ব্যবসা ও ব্যবস্থাপনা ২য় | অধ্যায় ২ | সৃজনশীল প্রশ্নোত্তর ১১-১৫ | PDF: ব্যবসা ও ব্যবস্থাপনা ২য় পত্রের দ্বিতীয় অধ্যায়ের গুরুত্বপূর্ণ সব কমন উপযোগী সৃজনশীল প্রশ্ন ও উত্তর গুলো আমাদের এই পোস্টে পাবেন।
প্রিয় ছাত্র ছাত্রী বন্ধুরা আল্লাহর রহমতে সবাই ভালোই আছেন । এটা জেনে আপনারা খুশি হবেন যে, আপনাদের জন্য ব্যবসা ও ব্যবস্থাপনা ২য় পত্রের দ্বিতীয় অধ্যায়ের গুরুত্বপূর্ণ সব কমন উপযোগী সৃজনশীল প্রশ্ন ও উত্তর গুলো নিয়ে আলোচনা করতে যাচ্ছি ।
সুতরাং সম্পূর্ণ পোস্টটি মনোযোগ সহকারে পড়ুন। আর এইচ এস সি- HSC এর যেকোন বিভাগের গুরুত্বপূর্ণ সকল সাজেশন পেতে জাগোরিকের সাথে থাকুন।
প্রশ্নঃ ১১ “শামীম সোয়েটার ফ্যাক্টরিতে” রনি ও জনি সমপদে কর্মরত দুইজন কর্মী। তাদের বস মি. আরিফ এবং আরিফের নিয়ন্ত্রণ কর্ক উত্তরঃর্তা জনাব শামীম। কার্যের দায়িত্ব নিয়ে রনি ও জনির মধ্যে দ্ব›দ্ব দেখা দেওয়ায় রনি জনির বিরুদ্ধে জনাব শামীমের নিকট অভিযোগ করেন।
জনাব শামীম রনির ওপর রাগান্বিত হয়ে তার বসকে ডেকে বললেন, “আপনার অধস্তন কর্মীদের প্রতিষ্ঠানের নীতিমালার বিষয়ে জ্ঞানের যথেষ্ট অভাব আছে। তাদের শিক্ষণ ও প্রশিক্ষণের বিষয়ে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিন।” [দি. বো. ১৬]
ক. কত সালে জš§গ্রহণ করেন? ১
খ. আদেশের ঐক্য বলতে কী বোঝ? ২
গ. শামীম সোয়েটার ফ্যাক্টরিতে ব্যবস্থাপনার কোন নীতিটি লঙ্ঘিত হয়েছে? ব্যাখ্যা করো। ৩
ঘ. প্রতিষ্ঠানটির ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের ভ‚মিকা কি সঠিক ছিল? তোমার উত্তরের পক্ষে যুক্তি দাও। ৪
১১ নং প্রশ্নের উত্তর
ক উত্তর: ১৮৫৬ সালে জন্ম করেন।
খ উত্তর: একজন কর্মী একই সময়ে প্রত্যক্ষভাবে একজন ঊর্ধ্বতন কর্ক উত্তরঃর্তার নিকট হতে আদেশ পাওয়া ও তা মেনে চলাকে আদেশের ঐক্য নীতি বলে।
একজন কর্মীর আদেশদাতা একাধিক হলে একই সময়ে দু’জন ভিন্ন ভিন্ন নির্দেশ দিতে পারেন।
এতে দ্বৈত অধীনতা সৃষ্টি হয়। ফলে কর্মীর পক্ষে যথাযথভাবে সব কাজ সম্পাদন করা সম্ভব হয় না। তাই প্রতিষ্ঠানে আদেশের ঐক্য নীতি অনুসরণ করা অপরিহার্য।
গ উত্তর: উদ্দীপকের শামীম সোয়েটার ফ্যাক্টরিতে ব্যবস্থাপনার জোড়া মই শিকলের নীতি লঙ্ঘিত হয়েছে।
ব্যবস্থানার জোড়া মই শিকলের নীতিতে প্রতিষ্ঠানের উপর থেকে শুরু করে নিচের স্তর পর্যন্ত সাংগঠনিক নিয়মে প্রতিটি ব্যক্তি, বিভাগ ও উপবিভাগকে একে অন্যের সাথে যুক্ত করে দেয়া হয়।
