ব্যবসা ও ব্যবস্থাপনা ২য় | অধ্যায় ৩ | সৃজনশীল প্রশ্নোত্তর ১-৫ | PDF: ব্যবসা ও ব্যবস্থাপনা ২য় পত্রের সকল অধ্যায়ের গুরুত্বপূর্ণ সব কমন উপযোগী সৃজনশীল প্রশ্ন ও উত্তর গুলো আমাদের এই পোস্টে পাবেন।
প্রিয় ছাত্র ছাত্রী বন্ধুরা আল্লাহর রহমতে সবাই ভালোই আছেন । এটা জেনে আপনারা খুশি হবেন যে, আপনাদের জন্য ব্যবসা ও ব্যবস্থাপনা ২য় পত্রের সকল অধ্যায়ের গুরুত্বপূর্ণ সব কমন উপযোগী সৃজনশীল প্রশ্ন ও উত্তর গুলো নিয়ে আলোচনা করতে যাচ্ছি ।
সুতরাং সম্পূর্ণ পোস্টটি মনোযোগ সহকারে পড়ুন। আর এইচ এস সি- HSC এর যেকোন বিভাগের গুরুত্বপূর্ণ সকল সাজেশন পেতে জাগোরিকের সাথে থাকুন।
প্রশ্নঃ ১ সরকার দেশের উন্নয়ন ও জনগণের স্বার্থের দিক বিবেচনায় নিয়ে ঢাকায় মেট্রোরেল স্থাপনের সিদ্ধান্ত নিয়েছেন, যা নির্মাণ করতে বেশ কয়েক বছর সময় লাগবে। যে অবস্থা বিবেচনা করে পরিকল্পনা প্রস্তুত হয় তা সবসময় মিলতে না-ও পারে। তাই ভবিষ্যৎ অবস্থার পরিবর্তন হলে পরিকল্পনা সংশোধনীসহ কর্তৃপক্ষ করণীয় ঠিক করে রাখেন, যাতে মেট্রোরেল নির্মাণের উদ্দেশ্য অর্জিত হয়। [ঢা. বো. ১৭]
ক. সিদ্ধান্ত গ্রহণ কী? ১
খ. ভিশন গুরুত্বপূর্ণ কেন? ২
গ. উদ্দীপকের মেট্রোরেল স্থাপন প্রকৃতি ভিত্তিতে কোন ধরনের পরিকল্পনা? ব্যাখ্যা করো। ৩
ঘ. পরিকল্পনার যে বৈশিষ্ট্যটি ভবিষ্যৎ অবস্থার পরিবর্তনকে সহজ করে তোলে উদ্দীপকের আলোকে তা মূল্যায়ন করো। ৪
১ নং প্রশ্নের উত্তর
ক উত্তরঃ সিদ্ধান্ত গ্রহণ হচ্ছে এমন একটি প্রক্রিয়া যার মাধ্যমে সুনির্দিষ্ট সমস্যা সমাধানের সঠিক ও সর্বোত্তম কর্মপন্থা নির্ধারণ করা হয়।
খ উত্তরঃ ভিশন হলো প্রতিষ্ঠানের দীর্ঘমেয়াদি ভবিষ্যৎ লক্ষ্য, যেখানে প্রতিষ্ঠানটি যেতে চায় বা অর্জন করতে চায়।
একটি প্রতিষ্ঠান যখন তার ভিশন নির্ধারণ করে তখন তাতে এর ভবিষ্যৎ লক্ষ্য ফুটে ওঠে। প্রতিষ্ঠানের ভিশন বা মূল লক্ষ্য নির্ধারণ করার ফলে প্রতিটি কর্মী ও বিভাগ তা অর্জনের জন্য সর্বোচ্চ প্রচেষ্টা চালায়। এতে উদ্দেশ্য অর্জন অনেক সহজ হয়। এজন্য ভিশন গুরুত্বপূর্ণ।
গ উত্তরঃ উদ্দীপকের মেট্রোরেল স্থাপন কাজটি প্রকৃতি ভিত্তিতে একার্থক পরিকল্পনার অন্তর্গত।
একার্থক পরিকল্পনা কোনো একটি বিশেষ কার্যসম্পাদনের লক্ষ্যে তৈরি করা হয়। তবে প্রণীত পরিকল্পনাটি বাস্তবায়িত হয়ে গেলে উক্ত পরিকল্পনাটি তার গ্রহণযোগ্যতা হারায়।
উদ্দীপকে দেখা যায়, সরকার দেশের উন্নয়ন ও জনগণের স্বার্থের কথা চিন্তা করে ঢাকায় মেট্রোরেল স্থাপনের সিদ্ধান্ত নেয়। যদিও মেট্রোরেল তৈরি করতে বেশ কয়েক বছর সময় লাগবে। তবুও সরকার চায় এ উদ্দেশ্যটি যেন বাস্তবায়িত হয়।
