ব্যবসা সংগঠন ও ব্যবস্থাপনা ১ম | অধ্যায় ৭ | সৃজনশীল প্রশ্নোত্তর ৩৬-৪০ : ব্যবসায় সংগঠন ও ব্যবস্থাপনা ১ম পত্রের গুরুত্বপূর্ণ সব কমন উপযোগী সৃজনশীল প্রশ্ন ও উত্তর গুলো আমাদের এই পোস্টে পাবেন।
প্রশ্নঃ ৩৬ জনাব মাঈনউদ্দিন বিসিএস পরীক্ষার মাধ্যমে শিক্ষা ক্যাডারে যোগদান করেন। তার বন্ধু সায়েম বিসিএস পরীক্ষায় পাস করতে না পেরে একটি বেসরকারি কলেজে যোগদান করেন। পরবর্তীতে সায়েমের কলেজটি জাতীয়করণের মাধ্যমে সরকারি করা হয়। রাতারাতি সায়েম বিসিএস ক্যাডার হয়ে যান। ভ‚তাপেক্ষিকভাবে চাকরিকাল গণনা করে সায়েম জনাব মাঈনউদ্দিনের আগে পদোন্নতি পেয়ে যান। এতে মাঈন উদ্দিনের মনে তীব্র ক্ষোভ বিরাজ করে এবং হতাশ হয়ে পড়েন। মনে মনে বলেন বিসিএস পরীক্ষা না দিয়ে বেসরকারি কলেজে যোগ দিলেই ভালো হতো। [সরকারি হরগঙ্গা কলেজ, মুন্সিগঞ্জ]
ক. ত তত্তের জনক কে? ১
খ. আপর্ণতার চাহিদা বলতে কী বোঝায়? ২
গ. জনাব মাঈন উদ্দিনের ক্ষোভ ও হতাশা দর করার জন্য কোন ধরনের প্রেষণা প্রয়োজন? ব্যাখ্যা করো। ৩
ঘ. জনাব মাঈনউদ্দিন চাকরিতে শুধু আর্থিক প্রেষণাই পেতে চায়। উদ্দীপকের আলোকে এর যথার্থতা মল্যায়ন করো। ৪
৩৬ নং প্রশ্নের উত্তর
ক উত্তরঃ ত তত্তের জনক হলেন উইলিয়াম ওচি।
খ উত্তরঃ কৃতিত্ব অর্জনের সর্বোচ্চ শিখরে পৌঁছার আকাক্সক্ষাকেই আপর্ণতার (ঝবষভ ধপঃঁধষরুধঃরড়হ) চাহিদা বলে। চাহিদা সোপান তত্তের শীর্ষ স্তর হলো আপর্ণতার চাহিদা। এ পর্যায়ে ব্যক্তি নিজের সৃজনশীলতা ও বিশেষ গুণের বিকাশ ঘটিয়ে দেশ ও সমাজে বিখ্যাত হতে চায়। তাই সে শিল্প, সাহিত্য ও সমাজ সেবামলক কাজ সম্পৃক্ত হয়। অভাবের এ স্তরের চাহিদার কোনো শেষ নেই।
মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের প্রখ্যাত মনোবিজ্ঞানী অধ্যাপক আব্রাহম হ্যারল্ড মাসলো মানুষের চাহিদাকে পাঁচটি স্তরে ভাগ করেছেন। যা দেওয়া হলো
১. জৈবিক চাহিদা : খাদ্য, বস্ত্র, বাসস্থান।
২. নিরাপত্তার চাহিদা : চাকরির স্থায়িত্ব, বিমা সুবিধা।
৩. সামাজিক চাহিদা : বন্ধুত্ব, øেহমমতা, সহানুভ‚তি।
৪. আতৃপ্তির চাহিদা : আমর্যাদা, সম্মান, পদমর্যাদা।
৫. আপর্ণতার চাহিদা : পর্ণ দক্ষতার প্রকাশ, জটিল ও গুরুত্বপর্ণ কাজে সিদ্ধান্ত প্রদান।
গ উত্তরঃ জনাব মাঈন উদ্দিনের ক্ষোভ ও হতাশা দর করার জন্য আর্থিক প্রেষণা প্রয়োজন। আর্থিক প্রেষণার মাধ্যমে কর্মী আর্থিকভাবে লাভবান হয়। এতে কর্মীর অভাববোধ কমে। কর্মীরা প্রতিষ্ঠানের উন্নতির জন্য অধিক মনোযোগী হয়। বেতন, বোনাস, পদোন্নতি প্রভৃতি আর্থিক প্রেষণার অন্তর্ভুক্ত।
উদ্দীপকে জনাব মাঈনউদ্দিন বিসিএস পরীক্ষার মাধ্যমে শিক্ষা ক্যাডারে যোগদান করেন। তার বন্ধু সায়েম বিসিএস পরীক্ষায় পাস করতে না পেরে একটি বেসরকারি কলেজে যোগদান করেন। পরবর্তীতে সায়েমের কলেজটি জাতীয়করণের মাধ্যমে সরকারি প্রতিষ্ঠানে পরিণত হলে রাতারাতি সায়েম বিসিএস ক্যাডার হয়ে যান।
