ব্যবসা ও ব্যবস্থাপনা ২য় | অধ্যায় ৫ | সৃজনশীল প্রশ্নোত্তর ৩১-৩৫ | PDF: ব্যবসা ও ব্যবস্থাপনা ২য় পত্রের পঞ্চম অধ্যায়ের গুরুত্বপূর্ণ সব কমন উপযোগী সৃজনশীল প্রশ্ন ও উত্তর গুলো আমাদের এই পোস্টে পাবেন।
প্রিয় ছাত্র ছাত্রী বন্ধুরা আল্লাহর রহমতে সবাই ভালোই আছেন । এটা জেনে আপনারা খুশি হবেন যে, আপনাদের জন্য ব্যবসা ও ব্যবস্থাপনা ২য় পত্রের পঞ্চম অধ্যায়ের গুরুত্বপূর্ণ সব কমন উপযোগী সৃজনশীল প্রশ্ন ও উত্তর গুলো নিয়ে আলোচনা করতে যাচ্ছি ।
সুতরাং সম্পূর্ণ পোস্টটি মনোযোগ সহকারে পড়ুন। আর এইচ এস সি- HSC এর যেকোন বিভাগের গুরুত্বপূর্ণ সকল সাজেশন পেতে জাগোরিকের সাথে থাকুন।
প্রশ্নঃ ৩১ মৌসুমী এপারেলস প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা নিয়োগের জন্য পত্রিকার বিজ্ঞপ্তি দেয়। প্রতিষ্ঠানটি ১৩ জন প্রার্থীর দরখাস্ত বাছাই করে ৯ জনকে নিযুক্তি পরীক্ষায় অংশ গ্রহণের জন্য মনোনীত করে। এরা সবাই একটি বুদ্ধিমত্তা পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করলেও অধিক যোগ্যতা সম্পন্ন ৫ জনকে সাক্ষাতকারের জন্য ডাকা হয়। [দিনাজপুর সরকারি কলেজ]
ক. পদোন্নতি কী? ১
খ. মানব সম্পদ বলতে কী বুঝায়? ২
গ. উদ্দীপকে কর্মী সংস্থানের কোন ধরনের মৌলিক উৎস ব্যবহার করা হয়েছে? ব্যাখ্যা করো। ৩
ঘ. তুমি কি মনে করো প্রার্থীত পদের জন্য বুদ্ধিমত্তা পরীক্ষা যথাযথ ছিল? যুক্তিসহ মতামত দাও। ৪
৩১ নং প্রশ্নের উত্তর
ক উত্তরঃ প্রতিষ্ঠানে কর্মরত কর্মীর বর্তমান পদ থেকে মর্যাদা, ক্ষমতা, দায়িত্ব এবং সুযোগ-সুবিধাদি বাড়িয়ে উচ্চতর পদে পদায়ন করাকে পদোন্নতি বলে।
খ উত্তরঃ মানব সম্পদ বলতে মানসম্মত ও দক্ষ জনসংখ্যাকে বোঝায়।
একটি প্রতিষ্ঠানের কার্যাবলি সুষ্ঠুভাবে সম্পাদন করতে হলে কর্মীদের কাজের দক্ষতা, যোগ্যতা, সক্ষমতা, প্রতিভা থাকা দরকার। কর্মীদের এই গুণাবলিগুলোকে আর্থিকভাবে মূল্যায়ন করা হলেও তা মানব সম্পদ হিসেবে বিবেচিত হয়। মানব সম্পদ ই হলো একটি প্রতিষ্ঠানের মূল চালিকাশক্তি।
গ উত্তরঃ উদ্দীপকে কর্মী সংস্থানের বাহ্যিক উৎস ব্যবহার করা হয়েছে।
প্রতিষ্ঠিানের প্রত্যক্ষ তত্ত¡াবধানে বাইরের কোনো উৎস থেকে কর্মী সংগ্রহ করা হলে সেটাই বাহ্যিক উৎস। এর মাধ্যমে অনেকের মধ্যে থেকে দক্ষ কর্মী নির্বাচন করে প্রতিষ্ঠানে নিয়োগ দেওয়া যায়।