এ লক্ষ্যে সরকার বিভিন্ন পদক্ষেপ হাতে নিয়েছে। সরকার একটি বিশেষ উদ্দেশ্য বাস্তবায়নে এ পরিকল্পনা গ্রহণ করেছে, উদ্দেশ্য অর্জিত হলে এর কার্যকারিতাও শেষ হয়ে যাবে। এটি একার্থক পরিকল্পনার বৈশিষ্ট্যের সাথে সংগতিপূর্ণ। তাই বলা যায়, মেট্রোরেল স্থাপন একটি একার্থক পরিকল্পনা।
ঘ উত্তরঃ পরিকল্পনার নমনীয়তা বৈশিষ্ট্যটি ভবিষ্যৎ অবস্থার পরিবর্তনের সাথে সমন্বয়কে সহজ করে তোলে।
নমনীয়তার মাধ্যমে প্রতিষ্ঠানের ভবিষ্যৎ অবস্থা ও সময়ের সাথে তাল মিলিয়ে পরিকল্পনার পরিবর্তন করা হয়। ভবিষ্যৎ সর্বদাই অনিশ্চিত। তাই পরিকল্পনা সময়, স্থান ও অবস্থাভেদে পরিবর্তনযোগ্য হওয়া বাঞ্ছনীয়।
উদ্দীপকে দেখা যায়, সরকার দেশের জনগণের কথা চিন্তা করে ঢাকায় একটি মেট্রোরেল স্থাপনের পরিকল্পনা করে। যে অবস্থা বিবেচনা করে পরিকল্পনা প্রস্তুত করা হয় তা সবসময় না-ও মিলতে পারে।
তাই কর্তৃপক্ষ ভবিষ্যৎ অবস্থার পরিবর্তন হলে সে অবস্থা অনুযায়ী পরিকল্পনার সংশোধনীগুলোও ঠিক করে নেয়। অর্থাৎ তারা যেকোনো অবস্থার মধ্য দিয়ে পরিকল্পনা বাস্তবায়নের জন্য চেষ্টা করে।
পরিবর্তিত পরিস্থিতির সাথে সঙ্গতি বিধানের সামর্থ্যই হলো নমনীয়তা। একটি উত্তম পরিকল্পনায় নমনীয়তার সুযোগ থাকা আবশ্যক। কারণ, একই অবস্থার মধ্য দিয়ে পরিকল্পনা বাস্তবায়িত হবে তা সবসময় আশা করা যায় না।
তাই উদ্দীপকে সরকারি কর্ক উত্তরঃর্তাগণও ঢাকায় মেট্রোরেল নির্মাণের উদ্দেশ্য বাস্তবায়নের জন্য পরিকল্পনায় সম্ভাব্য ও প্রয়োজনীয় সংশোধনীর ব্যবস্থা করে রাখেন। তাই বলা যায়, পরিকল্পনার নমনীয়তা বৈশিষ্ট্যটি ভবিষ্যৎ অবস্থার পরিবর্তনকে সহজ করে তোলে।
প্রশ্নঃ ২ সুইট হোম লি. একটি ডেভেলপার কোম্পানি। কোম্পানিটি একেকটি প্রকল্পের অন্য একেকটি পরিকল্পনা গ্রহণ করে। নির্মাণ শেষে পরিকল্পনার সমাপ্তি ঘটে। সম্প্রতি নতুন একটি প্রকল্প ২০ তলা বিল্ডিং নির্মাণের পরিকল্পনা গ্রহণ করে এবং এর নকশা সি.ডি.এ.-তে জমা দেওয়া হয়। জায়গার পরিমাণ, মূল রাস্তা থেকে জায়গার দূরত্ব, রাস্তার প্রশস্ততা ইত্যাদি বিষয় বিবেচনা করে সর্বোচ্চ ১৫ তলার বেশি নির্মাণ করা অবাস্তব ও ত্র“টিপূর্ণ হবে বলে সি.ডি.এ. প্রকল্প পরিকল্পনাটি বাতিল করে দেয়। পরবর্তীতে সুইটস হোম লি. ১৫ তলা বিল্ডিং নির্মাণের পরিকল্পনা গ্রহণ করে এবং সি.ডি.এ. পরিকল্পনাটি অনুমোদন দেয়। [রা. বো. ১৭]
ক. সিদ্ধান্ত গ্রহণ প্রক্রিয়ার প্রথম পদক্ষেপ কোনটি? ১
