ফিন্যান্স ব্যাংকিং ও বিমা ২য় | অধ্যায় ১০ | সৃজনশীল প্রশ্ন ৬-১০ | PDF: ফিন্যান্স, ব্যাংকিং ও বিমা দ্বিতীয় পত্রের দশম অধ্যায়ের গুরুত্বপূর্ণ সব কমন উপযোগী সৃজনশীল প্রশ্ন গুলো আমাদের এই পোস্টে পাবেন।
প্রিয় ছাত্র ছাত্রী বন্ধুরা আল্লাহর রহমতে সবাই ভালোই আছেন । এটা জেনে আপনারা খুশি হবেন যে, আপনাদের জন্য ফিন্যান্স, ব্যাংকিং ও বিমা দ্বিতীয় পত্রের দশম অধ্যায়ের গুরুত্বপূর্ণ সব কমন উপযোগী সৃজনশীল প্রশ্ন গুলো নিয়ে আলোচনা করতে যাচ্ছি ।
সুতরাং সম্পূর্ণ পোস্টটি মনোযোগ সহকারে পড়ুন। আর এইচ এস সি- HSC এর যেকোন বিভাগের গুরুত্বপূর্ণ সকল সাজেশন পেতে জাগোরিকের সাথে থাকুন।
ফিন্যান্স ব্যাংকিং ও বিমা ২য় | অধ্যায় ১০ | সৃজনশীল প্রশ্ন ৬-১০ | PDF
প্রশ্ন ৬: মি. শিকদার একজন প্রতিষ্ঠিত শিল্পপতি। তিনি তার শিল্পের সম্প্রসারণে এমন একটি নতুন প্রকল্প হাতে নিতে চাচ্ছেন, যেখানে মোটা ঙ্কের বিনিয়োগ প্রয়োজন সেখানে ঝুঁকিও প্রচুর। তার বিনিয়োগযোগ্য মূলধন (সম্পত্তি) হারানোর ভয়ে বিমা কোম্পানির কাছে বিমা করতে গেলে বিমা কোম্পানি বিমা করতে পারগতা জানায়। [দি. বো. ১৬]
ক. বিশুদ্ধ ঝুঁকি কী? ১
খ. আঅর্থিক ক্ষতিপূরণের নীতি বলতে কী বোঝায়? ২
গ. উদ্দীপকে মি. শিকদারের বিনিয়োগযোগ্য মূলধন কোন ধরনের ঝুঁকির ন্তর্গত? বিমা ব্যবসায়ের আলোকে ব্যাখ্যা করো। ৩
ঘ. উদ্দীপকে মি. শিকদারের নতুন প্রকল্প বিমা প্রতিষ্ঠান বিমা করতে পারগতা জানানো কি অন্যায়সঙ্গত হয়েছে বলে তুমি মনে করো? যুক্তি দাও। ৪
৬ নং প্রশ্নের উত্তর
ক উত্তর: যে সকল সম্ভাব্য দুর্ঘটনায় ব্যক্তি বা প্রতিষ্ঠান নিশ্চিতভাবেই ক্ষতির সম্মুখীন হয় তাকে বিশুদ্ধ ঝুঁকি বলে।
খ উত্তর: যে নীতির আলোকে চুক্তিতে উলেখ্য কারণে বিমাকৃত সম্পত্তির ক্ষতি হলে বিমা কোম্পানি ক্ষতিপূরণ দেয় তাকে আঅর্থিক ক্ষতিপূরণের নীতি বলে।
এ নীতি নুযায়ী বিমাগ্রহীতা বিমাকৃত বিষয়বস্তুর সম্ভাব্য ঝুঁকি দ্বারা ক্ষতিগ্রস্ত হলে ক্ষতিপূরণ পাবে। তবে ক্ষতির পরিমাণ আঅর্থিক মূল্যে মূল্যায়িত হতে হবে।
গ উত্তর: উদ্দীপকে মি. শিকদারের বিনিয়োগযোগ্য মূলধন আঅর্থিক ঝুঁকির ন্তর্গত।