এতে ভ‚তাপেক্ষিকভাবে চাকরিকাল গণনা করে সায়েম জনাব মাঈনউদ্দিনের আগে পদোন্নতি পেয়ে যায়, যা আর্থিক প্রেষণার অন্তর্ভুক্ত। এতে জনাব মাঈনউদ্দিনের মনে তীব্র ক্ষোভ বিরাজ করে এবং তিনি হতাশ হয়ে পড়েন। তাই বলা যায়, জনাব মাঈনউদ্দিনের ক্ষোভ ও হতাশা দর করতে আর্থিক প্রেষণার প্রয়োজন।
ঘ উত্তরঃ উদ্দীপকের আলোকে জনাব মাঈনউদ্দিন চাকরিতে শুধু আর্থিক প্রেষণাই পেতে চায়- উক্তিটি যথার্থ। অর্থ বা আর্থিক সুযোগ সুবিধার মাধ্যমে আর্থিক প্রেষণা প্রদান করা হয়। এর মাধ্যমে কর্মীর মনোবল বাড়ে এবং কাজের প্রতি আগ্রহ সৃষ্টি হয়। প্রতিষ্ঠানের বেতন, বোনাস, অগ্রিম, পদোন্নতি, মুনাফার অংশ ইত্যাদি আর্থিক প্রেষণার উপাদান।
উদ্দীপকে জনাব মাঈনউদ্দিন বিসিএস পরীক্ষার মাধ্যমে শিক্ষা ক্যাডারে যোগদান করেন। অথচ তার বন্ধু সায়েম বিসিএস পরীক্ষায় উত্তীর্ণ না হয়েও বর্তমানে তিনি বিসিএস-এর মর্যাদা পাচ্ছেন। তাছাড়াও তিনি জনাব মাঈনউদ্দিনের আগে পদোন্নতি পান। এতে মাঈনউদ্দিনের মধ্যে ক্ষোভ ও হতাশার সৃষ্টি হয়। তিনি মনে মনে ভাবেন বিসিএস পরীক্ষা না দিয়ে বেসরকারি কলেজে যোগ দিলেই তার জন্য ভালো হতো।
কর্মীদের পদোন্নতি প্রদান আর্থিক প্রেষণার অংশ। এ ধরনের প্রেষণার মাধ্যমে কর্মীর আর্থিক অবস্থার পরিবর্তন হয়। ফলে কর্মীর কাজের প্রতি আগ্রহ বাড়ে। উদ্দীপকের জনাব মাঈনউদ্দিন তাই ভাবে বিসিএস না দিয়ে যদি বেসরকারি প্রতিষ্ঠানে চাকরি করতো তবে তারও পদোন্নতি হতো। এর সাথে সাথে তার আর্থিক অবস্থার পরিবর্তন হতো। তাই বলা যায়, উদ্দীপকের মাঈনউদ্দিন শুধু আর্থিক প্রেষণারই অভাববোধ করছেন।
প্রশ্নঃ ৩৭ মি. আকরাম কর্মসংস্থান’ ব্যাংকে জুনিয়র কর্ক উত্তরঃ র্তা হিসেবে যোগ দেন। কাজের দক্ষতা প্রদর্শনের জন্য অতি দ্রুত তিনি সিনিয়র কর্ক উত্তরঃ র্তা হিসেবে পদোন্নতি পান। পরে ঈদে তিনি পরিবার ও আীয়-স্বজনদের এক লাখ টাকার জামা-কাপড় দেন। বিভিন্ন সামাজিক অনুষ্ঠানে অংশগ্রহণ করেন। গত বছর তিনি একটি স্থানীয় ধর্মীয় প্রতিষ্ঠান ও লাইব্রেরিতে ২ লক্ষ টাকা অনুদান দেন। এতে সবাই তাকে খুব শ্রদ্ধা করে। ‘পদ্মা ব্যাংক’ নামে অন্য একটি ব্যাংক তাকে ঊর্ধ্বতন পদে যোগদানের জন্য আমন্ত্রণ জানায় এবং তাকে ১০ লক্ষ টাকা বেতন, সার্বক্ষণিক গাড়ি ও সুসজ্জিত বাংলো দেওয়ার প্রতিশ্রুতি দেয়। প্রত্যাশিত সুবিধা পেয়ে মি. আকরাম ‘পদ্মা ব্যাংকে’ যোগ দেন।
[বিয়াম মডেল স্কুল এন্ড কলেজ, বগুড়া]
ক. অনার্থিক প্রেষণা কী? ১
খ. প্রেষণা চক্র বলতে কী বোঝায়? ২
গ. ‘কর্মসংস্থান’ ব্যাংকে চাকরি অনুযায়ী মি. আকরাম মাসলোর চাহিদা যোগান তত্তের কোন স্তরে অবস্থান করছেন? ব্যাখ্যা করো। ৩