খ. “পরিকল্পনা ব্যবস্থাপনার অন্যান্য কাজের ভিত্তি” ব্যাখ্যা করো। ২
গ. ‘সুইট হোম লি.’-এর গৃহীত পরিকল্পনাগুলো প্রকৃতিভেদে কোন ধরনের পরিকল্পনা? ব্যাখ্যা করো। ৩
ঘ. পরিকল্পনার যে বৈশিষ্ট্যের কারণে ‘সুইট হোম লি.-এর প্রকল্পটি সিডিএ’র অনুমোদন পায় তার যৌক্তিকতা মূল্যায়ন করো। ৪
২ নং প্রশ্নের উত্তর
ক উত্তরঃ সিদ্ধান্ত গ্রহণ প্রক্রিয়ার প্রথম পদক্ষেপ হলো সমস্যা চিহ্নিতকরণ ও সংজ্ঞায়িতকরণ।
খ উত্তরঃ প্রতিষ্ঠানের কাক্সিক্ষত উদ্দেশ্য অর্জনের জন্য কোন কাজ কে করবে, কখন করবে, কত সময়ের মধ্যে করা হবে ইত্যাদি নির্ধারণ করার কর্মসূচি বা নকশা প্রণয়নের কাজকে পরিকল্পনা বলে।
পরিকল্পনা হলো ব্যবস্থাপনার প্রথম কাজ। এটি বাস্তবায়নের জন্যই সংগঠন, কর্মীসংস্থান, নেতৃত্ব দান ইত্যাদি কাজ করা হয়। আর নিয়ন্ত্রণের ক্ষেত্রে পরিকল্পনা আদর্শমানের ভ‚মিকা পালন করে।
এছাড়া ব্যবস্থাপনার অন্যান্য (সংগঠন, কর্মীসংস্থান, নেতৃত্ব দান) কাজ সম্পাদনেও প্রয়োজনীয় পরিকল্পনা গ্রহণ করতে হয়। তাই পরিকল্পনাকে অন্যান্য কাজের ভিত্তি বলে গণ্য করা হয়।
গ উত্তরঃ উদ্দীপকের সুইট হোম লি.-এর গৃহীত পরিকল্পনাগুলো প্রকৃতিভেদে একার্থক পরিকল্পনা।
একার্থক পরিকল্পনা কোনো একটি বিশেষ কার্যসম্পাদনের জন্য তৈরি করা হয়। তবে প্রণীত পরিকল্পনাটি বাস্তবায়িত হলে তা পরে আর ব্যবহৃত হয় না।
উদ্দীপকের সুইট হোম লি. একটি ডেভেলপার কোম্পানি। কোম্পানিটি একেকটি প্রকল্পের জন্য একেকটি পরিকল্পনা গ্রহণ করে। নির্মাণ শেষে পরিকল্পনার সমাপ্তি ঘটে। সম্প্রতি কোম্পানিটি ২০ তলা বিল্ডিং নির্মাণের পরিকল্পনা গ্রহণ করে।
কিন্তু সি.ডি.এ জায়গার পরিমাণ, রাস্তার প্রশস্থতা ইত্যাদি বিষয় বিবেচনা করে ১৫ তলার বেশি নির্মাণ করা যাবে না বলে প্রকল্পের পরিকল্পনাটি বাতিল করে দেয়। পরবর্তীতে সুইট হোম লি. ১৫ তলা বিল্ডিং নির্মাণের পরিকল্পনা গ্রহণ করে।
বিল্ডিং নির্মাণ শেষে পরিকল্পনাটির সমাপ্তি ঘটবে। এসব বৈশিষ্ট্যানুযায়ী এটি একার্থক পরিকল্পনার সাথে সামঞ্জস্যপূর্ণ। তাই বলা যায়, সুইট হোম লি.-এর গৃহীত পরিকল্পনাগুলো হলো একার্থক পরিকল্পনা।
ঘ উত্তরঃ পরিকল্পনার নমনীয়তা বৈশিষ্ট্যের কারণে ‘সুইট হোম লি.’-এর প্রকল্পটি সি.ডি.এ.-এর অনুমোদন পায় কথাটি যৌক্তিক।
ভবিষ্যৎ সর্বদাই অনিশ্চিত। তাই পরিকল্পনা সময়, স্থান ও অবস্থাভেদে পরিবর্তনযোগ্য হওয়া আবশ্যক। নমনীয়তা বৈশিষ্ট্যের কারণে পরিকল্পনাকে অবস্থা ও সময়ের সাথে তাল মিলিয়ে পরিবর্তন করা যায়।
