SSC | বাংলাদেশ ও বিশ্বপরিচয় | অধ্যায় ৪ | সৃজনশীল প্রশ্নোত্তর | PDF : বাংলাদেশ ও বিশ্বপরিচয় পত্রের চতুর্থ অধ্যায় হতে গুরুত্বপূর্ণ সব সৃজনশীল প্রশ্নোত্তর গুলো আমাদের এই পোস্টে পাবেন।
প্রিয় ছাত্র ছাত্রী বন্ধুরা আল্লাহর রহমতে সবাই ভালোই আছেন । এটা জেনে আপনারা খুশি হবেন যে, আপনাদের জন্য বাংলাদেশ ও বিশ্বপরিচয় পত্রের চতুর্থ অধ্যায় হতে গুরুত্বপূর্ণ সব সৃজনশীল প্রশ্নোত্তর নিয়ে আলোচনা করতে যাচ্ছি ।
সুতরাং সম্পূর্ণ পোস্টটি মনোযোগ সহকারে পড়ুন। আর এইচ এস সি- HSC এর যেকোন বিভাগের গুরুত্বপূর্ণ সকল সাজেশন পেতে জাগোরিকের সাথে থাকুন।
১ নং সৃজনশীল প্রশ্নঃ
নিচের চিত্রটির আলোকে প্রশ্নগুলোর উত্তর দাও:
ক. কোন প্লেটের সংঘর্ষের কারণে বাংলাদেশে ভুমিকম্প হয়ে থাকে ?
খ. বাংলাদেশের জলবায়ুর প্রধান বৈশিষ্ট্য ব্যাখ্যা কর।
গ. ‘ই’ চিহ্নিত অংশটির ভূ-প্রকৃতি ব্যাখ্যা কর।
ঘ. ‘বাংলাদেশের অধিকাংশ এলাকা æঈ” ভূ-প্রকৃতির অন্তর্গত’- তুমি কি একমত ? উত্তরে সপক্ষে যুক্তি দাও।
১ নং সৃজনশীল প্রশ্নের উত্তরঃ
ক. ইন্ডিয়ান ও ইউরোপিয়ান প্লেটের সংঘর্ষের কারণে বাংলাদেশে ভূমিকম্পন সংঘটিত হয়ে থাকে।
খ. বাংলাদেশের জলবায়ুর প্রধান বৈশিষ্ট্য হলো উষ্ণ, আর্দ্র ও সমভাবাপন্ন যা মৌসুমিী বায়ু প্রভাবিত হওয়ায় ‘ক্রান্তীয় মৌসুমি জলবায়ু’ নামে পরিচিত। জলবায়ুর বাৎসরিক তারতম্যের কারণে বাংলাদেশে শীতকাল, গ্রীষ্মকাল ও বর্ষাকাল এ তিনটি ঋতুর বৈশিষ্ট্য পরিলক্ষিত হয়। মূলত ৩টি ঋতুতেই মৌসুমী বায়ুর প্রবল প্রভাব বিদ্যমান। ক্রান্তীয় মৌসুমী জলবায়ুর কারণে এদেশে প্রাকৃতিক দুর্যোগ ঘন ঘন সৃষ্টি হয়।
গ. বাংলাদেশের মোট ভূমির প্রায় ১২% এলাকা নিয়ে টারশিয়ারি যুগের পাহাড়সমূহ গঠিত । টারশিয়ারি যুগে হিমালয় পর্বত উন্থিত হওয়ার সময় এ সকল পাহাড় সৃষ্টি হয়েছে। রাঙামাটি, খাগড়াছড়ি,বান্দরবান, কক্সবাজার, চট্রগৃাম, ময়মনসিংহ, নেত্রকোণা, সিলেট ও হবিগঞ্জ অঞ্চল জুড়ে এ পাহাড় শেণি অবস্থিত ।
টারশিয়ারি যুগের এসব পাহাড়ি অঞ্চলে প্রচুর বৃক্ষ জম্মায় এবং বৃক্ষের মধ্যে ফল ও ওষুধি গাছ ও বিদ্যমান। বাংলাদেশের বেশিরভাগ কাঠের চাহিদা এসব বৃক্ষ দ্বারা পূরণ করা হয়। এছাড়াও সংশ্লিষ্ট অঞ্চলের মানুষের জ¦ালানি এসব বন থেকে আহরিত হয়।