ঘ. চাহিদা সোপান তত্তের কোন স্তরের অভাব মি. আকরামের পর্বের চাকরি ত্যাগের মল কারণ তা উলেখ পর্বক তোমার মতামত দাও। ৪
৩৭ নং প্রশ্নের উত্তর
ক উত্তরঃ কর্মীদের প্রণোদিত করার জন্য অর্থের বাইরে যেসব (কার্য পরিবেশ, কাজের নিরাপত্তা) উদ্দীপক ব্যবহৃত হয় তাকে অনার্থিক প্রেষণা বলে।
খ উত্তরঃ প্রেষণার প্রক্রিয়ার ধাপগুলো (অভাব, তাড়না, অভাবপরণ ও সন্তুষ্টি অর্জন) পর্যায়ক্রমে আবর্তিত হওয়াকে প্রেষণা চক্র বলে। একজন কর্মী কোনো কিছুর অভাববোধ করলে তা পরণের জন্য অস্থির হয়ে ওঠে। প্রেষণার মাধ্যমে এ অভাব পরণ হয়। যার ফলে কর্মীর সন্তুষ্টি অর্জিত হয়।
কর্মীর একটি অভাব পরণ হলে তার মধ্যে নতুন আরেকটি অভাবের সৃষ্টি হয়। নতুন অভাব পরণের জন্য আবার প্রেষণার ধাপগুলো পর্যায়ক্রমে সম্পাদন হয়। এরপ অভাববোধ এবং তা পরণের প্রক্রিয়াটি অবিরামভাবে চলতে থাকে বলে প্রেষণাকে একটি চক্র বলা হয়।
গ উত্তরঃ উদ্দীপকে মি. আকরাম আব্রাহাম মাসলোর চাহিদা যোগান তত্তের সামাজিক চাহিদা স্তরে অবস্থান করছেন।সামাজিক চাহিদা বলতে সমাজের মানুষের মধ্যকার বন্ধুত্ব, øেহ-মমতা, প্রীতি ভালোবাসা ইত্যাদির চাহিদাকে বোঝায়। এ পর্যায়ে মানুষ তার পরিবার-পরিজন, বন্ধু-বান্ধব, আীয়-স্বজন, প্রতিবেশী, সহকর্মীর সাথে মিলেমিশে চলতে চায়। এ স্তরের চাহিদা পরণ না হলে কার্যক্ষেত্রে অসন্তুষ্টিতে ভোগেন।
উদ্দীপকে মি. আকরাম, কর্মসংস্থান ব্যাংকে জুনিয়র কর্ক উত্তরঃ র্তা হিসেবে যোগদান করেন। কাজের দক্ষতা দিয়ে তিনি দ্র–ত পদোন্নতি লাভ করেন। ঈদ উপলক্ষে তিনি পরিবার ও আীয়-স্বজনদের জামা-কাপড় উপহার দেন। সামাজিক বিভিন্ন অনুষ্ঠানে তিনি যোগদান করেন।
এরই ধারাবাহিকতায় তিনি একটি ধর্মীয় প্রতিষ্ঠান ও লাইব্রেরীতে দু লক্ষ টাকা অনুদান দেন। এসব কাজের মাধ্যমে মি. আকরাম নিজেকে সমাজের মানুষের সাথে সম্পৃক্ত রাখতে চান। তাই বলা যায়, মি. আকরামের কর্ক উত্তরঃ ান্ড সামাজিক চাহিদার অন্তর্ভুক্ত।
মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের প্রখ্যাত মনোবিজ্ঞানী অধ্যাপক আব্রাহাম হ্যারল্ড মাসলো (অনৎধযধস ঐধৎড়ষফ গড়ংষড়)ি প্র্রেষণার চাহিদা সোপান তত্তে (ঘববফ ঐরবৎধৎপযু ঞযবড়ৎু) মানুষের চাহিদাকে পাঁচটি স্তরে ভাগ করেছেন। যা নিæরপ হলো ”-
১. জৈবিক চাহিদা = খাদ্য, বস্ত্র, বাসস্থান, শিক্ষা, চিকিৎসা।
২. নিরাপত্তার চাহিদা = চাকরির দায়িত্ব, বিমা সুবিধা, নিরাপত্তা বিধি।
৩. সামাজিক চাহিদা : বন্ধুত্ব, øেহ-মমতা, সহানুভ‚তি।
৪. আতৃপ্তির চাহিদা : আমর্যাদা, সম্মান, স্বীকৃতি, পদমর্যাদা।
৫. আপর্ণতার চাহিদা : পর্ণ দক্ষতার প্রকাশ, জটিল ও গুরুত্বপর্ণ কাজে সিদ্ধান্ত প্রদান।
