ষষ্ঠ শ্রেণির নতুন বাংলা বই || অভিজ্ঞতাভিত্তিক অনুশীলনমূলক কাজ ও সমাধান > ষষ্ঠ শ্রেণি ●বাংলা● অভিজ্ঞতাভিত্তিক অনুশীলনমূলক কাজ ও সমাধান এর অধ্যায় ৫ : বুঝে পড়ি লেখতে শিখি, পরিচ্ছেদ ১ : প্রায়োগিক লেখা ।।
এই অধ্যায়ে আমরা যা শিখব:প্রায়োগিক লেখা বলতে বোঝায় বাস্তব জীবনের সঙ্গে সম্পর্কযুক্ত রচনা। এর মধ্যে থাকতে পারে দিনলিপি, চিঠিপত্র, বিজ্ঞাপন, বিজ্ঞপ্তি, প্রতিবেদন প্রভৃতি বিষয়। জাহানারা ইমাম রচিত ‘একাত্তরের দিনগুলি’ রচনাটি মূলত প্রায়োগিক লেখা। কারণ ১৯৭১ সালে মুক্তিযুদ্ধের সময়ের ঘটনাগুলো জাহানারা ইমাম দিন ও তারিখ উল্লেখের মাধ্যমে দিনলিপি তৈরি করেছেন।
কোন তারিখের কোন দিনে তিনি কী করেছেন তার বর্ণনা দিয়েছেন। এই বর্ণনা সম্পূর্ণ তাঁর বাস্তব জীবন সম্পর্কিত। যেমন ২৩ মার্চ ১৯৭১, মঙ্গলবার উল্লেখ করে তিনি তাঁর জীবনে ঘটে যাওয়া দিনের বর্ণনা করেছেন শহিদ মিনারে ঘুরে দেখার মাধ্যমে।
ষষ্ঠ শ্রেণির নতুন বাংলা বই || অভিজ্ঞতাভিত্তিক অনুশীলনমূলক কাজ ও সমাধান
- আরো পড়ুন: Class 6: ষষ্ঠ শ্রেণির নতুন বাংলা বই || অনুশীলনমূলক কাজ ও সমাধান
- আরো পড়ুন:ষষ্ঠ শ্রেণির বাংলা অভিজ্ঞতাভিত্তিক অনুশীলনমূলক কাজ ও সমাধান
- আরো পড়ুন: ষষ্ঠ শ্রেণির নতুন বাংলা বই || অভিজ্ঞতাভিত্তিক অনুশীলনমূলক কাজ ও সমাধান
- আরো পড়ুন: ষষ্ঠ শ্রেণির নতুন বাংলা বই || অনুধাবনমূলক অনুশীলনমূলক কাজ ও সমাধান
- আরো পড়ুন: ষষ্ঠ শ্রেণির নতুন বাংলা বই || সৃজনশীল প্রশ্নব্যাংক অনুশীলনমূলক কাজ ও সমাধান
⚙অভিজ্ঞতা-১ মূল বই: পৃষ্ঠা ৬৫
একাত্তরের দিনগুলি’ রচনায় লেখক যা বলেছেন, তা নিজের ভাষায় বলো এবং নিজের ভাষায় লেখো। (বাংলা মূলবই পৃষ্ঠা : ৬৫)
উত্তর:লেখকের বড়ো ছেলে রুমী নতুন ধরনের স্টিকার নিয়ে এসেছে। এরূপ স্টিকার লেখক আগে কখনো দেখেননি। এ ধরনের স্টিকার তৈরি করেছেন পটুয়া কামরুল হাসান। তিনি কয়েকদিন আগে ‘বাংলার পটুয়া সমাজ’ নামক একটি সমিতি করেছেন। এই সমিতি শাপলা ফুলকে সংগ্রামী বাংলার প্রতীক হিসেবে গ্রহণ করার প্রস্তাব করেছে।
গতকাল ছুটির দিনে অনেক মেহমান এসেছেন লেখকের বাসায়। মেহমানদের আপ্যায়ন করতে গিয়ে সারা দিনে কেউ একটুও অবসর পায়নি। দেশের দ্রুত প্রবহমান ঘটনার সাথে লেখকও চরম উত্তেজনা অনুভব করেছেন। তাই সময় যে কোথায় বয়ে গেছে টেরই পাননি। রুমী, জামী সকালে নাশতা খেয়ে বেরিয়ে গেছে। আগামীকাল প্রতিরোধ দিবস উদযাপিত হবে। তাই সর্বত্র চরম উত্তেজনা বিরাজ করছে।
