বঙ্গবাণী কবিতার জ্ঞানমূলক, অনুধাবনমূলক ও সৃজনশীল প্রশ্ন ও উত্তর : বঙ্গবাণী কবিতার যেকোনো ধরনের প্রশ্ন উত্তর গুলো আমাদের এই পোস্টে পাবেন ।
প্রিয়া ছাত্র ছাত্রী বন্ধুরা আল্লাহর রহমতে সবাই ভালোই আছেন । এটা জেনে আপনার খুশি হবেন যে, আপনাদের জন্য বঙ্গবাণী কবিতা হতে গুরুপূর্ণ কিছু প্রশ্ন উত্তর আলোচনা করতে যাচ্ছি ।
সুতরাং সম্পূর্ণ পোস্টটি মনোযোগ সহকারে পড়ুন। আর এসএসসি- SSC এর যেকোন বিভাগের গুরুত্বপূর্ণ সকল সাজেশন পেতে জাগোরিকের সাথে থাকুন।
বঙ্গবাণী কবিতার জ্ঞানমূলক অনুধাবনমূলক ও সৃজনশীল প্রশ্ন ও উত্তর
বঙ্গবাণী কবিতার বহু নির্বাচনী প্রশ্নোত্তর-বাংলা ১ম পত্র (PDF MCQ)
জুতা আবিষ্কার কবিতার বহুনির্বাচনি প্রশ্ন ও উত্তর -বাংলা ১ম পত্র
বঙ্গবাণী কবিতার জ্ঞানমূলক প্রশ্নোত্তরঃ
প্রশ্ন-১. কবি কাদের অনুরোধে বাংলা কাব্য রচনা করেন?
উত্তর: যারা কিতাব পড়তে জানে না।
প্রশ্ন-২. কোন ভাষার ব্যাপারে কবির দ্বিমত নেই?
উত্তর: আরবি, ফারসি, হিন্দি ভাষার ব্যাপারে কবির দ্বিমত নেই।
প্রশ্ন-৩. কবি কাদের দেশ ত্যাগ করতে বলেছেন?
উত্তর: যাদের মাতৃভাষার প্রতি অনুরাগ নেই কবি তাদের দেশ ত্যাগ করতে বলেছেন।
প্রশ্ন-৪. ‘বঙ্গবাণী শব্দের অর্থ কী?
উত্তর: ‘বঙ্গবাণী শব্দের অর্থ বাংলা ভাষা।
প্রশ্ন-৫. কবি কোন ভাষায় প্রন্থ রচনায় মনোনিবেশ করেছেন?
উত্তর: কবি মাতৃভাষায় গ্রন্থ রচনায় মনোনিবেশ করেছেন।
বঙ্গবাণী কবিতার অনুধাবন মূলক প্রশ্নোত্তর:
প্রশ্ন-১. ‘দেশী ভাষা বিদ্যা যার মনে ন জুয়ার’ কথাটি দিয়ে কী বোঝানো হয়েছে?
উত্তর: উক্ত চরণে স্বভাষার প্রতি উদাসীন ব্যক্তিদের কথা বলা হয়েছে।
মাতৃভাষা মাত্রই সকলের কাছে প্রিয় ও আপন। এ ভাষাতেই তারা মনের সকল আবেগ ও অনুভূতি প্রকাশ করে। কিন্তু এমন কিছু মানুষও আছে যারা মাতৃভাষাকে হেয় জ্ঞান করে। মাতৃভাষার মিষ্টতায় যাদের মন ভরে না তারা শিকড়হীন পরগাছার মতো।
প্রশ্ন-২. ‘আরবি ফারসি হিন্দে নাই দুই মত’ -বুঝিয়ে লেখো।