উদ্দীপকের সুইট হোম লি. প্রথমত ২০ তলা ভবন নির্মাণের পরিকল্পনা করে এবং এর নকশা সি.ডি.এ-তে জমা দেয়। জায়গার পরিমাণ ও রাস্তার কারণে সি.ডি.এ. ২০তলা ভবনের পরিবর্তে ১৫ তলার অনুমোদন দেয়।
এতে সুইট হোম লি. পরিস্থিতি অনুযায়ী তাদের পরিকল্পনায় পরিবর্তন এনে ১৫ তলা ভবনের সিদ্ধান্ত নেয়; যা পরিকল্পনার নমনীয়তা বৈশিষ্ট্যের সাথে মিল পাওয়া যায়।
যেকোনো সময়, পরিবেশ তথা পারিপার্শ্বিকতার পরিবর্তনের কারণে পরিকল্পনা পরিবর্তন করতে হতে পারে।
উদ্দীপকেও এমন পরিবর্তনের প্রয়োজন হয়েছে। সুইট হোম লি. প্রতিষ্ঠানটি প্রথমত ২০ তলা ভবন নির্মাণের সিদ্ধান্ত নিলেও তা বাতিল হয়ে যায়।
পরবর্তীতে প্রতিষ্ঠানটি পরিকল্পনায় পরিবর্তন এনে ১৫ তলা ভবন নির্মাণের চ‚ড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেয়, যা সি.ডি.এ. অনুমোদন দেয়। তাই বলা যায়, পরিকল্পনার নমনীয়তার কারণেই সুইট হোম লি.-এর প্রকল্পটি সি.ডি.এ.-এর অনুমোদন পায়।
প্রশ্নঃ ৩ জাগোয়ার করপোরেশনের চারটি বিভাগ রয়েছে। উৎপাদন বিভাগ ২০১৬ সালের জন্য ৫০০০ একক উৎপাদন লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করে। অর্থ বিভাগ প্রয়োজনীয় অর্থ বরাদ্দ না করায় উৎপাদন লক্ষ্যমাত্রার চেয়ে ১০০০ একক কম হয়। অন্যদিকে মানবসম্পদ বিভাগ বিপণন বিভাগের জন্য অতিরিক্ত লোক নিয়োগ করায় খরচ বেড়ে যায়। কিন্তু রক্ষণাবেক্ষণ বিভাগে লোক স্বল্পতার কারণে নষ্ট মেশিন ঠিক করতে না পারায় উৎপাদনে ব্যাঘাত ঘটে। [রা. বো. ১৭]
ক. জোড়া মই শিকল নীতি কী? ১
খ. নির্দেশনাকে প্রশাসনের হৃৎপিণ্ড বলা হয় কেন? ২
গ. উদ্দীপকে উলিখিত ৫০০০ একক উৎপাদন লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ প্রকৃতির ভিত্তিতে কোন ধরনের পরিকল্পনা? ব্যাখ্যা করো। ৩
ঘ. ব্যবস্থাপনার যে কাজটি যথাযথভাবে সম্পাদন করলে উদ্দীপকে বর্ণিত সমস্যা নিরসনপূর্বক উৎপাদন লক্ষ্যমাত্রা অর্জিত হবে তার যৌক্তিকতা বিশ্লেষণ করো। ৪
৩ নং প্রশ্নের উত্তর
ক উত্তরঃ প্রতিষ্ঠানের উপর থেকে নিচের স্তর পর্যন্ত প্রতিটা ব্যক্তি, বিভাগ ও উপবিভাগকে একই শিকলের অধীনে যুক্ত করাকে জোড়া মই শিকল নীতি বলে।
খ উত্তরঃ লক্ষ্য অর্জনে অধস্তনদের আদেশ, উপদেশ ও পরামর্শ প্রদান এবং তত্তাবধান কার্যকে নির্দেশনা বলে।
হৃৎপিণ্ড রক্ত প্রবাহ ঠিক রেখে মানুষের অঙ্গপ্রত্যঙ্গ সচল রাখতে সাহায্য করে। এটি কাজ না করলে মানুষ অচল হয়ে পড়ে।
