ব্যবসায় সংগঠন ও ব্যবস্থাপনা ২য় | অধ্যায় ৬ | সৃজনশীল প্রশ্নোত্তর ১১-১৫ | PDF: ব্যবসা ও ব্যবস্থাপনা ২য় পত্রের ষষ্ট অধ্যায়ের গুরুত্বপূর্ণ সব কমন উপযোগী সৃজনশীল প্রশ্ন ও উত্তর গুলো আমাদের এই পোস্টে পাবেন।
প্রিয় ছাত্র ছাত্রী বন্ধুরা আল্লাহর রহমতে সবাই ভালোই আছেন । এটা জেনে আপনারা খুশি হবেন যে, আপনাদের জন্য ব্যবসা ও ব্যবস্থাপনা ২য় পত্রের ষষ্ট অধ্যায়ের গুরুত্বপূর্ণ সব কমন উপযোগী সৃজনশীল প্রশ্ন ও উত্তর গুলো নিয়ে আলোচনা করতে যাচ্ছি ।
সুতরাং সম্পূর্ণ পোস্টটি মনোযোগ সহকারে পড়ুন। আর এইচ এস সি- HSC এর যেকোন বিভাগের গুরুত্বপূর্ণ সকল সাজেশন পেতে জাগোরিকের সাথে থাকুন।
প্রশ্নঃ ১১ ক্রয় ব্যবস্থাপক জনাব সাকিব প্রাতিষ্ঠানিক কাজে সিদ্ধান্ত গ্রহণে সংশ্লিষ্ট কর্মীদের মতামত গ্রহণ এবং প্রয়োজনীয় কর্তৃত্ব অধস্তনদের কাছে হস্তান্তর করেন। পক্ষান্তরে অর্থ বিভাগের ব্যবস্থাপক জনাব রিপন কারও সাথে পরামর্শ না করে নিজের মতো করে কাজ করেন। অধস্তনদের প্রয়োজনাতিরিক্ত আদেশ প্রদান, ভয়-ভীতি প্রদর্শন এবং অহেতুক তাদের কাজে হস্তক্ষেপ করেন। [ঢা. বো. ১৬]
ক. দায়িত্ব কী? ১
খ. কর্মী নির্বাচন বলতে কী বোঝায়? ব্যাখ্যা করো। ২
গ. জনাব রিপনের কোন ধরনের মনোভাব নেতৃত্ব বিকাশে সমস্যা সৃষ্টি করবে? ব্যাখ্যা করো। ৩
ঘ. জনাব সাকিব ও জনাব রিপনের নেতৃত্বের ধরনের তুলনামূলক বিশ্লেষণ করো। ৪
১১ নং প্রশ্নের উত্তর
ক উত্তরঃ সন্তোষজনকভাবে কোনো কাজ সম্পাদন করার বাধ্যবাধকতা বা কর্তব্যকে দায়িত্ব বলে।
খ উত্তরঃ চাকরিপ্রার্থীদের মধ্য থেকে প্রয়োজনীয় সংখ্যক যোগ্য কর্মী বাছাইয়ের কাজকে কর্মী নির্বাচন বলে।
কর্মী নির্বাচন প্রক্রিয়ায় সম্ভাব্য চাকরিপ্রার্থীদের আবেদনপত্র গ্রহণ, বাছাই, লিখিত ও মৌখিক পরীক্ষা গ্রহণ করা হয়।
প্রয়োজনে কর্মীদের যোগ্যতা, বুদ্ধিমত্তা পরীক্ষাও গ্রহণ করা হয়। এসব পরীক্ষার মাধ্যমে উপযুক্ত কর্মীকে বাছাই করে অন্য চাকরিপ্রার্থীদের বাদ দেওয়া হয়। এভাবে যোগ্য প্রার্থী নির্বাচন করা হয়।
গ উত্তরঃ উদ্দীপকে জনাব রিপনের স্বৈরতান্ত্রিক মনোভাব নেতৃত্ব বিকাশে সমস্যা সৃষ্টি করবে বলে আমি মনে করি।
নেতার নির্দেশ দানের পদ্ধতিই নেতৃত্ব। নেতৃত্ব সহজে বিকশিত করতে নেতার ইতিবাচক মনোভাব থাকতে হয়। স্বৈরতান্ত্রিক নেতৃত্বে নেতার অতিরিক্ত ক্ষমতা প্রদর্শনের মনোভাব নেতৃত্বকে বাধাগ্রস্ত করে।
