ব্যবসা ও ব্যবস্থাপনা ২য় | অধ্যায় ৪ | সৃজনশীল প্রশ্নোত্তর ১৬-২০ | PDF: ব্যবসা ও ব্যবস্থাপনা ২য় পত্রের চতুর্থ অধ্যায়ের গুরুত্বপূর্ণ সব কমন উপযোগী সৃজনশীল প্রশ্ন ও উত্তর গুলো আমাদের এই পোস্টে পাবেন।
প্রিয় ছাত্র ছাত্রী বন্ধুরা আল্লাহর রহমতে সবাই ভালোই আছেন । এটা জেনে আপনারা খুশি হবেন যে, আপনাদের জন্য ব্যবসা ও ব্যবস্থাপনা ২য় পত্রের চতুর্থ অধ্যায়ের গুরুত্বপূর্ণ সব কমন উপযোগী সৃজনশীল প্রশ্ন ও উত্তর গুলো নিয়ে আলোচনা করতে যাচ্ছি ।
সুতরাং সম্পূর্ণ পোস্টটি মনোযোগ সহকারে পড়ুন। আর এইচ এস সি- HSC এর যেকোন বিভাগের গুরুত্বপূর্ণ সকল সাজেশন পেতে জাগোরিকের সাথে থাকুন।
প্রশ্নঃ ১৬ বিসমিলাহ এন্টারপ্রাইজের কর্ণধার জনাব ওয়াসিফ। তিনি প্রতিষ্ঠানে কার্যাদি সুষ্ঠুভাবে সম্পাদনের জন্য ব্যবস্থাপনার কার্যাবলিকে কাজের প্রকৃতি অনুযায়ী বিভিন্ন ভাগে ভাগ করেন। অতঃপর এদের এক একটি কাজের জন্য এককেজন বিশেষজ্ঞ নির্ধারণ করে তার সংগঠন কাঠামো নির্ধারণ করেন। একজন নির্বাহীর সরাসরি তত্ত¡াবধানে কী পরিমাণ অধস্তন ন্যস্ত করলে প্রতিষ্ঠানের ব্যবস্থাপনা কাজ সফল হবে তার সঠিক বাস্তবায়ন করেন বলে তিনি সফল ব্যবস্থাপক।
[রাজউক উত্তরা মডেল কলেজ, ঢাকা]
ক. পিতৃসুলভ নির্দেশনা কী? ১
খ. আনুষ্ঠানিক ও অনানুষ্ঠানিক নেতৃত্বের পার্থক্য লেখো। ২
গ. উদ্দীপকে কোন ধরনের সংগঠনের কথা বলা হয়েছে? ব্যাখ্যা করো। ৩
ঘ. জনাব ওয়াসিফের সফল হওয়ার পেছনে সংগঠনের কোন নীতিমালা ব্যবহৃত হচ্ছে বলে তুমি মনে করো? বিশ্লেষণ করো। ৪
১৬ নং প্রশ্নের উত্তর
ক উত্তরঃ যে নির্দেশনায় ব্যবস্থাপক পিতার ন্যায় অধস্তনদের সাথে সদয় ব্যবহার ও শ্রদ্ধাবোধ জাগ্রত করে কাজ আদায় করে নেন তাকে পিতৃসুলভ নির্দেশনা বলে।
খ উত্তরঃ আনুষ্ঠানিক ও অনানুষ্ঠানিক নেতৃত্বের পার্থক্য তুলে ধরা হলো
আনুষ্ঠানিক নেতৃত্ব অনানুষ্ঠানিক নেতৃত্ব
১. প্রাতিষ্ঠানিক নিয়ম-নীতি অনুসারে অধস্তনদের পরিচালনা করা হলে তাকে আনুষ্ঠানিক নেতৃত্ব বলে। ১. প্রাতিষ্ঠানিক নিয়ম-নীতির বাইরে গড়ে ওঠা সম্পর্কের মাধ্যমে সৃষ্ট নেতৃত্বকে বলা হয় অনানুষ্ঠানিক নেতৃত্ব।
২. আনুষ্ঠানিক নেতৃত্ব তৈরি হয় সংগঠন কাঠামো থেকে। ২. অনানুষ্ঠানিক নেতৃত্ব সৃষ্টি হয় পারস্পরিক সম্পর্ক থেকে।
৩. উদাহরণ: কোম্পানির চেয়ারম্যান, কলেজের অধ্যক্ষ প্রভৃতি। ৩. উদাহরণ: নির্দিষ্ট গোষ্ঠীর নেতা।
গ উত্তরঃ উদ্দীপকে কার্যভিত্তিক সংগঠনের কথা বলা হয়েছে।