আজকের দিনে ঘটা করে পালিত হচ্ছে প্রতিরোধ দিবস। তাই কালো পতাকার সাথে স্বাধীন বাংলার নতুন পতাকা লেখক উড়িয়েছেন। গাড়ি নিয়ে লেখক বেরিয়ে পড়েছেন সারা শহর ঘুরে দেখতে। প্রায় প্রতিটি বাড়িতে কালো পতাকা এবং স্বাধীন বাংলার নতুন পতাকা উড়ছে। শহিদ মিনারে সিঁড়ির কাছে শিল্পী কামরুল হাসানের আঁকা অসাধারণ কিছু ছবি দেখে লেখকের ভালো লেগেছে।
অভিজ্ঞতা-২ মূল বই: পৃষ্ঠা ৬৫
রোজনামচা লিখি- এখন তুমি তিন-চার দিনের ঘটনা রোজনামচা আকারে লিখে শিক্ষককে দেখাও। (বাংলা মূলবই পৃষ্ঠা : ৬৫)
উত্তর:
৯ ডিসেম্বর, শুক্রবার।
ঢাকা।
আজ ছুটির দিন। অনেক বেলা করে ঘুম থেকে উঠেছি। দেখি, আম্মু আজ বাহারি রান্নার আয়োজন করছেন। আমাকে দেখে আম্মু ডাকলেন, তাঁকে সাহায্য করার জন্য। আমি আনন্দের সাথে লেগে গেলাম। আম্মুর কাছে শুনলাম সন্ধ্যায় ছোটো খালামণি আসবেন। আহা! আমার কী যে আনন্দ। অনেক রাত পর্যন্ত খালামণির সাথে মজা করব।
১০ ডিসেম্বর, শনিবার।
ঢাকা।
আজও আমার স্কুল বন্ধ। ছোটো খালামণি গতকাল সন্ধ্যায় এসেছেন। সারা রাত আমরা মজা করেছি। আজ আম্মু খুব ক্লান্ত। বিকালে ডাক্তারের কাছে গিয়েছিলেন। ডাক্তার নাকি বলেছেন বিশ্রামে থাকতে। আম্মুর জন্য আমার খুব মন খারাপ। আব্বু অনেক ব্যস্ত থাকেন। আমার খেলার সাথি, পড়ার শিক্ষক আম্মুই। আম্মু অসুস্থ থাকলে আমার পুরো পৃথিবী অন্ধকার লাগে। খালামণি আমাকে নিয়ে বাইরে যেতে চাইছেন। আমি যাব না। আমার কিছুই ভালো লাগছে না।
১১ ডিসেম্বর, রবিবার।
ঢাকা।
আজ আম্মু অনেকটা সুস্থ। আজ আমি স্কুলে যাইনি। ফোনে বান্ধবীদের কাছ থেকে স্কুলের খবর নিয়েছি। আজ খালামণির সাথে আমি চড়ুইভাতি খেলব। আম্মুকে বলেছি। আমি, তমা আর খালামণি খুব মজা করেছি।
অধিকতর অনুশীলনের জন্য একক ও দলীয় কাজের সমাধান
কাজ-১ : পহেলা বৈশাখ বা বাংলা নববর্ষ উদযাপনের ওপর একটি রোজনামচা লেখো।
উত্তর:
১৪ এপ্রিল, ২০২৩
রাত ১১: ৪০ মিনিট
এবার বাংলা নববর্ষ উদ্যাপন করতে এসেছি গ্রামে। ঠিক গ্রাম নয়, ছোটো শহর বলা যায়। সঙ্গে এসেছেন আব্বা, আম্মা, ভাই-বোন, মামা সবাই। ভোরে ঘুম থেকে উঠে ফুরফুরে বাতাসে কিছুক্ষণ সবুজ প্রকৃতিতে মিশে গেলাম। তারপর পুকুরে গোসল সেরে নতুন পাঞ্জাবি-পাজাম পরে বেরিয়ে পড়লাম। এখানকার স্কুল মাঠের পাশে বিশাল বটগাছের নিচে উদীচীর বর্ষবরণ অনুষ্ঠান। সবুজ ঘাসের উপর বসে কখনো নবীনদের সম্মিলিত কণ্ঠে, কখনো একক কণ্ঠে গান শুনে ভালো লাগল।