উত্তর: কবি মাতৃভাষা ব্যবহারের পক্ষপাতী হলেও আরবি-ফারসি ব্যবহারেও তাঁর কোনো দ্বিমত নেই।কবি সকল ভাষার উর্দ্ধে মাতৃভাষাকেই স্থান দিয়েছেন। কিন্তু তাই বলে আরবি-ফারসি ভাষার প্রতি তার কোনো বিদ্বেষ নেই। আল্লাহ ও মহানবির স্তুতি বর্ণনায় এ সকল ভাষার ব্যবহারকে তিনি শ্রদ্ধা দেখিয়েছেন।
প্রশ্ন-৩. ‘দেশি ভাষা উপদেশ মনে হিত অতি’ বুঝিয়ে লেখো।
উত্তর: মাতৃভাষায় বর্ণিত বক্তব্য সর্বদা আমাদের মর্মকে স্পর্শ করে।
বংশানুক্রমে বাংলাদেশেই আমাদের বসতি আর তাই এদেশ ও এদেশের ভাষার প্রতি আমাদের রয়েছে গভীর মমত্ববোধ। মায়ের কাছ থেকে শেখা বাংলা ভাষায় সে আবেদন আমরা খুঁজে পাই তা অন্য কোনো ভাষায় খুঁজে পাই না। আবেগ অনুভূতি প্রকাশে বাংলা ভাষাই আমাদের মনে আনন্দের অনুভূতি জাগায়।
প্রশ্ন-৪. কবির কাব্যরচনার উদ্দেশ্য ব্যাখ্যা করো।
উত্তর: কবি সাধারণ মানুষকে সাহিত্য পাঠের সুযোগ করে দেয়ার জন্য কাব্যরচনা করেছেন।
যে ভাষা জনসাধারণের বোধগম্য নয়, সে ভাষায় সাহিত্য রচনা করলে তা তারা বুঝতে পারে না। ফলে তারা সাহিত্য পাঠের আনন্দ থেকে বঞ্চিত হয়। তৎকালীন সময়ে আরবি ফারসি ভাষায় পুস্তক রচিত হতো বলে তা সাধারণ মানুষেরা বুঝতে পারত না। কবি এ সকল সাধারণ মানুষের জন্য মাতৃভাষায় কাব্য রচনা করছেন যাতে তারাও সাহিত্য পাঠ করতে পারে।
প্রশ্ন-৫. ‘কিতাপ পড়িতে যার নাহিক অভ্যাস’ বলতে কী বোঝানো হয়েছে?
উত্তর: তৎকালীন সময়ে আরবি-ফারসি ভাষায় সাহিত্য রচিত বলে সাধারণ মানুষের মাঝে সাহিত্য পাঠের অভ্যাস গড়ে ওঠেনি।
কবির সময়কালে সাহিত্য রচিত হতো আরবি-ফারসি ভাষায় অথচ অধিকাংশ সাধারণ মানুষ একমাত্র বাংলা ভাষাই বুঝতে পারত। ফলে তারা সাহিত্য পাঠ করতে পারত না। আর এ কারণেই তাদের মাঝে বই পড়ার অভ্যাস গড়ে ওঠেনি।
বঙ্গবাণী কবিতার সৃজনশীল প্রশ্ন ও উত্তর : ০১
‘নানান দেশের নানান ভাষা
বিনে স্বদেশী ভাষা মিটে কি আশা।
কত নদী সরোবর কী বা ফল চাতকীর;
ধারাজল বিনে কভু ঘুচে কি তৃষা?
ক.‘হিন্দুর অক্ষর’ বলতে কোন ভাষাকে বোঝানো হয়েছে?