উদ্দীপকে জনাব রিপন অর্থ বিভাগের ব্যবস্থাপক। তার মধ্যে ক্ষমতা প্রদর্শনের মানসিকতা রয়েছে। তিনি অধস্তনদের প্রয়োজনাতিরিক্ত নির্দেশ দান করেন। তিনি ভয়-ভীতির মাধ্যমে কাজ আদায় করেন। প্রয়োজন ছাড়াই তিনি অধস্তনদের কাজে হস্তক্ষেপ করেন।
তিনি বিভাগীয় প্রধান হিসেবে তার অধীনস্থ কর্মীদেরকে সবসময় জোরজবরদস্তি করেন। এতে কর্মীদের মনে বিরূপ প্রতিক্রিয়া সৃষ্টি হবে। কেউ কেউ বিদ্রোহ করতে পারে। এ ধরনের ক্ষমতা প্রদর্শনের মনোভাব জনাব রিপনকে আদর্শ নেতা হতে বাধাগ্রস্থ করবে।
ঘ উত্তরঃ উদ্দীপকের জনাব সাকিব গণতান্ত্রিক এবং জনাব রিপন স্বৈরতান্ত্রিক নেতৃত্ব অনুসরণ করেন।
কর্মীদের নির্দেশদানের মাধ্যমে লক্ষ্যের দিকে এগিয়ে নিয়ে যাওয়া হলো নেতৃত্ব। নেতৃত্ব স্থান, কাল, পাত্রভেদে ভিন্ন হয়ে থাকে। নেতৃত্বের অন্যতম দুটি ধরন হলো গণতান্ত্রিক ও স্বৈরতান্ত্রিক নেতৃত্ব।
উদ্দীপকে সাকিব সিদ্ধান্ত গ্রহণের ক্ষেত্রে কর্মীদের মতামত গ্রহণ করেন। সবচেয়ে বেশি কর্মী যে বিষয়ে মতামত প্রদান করেন তিনি সেই বিষয়টি গ্রহণ করেন। তিনি ক্ষমতা নিজের কাছে কেন্দ্রীভ‚ত না রেখে কর্মীদের মাঝেও হস্তান্তর করেন।
ফলে কর্মীরাও সন্তুষ্ট থাকে। অন্যদিকে জনাব রিপন এককভাবে সিদ্ধান্ত গ্রহণ করেন। তিনি গৃহীত সিদ্ধান্ত কর্মীদের ওপর চাপিয়ে দেন এবং জোর করে কাজ আদায় করেন।
জনাব সাকিবের নেতৃত্ব একটি উৎকৃষ্ট নেতৃত্ব। এতে সিদ্ধান্তের মান ভালো হয় এবং সবার অংশগ্রহণ নিশ্চিত করা যায়। কিন্তু জনাব রিপনের নেতৃত্বে কর্মীদের কোনো ভ‚মিকা থাকে না। রিপনই সর্বময় ক্ষমতার অধিকারী।
তাই বলা যায়, জনাব সাকিব ও জনাব রিপনের নেতৃত্বের ধরন সম্পূর্ন বিপরীতমুখী।
প্রশ্নঃ ১২ মি. লিখন একটি বেসরকারি প্রতিষ্ঠানের প্রধান। তিনি প্রতিষ্ঠানের উন্নয়নের জন্য কর্মীদের সবরকমের সহযোগিতা করেন। এমনকি তাদের অভাব-অভিযোগ মনোযোগ সহকারে শোনেন এবং এর উপযুক্ত সমাধান করেন। ফলে কর্মীরাও তার কর্মকাণ্ডে বেশ খুশি এবং প্রতিষ্ঠানের জন্য সর্বোচ্চ সামর্থ্য দিয়ে কাজ করে। সর্বোপরি আকর্ষণীয় ব্যক্তিত্ব, তী² বুদ্ধিমত্তা, সততা এবং দক্ষতার কারণে মি. লিখনের নেতৃত্বে তার প্রতিষ্ঠানের প্রভ‚ত অগ্রগতি হয়েছে। [রা. বো. ১৬]
ক.নেতৃত্ব কী?১
খ.‘গণতান্ত্রিক নেতৃত্বই উত্তম’ কেন?২
গ.উদ্দীপকে মি. লিখনের কর্মকাণ্ডে কোন ধরনের নেতৃত্বের প্রকাশ ঘটেছে? ব্যাখ্যা করো।৩
ঘ.উদ্দীপকে বর্ণিত প্রতিষ্ঠানটিতে একজন নেতার ভ‚মিকার সপক্ষে তোমার মতামত দাও।৪
১২ নং প্রশ্নের উত্তর
