ব্যবসায় সংগঠন ও ব্যবস্থাপনা ২য় | অধ্যায় ৯ | সৃজনশীল প্রশ্ন ১৬-২০: ব্যবসায় সংগঠন ও ব্যবস্থাপনা ২য় পত্রের নবম অধ্যায়ের গুরুত্বপূর্ণ সব কমন উপযোগী সৃজনশীল প্রশ্ন ও উত্তর গুলো আমাদের এই পোস্টে পাবেন।
প্রিয় ছাত্র ছাত্রী বন্ধুরা আল্লাহর রহমতে সবাই ভালোই আছেন । এটা জেনে আপনারা খুশি হবেন যে, আপনাদের জন্য ব্যবসায় সংগঠন ও ব্যবস্থাপনা ২য় পত্রের নবম অধ্যায়ের গুরুত্বপূর্ণ সব কমন উপযোগী সৃজনশীল প্রশ্ন ও উত্তর গুলো নিয়ে আলোচনা করতে যাচ্ছি ।
সুতরাং সম্পূর্ণ পোস্টটি মনোযোগ সহকারে পড়ুন। আর এইচ এস সি- HSC এর যেকোন বিভাগের গুরুত্বপূর্ণ সকল সাজেশন পেতে জাগোরিকের সাথে থাকুন।
প্রশ্নঃ ১৫ জনাব দুলাল মিঞা দুলালী টেক্সটাইল মিলের প্রধান নির্বাহী হিসেবে ঢাকা থেকে বদলি হয়ে আসেন। একটি বিভাগের পরিবর্তন অন্য বিভাগের সাথে সম্পর্কযুক্ত। এটি বিবেচনা না করে তিনি গণবদলি করেন। ফলে বিভিন্ন বিভাগের দক্ষ ও অদক্ষ কর্মীদের মধ্যে ক্ষোভ দেখা দেয়। তিন মাসের মধ্যে উৎপাদন হ্রাস পায়। [ব. বো. ১৬]
ক. সমন্বয়সাধন কী? ১
খ. স্বেচ্ছামূলক সমন্বয় বলতে কী বোঝায়? ২
গ. উদ্দীপকে বর্ণিত মি. দুলাল মিঞা বদলির ক্ষেত্রে সমন্বয়ের কোন নীতি লঙ্ঘন করেছেনে? ব্যাখ্যা করো। ৩
ঘ. দুলালী টেক্সটাইল মিলের স্বাভাবিক অবস্থা ফিরিয়ে আনতে করণীয় কী আলোচনা করো। ৪
১৫ নং প্রশ্নের উত্তর
ক উত্তরঃ কোনো প্রতিষ্ঠান তার লক্ষ্য অর্জনের জন্য বিভিন্ন বিভাগ, উপবিভাগ ও ব্যক্তিক প্রচেষ্টাকে ঐক্যবদ্ধ, সুসংহত ও সংযুক্ত করার প্রক্রিয়াকে সমন্বয়সাধন বলে।
খ উত্তরঃ কর্মীরা নিজে থেকেই যদি সমন্বয়সাধন কার্যসম্পাদন করেন, তবে সেটাকে স্বেচ্ছামূলক সমন্বয়সাধন বলে। এ ধরনের সমন্বয়ে কর্মীরা নিজ থেকেই বিভিন্ন বিষয় নিয়ে একে অপরের সাথে যোগাযোগ করে সমস্যা সমাধান করেন। বিভিন্ন বিভাগ ও উপবিভাগের মধ্যে এরূপ যোগাযোগ থাকলে সমন্বয়সাধনে সময়ের অপচয় রোধ করা যায়।
গ উত্তরঃ দুলালী টেক্সটাইলে কর্মী বদলির ক্ষেত্রে ভারসাম্যের নীতি লঙ্ঘিত হয়েছে।ভারসাম্যের নীতি বলতে প্রতিষ্ঠানের বিভিন্ন ব্যক্তি ও বিভাগের কাজের মধ্যে সমতা বিধানের আদর্শকে বোঝায়। প্রতিটি বিভাগ ও উপবিভাগের কাজে যদি ভারসাম্য স্থাপন করা যায় তবে সমন্বয় অনেক সহজ হয়।
এতে সব বিভাগের কাজ সমান তালে এগিয়ে নেওয়া যায়।উদ্দীপকের জনাব দুলাল মিয়া দুলালী টেক্সটাইল মিলের একজন প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা। প্রতিষ্ঠানটির একটি বিভাগের কাজের সাথে অন্য বিভাগের কাজ সম্পর্কযুক্ত। কোনো বিভাগের কাজে বিঘœ ঘটলে তার প্রভাব অন্য সব বিভাগের ওপর পড়ে ।
এটি বিবেচনা না করেই উক্ত প্রতিষ্ঠানের মানবসম্পদ বিভাগ কর্মীদের গণবদলি করে। এতে বিভিন্ন বিভাগে কর্মীসংখ্যার হ্রাস-বৃদ্ধি ঘটে। কোনো বিভাগে কাজের তুলনায় কর্মীসংখ্যা বেশি।
আবার কোনো বিভাগে কাজের তুলনায় কর্মীসংখ্যা কম। ফলে সব বিভাগের কাজ ভারসাম্যপূর্ণভাবে সম্পন্ন হয় না। তাই বলা যায়, দুলালী টেক্সটাইল মিলে কর্মী বদলিতে সমন্বয়ের ভারসাম্যের নীতি লঙ্ঘিত হয়েছে।