খ.‘দেশী ভাষা উপদেশ মনে হিত অতি’Ñবুঝিয়ে লেখো।
গ.উদ্দীপকে ‘বঙ্গবাণী’ কবিতার কোন দিকটি প্রতিফলিত হয়েছে?ব্যাখ্যা করো।
ঘ.উদ্দীপকটি ‘বঙ্গবাণী’ কবিতার সমগ্রতাস্পশী নয়Ñবিশ্লেষণ করো।
১ নং প্রশ্নের উত্তর:
উত্তরঃ (ক)
‘হিন্দুর অক্ষর’ বলতে বাংলা ভাষাকে বোঝানো হয়েছে।
উত্তরঃ (খ)
শুধু মাতৃভাষাতে কথা বলেই মনের সাধ মেটানো সম্ভব, মনের গূঢ়ভাব সম্পূর্ণরূপে ব্যক্ত করা সম্ভবÑপ্রশ্নোক্ত চরণটিতে এ কথাই প্রকাশিত হয়েছে।
বাংলাদেশ আমাদের মাতৃভূমি। বংশানুক্রমে এদেশে আমাদের বসতি। তাই মাতৃভাষা বাংলায় বর্ণিত বক্তব্য আমাদের মনকে স্পর্শ করে। বাংলাতে আমাদের ভাবের প্রবাহ গতিশীল বলে এ ভাষাতে বয়োজ্যেষ্ঠগণ আমাদের হিতোপদেশ দেন। আমরা স্বপ্ন সাজাই, কাব্য লিখিÑএ ভাষার অমিয় সুধা নিয়ে সফল জীবন গড়ি। আলোচ্য চরণটি দ্বারা এ কথাই বোঝানো হয়েছে।
উত্তরঃ (গ)
উদ্দীপকে ‘বঙ্গবাণী’ কবিতায় প্রকাশিত মাতৃভাষার প্রতি গভীর অনুরাগের চিরন্তন অনুভূতির দিকটি প্রতিফলিত হয়েছে।
‘বঙ্গবাণী’ কবিতায় কবি আবদুল হাকিম তাঁর গভীর উপলব্ধি ও বিশ্বাসের কথা নির্দ্বিধায় ব্যক্ত করেছেন। বাংলা ভাষার প্রতি অগাধ শ্রদ্ধার ধারক এ কবির আরবি-ফারসি ভাষার প্রতি মোটেই বিদ্বেষ নেই।
তবে তাঁর মতে, যে ভাষা জনসাধারণের বোধগম্য নয়, যে ভাষায় অন্যের সঙ্গে স্বতঃস্ফূর্ত ভাবে ভাব বিনিময় করা যায় না, সে ভাষা পরিহার করে সর্বস্তরে মাতৃভাষা চর্চা করা উচিত। কারণ মাতৃভাষায় বর্ণিত বক্তব্যই আমাদের মনকে গভীরভাবে স্পর্শ করতে পারে।
উদ্দীপকে মাতৃভাষার প্রতি গভীর শ্রদ্ধা ও ভালোবাসা প্রকাশ পেয়েছে। পৃথিবীর তিন ভাগ জল-প্লাবিত হলেও বৃষ্টির জল ব্যতীত চাতকীর তৃষ্ণা মেটে না। অনুরূপভাবে নানান দেশে নানান ভাষা প্রচলিত হলেও স্বদেশি ভাষা ভিন্ন অন্য কোনো ভাষায় কথা বলে প্রকৃত আনন্দ ও তৃপ্তি পাওয়া যায় না বলে উদ্ধৃত কবিতাংশের কবি অভিমত পোষণ করেছেন যা ‘বঙ্গবাণী’ কবিতারও মূল সুর। সেদিক বিবেচনায় উদ্দীপকে ‘বঙ্গবাণী’ কবিতার মাতৃভাষার প্রতি ভালোবাসার অনুভূতিই প্রকাশিত হয়েছে।
উত্তরঃ (ঘ)
উদ্দীপকটি ‘বঙ্গবাণী’ কবিতার সমগ্রতাস্পর্শী নয়Ñমন্তব্যটি যথার্থ।
‘বঙ্গবাণী’ কবিতায় মাতৃভাষার প্রতি কবির গভীর ভালোবাসা প্রকাশিত হয়েছে। বিদেশি ভাষা জনসাধারণের বোধগম্য নয় বলে সে ভাষা মনের ভাব পরিপূর্ণভাবে প্রকাশ করার উপযোগী নয়। কিন্তু মাতৃভাষা এক্ষেত্রে সম্পূর্ণ সফল। তাই কবি মাতৃভাষার কথা বলা ও লেখার পক্ষে দৃঢ় অবস্থান নিয়েছেন। অন্যদিকে উদ্দীপকে শুধু মাতৃভাষাপ্রীতির দিকটিই আলোচিত হয়েছে।