ঘ উত্তরঃ আতৃপ্তির চাহিদার কারণে মি. আকরাম। কর্মসংস্থান ব্যাংকের চাকরি ছেড়েছেন। আপ্রকৃতির চাহিদা বলতে সমাজের অন্যদের থেকে আীয়-স্বজন ও সহকর্মীদের থেকে নিজেকে একটু ওপরে ওঠার আগ্রহকে বোঝায়। এ পর্যায়ে কর্মী তার সামর্থ্য ও যোগ্যতার প্রকাশের মাধ্যমে সকলের প্রশংসা অর্জনের চেষ্টা চালায়। এতে কর্মীর আমর্যাদার ও সুখ্যাতি বাড়ে।
উদ্দীপকে মি. আকরাম প্রথমে কর্মসংস্থান ব্যাংকে কর্মরত ছিলেন। এ ব্যাংকে কর্মরত অবস্থায় তিনি সমাজের মানুষের সাথে মিশে সামাজিক চাহিদা পরণ করেন। কিন্তু তিনি আরও মান মর্যাদা ও প্রতিপত্তি লাভ করতে চান, যা উক্ত ব্যাংক পরণ করতে পারেনি।
পরে মি. আকরাম ‘পদ্মা ব্যাংক’ থেকে ঊর্ধ্বতন পদে যোগদানের আমন্ত্রণ পান। এছাড়া তাকে ১০ লক্ষ টাকা বেতন, সার্বক্ষণিক গাড়ি ও সুসজ্জিত বাংলো দেওয়ার প্রতিশ্রুতি দেয়া হয়। এসব সুযোগ-সুবিধা অর্জনের মাধ্যমে তিনি নিজেকে অন্যদের চেয়ে একটু ওপরে নিয়ে যেতে পারবেন।
সমাজের মানুষ আর সাফল্যের প্রশংসা করবে। ফলে তার আমর্যাদা ও খ্যাতি বাড়বে। এর মাধ্যমে তিনি আতৃপ্তি লাভ করবেন। তাই বলা হয়, আতৃপ্তির চাহিদার কারণেই মি. আকরাম পর্বের চাকরি ছেড়েছেন।
প্রশ্নঃ ৩৮ মধ্যবিত্ত পরিবারের সন্তান রাহাত চৌধুরী ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে এমবিএ পাস করার পরপরই একটি বহুজাতিক কোম্পানিতে যোগদান করেন। তিনি তাঁর কর্ক উত্তরঃ ্ষেত্রে বাজেট তৈরি ও পরিকল্পনা প্রণয়নের সাথে সংশ্লিষ্ট এবং গুরুত্বপর্ণ ভ‚মিকা রাখেন। হঠাৎ করে তাঁর স্ত্রী জটিল রোগে আক্রান্ত হলে তিনি মানসিকভাবে ভেঙে পড়েন এবং পর্বের ন্যায় দক্ষতা সহকারে কাজ করতে পারছেন না। এদিকে বিশেষজ্ঞ ডাক্তার রাহাত চৌধুরীর স্ত্রীকে ব্যয়বহুল চিকিৎসার জন্য বিদেশে প্রেরণের ব্যবস্থাপত্র দিয়েছেন। [সরকারি বি.এম.সি মহিলা কলেজ, নওগাঁ।]
ক. তত্তের প্রবক্তা কে? ১
খ. মাসলোর চাহিদা সোপান তত্তটি চিেেত্রর সাহায্যে দেখাও। ২
গ. উদ্দীপকের রাহাত চৌধুরী বহুজাতিক কোম্পানিটির ব্যবস্থাপনার কোন স্তরে কর্মরত? ব্যাখ্যা করো। ৩
ঘ. রাহাতকে প্রতিষ্ঠানে পর্বের ন্যায় দক্ষতা সহকারে কাজে ফিরিয়ে আনার জন্য কোন ধরনের প্রেষণা দেয়া প্রয়োজন? তোমার উত্তরের পক্ষে যুক্তি উপস্থাপন করো? ৪
৩৮ নং প্রশ্নের উত্তর
ক উত্তরঃ তত্তের প্রবক্তা হলেন ডগলাস মারে ম্যাকগ্রেগর।ডগলাস মারে গ্রন্থে কর্মীর মনোভাব সম্পর্কে দুই ধরনের তত্তের উলেখ করেন তত্ত নামে পরিচিত।
খ উত্তরঃ মানুষের একটি অভাব পরণ হওয়ার পর তার মধ্যে আরেকটি অভাব দেখা দেয়। এই পরিস্থিতিতে কর্মীকে কীভাবে প্রেষিত করা যায়, মাসলো এ সম্পর্কে যে তত্ত দিয়েছেন তাকে মাসলোর চাহিদা সোপান তত্ত বলে। এই তত্তের প্রবর্তক আব্রাহাম মাসলো নিচে চিত্রটি দেয়া হলো