এ নীতি অনুযায়ী প্রতিটি কর্মী বা কর্ক উত্তরঃর্তা তার যেকোনো সমস্যায় বা কাজের সহযোগিতার প্রয়োজনে সাংগঠনিক স্তরে তার পূর্ববর্তী স্তরে অবস্থান করা ঊর্ধ্বতন কর্ক উত্তরঃর্তার সাথে যোগাযোগ করবে।
উদ্দীপকে সমপদে কর্মরত রনি ও জনির মধ্যে দ্বন্ধ দেখা দিলে রনি জনির বিরুদ্ধে জনাব শামীমের নিকট অভিযোগ করেন। সাংগঠনিক কাঠামো অনুযায়ী রনি এবং জনির ঊধ্বর্তন কর্ক উত্তরঃর্তা হলেন মি. আরিফ এবং মি. আরিফের নিয়ন্ত্রণ কর্ক উত্তরঃর্তা হলেন জনাব শামীম।
জোড়া মই শিকলের নীতি অনুযায়ী মি. রনির উচিত ছিল জনাব আরিফের নিকট অভিযোগ করা। কিন্তু রনি মি. শামীমের নিকট অভিযোগ করেন, যা ব্যবস্থাপনার জোড়া মই শিকল নীতির পরিপন্থী।
ঘ উত্তর: প্রতিষ্ঠানটির ঊধ্বর্তন কর্তৃপক্ষের ভ‚মিকা সঠিক ছিল বলে আমি মনে করি।
ব্যবস্থাপনার নীতিসমূহ ব্যবস্থাপনা কার্যাবলি সম্পাদনে দিকনির্দেশক হিসেবে কাজ করে। ব্যবস্থাপনা নীতিসমূহ যথাযথভাবে মেনে চলার ওপর প্রাতিষ্ঠানিক সফলতা নির্ভর করে।
উদ্দীপকের রনি এবং জনি সোয়োটার ফ্যাক্টরির দুইজন কর্মী। রনি এবং জনির ঊর্ধ্বতন কর্ক উত্তরঃর্তা হলেন মি. আরিফ। মি. আরিফের ঊর্ধ্বতন কর্ক উত্তরঃর্তা হলেন মি. শামীম। মি. রনি এবং মি. জনির মধ্যে দ্ব›দ্ব দেখা দিলে মি. রনি জনির বিরুদ্ধে মি. শামীমের নিকট অভিযোগ করেন।
উদ্দীপকে মি. রনি কর্তৃক মি. শামীমের নিকট সরাসরি অভিযোগ ব্যবস্থাপনার জোড়া মই শিকলের নীতি লঙ্ঘিত হয়। কারণ ব্যবস্থাপনার নীতিসমূহ যথাযথভাবে মেনে না চললে প্রতিষ্ঠানের সফলতা অর্জন সম্ভব হবে না। তাই বলা যায়, প্রতিষ্ঠানটির ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের ভ‚মিকা সঠিক ছিল।
প্রশ্নঃ ১২ নিজের বেতন কমিয়ে এবং কোম্পানির কর্মীদের মজুরি বাড়িয়ে অনন্য দৃষ্টান্ত স্থাপন করলেন যুক্তরাষ্ট্রের আর্থিক সেবা প্রতিষ্ঠান গ্র্যাভিটি পেমেন্টসের সিইও ড্যান প্রাইস। কর্মীদের বার্ষিক ন্যূনতম বেতন ছিল ৪০ হাজার ডলার। এখন তারা পাবেন ৭০ হাজার ডলার করে। অন্যদিকে, ড্যান প্রাইসের বেতন ছিল ১ লক্ষ ডলার। এখন তার বেতন কমে হলো কর্মীদের সমান ৭০ হাজার ডলার। [চ. বো. ১৬]
ক. বৈজ্ঞানিক ব্যবস্থাপনার জনক কে? ১
খ. ব্যবস্থাপনা চক্রটি বুঝিয়ে লেখো। ২
গ. ড্যান প্রাইসের এ সিদ্ধান্তে হেনরি ফেয়লের কোন কোন নীতির প্রতিফলন ঘটেছে? ব্যাখ্যা করো। ৩
ঘ. উদ্দীপকের প্রতিষ্ঠানে বেতন বৃদ্ধির বিষয়ে মি. ড্যানের এ সিদ্ধান্ত কর্মীদের মধ্যে প্রেষণামূলক প্রভাব ফেলবে যথার্থতা মূল্যায়ন করো। ৪
১২ নং প্রশ্নের উত্তর