নিজ ভাষার প্রতি গভীর হৃদয়াবেগ প্রকাশে উদ্দীপকের কবিতাংশের কবি চাতকীর রূপকের আশ্রয় নিয়েছেন। চাতকী যেমন বিস্তৃত জলরাশির মাঝেও বৃষ্টির জলের জন্য হাপিত্যেশ করে মরে, তেমনি অনেক ভাষার ভিড়েও মানুষ মাতৃভাষার আশ্রয়ে শান্তি খুঁজে ফেরে।
মাতৃভাষাপ্রীতি মানুষের সহজাত বৈশিষ্ট্য। ‘বঙ্গবাণী’ কবিতা এবং উদ্ধৃত কবিতাংশে মাতৃভাষার প্রতি যে ভালোবাসা প্রকাশ পেয়েছে তা অকপট ও আন্তরিক। ‘বঙ্গবাণী’ কবিতায় এ দিকটি ছাড়াও আরও নানা বিষয় উঠে এসেছে।
আমাদের উপলব্ধি ও বিশ্বাস এই যে, মাতৃভাষাই ভাব প্রকাশের সর্বোৎকৃষ্ট মাধ্যম। তাই মাতৃভাষাকেই সর্বাধিক গুরুত্ব দিয়েই আমাদের অন্য সব ভাষার প্রতি আন্তরিক হওয়া উচিত। কারণ যে ভাষা জনগণের বোধগম্য নয়, সে ভাষায় ভাব বিনিময় করা সম্ভব নয়।
মাতৃভাষায় বর্ণিত বক্তব্য আমাদের অন্তরকে স্পর্শ করে বলেই সর্বক্ষেত্রে এ ভাষা প্রচলন করা উচিত। ‘বঙ্গবাণী’ কবিতায় কবি আবদুল হাকিম মাতৃভাষার গুরুত্ব উপলব্ধি করে এ বিষয়ে দৃঢ় অবস্থান নিয়েছেন। এছাড়া আলোচ্য কবিতায় মাতৃভাষা বিদ্বেষীদের স্বরূপ
এবং তাদের হীন মানসিকতার প্রতি তীব্র শ্লেষ প্রকাশ করা হয়েছে। কিন্তু উদ্দীপকের কবিতাংশে শুধু মাতৃভাষার প্রতি কবির ভালোবাসা ও ভাবাবেগের দিকটিই ফুটে উঠেছে। সে বিবেচনায় প্রশ্নোক্ত মন্তব্যটি যথাযথ অর্থবহ।
বঙ্গবাণী কবিতার সৃজনশীল প্রশ্ন ও উত্তর : ০২
১৯৫২সালের ২১ ফেব্রুয়ারি বাংলার দামাল ছেলেরা মাতৃভাষার মান রক্ষার্থে রাজপথে জীবন দেয়। তাঁদের রক্তে আমাদের মাতৃভাষা বাংলা স্বমহিমায় উদ্ভাসিত হয়ে উঠে। মাতৃভাষার জন্য মানুষের এমন আবেগ-অনুভূতির দৃষ্টান্ত ইতিহাসে বিরল। বাঙালি প্রমাণ করেছে মা, মাটি ও মাতৃভাষা তাদের কাছে সমান ভালোবাসার জিনিস।
ক.‘বঙ্গবাণী’ কবিতাটি কোন শতকে রচিত হয়?
খ.কবি কাদেরকে এবং কেন বিদেশে চলে যেতে বলেছেন?
গ.উদ্দীপকে ‘বঙ্গবাণী’ কবিতার যে ভাব ফুটে উঠেছে, তা ব্যাখ্যা করো।
ঘ.উদ্দীপকের ভাষা সৈনিকদের পূর্বসুরী যেন ‘বঙ্গবাণী’ কবিতার কবি-বিশ্লেষণ করো।
২ নং প্রশ্নের উত্তর:
উত্তরঃ (ক)
‘বঙ্গবণী’ কবিতাটি সপ্তদশ শতকে রচিত।
উত্তরঃ (খ)
যারা বাংলাদেশ ও বাংলা ভাষাকে ভালোবাসে না কবি তাদেরকে বিদেশ চলে যেতে বলেছেন।
বাংলাদেশে শিকড়হীন পরগাছা স্বভাবের কিছু মানুষ আছে। এই মানুষগুলো বংশানুক্রমে বাংলাদেশে জন্মগ্রহণ করেছে অথচ বাংলা ভাষাকে অবমূল্যায়ন করে। কবি বাংলা ভাষার প্রতি তীব্র বিদ্বেষ প্রদর্শনকারী এই মানুষগুলোর প্রতি ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন। তিনি এই মানুষগুলোকে বিদেশে চলে যেতে বলেছেন।