এ সংগঠন কাঠামোতে সব কাজকে প্রকৃতি অনুযায়ী বিভিন্ন ভাগে বিভক্ত করা হয়। পরবর্তীতে বিশেষজ্ঞ কর্মীকে বিভাগের নির্বাহী হিসেবে নিয়োগ দেওয়া হয়।
উদ্দীপকের জনাব ওয়াসিফ তার প্রতিষ্ঠানের কাজ সুষ্ঠুভাবে সম্পাদনের জন্য কাজকে প্রকৃতি অনুযায়ী ভাগ করেন। তিনি একেকটি কাজের জন্য একেকজন বিশেষজ্ঞ নিয়োগ করে তার সংগঠন কাঠামো তৈরি করেন।
জনাব ওয়াসিফ এর সংগঠন কাঠামোটি কার্যভিত্তিক সংগঠন কাঠামোর সাথে পুরোপুরি মিলে যায়। তাই বলা যায়, জনাব ওয়াসিফ তার প্রতিষ্ঠানে কার্যভিত্তিক সংগঠন কাঠামো গড়ে তুলেছেন।
ঘ উত্তরঃ জনাব ওয়াসিফের সফল হওয়ার পেছনে সংগঠনের ‘কাম্য পরিসর নীতি’ ব্যবহৃত হয়েছে বলে আমি মনে করি।
একজন ব্যবস্থাপক সরাসরি কতজন অধস্তনের কাজ তত্ত¡াবধান করবে তা কাম্য পরিসর নীতিতে বিবেচনা করা হয়। এক্ষেত্রে কাজ ও কর্মীর বৈশিষ্ট্য বিবেচনা করে একজন ব্যবস্থাপকের অধীনে কর্মীর সংখ্যা এমন হওয়া উচিত যাতে ব্যবস্থাপক সঠিকভাবে তত্ত¡াবধান করতে পারেন।
উদ্দীপকে জনাব ওয়াসিফ তার প্রতিষ্ঠানের জন্য কার্যভিত্তিক সংগঠন কাঠামো তৈরি করেন। এক্ষেত্রে একজন নির্বাহী সরাসরি কতজন অধস্তনের তত্ত¡াবধান করবেন তার সঠিক বিবেচনা করেন। ফলে তিনি একজন সফল ব্যবস্থাপক।
উদ্দীপকে জনাব ওয়াসিফ সংগঠন কাঠামো তৈরির পর তত্ত¡াবধান পরিসর নীতি বিবেচনা করেন। একজন নির্বাহীর অধীনে অতিরিক্ত অধীনস্থ থাকলে তিনি সঠিকভাবে তত্ত¡াবধান করতে পারেন না। অপরদিকে যতজন কর্মীর তত্ত¡াবধান করা সম্ভব তার কম থাকাও ঠিক না।
সঠিক সংখ্যক অধীনস্থ কর্মী থাকলে তাদের যথাযথ তত্ত¡াবধানের মাধ্যমে প্রতিষ্ঠানের উদ্দেশ্য অর্জন সম্ভব হয়। তাই বলা যায়, কাম্য পরিসর নীতি অনুসরণের ফলেই জনাব ওয়াসিফ সফল হয়েছেন।
প্রশ্নঃ ১৭ জনাব শিহাব একটি শিল্প প্রতিষ্ঠানের জিএম হিসেবে কর্মরত রয়েছেন। তাঁর প্রতিষ্ঠানের সকল ব্যক্তি, বিভাগ ও উপবিভাগগুলো সম্পর্কযুক্ত হয়ে কাজ করে। কিন্তু বিক্রয় বিভাগের ব্যবস্থাপক অতিরিক্ত কাজের চাপে থাকার কারণে প্রতিষ্ঠানের মালিক উক্ত বিষয়ে দক্ষ একজন কর্মী নিয়োগ দেন। এর ফলে বিক্রয় বিভাগের ব্যবস্থাপকগণ যেকোনো সমস্যা দ্রুত সমাধান করতে পারেন। [ভিকারুননিসা নূন স্কুল এন্ড কলেজ, ঢাকা]
ক. আনুষ্ঠানিক নেতৃত্ব কী? ১
খ. কমিটি সংগঠন বলতে কী বোঝায়? ২
গ. উদ্দীপকের জনাব শিহাবের প্রতিষ্ঠানে সংগঠনের কোন নীতির প্রতিফলন ঘটেছে? ব্যাখ্যা করো। ৩
ঘ. জনাব শিহাবের প্রতিষ্ঠানে নতুন সিদ্ধান্তে যে ধরনের সংগঠন কাঠামো গড়ে উঠবে তা কী? তার কার্যকারিতা বিশ্লেষণ করো। ৪