ঘ উত্তরঃ সুষ্ঠু সমন্বিত ব্যবস্থার অভাবই দুলালী টেক্সটাইলের উৎপাদনের অন্তরায় বক্তব্যটি যৌক্তিক। সমন্বয় বিভিন্ন ব্যক্তি ও বিভাগের কাজকে একসূত্রে গ্রথিত করে। একটি প্রতিষ্ঠানে বিভিন্ন ব্যক্তি ও বিভাগ কাজ করে। এজন্য সব বিভাগের কাজের মধ্যে সমন্বয় থাকা আবশ্যক। সুষ্ঠু সমন্বয়ের ব্যবস্থা থাকলে প্রতিষ্ঠানের কাজ ঠিক সময়ে সম্পন্ন করা যায়। এতে প্রতিষ্ঠানের লক্ষ্য অর্জন সহজ হয়।
উদ্দীপকে দুলালী টেক্সটাইল মিলের মানবসম্পদ বিভাগ কোনো রকম বিচার বিবেচনা ছাড়াই বিভিন্ন বিভাগ থেকে কর্মীদের গণবদলি করে। এতে বিভাগগুলোর কর্মীসংখ্যার হ্রাস-বৃদ্ধি ঘটে। ফলে সমন্বয়ের অভাবে উক্ত প্রতিষ্ঠানে কয়েক মাসের মধ্যে উৎপাদন হ্রাস পায়।
কিন্তু মানবসম্পদ বিভাগ যদি কর্মী বদলির ক্ষেত্রে বিভিন্ন বিভাগের প্রয়োজন ও বাস্তবতা নিশ্চিত করতো তাহলে এমনটি হতো না। কারণ গণবদলির ফলে বিভাগগুলোতে কর্মীর সংখ্যা প্রয়োজনের তুলনায় কম বা বেশি হয়েছে।
এতে বিভাগসমূহের কাজের মধ্যে সুষ্ঠু সমন্বয় হচ্ছে না। ফলে প্রতিষ্ঠানের উৎপাদনের পরিমাণ কমে যায়। তাই বলা যায়, সুষ্ঠু সমন্বিত ব্যবস্থার অভাবে দুলালী টেক্সটাইলের উৎপাদনের পরিমাণ হ্রাস পেয়েছে।
প্রশ্নঃ ১৬ জনাব হাসান একটি প্রতিষ্ঠানের ঊর্ধ্বতন পদে কর্মরত। তার প্রতিষ্ঠানের সংগঠন কাঠামোতে কিছু বিষয়ে অস্পষ্টতা রয়েছে। অনেক সময় অধস্তনরা কে কার কাছ থেকে নির্দেশনা নেবে, তা বুঝতে না পারায় সরাসরি মহাব্যবস্থাপকের কাছে দৌড়াচ্ছে। মহাব্যবস্থাপক কাজে ভারাক্রান্ত হওয়ায় ঠিকমতো প্রতিষ্ঠান পরিচালনা করতে পারছেন না। তাছাড়া বিভিন্ন বিভাগের কাজে সমন্বয়ের অভাব দেখা যাচ্ছে। মহাব্যবস্থাপক এই অবস্থা থেকে উত্তরণের জন্যে সংগঠন কাঠামো পরিবর্তনের চিন্তা করছেন। [রাজউক উত্তরা মডেল কলেজ, ঢাকা]
ক. মেট্রিক্স সংগঠন কী? ১
খ. নেতৃত্ব ছাড়া দলবদ্ধ প্রচেষ্টা অসম্ভব কেন? ব্যাখ্যা করো। ২
গ. উদ্দীপকে সমন্বয়ের কোন নীতির অভাবে অধস্তনরা সরাসরি মহাব্যবস্থাপকের কাছে যাচ্ছেন? ব্যাখ্যা করো। ৩
ঘ. উক্ত নীতি অনুসরণ করলে প্রতিষ্ঠানের সবকিছু ঠিকমত চলবে-তুমি কি সমর্থন করো? উত্তরের সপক্ষে যুক্তি দাও। ৪
১৬ নং প্রশ্নের উত্তর
ক উত্তরঃ কার্যভিত্তিক যেমন: বিক্রয় ও দ্রব্যভিত্তিক যেমন: কসমেটিকস্ বিভাগীয়করণের সমন্বয়ে গঠিত সংগঠনকেই মেট্রিক্স সংগঠন বলে।
খ উত্তরঃ অধীনস্থদের প্রভাবিত করে তাদের সর্বাধিক সামর্থ্যকে প্রতিষ্ঠানের লক্ষ্য অর্জনের কাজে লাগানোর কৌশলকে নেতৃত্ব বলে। নেতৃত্ব ব্যবস্থায় নেতার মূল কাজ হলো অধীনস্থদের দলীয় প্রচেষ্টাকে প্রতিষ্ঠানের লক্ষ্যের দিকে পরিচালনা করা।
নেতৃত্বের মান দুর্বল হলে কর্মীরা নেতাকে অযোগ্য মনে করে। এতে দলগত প্রচেষ্টা ব্যাহত হয়। কর্মীরা পথভ্রষ্ট হয়। ফলে বিশৃঙ্খলার সৃষ্টি হয়। সুতরাং নেতৃত্ব ছাড়া দলবদ্ধ প্রচেষ্টা অসম্ভব।