উদ্দীপকের মৌসুমী এপারেলস তাদের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা নিয়োগের জন্য পত্রিকায় বিজ্ঞপ্তি দেয়। বিজ্ঞপ্তি অনুযায়ী অনেক আগ্রহী প্রার্থী আবেদন করে। সেখান থেকে ১৩ জন প্রার্থীর দরখাস্ত বাছাই করা হয়।
বাছাইকৃতদের মধ্যে থেকে যোগ্যতা ও দক্ষতা অনুযায়ী তাদের লিখিত, মৌখিক ও বুদ্ধিমত্তা পরীক্ষা নেওয়া হয়। সেখান থেকে অধিক যোগ্যতা সম্পন্ন কর্মী নির্বাচন করা হয়। এভাবে বিজ্ঞপ্তি দিয়ে কর্মী সংগ্রহ করা বাহ্যিক উৎসের অন্তর্ভুক্ত।
তাই বলা যায়, মৌসুমী এপারেলস তাদের কর্মী সংস্থানের জন্য বাহ্যিক উৎস ব্যবহার করেছে।
ঘ উত্তরঃ মৌসুমী এপারেলস-এর প্রার্থীত পদের জন্য বুদ্ধিমত্তা পরীক্ষা যথাযথ ছিল বলে আমি মনে করি।
বুদ্ধিমত্তা পরীক্ষার দ্বারা প্রার্থীর চিন্তার গভীরতা, দূরদর্শিতা, পরিস্থিতি মোকাবিলা করার ক্ষমতা, উপস্থিত বুদ্ধির মাত্রা ইত্যাদি যাচাই করা হয়। ঊর্ধ্বতন পদে লোক নিয়োগের জন্য এরূপ পরীক্ষা নেওয়া হয়। উদ্দীপকের মৌসুমী এপারেলস প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা নিয়োগের জন্য পত্রিকায় বিজ্ঞপ্তি দেয়।
প্রার্থীরা আবেদন করলে সেখান থেকে ১৩ জনের দরখাস্ত বাছাই করা হয়। এদের মধ্য থেকে ৯ জনের নিযুক্তি ও বুদ্ধিমত্তার পরীক্ষা নেওয়া হয়। পরবর্তীতে অধিক যোগ্যতা সম্পন্ন ৫ জনকে ডাকা হয় সাক্ষাতকারের জন্য।
প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তার পদটি অনেক গুরুত্বপূর্ণ। এ পদের কর্মকর্তাদের বিভিন্ন সময় বিভিন্ন সমস্যার সম্মুখীন হতে হয়। তাই তাদের সঠিক সিদ্ধান্ত গ্রহণের যোগ্যতা থাকতে হয়। বুদ্ধিমত্তা পরীক্ষার মাধ্যমে প্রার্থীর এই যোগ্যতা পরীক্ষা করা সম্ভব হয়।
সুতরাং, প্রার্থীত পদের জন্য বুদ্ধিমত্তা পরীক্ষা নেওয়া যথাযথ ছিল।
প্রশ্নঃ ৩২ চৌধুরী হাউজিং লি.-এর কার্যক্রমের বিস্তৃতি ঘটায় ব্যবস্থাপনা পরিচালকের পক্ষে এককভাবে সব কাজ সম্পাদন সম্ভব হচ্ছে না। নির্মাণ সংক্রান্ত কাজে সহযোগিতা ও পরামর্শ দেয়ার জন্য তিনি একজন স্থাপত্য প্রকৌশলী নিয়োগ দেন। এতে তার কার্যভার কিছুটা কমে যায়। প্রতিষ্ঠানে ৩ জন সহকর্মী বিপণন ব্যবস্থাপক আছে যাদের সম্পাদিত কাজ নিæরূপ:
সহকারী ব্যবস্থাপকের নাম ফ্ল্যাট বিক্রয়ের পরিমাণ (একক)
২০১৫২০১৬২০১৭
তামিম চৌধুরী ৫০ ৫৫ ৫৭
সামাদ চৌধুরী ৭০ ৮০ ৯০
আরিফ চৌধুরী ৪৯ ৫৭ ৬০