কোনো দুর্ঘটনা, ঝুঁকি বা বিপদ থেকে কোনো ব্যক্তি বা প্রতিষ্ঠানের যে আঅর্থিক ক্ষতির আশঙ্কা লক্ষ্য করা যায় তাকে আঅর্থিক ঝুঁকি বলে। পরিমাপযোগ্য সকল ঝুঁকিকেই আঅর্থিক ঝুঁকি হিসেবে গণ্য করা হয়।
উদ্দীপকে মি. শিকদার প্রতিষ্ঠিত শিল্পপতি। তিনি তার শিল্পের সম্প্রসারণের জঅন্য নতুন প্রকল্প চালু করতে চাচ্ছেন। এক্ষেত্রে ধিক পরিমাণ বিনিয়োগ প্রয়োজন এবং ঝুঁকিও প্রচুর। এক্ষেত্রে তার সর্বোচ্চ ঝুঁকি হলো বিনিয়োগযোগ্য মূলধনের ঝুঁকি।
এ বিনিয়োগযোগ্য মূলধনের ঝুঁকি পরিমাপযোগ্য। এ ক্ষেত্রে মি. শিকদারের অর্থের ঙ্কে বিনিয়োগযোগ্য মূলধনের ক্ষতির আশঙ্কা রয়েছে। এছাড়া এ ঝুঁকি আঅর্থিক ঙ্কে পরিমাপযোগ্য হওয়ায় এটি আঅর্থিক ঝুঁকির ন্তর্গত।
ঘ উত্তর: উদ্দীপকে মি. শিকদারের নতুন প্রকল্প বিমা প্রতিষ্ঠান কর্তৃক বিমা করতে পারগতা প্রকাশ অন্যায়সঙ্গত হয়েছে বলে আমি মনে করি।
বিমা ব্যবসায়ের সাফল্য নির্ভর করে কাম্য পরিমাণ ঝুঁকি গ্রহণের ওপর। বিমা কোম্পানি যদি নিজের সামঅর্থ্যরে বেশি ঝুঁকি গ্রহণ করে তবে ধিক পরিমাণ ক্ষতিপূরণ দিয়ে গিয়ে কোম্পানি আঅর্থিক সংকটে পড়ে।
উদ্দীপকে মি. শিকদার প্রতিষ্ঠিত শিল্পপতি, শিল্পের সম্প্রসারণে তিনি একটি নতুন প্রকল্পে বিনিয়োগ করতে চান। যেখানে বিনিয়োগযোগ্য মূলধনের পরিমাণ বেশি প্রয়োজন এবং ঝুঁকি প্রচুর। ঝুঁকির পরিমাণ স্বাভাবিকের চেয়ে বেশি হওয়ায় বিমা কোম্পানি বিমা প্রস্তাব গ্রহণে পারগতা জানায়।
বিমা কোম্পানি মূলত তার সামঅর্থ্যমাফিক ঝুঁকি গ্রহণের নীতি মেনে চলায় এ ঝুঁকি বর্জন করেছে। বৃহৎ ঝুঁকি মোকাবিলায় বিমা কোম্পানি দেউলিয়া হওয়ার সম্ভাবনা থেকে রক্ষা পায়। তাই সামঅর্থ্যমাফিক ঝুঁকি গ্রহণের নীতি নুসরণ করায় মি. শিকদারের বিমা প্রস্তাবটি বিমা কোম্পানি দ্বারা প্রত্যাখ্যাত হয়েছে।
প্রশ্ন ৭: সুতার ব্যবসায়ী তারেক সুতার গুদাম বিমা করেছিল। সুতার পরিমাণ সঠিকভাবে উলেখ না করায় বিমা কোম্পানি তার বিমা চুক্তি বাতিল করেছে। অন্যদিকে রাসেল ১৫ বছর মেয়াদি ১০,০০,০০০ টাকার একটি জীবন বিমা গ্রহণ করে। ১ বছর ৫ মাস পর যখন রাসেল বিমার কিস্তি দিতে পরাগতা প্রকাশ করে তখন কোম্পানি তাকে কোন অর্থ দেয়নি। এমতাবস্থয় রাসেল খুবই মর্মাহত হলেন।