গ উত্তরঃ উদ্দীপকে সমন্বয়ের প্রত্যক্ষ যোগাযোগের নীতির অভাবে অধস্তনরা সরাসরি মহাব্যবস্থাপকের কাছে যাচ্ছে। বিভিন্ন বিভাগ, উপবিভাগ ও ব্যক্তির মধ্যে সরাসরি যোগাযোগ প্রতিষ্ঠা করার নীতিই হলো প্রত্যক্ষ যোগাযোগের নীতি। এর মাধ্যমে কর্মী তাদের দায়-দায়িত্ব সম্পর্কে স্পষ্ট ধারণা পায়। কে কার সাথে প্রত্যক্ষভাবে সম্পৃক্ত থাকবে তা-ও নীতি থেকে জানা যায়।
উদ্দীপকে জনাব হাসান একটি প্রতিষ্ঠানের ঊর্ধ্বতন পদে কর্মরত। তার প্রতিষ্ঠানের সংগঠন কাঠামোতে দায়-দায়িত্বের বিষয়ে অস্পষ্টতা রয়েছে। তাই অধস্তনরা কার কাছ থেকে নির্দেশনা পাবে তা বুঝতে পারে না। তারা নির্দেশনার জন্য সরাসরি মহাব্যবস্থাপকের কাছে যাচ্ছে।
যদি উক্ত প্রতিষ্ঠানের সংগঠন কাঠামোর নির্বাহীদের সাথে কর্মীদের প্রত্যক্ষ যোগাযোগ থাকতো, তাহলে তাদের মহাব্যবস্থাপকের কাছে যেতে হতো না। সুতরাং প্রত্যক্ষ যোগাযোগের নীতির অভাবে প্রতিষ্ঠানটির অধস্তনরা সঠিক নির্দেশনা পাচ্ছেন না।
ঘ উত্তরঃ প্রত্যক্ষ যোগাযোগের নীতি অনুসরণ করলে প্রতিষ্ঠানের কার্যক্রম ঠিকভাবে চলবে বলে আমি মনে করি। এ নীতিতে প্রতিষ্ঠানের কর্মীদের মধ্যে সরাসরি যোগাযোগ ব্যবস্থা সৃষ্টি হয়। ফলে নিভুৃল তথ্যের সরবরাহ হয়। কর্মীরা নিজেরাই নিজেদের মধ্যে সমন্বয় করে কাজ এগিয়ে নিতে পারে।
জনাব হাসানের প্রতিষ্ঠানের সংগঠন কাঠামোতে দায়িত্ব ও কর্তৃত্বের বিষয়ে অস্পষ্টতা রয়েছে। এতে অধস্তনরা কে কার কাছ থেকে নির্দেশনা নেবে, তা তারা বুঝতে পারছেন না। তাই তারা সরাসরি মহাব্যবস্থাপকের কাছে যাচ্ছে।
মহাব্যবস্থাপকের কাজের চাপ বেশি হওয়ায় ঠিকমতো প্রতিষ্ঠান পরিচালনা করতে পারছেন না। এছাড়া বিভিন্ন বিভাগের কাজে সমন্বয়ের অভাব দেখা দিয়েছে। তাই মহাব্যবস্থাপক এ সমস্যা সমাধানের জন্য সংগঠন কাঠামোতে পরিবর্তন আনার চিন্তা করছেন।
উদ্দীপকের মহাব্যবস্থাপক যদি প্রত্যক্ষ যোগাযোগের নীতি বাস্তবায়ন করতে পারেন, তবে প্রতিষ্ঠানের কার্যক্রম ঠিকমতো চলার সম্ভাবনা রয়েছে। এ নীতি অনুযায়ী সব বিভাগের মধ্যে সরাসরি যোগাযোগ প্রতিষ্ঠা হলে কর্মীরা নিজেরাই নিজেদের প্রয়োজনীয় সমন্বয় করে এগিয়ে নিতে পারবেন।
কিন্তু যদি মহাব্যবস্থাপকের মাধ্যমে যোগাযোগ প্রতিষ্ঠা করতে হয়, তবে সমন্বয়ে বিলম্ব ও সমস্যা দেখা দিবে। তাই প্রতিষ্ঠানের কাজ ঠিকভাবে পরিচালিত করতে নির্বাহী ও কর্মীদের মধ্যে প্রত্যক্ষ যোগাযোগ প্রতিষ্ঠা করতে হবে।
- উত্তর ডাউনলোড করুন> (১ম পত্র) ব্যবসায়ের মৌলিক ধারণা ১ম পত্র সৃজনশীল প্রশ্ন
- উত্তর ডাউনলোড করুন>(১ম পত্র)১ম: ব্যবসায়ের মৌলিক ধারণা প্রশ্ন উত্তরসহ PDF
- উত্তর ডাউনলোড করুন> HSC ব্যবসায়ের মৌলিক ধারণা প্রশ্নের উত্তরসহ অধ্যায়-১: PDF
- উত্তর ডাউনলোড করুন> HSC অধ্যায়-১: প্রশ্নের উত্তরসহ ব্যবসায়ের মৌলিক ধারণা PDF
- উত্তর ডাউনলোড করুন>অধ্যায়৩: SSC ফিন্যান্স ও ব্যাংকিং‘র সৃজনশীল প্রশ্নোত্তর PDF
- উত্তর ডাউনলোড করুন> অধ্যায়৩: SSC ফিন্যান্স ও ব্যাংকিং‘র জ্ঞানমূলক প্রশ্নোত্তরPDF
