের বাম কোণায় আড়াআড়িভাবে দুটি সমান্তরাল সরলরেখা টানা হলে ঐ চেককে দাগকাটা চেক বলে। দাগকাটা চেকের টাকা কোনো বস্থাতেই প্রকৃত প্রাপক ছাড়া ন্য কেউ উত্তোলন করতে পারে না। ফলে এ চেক চুরি ও জালিয়াতি প্রতিরোধ করতে সাহায্য করে। এজন্য দাগকাটা চেক ধিক নিরাপদ।
গ উত্তর: মি. মাসুদ তার ছেলেকে ফাঁকা চেক দিয়েছিলেন।
যে চেকের সবকিছু যথাযথভাবে পূরণ করা হলেও টাকায় ঙ্ক লেখার ঘর ফাঁকা রাখা হয় তাকে ফাঁকা চেক বলে। এ ধরনের চেকে প্রাপক নিজের ইচ্ছামত টাকার ঙ্ক বসিয়ে টাকা তুলতে পারে। একান্ত আপনজন বা বিশ্বস্ত ব্যক্তিদেরকে ফাঁকা চেক প্রদান করা হয়।
উদ্দীপকে চট্টগ্রামের বিশিষ্ট ব্যবসায়ী মি. মাসুদ টাকার ঙ্ক না বসিয়ে তার ছেলেকে একটি চেক প্রদান করেন। কোনো চেকের টাকার ঙ্ক না বসানো থাকলে তাকে ফাঁকা চেক বলে। এক্ষেত্রে তার ছেলে আপনজন এবং বিশ্বস্ত হওয়ার কারণেই ফাঁকা চেকটি প্রদান করেছিলেন। সুতরাং মি. মাসুদ তার ছেলেকে ফাঁকা চেক দিয়েছিলেন।
- উত্তর ডাউনলোড করুন> (১ম পত্র) ব্যবসায়ের মৌলিক ধারণা ১ম পত্র সৃজনশীল প্রশ্ন
- উত্তর ডাউনলোড করুন>(১ম পত্র)১ম: ব্যবসায়ের মৌলিক ধারণা প্রশ্ন উত্তরসহ PDF
- উত্তর ডাউনলোড করুন> HSC ব্যবসায়ের মৌলিক ধারণা প্রশ্নের উত্তরসহ অধ্যায়-১: PDF
- উত্তর ডাউনলোড করুন> HSC অধ্যায়-১: প্রশ্নের উত্তরসহ ব্যবসায়ের মৌলিক ধারণা PDF
- উত্তর ডাউনলোড করুন>অধ্যায়৩: SSC ফিন্যান্স ও ব্যাংকিং‘র সৃজনশীল প্রশ্নোত্তর PDF
- উত্তর ডাউনলোড করুন> অধ্যায়৩: SSC ফিন্যান্স ও ব্যাংকিং‘র জ্ঞানমূলক প্রশ্নোত্তরPDF
ঘ উত্তর: পুনরায় চেক ইস্যু করে যথাযথভাবে স্বাক্ষর দিয়ে মি. মামুন চেকের অর্থ উত্তোলন করতে পারেন।
চেকে আদেষ্টার প্রদত্ত স্বাক্ষর ও ব্যাংকে রক্ষিত নমুনা স্বাক্ষরের মিল না থাকলে ব্যাংক চেকের টাকা প্রদান করে না। ব্যাংক যেকোনো চেক পাবার পরই নমুনা স্বাক্ষরের সাথে যাচাই করে। স্বাক্ষরের গরমিলযুক্ত চেক কোনো বস্থাতেই গ্রহণযোগ্য নয়।
উদ্দীপকে উলিখিত মি. মামুন প্রদত্ত একটি চেক ব্যাংকে উপস্থাপন করা হয়। পরবর্তীতে নমুনা স্বাক্ষরের সাথে চেকে প্রদত্ত স্বাক্ষরের মিল না থাকায় ব্যাংক কর্তৃক চেকটি ফেরত দেয়া হয়।
কারণ ব্যাংকে রক্ষিত নমুনা স্বাক্ষরের সাথে চেকে প্রদত্ত স্বাক্ষর মিল না থাকলে ব্যাংক কোনো বস্থাতেই সেই চেকের টাকা প্রদান করবে না।
উদ্দীপকের মি. মামুন এই চেকের অর্থ উত্তোলন করতে চাইলে মি. মামুনকে চেকটি পুনরায় ইস্যু করতে হবে। পুনঃ ইস্যু করায় সময় বিবেচনা করতে হবে যেন চেকে প্রদত্ত স্বাক্ষর ব্যাংকে রক্ষিত স্বাক্ষরের সাথে মিলে যায়।
উক্ত বিষয় সম্পর্কে কিছু জানার থাকলে কমেন্ট করতে পারেন।
আমাদের সাথে ইউটিউব চ্যানেলে যুক্ত হতে এখানে ক্লিক করুন এবং আমাদের সাথে ফেইজবুক পেইজে যুক্ত হতে এখানে ক্লিক করুন। গুরুত্বপূর্ণ আপডেট ও তথ্য পেতে আমাদের ওয়েবসাইটে ভিজিট করুন।
আমাদের সাথে ইউটিউব চ্যানেলে যুক্ত হতে এখানে ক্লিক করুন এবং আমাদের সাথে ফেইজবুক পেইজে যুক্ত হতে এখানে ক্লিক করুন। গুরুত্বপূর্ণ আপডেট ও তথ্য পেতে আমাদের ওয়েবসাইটে ভিজিট করুন।