[রাজউক উত্তরা মডেল কলেজ, ঢাকা]
ক.শস্য বিমা কাকে বলে?১
খ.প্রত্যক্ষ কারণের নীতি কী? ব্যাখ্যা করো। ২
গ.বিমা কোম্পানি কেন বিমাচুক্তি বাতিল করেছে? বিমার মূলনীতির ওপর ভিত্তি করে ব্যাখ্যা করো। ৩
ঘ.রাসেল বিমা কোম্পানি হতে কোন অর্থ না পাওয়ার কারণ কী? উদ্দীপকের আলোকে ব্যাখ্যা করো। ৪
৭ নং প্রশ্নের উত্তর
ক উত্তর: কৃষি কাজে বিদ্যমান প্রাকৃতিক ও প্রাকৃতিক ঝুঁকি আঅর্থিকভাবে মোকাবিলার কৌশলকে শস্য বিমা বলে।
খ উত্তর: বিমাকৃত বিষয়বস্তু যেসব কারণে ক্ষতিগ্রস্ত হওয়ার আশঙ্কা রয়েছে তাকে প্রত্যক্ষ কারণের নীতি বলে।
প্রত্যক্ষ কারণগুলো বিমাচুক্তিতে লিপিবদ্ধ থাকে। বিমাচুক্তিতে লিপিবদ্ধ প্রত্যক্ষ কারণগুলো ছাড়া অন্য কোন কারণে বিমার বিষয়বস্তুর ক্ষতি হলে বিমাকারী বিমা দাবি দেয় না।
গ উত্তর: চ‚ড়ান্ত সদ্বিশ্বাসের নীতির লঙ্ঘনের কারণে বিমা কোম্পানি বিমাচুক্তিটি বাতিল করেছে।
বিমার ক্ষেত্রে বিমাকারী ও বিমাগ্রহীতার মধ্যে সদ্বিশ্বাসের সম্পর্ক প্রতিষ্ঠিত হয়। তাই এক্ষেত্রে সকল গুরুত্বপূর্ণ তথ্য সঠিকভাবে প্রদানে উভয়পক্ষ একে পরের নিকট বাধ্য থাকে। বিমা চুক্তির এই নীতি হল চ‚ড়ান্ত সদ্বিশ্বাসের নীতি।
উদ্দীপকের সুতার ব্যবসায়ী তারেক সুতার গুদাম বিমা করেছিল। তারেক বিমা কোম্পানির কাছে সুতার পরিমাণ সঠিকভাবে উপস্থাপন করেনি। এজঅন্য বিমা কোম্পানি তার বিমাচুক্তি বাতিল করেছে। তারেক বিমাচুক্তির একটা গুরুত্বপূর্ণ নীতি ভঙ্গ করেছে।
তারেক সাহেবের দায়িত্ব ছিল বিমা কোম্পানিকে সঠিক তথ্য দেওয়া। ইচ্ছাকৃত ভুল উপস্থাপনার জঅন্য বিমা কোম্পানি যেকোনো সময় বিমাচুক্তি বাতিল করতে পারে। তাই চ‚ড়ান্ত সদ্বিশ্বাসের ভাব থাকায় বিমা কোম্পানি তারেক সাহেবের চুক্তিটা বাতিল করেছে।
ঘ উত্তর: উদ্দীপকের রাসেল সমর্পণ মূল্যের শর্ত পূরণ না করায় কোন অর্থ পায়নি।
বিমাগ্রহীতা বিমাপত্রের প্রিমিয়াম পরিশোধে সমঅর্থ্য হলে তিনি তা বিমা কোম্পানির কাছে সমর্পণ করে কিছু অর্থ পেতে পারেন। এরূপ গ্রহণীয় অর্থই হল সমর্পণ মূল্য। সমর্পণ মূল্য মূলত প্রিমিয়ামের একটা ংশ।