ক উত্তরঃ অধীনস্থদের প্রভাবিত করে তাদের সর্বাধিক সামর্থ্যকে প্রতিষ্ঠানের লক্ষ্য অর্জনে কাজে লাগানোর কৌশলকে নেতৃত্ব বলে।
খ উত্তরঃ যে নেতৃত্বে নেতা অধস্তনদের সাথে আলাপ-আলোচনা, পরামর্শ করে কার্য পরিচালনা করেন তাকে গণতান্ত্রিক নেতৃত্ব বলে।
এক্ষেত্রে নেতা সব ক্ষমতা নিজের হাতে কেন্দ্রীভ‚ত না রেখে প্রয়োজনীয় কর্তৃত্ব অধীনস্থদের নিকট অর্পণ করেন। তাছাড়া সিদ্ধান্ত গ্রহণের ক্ষেত্রে অধীনস্থদের সঙ্গে সলা-পরামর্শ করেন। যার কারণে নেতার প্রতি কর্মীদের ইতিবাচক ধারণা সৃষ্টি হয়।
ফলে এরূপ নেতৃত্বের প্রতি অধীনস্থরা সন্তুষ্ট থাকেন। এতে কর্মীদের কাজের প্রতি মনোবল বৃদ্ধি পায় এবং তারা সর্বোচ্চ সামর্থ্য দিয়ে লক্ষ্য অর্জনের চেষ্টা করেন। এজন্যই বলা হয়, গণতান্ত্রিক নেতৃত্বই উত্তম।
গ উত্তরঃ উদ্দীপকে মি. লিখনের কর্মকাণ্ডে পিতৃসুলভ নেতৃত্বের প্রকাশ ঘটেছে।
পিতৃসুলভ নেতৃত্বে নেতা অধস্তনদের সাথে সদয় ব্যবহার করেন এবং শ্রদ্ধাবোধ জাগ্রত করে কাজ আদায়ের চেষ্টা করেন। নেতা এক্ষেত্রে কর্মীদের অভাব অভিযোগের প্রতি মনোনিবেশ করেন। ও মমতা প্রদানের মাধ্যমে কাজ আদায় করেন।
উদ্দীপকে মি. লিখন প্রতিষ্ঠানের উন্নয়নের জন্য কর্মীদের সবরকম সহযোগিতা করেন। কর্মীদের অভাব অভিযোগ মনোযোগ দিয়ে শোনেন এবং এর উপযুক্ত সমাধান দেন। যার ফলে কর্মীদের মনে কাজ করার আগ্রহ সৃষ্টি হয়।কর্মীরাও মি. লিখনের প্রতি সন্তুষ্ট থাকে।
মি. লিখন পিতার ন্যায় কর্মীদের প্রতি সদয় ও তী² বুদ্ধিমত্তার মাধ্যমে কার্য সমাধান করেন। বৈশিষ্ট্যানুযায়ী যা পিতৃসুলভ নেতৃত্বের অন্তর্গত। তাই বলা যায়, মি. লিখন পিতৃসুলভ নেতৃত্বের মাধ্যমে প্রতিষ্ঠানটি পরিচালনা করছেন।
ঘ উত্তরঃ উদ্দীপকে বর্ণিত প্রতিষ্ঠানটির অগ্রগতিতে একজন নেতা গুরুত্বপূর্ণ ভ‚মিকা পালন করছেন।
নেতৃত্ব হলো অধীনস্থদেরকে লক্ষ্যাভিমুখে এগিয়ে নেওয়ার একটা প্রচেষ্টা। একটি প্রতিষ্ঠানের গতিশীল নেতৃত্বের বিষয়টি নির্ভর করে একজন আদর্শ নেতার ওপর। একজন নেতা তার ব্যক্তিত্ব, দক্ষতা, বুদ্ধিমত্তাকে কাজে লাগিয়ে প্রতিষ্ঠানের উদ্দেশ্য অর্জন করেন।
উদ্দীপকে মি. লিখন প্রতিষ্ঠানের উন্নয়নের জন্য কর্মীদের সবরকমের সহযোগিতা করেন। এতে কর্মীরা যেমন উদ্দীপ্ত হন, তেমনি কাজে মনোযোগীও হন। আবার মি. লিখন আকর্ষণীয় ব্যক্তিত্ব, তী বুদ্ধিমত্তা, সততা ও দক্ষতার সাথে কাজ সম্পাদন করেন।
যার ফলে অতি সহজে এবং স্বল্পসময়ে কাজ সম্পন্ন হয়।