ঠিক তেমনিভাবে একটি প্রতিষ্ঠানের প্রশাসন যেসব পরিকল্পনা, নিয়ম-নীতি প্রণয়ন করে সেগুলো বাস্তবায়নের জন্য কর্মীদের নির্দেশনা প্রদান করা প্রয়োজন। নির্দেশনা প্রদান করা না হলে প্রশাসনের কার্যক্রম ব্যাহত হয়। এজন্যই নির্দেশনাকে প্রশাসনের হৃৎপিণ্ড বলা হয়।
গ উত্তরঃ উদ্দীপকের পরিকল্পনাটি প্রকৃতির ভিত্তিতে লক্ষ্যের অন্তর্ভুক্ত।
লক্ষ্য নির্ধারিত ফল লাভের উদ্দেশ্যে প্রণীত হয়। এরূপ লক্ষ্য অর্জনের জন্য প্রতিষ্ঠানের সব উপায়-উপাদান ও কর্মপ্রচেষ্টাকে কাজে লাগানো হয়। এভাবে লক্ষ্য অর্জনের চেষ্টা করা হলে সফল হওয়ার সম্ভাবনা থাকে।
উদ্দীপকের জাগোয়ার করপোরেশনের চারটি বিভাগ রয়েছে। এর মধ্যে উৎপাদন বিভাগ ২০১৬ সালের জন্য ৫০০০ একক পণ্য উৎপাদনের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করে।
প্রতিষ্ঠানটি একটি নির্দিষ্ট ফল লাভের উদ্দেশ্যে এ পরিকল্পনাটি প্রণয়ন করে, যা বৈশিষ্ট্যানুযায়ী লক্ষ্য পরিকল্পনার পর্যায়ে পড়ে। তাই বলা যায়, ৫০০০ একক পণ্য উৎপাদনের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ প্রকৃতির ভিত্তিতে লক্ষ্যের অন্তর্ভুক্ত।
ঘ উত্তরঃ ব্যবস্থাপনার সমন্বয়সাধন কাজটি যথাযথভাবে সম্পাদন করলে উদ্দীপকে বর্ণিত সমস্যা নিরসনপূর্বক উৎপাদন লক্ষ্যমাত্রা অর্জিত হবে কথাটি যৌক্তিক।
সমন্বয়সাধন বিভিন্ন ব্যক্তি ও বিভাগের কাজকে একসূত্রে গ্রথিত ও সংযুক্ত করে। প্রতিষ্ঠানের সব স্তরেই যেহেতু পরিকল্পনা গ্রহণ করতে হয় তাই একটি আদর্শ পরিকল্পনায় সব স্তর বা বিভাগকেই সমন্বয় করা উচিত।
উদ্দীপকের প্রতিষ্ঠানটির উৎপাদন বিভাগ ২০১৬ সালে ৫০০০ একক উৎপাদনের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করে। আবার অর্থ বিভাগ অর্থ বরাদ্দ না করায় ১০০০ একক কম উৎপাদন হয়।
অন্যদিকে মানবসম্পদ বিভাগ অতিরিক্ত লোক নিয়োগ করায় খরচ বেড়ে যায়। কিন্তু রক্ষণাবেক্ষণ বিভাগে লোক না থাকায় ও নষ্ট মেশিন ঠিক না করায় উৎপাদনে ব্যাঘাত ঘটে। এ থেকে বোঝা যায়, প্রতিষ্ঠানটির কোনো বিভাগের মধ্যে সমন্বয় নেই।
একটি প্রতিষ্ঠানে সমন্বয়ের মাধ্যমে মতানৈক্য দূর করে সব বিভাগের মধ্যে সহযোগিতা, সমঝোতা, ভারসাম্য ও সামঞ্জস্যতা প্রতিষ্ঠা করা যায়। এতে প্রতিষ্ঠানের কাজের মধ্যে নিরবচ্ছিন্নতা ও ধারাবাহিকতা বজায় থাকে।
উদ্দীপকের প্রতিষ্ঠানটির চারটি বিভাগের মধ্যেও যদি সমন্বয়সাধন নিশ্চিত করা যায়, তবে এক বিভাগের কর্মী অন্য বিভাগের কাজেও সহায়তা করতে পারবে। এতে নিরবচ্ছিন্ন উৎপাদন ব্যবস্থা অব্যাহত থাকবে। এভাবে সমন্বয়ের মাধ্যমে প্রতিষ্ঠানের সমস্যা নিরসনপূর্বক উৎপাদন লক্ষ্যমাত্রা অর্জন করা সম্ভব।