গ উত্তরঃ উদ্দীপকের রাহাত চৌধুরী বহুজাতিক কোম্পানিটির ব্যবস্থাপনার উচ্চস্তরে কর্মরত। প্রতিষ্ঠানের শীর্ষ পর্যায়ের নির্বাহীদের সমন্বয়ে উচ্চস্তরের ব্যবস্থাপনা গড়ে ওঠে। প্রতিষ্ঠানের উদ্দেশ্য, নীতি নির্ধারণ এবং দীর্ঘমেয়াদি লক্ষ্য, কৌশল ও পরিকল্পনা প্রণয়নের সাথে এ স্তর জড়িত। এ স্তরে চেয়ারম্যান, ব্যবস্থাপনা পরিচালক, পরিচালনা পর্ষদ প্রমুখ ব্যক্তি দায়িত্ব পালন করেন।
উদ্দীপকে মধ্যবিত্ত পরিবারের সন্তান রাহাত চৌধুরী ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে এমবিএ পাস করেন। পাস করার পরপরই তিনি একটি বহুজাতিক কোম্পানিতে যোগ দান করেন। তিনি বাজেট তৈরি ও পরিকল্পনা প্রণয়নের সাথে জড়িত। তিনি কর্ক উত্তরঃ ্ষেত্রে গুরুত্বপর্ণ ভ‚মিকা রাখেন।
রাহাত চৌধুরীর কাজের সাথে ব্যবস্থাপনার উচ্চস্তরের কর্মীদের কাজের মিল পাওয়া যায়। তাই বলা যায় রাহাত চৌধুরী বহুজাতিক কোম্পানিটির উচ্চস্তরের ব্যবস্থাপক।
ঘ উত্তরঃ রাহাত চৌধুরীকে প্রতিষ্ঠানে পর্বের ন্যায় দক্ষতাসহ কাজে আনার জন্য আর্থিক প্রেষণা’ দেয়া প্রয়োজন।আর্থিক প্রেষণা পদ্ধতিতে কর্মীদের অর্থ সম্পর্কিত নানা সুবিধা দেয়া হয়। আর্থিক সুবিধার মাধ্যমে কর্মীর কাজের প্রতি উৎসাহ বাড়ে। এক্ষেত্রে কর্মীকে উপযুক্ত বেতন ও মজুরি, বোনাস, পদোন্নতি, বাসস্থান ভাতা, চিকিৎসা ভাতা ইত্যাদি দেয়া হয়।
উদ্দীপকে রাহাত চৌধুরী ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে এমবিএ পাস করেন। পাস করার পর তিনি একটি বহুজাতিক কোম্পানিতে যোগ দেন। তিনি তার কর্ক উত্তরঃ ্ষেত্রে বাজেট তৈরি ও পরিকল্পনা প্রণয়ন করেন। হঠাৎ করে তাঁর স্ত্রী জটিল রোগে আক্রান্ত হলে তিনি মানসিকভাবে ভেঙে পড়েন। যার ফলে তিনি পর্বের ন্যায় কাজ করতে পারছেন না, এদিকে একজন ডাক্তার তার স্ত্রীকে ব্যয়বহুল চিকিৎসার জন্য বিদেশে নেওয়ার পরামর্শ দিয়েছেন।
বর্তমান পরিস্থিতিতে রাহাত চৌধুরীকে আর্থিক প্রেষণার মাধ্যমে কাজে মনোযোগ ফিরিয়ে আনা সম্ভব। রাহাত তার স্ত্রীর চিকিৎসার খরচের চিন্তায় সঠিকভাবে কাজ করতে পারছেন না। কোম্পানিটি রাহাত চৌধুরীর মতো দক্ষ কর্মীকে কাজে ফিরিয়ে আনার জন্য আর্থিকভাবে সহায়তা করতে পারে।
তাঁর স্ত্রীর চিকিৎসা ব্যয় বহন করলে তিনি চিন্তামুক্ত হবেন। ফলে তার কাজে দক্ষতা ফিরে আসবে। তাই বলা যায় রাহাত চৌধুরীর কাজের দক্ষতা আর্থিক প্রেষণার মাধ্যমে পর্বের ন্যায় ফিরিয়ে আনা সম্ভব।
প্রশ্নঃ ৩৯ মি. শাহজাহান বিন্যাটারীতে একটি গার্মেন্টস ফ্যাক্টরি স্থাপন করলেন। রংপুর শহর থেকে অনেকেই বিন্যাটারীতে যাওয়া কষ্টকর ও ব্যয়বহুল এজন্য পাঁচটি বাস দিলেন। ফলে কর্মীরা বাসে করে সঠিক সময়ে ফ্যাক্টরিতে যায় এবং ফ্যাক্টরির প্রতিও তাদের ইতিবাচক মনোভাব। [ক্যান্টনমেন্ট পাবলিক স্কুল ও কলেজ, রংপুর]
ক. ডগলাস ম্যাকগ্রেগরের প্রেষণাতত্তের নাম কী? ১
খ. প্রেষণা প্রক্রিয়া বলতে কি বোঝ? ২