টারশিয়ারি যুগের পাহাড়ে প্রচুর মানুষ কৃষি উৎপাদন ও সংগ্রহ কাজে নিয়োজিত। পাহাড়ে জুম চাষ স্থানীয়দের খাবারের চাহিদা মেটায়। এসব পাহাড়ি অঞ্চলে প্রচুর সবজি, ফল ও ফসল জম্মায় । ফলের মধ্যে কমলা, আনারস, পেয়ারা, কাঁঠাল, ইত্যাদি উল্লেখযোগ্য ।
বাংলাদেশে প্রতি বছর প্রচুর চা উৎপন্ন হয়। এছাড়াও প্রচুর গবাদি পশুর উৎপাদন দেমের মাংস ও দুধের চাহিদা মেটায়। সুতরাং বলা যায় যে, টারশিয়ারি যুগের পাহাড়সমূহ বাংলাদেশের কৃষিজাত দ্রব্য উৎপাদনে উল্লেখযোগ্য ভুমিকা রয়েছে।
ঘ. বাংলাদেশের অধিকাংশ এলাকা æঈ” বা সাম্প্রতিককালের প্লাবন সমভুমির অন্তর্গত বলে আমি মনে করি। পৃথিবীর অন্যতম বৃহৎ ব-দ্বীপ হিসেবে বাংলাদেশ একটি নদীবিধৌত দেশ। বাংলাদেশের উত্তর – পূর্ব ও দক্ষিণ – পূর্বাংশের পাহড়িয়া অংশ ব্যতীত প্রায় সমগ্র দেশটিই নদ-নদীর পলল দ্বারা গঠিত সমভূমি।
সেই বিবেচনায় বাংলাদেশের প্রায় সমগ্র অঞ্চল এক বিস্তীর্ণ সমভূমি । ভু-প্রকৃতির ভিত্তিতে বাংলাদেশকে প্রধানত তিনটি শ্রেণিতে ভাগ করা যায়- টারশিয়ারি যুগের পাহাড়সমূহ, প্লাইস্টোসিনকালের সোপানসমূহ, সাম্প্রতিককালের প্লাবন সমভূমি। এর মাঝে সামান্য পরিমাণে উচ্চভূমি ব্যতীত প্রায় ৮০% – ই নদী বিধৌত সমভূমি, যার কথা চিত্রে উল্লেখ করা হয়েছে।
সমতল ভুমির ওপর দিয়ে অসংখ্য নদী প্রবাহিত হওয়ার কারণে বর্ষাকালে বন্যার সৃষ্টি হয়। বছরের পর বছর এভাবে বন্যার পানির সাথে পলিবাহিত পলিমাটি সঞ্চিত হয়ে এ প্লাবণ সমভুমি গঠিত হয়েছে। এ প্লাবন সমভুমির আয়তন হলো প্রায় ১,২৪,২৬৬ বর্গ কি.মি।
এ থেকে দেখা যাচ্ছে যে, দেশের মোট আয়তনের প্রায় অর্ধেকেরও বেশি অংশ এই অঞ্চল নিয়ে গঠিত। উপর্যুক্ত আলোচনা থেকে তাই বলা যায় যে, বাংলাদেশের মোট ভু-প্রকৃতির ৮০% এলাকাই সাম্প্রতিককালের প্লাবন সমভুমি।
২ নং সৃজনশীল প্রশ্নঃ
দেশ জলবায়ুর বৈশিষ্ট্য জলবায়ু অঞ্চল
ক (নভেম্বর-ফেব্রæয়ারি) শীতকাল
(জুন-অক্টোবর) বর্ষাকাল ক্রান্তীয় মৌসুমি জলবায়ু
খ (ডিসেম্বর-ফেব্রæয়ারি) শীতকাল
(জুন – সেপ্টেম্বর) বর্ষাকাল মৌসুমি জলবায়ু
ক. ‘টিলা’ কী ?
খ. ভুমিকম্পবলয় বলতে কী বোঝ ?