২০১৭ সালে বিক্রয় ব্যবস্থাপকের পদ শূন্য হলে ব্যবস্থাপনা পরিচালক তার ভাগ্নে জনাব আব্দুর রহিমকে নিয়োগ দেন। এতে ক্ষুব্ধ হয়ে সহকারী বিক্রয় ব্যবস্থাপক সামাদ চৌধুরী চাকরি ছেড়ে দেন।
[কুমিল্লা কমার্স কলেজ]
ক. ব্যবস্থাপনার কাম্য পরিসর কী? ১
খ. কার্যকর যোগাযোগ ফলাবর্তন কেন প্রয়োজন? ২
গ. উদ্দীপকের প্রতিষ্ঠানে বিদ্যমান সাংগঠনিক কাঠামোর ধরন ব্যাখ্যা করো। ৩
ঘ. ‘যোগ্যতা নয় বরং স্বজনপ্রীতির কারণেই সামাদ চৌধুরী চাকরি ছেড়েছেন’-তুমি কি একমত? যুক্তিসহ মতামত দাও। ৪
৩২ নং প্রশ্নের উত্তর
ক উত্তরঃ একজন ঊর্ধ্বতন যতজন অধস্তনের কাজ তত্ত¡াবধান করতে পারেন তার যৌক্তিক পরিমাণই ব্যবস্থাপনার কাম্য পরিসর।
খ উত্তরঃ ফলাবর্তন বলতে প্রেরকের সংবাদের বিপরীতে প্রাপকের প্রদত্ত উত্তর বা মনোভাব প্রকাশকে বোঝায়।
ফলাবর্তন যোগাযোগ প্রক্রিয়ার চ‚ড়ান্ত পর্যায়। ফলাবর্তনের মাধ্যমে প্রেরক প্রাপকের মনোভাব বুঝতে পারে। আর প্রাপক যদি সংবাদের প্রত্যুত্তর এবং স্বীয় মনোভাব প্রেরকের কাছে প্রকাশ করে তাহলে প্রেরক ও প্রাপকের মধ্যে সুসম্পর্ক বজায় থাকে।
তাছাড়া যোগাযোগ প্রক্রিয়াকে গতিশীল রাখতে এবং সুষ্ঠুভাবে এ প্রক্রিয়া সম্পন্ন করার জন্য ফলাবর্তন আবশ্যক।
গ উত্তরঃ উদ্দীপকের প্রতিষ্ঠানে বিদ্যমান সাংগঠনিক কাঠামোর ধরন হলো সরলরৈখিক ও উপদেষ্টা সাংগঠনিক কাঠামো।
সরলরৈখিক ও উপদেষ্টা সংগঠন কাঠামোতে দুই ধরনের কর্মকর্তা থাকে। সরলরৈখিক নির্বাহী কর্মকর্তা ও উপদেষ্টা বা সহযোগী কর্মকর্তা। নির্বাহী সরাসরি কর্মীদের আদেশ দিয়ে থাকেন। অপরদিকে উপদেষ্টা কর্মকর্তা পরামর্শ দিয়ে নির্বাহীকে সহায়তা করেন।
চৌধুরী হাউজিং লি.-এর কাজের বিস্তৃতি ঘটায় ব্যবস্থাপনা পরিচালকের ওপর কাজের চাপ বেড়ে যায়। তাই নির্মাণ সংক্রান্ত কাজে সহযোগিতা ও পরামর্শ দেয়ার জন্য তিনি একজন স্থাপত্য প্রকৌশলী নিয়োগ দেন।
নিয়োগকৃত প্রকৌশলী শুধু নির্বাহীকে পরামর্শ দিয়ে সহযোগিতা করবেন। উদ্দীপকের প্রতিষ্ঠানের সংগঠন কাঠামোর সাথে সরলরৈখিক ও উপদেষ্টা সংগঠন কাঠামো পুরোপুরি মিলে যায়। সুতরাং, এক্ষেত্রে সরলরৈখিক ও উপদেষ্টা সংগঠন কাঠামো ব্যবহার করা হয়েছে।
ঘ উত্তরঃ পদোন্নতির ক্ষেত্রে যোগ্যতা বিবেচনা না করে স্বজনপ্রীতিকে গুরুত্ব দেয়ার কারণেই সামাদ চৌধুরী চাকরি ছেড়েছেন বলে আমি মনে করি।