প্রশ্নঃ ১৭ ‘তাজ কোম্পানির’ বোর্ড সভায় কোম্পানির পরবর্তী বছরের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করে তা বিভাগীয় ব্যবস্থাপকদের অবহিত করা হয়। বিভাগীয় ব্যবস্থাপকগণ নিজ নিজ বিভাগের পরিকল্পনা করলেও আন্তঃবিভাগীয় পরিকল্পনায় পারস্পরিক সংহতির অভাবে বিশৃঙ্খলা দেখা দেয়। বিষয়টি বোর্ডের নজরে আসলে উৎপাদন ব্যবস্থাপককে প্রধান করে বিভাগীয় কর্মকাণ্ডের মধ্যে সংহতি রক্ষার জন্য একটি স্থায়ী কমিশন গঠন করে দেয়। [ভিকারুননিসা নূন স্কুল এন্ড কলেজ, ঢাকা]
ক. সমন্বয় কী? ১
খ. সমন্বিত পরিকল্পনা সমন্বয়ের কাজকে কী সহজ করে? বুঝিয়ে লেখো। ২
গ. উদ্দীপকের কোম্পানিতে সমন্বয়ের কোন নীতি অনুসৃত না হওয়ার কারণে বিশৃঙ্খলা দেখা দেয়? ব্যাখ্যা করো। ৩
ঘ. “বোর্ড কর্তৃক স্থায়ী কমিশন গঠন করায় ভবির্ষতে বিশৃঙ্খলা হ্রাস পাবে।” এবিষয়ে তুমি কি একমত যুক্তিসহ মূল্যায়ন করো। ৪
১৭ নং প্রশ্নের উত্তর
ক উত্তরঃ প্রতিষ্ঠানের লক্ষ্য অর্জনের জন্য প্রতিষ্ঠনে নিয়োজিত ব্যক্তি ও বিভাগের কাজকে একত্রে সংযুক্ত করাই হলো সমন্বয়।
খ উত্তরঃ সমন্বিত পরিকল্পনা হলো সব ক্রয়, বিক্রয়, উৎপাদন, বিপণন, হিসাব বিভাগের মধ্যে দৃঢ় সম্পর্ক প্রতিষ্ঠার জন্য পরিকল্পনা প্রণয়ন করা। লক্ষ্য অর্জনের জন্য একটি প্রতিষ্ঠানে যতগুলো বিভাগ থাকে সব বিভাগ মিলেই পরিকল্পনা গ্রহণ করে। বিভাগগুলোর প্রধানগণ প্রয়োজনে একসাথে বসে পরিকল্পনা নিয়ে আলোচনা করেন। এতে কার্যক্ষেত্রে বিশৃঙ্খলার সম্ভাবনা কমে এবং সম্বন্বয়ের কাজ সহজ হয়।
গ উত্তরঃ উদ্দীপকের কোম্পানিতে সমন্বয়ের ‘উদ্দেশ্যের ঐক্যনীতি’ অনুসরণ না করায় বিশৃঙ্খলা দেখা দেয়।এ নীতি অনুযায়ী প্রতিষ্ঠানের ব্যক্তি, বিভাগ ও উপবিভাগের উদ্দেশ্যের ঐক্য সৃষ্টি করা হয়। উদ্দেশ্য এক না হলে সফলতা অর্জন করা সম্ভব নয়। এছাড়া এ নীতির অভাবে বিশৃঙ্খলার সৃষ্টি হয়।
উদ্দীপকে “তাজ কোম্পানি” বোর্ড সভায় পরবর্তী বছরের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করে। এ বিষয়ে বিভাগীয় ব্যবস্থাপকদের অবহিত করা হয়। বিভাগীয় ব্যবস্থাপকগণ নিজ নিজ বিভাগের পরিকল্পনা করলেও আন্তঃবিভাগগুলোর পরিকল্পনায় সংহতি স্থাপনের কোনো উদ্যোগ নেয় নি। এ কারণে বিভাগ, উপবিভাগুলোর কাজের মধ্যে অসমতার সৃষ্টি হয়। বিভাগগুলোর মধ্যে উদ্দেশ্যের ঐক্য থাকলে বিশৃঙ্খলা তৈরি হতো না।
ঘ উত্তরঃ বোর্ড কর্তৃক স্থায়ী কমিশন গঠন করায় ভবিষ্যতে বিশৃঙ্খলা কমবে বলে আমি মনে করি। সাধারণত প্রতি¯¤ানে কোনো বিশেষ সমস্যা দেখা দিলে কমিটি গঠন করা হয়। কমিটির ব্যক্তিবর্গ সম্মিলিতভাবে আলাপ আলোচনা করে সিদ্ধান্ত গ্রহণ করেন। এতে কাজে শৃঙ্খলা বজায় থাকে।
উদ্দীপকে তাজ কোম্পানির বিভিন্ন (ক্রয়, বিক্রয়, উৎপাদন) বিভাগের উদ্দেশ্যের অসামঞ্জস্যতার কারণে বিশৃঙ্খলার সৃষ্টি হয়। বিষয়টি বোর্ডের নজরে এলে বোর্ড উৎপাদন বিভিাগের ব্যবস্থাপককে প্রধান ও অন্য বিভাগের প্রধানদের সদস্য করে একটি স্থায়ী কমিটি গঠন করেন।