১৭ নং প্রশ্নের উত্তর
ক উত্তরঃ প্রাতিষ্ঠানিক নিয়ম-নীতি অনুসারে অধস্তনদের পরিচালিত করাকে আনুষ্ঠানিক নেতৃত্ব বলে।
খ উত্তরঃ কোনো বিশেষ কাজ সম্পাদনের জন্য কয়েকজন ব্যক্তির সমন্বয়ে যে সংগঠন তৈরি হয় তাকে কমিটি সংগঠন বলে।
সাধারণত কোনো গুরুত্বপূর্ণ বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেয়ার উদ্দেশ্যে কমিটি গঠন করা হয়। এছাড়াও কোনো সমস্যা দেখা দিলে তা সমাধানের জন্যও কমিটি গঠন করা হয়। সদস্যগণ নিজেদের মধ্যে মতামত বিনিময় করে কাজ সম্পাদন করেন। তাই বলা যায়, কমিটি হলো সংগঠনের ভিতরে আরেকটি সহযোগী সংগঠন।
গ উত্তরঃ উদ্দীপকের জনাব শিহাবের প্রতিষ্ঠানে সংগঠনের বিশেষায়নের নীতির প্রতিফলন ঘটেছে।
প্রতিষ্ঠানের সব কাজকে ছোট ছোট অংশে ভাগ করে দক্ষতা, যোগ্যতা ও মেধার ভিত্তিতে বিভিন্ন ব্যক্তিকে দায়িত্ব দেয়াকে বিশেষায়নের নীতি বলে। এতে একই কাজ নিয়মিতভাবে করার ফলে কর্মীর দক্ষতা বৃদ্ধি পায়।
জনাব শিহাব একটি শিল্প প্রতিষ্ঠানের জিএম হিসেবে কর্মরত আছেন। তার প্রতিষ্ঠানের সকল ব্যক্তি, বিভাগ ও উপবিভাগগুলো পরস্পর সম্পর্কের ভিত্তিতে কাজ করে। তবে বিক্রয় বিভাগে কাজের চাপ থাকার কারনে প্রতিষ্ঠানের মালিক উক্ত বিষয় দক্ষ একজনকে নিয়োগ দেন।
ফলে বিক্রয় বিভাগের ব্যবস্থাপকগণ সহজেই যেকোনো সমস্যা সমাধান করতে পারেন। বিক্রয় বিভাগে দক্ষ ব্যক্তি নিয়োগের কারনেই কাজে বিশেষায়নের সুযোগ হয়েছে। তাই বলা যায়, জনাব শিহাব তার প্রতিষ্ঠানে বিশেষায়নের নীতির বিষয়টি বিবেচনা করেছেন।
ঘ উত্তরঃ জনাব শিহাবের প্রতিষ্ঠানে নতুন সিদ্ধান্ত কার্যভিত্তিক সংগঠন কাঠামো গড়ে উঠবে। শিল্প প্রতিষ্ঠানের ক্ষেত্রে কার্যভিত্তিক সংগঠন কাঠামো অত্যন্ত কার্যকর।
এরূপ সংগঠন কাঠামোতে প্রতিষ্ঠানের কাজগুলোকে বৈশিষ্ট্য অনুযায়ী ভাগ করা হয়। এরপর একেকটি বিভাগে একেকজন দক্ষ ও অভিজ্ঞ ব্যক্তিকে দায়িত্ব দেয়া হয়। বৃহদায়তন শিল্প প্রতিষ্ঠানের ক্ষেত্রে এ ধরনের সংগঠন কাঠামো ব্যবহৃত হয়।
উদ্দীপকের জনাব শিহাব তার প্রতিষ্ঠানের সকল ব্যক্তি, বিভাগ ও উপবিভাগকে সম্পর্কযুক্ত করে কাজ করেন। বিক্রয় বিভাগে কাজের চাপ বেশি থাকায় জনাব শিহাব উক্ত বিভাগে একজন দক্ষ কর্মী নিয়োগ দেন। বিক্রয় বিভাগের ব্যবস্থাপকগণ এখন যেকোনো সমস্যা দ্রুত সমাধান করতে পারেন।
কার্যভিত্তিক সংগঠন অনুসরনের ফলে প্রতিষ্ঠানে কাজের বিশেষায়নের সুযোগ তৈরি হয়। একই কাজ নিয়মিত করায় কর্মীদের দক্ষতা ও অভিজ্ঞতা বাড়ে। ফলে প্রতিষ্ঠানের কাজের গতি ও উৎপাদনশীলতা বাড়ে।