তিন রাস্তার মোড়ে গেরুয়া পোশাক পরা বাউলরা মন মাতানো গান গাইছেন, শুনলাম কিছুক্ষণ। এর মধ্যেই চাচাতো ভাই টেনে নিয়ে চলল নদীর পাড়ে। নৌকাবাইচ হবে। দশ-বারোটা নৌকা চমৎকারভাবে সাজানো। ঢোল- খঞ্জনি বাজিয়ে গান হচ্ছে। শুরু হলো বাইচ। নৌকার দুদিকে বসা রঙিন পোশাক পরা লোকেরা বৈঠা ফেলছে একতালে আর তর তর করে নৌকা ছুটে চলেছে। কারা জিতল জানা হলো না। আলোচনা সভায় যোগ দিলাম। আলোচকরা খুব চমৎকার বললেন। নতুন কিছু বিষয় জানলাম।
খাবারের প্যাকেট দেওয়া হলো, খেয়ে নিলাম। তারপর ভাই-বোনেরা মিলে আব্বা-আম্মার সঙ্গে ছুটলাম মেলায়। হাটের মাঠে মেলা। অনেক লোকের সমাগম, হরেক রকম দোকান, নানা রকম আওয়াজ। এর মধ্যে ঘুরে ঘুরে দরদাম করে নানা জিনিস কিনতে এবং দেখতে খুব ভালে লাগছিল। সন্ধ্যা হয়ে গেল। সারাদিনের মিষ্টি আনন্দ নিয়ে বাড়ি ফিরে আসলাম।
মানিকগঞ্জ।
কাজ-২ : তোমার বিদ্যালয়ে মহান বিজয় দিবস উদযাপনের একটি রোজনামচা প্রস্তুত করো।
উত্তর:
১৬ ডিসেম্বর, ২০২৩
রাত ১০: ০৫ মিনিট
ভোর পাঁচটায় ঘুম ভেঙে গেল। যা উঠে গেছেন আগেই। নাশতা তৈরি করছেন। আমাকে তাড়াতাড়ি তৈরি হতে বললেন। আজ বিজয় দিবস। ১৯৭১ সালের এই দিনে দীর্ঘ নয় মাস ধরে মুক্তিযুদ্ধের পর দেশ শত্রুমুক্ত হয়। কাজেই আজকের দিনটি বাঙালি জাতির জন্য আনন্দের দিন। আমাদের বিদ্যালয় থেকে সকাল ৬টায় বিজয় রাশি বের হবে। আমি যথাসময়ে পৌঁছে ‘জয় বাংলা’ স্লোগানমুখর বিজয়র্ যালিতে অংশ নিলাম। আমরা শহিদ মিনারে পুষ্পস্তবক অর্পণ করলাম।
পাশেই মুক্তিযুদ্ধের স্মৃতি সংবলিত চিত্র প্রদর্শনী উদ্বোধন করলেন বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক। চিত্রগুলো চোখের সামনে জীবন্ত হয়ে উঠল। সেগুলো অপূর্ব নীপ্তি ছড়াল হৃদয়জুড়ে। সকাল ৯টায় বিদ্যালয় মিলনায়তনে শুরু হলো আলোচনা সভা। পর্যায়ক্রমে দেশাত্মবোধক গান ও কবিতা আবৃত্তি হলো। এতে প্রধান অতিথি হিসেবে ছিলেন জেলা প্রশাসক টাঙ্গাইল, বিশেষ অতিথি এ আলোচক হিসেবে উপস্থিত ছিলেন গবেষক ও সাহিত্যিক ডা. মাহবুব সাদিক, কবি ও সাংবাদিক সাযযাদ কাদির ও কবি বুলবুল খান মাহবুব।
আলোচনার ফাঁকে ফাঁকে কবিতা আবৃত্তি ও দেশাত্মবোধক গান পরিবেশন করছিল বিদ্যালয়ের ছাত্রীরা। আমিও কবি শামসুর রাহমানের ‘স্বাধীনতা তুমি’ কবিতাটি আবৃত্তি করেছি। মিলনায়তনের দর্শক-শ্রোতারা দেশাত্মবোধে উদ্বুদ্ধ হয়ে উঠেছিল। এই উজ্জীবিত হৃদয় দেশ ও জাতির কল্যাণে অকৃপণভাবে নিবেদিত হবে।