উদ্দীপকের কোম্পানির কমিটির সদস্যরা প্রথমে প্রতিষ্ঠানে বিশৃঙ্খলার কারণ নির্ণয় করবেন। এরপর উক্ত বিশৃঙ্খলা সমাধানে প্রয়োজনীয় পরামর্শ দেবেন। পরবর্তীতে এমন পরিস্থিতি যেন আর সৃষ্টি না হয় এজন্য ব্যবস্থাপকদের করণীয় নির্ধারণ করে দেবেন। এভাবেই, সমন্বয় কমিটির মাধ্যমে কোম্পানিটিতে ভবিষ্যতে বিশৃঙ্খলা হ্রাস পাবে।
প্রশ্নঃ ১৮ ‘মায়ার টেক্সটাইল লিমিটেড মাসে ৩০ হাজার মিটার কাপড় উৎপাদনের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করে। প্রথম ১০ দিনে ১২ হাজার মিটার কাপড় উৎপাদন করা গেলেও ৩০ দিনে দেখা গেল ২৯ হাজার মিটার কাপড় উৎপন্ন হয়েছে। এ ব্যর্থতা কাটিয়ে উঠতে ভবিষ্যতে প্রতিষ্ঠানটি সব বিভাগের কাজের মধ্যে সমতা রাখার চিন্তা করছে।
[আইডিয়াল স্কুল অ্যান্ড কলেজ, মতিঝিল, ঢাকা]
ক. সমন্বয় কী? ১
খ. কার্যকর সমন্বয়ের ক্ষেত্রে ঐক্য স্থাপন জরুরি কেন? ২
গ. কোন নীতির অবর্তমানে ‘মায়ার টেক্সটাইল লিমিটেড’ উৎপাদনের লক্ষ্যমাত্রা অর্জনে ব্যর্থ হয়? ব্যাখ্যা করো। ৩
ঘ. ভবিষ্যতে প্রত্যাশিত ফলাফল অর্জনে মায়ার টেক্সটাইল লিমিটেডকে তুমি কী পরামর্শ দেবে? অভিমত দাও। ৪
১৮ নং প্রশ্নের উত্তর
ক উত্তরঃ প্রতিষ্ঠানের সব বিভাগ, উপবিভাগ ও ব্যক্তির কাজের মধ্যে যোগসূত্র স্থাপন করার প্রক্রিয়াই সমন্বয়।
খ উত্তরঃ প্রতিষ্ঠানের লক্ষ্য অর্জনের জন্য কার্যকর সমন্বয়ের ক্ষেত্রে ঐক্য স্থাপন অত্যন্ত জরুরি। কোনো প্রতিষ্ঠানের লক্ষ্য অর্জনের জন্য বিভিন্ন বিভাগ, উপবিভাগ ও ব্যক্তিক প্রচেষ্টাকে ঐক্যবদ্ধ করার প্রক্রিয়াই সমন্বয়সাধন।
সব বিভাগে ও কর্মীদের কাজের মধ্যে ঐক্য থাকলে তা সহজেই সম্পাদন করা যায়। কোনো বিশৃঙ্খলার সৃষ্টি হয় না। কর্মীরা ঐক্যবদ্ধ হয়ে কাজ করার উৎসাহ পায়। ফলে লক্ষ্য অর্জন সহজতর হয়।
গ উত্তরঃ সমন্বয়ের ধারাবাহিকতার নীতির (চৎরহপরঢ়ষব ড়ভ ঈড়হঃরহঁরঃু) অভাবে “মায়ার টেক্সটাইল লিমিটেড” উৎপাদনের লক্ষ্যমাত্রা অর্জনে ব্যর্থ হয়।ধারাবাহিকতার নীতির আলোকে যেকোনো কাজ শুরু থেকে শেষ পর্যন্ত পর্যায়ক্রমে বিরামহীনভাবে সম্পন্ন করা হয়।
এ নীতি প্রতিষ্ঠানের উৎপাদন প্রক্রিয়ায় ধারাবাহিকতা বজায় রাখার মাধ্যমে উৎপাদন কাজ ত্বরান্বিত করে।উদ্দীপকে মায়ার টেক্সটাইল লিমিটেড মাসে ৩০ হাজার মিটার কাপড় উৎপাদনের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করে। প্রথম ১০ দিনে ১২ হাজার মিটার কাপড় উৎপাদন করে।
প্রতিষ্ঠানটি ধারাবাহিকতা রক্ষা করতে পারলে মাস শেষে ৩০ হাজার মিটার উৎপাদন করতে পারতো। কিন্তু প্রতিষ্ঠানটি মাত্র ২৯ হাজার মিটার কাপড় উৎপাদন করতে পারে।
প্রতিষ্ঠানটি শুরু থেকে শেষ পর্যন্ত অবিরাম গতিতে উৎপাদন কাজ চালাতে পারে নি। সুতরাং বলা যায়, মায়ার টেক্সটাইল লিমিটেড ধারাবাহিকতার নীতির অভাবে উৎপাদনের লক্ষ্যমাত্রা অর্জন করতে পারেনি।
