আজকে আমরা জানব ভালো রেজাল্ট করার ২০টি উপায় (যা জীবন বদলে দিবে)।
একটু ক্লোজলি চিন্তা করলে দুনিয়ার সবারই একটা রুটিন আছে, ফাঁকিবাজদেরও রুটিন আছে, যেটাতে সে অভ্যস্ত।
এখন একটু সচেতনভাবে পরীক্ষার তরী পার হওয়ার জন্য তার লাইফ স্টাইলের একটা মুভির পরিবর্তে তিনঘন্টা পড়া ঢুকানোর মানসিকতা কিছুদিনের জন্য না আনলে, টেনেটুনে পাস করাও অসম্ভব হয়ে যাবে।
তাহলে চলুন শুরু করা যাকঃ
১) আফসোস, আক্ষেপ, টেনশনের পরিমাণ বা গভীরতা নিয়ে পরীক্ষায় কোন প্রশ্ন আসবে না।
তাই ডেইলি ১ ঘন্টার বেশি টেনশন করা যাবে না। শুধু বিকাল ৫.০০থেকে ৬.০০(সন্ধ্যা হওয়ার আগের ১ ঘন্টা) রাস্তায় হেঁটে হেঁটে ইচ্ছে মতো টেনশন করতে পারবা।
তবে সূর্য ডোবার সাথে সাথে টেনশনের চ্যাপ্টার ক্লোজ।
২) যারা ফার্স্ট-সেকেন্ড হয় তারা সারাদিন কুত্তার মতো পড়ালেখা করে (যাকে বলে ডগ ফাইট)।
তুমি ফার্স্ট সেকেন্ড না হইলেও পরীক্ষার আগ পর্যন্ত তাদের মতো দুনিয়াদারি ভুলে সারাদিনে পড়ার পিছনে লেগে থাকতে হবে।
৩) ফেইসবুক, ভাইবারের চ্যাটিং নির্ভর রিলেশনকে টাটা বাই বাই করতে হবে।
আবেগের কাতুকুতু লাগলে প্রেমের ঘাটুর ঘুটুর ১ ঘন্টার মধ্যে শেষ করবে। তারপরেও প্রিয়জন খুব বেশি প্রেসার দিলে তাকে কিছুদিনের জন্য এক্স বানায় রাখো।
পরীক্ষার পরে থাকলে থাকবে, না থাকলে নাই।
- আরও পড়ুনঃ নাসায় চাকরীর যোগ্যতা , আবেদন , ইন্টারভিউ এবং বেতন
- আরও পড়ুনঃ গুগলে চাকরী পাওয়ার সহজ উপায় বা নিঞ্জা টেকনিক
৪) পড়ার আগে নিজের ভিতরে জানার কৌতূহল সৃষ্টি করে, পড়ার পর মিশন কমপ্লিট হয়ে গেছে চিন্তা করে পুলকিত অনুভব করো।
পড়ালেখাকে বোঝা হিসেবে চিন্তা করবা না। বরং পড়ালেখা একটা খেলা।
এইটা পড়া বুঝা, মনে রাখা, পরীক্ষার খাতায় লেখার খেলা।
৫) সকাল ৭.০০ এর মধ্যেই ঘুম থেকে উঠে যেতে হবে।
ক্লাস, কোচিং, প্রাকটিক্যাল না থাকলে বাথরুমে যাওয়া ছাড়া দুপুর ১২.০০ এর আগে রুম থেকে বের হওয়া যাবে না।
কোন একটা জিনিস নিয়ে একটানা ৪৫ মিনিট পড়ার টার্গেট নিয়ে পড়া শুরু করবা।
শেষ না হইলে আরেকটু বেশি সময় নিয়ে হলেও টার্গেট শেষ করতে হবে। তারপর ১৫ মিনিট ব্রেক।
ভালো রেজাল্ট করার ২০টি উপায় –
৬) কোন কিছু পড়া শেষের ১৫ মিনিটের ব্র্রেক অবশ্যই এনালগ ব্রেক হতে হবে।
কোন প্রকারের ল্যাপটপ, মোবাইল, ফেইসবুক, ভাইবার, জন্মদিনের উইশ করা যাবে না। দরকার হলে বাথরুমে যাও, মুখে পানি দাও, হাঁটাহাঁটি করো।