উন্নত ও সমৃদ্ধ দেশ গড়ার আহ্বান জানিয়ে প্রধান শিক্ষক মহোদয় অনুষ্ঠানের সমাপ্তি ঘোষণা করলেন। বাসায় ফিরে এসে মাকে আমার অনুভূতি জানালাম। যারা বিজয় ছিনিয়ে এনেছেন তাঁদের মতো দেশপ্রেমিক হতে মা আমাকে আশীর্বাদ করলেন। টিভিতে বিজয় দিবসের অনুষ্ঠান উপভোগ করার পর রাত ১১টায় ঘুমাতে গেলাম।
টাঙ্গাইল।
কাজ-৩ : শিক্ষাসফরের এক দিনের রোজনামচা লেখো।
উত্তর:
২৬ ডিসেম্বর, ২০২০
রাত ১১: ২০ মিনিট
সূর্য ওঠার আগেই ঘুম থেকে উঠলাম। দুদিনের শিক্ষাসফরের আজ দ্বিতীয় দিন। পুঁথিগত বিদ্যাকে অর্থবহ করতে আমাদের বিদ্যালয় প্রতিবছরই শিক্ষাসফরের আয়োজন করে থাকে। এরই ধারাবাহিকতায় আমরা পঞ্চাশ জন শিক্ষার্থীর একটি দল গতকাল এসেছি কুমিল্লার ময়নামতিতে। গত বছর একদল গিয়েছিল বাংলাদেশের লোকশিল্প জাদুঘর সোনারগাওয়ে। আজ সকালে আমরা ময়নামতি পাহাড়ি অঞ্চলগুলো ঘুরে দেখলাম। এখানকার অপূর্ব সুন্দর প্রাকৃতিক পরিবেশ আমাদের মুগ্ধ করেছে। আমরা এখানকার ছবি তুলেছি।
এরপর আমরা গেলাম বৌদ্ধবিহার ও বৌদ্ধ যুগের গুরত্বপূর্ণ ঐতিহাসিক নিদর্শন দেখতে। এখানকার মূল্যবান প্রতœতাত্ত্বিক নিদর্শন দেখে আমরা অভিভূত হয়েছি। এখানকার বিভিন্ন বস্তু সম্পর্কে নানা তথ্য-উপাত্ত সংগ্রহ করলাম। সেগুলো বিদ্যালয় বার্ষিকীতে প্রকাশ করব বলে স্যারকে জানালাম। আমাদের সুশৃঙ্খল ঘোরাফেরা, বিভিন্ন বিষয় সম্পর্কে জানার আগ্রহ দেখে শিক্ষকরাও আনন্দিত।
এখানে দেখে শেখার আনন্দ আমরা নতুন করে উপলব্ধি করলাম। বাংলাদেশের সমৃদ্ধ ইতিহাস-ঐতিহ্যের এ অভিজ্ঞান আমাদের মনের সীমানাকে আরও প্রসারিত করবে। এখানকার ঐতিহাসিক চিহ্ন ও নিদর্শনসমূহ সংরক্ষণের জন্য পরামর্শসহ আমরা নিজেদের মতামত লিখিত প্রস্তাব আকারে যথাযথ কর্তৃপক্ষের কাছে পেশ করলাম। প্রস্তাব পেশ করার আমাদের এ পরিকল্পনাকে তাঁরা স্বাগত জানালেন। সারাদিন আনন্দে কাটল।
নীলক্ষেত, ঢাকা।
কাজ-৪ : রোজনামচা রচনার ক্ষেত্রে ৩টি করণীয় উল্লেখপূর্বক বসন্ত উৎসব এবং আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবসে প্রভাতফেরিতে অংশগ্রহণের অনুভূতি নিয়ে ২ দিনের রোজনামচা লেখো।
উত্তর: রোজনামচা লেখার ক্ষেত্রে তিনটি করণীয় নিচে দেওয়া হলো-
১. সম্প্রতি ঘটে যাওয়া বা প্রতিদিনের ঘটনাকে কেন্দ্র করে লিখতে হবে।
২. রোজনামচা লেখার সময় তারিখ, বার ও সময় উল্লেখ করতে হবে।
৩. মূলবিষয়টি সংক্ষিপ্ত পরিসরে উপস্থাপন করতে হবে।
১৩ ফেব্রুয়ারি ২০২৩, সোমবার