গ. উদ্দীপকে কর্মীদের বাসে করে বিন্যাটারীতে নিয়ে যাওয়া কোন ধরনের প্রেষণা- ব্যাখ্যা করো। ৩
ঘ. উদ্দীপকে কর্মীদের ফ্যাক্টরির প্রতি ইতিবাচক মনোভাব প্রতিষ্ঠানের জন্য খুবই আশাব্যঞ্জক তোমার মতামত দাও। ৪
৩৯ নং প্রশ্নের উত্তর
ক উত্তরঃ ডগলাস মারে ম্যাকগ্রেগরের প্রেষণা তত্তের নাম তত্ত।
খ উত্তরঃ প্রেষণা প্রক্রিয়ার ধাপগুলোর (অভাব, তাড়না, অভাবপরণ ও সন্তুষ্টি অর্জন) পর্যায়ক্রমে আবর্তিত হওয়াকে প্রেষণা চক্র বা প্রক্রিয়া বলে।প্রতিষ্ঠানের বিভিন্ন পর্যায়ে কর্মীদের বিভিন্ন অভাব সৃষ্টি হয়। এই অভাব গুলো প্রেষণার মাধ্যমে পরণ করা হয়।
একটি অভাব পর্ণ করা হলে অন্য আরেকটি অভাবের সৃষ্টি হয়। এরপ অভাববোধ এবং তা পরণের প্রক্রিয়াটি অবিরামভাবে চলতে থাকে প্রেষণার ধাপ গুলোর মাধ্যমে। এ চলমান প্রক্রিয়াকে প্রেষণা চক্র বলে।
গ উত্তরঃ উদ্দীপকে কর্মীদের বাসে করে বিন্যাটারীতে নিয়ে যাওয়া ‘আর্থিক প্রেষণা’। প্রত্যক্ষ বা পরোক্ষভাবে কর্মীদের বস্তু বা অর্থ সংক্রান্ত চাহিদা পরণের কৌশলই হলো প্রেষণার আর্থিক উপায়। আর্থিক উপায়ে কর্মীদের বোনাস ভাতা ইত্যাদি দেয়া হয়।
আবার এই সুবিধা গুলো প্রতিষ্ঠান অর্থ না দিয়ে প্রদান করতে পারে। কর্মীরা কাজে আগ্রহী হয়ে ওঠে। প্রতিষ্ঠানের কাজের প্রতি যতœবান হয়। এতে করে প্রতিষ্ঠান লক্ষ্যে সহজে পৌছাঁতে পারে।
উদ্দীপকের মি. শাহজাহান বিন্যাটারীতে একটি গার্মেন্টস ফ্যাক্টরি স্থাপন করেন। রংপুর শহর থেকে বিন্যাটারীতে যাওয়া অনেক ব্যয়বহুল ও কষ্ট সাধ্য। তাই তিনি কর্মীদের জন্য পাঁচটি বাস দিলেন। এতে তাদের যাতায়াতে সুবিধা হয় ও ব্যয় কম হয়। কর্মীরা সঠিক সময়ে ফ্যাক্টরিতে পৌঁছাতে পারে।
তার এই কাজ প্রেষণার আর্থিক উপায়ের সাথে মিলে যায়। সুতরাং, মি শাহজাহানের কর্মীদের বাসে করে ফ্যাক্টরিতে নিয়ে যাওয়া হলো প্রেষণার আর্থিক উপায়।
ঘ উত্তরঃ হ্যাঁ, কর্মীদের ফ্যাক্টরির প্রতি ইতিবাচক মনোভাব প্রতিষ্ঠানের জন্য আশাব্যঞ্জক। কর্মীদের কার্যক্ষমতার পর্ণ ব্যবহারের লক্ষ্যে তাদের কাজের প্রতি অনুপ্রাণিত করাই হলো প্রেষণা। এটি আর্থিক ও অনার্থিক উভয়ই হতে পারে। আর্থিক প্রেষণার ক্ষেত্রে কর্মীদের আর্থিকভাবে সহায়তা করা হয়। অন্যদিকে অনার্থিক প্রেষণার ক্ষেত্রে কর্মীদের অর্থের বাইরে প্রেষণা প্রদান করা হয়। উভয় প্রেষণার মাধ্যমেই কর্মীদের উৎসাহ দেওয়া হয়।
উদ্দীপকে মি. শাহজাহান বিন্যাটারীতে গার্মেন্টস ফ্যাক্টরি স্থাপন করেন। কর্মীদের জন্য বিন্যাটারীতে যাওয়া কষ্টকর ও ব্যয়সাধ্য। তাই মি. শাহজাহান তাদের পাঁচটি বাস দেন। যাতে তারা সঠিক সময়ে ফ্যাক্টরিতে পৌঁছাতে পারে। প্রেষণার মাধ্যমে কর্মীদের কাজে উৎসাহিত করা হয়।