উত্তরঃ (গ)
বাংলা ভাষার প্রতি ‘বঙ্গবাণী’ কবিতার কবির তীব্র অনুরাগ উদ্দীপকে ফুটে উঠেছে।
‘বঙ্গবাণী’ কবিতায় কবি বঙ্গভাষী ও বঙ্গভাষার প্রতি বলিষ্ঠ বাণী উচ্চারণ করেছেন। মধ্যযুগীয় পরিবেশে এমন বাণীবদ্ধ কবিতার নিদর্শন দুলর্ভ। কিন্তু কবি এমন বলিষ্ঠ উচ্চারণ করতে পেরেছেন কারণ তিনি দেশকে, ভাষাকে সত্যিকার অর্থেই ভালোবাসেন। এই ভালোবাসার কারণে কবি বাংলাতেই কাব্য রচনায় মনোনিবেশ করেছেন।
উদ্দীপকে উঠে এসেছে বাংলার দামাল ছেলেদের কথা। তারা ভাষার জন্য নির্দ্বিধায় প্রাণ দিয়েছেন। বায়ান্নতে তাদের আত্মত্যাগের বিনিময়ে আমরা পেয়েছি ভাষার অধিকার। মাতৃভাষার জন্য বাঙলার ছেলেদের আবেগ অনুভূতির এমন দৃষ্টান্ত ইতিহাসে বিরল। তবে বাংলাকে যারা সত্যিই ভালোবাসে তারা এমনই, আর সেই চেতনা আলোচ্য কবিতার কবির মধ্যেও দেখতে পাই আমরা।
উত্তরঃ (ঘ)
বাংলা ভাষার প্রতি মমত্ববোধকে ধারণার সূত্রে উদ্দীপকের ভাষা সৈনিকদের পূর্বসুরী যেন ‘বঙ্গবাণী’ কবিতার কবি।
‘বঙ্গবাণী’ কবিতার কবি প্রবলভাবে ধারণ করে আছেন দেশাত্মবোধের চেতনাকে। তিনি বাংলা ভাষার প্রতি অনুরাগী এবং বাঙলাকে অবহেলাকারীদের প্রতি ক্ষুব্ধ। তার কবিতার মাধ্যমে বাংলার প্রতি আমাদের অনুরাগ আরো প্রসারিত হবে।
উদ্দীপকে বাংলার দামাল ছেলেদের কথা বলা হয়েছে। তারা বাংলা ভাষার মান রক্ষার্থে রাজপথে জীবন দিয়েছে। তাদের রক্তে বাংলা স্বমহিমায় উদ্ভাসিত হয়ে উঠেছে। তাদের এই আবেগ অনুভূতি আমাদের কাছে প্রেরণার উৎস।
আলোচ্য কবিতায় কবি বাংলা ভাষার প্রতি তার গভীর উপলব্ধিকে প্রকাশ করেছেন। তার চিন্তায়, চেতনায় বাংলা প্রবলভাবে জড়িয়ে আছে। তিনি বাংলাকে নিজের মনে অনুভব করে এই ভাষাতেই সাহিত্য রচনা করেছেন। যারা বাংলাকে ভালোবাসে না বরং অবমূল্যায়ন করে তাদের প্রতি কবি ক্ষুব্ধ হয়েছেন।
তার এই ক্ষোভ উদ্দীপকের ভাষা সৈনিকদের মাঝেও দেখতে পাই আমরা। তাইতো বাঙলার সম্মান ক্ষুন্ন হওয়ার উপক্রম হতেই তারা প্রাণ দিয়েছে। তাই নিঃসন্দেহে বলতে পারি, উদ্দীপকের ভাষা সৈনিকদের পূর্বসুরী যেন ‘বঙ্গবাণী’ কবিতার কবি।
উক্ত বিষয় সম্পর্কে কিছু জানার থাকলে কমেন্ট করতে পারেন।
আমাদের সাথে ইউটিউব চ্যানেলে যুক্ত হতে এখানে ক্লিক করুন এবং আমাদের সাথে ফেইজবুক পেইজে যুক্ত হতে এখানে ক্লিক করুন। গুরুত্বপূর্ণ আপডেট ও তথ্য পেতে আমাদের ওয়েবসাইটে ভিজিট করুন।