আর হাটতে হাটতে এতক্ষণ যা পড়ছিলা সেটা মনে মনে রিভাইজ দিতে থাকো।
৭) দুপুর ১২.০০ এর দিকে গোসল করো, খাওয়া দাওয়া করো, নামাজ পড়ো।
দরকার হলে আধা ঘন্টা রেস্ট নাও। কোন অবস্থাতেই দুপুরে দেড়-দুই ঘন্টার আয়েশি ঘুম দেয়া যাবে না।
৮) দুপুরে ক্লাস, কোচিং না থাকলে, ১.৩০ থেকে বিকাল ৪.৩০ পর্যন্ত সকালের মতো ৪৫ মিনিট টার্গেট নিয়ে পড়বা।
টার্গেট এচিভ হলে ১৫ মিনিটের এনালগ ব্রেক নিয়ে মনে মনে রিভাইজ দিবা। সকাল এবং দুপুর পড়ালেখার মোক্ষম সময়।
এই সময়টায় যতবেশি সম্ভব কাজে লাগাতে হবে।
৯) বিকাল ৫.০০ থেকে ৬.০০ (সন্ধ্যার আগের ১ ঘন্টা) টেনশন করার টাইম।
এই সময়টায় রাস্তার এক পাশে বা কোন খেলার মাঠের পাশ দিয়ে মাথা নিচু করে হাটতে হাটতে টেনশন মনের মাধুরী মিশিয়ে টেনশন করো।
টেনশন করার কিচ্ছু না থাকলে রিলাক্স করো। কারো সাথে দেখার করার থাকলে দেখা করো।
ফটোকপি নোট সংগ্রহ করো। এবং সন্ধ্যা হওয়ার আগে বাসায় ফিরো।
- আরও পড়ুনঃ নাসায় চাকরীর যোগ্যতা , আবেদন , ইন্টারভিউ এবং বেতন
- আরও পড়ুনঃ গুগলে চাকরী পাওয়ার সহজ উপায় বা নিঞ্জা টেকনিক
১০) সন্ধ্যা ৬.৩০ থেকে ৭.৩০কোন টিউশনি থাকলে সেটা করো। নচেৎ এই সময়টা ইজি স্টাইলে পড়ো।
সকাল বা দুপুরের পড়া বাকি থাকলে বা কোন কারণে করতে না পারলে সন্ধ্যায় পুষিয়ে দিতে হবে।
ভালো রেজাল্ট করার ২০টি উপায় –
১১) রাত ৭.৩০ থেকে ৯.৩০ রিভিশন টাইম। প্রথম এক ঘন্টা আজকে যা যা পড়ছো সেগুলার রিভিশন দাও।
পরের এক ঘন্টায় গতকাল যা যা পড়ছিলা রিভিশন দাও। রিভিশন না দিলে সারা দিনের পড়া সব ভুলে যাবে।
রাত ১০.০০ এর মধ্যে ডিনার শেষ করবা।
১২) প্রিয়জন থাকলে রাত ১০.০০ থেকে ১১.০০ পর্যন্ত ভাবের বিনিময় করবা।
আর প্রেম না থাকলে, এই সময়টা রিলাক্স মুডে আগামীকালকে কি কি পড়বা সেগুলা সেট করবা।
সারাদিনের ইম্পরট্যান্ট পয়েন্টগুলা খাতায় লিখে রাখবা।
যাতে পরে খুব দ্রুত রিভিশন দিতে পারো। আর ১১.০০ এর মধ্যে ঘুমাই যেতে হবে।
কোন অবস্থাতেই ১১.৩০ টার বেশি জেগে থাকা যাবে না।
১৩) প্রতিদিন কমপক্ষে ৬-৮ ঘন্টা ঘুমাতে হবে। নচেৎ ব্রেইনের কার্যকারিতা কমে যাবে।
এবং ভোর সাতটার আগে ঘুম থেকে উঠে যেতে হবে।
ভালো রেজাল্ট করার ২০টি উপায় –
১৪: ক্লাস, প্রাকটিক্যাল এবং পড়া রিলেটেড কোন প্রয়োজন ছাড়া বাসা থেকে বের হওয়া যাবে না।
এবং যতক্ষণ বাইরে থাকবা ততক্ষণ (বাসে, রিক্সায়, ক্লাসের গ্যাপে) বই খাতা খুলে রিভাইজ দিতে থাকবা।
- আরও পড়ুনঃ নাসায় চাকরীর যোগ্যতা , আবেদন , ইন্টারভিউ এবং বেতন