প্রশ্নঃ ৪ মি. সবুজ আন্তর্জাতিক বাণিজ্য মেলায় ফাস্ট ফুডের একটি দোকান দিলেন। উন্নতমানের খাবার সরবরাহের কারণে তার দোকান যথেষ্ট সুনাম অর্জন করল। একই সাথে প্রচুর মুনাফাও অর্জিত হলো। তাই মি. সবুজ ভবিষ্যতে অধিকতর সুবিধা অর্জনের জন্য বাণিজ্য মেলা শেষে ব্যবসাটি চালিয়ে যাওয়ার সিদ্ধান্ত গ্রহণ করলেন। [দি. বো. ১৭]
ক. আধুনিক ব্যবস্থাপনার জনক কে? ১
খ. প্রেষণা চক্রটি ব্যাখ্যা করো। ২
গ. বাণিজ্য মেলায় মি. সবুজের দোকান স্থাপন কোন পরিকলগুনার অন্তর্ভুক্ত? ব্যাখ্যা করো। ৩
ঘ. মি. সবুজের পরবর্তী গৃহীত পরিকল্পনার সুবিধা সম্পর্কে তোমার মতামত দাও। ৪
৪ নং প্রশ্নের উত্তর
ক উত্তরঃ আধুনিক ব্যবস্থাপনার জনক হলেন তুরস্কের হেনরি ফেয়ল ।
খ উত্তরঃ প্রেষণা প্রক্রিয়ার ধাপগুলো (অভাব, তাড়না, অভাবপূরণ ও সন্তুষ্টি অর্জন) পর্যায়ক্রমে আবর্তিত হওয়াকে প্রেষণা চক্র বলে।
কর্মীর মধ্যে কোনো কিছুর অভাব জাগ্রত হলে তা পূরণের জন্য সে অস্থির হয়ে ওঠে। প্রেষণার মাধ্যমে কর্মীর এ অভাব পূরণ হয়, যার ফলে কর্মীর সন্তুষ্টি অর্জিত হয়। কর্মীর একটি অভাব পূরণ হলে নতুন আরেকটি অভাব সৃষ্টি হয়।
এ নতুন অভাব পূরণের জন্য আবার প্রেষণার ধাপগুলো পর্যায়ক্রমে করা হয়। এরূপ অভাববোধ এবং তা পূরণের প্রক্রিয়াটি অবিরামভাবে চলতে থাকে। এটিই হলো প্রেষণা চক্র।
গ উত্তরঃ বাণিজ্য মেলায় মি. সবুজের দোকান স্থাপন একার্থক পরিকল্পনার অন্তর্ভুক্ত।
একার্থক পরিকল্পনা কোনো একটি বিশেষ কার্যসম্পাদনের লক্ষ্যে তৈরি করা হয়। তবে প্রণীত পরিকল্পনাটি বাস্তবায়িত হলে তা পরে আর ব্যবহার করা হয় না।
উদ্দীপকের মি. সবুজ আন্তর্জাতিক বাণিজ্য মেলায় একটি ফাস্ট ফুডের দোকান দিলেন।
উন্নতমানের খাবার সরবরাহের কারণে তার দোকান যথেষ্ট সুনাম অর্জন করল। আন্তর্জাতিক বাণিজ্য মেলা একটি নির্দিষ্ট সময়ের জন্য অনুৃষ্ঠিত হয় এবং এর একটি বিশেষ প্রয়োজন রয়েছে।
নির্দিষ্ট সময় অতিক্রান্ত হওয়ার পর মেলাটি শেষ হয়ে যায়। তাই বলা যায়, বাণিজ্য মেলায় মি. সবুজের দোকান স্থাপন বৈশিষ্ট্যানুযায়ী একার্থক পরিকল্পনার সাথে সংগতিপূর্ণ।
ঘ উত্তরঃ উদ্দীপকের মি. সবুজের পরবর্তীতে গৃহীত পরিকল্পনাটি হলো স্থায়ী পরিকল্পনা।
স্থায়ী পরিকল্পনা একবার গৃহীত হওয়ার পর তা নতুন কোনো অবস্থা সৃষ্টি না হওয়া পর্যন্ত বারবার ব্যবহৃত হয়। একই ধরনের সমস্যা বা অবস্থা মোকাবেলার জন্য এ ধরনের পরিকল্পনা প্রণীত হয়।