ক উত্তর: বৈজ্ঞানিক ব্যবস্থাপনার জনক ফ্রেডরিক উইন্সলো টেলর।
খ উত্তর: ব্যবস্থাপনার কার্যসমূহ চক্রাকারে আবর্তিত হওয়াকে ব্যবস্থাপনা চক্র বলে।
ব্যবস্থাপনা প্রক্রিয়ার প্রথম ধাপ হলো পরিকল্পনা করা। পরিকল্পনার আলোকে কর্মীসংস্থান করা হয় অতঃপর তাদেরকে কাজের নির্দেশনা দেয়া হয়। কাজের গতি ও নির্ভুলতা নিশ্চিতের জন্য কর্মীদেরকে প্রেষণা প্রদান করা হয়। এরপর পরিকল্পনা অনুযায়ী কাজগুলো হচ্ছে কি না, তার সমন্বয় ও প্রয়োজনমতো নিয়ন্ত্রণ কার্য সম্পাদন করা হয়।
নিয়ন্ত্রণের ক্ষেত্রে কোনো ত্র“টি-বিচ্যুতি পাওয়া গেলে তা সংশোধনের জন্য আবার পরিকল্পনা করা হয়। এ কাজগুলো একটার পর একটা চক্রাকারে বাস্তবায়িত হয়ে থাকে। তাই একে ব্যবস্থাপনা চক্র বলা হয়।
গ উত্তর: উদ্দীপকের ড্যান প্রাইসের সিদ্ধান্তে হেনরি ফেয়ল প্রদত্ত ব্যবস্থাপনার ন্যায্য পারিশ্রমিক নীতির প্রতিফলন ঘটেছে।
ন্যায্য পারিশ্রমিক নীতিতে প্রতিষ্ঠানের অভ্যন্তরে সকল কর্ক উত্তরঃর্তা-কর্মচারীর যোগ্যতা, দক্ষতা, অভিজ্ঞতা, পারিপার্শি^ক অবস্থা ইত্যাদির ওপর ভিত্তি করে ন্যায্য পারিশ্রমিক দেয়া হয়। প্রতিষ্ঠানের মূলধন বিনিয়োগ এবং কায়িক বা মানসিক শ্রমের বিনিময়ে সবাই উপযুক্ত পারিশ্রমিক প্রত্যাশা করে। উপযুক্ত পারিশ্রমিক পেলে কর্মীরা অনুপ্রাণিত হয়।
যুক্তরাষ্ট্রের আর্থিক সেবাদানকারী প্রতিষ্ঠান গ্রাভিটি পেমেন্টের সিইও ড্যান প্রাইস প্রতিষ্ঠানের কর্মীদের মজুরি বাড়িয়ে অনন্য দৃষ্টান্ত স্থাপন করেছেন। তিনি নিজের বেতন কমিয়ে দিয়েছেন।
কর্মীদের যোগ্যতা, দক্ষতা ও অভিজ্ঞতার ওপর ভিত্তি করে বিগত বছরের তুলনায় চলতি বছরে তিনি কর্মীর বেতন ৭০,০০০ ডলারে উন্নীত করেছেন। ফলে কোম্পানির কর্মীরা কাজের ন্যায্য পারিশ্রমিক পাবেন। তাই বলা যায়, ড্যান পাইস বেতন বাড়ানোর মাধ্যমে ফেয়ল প্রদত্ত ন্যায্য পারিশ্রমিকের নীতি বাস্তবায়ন করেছেন।
ঘ উত্তর: উদ্দীপকের প্রতিষ্ঠানে বেতন বৃদ্ধির বিষয়ে মি. ড্যানের এ সিদ্ধান্ত কর্মীদের মধ্যে প্রেষণামূলক প্রভাব ফেলবে।
নির্বাহীগণ প্রেষণা উপায়ে বা প্রক্রিয়ায় অধীনস্থ কর্মীদের পূর্ণ কার্যক্ষমতা ব্যবহার ও কাজের প্রতি তাদের উৎসাহ-উদ্দীপনা সৃষ্টি করেন। প্রেষণার ভিত্তি হলো অভাব। প্রতিষ্ঠানের কর্মীদের প্রেষণা প্রদানের ফলে কাজে তাদের আগ্রহ ও উদ্দীপনা সৃষ্টি হয়। ইতিবাচক মনোভাব গড়ে ওঠে। প্রেষণা প্রদান না করা হলে কর্মীরা কাজে তাদের আগ্রহ হারিয়ে ফেলে।