জনাব শিহাবের প্রতিষ্ঠানের বিক্রয় বিভাগে কার্যভিত্তিক সংগঠন কাঠামো অনুসরণ করায় উক্ত বিভাগের যেকোনো সমস্যা দ্রুত সমাধান করা সম্ভব হচ্ছে। এছাড়া কাজের মান বৃদ্ধি পাওয়ার পাশাপাশি শ্রমের বিভাজন হয়।
এতে কোনো নির্বাহীর ওপর অতিরিক্ত চাপ পড়ে না। তাই বলা যায়, জনাব শিহাবের প্রতিষ্ঠানে কার্যভিত্তিক সংগঠন কাঠামো সফলতা বয়ে আনবে।
প্রশ্নঃ ১৮ জনাব আলী আজম তাঁর প্রতিষ্ঠান ‘আজম গ্র“প’-এ নির্বাহী কর্ক উত্তরঃর্তার পাশাপাশি সহকারী নিয়োগ করেন। এতে নির্বাহীগণ নিজ নিজ ক্ষেত্রে শক্তি ও ক্ষমতা প্রয়োগ করতে পারেন। সম্প্রতি তাদের প্রতিষ্ঠান সম্প্রসারণ করে বহুমুখী পণ্যের উৎপাদনের লক্ষ্যমাত্রা স্থির করায় পরিচালক তাদের সংগঠন কাঠামোর পরিবর্তনের কথা ভাবছেন।
[ভিকারুননিসা নূন স্কুল এন্ড কলেজ, ঢাকা]
ক. সংগঠন কাঠামো কী? ১
খ. রণনৈতিক পরিকল্পনা বলতে কী বোঝায়? ২
গ. উদ্দীপকের জনাব আলী আজমের প্রাথমিক অবস্থায় সাংগঠনিক কাঠামোর ধরনটি কী? ব্যাখ্যা করো। ৩
ঘ. বহুমুখী পণ্য উৎপাদনের ক্ষেত্রে পরিচালক কোন ধরনের সংগঠন কাঠামো প্রণয়ন করলে প্রতিষ্ঠানের জন্য মঙ্গলজনক হবে? যুক্তি দিয়ে বিশ্লেষণ করো। ৪
১৮ নং প্রশ্নের উত্তর
ক উত্তরঃ প্রতিষ্ঠানের বিভন্ন বিভাগ, উপবিভাগ ও কর্মীদের মধ্যে পারস্পরিক সম্পর্কের ধরনকে সংগঠন কাঠামো বলে।
খ উত্তরঃ বর্তমান তীব্র প্রতিযোগিতামূলক বাজারের পরিবেশ-পরিস্থিতি মোকাবেলা, বিভিন্ন নীতিমালা প্রণয়নের লক্ষ্যে উচ্চ পর্যায়ের নির্বাহী কর্তৃক দীর্ঘমেয়াদি পরিকল্পনাকে রণনৈতিক পরিকল্পনা বলে।
সংগঠনের বিভিন্ন স্তরে গ্রহণ করা পরিকল্পনাকে তিনভাগে ভাগ করা হয়। রণনৈতিক, কৌশলগত ও কার্যগত পরিকল্পনা। এর মধ্যে রণনৈতিক পরিকল্পনা হলো প্রতিষ্ঠানের সর্বোচ্চ পর্যায়ের নির্বাহী দ্বারা গৃহীত পরিকল্পনা। বাজারের তীব্র প্রতিযোগিতাকে মোকাবেলা করাই এ পরিকল্পনার মূল উদ্দেশ্য।
গ উত্তরঃ উদ্দীপকের জনাব আলী আজমের প্রতিষ্ঠানে প্রাথমিক অবস্থায় সংগঠনটির ধরন হলো সরলরৈখিক ও পদস্থ কর্মী সংগঠন।
এ ধরনের সংগঠন কাঠামোতে সরলরৈখিক নির্বাহীেেক সহযোগিতা করার জন্য উপদেষ্টা বা বিশেষজ্ঞ কর্মী নিয়োগ দেয়া হয়। অর্থাৎ সংগঠনে দুই ধরনের কর্মী থাকে। একদল সরলরৈখিক নির্বাহী ও অন্যদল সহকারী উপদেষ্টা।
জনাব আলী আজম তার প্রতিষ্ঠান নির্বাহী কর্ক উত্তরঃর্তার পাশাপাশি সহকারী নিয়োগ দেন। এতে নির্বাহীগণ নিজেদের শক্তি ও ক্ষমতা প্রয়োগ করতে পারেন। তবে সহকারীগণ শুধু পরামর্শ দিয়ে নির্বাহীদের সহায়তা করবে। তারা কোনো সিদ্ধান্ত নিতে পারবে না।