যেকোনো প্রতিষ্ঠান চায় তার কর্মীরা তাদের কাজ সঠিকভাবে সম্পন্ন করে লক্ষ্য অর্জন করবে। তাই প্রতিষ্ঠান বিভিন্ন রকম প্রেষণা দিয়ে থাকেন। এতে কর্মীদের প্রতিষ্ঠানের প্রতি ইতিবাচক ধারণা সৃষ্টি হয়।
অর্থাৎ মি. শাহজাহান কর্মীদের প্রেষণা দেন যাতায়াত ব্যবস্থার মাধ্যমে। তাই বলা যায়, কর্মীদের ফ্যাক্টরির প্রতি ইতিবাচক মনোভাব প্রতিষ্ঠানের জন্য খুবই আশাব্যঞ্জক। কারণ এতে প্রতিষ্ঠান সহজে সফলতা লাভ করতে পারে।
- উত্তর ডাউনলোড করুন> (১ম পত্র) ব্যবসায়ের মৌলিক ধারণা ১ম পত্র সৃজনশীল প্রশ্ন
- উত্তর ডাউনলোড করুন>(১ম পত্র)১ম: ব্যবসায়ের মৌলিক ধারণা প্রশ্ন উত্তরসহ PDF
- উত্তর ডাউনলোড করুন> HSC ব্যবসায়ের মৌলিক ধারণা প্রশ্নের উত্তরসহ অধ্যায়-১: PDF
- উত্তর ডাউনলোড করুন> HSC অধ্যায়-১: প্রশ্নের উত্তরসহ ব্যবসায়ের মৌলিক ধারণা PDF
- উত্তর ডাউনলোড করুন>অধ্যায়৩: SSC ফিন্যান্স ও ব্যাংকিং‘র সৃজনশীল প্রশ্নোত্তর PDF
- উত্তর ডাউনলোড করুন> অধ্যায়৩: SSC ফিন্যান্স ও ব্যাংকিং‘র জ্ঞানমূলক প্রশ্নোত্তরPDF
প্রশ্নঃ ৪০ একটি বড় প্রাইভেট কোম্পানির মালিক জনাব হায়দার সমাজকল্যাণে নিজেকে নিয়োজিত করতে চাইছেন। তিনি অনেক আয় করলেও সামাজিক দায়বদ্ধতা থেকে অনেককেই আয়ের পথ দেখিয়েছেন। সমাজের শিক্ষিত বেকারদের কাজে নিয়োগ দিয়েছেন। তিনি এক কথায় সব দিক থেকে পরিপর্ণ, কিন্তু আপর্ণতার চাহিদা তার কাছে অনেক বড়। তিনি তার এলাকায় নিজেকে স্মরণীয় ব্যক্তি হিসেবে প্রতিষ্ঠিত করতে স্কুল, কলেজ, মাদ্রাসা এসব গড়ে তুলতে চাইছেন। [রংপুর সরকারি কলেজ]
ক. ই.আর.জি তত্তটি কে দিয়েছেন? ১
খ. প্রেষণা মানুষের অভাবকেন্দ্রিক কেন? ২
গ. মাসলোর চাহিদা সোপান তত্ত অনুযায়ী জনাব হায়দার এখন কোন্্ সোপানে আছেন? উদ্দীপকের আলোকে ব্যাখ্যা করো। ৩
ঘ. মাসলোর তত্ত অনুযায়ী জনাব হায়দারের সর্বশেষ ফলাফল কী হবে তা বিশ্লেষণ করো। ৪
৪০ নং প্রশ্নের উত্তর
ক উত্তরঃ ইআরজি তত্তটি দিয়েছেন ক্লেটন এলডারকার ।
খ উত্তরঃ প্রতিষ্ঠানে কর্মরত কর্মীদের কার্যক্ষমতার পর্ণ ব্যবহারের লক্ষ্যে তাদের কাজের প্রতি আগ্রহী করার প্রক্রিয়াকে প্রেষণা বলে। বাস্তবতা বিবেচনায় সামর্থ্য মোতাবেক কোনো কিছু পাওয়ার আকাক্সক্ষাই হলো অভাব। মলত এই অভাব বা প্রয়োজনবোধ থেকেই কর্মীর মধ্যে প্রেষণা শুরু হয়।
কোনো কর্মী প্রয়োজন অনুযায়ী কোনো কিছুর অভাববোধ করলে তার মধ্যে এক ধরনের উদ্বেগের সৃষ্টি হয়। এ অভাববোধ বুঝেই কর্মীকে প্রেষণা দানের প্রয়োজন হয়। যা কর্মীর উদ্বেগ দর করে কাজ করতে উদ্বুদ্ধ করে। তাই প্রেষণাকে মানুষের অভাব কেন্দ্রিক বলা হয়।
গ উত্তরঃ মাসলোর চাহিদা সোপান তত্ত অনুযায়ী জনাব হায়দার এখন আতৃপ্তির চাহিদা স্থাপনে আছেন। আতৃপ্তির চাহিদা হলো বন্ধু-বান্ধব, আীয়-স্বজন ও সহকর্মীদের থেকে একটু বেশি উষ্ণতায় ওঠার আগ্রহ। এরপ চাহিদায় একজন ব্যক্তি সুনাম, সুখ্যাতি, যশ প্রভৃতি আশা করেন। এ পর্যায়ে ব্যক্তি বড় বাড়ি, দামি গড়ি ইত্যাদির অভাববোধ করেন।