উদ্দীপকে ড্যান প্রাইস গ্রাভিটি পেমেন্ট কোম্পানির সিইও। তিনি কোম্পানির কর্মীদের বেতন বিগত বছরের তুলনায় বাড়িয়ে দিয়েছেন। কর্মীদের কাজের যোগ্যতা, দক্ষতা ও অভিজ্ঞতার ভিত্তিতে বেতন বাড়ানো হয়েছে।
কর্মীদের বেতন বাড়ানোর ফলে কর্মীরা তাদের কাজের ন্যায্য পারিশ্রমিক পাচ্ছে। ন্যায্য পারিশ্রমিক পেলে কর্মীরা কাজে অনুপ্রাণিত হবে। ফলে কর্মীরা ব্যবস্থাপক বা প্রতিষ্ঠানের প্রতি ইতিবাচক মনোভাব নিয়ে কাজ করবে। অতএব, বেতন বাড়ানোর বিষয়ে সিইও মি. ড্যানের প্রেষণামূলক সিদ্ধান্ত কর্মীদের মধ্যে ইতিবাচক মনোভাব সৃষ্টি হবে।
প্রশ্নঃ ১৩ মি. শফিক একটি জুস কো.-এর ক্রয় ব্যবস্থাপক। প্রতিষ্ঠানের পরিচালনা পর্ষদ কর্ক উত্তরঃর্তাদের দক্ষতা ও কর্কশলতার প্রতি সম্মান দেখান। প্রতিষ্ঠানের স্বার্থে যেকোনো সিদ্ধান্ত নেয়ার ক্ষমতা কর্ক উত্তরঃর্তাদের দেয়া আছে। দাম তুলনামূলক কম হওয়ায় ক্রয় ব্যবস্থাপক মি. শফিক বিদেশ থেকে ১০ (দশ) টন জুস আমদানি করেন কিন্তু আমদানির ১ (এক) মাসের মধ্যে শীত এসে যাওয়ায় জুসের বিক্রি কমে যায়। এতে ঐ বছর কোম্পানি লোকসানের সম্মুখীন হয়। [সি. বো. ১৬]
ক. ব্যবস্থাপনা স্তর কী? ১
খ. “ব্যবস্থাপনা একটি চলমান প্রক্রিয়া” ব্যাখ্যা করো। ২
গ. উদ্দীপকে ব্যবস্থাপনার কোন নীতির প্রতিফলন পাওয়া যায়? ব্যাখ্যা করো। ৩
ঘ. উদ্দীপকে প্রতিষ্ঠানটি লোকসানের জন্য ক্রয় ব্যবস্থাপকের কোন গুণাবলির অভাব দায়ী বলে তুমি মনে করো? যুক্তিসহ মতামত দাও। ৪
১৩ নং প্রশ্নের উত্তর
ক উত্তর: প্রাতিষ্ঠানিক কার্যাবলি সুষ্ঠুভাবে করার জন্য বিভিন্ন পর্যায়ে নিয়োজিত ব্যবস্থাপকগণের মধ্যে পর্যায়ক্রমিক কর্তৃত্ব ও দায়িত্বের যে সুশৃঙ্খল ভিত্তি প্রতিষ্ঠিত হয় তাকে ব্যবস্থাপনার স্তর বলে।
খ উত্তরঃ ব্যবস্থাপনার পারস্পরিক নির্ভরশীল ও ধারাবাহিক কার্যসমষ্টিকে ব্যবস্থাপনা প্রক্রিয়া বলে।
ব্যবস্থাপনা কার্য পরিকল্পনা দ্বারা শুরু হয়ে সংগঠিতকরণ, কর্মীসংস্থান, নির্দেশনা, প্রেষণা, সমন্বয় ও নিয়ন্ত্রণের মাধ্যমে শেষ হয়। নিয়ন্ত্রণের মাধ্যমে প্রাপ্ত ফলাফলের ওপর ভিত্তি করে আবার নতুন পরিকল্পনা গ্রহণ করা হয়।
এভাবে ব্যবস্থাপনার কার্যসমূহ চলমান ধারায় আবর্তিত হয় বলে একে একটি চলমান প্রক্রিয়া হিসেবে গণ্য করা হয়।
গ উত্তর: উদ্দীপকে ব্যবস্থাপনার বিকেন্দ্রীকরণ নীতির প্রতিফলন ঘটেছে।
বিকেন্দ্রীকরণের ক্ষেত্রে সিদ্ধান্ত গ্রহণের সকল ক্ষমতা নিচের পর্যায়ের ব্যবস্থাপকদের হাতে ছেড়ে দেওয়া। এর মাধ্যমে প্রতিষ্ঠানের অধস্তন কর্মীদের গুরুত্ব বৃদ্ধি পায়।