গ. ‘ক’ ও ‘খ’ ওদশের জলবায়ুর বৈশিস্ট্যের তুলনামূলক চিত্র উপস্থাপন কর।
ঘ. ‘ক’ দেশটির উল্লিখিত বৈশিষ্ট্যের পরিবর্তন মানুষের জীবন ও জীবিকায় কী প্রভাব ফেলবে ? যুক্তিসহ মতামত দাও ।
২ নং সৃজনশীল প্রশ্নের উত্তরঃ
ক. সাধারণত কম উচ্চতাসম্পন্ন পাহাড়কে (৩০ থেকে ৯০ মিটার ) টিলা বলা হয়।
খ. ভুমিকম্প প্রবণ অঞ্চলসমূহকে একত্রে ভুমিকম্প বলয় বলা হয়। ভুমিকম্প প্রবণ অঞ্চলসমূহকে তিনটি বলয়ে ভাগ করা হয়েছে। যেমন- প্রশান্ত মহাসাগরীয় অংশ, ভুমধ্যসাগরীয় হিমালয় অংশ এবং মধ্য আটলান্টিক – ভারত মহাসাগরীয় শৈলশিরা অংশ।
পৃথিবীতে ভুমিকম্প প্রবন এ তিনটি বলয় ছাড়াও বিভিন্নভাবে ভু-পৃষ্ঠের অভ্যন্তরে এবং মহাসাগরের খাদে কিছু কিছু অংশে ভুমিকম্পের প্রকোপ দেখা যায়। ১৯৮৯ সালে বাংলাদেশের ভুমিকম্প বলয় সম্বলিত মানচিত্র তৈরি করা হয়। এ মানচিত্রেও প্রলয়ঙ্করী, বিপজ্জনক ও লগু নামের ৩টি বলয় চিহ্নিত করা হয়েছে।
গ. উদ্দীপকের ‘ক’ দেশের শীতকালের সময়সীমা নভেম্বর হতে ফেব্রæয়ারি এবং জুন হতে অক্টোবর বর্ষাকাল যা বাংলাদেশের জলবায়ুকে নির্দেশ করে। আবার উদ্দীপকের ‘খ’ দেশের শীতকালের সমসীমা ডিসেম্বর থেকে ফেব্রæয়ারি এবং বর্ষাকালের সময়সীমা জুন হতে সেপ্টেম্বর, যা ভারতের জলবায়ুকে নির্দেশ করে।
এ দেশ দুটির জলবায়ু প্রায় কাছাকাছি হলেও দেশ দুটির আয়তনের কারণে জলবায়ুতেও বেশ পার্থক্য লক্ষ করা যায়। বাংলাদেশের জলবায়ু উষ্ণ, আর্দ্র ও সমভাবাপন্ন। মৌসুমি জলবায়ুর প্রভাব এখানে বেশি হওয়ায় এ জলবায়ুকে ক্রান্তীয় জলবায়ু বলা হয়।
ভারত বিশাল আয়তনের দেশ হওয়ায় ভারতের জলবায়ু বিচিত্র এবং অক্ষাংশ, সমুদ্র দূরত্ব, বায়ুপ্রবাহ প্রভৃতি বিভিন্নতার দরুণ এর জলবায়ুও বিভিন্ন হয়। ভারতের জলবায়ু মৌসুমি জলবায়ু নামে পরিচিত। ফলে এ দেশের উষ্ণতা, বৃষ্টিপাত ইত্যাদি মৌসুমি বায়ু প্রবাহের ওপর সম্পূর্ণ নির্ভরশীল।
বাংলাদেশে ঋতু ভিন্নার তিনটি রূপ পরিলক্ষিত হয়। যেমন – শীতকাল, গ্রীষ্মকাল ও বর্ষাকাল। অন্যদিকে ভারতে ৫টি ঋতু পার্থক্য চিহ্নিত করা যায়। এগুলো হলো শীতকাল, গ্রীষ্মকাল, বর্ষাকাল, শরৎকাল ও হেমন্তকাল। মূলত বাংলাদেশ ও ভারতের জলবায়ুতে এগুলোই প্রধান পার্থক্য হিসেবে বিবেচিত।
ঘ. উদ্দীপকে উল্লিখিত ‘ক’ দেশের অর্থাৎ বাংলাদেশের জলবায়ুর পরিবর্তন দেশের মানুষের জীবন ও জীবিকার মধ্যে ব্যাপক প্রভাব সৃষ্টি করে। বাংলাদেশের ভেওগোলিক অবস্থানে এবং জলবায়ুজনিত কারণে এদেশের মানুষের আথর্ত-সামাজিক অবস্থা অধিক মাত্রায় প্রকৃতি ও প্রাকৃতিক সম্পদের উপর নির্ভরশীল। জলবায়ু পরিবর্তনের ফলে মানুষের জীবন জীবিকায় নানা রকমের পরিবর্তন ঘটে।