ঘ উত্তরঃ ভবিষ্যতে প্রতাশিত ফলাফল অর্জনে মায়ার টেক্সটাইল লিমিটেডকে আমি ভারসাম্যের নীতি অনুসরণ করার পরামর্শ দেব। সমন্বয় প্রক্রিয়া কার্যকর করতে প্রতিষ্ঠানের সব বিভাগ, উপবিভাগ বা শাখা পর্যায়ে বণ্টিত কাজের মধ্যে সমতা বজায় রাখতে হয়। ব্যক্তি ও কাজের মধ্যে সমতা বিধানের এ নীতিই ভারসাম্যের নীতি।
“মায়ার টেক্সটাইল লিমিটেড” এর উৎপাদনের লক্ষ্যমাত্রা ছিল ৩০ হাজার মিটার কাপড়। প্রতিষ্ঠানটি প্রথম ১০ দিনে ১২ হাজার মিটার কাপড় উৎপাদন করে। কিন্তু মাস শেষে ২৯ হাজার মিটার কাপড় উৎপাদন করতে পারে, যা লক্ষ্যমাত্রা থেকে ১০০০ মিটার কম।
উদ্দীপকে প্রতিষ্ঠানটি ভবিষ্যতে উৎপাদন ব্যর্থতা কাটিয়ে উঠতে সব বিভাগের কাজের মধ্যে সমতা রাখার চিন্তা করছে। প্রতিষ্ঠানটি শুরু থেকেই কাজের ভারসাম্য রক্ষা করতে পারলে, উৎপাদনের লক্ষ্যমাত্রা অর্জন করা সম্ভব হবে। এক্ষেত্রে যদি উৎপাদন বিভাগে কর্মীর সংখ্যা কম থাকে, তাহলে অতিরিক্ত কর্মী নিয়োগ করতে হবে।
তাছাড়া সব বিভাগের কাজ একই গতিতে এগুচ্ছে কিনা, তা নিয়মিত তদরকি করতে হবে। সব বিভাগের কাজের পরিমাণ ও কর্মীর সংখ্যায় ভারসম্যতা নিশ্চিত করতে হবে। এভাবে “মায়ার টেক্সটাইল লিমিটেড” ভারসাম্যের নীতি অনুসরণ করলে ভবিষ্যতে প্রত্যাশিত ফলাফল অর্জন করতে পারবে।
HSC ব্যবসায় সংগঠন ও ব্যবস্থাপনা ২য় পত্রপ্রশ্নঃ ১৯ ‘পাদুকা’ একটি স্বনামধন্য জুতার ব্রাণ্ড। ইদানীং তাদের কারখানার শ্রমিকদের মধ্যে অসন্তোষ দেখা দিয়েছে। প্রায়ই দেখা যায় মার্কেটিং বিভাগের কর্মীরা সারাক্ষণই কর্মব্যস্ত, মাঝে মাঝে অফিস টাইমের পরেও তাদেরকে কাজ করতে হচ্ছে। অপরদিকে উৎপাদন বিভাগের কর্মীদের কর্মব্যস্ততা নেই। অনেক সময় গল্প গুজব করেই তারা সময় কাটায়। অনেকে আবার অফিস টাইমের আগেই চলে যায়, যা অন্য বিভাগের কর্মীদের শ্রম-অসন্তোষের একটা কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে।
[নটর ডেম কলেজ, ঢাকা]
ক. সমন্বয়সাধন বলতে কী বুঝ? ১
খ. ভুল-বোঝাবুঝির অবসানে লিখিত যোগাযোগ গুরুত্বপূর্ণ কেন? ২
গ. উদ্দীপকে উলিখিত মার্কেটিং বিভাগের কর্মীদের মধ্যে শ্রম-অসন্তোষের জন্য সমন্বয়ের কোন নীতিটি দায়ী বলে তুমি মনে করো? ব্যাখ্যা করো। ৩
ঘ. তুমি কী মনে করো সঠিক সমন্বয়সাধনই একটি প্রতিষ্ঠানের লক্ষ্য অর্জন সঠিকভাবে নিশ্চিত করতে পারে। উদ্দীপকের আলোকে তোমার মতামত দাও। ৪
১৯ নং প্রশ্নের উত্তর
ক উত্তরঃ প্রতিষ্ঠানের লক্ষ্য অর্জনের জন্য এর বিভিন্ন বিভাগ, উপবিভাগ ও ব্যক্তিক প্রচেষ্টাকে ঐক্যবদ্ধ করার প্রক্রিয়াকে সমন্বয় সাধন বলে।
খ উত্তরঃ লিখিত যোগাযোগ হলো শব্দ বা বাক্য লিখে মনের ভাব প্রকাশ ও তথ্য বিনিময় করা। এর মাধ্যমে শব্দ ব্যবহার করে অর্থপূর্ণ সংবাদ লিখে তা প্রাপকের কাছে পাঠানো হয়।
সংবাদটি দলিল আকারে সংরক্ষিত থাকে। এছাড়া যোগাযোগের পক্ষসমূহের মধ্যে মতবিরোধ দেখা দিলে লিখিত সংবাদ প্রমাণ হিসেবে দেখানো যায়। ফলে, পক্ষগুলোর মধ্যে ভুল-বোঝাবুঝির অবসান হয়।