জনাব আলী আজমের এ সংগঠন কাঠামোর সাথে সরলরৈখিক ও পদস্থ কর্মী সংগঠন কাঠামো পুরোপুরি মিলে যায়। তাই বলা যায়, উদ্দীপকে সাংগঠনিক কাঠামোটির ধরন ছিল সরলরৈখিক ও পদস্থ কর্মী সংগঠন।
ঘ উত্তরঃ বহুমুখী পণ্য উৎপাদনের ক্ষেত্রে পরিচালক কার্যভিত্তিক সংগঠন কাঠামো প্রণয়ন করলে প্রতিষ্ঠানের জন্য মঙ্গলজনক হবে বলে আমি মনে করি।
কার্যভিত্তিক সংগঠন কাঠামোতে প্রতিষ্ঠানের কার্যাবলিকে প্রকৃতি অনুযায়ী বিভিন্ন ভাগে ভাগ করা হয়। পরবর্তীতে একেকটি বিভাগের দায়িত্বে একেকজন বিশেষজ্ঞ ব্যক্তিকে দেয়া হয়। এরূপ সংগঠনে কাজের বিশেষায়নের সুযোগ থাকে।
জনাব আলী আজম সরলরৈখিক ও পদস্থ কর্মী সংগঠন কাঠামো অনুসরণ করেছেন। বর্তমানে তার প্রতিষ্ঠান সম্প্রসারণ করে বহুমুখী পণ্য উৎপাদনের লক্ষ্য ঠিক করেছেন। তাই পরিচালক তাদের সংগঠন কাঠামো পরিবর্তনের কথা ভাবছেন।
উদ্দীপকের জনাব আলী আজমের প্রতিষ্ঠান বহুমুখী পণ্য উৎপাদনের লক্ষ্য ঠিক করায় তাদের জন্য কার্যভিত্তিক সংগঠনই যথার্থ হবে। এরূপ সংগঠনে কাজগুলোকে ছোট ছোট ভাগে ভাগ করে কাজে বিশেষায়ন করতে পারবে।
আবার প্রতি বিভাগে বিশেষজ্ঞ ব্যক্তি দায়িত্বে থাকায় কর্মীদের কাজের গতি ও দক্ষতা বাড়বে। ফলে প্রতিষ্ঠানের উৎপাদনশীলতা বাড়বে। মানসম্পন্ন পণ্য তৈরির মাধ্যমে তারা প্রতিষ্ঠানের লক্ষ্য অর্জন করতে পারবে।
পরিশেষে বলা যায় যে, বহুমুখী পণ্য উৎপাদনকারী প্রতিষ্ঠানের ক্ষেত্রে কার্যভিত্তিক সংগঠন কাঠামোই সর্বাধিক কার্যকর।
প্রশ্নঃ ১৯ রূপম গ্র“পের ব্যবস্থাপক শাহেদুর রহমান কাজের প্রকৃতি অনুযায়ী কাজ বিভাজন করেন। তিনি যোগ্য কর্মী নির্বাচন করে উপযুক্ত কাজে নিয়োজিত করেন। শাহেদুর রহমান কর্মীদের কেবল দায়িত্বই প্রদান করেন না সাথে সাথে যথাযথ কর্তৃত্বও প্রদান করেন। প্রতিষ্ঠানের বস্তুগত ও অবস্তুগত উপাদানসমূহ একত্রিত করে একেক কর্মীর ওপর অর্পিত দায়িত্বের সবসময় খোঁজখবর নেন। কর্মীরাও প্রশ্নের সম্মুখীন হতে হবে ভেবে মনোযোগ দিয়ে কাজ করেন। এতে প্রতিষ্ঠানটি সফলতা অর্জনের পথে ধাপে ধাপে এগিয়ে যাচ্ছে। [ভিকারুননিসা নূন স্কুল এন্ড কলেজ, ঢাকা]
ক. ব্যবস্থাপনা স্তর কী? ১
খ. ব্যবস্থাপনায় প্রেষণা এত গুরুত্বপূর্ণ কেন? ব্যাখ্যা করো। ২
গ. উদ্দীপকের প্রতিষ্ঠানে শাহেদুর রহমান ব্যবস্থাপনার কোন কাজের সাথে জড়িত? ব্যাখ্যা করো। ৩