উদ্দীপকের রাসের ১৫ বছর মেয়াদি ১০,০০,০০০ টাকার একটি জীবন বিমা গ্রহণ করেন। সে নিয়মিত ১ বছর ৫ মাস প্রিমিয়াম প্রদান করে। তারপর কিস্তি দিতে পরাগতা প্রকাশ করে। কোম্পানি তাকে কোন অর্থ দেয়নি। কোম্পানির বিবেচনায় সে সমর্পণ মূল্য পাওয়ার যোগ্য নয়। এজঅন্য বিমা কোম্পানি তাকে কোন অর্থ দেয়নি।
বিমাগ্রহীতা প্রিমিয়াম পরিশোধ এ সমঅর্থ্য হলে বিমা কোম্পানির কাছে তা সমর্পণ করে সমর্পণ মূল্য পেতে পারেন। তবে শর্ত থাকে যে, কমপক্ষে ২ বছর কিস্তির টাকা নিয়মিত পরিশোধ করতে হবে।
২ বছর কিস্তি প্রদানের পরই কেবল বিমাগ্রহীতা সমর্পণ মূল্য দাবি করতে পারবে। উদ্দীপকের রাসেল ১ বছর ৫ মাস নিয়মিত কিস্তি প্রদান করেছে। সমর্পণ মূল্যের শর্ত পূরণ না হওয়ায় সে কোন অর্থ পায়নি।
প্রশ্ন ৮: ঢাকার কবির চট্টগ্রাম বন্দর ব্যবহার করে জাপান থেকে টোমোবাইল যন্ত্রাংশ আমদানি করেন। সমুদ্রপথে ঝড়ঝঞ্চা, বজ্রপাত, জলদস্যুর হাত থেকে রক্ষা পাওয়ার জঅন্য তিনি মর্ডান ইন্স্যুরেন্স কোম্পানির সাথে ১৫ কোটি টাকা পর্যন্ত ক্ষতিপূরণের শর্তে প্রতিবছর ১.৫ লক্ষ টাকা প্রিমিয়ামের বিনিময়ে একটি বিমাচুক্তি সম্পন্ন করেন। বিমাচুক্তি সম্পন্ন হওয়ার পূর্বেই কবিরের পণ্য পরিবহনকৃত জাহাজ বরফের সাথে ধাক্কা লেগে প্রায় ১৫ লক্ষ টাকার পণ্য নষ্ট হয়ে যায়।
[আইডিয়াল স্কুল ্যান্ড কলেজ, মতিঝিল, ঢাকা]
ক.জীবন বিমা কর্পোরেশন কী?১
খ.বিমাকে সদ্বিশ্বাসের চুক্তি বলা হয় কেন? ২
গ.কবির কোন ধরনের বিমা গ্রহণ করেছিলেন? বর্ণনা করো। ৩
ঘ.কবির কী বিমাকারীর নিকট থেকে ক্ষতিপূরণ পাওয়ার ধিকারী? উত্তরের সপক্ষে যুক্তি দাও। ৪
৮ নং প্রশ্নের উত্তর
ক উত্তর: বাংলাদেশে সরকারি মালিকানাধীন পরিচালিত জীবন বিমা সংশ্লিষ্ট একক প্রতিষ্ঠানটিই জীবন বিমা কর্পোরেশন।
খ উত্তর: বিমাকারী এবং বিমাগ্রহীতার সদ্বিশ্বাসের উপর চুক্তি সংঘটিত হয় বলে বিমাকে সদ্বিশ্বাসের চুক্তি বলা হয়।
বিমা হচ্ছে সদ্বিশ্বাসের চুক্তি। উভয় পক্ষ সকল গুরুত্বপূর্ণ বিষয়বস্তু সম্পর্কিত সত্য তথ্য আদান-প্রদান করে। এটাই চ‚ড়ান্ত সদ্বিশ্বাস।
গ উত্তর: কবির নৌ বিমা গ্রহণ করেছিলেন।