প্রতিষ্ঠানের স্বার্থে ঊর্ধ্বতন নির্বাহীরা বিভিন্ন সিদ্ধান্ত নেওয়ার ক্ষমতা নিস্তরের ব্যবস্থাপকদের হাতে ছেড়ে দেন। নিস্তরের ব্যবস্থাপকরা সিদ্ধান্ত গ্রহণ করে তাদের বিভিন্ন যোগ্যতা ও দক্ষতার প্রমাণ করেন।
মি. শফিক জুস কো. নাক উত্তরঃ প্রতিষ্ঠানের ক্রয় ব্যবস্থাপক। প্রতিষ্ঠানটির পরিচালনা পর্ষদ কর্ক উত্তরঃর্তাদের দক্ষতা ও কর্ক উত্তরঃুশলতাকে সম্মান প্রদর্শন করেন। প্রতিষ্ঠানের স্বার্থে বিভিন্ন সিদ্ধান্ত গ্রহণের ক্ষমতা কর্ক উত্তরঃর্তা-কর্মচারীদের দেওয়া আছে। প্রতিষ্ঠানটি বিকেন্দ্রীকরণ নীতি অনুসরণ করে।
মি. শফিক ক্রয় ব্যবস্থাপক হওয়ায় সিদ্ধান্ত গ্রহণ করেন ১০ টন জুস ক্রয় করার। ঊর্ধ্বতন নির্বাহীরা সিদ্ধান্ত নেওয়ার ক্ষমতা তাকে প্রদান করার ফলে তিনি এ ধরনের সিদ্ধান্ত গ্রহণ করেছেন।
এতে ব্যবস্থাপকদের দক্ষতা ও কর্ক উত্তরঃুশলতা বৃদ্ধি পায়, যা প্রতিষ্ঠানের স্বার্থে ব্যবহার করে লাভবান হওয়া যায়। সুতরাং, উদ্দীপকে ব্যবস্থাপনার বিকেন্দ্রীকরণ নীতির প্রতিফলন ঘটেছে।
ঘ উত্তর: উদ্দীপকের প্রতিষ্ঠানের লোকসানের জন্য ক্রয় ব্যবস্থাপকের দূরদর্শিতার অভাব আছে বলে আমি মনে করি।
ভবিষ্যৎ সম্ভাবনার পরিপ্রেক্ষিতে পূর্বানুমানের ভিত্তিতে সিদ্ধান্ত গ্রহণ ও পরিকল্পনা প্রণয়ন করতে পারা একজন ব্যবস্থাপকের দূরদর্শিতা গুণের অন্তর্ভুক্ত। একজন ব্যবস্থাপককে সিদ্ধান্ত গ্রহণের পূর্বেই বর্তমান ও ভবিষ্যৎ পরিস্থিতি সম্পর্কে সম্যক ধারণা রেখে সিদ্ধান্ত গ্রহণ করতে হয়।
জুস কো. নাক উত্তরঃ প্রতিষ্ঠানের ক্রয় ব্যবস্থাপক। মি. শফিক প্রতিষ্ঠানটি বিকেন্দ্রীকরণ নীতিটি অবলম্বন করার ফলে যেকোনো সিদ্ধান্ত বিভিন্ন কর্ক উত্তরঃর্তা-কর্মচারী গ্রহণ করতে পারে।
মি. শফিক ক্রয় ব্যবস্থাপক হওয়ায় ক্রয় সংক্রান্ত সিদ্ধান্ত ঊর্ধ্বতন নির্বাহীর অনুমতি না নিয়ে গ্রহণ করতে পারেন। জুসের দাম কমে যাওয়ায় তিনি বিদেশ থেকে ১০ টন জুস আমদানি করেন। আমদানি করার এক মাসের মধ্যে শীত নামার কারণে বাজারে জুসের চাহিদা কমে যায়। বাজারে জুস বিক্রি না হওয়ায়, লোকসানের সম্মুখীন হয় প্রতিষ্ঠানটি।
মি. শফিক বর্তমান পরিস্থিতির পরিপ্রেক্ষিতে সিদ্ধান্ত গ্রহণ করেছেন। এক মাসের মধ্যে যে বাজারে পণ্যের চাহিদা হ্রাস পাবে তা তিনি ভাবেননি। ক্রয় সিদ্ধান্ত গ্রহণের পূর্বে ব্যবস্থাপকের দূরদর্শিতা গুণের প্রয়োগ ঘটেনি। সুতরাং, মি. শফিকের মাঝে ব্যবস্থাপকের দূরদর্শিতা গুণের অভাব রয়েছে।