ঘ. রূপম গ্র“পের সফলতার পেছনে কিসের ভ‚মিকা অপরিসীম? তোমার উত্তরের যথার্থতা মূল্যায়ন করো। ৪
১৯ নং প্রশ্নের উত্তর
ক উত্তরঃ ব্যবস্থাপনার কাজসমূহ সম্পাদনে প্রতিষ্ঠানের উপর থেকে নিচ পর্যন্ত বিভিন্ন পর্যায়ে নির্বাহীগণ কর্মরত থাকেন, এভাবে নির্বাহীদের যে স্তর বিন্যাসের সৃষ্টি হয় তাকে ব্যস্থাপনা স্তর বলে।
খ উত্তরঃ প্রেষণা হলো অধস্তনদের কাজের প্রতি অনুপ্রাণিত ও উৎসাহিত করার প্রক্রিয়া।
কর্মীদের কাজের প্রতি আগ্রহী করতে না পারলে প্রতিষ্ঠানের কাক্সিক্ষত লক্ষ্যে পৌঁছানো সম্ভব না। কারণ কর্মী সঠিকভাবে উৎসাহিত হয়ে কাজ না করলে তার দ্বারা সর্বোচ্চ মাত্রায় কাজ আশা করা যায় না।
এছাড়াও সহজে লক্ষ্যার্জন, সহজ তত্ত¡াবধান, সম্পর্কে উন্নয়ন, মানবসম্পদের সঠিক ব্যবহার, অপচয় হ্রাস প্রভৃতি উদ্দেশ্য অর্জনে প্রেষণার গুরুত্ব অপরিসীম।
গ উত্তরঃ উদ্দীপকের প্রতিষ্ঠানের শাহেদুর রহমান ব্যবস্থাপনার সংগঠন কাজের সাথে জড়িত।
সংগঠন হলো প্রতিষ্ঠানের পরিকল্পনা বাস্তবায়নের জন্য প্রয়োজনীয় উপকরণাদি সংগঠিত করা, কর্মীদের দায়িত্ব বুঝিয়ে দেয়া, পারস্পরিক সম্পর্ক স্থাপন প্রভৃতি কাজের সমষ্টি। প্রতিষ্ঠানে নিয়োজিত মানবীয় ও বস্তুগত উপকরণাদিকে সঠিকভাবে কাজে লাগানোই সংগঠনের মূল উদ্দেশ্য।
রূপম গ্র“পের ব্যবস্থাপক শাহেদুর রহমান। তিনি কাজের বৈশিষ্ট্য অনুযায়ী তা ভাগ করে যোগ্য কর্মীকে দায়িত্ব দেন। তিনি কর্মীদের দায়িত্ব প্রদানের সাথে সাথে যথাযথ কর্তৃত্বও প্রদান করেন।
এছাড়া তিনি প্রতিষ্ঠানের বস্তুগত ও অবস্তুগত উপাদানসমূহ একত্রিত করে কাজে লাগান। তার এই কাজগুলো সংগঠন কার্যাবলির আওতাভুক্ত। সুতরাং বলা যায়, শাহেদুর রহমানের কাজগুলো সংগঠন কাজের সাথে জড়িত।
ঘ উত্তরঃ রূপম গ্র“পের সফলতার পেছনে সংগঠিতকরণের ভ‚মিকা অপরিসীম বলে আমি মনে করি।
পরিকল্পনা বাস্তবায়ন ও প্রাতিষ্ঠানিক লক্ষ্য অর্জনের জন্য যাবতীয় মানবীয় ও বস্তুগত উপাদান সঠিকভাবে কাজে লাগানোই হলো সংগঠিতকরণ। জবাবদিহিতা ও শৃঙ্খলা প্রতিষ্ঠা, মানবসম্পদের যথাযথ ব্যবহার, সুষ্ঠু সমন্বয়, কার্যকর নিয়ন্ত্রণ প্রভৃতি প্রতিষ্ঠার জন্য সংগঠিকতরণ জরুরি।
উদ্দীপকের রূপম গ্র“পের ব্যবস্থাপক শাহেদুর রহমান কাজ ভাগ করে প্রতিষ্ঠানের কর্মীদের উপযুক্ত দায়িত্ব দেন। প্রতিষ্ঠানের বস্তুগত ও অবস্তুগত উপাদানসমূহ একত্রিত করেন।
কর্মীদের দেয়া দায়িত্বের খোঁজখবর নেন। এতে কর্মীদের মধ্যে কাজের প্রতি আগ্রহ তৈরি হয়। এসব কাজের মাধ্যমেই তার প্রতিষ্ঠানটি সফলতা অর্জন করছে।