মি. লিখন তার মনস্তাত্তিক জ্ঞান ও শক্তি সামর্থ্যরে মাধ্যমে প্রতিষ্ঠান পরিচালনা করেন। ফলে দক্ষ নেতৃত্বের মাধ্যমে কাজের অগ্রগতি বৃদ্ধি পায়। একই সাথে আদর্শ নেতৃত্বের মাধ্যমে প্রতিষ্ঠানকে লক্ষ্যের দিকে পরিচালিত করেন।
তাই বলা যায়, মি. লিখন তার দক্ষতা, সৃজনশীলতা ও সততার মাধ্যমে প্রতিষ্ঠান পরিচালনা করায় কাজের অগ্রগতি সাধিত হয়েছে।
প্রশ্নঃ ১৩ বরেন্দ্র ইন্ডাস্ট্রিজ লি.-এর প্রোডাকশন ডিরেক্টর সানজিদা তাবাস্সুম প্রশাসক হিসেবে তার কর্মীদের কাছে এক অদ্ভুত চরিত্র। ভুলের কারণে তিনি তাদের বিন্দুমাত্র ক্ষমা করেন না। ভয়-ভীতি, বেতন কাটা, সাসপেন্ড থেকে শুরু করে কর্মীদের ছাঁটাই পর্যন্ত করেন তিনি। এজন্য কর্মীরা ভয় পেলেও শ্রদ্ধাও করেন। কারণ প্রত্যেক কর্মীকে তিনি ব্যক্তিগতভাবে চেনেন, জানেন, খোঁজ-খবর রাখেন, বিপদে-আপদে তাদের পাশে দাঁড়ান। সাহায্য-সহযোগিতা করেন। কঠোরতা ও কোমলতার তিনি এক অদ্ভুত সংমিশ্রণ। [দি. বো. ১৬]
ক.নির্দেশনা কী?১
খ.“ব্যবস্থাপনা সর্বজনীন” ব্যাখ্যা করো।২
গ.নেতৃত্বের বিচারে সানজিদা তাবাস্সুম কোন ধরনের নেতা? বিশ্লেষণ করো।৩
ঘ.সানজিদা তাবাস্সুমের মধ্যে নেতৃত্বের কোন কোন গুণাবলির বহিঃপ্রকাশ ঘটেছে? উদ্দীপকের আলোকে মূল্যায়ন করো।৪
১৩ নং প্রশ্নের উত্তর
ক উত্তরঃ লক্ষ্য অর্জনে অধস্তনদের আদেশ, উপদেশ ও পরামর্শ প্রদান এবং তত্তাবধান কার্যকে নির্দেশনা বলে।
খ উত্তরঃ ব্যবস্থাপনার সর্বজনীনতা বলতে সর্বত্র, সব ক্ষেত্রে, সকলের দ্বারা স্বীকৃত ব্যবস্থাপনা জ্ঞানের আবশ্যকতা ও প্রয়োগ যোগ্যতাকে বোঝায়।
পরিবার, রাষ্ট্র এবং ব্যবসায় সংগঠনের সব ক্ষেত্রে ব্যবস্থাপনার কার্যাবলি (পরিকল্পনা প্রণয়ন, সংগঠিতকরণ, নির্দেশনা, প্রেষণা ও নিয়ন্ত্রণ) প্রয়োগ করা হয়।
স্থানীয় পরিবেশ-পরিস্থিতি, সামাজিক রীতি-নীতি ইত্যাদি কারণে বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের ব্যবস্থাপনা পদ্ধতি ভিন্ন হতে পারে। তবে ব্যবস্থাপনার কার্যাবলি প্রয়োগের ক্ষেত্রে তেমন কোনো পার্থক্য পরিলক্ষিত হয় না। তাই ব্যবস্থাপনাকে সর্বজনীন বলা হয়।
গ উত্তরঃ নেতৃত্বের বিচারে উদ্দীপকের সানজিদা তাবাস্সুম একজন পিতৃসুলভ নেতা।
পিতৃসুলভ নেতা অধস্তনদের ওপর অতিমাত্রায় কর্তৃত্বশালী হলেও অধস্তনদের সাথে সদয় ব্যবহার করেন। কর্মীদের মধ্যে শ্রদ্ধাবোধ জাগ্রত করে কাজ আদায়ের চেষ্টা করেন। এ ধরনের নেতৃত্বের প্রতি কর্মীরা সবসময় সন্তুষ্ট থাকে এবং কাজের প্রতি আগ্রহী হয়।