- আরও পড়ুনঃ গুগলে চাকরী পাওয়ার সহজ উপায় বা নিঞ্জা টেকনিক
১৫) পরীক্ষার যতদিন বাকি সেটাকে তিন দিয়ে ভাগ করে প্রথম দুই ভাগের কোনদিন কোন সাবজেক্ট পড়বা এমন একটা রুটিন বানাতে হবে।
রুটিনের শুরুতে ভালো পারো এমন দুইটা সাবজেক্ট রাখবা। মাঝখানে যেগুলা কম পারো সাবজেক্টগুলা পড়বা।
আর বাকি যে তিন ভাগের এক ভাগ বাকি রয়ে গেছে সেখানে সব সাবজেক্টগুলা দ্রুত রিভিশন দিতে হবে।
তারমানে তিনভাগের প্রথম দুইভাগে ভালো করে পড়বা এবং শেষের ভাগে রিভিশন দিবা।
১৬) কোন চ্যাপ্টার শুরু করার আগে দশ মিনিট সময় নিয়ে, এই চ্যাপ্টারের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ জিনিস কি, আগের বছরে কি কি প্রশ্ন পরীক্ষায় আসছে এক নজর দেখে নাও।
তারপর ইম্পরট্যান্ট সূত্রের প্রমাণ, সংজ্ঞা, ফর্মুলা, গাণিতিক সমস্যাগুলো পড়ো।
১৭) ঘন্টা হিসেবে নয়, টার্গেট হিসেবে পড়ো।
আজকে ছয় ঘন্টা পড়বো চিন্তা না করে, যতক্ষণ লাগুক না কেনো আজকে এই এই চ্যাপ্টার শেষ করবো চিন্তা করো।
- আরও পড়ুনঃ নাসায় চাকরীর যোগ্যতা , আবেদন , ইন্টারভিউ এবং বেতন
- আরও পড়ুনঃ গুগলে চাকরী পাওয়ার সহজ উপায় বা নিঞ্জা টেকনিক
১৮) কখনোই গোসল করে বা ভাত খেয়ে পড়তে বসবো চিন্তা করব না।
বরং চিন্তা করো এইটা পড়া শেষ করেই গোসল করবো।
এইটা শেষ না হওয়া পর্যন্ত দুনিয়া উল্টে যেতে পারে আমি গোসল করবো না।
পড়া শেষ না করা পর্যন্ত ক্ষুধায় মারা যেতে পারি মাগার ভাত খেতে যাবো না।
১৯) কোন কারণে পড়া না আগাইলেও ধৈর্য হারানো যাবে না।
একটু টায়ার্ড হলে বাইরে হেটে আসো বা ১৫-২০ টা পুশ-আপ দিয়ে দাও।
7 minute exercise app ডাউনলোড করে ৭ মিনিট ব্যায়াম কর নাও।
পরীক্ষায় ভালো রেজাল্ট করার উপায় –
২০) কিছুক্ষণ বসে বসে পড়ার পর যদি দেখো পড়া আগাচ্ছে না, তাহলে দাঁড়িয়ে পড়বে।
কিছুক্ষণ দুই পায়ের উপর দাঁড়িয়ে থাকার পরে এক পায়ে দাঁড়িয়ে পড়বে। না হয় হেঁটে হেঁটে পড়বে।
টানা পাঁচদিন ভালো পড়ালেখা হওয়ার পরে একদিন একটু কম হইলে আফসোস না করে পরেরদিন পুষিয়ে দেয়ার জন্য মানুষিক প্রস্তুতি নাও।
উক্ত বিষয় সর্ম্পকে যেকোন প্রশ্ন থাকলে কমেন্ট করতে পারেন।
আমাদের সাথে ইউটিউব চ্যানেলে যুক্ত হতে এখানে ক্লিক করুন এবং আমাদের সাথে ফেইজবুক পেইজে যুক্ত হতে এখানে ক্লিক করুন।
গুরুত্বপূর্ণ আপডেট ও তথ্য পেতে আমাদের ওয়েবসাইটে ভিজিট করুন।
Hope this tutorial will help you @student