গ উত্তরঃ উদ্দীপকে উলিখিত মার্কেটিং বিভাগের কর্মীদের মধ্যে শ্রম অসন্তোষের জন্য সমন্বয়ের ভারসাম্যের নীতিটি দায়ী বলে আমি মনে করি। প্রতিষ্ঠানে কাজের পরিমাণ ও কর্মীর সংখ্যার মধ্যে সমতা বিধান করাই ভারসাম্যের নীতির কাজ।
কোনো বিভাগে যদি অতিরিক্ত দায়িত্ব প্রদান করা হয় তাহলে অতিরিক্ত কর্মীও নিয়োগ দিতে হবে। আবার কোনো বিভাগে প্রয়োজনের অতিরিক্ত কর্মী থাকলে তাদের অন্য বিভাগে স্থানান্তর করতে হবে।
উদ্দীপকে ‘পাদুকা’ একটি স্বনামধন্য জুতার ব্রাণ্ড। প্রতিষ্ঠানটিতে প্রায়ই দেখা যায়, মার্কেটিং বিভাগের কর্মীরা সব সময়ই কাজে ব্যস্ত থাকে। মাঝে মাঝে অফিস টাইমের পরেও তাদের কাজ করতে হয়। অন্যদিকে উৎপাদন বিভাগে কাজের চাপ অনেক কম।
তারা বেশিরভাগ সময়ই গল্প করে সময় কাটায়। তাই মার্কেটিং বিভাগের কর্মীদের মধ্যে অসন্তোষের সৃষ্টি হয়েছে। তাই বলা যায়, ভারসাম্য নীতি অনুসরণ করলে প্রতিষ্ঠানটিতে উক্ত পরিস্থিতির সৃষ্টি হতো না।
ঘ উত্তরঃ সঠিক সমন্বয়সাধনই একটি প্রতিষ্ঠানের লক্ষ্য অর্জন সঠিকভাবে নিশ্চিত করতে পারে বলে আমি মনে করি। প্রতিষ্ঠানে নিয়োজিত বিভিন্ন ব্যক্তি ও বিভাগের কাজকে একসূত্রে সংযুক্ত করার প্রক্রিয়াই সমন্বয়সাধান। এটি প্রতিষ্ঠানের সামগ্রিক কাজে গতিশীলতা আনে। ফলে মূল লক্ষ্য অর্জন সহজ হয়।
উদ্দীপকে ‘পাদুকা’ একটি স্বনামধন্য জুতার ব্রাণ্ড। বর্তমানে তাদের কারখানার মার্কেটিং বিভাগে কাজের চাপ অনেক বেশি দেখা যাচ্ছে। অন্য দিকে উৎপাদন বিভাগ প্রায়ই কাজের অভাবে অবসর সময় কাটাচ্ছে। এতে বিভাগের কর্মীদের মধ্যে শ্রম-অসন্তোষের সৃষ্টি হচ্ছে।
প্রতিষ্ঠানটি যদি শুরু থেকেই কাজের সমন্বয়সাধান করতো, তাহলে উক্ত অসন্তোষের সৃষ্টি হতো না। পাশাপাশি লক্ষ্য অর্জনও সহজ হতো। প্রতিষ্ঠানটিতে যদি সব বিভাগের কর্মীদের কাজ ঠিকভাবে ভাগ করে সমন্বয়সাধন করা যেত, তাহলে কর্মীদের মধ্যে সহযোগিতাপূর্ণ মনোভাবের সৃষ্টি হতো।
একে অন্যকে সাহায্যের মাধ্যমে দ্রুত কাজ শেষ করতে পারতো। এছাড়া কোনো সমস্যা হলে দ্রুত তার সমাধান করতে পারতো। ফলে প্রতিষ্ঠানের লক্ষ্য অর্জন নিশ্চিত হতো।
প্রশ্নঃ ২০ মি. জোসেফ তার প্রতিষ্ঠানে এমন এক সংগঠন কাঠামো গড়ে তুলেছেন যেখানে বিভিন্ন বিভাগের কাজের পরিমাণ ও কর্মী সংখ্যার কোনো মিল নেই। যে কারণে কোন বিভাগ কর্মভারাক্রান্ত আবার কোন বিভাগ কর্মহীন। ফলশ্র“তিতে কার্যক্ষেত্রে সমস্যার অন্ত নেই। তাই মি. জোসেফ একজন সাংগঠনিক বিশেষজ্ঞের সাথে আলোচনা করে জনবল পুনর্বিন্যাস করেন। এতে করে প্রতিটি বিভাগের বিভাগীয় প্রধান নিজ উদ্যোগে দলীয় প্রচেষ্ঠা জোরদার করে সবাইকে উৎসাহিত করেন। একান্ত প্রয়োজন হলে তিনি এক্ষেত্রে হস্তক্ষেপ করেন। [হলি ক্রস কলেজ,ঢাকা]
ক. সমন্বয়সাধন কী? ১
খ. কার্যকর যোগাযোগ ফলাবর্তন কেন প্রয়োজন? ব্যাখ্যা করো। ২
গ. মি. জোসেফ সমন্বয়ের কোন নীতি লঙ্ঘন করেছেন ব্যাখ্যা করো। ৩
ঘ. মি. জোসেফ পরবর্তীতে কার্যকর সমন্বয়ের যে পূর্বশর্ত অনুসরণ করেছেন তার কার্যকারিতা বিশ্লেষণ করো। ৪
২০ নং প্রশ্নের উত্তর