পদোন্নতির তিনটি ভিত্তি রয়েছে। জ্যেষ্ঠতাভিত্তিক, যোগ্যতাভিত্তিক এবং জ্যেষ্ঠতা ও যোগ্যতাভিত্তিক। প্রথমটিতে কর্মীর চাকরির বয়সকে প্রাধান্য দেয়া হয়ে। দ্বিতীয়টির ক্ষেত্রে দক্ষতা ও যোগ্যতাকে গুরুত্ব দেয়া হয়। সর্বশেষটিতে চাকরির বয়স ও যোগ্যতা দুটি বিষয়কেই মূল্যায়ন করা হয়।
উদ্দীপকের চৌধুরী হাউজিং লি.-এ তিনজন সহকারী বিপণন ব্যবস্থাপক আছেন। তাদের মধ্যে সামাদ চৌধুরী সর্বাধিক যোগ্যতাসম্পন্ন। তবে বিক্রয় ব্যবস্থাপকের পদ শূন্য হলে ব্যবস্থাপনা পরিচালক উক্ত পদে তার ভাগ্নেকে নিয়োগ দেন। এতে ক্ষুব্ধ হয়ে সামাদ চৌধুরী চাকরি ছেড়ে দেন।
প্রতিষ্ঠানের কর্মীরা তাদের কাজের ভিত্তিতে প্রাতিষ্ঠানিক অগ্রগতি চান। উদ্দীপকের ব্যবস্থাপনা পরিচালক কর্মী নিয়োগের ক্ষেত্রে প্রতিষ্ঠানের কর্মীদের যোগ্যতা বিবেচনা করেননি। বরং তিনি স্বজনপ্রীতি করে নিজের ভাগ্নেকে বিক্রয় ব্যবস্থাপক হিসেবে নিয়োগ দেন।
এক্ষেত্রে সামাদ চৌধুরী তার যোগ্যতা অনুযায়ী পদোন্নতি পাননি। ছাড়াও পদোন্নতির ক্ষেত্রে প্রতিষ্ঠানের কাউকেই বিবেচনা করা হয়নি। শুধু স্বজনপ্রীতিকে গুরুত্ব দেয়া হয়েছে। তাই বলা যায় যে, যোগ্যতা নয় বরং স্বজনপ্রীতির কারণেই সামাদ চৌধুরী চাকরি ছেড়েছেন।
প্রশ্নঃ ৩৩ শফিক লিমিটেড বিগত কয়েক বছর ধরে ব্যবসায় পরিচালনা করছে। দক্ষ কর্মীর অভাবে প্রতিষ্ঠানটিতে নতুন সৃষ্ট পদে বিজ্ঞাপনের মাধ্যমে ৫০ জন কর্মীকে নির্বাচিত করা হয়। তাদের প্রতিষ্ঠানের অভ্যন্তরে তিন মাসের প্রশিক্ষণ সম্পন্ন করার পর স্থায়ীভাবে নিয়োগ দেওয়া হয়। বর্তমানে প্রতিষ্ঠানটি ক্রমান্বয়ে সফলতার পথে এগিয়ে চলেছে। [কুমিল্লা কমার্স কলেজ]
ক. বুদ্ধিমত্তা পরীক্ষা কী? ১
খ. ‘মানব সম্পদ ব্যবস্থাপনা প্রতিষ্ঠানের মূল চালিকাশক্তি’ ব্যাখ্যা করো। ২
গ. উদ্দীপকে বর্ণিত প্রতিষ্ঠানটিতে প্রশিক্ষণের কোন পদ্ধতি প্রয়োগ করা হয়েছে? বর্ণনা করো। ৩
ঘ. ‘প্রশিক্ষণই উক্ত প্রতিষ্ঠানের সাফল্যের মূল কারণ’এ বক্তব্যের সাথে তুমি কি একমত? যুক্তিসহ মতামত দাও। ৪
৩৩ নং প্রশ্নের উত্তর
ক উত্তরঃ চাকরি প্রার্থীর চিন্তার গভীরতা, দূরদর্শিতা, উপস্থিত বুদ্ধির মাত্রা প্রভৃতি যাচাই করাকে বুদ্ধিমত্তা পরীক্ষা বলে।
খ উত্তরঃ প্রতিষ্ঠানে দক্ষ কর্মী গঠন ও দীর্ঘদিন রাখার লক্ষ্যে কর্মী নিয়োগ, প্রশিক্ষণ, উন্নয়ন মূল্যায়ন প্রভৃতি কার্যের মাধ্যমে তাদের জ্ঞান, দক্ষতা ও যোগ্যতা ব্যবহার করার প্রক্রিয়াকে মানব সম্পদ ব্যবস্থাপনা বলে।