উদ্দীপকের মি. সবুজ আন্তর্জাতিক বাণিজ্য মেলায় একটি ফাস্ট ফুডের দোকান দিলেন। উন্নতমানের খাবার সরবরাহের কারণে তিনি সুনাম ও প্রচুর মুনাফা অর্জন করলেন। তাই মি. সবুজ ভবিষ্যতে অধিকতর সুবিধা অর্জনের জন্য বাণিজ্য মেলা শেষে ব্যবসায়টি চালিয়ে যাওয়ার সিদ্ধান্ত গ্রহণ করলেন।
এক্ষেত্রে ব্যবসায়টি চালিয়ে যাওয়ার জন্য মি. সবুজকে নতুন পরিকল্পনা গ্রহণ করতে হবে না। ফলে নতুন পরিকল্পনা প্রণয়ন করার ঝামেলা ও ব্যয় হতে তিনি অব্যাহতি পাবেন। পাশাপাশি প্রতিষ্ঠানটিকে একটি নির্দিষ্ট লক্ষ্যে পৌঁছাতে সক্ষম হবেন।
তাছাড়া নতুন কোনো পরিস্থিতি সৃষ্টি না হওয়া পর্যন্ত তিনি একই পরিকল্পনা বারবার ব্যবহার করতে পারবেন। তাই বলা যায়, মি. সবুজ স্থায়ী পরিকল্পনা গ্রহণের ফলে এসব সুবিধা পাবেন।
প্রশ্নঃ ৫ জনাব তারিক হাসান তার প্রতিষ্ঠিত সিমেন্ট কোম্পানির পরিচালনার পাশাপাশি ঠিকাদারি কাজের সাথেও জড়িত। তিনি তার কোম্পানির উৎপাদন কাজের জন্য ১০ বছরের একটি পরিকল্পনা গ্রহণ করেন। অপরদিকে ঠিকাদার হিসেবে তিনি একটি সেতু নির্মাণের কাজ পাওয়ায় তা নির্মাণের জন্য প্রয়োজনীয় পরিকল্পনা প্রণয়ন করবেন।
[চ. বো. ১৭]
ক. লক্ষ্য কী? ১
খ. সহায়ক পরিকল্পনা বলতে কী বোঝায়? ২
গ. উদ্দীপকে জনাব তারিক হাসান সিমেন্ট কোম্পানির উৎপাদনের জন্য মেয়াদ ভিত্তিক কোন ধরনের পরিকল্পনা প্রণয়ন করেছেন? ব্যাখ্যা করো। ৩
ঘ. উদ্দীপকে বর্ণিত সেতু নির্মাণের জন্য প্রকৃতিভিত্তিক কোন ধরনের পরিকল্পনা প্রণয়ন অধিক যৌক্তিক হবে বলে তোমার মনে হয়? ব্যাখ্যা করো। ৪
৫ নং প্রশ্নের উত্তর
ক উত্তরঃ কোনো কাজের প্রত্যাশিত ফলাফলই হলো লক্ষ্য।
খ উত্তরঃ মূল পরিকল্পনা বাস্তবায়নের জন্য কোনো সহায়ক বা সহযোগী পরিকল্পনা নেওয়া হলে তাকে সহায়ক পরিকল্পনা বলে।
সহায়ক পরিকল্পনা মূল পরিকল্পনার সাথে সম্পৃক্ত থাকে।
যেমন: একটি পোশাক প্রস্তুতকারক প্রতিষ্ঠান বার্ষিক উৎপাদন লক্ষ্যমাত্রা অর্জনের জন্য ক্রয়, উৎপাদন, বিপণন প্রভৃতি বিভাগের জন্য পৃথক পৃথক পরিকল্পনা প্রণয়ন করে। এ পৃথক পরিকল্পনাই হলো সহায়ক পরিকল্পনা।
গ উত্তরঃ উদ্দীপকে জনাব তারিক হাসান সিমেন্ট কোম্পানির উৎপাদনের জন্য মেয়াদভিত্তিক দীর্ঘমেয়াদি পরিকল্পনা প্রণয়ন করেছেন।
প্রতিষ্ঠানের দীর্ঘমেয়াদি লক্ষ্য অর্জনের উদ্দেশ্যে শীর্ষ নির্বাহী কর্তৃক পাঁচ বছরের অধিক সময়ের জন্য এ ধরনের পরিকল্পনা প্রণয়ন করা হয়। এটি ভবিষ্যৎ ও অনিশ্চিত ঘটনার ওপর ভিত্তি করে তৈরি করা হয়।
উদ্দীপকে জনাব তারিক হাসান তার প্রতিষ্ঠিত সিমেন্ট কোম্পানির পরিচালক। তিনি কোম্পানির পরিচালনার পাশাপাশি ঠিকাদারি কাজের সাথেও জড়িত। তিনি কোম্পানির উৎপাদন কাজের জন্য ১০ বছরের একটি পরিকল্পনা গ্রহণ করেন।