কর্মীদের উপযুক্ত কাজ দেয়ার মাধ্যমে তাদের দায়িত্ব সুনির্দিষ্ট করে দেয়া হয়। শাহেদুর রহমান কাজের খোঁজ খবর নেয়ায় কর্মীদের মধ্যে জবাবদিহিতা সৃষ্টি হয়। সব বস্তুগত ও অবস্তুগত উপাদান কাজে লাগানোর মাধ্যমে সম্পদের যথাযথ ব্যবহার হচ্ছে।
এভাবে কাজ চালিয়ে যেতে পারলে প্রতিষ্ঠানটি আরও সম্প্রসারণ ও উন্নতি করতে পারবে। পরিশেষে বলা যায়, সংগঠিতকরণের উলিখিত কাজগুলোর মাধ্যমেই রূপম গ্র“প সফলতা অর্জন করছে।
প্রশ্নঃ ২০ মি. আলম চৌধুরী একটি গার্মেন্টস-এর ব্যবস্থপনা পরিচালক। প্রতিষ্ঠানটি যাতে রপ্তানি লক্ষ্যমাত্রা অর্জন করতে পারে, সেজন্য প্রতিষ্ঠানের কর্মীদের তিনি সরাসরি তত্ত¡াবধান, নির্দেশনা ও নিয়ন্ত্রণ করে কার্যসম্পাদন করান। অপরদিকে, ম্যাক্সিম লি.-এর কর্ণধার জনাব হারুন চৌধুরী প্রতিষ্ঠানের কর্মীদের তত্ত¡াবধান, নির্দেশনা ও নিয়ন্ত্রণে সহায়তা করার জন্য বিশেষজ্ঞ কর্মী নিয়োগ করেন। জনাব হারুন চৌধুরী বিশেষজ্ঞ কর্মীকে প্রতিষ্ঠান পরিচালনার জন্য নির্বাহীর দায়িত্ব প্রদান করেন। [আইডিয়াল স্কুল অ্যান্ড কলেজ, মতিঝিল, ঢাকা]
ক. মেট্রিক্স সংগঠন কী? ১
খ. সংগঠন কাঠামোটি ব্যাখ্যা করো। ২
গ. উদ্দীপকে মি. আলম চৌধুরীর প্রতিষ্ঠানে সংগঠন কাঠামো কোন ধরনের? ব্যাখ্যা করো। ৩
ঘ. বৃহদায়তন কারিগরি প্রতিষ্ঠানের জন্য উদ্দীপকের সংগঠন দুইটির মধ্যে কোনটি অধিকতর উত্তম বলে তুমি মনে করো? যুক্তি প্রদর্শন করো। ৪
২০ নং প্রশ্নের উত্তর
ক উত্তরঃ কার্যভিত্তিক ও দ্রব্যভিত্তিক সংগঠনের সমন্বয়ে গঠিত সংগঠনকে, তাকে মেট্রিক্স সংগঠন বলে।
খ উত্তরঃ প্রতিষ্ঠানের বিভিন্ন বিভাগ, উপবিভাগ ও কর্মীদের মধ্যে সম্পর্কের ধরনকে সংগঠন কাঠামো বলে।
সংগঠন কাঠামোয় প্রতিষ্ঠানের সর্বোচ্চ পর্যায় থেকে সর্বনিæ পর্যায়ের কর্মীর অবস্থান সম্পর্কে জানা যায়। এতে কে কার অধীনে কাজ করবে সে সম্পর্কে ধারণা পাওয়া যায়। এছাড়া সংগঠন কাঠামোর মাধ্যমে কর্মীদের কর্তৃত্ব ও জবাবদিহিতার বিষয়টিও জানা যায়।
গ উত্তরঃ উদ্দীপকে মি. আলম চৌধুরীর প্রতিষ্ঠানের সংগঠন কাঠামোটি সরলরৈখিক সংগঠন কাঠামো।
সরলরৈখিক সংগঠন কাঠামোতে কর্তৃত্ব উপর থেকে নিচের দিকে প্রবাহিত হয়। এরূপ সংগঠনে নির্বাহী ব্যক্তির একক কর্তৃত্ব থাকে এবং সকল দায়িত্ব তার ওপর বর্তায়। এতে নিæপর্যায়ের কর্মীরা ঊর্ধ্বতনের কাছে জবাবদিহি করে।
উদ্দীপকে মি. আলম চৌধুরী একটি গার্মেন্টস এর ব্যবস্থাপনা পরিচালক। তিনি কর্মীদের সরাসরি তত্ত¡াবধান, নির্দেশনা ও নিয়ন্ত্রণ করেন। এখানে মি. আলম ঊর্ধ্বতন হিসেবে তার অধস্তন কর্মীদের নিয়ন্ত্রণ করেন। অধস্তনরা মি. আলমের কাছে জবাবদিহি করেন।