নৌপথে পরিবহনকালে উদ্ভুত ক্ষয়ক্ষতির হাত থেকে রক্ষা পাওয়ার জঅন্য সাধারণত এ ধরনের বিমা করা হয়। ক্ষতি আংশিক বা সম্পূর্ণ যাই হোক বিমাকারী তা প্রদান করে। চুক্তিতে উলিখিত কারণে ক্ষতি হলেই কেবল ক্ষতি পূরণ করে।
উদ্দীপকের কবির চট্টগ্রাম বন্দর ব্যবহার করে জাপান থেকে টোমোবাইল যন্ত্রাংশ আমদানি করেন। সমুদ্রপথে ঝড়ঝঞ্ঝা, বজ্রপাত, জলদুস্যর হাত থেকে রক্ষা পাওয়ার জঅন্য তিনি বিমাচুক্তি করেন। সমুদ্রের বিপদ বা ঝুঁকি এড়ানোর জঅন্য নৌ বিমা করা হয়। তিনি যেহেতু সমুদ্রের ঝুঁকি থেকে রক্ষা পাওয়ার জঅন্য বিমা করেছেন। সুতরাং বলা যায়, তিনি নৌবিমা করেছিলেন।
ঘ উত্তর: কবির বিমাকারীর নিকট থেকে ক্ষতিপূরণ পাওয়ার ধিকারী নয়।
নৌবিমার ক্ষেত্রে বিমাচুক্তি সম্পন্ন হওয়ার পর যদি কোন ক্ষতি সংঘটিত হয় তখন বিমাকারী প্রতিষ্ঠান ক্ষতিপূরণ দিবে। চুক্তি সম্পন্ন হওয়ার আগে যদি কোন দুর্ঘটনা ঘটে তার জঅন্য বিমা কোম্পানি দায়ী নয়।
উদ্দীপকের কবির সাহেব ১৫ কোটি টাকা পর্যন্ত ক্ষতিপূরণ সাপেক্ষে প্রতিবছর ১.৫ লক্ষ টাকা প্রিমিয়ামের বিনিময়ে একটি বিমাচুক্তি সম্পন্ন করেন।
কিন্তু অন্যদিকে এই চুক্তি সম্পন্ন হওয়ার পূর্বেই তার ১৫ লক্ষ টাকার পণ্য নষ্ট হয়ে যায়। নৌবিমার ক্ষেত্রে আংশিক বা সম্পূর্ণ যে পরিমাণ ক্ষতিই হোক বিমা কোম্পানি তা পূরণ করবে। কিন্তু এটা হতে হবে বিমাচুক্তি সম্পন্ন হওয়ার পরে।
কিন্তু দুর্ভাগ্যজনকভাবে কবির সাহেবের বিমাচুক্তি সম্পন্ন হবার পূর্বেই তার জাহাজ বরফের সাথে ধাক্কা লেগে ১৫ লক্ষ টাকার পণ্য নষ্ট হয়ে যায়। এখানে বিমাকারী প্রতিষ্ঠান এর হাতে ধিকার আছে বিমাচুক্তিটা বাদ দেওয়ার।
কারণ এই চুক্তিটি সম্পন্নই হয়নি। সেখানে বিমাদাবি চাওয়ার কোনো প্রশ্ন ওঠে না। তবে বিমাচুক্তিটি সম্পন্ন করা হলে বাকি অর্থের জঅন্য কবির ক্ষতিপূরণের নিশ্চয়তা পাবেন। উপরোক্ত আলোচনা থেকে আমরা বলতে পারি, কবির সাহে বিমাদাবি পাওয়ার ধিকারী নন।
প্রশ্ন ৯ মি. আবুল একজন ক্যান্সার আক্রান্ত ব্যক্তি। তিনি তার জীবনের জঅন্য একটি বিমা কোম্পানির সাথে দুই লক্ষ টাকায় চুক্তিবদ্ধ হয়ে বিমাপত্র সংগ্রহ করেন। তিনি চুক্তির সময় তার রোগের বিষয়টি উলেখ করেননি। তিন মাস পর তিনি মারা গেলে তার মনোনীত ব্যক্তি বিমাদাবি পেশ করেন। কিন্তু বিমা কোম্পানি বিমাদাবি পরিশোধে স্বীকৃতি জানায়। [আদমজী ক্যান্টনমেন্ট কলেজ]