উদ্দীপকের বরেন্দ্র ইন্ডাস্ট্রিজ লি.-এর প্রোডাকশন ডিরেক্টর সানজিদা তাবাস্সুম প্রশাসক হিসেবে কঠোরতা ও কোমলতার এক অদ্ভ“ত সংমিশ্রণ ঘটিয়েছেন। তিনি আইন-কানুন, নিয়ম-শৃঙ্খলায় ব্যাঘাত ঘটলে কর্মীদের ন্যূনতম ছাড় দেন না।
ভয়ভীতি দেখান, বেতন কাটেন, সাসপেন্ড-এর মতো কঠোর পদক্ষেপ গ্রহণ করেন। কিন্তু কর্মীরা ভয় পেলেও তাকে শ্রদ্ধা করেন। কারণ তিনি প্রত্যেক কর্মীকে ব্যক্তিগতভাবে চিনেন, খোঁজখবর রাখেন, বিপদে-আপদে পাশে দাঁড়ান, সাহায্য-সহযোগিতা করেন।
এভাবে সানজিদা তাবাস্সুম তার কর্মীদের নিকট অভিভাবকের ভ‚মিকায় অবতীর্ণ হন। সুতরাং, সানজিদা তাবাস্সুমের কার্যাবলি পিতৃসুলভ নেতৃত্বের অন্তর্গত।
ঘ উত্তরঃ উদ্দীপকে সানজিদা তাবাস্সুম নেতৃত্বের মধ্যে দৃঢ়তা, প্রভাবিত করার ক্ষমতা, সহানুভ‚তিশীল প্রভৃতি গুণের বহিঃপ্রকাশ ঘটেছে।
প্রতিষ্ঠানের গতিশীল নেতৃত্বের বিষয়টি নির্ভর করে আদর্শ নেতার ওপর। একজন আদর্শ বা সফল নেতা হতে হলে একজন ব্যক্তিকে স্বতন্ত্রধর্মী গুণের অধিকারী হতে হয়।
সানদিজা তাবাস্সুম প্রশাসক হিসেবে কর্মীদের কাছে এক অদ্ভ“ত চরিত্র। ভুলের কারণে তিনি বিন্দুমাত্র ক্ষমা করেন না। কিন্তু অধস্তনরা ভয় পেলেও তাকে শ্রদ্ধা করেন। কারণ তিনি সবার খোঁজ-খবর রাখেন, বিপদে-আপদে সাহায্য-সহযোগিতা করেন।
সানজিদা তাবাস্সুম কর্মীদের ভুলের কারণে ক্ষমা না করে দায়িত্বের প্রতি দৃঢ়তার পরিচয় দিয়েছেন। আবার কর্মীদের প্রভাবিত করার মাধ্যমে শ্রদ্ধাও অর্জন করেছেন।
কর্মীদের খোঁজ-খবর রাখা, বিপদে-আপদে এগিয়ে আসা, সাহায্য-সহযোগিতার মাধ্যমে তিনি তাদের প্রতি সহানুভ‚তিশীল আচরণ করেছেন।
প্রশ্নঃ ১৪ জনাব আসাদ ও জনাব আশরাফ দুইটি প্রতিষ্ঠানের সাধারণ ব্যবস্থাপক। জনাব আসাদ সব সিদ্ধান্ত একাই গ্রহণ করেন এবং কঠোর শাসনের মাধ্যমে কর্মীদের কাজ করতে বাধ্য করেন। এতে কর্মীদের মনোবল ও কার্যদক্ষতা হ্রাস পায়। পরিণামে প্রতিষ্ঠান আশানুরূপ সাফল্য অর্জন করতে পারে না। অন্যদিকে জনাব আশরাফ পরিকল্পনা প্রণয়ন ও নির্দেশ প্রদানের পূর্বে কর্মীদের সাথে আলাপ-আলোচনা করেন। এতে কর্মীরা সন্তুষ্ট থাকে। তাদের মনোবল ও কার্যদক্ষতাও বেড়ে যায়। ফলে জনাব আশরাফ প্রতিষ্ঠানিক লক্ষ্য অর্জনে সফল হন। [কু. বো. ১৬]
ক. আনুষ্ঠানিক নেতৃত্ব কী? ১
খ. যোগাযোগ কীভাবে ব্যবস্থাপনার দক্ষতা বাড়াতে পারে? ২
গ. উদ্দীপকে উলিখিত জনাব আশরাফের নির্দেশনার ধরন কী? ব্যাখ্যা করো। ৩
ঘ. জনাব আসাদের নেতৃত্বের ধরনটি তুমি কি সমর্থন করো? ধরন উলেখপূর্বক যুক্তিসহ ব্যাখ্যা করো। ৪
১৪ নং প্রশ্নের উত্তর