প্রশ্নঃ ১৪ মি. সায়েম একটি সিরামিকস কোম্পানির জুনিয়র অফিসার। তিনি স্বীয় কাজের জন্য ঊর্ধ্বতন কর্ক উত্তরঃর্তা মি. সাঈদের নিকট দায়বদ্ধ থাকেন। স¤প্রতি মি. সাঈদের বস মি. তানভীর মি. সায়েক উত্তরঃে বিভিন্ন বিষয়ে নির্দেশ দিচ্ছেন। ফলে দু’জন ঊর্ধ্বতন কর্ক উত্তরঃর্তার নির্দেশে গরমিল থাকায় কাজ করতে সমস্যা হচ্ছে। মি. সায়েম দীর্ঘ ৩ বছর যাবৎ একই প্রতিষ্ঠানে কাজ করলেও তার বেতন বাড়ানো হয়নি। এজন্য তিনি কাজে মন বসাতে পারছেন না। ফলে কাজ করতে যেয়ে প্রায়ই ভুল করছেন।
[য. বো. ১৬]
ক. ব্যবস্থাপনা চক্র কী? ১
খ. “ব্যবস্থাপনা সর্বজনীন” ব্যাখ্যা করো। ২
গ. উদ্দীপকে বর্ণিত পরিস্থিতিতে ব্যবস্থাপনার কোন নীতির অভাবে মি. সায়েমের কাজ করতে সমস্যা হচ্ছে? বর্ণনা করো। ৩
ঘ. উদ্দীপকে উলিখিত পরিস্থিতিতে মি. সায়েমের কর্মদক্ষতা বৃদ্ধির জন্য ব্যবস্থাপনার উপযুক্ত কাজটি বিশ্লেষণ করো। ৪
১৪ নং প্রশ্নের উত্তর
ক উত্তর: ব্যবস্থাপনার মৌলিক কাজগুলো (পরিকল্পনা প্রণয়ন, সংগঠিতকরণ, কর্মীসংস্থান, নির্দেশনা, প্রেষণা, সমন্বয়সাধন ও নিয়ন্ত্রণ) পরপর আবর্তিত হওয়াকে ব্যবস্থাপনা চক্র বলে।
খ উত্তরঃ ‘ব্যবস্থাপনা সর্বজনীন’ উক্তিটি গ্রিক দার্শনিক সক্রেটিসের । ব্যবস্থাপনার সর্বজনীনতা বলতে সর্বত্র, সব ক্ষেত্রে, সকলের দ্বারা স্বীকৃত ব্যবস্থাপনা জ্ঞানের আবশ্যকতা ও প্রয়োগ যোগ্যতাকে বোঝায়।
পরিবার, রাষ্ট্র এবং ব্যবসায় সংগঠনের সব ক্ষেত্রে ব্যবস্থাপনার কার্যাবলি (পরিকল্পনা প্রণয়ন, সংগঠিতকরণ, নির্দেশনা, প্রেষণা ও নিয়ন্ত্রণ) প্রয়োগ করা হয়।
স্থানীয় পরিবেশ-পরিস্থিতি, সামাজিক রীতি-নীতি ইত্যাদি কারণে বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের ব্যবস্থাপনা পদ্ধতি ভিন্ন হতে পারে।
তবে ব্যবস্থাপনার কার্যাবলি প্রয়োগের ক্ষেত্রে তেমন কোনো পার্থক্য পরিলক্ষিত হয় না। তাই ব্যবস্থাপনাকে সর্বজনীন বলা হয়।
গ উত্তর: উদ্দীপকে বর্ণিত পরিস্থিতিতে ব্যবস্থাপনার নির্দেশনার ঐক্য নীতির অভাবে মি. সায়েমের কাজ করতে সমস্যা হয়েছে।
ব্যস্থাপনার নির্দেশনার ঐক্য নীতির মাধ্যমে উদ্দেশ্য অর্জনের জন্য পূর্ব নির্দেশনার সাথে মিল রেখে পরবর্তী নির্দেশনা প্রদানের কাজকে।
মি. সিয়াম একজন জুনিয়র অফিসার। তিনি তার কাজের জন্য ঊর্ধ্বতন কর্ক উত্তরঃর্তা মি. সাঈদের নিকট দায়বদ্ধ থাকেন। কিন্তু সম্প্রতি মি. সাঈদের বস মি. তানভীর মি. সায়েক উত্তরঃে বিভিন্ন বিষয়ে কাজের নির্দেশনা দিচ্ছেন।