যেমন- প্রাকৃতিক দুর্যোগ, নদ-নদীর ভাঙন ইত্যাদি মানুষের জীবন ও জীবিকার রূপে ব্যাপক করিবর্তন সৃষ্টি হয়। বাংলাদেশের দক্ষিণ পশ্চিম মৌসুমি বায়ুর প্রভাবে বর্ষাকালে প্রচুর বৃষ্টিপাত হয়। এতে প্রচুর পরিমাণে ফল ও ফসল জম্মায়। আবার শীতকালীন উত্তর – পূর্ব মৌসুমি বায়ুর প্রভাবেও স্বল্প পরিমান বৃষ্টিপাত ঘচে ।
যার ফলে প্রচুর পরিমাণে ধান, গম, আলু, ভুট্রা, ডাল বীজ, তৈলবীজ, পেঁয়াজ, রসুন, গোল আলু, বিভিন্ন াকমের শাক ও সবজি ফলে, যা দেশের খাবারের ব্যাপক যোগান দেয়। এছাড়াও জলবায়ুর কারণে সৃষ্ট ও বন্যায় ফসলি জমিতে প্রচুর পলিমাটি এসে জমা হয, যা জমির উর্বরতা বাড়ায়।
জলবায়ুর পরিবর্তনের কারণে দেশের গড় তাপমাত্রা বৃদ্ধি পাচ্ছে। অল্পবৃষ্টি, অতিবৃষ্টি, বন্যা, পাহাড় ধ্বস উত্যাদির সৃষ্টি হয়, সমুদ্রের উচ্চতাও দিন দিন বেড়ে যাচ্ছে, জলবায়ুর কারণে সৃষ্ট এসব দুর্যোগ মানুষের জীবিকার রূপ পরিবর্তন করতে বাধ্য হচ্ছে।
গ্রামের কৃষক জেলে মুচি, কামার, কুমার ইতত্যাদি সাধারণ শ্রমিকরা জীবিকার তাগিদে শহরে পাড়ি জমাচ্ছে। এক কথায় উদ্দীকে নির্দেশিত জলবায়ুর পরিবর্তন বাংলাদেশের মানুষের জীবন ও জীবিকায় ব্যাপক প্রভাব সৃষ্টি করছে।
জ্ঞানমূলক প্রশ্নের উত্তরঃ
প্রশ্ন: ১. বাংলাদেশের ভূপ্রকৃতি কীরূপ ?
উত্তর: বাংলাদেশের ভূপ্রকৃতি নিচু ও সমতল।
প্রশ্ন: ২. বাংলাদেশের সর্বোচ্চ সৃঙ্গের নাম কী ?
উত্তর: বাংলাদেশের সর্বোচ্চ সৃঙ্গের নাম তাজিওডং (বিজয়)
প্রশ্ন: ৩. চিকনাগুল কী ?
উত্তর: চিকনাগুল হলো একটি পাহাড়।
প্রশ্ন: ৪. বাংলাদেশের শীতলতম মাস কোনটি ?
উত্তর: জানুয়ারী মাস বাংলাদেশের শীতলতম মাস।
প্রশ্ন: ৫. বরেন্দ্র ভূমির আয়তন কত ?
উত্তর: বরেন্দ্র ভূমির আয়তন ৪,১৯২ বর্গকিলোমিটার।
অনুধাবনমূলক প্রশ্নের উত্তরঃ
প্রশ্ন: ১. “বাংলাদেশ পৃথিবীর অন্যতম ব- দ্বীপ” Ñ ব্যাখ্যা কর।
উত্তর: বাংলাদেশ পৃথিবীর অন্যতম বৃহৎ ব-দ¦ীপ। সমগ্র বাংলাদেশের সামান্য পাহাড়ি অঞ্চল, সীমিত উঁচু ভূমি এবং নদী বিধৌত এক বিস্তীর্ণ সমভূমি নিয়ে গঠিত। এদেশের ভূ-প্রকৃতি নিচু ও সমতল।
- আরো পড়ুন:-পৌরনীতি ও নাগরিকতা সৃজনশীল প্রশ্ন ও উত্তর প্রথম অধ্যায়
- আরো পড়ুন:-অনার্স প্লেটো:পাশ্চাত্যের রাষ্ট্রচিন্তা রচনামূলক প্রশ্নোত্তর PDF