মানব সম্পদ ব্যবস্থাপনার মূল উদ্দেশ্য হলো প্রতিষ্ঠানে কর্মরত কর্মীদের যোগ্যতাকে যথাযথ ব্যবহারের মাধ্যমে প্রতিষ্ঠানের লক্ষ্য অর্জন করা। যে প্রতিষ্ঠানে দক্ষ উপায়ে মানবসম্পদ ব্যবস্থাপনা করা যায় সেই প্রতিষ্ঠান ততো সহজে লক্ষ্যার্জন করতে পারে।
তাই সঠিকভাবে মানবসম্পদ ব্যবস্থাপনাকে প্রতিষ্ঠানের মূল চালিকা শক্তি হিসেবে বিবেচনা করা হয়।
গ উত্তরঃ উদ্দীপকে বর্ণিত প্রতিষ্ঠানটিতে প্রশিক্ষণের শিক্ষানবিশ পদ্ধতি প্রয়োগ করা হয়েছে।
শিক্ষানবিশ প্রশিক্ষণের ক্ষেত্রে কর্মীকে নির্দিষ্ট কাজে চ‚ড়ান্তভাবে নিয়োগের পূর্বে কারো অধীনে রেখে নির্দিষ্ট সময় পর্যন্ত হাতে কলমে শিক্ষা দেওয়া হয়। পূর্ণাঙ্গ শিক্ষণের পর ঐ কর্মীকে স্থায়ীভাবে নিয়োগ দেওয়া হয়।
অঝঈ লিমিটেড প্রতিষ্ঠানটিতে দক্ষ কর্মীর অভাবে প্রতিষ্ঠানটিতে শূন্যপদ সৃষ্টি হয়। প্রতিষ্ঠানটি নতুন সৃষ্ট পদে বিজ্ঞাপনের মাধ্যমে ৫০ জন কর্মীকে নির্বাচন করে। নির্বাচিত কর্মীদের জন্য প্রতিষ্ঠানের অভ্যন্তরে তিন মাসের প্রশিক্ষণের ব্যবস্থা করে।
সকল প্রশিক্ষণ শেষে তাদের স্থায়ীভাবে নিয়োগ দেয়া হয়। অঝঈ লিমিটেডের গৃহীত প্রশিক্ষণ ব্যবস্থাটিই হলো শিক্ষানবিশ পদ্ধতি।
ঘ উত্তরঃ ‘প্রশিক্ষণ ব্যবস্থাই অঝঈ প্রতিষ্ঠানের সাফল্যের মূল কারণ’ কথাটির সাথে আমি একমত।
প্রশিক্ষণ হলো নির্দিষ্ট কাজে কর্মীর জ্ঞান ও দক্ষতা বাড়ানোর কৌশল। প্রশিক্ষণ কর্মীদের মনোবল বৃদ্ধি করে, যা তাদের কাজের প্রতি আগ্রহী করে তোলে।
অঝঈ লিমিটেড প্রতিষ্ঠানটি নতুন কর্মী নিয়োগ করার পর তাদের ৩ মাসের প্রশিক্ষণ প্রদান করে। প্রশিক্ষণের মাধ্যমে প্রতিষ্ঠানটি কর্মীদের কাজ সম্পর্কিত বিভিন্ন বিষয়ে তাত্তি¡ক ও হাতে কলমে শিক্ষা দেয়।
অঝঈ লিমিটেডের কর্মীরা প্রশিক্ষণের মাধ্যমে প্রতিষ্ঠান সম্পর্কে এবং কার্যপদ্ধতি সম্পর্কে ধারণা লাভ করে। তারা কার্য প্রক্রিয়া সম্পর্কে ধারণ লাভ করায় প্রতিষ্ঠানটির সম্পদের সুষ্ঠু ব্যবহার করতে পারে। কীভাবে কম ব্যয়ে কাজ করা যায় তা কর্মীরা প্রশিক্ষণের মাধ্যমে জানতে পারে।
তাছাড়া প্রশিক্ষণের ফলে কর্মীরা কাজের সাথে জড়িত সম্ভাব্য ঝুঁকি ও যন্ত্রপাতির যথাযথ ব্যবহার সম্পর্কে অবগত হতে পারে। ফলে দুর্ঘটনা ও ক্ষয়ক্ষতির মাত্রা হ্রাস পায়, যা প্রতিষ্ঠানটিকে ক্রমান্বয়ে সফলতার দিকে এগিয়ে নিয়ে যায়।