মি. সাঈদের নির্দেশের সাথে তার বস মি. তানভীরের নির্দেশের কোনো মিল নেই। ফলে মি. সায়েমের কাজ করতে সমস্যা হচ্ছে। কারণ, একই সাথে দু’জন কর্ক উত্তরঃর্তার ভিন্ন ধরনের নির্দেশনা তার পক্ষে পালন করা সম্ভব হচ্ছে না। তাই বলা যায়, ব্যবস্থাপনার নির্দেশনার ঐক্য নীতির অভাবে মি. সায়েমের কাজ করতে সমস্যা হচ্ছে।
ঘ উত্তর: উদ্দীপকে উলিখিত পরিস্থিতিতে মি. সায়েমের কর্মদক্ষতা বৃদ্ধির জন্য ব্যবস্থাপনার উপযুক্ত কাজটি হলো আর্থিক প্রেষণা প্রদান।
প্রেষণার মাধ্যমে অধস্তন কর্মীদের কাজের প্রতি অনুপ্রাণিত ও স্বেচ্ছা প্রণোদিত করা হয়। প্রেষণার ফলে কর্মীদের মনোবল বৃদ্ধি পায় এবং কর্মীরা কার্যসম্পাদনে উৎসাহী হয়।
মি. সায়েম দীর্ঘ ৩ বছর যাবৎ একই প্রতিষ্ঠানে কাজ করেন, কিন্তু তার বেতন বাড়ানো হয়নি। এজন্য তিনি কাজের প্রতি আগ্রহ হারিয়ে ফেলেন। ফলে তিনি কাজ করতে গিয়ে বারবার ভুল করছেন। আর্থিক প্রেষণা প্রদানের মাধ্যমে সায়েমের নিকট থেকে কাক্সিক্ষত আচরণ লাভ করা সম্ভব।
এ পরিস্থিতিতে মি. সায়েক উত্তরঃে যদি বেতন বৃদ্ধির মাধ্যমে আর্থিক প্রেষণা প্রদান করা হয়, তবে তিনি অনুপ্রাণিত হবেন এবং কাজে মন বসাতে পারবেন। কেননা এর মাধ্যমে তার মনোবল বৃদ্ধি পাবে।
মনোবল বৃদ্ধি পেলে তিনি দক্ষতার সাথে তার কার্য সম্পাদন করতে পারবেন। তাই বলা যায়, ব্যবস্থাপনার প্রেষণা কাজটি মি. সায়েমের কর্মদক্ষতা বৃদ্ধিতে কার্যকর ভ‚মিকা রাখবে।
প্রশ্নঃ ১৫ মি. তৌহিদ রূপালী কোম্পানির ব্যবস্থাপনা পরিচালক। তিনি প্রতিষ্ঠানের যাবতীয় কাজ তার অধস্তনদের বুঝিয়ে দিয়ে প্রয়োজনীয় দায়িত্ব ও কর্তৃত্ব হস্তান্তর করেন। তার অফিসের ফ্যাক্স মেশিনটি খারাপ হওয়ায় পিয়ন আবুলকে একটি গুরুত্বপূর্ণ ডকুমেন্ট জরুরি ভিত্তিতে ফ্যাক্স করার জন্য বাইরে পাঠায়। আবুলের প্রস্থানের পরপরই প্রতিষ্ঠানের চেয়ারম্যান তামীম মি. তৌহিদের রুমে প্রবেশ করেন। চেয়ারম্যানের আপ্যায়নের জন্য মাঝপথ থেকে মি. তৌহিদ আবুলকে ফিরিয়ে আনেন। চেয়ারম্যান চলে যাবার পর আবুল ডকুমেন্টটি ফ্যাক্স করে। ফ্যাক্স দেরিতে পার্টির নিকট পৌঁছানোর কারণে বিদেশি অর্ডারটি বাতিল হয়। এ কারণে মি. তৌহিদ আবুলকে বরখাস্ত করেন। ফলে শ্রমিক সংঘ বিক্ষোভে ফেটে পড়ে। [ব. বো. ১৬]
ক. নীতি কী? ১
খ. ব্যবস্থাপনার চক্র বলতে কী বোঝায়? ২
গ. তুমি কি মনে করো আবুলকে বরখাস্ত করার সিদ্ধান্তটি সঠিক ছিল? ব্যাখ্যা করো। ৩
ঘ. উদ্ভ‚ত পরিস্থিতিটি সমাধানে মি. তৌহিদের করণীয় ব্যাখ্যা ও বিশ্লেষণ করো। ৪
১৫ নং প্রশ্নের উত্তর