আজ আমাদের স্কুলে বসন্ত উপলক্ষ্যে উৎসবের আয়োজন করা হয়েছিল। স্কুলের শিক্ষক এবং শিক্ষার্থীরা আজ নিয়মিত পোশাকের বদলে রঙিন পোশাক পরে এসেছিল। ক্লাস শুরুর আগে সকাল বেলা সমাবেশ শুরু হয় ‘ওরে গৃহবাসী খোল দ্বার খোলা গানের মাধ্যমে। তারপর ক্রমানুসারে প্রতি ক্লাসের শিক্ষার্থীরা এসে একটি করে গান গেয়ে শোনায়।
বসন্ত উপলক্ষ্যে আজ আমাদের সমাবেশ বিশ মিনিটের বদলে এক ঘন্টা ধরে হয়েছে। সমাবেশ শেষে আমরা যার যার ক্লাসে ফিরি। আজ উৎসবের জন্য চারটি ক্লাস হয়েছে। ক্লাস শেষে অডিটোরিয়ামে রবীন্দ্রনাথের নাটক মাদ্ধ হওয়ার মাধ্যমে মূল অনুষ্ঠান শুরু হয়। অনুষ্ঠানে প্রতিটি ক্লাসের শিক্ষার্থীর অংশগ্রহণ ছিল। বিকেল চারটার সময় ‘বসন্ত উৎসব অনুষ্ঠান শেষ হয়। এরপর আমি মায়ের হাত ধরে বাসায় ফিরি এমন প্রাণবন্ত অনুষ্ঠান আমাদের স্কুলে আগে হয়নি।
- আরো পড়ুন: অষ্টম শ্রেণি-JSC এর অনুধাবনমূলক প্রশ্ন ও উত্তর
- আরো পড়ুন: JSC : শরৎচন্দ্র চট্টোপাধ্যায়‘র জীবনী ও সৃজনশীল প্রশ্নগুলোর উত্তর
- আরো পড়ুন: JSC : শরৎচন্দ্র চট্টোপাধ্যায়‘র জীবনী ও সৃজনশীল প্রশ্নোত্তর
- আরো পড়ুন: অষ্টম শ্রেণি: শরৎচন্দ্র চট্টোপাধ্যায়‘র জীবনী ও সৃজনশীল প্রশ্নোত্তর
- আরো পড়ুন: অষ্টম শ্রেণি: শরৎচন্দ্র চট্টোপাধ্যায়‘র জীবনী ও বহুনির্বাচনি প্রশ্নোত্তর
- আরো পড়ুন: অষ্টম শ্রেণি-JSC এর অনুধাবনমূলক প্রশ্ন ও উত্তর
২১ ফেব্রুয়ারি ২০২৩, মঙ্গলবার
আমার ভাইয়ের রক্তে রাঙানো একুশে ফেব্রুয়ারি, আমি কি ভুলিতে পারি?’ চারদিক থেকে এই গানের শব্দে ঘুম ভাঙল। ঘুমঘুম ভাব নিয়ে চোখ খুলে দেখি ভোর প্রায় পাঁচটা। প্রভাতফেরিতে অংশগ্রহণ করব বলে সাদাকালো পোশাক পরে তৈরি হয়ে স্কুলের উদ্দেশ্যে রওনা হলাম। স্কুলে গিয়ে দেখলাম সবাই প্রভাতফেরির জন্য প্রস্তুত। ফুল হাতে সারিবদ্ধভাবে দাঁড়িয়ে আছে।
লাইনে দাঁড়িয়ে খালি পায়ে যখন শহিদ মিনারের সামনে উপস্থিত হলাম তখন শহিদ মিনারকে মনে হলো হাজার হাজার মানুষের প্রাণের কেন্দ্রস্থল। চোখের সামনে যেন ভেসে উঠল বায়ান্নর ভাষা আন্দোলনের প্রাণবন্ত ছবি। অসীম শ্রদ্ধায় স্মরণ করলাম সালাম, বরকত, রফিক প্রমুখ শহিদের আত্মদানের কথা। প্রচন্ড আবেগে বেদনার্ত মনে। হাতের ফুলগুলো ভাষাশহিদদের উদ্দেশ্যে বেদিতে অর্পণ করে এলাম।
উক্ত বিষয় সম্পর্কে কিছু জানার থাকলে কমেন্ট করতে পারেন।
আমাদের সাথে ইউটিউব চ্যানেলে যুক্ত হতে এখানে ক্লিক করুন এবং আমাদের সাথে ফেইজবুক পেইজে যুক্ত হতে এখানে ক্লিক করুন। গুরুত্বপূর্ণ আপডেট ও তথ্য পেতে আমাদের ওয়েবসাইটে ভিজিট করুন।