প্রশ্নঃ ৩৪ [চাঁদপুর সরকারি মহিলা কলেজ]
ক. প্রশিক্ষণ কী? ১
খ. যোগ্যতার ভিত্তিতে পদোন্নতি উত্তম কেন? ব্যাখ্যা করো। ২
গ. ‘চিত্রে’ (?) চিহ্নিত স্থানটি কোন বিষয়কে নির্দেশ করে? ব্যাখ্যা করো। ৩
ঘ. উক্ত বিষয়টি সম্পন্ন হলেই প্রতিষ্ঠানের কার্যসমূহ সুষ্ঠুভাবে বাস্তবায়িত হয় – যৌক্তিকতা বিচার করো। ৪
৩৪ নং প্রশ্নের উত্তর
ক উত্তরঃ সুষ্ঠুভাবে কাজ করার জন্য যে উপায়ে কর্মীদের জ্ঞান ও দক্ষতা বৃদ্ধি করা হয় তাকে প্রশিক্ষণ বলে।
খ উত্তরঃ কর্মীদের কর্মদক্ষতা, মেধা, যোগ্যতা ও অভিজ্ঞতা মূল্যায়নের মাধ্যমে পদোন্নতি দেয়া হলে তাকে যোগ্যতার ভিত্তিতে পদোন্নতি বলে।
এরূপ পদোন্নতির ক্ষেত্রে যোগ্যতাসম্পন্ন ব্যক্তিরা উৎসাহিত হয়। এতে তারা প্রতিষ্ঠান ত্যাগ করতে চায় না। আবার, কম যোগ্যতা সম্পন্ন ব্যক্তিরাও যোগ্যতা বাড়ানোর চেষ্টা করে। ফলে প্রতিষ্ঠানের সর্বত্র দক্ষতা বিরাজ করে। তাই যোগ্যতাভিত্তিক পদোন্নতি উত্তম।
গ উত্তরঃ উদ্দীপকের চিত্রে (?) চিহ্নিত স্থানটি কর্মীসংগ্রহ প্রক্রিয়ার পদক্ষেপকে নির্দেশ করে।
কর্মী সংগ্রহ প্রক্রিয়ায় যোগ্য কর্মী নির্বাচনের জন্য সম্ভাব্য প্রার্থীদের আবেদন করতে উৎসাহিত করা হয়। বিভাগীয় রিকুইজিশন সংগ্রহ, উৎস নির্ধারণ ও বিজ্ঞপ্তি প্রদান প্রভৃতি এ পদক্ষেপের অন্তর্গত।
কর্মী সংগ্রহ প্রক্রিয়ায় প্রথমেই কোন পদে, কী যোগ্যতাসম্পন্ন, কতজন কর্মী প্রয়োজন এসব তথ্য সংগ্রহ করা হয়। এরপর পদের ধরন অনুযায়ী কোন উৎস থেকে কর্মী সংগ্রহ করা হবে তা নির্ধারণ করা হয়।
সব শেষে প্রতিষ্ঠানের অভ্যন্তরে নোটিশ বোর্ডে, পত্রিকায় বা অন্য যেকোনো মাধ্যমে আবেদনের বিজ্ঞপ্তি দেয়া হয়। এভাবেই কর্মীসংগ্রহ প্রক্রিয়া সম্পন্ন করা হয়। সুতরাং চিত্রে (?) চিহ্নিত স্থানটিই কর্মী সংগ্রহ প্রক্রিয়ার পদক্ষেপকে নির্দেশ করে এ কথা নিঃসন্দেহে বলা যায়।
ঘ উত্তরঃ কর্মী সংগ্রহের প্রক্রিয়াটি সম্পন্ন হলেই প্রতিষ্ঠানের কার্যসমূহ সুষ্ঠুভাবে বাস্তবায়িত হয় উক্তিটি যথার্থ।
প্রতিষ্ঠানের শূন্য পদ পূরণের জন্য কর্মী সংগ্রহ করা হয়। বিভাগীয় রিকুইজিশন সংগ্রহের মাধ্যমে এর কাজ শুরু হয়। আর বিজ্ঞপ্তি দেয়ার পর প্রক্রিয়া সম্পন্ন হয়।
উদ্দীপকে কর্মী সংগ্রহের প্রক্রিয়ার বিষয়টি প্রতিফলিত হয়েছে। এর মাধ্যমে যোগ্য কর্মীকে উপযুক্ত কাজে পদায়ন করা যায়।