ক.প্রিমিয়াম কী?১
খ.বিমাকে ক্ষতিপূরণের চুক্তি বলা হয় কেন? বর্ণনা করো। ২
গ.মি. আবুল বিমা চুক্তির কোন নীতি লঙ্ঘণ করেছেন? ব্যাখ্যা করো। ৩
ঘ.বিমা কোম্পানির সিদ্ধান্তটি কতখানি যৌক্তিক বলে তুমি মনে করো? ৪
৯ নং প্রশ্নের উত্তর
ক উত্তর: ঝুঁকি বহনের প্রতিদান মূল্যই হলো প্রিমিয়াম।
খ উত্তর: বিমাপত্রে উলিখিত কারণে ক্ষতি হলে বিমাকারী বিমাগ্রহীতাকে ক্ষতিপূরণ করে বলে বিমা ক্ষতিপূরণের চুক্তি।
বিমা হলো সম্ভাব্য আঅর্থিক ঝুঁকির বিপরীতে ক্ষতিপূরণের প্রতিরক্ষামূলক ব্যবস্থা। বিমা চুক্তিতে উলিখিত কারণে বিমাকৃত বিষয়বস্তু ক্ষতিগ্রস্ত হলে বিমা কোম্পানি ক্ষতিপূরণে বাধ্য থাকে।
গ উত্তর: মি. আবুল বিমা চুক্তির ‘সদ্বিশাসের সম্পর্কের নীতি’ লঙ্ঘন করেছেন।
বিমা হলো বিমা গ্রহীতা ও বিমাকারীর মধ্যে একটি চুক্তি। এর আওতায় বিমাগ্রহীতা ও বিমাকারী একে পরকে বিমা সম্পর্কিত সকল তথ্য সরবরাহ করতে বাধ্য। যা সদ্বিশাসের নীতি নামে পরিচিত।
উদ্দীপকে মি. আবুল একজন ক্যান্সার আক্রান্ত ব্যক্তি। তিনি দুই লক্ষ টাকার একটি জীবন বিমাপত্র সংগ্রহ করেন। চুক্তির সময় তিনি তার রোগের বিষয়টি উলেখ করেননি।
বিমা চুক্তির ‘চ‚ড়ান্ত সদ্বিশাসের নীতি’ নুসারে বিমা চুক্তিকে প্রভাবিত করতে পারে সম্ভাব্য এমন সব তথ্য উভয় পক্ষ পূর্ণ প্রকাশ করতে বাধ্য থাকে।
এক্ষেত্রে বিমাগ্রহীতা কোনো তথ্য গোপন করলে বিমাকারী চুক্তি বাতিল করার ধিকার রাখে। উদ্দীপকে মি. আবুল তার রোগর বিষয়টি বিমাকারীর কাছে প্রকাশ করেনি। যা চ‚ড়ান্ত সদ্বিশাসের নীতির লঙ্ঘন।
ঘ উত্তর: উদ্দীপকে মি. আবুলকে বিমাদাবি পরিশোধে বিমা কোম্পানির স্বীকৃতি জানানোর সিদ্ধান্তটি যৌক্তিক হয়েছে বলে আমি মনে করি।
বিমা হলো পরম বিশ্বাসের চুক্তি। এ চুক্তিতে উলিখিত কারণে বিমাগ্রহীতা ক্ষতিগ্রস্ত হলে বিমাকারী তা পূরণ করে থাকে।