তার প্রণীত পরিকল্পনাটি পাঁচ বছরের অধিক সময়ের জন্য প্রণয়ন করা হয়েছে, যা দীর্ঘমেয়াদি পরিকল্পনার সাথে সঙ্গতিপূর্ণ। তাই বলা যায়, উদ্দীপকে উৎপাদনের পরিকল্পনাটি মেয়াদ ভিত্তিতে দীর্ঘমেয়াদি পরিকল্পনা।
- উত্তর ডাউনলোড করুন> (১ম পত্র) ব্যবসায়ের মৌলিক ধারণা ১ম পত্র সৃজনশীল প্রশ্ন
- উত্তর ডাউনলোড করুন>(১ম পত্র)১ম: ব্যবসায়ের মৌলিক ধারণা প্রশ্ন উত্তরসহ PDF
- উত্তর ডাউনলোড করুন> HSC ব্যবসায়ের মৌলিক ধারণা প্রশ্নের উত্তরসহ অধ্যায়-১: PDF
- উত্তর ডাউনলোড করুন> HSC অধ্যায়-১: প্রশ্নের উত্তরসহ ব্যবসায়ের মৌলিক ধারণা PDF
- উত্তর ডাউনলোড করুন>অধ্যায়৩: SSC ফিন্যান্স ও ব্যাংকিং‘র সৃজনশীল প্রশ্নোত্তর PDF
- উত্তর ডাউনলোড করুন> অধ্যায়৩: SSC ফিন্যান্স ও ব্যাংকিং‘র জ্ঞানমূলক প্রশ্নোত্তরPDF
ঘ উত্তরঃ উদ্দীপকে সেতু নির্মাণের জন্য প্রকৃতি/বৈশিষ্ট্য বিচারে একার্থক পরিকল্পনা প্রণয়ন অধিক যৌক্তিক বলে আমার মনে হয়।
একার্থক পরিকল্পনা কোনো একটি বিশেষ কার্যসম্পাদনের লক্ষ্যে তৈরি করা হয়। তবে প্রণীত পরিকল্পনাটি বাস্তবায়িত হয়ে গেলে পুনরায় উক্ত পরিকল্পনার গ্রহণযোগ্যতা থাকে না।
উদ্দীপকে জনাব তারিক হাসান তার প্রতিষ্ঠিত সিমেন্ট কোম্পানির পরিচালক। পাশাপাশি তিনি ঠিকাদারি ব্যবসায়ের সাথে জড়িত হওয়ায় একটি সেতু নির্মাণের কাজ পান। উক্ত সেতু নির্মাণের জন্য তিনি একটি পরিকল্পনা করবেন। তবে সেতু নির্মাণ হয়ে গেলে পরিকল্পনাটির কার্যকারিতা হারাবে। অর্থাৎ, পরিকল্পনাটি একার্থক পরিকল্পনার স্বরূপ।
জনাব তারিকের পরিকল্পনাটি শুধু সেতু নির্মাণের জন্যই করা হবে। সেতু নির্মাণ শেষে এর কার্যকারিতা শেষ হয়ে যাবে। কারণ পরিকল্পনাটি শুধু বিশেষ কাজ সম্পন্ন করার জন্যই প্রণয়ন করা হবে। অন্য কোনো সেতু নির্মাণের জন্য আবার নতুন কোনো পরিকল্পনা করতে হবে। তাই বলা যায়, সেতু নির্মাণের জন্য একার্থক পরিকল্পনা প্রণয়ন অধিক যৌক্তিক হবে।
উক্ত বিষয় সম্পর্কে কিছু জানার থাকলে কমেন্ট করতে পারেন।
আমাদের সাথে ইউটিউব চ্যানেলে যুক্ত হতে এখানে ক্লিক করুন এবং আমাদের সাথে ফেইজবুক পেইজে যুক্ত হতে এখানে ক্লিক করুন। গুরুত্বপূর্ণ আপডেট ও তথ্য পেতে আমাদের ওয়েবসাইটে ভিজিট করুন।
আমাদের সাথে ইউটিউব চ্যানেলে যুক্ত হতে এখানে ক্লিক করুন এবং আমাদের সাথে ফেইজবুক পেইজে যুক্ত হতে এখানে ক্লিক করুন। গুরুত্বপূর্ণ আপডেট ও তথ্য পেতে আমাদের ওয়েবসাইটে ভিজিট করুন।