এতে দক্ষ কর্মী দ্বারা প্রতিষ্ঠানের কাজ নির্ভুলভাবে করানো সম্ভব হয়। যোগ্য কর্মী নিয়োগ করা গেলে প্রতিষ্ঠান তার নির্দিষ্ট কাজ নির্ধারিত সময়ের মধ্যেই শেষ করতে পারে। তাছাড়া প্রতিষ্ঠানের কাজও নিরবচ্ছিন্নভাবে চলতে থাকে। এতে প্রতিষ্ঠানের সাফল্য অর্জনের সম্ভাবনা বেড়ে যায়।
তাই বলা যায়, কর্মী সংগ্রহ প্রক্রিয়ার সুষ্ঠু বাস্তবায়ন হলেই প্রতিষ্ঠানের কাজও সঠিকভাবে সম্পন্ন করা যায়।
প্রশ্নঃ ৩৫ নিগার একটি বাণিজ্যিক ব্যাংকের প্রবেশনারি অফিসার হিসেবে চাকরিতে যোগদান করেছে। প্রশিক্ষণের অংশ হিসেবে তাকে ক্যাশ শাখা, ঋণ শাখা, রিটেল ব্যাংকিং ইত্যাদি শাখায় কাজ করতে হয়েছে। ছয় মাসের প্রশিক্ষণ শেষে তাকে চাকরিতে বেতন স্কেল প্রদান করা হয়। [সরকারি সিটি কলেজ, চট্টগ্রাম]
ক. কর্মী সংগ্রহ কী? ১
খ. পদোন্নতি বলতে কী বোঝায়? ২
গ. উদ্দীপকে প্রশিক্ষণের কোন পদ্ধতি অনুসরণ করা হয়েছে? ব্যাখ্যা করো। ৩
ঘ. উদ্দীপকে বর্ণিত প্রশিক্ষণ কার্যক্রমটি ফলপ্রসূ কিনা? তোমার মতামত দাও। ৪
৩৫ নং প্রশ্নের উত্তর
ক উত্তরঃ সম্ভাব্য কর্মীদের প্রতিষ্ঠানে চাকরির আবেদন করতে ও নির্বাচন প্রক্রিয়ায় অংশগ্রহণে উৎসাহিত করার প্রক্রিয়াকে কর্মী সংগ্রহ বলে।
খ উত্তরঃ প্রতিষ্ঠানে কর্মরত কর্মীর বর্তমান পদ থেকে মর্যাদা, ক্ষমতা, দায়িত্ব এবং বেতন ও সুযোগ-সুবিধা বাড়িয়ে উচ্চতর পদে পদায়ন করাকে পদোন্নতি বলে।
পদোন্নতির ফলে কর্মীর দায়িত্ব, কর্তব্য ও ক্ষমতা বেড়ে যায়।
সাথে সাথে তার বেতনের পরিমাণ ও সুযোগ-সুবিধা পরিবর্তন হয় এবং প্রতিষ্ঠানের ভেতরে ও বাইরে মর্যাদা বাড়ে।
গ উত্তরঃ উদ্দীপকে প্রশিক্ষণের জন্য পদ পরিবর্তন পদ্ধতি অনুসরণ করা হয়েছে।
পর্যায়ক্রমে সমপর্যায়ের বিভিন্ন পদে বা অফিসে কাজ করার মাধ্যমে কর্মীরা এ প্রশিক্ষণ পেয়ে থাকে। এতে কর্মী বা নির্বাহীকে এক পদ থেকে অন্য পদে বা এক স্থান থেকে অন্য স্থানে স্থানান্তর করা হয়। এভাবে বিভিন্ন কাজে ও পরিস্থিতিতে কাজ করতে তাদের পারদর্শী করে তোলা যায়।
উদ্দীপকের নিগার একটি বাণিজ্যিক ব্যাংকের প্রবেশনারি অফিসার হিসেবে চাকরিতে যোগদান করেন। প্রশিক্ষণের অংশ হিসেবে তাকে ক্যাশ শাখা, ঋণ শাখা, রিটেইল ব্যাংকিং ইত্যাদি শাখায় কাজ করতে হয়েছে। এভাবে তাকে ছয় মাস কাজ করতে হয়েছে।
তিনি বিভিন্ন বিভাগে কাজ করে সব কাজ সম্পর্কে বাস্তব ধারণা লাভ করছেন। এসব বৈশিষ্ট্য পদ পরিবর্তন পদ্ধতির সাথে সামঞ্জস্যপূর্ণ। তাই তার ব্যাপারে গৃহীত প্রশিক্ষণ পদ্ধতিকে পদ পরিবর্তন পদ্ধতি বলা যায়।