উদ্দীপকে মি. আবুল একজন ক্যান্সার আক্রান্ত ব্যক্তি। তিনি একটি বিমা কোম্পানি থেকে দুই লক্ষ টাকার একটি জীবন বিমাপত্র সংগ্রহ করেন। তবে বিমাপত্রে ক্যান্সারের বিষয়টি উলেখ করেননি। তিন মাস পর তিনি মারা যান। তার মনোনীত ব্যক্তি বিমাদাবি পেশ করলে বিমা কোম্পানি দাবি পরিশোধে স্বীকৃতি জানায়। যা যৌক্তিক সিদ্ধান্ত হয়েছে।
উদ্দীপকের মি. আবুল ‘পরম বিশ্বাসের নীতি’ নুযায়ী বিমা কোম্পানিকে সকল তথ্য প্রদান করেন নি। তিনি ক্যান্সারে আক্রান্ত, এ তথ্যটি গোপন করা হয়েছে। যার ফলে ‘পরম বিশ্বাসের নীতি’ ভঙ্গ করা হয়েছে।
তথ্য গোপন করায় বিমা কোম্পানি তার সম্ভাব্য মৃত্যু ঝুঁকির চেয়ে কম হারে প্রিমিয়াম ধার্য করেছে। এক্ষেত্রে মি. আবুলের মৃত্যুতে বিমা দাবি পরিশোধ করতে হলে বিমা কোম্পানির ক্ষতি হবে। তাই বিমা কোম্পানি বিমা দাবি পূরণে স্বীকৃতি জানিয়েছে। যা যথাঅর্থ হয়েছে।
প্রশ্ন ১০: জাহিদ এন্ড সন্স ৪০,০০,০০০ টাকার সম্পত্তি ২০,০০,০০০ টাকার বিমা করে। পরে ঐ সম্পত্তি চুক্তিতে উলেখিত কারণে ক্ষতিগ্রস্ত হয়ে যায়। ক্ষতির পূর্বে তার প্রকৃত মূল্য ছিল ২৫,০০,০০০ টাকা। কিন্তু বিমা কোম্পানির নিকট থেকে ২০,০০,০০০ টাকা ক্ষতিপূরণ আদায় করা যাবে। শরিফ জাহিদকে বললেন যদি সম্পত্তির বর্তমান বাজার মূল্য ১৭,০০,০০০ টাকা হয় তাহলে ক্ষতিপূরণ হিসেবে শুধু ১৭,০০,০০০ টাকাই পাওয়া যাবে। [বেপজা পাবলিক স্কুল এন্ড কলেজ, সাভার]
ক.ব্যবসায়িক ঝুঁকি কী?১
খ.আনুপাতিক হারে ংশগ্রহণ নীতি বলতে কী বোঝ? ২
গ.জাহিদ এন্ড সন্স কোন ধরনের বিমা করে? ব্যাখ্যা করো। ৩
ঘ.শরিফ এর বক্তব্য নুযায়ী বিমা কোম্পানি ১৭,০০,০০০ টাকার বেশি ক্ষতিপূরণ করবে না তুমি কি এ বক্তব্যের সাথে একমত? বিশ্লেষণ করো। ৪
১০ নং প্রশ্নের উত্তর
ক উত্তর: ব্যবসায় পরিচালনা সংক্রান্ত সুবিধার কারণে সৃষ্ট ঝুঁকিই হলো ব্যবসায়িক ঝুঁকি।
খ উত্তর: একিট সম্পত্তির বিপরীতে একাধিক বিমা করা হলে বিমা কোম্পানিগুলো যে নীতি নুসারে ক্ষতিপূরণ প্রদান করে তাকে আনুপাতিক হারে ংশগ্রহণের নীতি বলে।
একই সম্পত্তি একাধিক বিমাকারীর কাছে বিমা করা যায়। সহবিমাকারীগণ তখন বিমা দাবি পরিশোধের ক্ষেত্রে আনুপাতিক হারে ংশগ্রহণ করে। যে বিমা কোম্পানির কাছে যে পরিমাণ ংশ বিমা করা হয় তারা সেই হারে বিমা দাবি প্রদান করে থাকে। কিন্তু সর্বমোট বিমার পরিমাণ সম্পদের আসল মূল্যের সমান থবা কম হতে হবে।