ক উত্তরঃ যে নেতৃত্বে প্রাতিষ্ঠানিক নিয়ম-নীতি অনুসারে অধস্তনদের পরিচালিত করা হয় তাকে আনুষ্ঠানিক নেতৃত্ব বলে।
খ উত্তরঃ প্রতিষ্ঠানের ভিতর ও বাইরের বিভিন্ন পক্ষের মধ্যে ব্যবস্থাপক কর্তৃক তথ্য, সংবাদ ও ভাবের বিনিময়ের মাধ্যমে কার্যকর ও ফলপ্রসূ যোগাযোগ ব্যবস্থা গড়ে তোলাকে তার যোগাযোগ দক্ষতা বলে।
এটির দ্বারা উচ্চ স্তর ও স্তরের কর্মীদের সম্পর্কের উন্নয়ন ঘটে। এর ফলে ব্যবস্থাপক কার্যক্ষেত্রে সহজেই কার্যকর ভ‚মিকা রাখতে পারেন। সুষ্ঠু ও কার্যকর যোগাযোগ দক্ষতার দ্বারা সঠিক পরিকল্পনা প্রণয়ন এবং প্রতিষ্ঠানের লক্ষ্য অর্জন সহজ হয়।
আর এটি একটি বিশেষ দক্ষতা, যা একজন ব্যবস্থাপকের প্রাতিষ্ঠানিক কার্যক্রম পরিচালনার ক্ষেত্রে সবসময় প্রয়োজন হয়।
গ উত্তরঃ উদ্দীপকের জনাব আশরাফের নির্দেশনার ধরনটি হলো পরামর্শমূলক নির্দেশনা।
পরামর্শমূলক নির্দেশনায় অধস্তনদের সাথে পরামর্শ করে তার ভিত্তিতে নির্দেশনার বিষয়বস্তু ঠিক করা হয় । অংশগ্রহণমূলক ব্যবস্থাপনার যে ধারণা আধুনিককালে গড়ে ওঠেছে তার একটা অপরিহার্য উপাদান হলো পরামর্শমূলক নির্দেশনা।
জনাব আশরাফ পরিকল্পনা প্রণয়ন ও নির্দেশ প্রদানের পূর্বে কর্মীদের সাথে আলাপ-আলোচনা করেন। এতে কর্মীরা সন্তুষ্ট থাকে। তাদের মনোবল ও কর্মদক্ষতাও বেড়ে যায়।
ফলে জনাব আশরাফ প্রাতিষ্ঠানিক লক্ষ্য অর্জনে সফল হন। এসব বৈশিষ্ট্য পরামর্শমূলক নির্দেশনার সাথে সঙ্গতিপূর্ণ। সুতরাং মি. আশরাফ নিঃসন্দেহে পরামর্শমূলক নির্দেশনা পদ্ধতি অনুসরণ করেন।
ঘ উত্তরঃ উদ্দীপকের জনাব আসাদের নেতৃত্বের ধরন হলো স্বৈরতান্ত্রিক নেতৃত্ব, যা যুক্তিসঙ্গতভাবে সমর্থনযোগ্য নয়।
এ নেতৃত্বে নেতা অধস্তনদের সাথে কোনো পরামর্শ করেন না এবং কঠোর শাসনের মাধ্যমে কাজ করতে বাধ্য করেন। এক্ষেত্রে নেতা সব ক্ষমতা নিজের কাছে কুক্ষিগত করে রাখেন এবং নিজ ইচ্ছামতো সিদ্ধান্ত প্রদান করেন।
’
উদ্দীপকে জনাব আসাদ একটি প্রতিষ্ঠানের সাধারণ ব্যবস্থাপক। তিনি সব সিদ্ধান্ত একাই গ্রহণ করেন এবং কঠোর শাসনের মাধ্যমে কর্মীদের কাজ করতে বাধ্য করেন। এ ধরনের স্বৈরতান্ত্রিক নেতৃত্বে কর্মীদের মনোবল ও কার্যদক্ষতা হ্রাস পায়।
জনাব আসাদের অনুসৃত স্বৈরাচারী বা স্বৈরতান্ত্রিক নেতৃত্ব কখনোই প্রতিষ্ঠানের জন্য কল্যাণকর হবে না।’
এক্ষেত্রে কর্মীরা সর্বদাই ভয়ভীতির মধ্যে থাকে। ফলে তারা আন্তরিকতার সাথে সুষ্ঠুভাবে কাজ করতে পারে না। তাই প্রতিষ্ঠানের সফলতার জন্য জনাব আসাদের অনুসৃত স্বৈরতান্ত্রিক নেতৃত্ব মোটেও সমর্থনযোগ্য নয়।