- আরো পড়ুন:- PDF অনার্স প্লেটো:পাশ্চাত্যের রাষ্ট্রচিন্তা রচনামূলক প্রশ্নোত্তর
- আরো পড়ুন:-PDF অনার্স প্লেটো:পাশ্চাত্যের রাষ্ট্রচিন্তা সংক্ষিপ্ত প্রশ্নোত্তর
- আরো পড়ুন:-PDF অনার্স প্লেটো:পাশ্চাত্যের রাষ্ট্রচিন্তা সংক্ষিপ্ত প্রশ্নোত্তর
- আরো পড়ুন:-অনার্স প্লেটো:পাশ্চাত্যের রাষ্ট্রচিন্তা সংক্ষিপ্ত প্রশ্নোত্তরPDF
প্রশ্ন: ২. বাংলাদেশের উত্তর -পূর্বাঞ্চলে পাহাড়সমূহের বর্ণনা দাও।
উত্তর: ময়মনসিংহ ও নেত্রকোনা জেলার উত্তরাংশ, সিলেট জেলার উত্তর ও উত্তর- পূর্বাংশ এবং মৌলভীবাজার ও হবিগঞ্জ জেলার দক্ষিণের পাহাড়গুলো নিয়ে এ অঞ্চল গঠিত। পাহাড়গুলোর উচ্চতা ২৪৪ মিটারের বেশি নয়। উত্তরের পাহাড়গুলো স্থানীয়ভাবে টিলা নামে পরিচিত। এগুলোর উচ্চতা ৩০ থেকে ৯০ মিটার। এ অঞ্চলের পাহাড়গুলোর মধ্যে খাসিয়া, চিকনাগুল ও জয়ন্তিয়া প্রধান।
প্রশ্ন: ৩. মধুপুর ও ভাওয়ালের গড় সম্পর্কে ধারণা দাও।
উত্তর: বাংলাদেশের প্লাইস্টোসিনকালের সোপানসমূহের তিনটি ভাগের একটি হচ্ছে মধুপুর ও ভাওয়লের গড়।
মধুপুর ভাওয়ালের গড় ময়মনসিংহ, টাঙ্গাইল, গাজীপুর ও ঢাকা জেলার অংশ বিশেষ নিয়ে গঠিত। এর আয়তন প্রায় ৪,১০৩ বর্গমিটার। সমভূমি থেকে এ উচ্চতা ৬ থেকে ৩০ মিটার। মাটির রং লালচে ধূসর।
প্রশ্ন: ৪. বাংলাদেশের বর্ষাকালীন জলবায়ুর বৈশিষ্ট্য লিখ।
উত্তর: বাংলাদেশের জুন হতে অক্টোবর মাস পর্যন্ত বর্ষাকাল। এ সময়ে সূর্য বাংলাদেশের উপর লম্বভাবে কিরণ দেয়। আবহাওয়া সর্বদা উষঞ্চ থাকে। এ সময়কার গড় উষ্ণতা প্রায় ২৭ ডিগ্রি সে.। বর্ষাকালের মধ্যে জুন ও সেপ্টেম্বর মাসে সবচেয়ে বেশি গরম পড়ে।
প্রশ্ন: ৫. মায়ানমারের গ্রীষ্মকালের ব্যাখ্যা দাও।
উত্তর: মায়ানমারের জলবায়ু ভারতীয় উপমহাদেশের সাথে সামাঞ্জস্যপূর্ণ এবং ক্রান্তীয় মৌসুমি ধরনের হওয়ায় মার্চ থেকে মে মাস পর্যন্ত মায়ানমারে গ্রীষ্মকাল থাকে। এ সময়ে এ দেশের অধিকাংশ স্থান অত্যন্ত উত্তপ্ত এবং গড় তাপমাত্রা প্রায় ২৯ ডিগ্রি সে. এর কাছাকাছি পৌছে।
এ সময় সূর্য উত্তর গোলার্ধে অবস্থান করে বিধায় মধ্য এশিয়ায় বিরাট নি¤œ চাপের সৃষ্টি হয় এবং এ অঞ্চলে মৌসুমি বায়ুপ্রবাহ শুরু হয়।
উক্ত বিষয় সম্পর্কে কিছু জানার থাকলে কমেন্ট করতে পারেন।
আমাদের সাথে ইউটিউব চ্যানেলে যুক্ত হতে এখানে ক্লিক করুন এবং আমাদের সাথে ফেইজবুক পেইজে যুক্ত হতে এখানে ক্লিক করুন। গুরুত্বপূর্ণ আপডেট ও তথ্য পেতে আমাদের ওয়েবসাইটে ভিজিট করুন।