উদ্দীপকে জনাব হায়দার একটি বড় কোম্পানির মালিক হিসেবে নিজেকে সমাজ কল্যাণে নিয়োজিত করতে চাইছেন। তাই তিনি নিজে অনেক আয় করলেও সামাজিক ও দায়বদ্ধতা থেকে অনেককেই আয়ের পথ দেখিয়েছেন। সমাজের শিক্ষিত বেকার লোকদের কাজে নিয়োগ দিয়ে কর্মসংস্থানের সুযোগ সৃষ্টি করেছে। এসব মল উদ্দেশ্য তার সুনাম, সুখ্যাতি ও যশ লাভ করা। যা আতৃপ্তির চাহিদার অন্তর্ভুক্ত। তাই বলা যায়, মাসলোর চাহিদা সোপান তত্ত অনুযায়ী জনাব হায়দার এখন আতৃপ্তির চাহিদা সোপানে আছেন।
মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের প্রখ্যাত মনোবিজ্ঞানী অধ্যাপক আব্রাহাম হ্যারল্ড মাসলো (অনৎধযধস ঐধৎড়ষফ গধংষড়)ি প্রেষণার চাহিদা সোপান তত্তে (ঘববফ যরবৎধৎপযু ঃযবড়ৎু) মানুষের চাহিদাকে পাঁচটি স্তরে ভাগ করেছেন। যা নিæে দেওয়া হলো :
১. জৈবিক চাহিদা : খাদ্য, বস্ত্র, বাসস্থান।
২. নিরাপত্তার চাহিদা : চাকরির স্থায়িত্ব, বিমা সুবিধা।
৩. সামাজিক চাহিদা : বন্ধুত্ব, øেহ মমতা, সহানুভ‚তি।
৪. আতৃপ্তির চাহিদা : আমর্যাদা, সুনাম, সুখ্যাতি, যশ।
৫. আপর্ণতার চাহিদা : পর্ণ দক্ষতার প্রকাশ, গুরুত্বপর্ণ কাজে সিদ্ধান্ত প্রদান।
ঘ উত্তরঃ মাসলোর তত্ত অনুযায়ী জনাব হায়দার আপর্ণতার চাহিদা চাইছেন, যার ফলাফল হলো মৃত্যুর পরও মানুষ তাকে স্মরণে রাখবে । কৃতিত্ব অর্জনের সর্বোচ্চ শিখরে পৌঁছার আকাক্সক্ষাই হলো আপর্ণতার চাহিদা। এটি ব্যক্তির সর্বোচ্চ স্তরের চাহিদা। এ পর্যায়ে উন্নীত ব্যক্তি নিজের সৃজনশীলতা ও বিশেষ গুণের বিকাশ ঘটিয়ে দেশ ও সমাজের খ্যাতি অর্জন করেন।
উদ্দীপকে জনাব হায়দার মাসলোর চাহিদা সোপান তত্ত অনুযায়ী আতৃপ্তির চাহিদা স্তরে রয়েছেন। কিন্তু তার কাছে আপর্ণতার চাহিদাই অনেক বড়। তাই তিনি নিজেকে এলাকার স্মরণীয় ব্যক্তি হিসেবে প্রতিষ্ঠিত করতে এলাকায় স্কুল, কলেজ, মাদ্রাসা এসব গড়ে তুলতে চাইছেন।
বর্তমান পরিস্থিতিতে জনাব হায়দার আপর্ণতার চাহিদা আশঙ্কা করছে। এটি ব্যক্তির সর্বোচ্চ স্তরের চাহিদা। বাস্তবে এই চাহিদা পরণের পর মানুষের মধ্যে আর কোনো চাহিদা থাকতে পারে না। এই চাহিদার ফলাফল হলো ব্যক্তির মৃত্যুর পরও মানুষ তাকে শ্রদ্ধাভরে স্মরণ করে।
অর্থাৎ মৃত্যুর পরও যে নিজেকে অমর করে রেখে যেতে আগ্রহী থাকে। তাই বলা যায়, মাসলোর তত্ত অনুযায়ী জনাব হায়দারের সর্বশেষ ফলাফল হলো মৃত্যুর পরও মানুষ তাকে স্মরণে রাখবে।
উক্ত বিষয় সম্পর্কে কিছু জানার থাকলে কমেন্ট করতে পারেন।
আমাদের সাথে ইউটিউব চ্যানেলে যুক্ত হতে এখানে ক্লিক করুন এবং আমাদের সাথে ফেইজবুক পেইজে যুক্ত হতে এখানে ক্লিক করুন। গুরুত্বপূর্ণ আপডেট ও তথ্য পেতে আমাদের ওয়েবসাইটে ভিজিট করুন।