- উত্তর ডাউনলোড করুন> (১ম পত্র) ব্যবসায়ের মৌলিক ধারণা ১ম পত্র সৃজনশীল প্রশ্ন
- উত্তর ডাউনলোড করুন>(১ম পত্র)১ম: ব্যবসায়ের মৌলিক ধারণা প্রশ্ন উত্তরসহ PDF
- উত্তর ডাউনলোড করুন> HSC ব্যবসায়ের মৌলিক ধারণা প্রশ্নের উত্তরসহ অধ্যায়-১: PDF
- উত্তর ডাউনলোড করুন> HSC অধ্যায়-১: প্রশ্নের উত্তরসহ ব্যবসায়ের মৌলিক ধারণা PDF
- উত্তর ডাউনলোড করুন>অধ্যায়৩: SSC ফিন্যান্স ও ব্যাংকিং‘র সৃজনশীল প্রশ্নোত্তর PDF
- উত্তর ডাউনলোড করুন> অধ্যায়৩: SSC ফিন্যান্স ও ব্যাংকিং‘র জ্ঞানমূলক প্রশ্নোত্তরPDF
ঘ উত্তরঃ উদ্দীপকে বর্ণিত প্রশিক্ষণ কার্যক্রমটি যথেষ্ট ফলপ্রসূ।
এ পদ্ধতিতে প্রশিক্ষণ পেয়ে কর্মীরা বাস্তব অভিজ্ঞতা অর্জন করতে পারে। প্রাপ্ত অভিজ্ঞতা তারা কর্ম ক্ষেত্রে প্রয়োগ করতে পারে। তাই এটি অধিক ফলপ্রসূ হয়।
নিগার একটি ব্যাংকে প্রবেশনারি অফিসার হিসেবে যোগদান করেন।
তাকে প্রশিক্ষণের অংশ হিসেবে ক্যাশ শাখা, ঋণ শাখা, রিটেল শাখা ইত্যাদি ক্ষেত্রে কাজ করানো হয়। একই পদে এভাবে বিভিন্ন ক্ষেত্রে কাজ করে বাস্তব প্রশিক্ষণ গ্রহণ করাকে প্রশিক্ষণের পদ পরিবর্তন পদ্ধতি বলা হয়।
এরূপ পদ্ধতির সবচেয়ে ইতিবাচক দিক হলো কর্মীরা প্রতিষ্ঠানের সব কাজ সম্পর্কে পর্যায়ক্রমে ধারণা অর্জন করতে পারে। এতে তারা যেকোনো পরিবর্তিত পরিস্থিতি ও প্রতিক‚লতা মোকাবেলা করতে সক্ষম হয়। এরূপ প্রশিক্ষণের জন্য কর্মীদের কাজ থেকে পৃথক করতে হয় না।
এজন্য কর্র্মীদের কর্মঘন্টায় বিঘœ ঘটে না বা শ্রম ঘণ্টা বিনষ্ট হয় না। আর কর্মী যদি সব কাজে সক্ষম হয় তবেই তাকে স্থায়ী নিয়োগ দেয়া হয়। তাই বলা যায়, উদ্দীপকে কর্মীদের প্রশিক্ষণ দেয়ার জন্য যে পদ পরিবর্তন কৌশল গ্রহণ করা হয়েছে , তা যথেষ্টই যৌক্তিক।
উক্ত বিষয় সম্পর্কে কিছু জানার থাকলে কমেন্ট করতে পারেন।
আমাদের সাথে ইউটিউব চ্যানেলে যুক্ত হতে এখানে ক্লিক করুন এবং আমাদের সাথে ফেইজবুক পেইজে যুক্ত হতে এখানে ক্লিক করুন। গুরুত্বপূর্ণ আপডেট ও তথ্য পেতে আমাদের ওয়েবসাইটে ভিজিট করুন।
আমাদের সাথে ইউটিউব চ্যানেলে যুক্ত হতে এখানে ক্লিক করুন এবং আমাদের সাথে ফেইজবুক পেইজে যুক্ত হতে এখানে ক্লিক করুন। গুরুত্বপূর্ণ আপডেট ও তথ্য পেতে আমাদের ওয়েবসাইটে ভিজিট করুন।