ক উত্তরঃ কোনো কাজের নির্দিষ্ট নিয়ম-কানুন বা পথনির্দেশিকাকে ঐ কাজের নীতি বলে।
খ উত্তর: ব্যবস্থাপনার মৌলিক কাজগুলো ধারাবাহিকভাবে পরপর চলতে থাকাকে বলে ব্যবস্থাপনা চক্র।
ব্যবস্থাপনার প্রতিটি মৌলিক কার্যই ধারাবাহিকভাবে চলতে থাকে। অর্থাৎ ব্যবস্থাপনা প্রক্রিয়া পরিকল্পনার মাধ্যমে শুরু হয়ে পর্যায়ক্রমে চলতে চলতে নিয়ন্ত্রণের মাধ্যমে শেষ হয় এবং পুনরায় পরিকল্পনার মাধ্যমে শুরু হয়।
এ চক্রাকারে আবর্তিত হওয়াকেই ব্যবস্থাপনা চক্র বলে। ব্যবস্থাপনা চক্রে ধারাবাহিকভাবে পরিকল্পনা, সংগঠিতকরণ, কর্মীসংস্থান, নির্দেশনা, প্রেষণা, সমন্বয়সাধন এবং সর্বশেষ নিয়ন্ত্রণে গিয়ে শেষ হয়।
গ উত্তর: উদ্দীপকে নিদের্শনার ঐক্য বজায় না থাকায় আবুলকে বরখাস্ত করার সিদ্ধান্তটি সঠিক ছিল না বলেই আমি মনে করি।
নির্দেশনার ঐক্যে একজন কর্মীকে একই সময়ে একটি কাজের নির্দেশ দেওয়া হয়। ঐক্য বজায় না থাকলে কাজে বিশৃঙ্খলা দেখা দেয়।
আবুল ফ্যাক্স পাঠাতে দেরি করায় একটি বিদেশি অর্ডার বাতিল হয়ে যায়। এতে করে মি. তৌহিদ তাকে বরখাস্ত করেন। কিন্তু আবুলের এক্ষেত্রে দোষ ছিল না। তাকে নির্দেশদানের ক্ষেত্রে মি. তৌহিদ নির্দেশনার ঐক্য নীতিটি মানেন নি।
এক্ষেত্রে আবুলকে তিনি একই সাথে দুটি কাজের নির্দেশ দিয়েছেন। এতে নির্দেশনার ঐক্য লঙ্ঘিত হয়েছে। তাই, আবুল নির্দেশ পালনে ব্যর্থ হবার জন্য তাকে বহিষ্কার করা সঠিক হয়নি বলে আমি মনে করি।
ঘ উত্তর: উদ্দীপকে উদ্ভ‚ত পরিস্থিতি সমাধানে মি. তৌহিদের উচিত ছিল নির্দেশনার ঐক্য নীতিটি মেনে চলা।
নির্দেশনার ঐক্য নীতিতে একজন কর্মীকে একটি নির্দেশ দেওয়া হয়। অর্থাৎ একজন কর্মীকে একই সময়ে দুই ধরনের কাজের নির্দেশ দেওয়া যাবে না।
মি. তৌহিদ অফিসের পিয়ন আবুলকে গুরুত্বপূর্ণ ডকুমেন্ট জরুরি ভিত্তিতে ফ্যাক্স করার জন্য বাইরে পাঠান। উক্ত কাজ শেষ করার আগেই প্রতিষ্ঠানটির চেয়ারম্যান এলে মি. তৌহিদ আবুলকে অফিসে ফিরিয়ে আনেন। তিনি আবুলকে চেয়ারম্যানের আপ্যায়নের ব্যবস্থা করতে বলেন।
এতে আবুল সঠিক সময়ে ফ্যাক্স করতে পারে না। ফলে বিদেশি অর্ডার বাতিল হয়ে যায়। এতে ক্ষিপ্ত হয়ে আবুলকে বহিষ্কার করা হয়।
মি. তৌহিদ এ পরিস্থিতি সহজেই এড়াতে পারতেন। তিনি চেয়ারম্যান সাহেবের আপ্যায়নের জন্য নতুন একজন পিয়নকে দায়িত্ব দিতে পারতেন। এতে করে আবুল ফ্যাক্স পাঠাতে পারতো এবং অন্যদিকে চেয়ারম্যান সাহেবের আপ্যায়নও হতো।
সুতরাং, নির্দেশনার ঐক্য নীতি মেনেই মি. তৌহিদ পরিস্থিতি সামলাতে পারতেন।