প্রশ্নঃ ১৫ ফাহিম এন্টারপ্রাইজের ব্যবস্থাপনা পরিচালক জনাব অরূপ এককভাবে প্রতিষ্ঠানের বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ সিদ্ধান্ত নিয়ে থাকেন। অধীনস্থদের মতামত আমলে নেন না এবং জোরপূর্বক সিদ্ধান্ত বাস্তবায়ন করেন। ফার্মটির মুনাফাও নিম্নমুখী। এরূপ পরিস্থিতিতে ফাহিম এন্টারপ্রাইজের কর্মীরা চাকরি ত্যাগ করে পার্শ্ববর্তী এনাম এন্টারপ্রাইজে যোগদানের কথা ভাবছে যেখানে সিদ্ধান্ত গ্রহণে কর্মীদের মতামত ও অংশগ্রহণকে গুরুত্ব দেওয়া হয়। ফলে প্রতিষ্ঠানটির উন্নয়ন ও মুনাফা বৃদ্ধি পাচ্ছে। [চ. বো. ১৬]
ক. নেতৃত্ব কী? ১
খ. একজন নেতার দূরদর্শিতা থাকতে হয় কেন? ২
গ. ফাহিম এন্টারপ্রাইজের ব্যবস্থাপনা পরিচালক কর্মীদের ওপর কোন ধরনের নেতৃত্ব প্রয়োগ করে থাকেন? ব্যাখ্যা করো। ৩
ঘ.এনাম এন্টারপ্রাইজের সিদ্ধান্ত গ্রহণে কর্মীদের মতামতের গুরুত্ব দেয়ায় প্রতিষ্ঠানের উন্নয়ন ও মুনাফা বৃদ্ধি পেয়েছে মূল্যায়ন করো।৪
ক উত্তরঃ অধীনস্থদের প্রভাবিত করে তাদের সর্বাধিক সামর্থ্যকে প্রতিষ্ঠানের লক্ষ্য অর্জনে কাজে লাগানোর কৌশলকে নেতৃত্ব বলে।
খ উত্তরঃ ভবিষ্যৎ সম্পর্কে ধারণা করার ক্ষমতা বা কল্পনাশক্তি থাকাই হলো নেতার দূরদর্শিতা।
ভবিষ্যৎ অনুমান করতে পারলে একজন নেতা সময়োপযোগী সিদ্ধান্ত নিতে পারেন।
এক্ষেত্রে নেতা সম্ভাব্য করণীয় আগে থেকেই নির্ধারণ করে রাখতে পারেন। ফলে তিনি সহজেই প্রতিযোগিতায় টিকে থাকতে পারেন। এজন্য একজন নেতাকে দূরদর্শিতার অধিকারী হতে হয়।
গ উত্তরঃ উদ্দীপকের ফাহিম এন্টারপ্রাইজের ব্যবস্থাপনা পরিচালক কর্মীদের ওপর স্বৈরতান্ত্রিক নেতৃত্ব প্রয়োগ করে থাকেন।
এ নেতৃত্ব ব্যবস্থায় নেতা সকল ক্ষমতা নিজের কাছে কুক্ষিগত করে রাখেন এবং নিজের ইচ্ছেমতো এককভাবে সিদ্ধান্ত গ্রহণ করেন তা-ই স্বৈরতান্ত্রিক নেতৃত্ব। এক্ষেত্রে নেতা কর্মীদেরকে ভয়ভীতি প্রদর্শন ও শাস্তি প্রদানের মাধ্যমে তাদের থেকে কাজ আদায়ের চেষ্টা করেন।
ফাহিম এন্টারপ্রাইজের ব্যবস্থাপনা পরিচালক জনাব অরূপ এককভাবে প্রতিষ্ঠানের বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ সিদ্ধান্ত নিয়ে থাকেন। অধীনস্থদের মতামত তিনি গ্রহণ করেন না।
তিনি জোরপূর্বক অধীনস্থদের কাছ থেকে কাজ আদায় করেন। ভয়ভীতি ও শাস্তি প্রদান করে অধীনস্থদের লক্ষ্যের দিকে ধাবিত করেন।