তবে সব কাজের দায়িত্ব নির্বাহী হিসেবে মি. আলমের ওপর বর্তায়। মি. আলমের সংগঠন কাঠামোর ধরনটি সরলরৈখিক সংগঠন কাঠামোর সাথে মিলে যায়। সুতরাং উদ্দীপকের সংগঠনের ধরনকে সরলরৈখিক সংগঠন কাঠামো বলা যায়।
- উত্তর ডাউনলোড করুন> (১ম পত্র) ব্যবসায়ের মৌলিক ধারণা ১ম পত্র সৃজনশীল প্রশ্ন
- উত্তর ডাউনলোড করুন>(১ম পত্র)১ম: ব্যবসায়ের মৌলিক ধারণা প্রশ্ন উত্তরসহ PDF
- উত্তর ডাউনলোড করুন> HSC ব্যবসায়ের মৌলিক ধারণা প্রশ্নের উত্তরসহ অধ্যায়-১: PDF
- উত্তর ডাউনলোড করুন> HSC অধ্যায়-১: প্রশ্নের উত্তরসহ ব্যবসায়ের মৌলিক ধারণা PDF
- উত্তর ডাউনলোড করুন>অধ্যায়৩: SSC ফিন্যান্স ও ব্যাংকিং‘র সৃজনশীল প্রশ্নোত্তর PDF
- উত্তর ডাউনলোড করুন> অধ্যায়৩: SSC ফিন্যান্স ও ব্যাংকিং‘র জ্ঞানমূলক প্রশ্নোত্তরPDF
ঘ উত্তরঃ বৃহদায়তন কারিগরি প্রতিষ্ঠানের জন্য উদ্দীপকের সরলরৈখিক ও কার্যভিত্তিক সংগঠনের মধ্যে কার্যভিত্তিক সংগঠনই উত্তম বলে আমি মনে করি।
কাজের প্রকৃতি অনুযায়ী বিশেষজ্ঞ নির্বাহীকে দায়িত্ব দেয়ার মাধ্যমে কার্যভিত্তিক সংগঠন কাঠামো তৈরি হয়।
বিশেষজ্ঞ ব্যক্তিরা নির্বাহীর দায়িত্ব পালন করায় উৎপাদনশীলতা বাড়ে। এছাড়া ধারাবাহিকভাবে কাজ শেষ করে সফলতা অর্জন করা সম্ভব হয়।
উদ্দীপকের মি. আলমের প্রতিষ্ঠানে সরলরৈখিক সংগঠন কাঠামো রয়েছে। অপরদিকে জনাব হারুন ম্যাক্সিম লি.-এ বিশেষজ্ঞ কর্মী নিয়োগ দেন। পরবর্তীতে প্রতিষ্ঠান পরিচালনার জন্য বিশেষজ্ঞ কর্মীদের নির্বাহীর দায়িত্ব প্রদান করেন।
ম্যাক্সিম লি.-এ কার্যভিত্তিক সংগঠনের মাধ্যমে কর্মীদের কাজের ক্ষেত্রে বিশেষায়নের সুযোগ ঘটে। ফলে উৎপাদনশীলতা বাড়বে। তবে সরলরৈখিক সংগঠনের মাধ্যমে উলিখিত সুবিধা পাওয়া সম্ভব না।
তাই বলা যায় যে, বৃহদায়তন কারিগরি প্রতিষ্ঠানের ক্ষেত্রে কার্যভিত্তিক সংগঠন কাঠামোই অধিক উপযোগী।
উক্ত বিষয় সম্পর্কে কিছু জানার থাকলে কমেন্ট করতে পারেন।
আমাদের সাথে ইউটিউব চ্যানেলে যুক্ত হতে এখানে ক্লিক করুন এবং আমাদের সাথে ফেইজবুক পেইজে যুক্ত হতে এখানে ক্লিক করুন। গুরুত্বপূর্ণ আপডেট ও তথ্য পেতে আমাদের ওয়েবসাইটে ভিজিট করুন।
আমাদের সাথে ইউটিউব চ্যানেলে যুক্ত হতে এখানে ক্লিক করুন এবং আমাদের সাথে ফেইজবুক পেইজে যুক্ত হতে এখানে ক্লিক করুন। গুরুত্বপূর্ণ আপডেট ও তথ্য পেতে আমাদের ওয়েবসাইটে ভিজিট করুন।