ক উত্তরঃ কোন প্রতিষ্ঠানের লক্ষ্য অর্জনের জন্য বিভিন্ন বিভাগ, উপবিভাগ ও ব্যক্তিক প্রচেষ্টাকে ঐক্যবদ্ধ করার প্রক্রিয়াকে সমন্বয়সাধন (ঈড়ড়ৎফরহধঃরড়হ) বলে।
খ উত্তরঃ ফলাবর্তন (ঋববফনধপশ) বলতে যোগাযোগকারী বা প্রেরকের সংবাদের বিপরীতে প্রাপকের প্রত্যুত্তর (জবংঢ়ড়হংব) বা মনোভাব প্রকাশকে বোঝায়।
এর মাধ্যমে প্রাপকের কাছে তথ্য বা সংবাদের বিষয়বস্তু স্পষ্ট হচ্ছে কিনা তা জানা যায় ও প্রাপকের মনোভাব বুঝা যায়। এতে যোগাযোগের উদ্দেশ্য অর্জিত হয়। তাছাড়া ফলাবর্তন যোগাযোগ প্রক্রিয়াকে গতিশীল রাখে। সুতরাং কার্যকরভাবে যোগাযোগ প্রক্রিয়া সম্পন্ন করার জন্য ফলাবর্তন আবশ্যক।
গ উত্তরঃ উদ্দীপকে মি. জোসেফ সমন্বয়ের ভারসাম্যের নীতি (চৎরহপরঢ়ষব ড়ভ ইধষধহপব) লঙ্ঘন করেছেন।
ভারসাম্যের নীতিতে প্রতিষ্ঠানের প্রতিটি বিভাগ, উপবিভাগ বা শাখা পর্যায়ে বণ্টিত কার্যাবলির মধ্যে সমতা বজায় রাখার ওপর গুরুত্ব দেওয়া হয়। যদি কোনো বিভাগকে সামর্থ্যরে তুলনায় অতিরিক্ত দায়িত্ব প্রদান করা হয়, তাহলে সেখানে অতিরিক্ত কর্মী নিয়োগ করতে হবে। কোথাও প্রয়োজনের অতিরিক্ত কর্মী থাকলে তাদের অন্য বিভাগে স্থানান্তর করতে হবে। এভাবে কাজ ও কর্মীর মধ্যে সমতা রক্ষা হবে।
উদ্দীপকে মি. জোসেফের প্রতিষ্ঠানে বিভিন্ন বিভাগের কাজের পরিমাণ ও কর্মী সংখ্যার মধ্যে কোনো মিল নেই। কোনো বিভাগে কাজের চাপ বেশি। আবার কোনো বিভাগে কাজের পরিমাণ কম। এতে কর্মী ও কাজের মধ্যে ভারসাম্যহীনতার সৃষ্টি হয়েছে। সুতরাং মি. জোসেফ ভারসাম্যের নীতি না মানায় প্রতিষ্ঠানের কর্মীরা কার্যক্ষেত্রে সমস্যার সম্মুখীন হচ্ছেন।
ঘ উত্তরঃ মি. জোসেফ পরবর্তীতে কার্যকর সমন্বয়ের স্বেচ্ছামূলক সমন্বয়সাধন পূর্বশর্তটি অনুসরণ করেছেন।
কর্মী নিজে থেকেই যে সমন্বয়সাধন করেন তাকে স্বেচ্ছামূলক সমন্বয় সাধন বলে। বিভিন্ন স্তরের নির্বাহী ও কর্মীর মধ্যে অনানুষ্ঠানিক সম্পর্ক তৈরি হলে স্বেচ্ছামূলক সমন্বয় ব্যবস্থায় উৎসাহিত হয়।
মি. জোসেফ প্রতিষ্ঠানে সমন্বয়ের ভারসাম্য নীতি লঙ্ঘন করেছেন। তাই লক্ষ্য অর্জনে কর্মীরা সমস্যার সম্মুখীন হচ্ছেন। পরবর্তীতে মি. জোসেফ একজন সাংগাঠনিক বিশেষজ্ঞের সাথে আলোচনা করে কাজ ও কর্মীর পুনর্বিন্যাস করেন। এতে প্রতিটি বিভাগের প্রধানগণ নিজ উদ্যোগে দলীয় প্রচেষ্টা জোরদার করে সবাইকে উৎসাহিত করেন।
মি. জোসেফ পরবর্তীতে স্বেচ্ছামূলক সমন্বয়সাধনে কর্মীদেরকে উৎসাহিত করেন। ফলে তারা নিজে থেকেই বিভিন্ন বিষয় নিয়ে একে অপরের সাথে যোগাযোগ করে সমস্যার সমাধান করতে পারবেন। এতে সময়ের অপচয় রোধ হবে। কর্মীদের মাঝে দলগত সুসম্পর্ক জোরদার হবে। এটি প্রতিষ্ঠানের লক্ষ্য অর্জন সহজ করবে।
উক্ত বিষয় সম্পর্কে কিছু জানার থাকলে কমেন্ট করতে পারেন।
আমাদের সাথে ইউটিউব চ্যানেলে যুক্ত হতে এখানে ক্লিক করুন এবং আমাদের সাথে ফেইজবুক পেইজে যুক্ত হতে এখানে ক্লিক করুন। গুরুত্বপূর্ণ আপডেট ও তথ্য পেতে আমাদের ওয়েবসাইটে ভিজিট করুন।