সুতরাং ফাহিম এন্টারপ্রাইজের ব্যবস্থাপনা পরিচালকের কার্যাবলিতে স্বৈরতান্ত্রিক নেতৃত্বের বৈশিষ্ট্য বিদ্যমান থাকায় তিনি স্বৈরতান্ত্রিক নেতৃত্ব প্রয়োগ করে থাকেন।
- উত্তর ডাউনলোড করুন> (১ম পত্র) ব্যবসায়ের মৌলিক ধারণা ১ম পত্র সৃজনশীল প্রশ্ন
- উত্তর ডাউনলোড করুন>(১ম পত্র)১ম: ব্যবসায়ের মৌলিক ধারণা প্রশ্ন উত্তরসহ PDF
- উত্তর ডাউনলোড করুন> HSC ব্যবসায়ের মৌলিক ধারণা প্রশ্নের উত্তরসহ অধ্যায়-১: PDF
- উত্তর ডাউনলোড করুন> HSC অধ্যায়-১: প্রশ্নের উত্তরসহ ব্যবসায়ের মৌলিক ধারণা PDF
- উত্তর ডাউনলোড করুন>অধ্যায়৩: SSC ফিন্যান্স ও ব্যাংকিং‘র সৃজনশীল প্রশ্নোত্তর PDF
- উত্তর ডাউনলোড করুন> অধ্যায়৩: SSC ফিন্যান্স ও ব্যাংকিং‘র জ্ঞানমূলক প্রশ্নোত্তরPDF
ঘ উত্তরঃ উদ্দীপকের এনাম এন্টারপ্রাইজের সিদ্ধান্ত গ্রহণে গণতান্ত্রিক নেতৃত্ব প্রয়োগ করায় প্রতিষ্ঠানের উন্নয়ন ও মুনাফা বৃদ্ধি পেয়েছে।
এ নেতৃত্ব ব্যবস্থায় নেতা সব ক্ষমতা নিজের হাতে কেন্দ্রীভ‚ত না রেখে প্রয়োজনীয় কর্তৃত্ব অধীনস্থদের নিকট অর্পণ করেন তা-ই গণতান্ত্রিক নেতৃত্ব।
এক্ষেত্রে সিদ্ধান্ত গ্রহণে কর্মীদের মতামত ও পরামর্শের গুরুত্ব দেওয়া হয়। ফলে তারা সন্তুষ্ট থাকে ও কাজের মনোবল বৃদ্ধি পায়।
এনাম এন্টারপ্রাইজে সিদ্ধান্ত গ্রহণের ক্ষেত্রে কর্মীদের মতামত ও অংশগ্রহণকে গুরুত্ব দেওয়া হয়। প্রতিষ্ঠানে তারা সন্তুষ্টির সাথে কাজ করতে পারে ও কাজের প্রতি তাদের আগ্রহ বৃদ্ধি পায়, যা গণতান্ত্রিক নেতৃত্বের বহিঃপ্রকাশ।
উদ্দীপক এনাম এন্টারপ্রাইজে গণতান্ত্রিক নেতৃত্বের ফলে তাদের কাজে স্বতঃস্ফ‚র্ত অংশগ্রহণ বৃদ্ধি পাবে। কেননা তারা নিজেরাই পরামর্শের মাধ্যমে সিদ্ধান্ত গ্রহণ করেছে।
তারা প্রতিষ্ঠানের লক্ষ্য অর্জনে সর্বাÍক প্রচেষ্টা চালায়। ফলে প্রতিষ্ঠানের লক্ষ্যার্জন ও সমৃদ্ধি দিন দিন বৃদ্ধি পায়। এ থেকে বোঝা যায়, এনাম এন্টারপ্রাইজের সিদ্ধান্ত গ্রহণে কর্মীদের মতামতের গুরুত্ব দেওয়ায় প্রতিষ্ঠানের উন্নয়ন ও মুনাফা বৃদ্ধি পেয়েছে।
উক্ত বিষয় সম্পর্কে কিছু জানার থাকলে কমেন্ট করতে পারেন।
আমাদের সাথে ইউটিউব চ্যানেলে যুক্ত হতে এখানে ক্লিক করুন এবং আমাদের সাথে ফেইজবুক পেইজে যুক্ত হতে এখানে ক্লিক করুন। গুরুত্বপূর্ণ আপডেট ও তথ্য পেতে আমাদের ওয়েবসাইটে ভিজিট করুন।
আমাদের সাথে ইউটিউব চ্যানেলে যুক্ত হতে এখানে ক্লিক করুন এবং আমাদের সাথে ফেইজবুক পেইজে যুক্ত হতে এখানে ক্লিক করুন। গুরুত্বপূর্ণ আপডেট ও তথ্য পেতে আমাদের ওয়েবসাইটে ভিজিট করুন।