গ উত্তর: জাহিদ এন্ড সন্স এর বিমাটি গ্নিবিমা।
এ ধরনের বিমা সাধারণত গ্নিকাণ্ডের ক্ষতিজনিত ঝুঁকি হ্রাসের জঅন্য করা হয়। চুক্তিতে উলিখিত কারণে সম্পত্তির ক্ষতি হলে বিমাকারী বিমাগ্রহীতাকে ক্ষতিপূরণ প্রদান করে। এ বিমাপত্র নির্দিষ্ট সময়ের জঅন্য হয়ে থাকে। উদ্দীপকের জাহিদ এন্ড সন্স ৪০,০০,০০০ টাকার সম্পত্তি ২০,০০,০০০ টাকায় বিমা করে। পরে ঐ সম্পত্তি চুক্তিতে উলিখিত কারণে ক্ষতিগ্রস্ত হয়।
ক্ষতির পূর্বে তার প্রকৃত মূল্য ছিল ২৫,০০,০০০। কিন্তু বিমা কোম্পানির নিকট থেকে ২০,০০,০০০ টাকা আদায় করা যাবে। গ্নিবিমার চুক্তি নুসারে বিমা করার সময় সম্পত্তির যে মূল্যে বিমা করে শুধু সেই মূল্য বিমা কোম্পানি প্রদান করে।
গ্নিবিমাতে সাধারণত সম্পূর্ণমূল্য বিমা করা হয় না। কারণ আগুনে পুড়ে সম্পদের মূল্য শূঅন্য হয়ে যায় না। তাই কিছু ংশ বিমা করা হয়। উদ্দীপকে ও দেখা যায়, সম্পদের র্ধেক বিমা করা হয়েছে। সুতরাং উপরোক্ত বৈশিষ্ট্য থেকে আমরা বলতে পারি যে বিমাটি গ্নিবিমা ছিল।
- উত্তর ডাউনলোড করুন> (১ম পত্র) ব্যবসায়ের মৌলিক ধারণা ১ম পত্র সৃজনশীল প্রশ্ন
- উত্তর ডাউনলোড করুন>(১ম পত্র)১ম: ব্যবসায়ের মৌলিক ধারণা প্রশ্ন উত্তরসহ PDF
- উত্তর ডাউনলোড করুন> HSC ব্যবসায়ের মৌলিক ধারণা প্রশ্নের উত্তরসহ অধ্যায়-১: PDF
- উত্তর ডাউনলোড করুন> HSC অধ্যায়-১: প্রশ্নের উত্তরসহ ব্যবসায়ের মৌলিক ধারণা PDF
- উত্তর ডাউনলোড করুন>অধ্যায়৩: SSC ফিন্যান্স ও ব্যাংকিং‘র সৃজনশীল প্রশ্নোত্তর PDF
- উত্তর ডাউনলোড করুন> অধ্যায়৩: SSC ফিন্যান্স ও ব্যাংকিং‘র জ্ঞানমূলক প্রশ্নোত্তরPDF
ঘ উত্তর: শরিফের বক্তব্য নুযায়ী বিমা কোম্পানি ১৭,০০,০০০ টাকার বেশি ক্ষতিপূরণ করবে না এ বক্তব্যের সাথে আমি একমত না।
জাহিদের মূল্যায়িত গ্নিবিমা পত্রটির মূল্য আগে থেকেই নির্ধারিত ছিল।
এ ধরনের বিমার ক্ষেত্রে উভয়পক্ষ সম্মিলিতভাবে মূল্য নিরূপণ করে। বিমাপত্রে উলিখিত সুনির্দিষ্ট কারণে সম্পদের ক্ষতি হলে বিমাকারি সমপরিমাণ ক্ষতি পূরণ করতে বাধ্য বাজার মূল্য যাই থাকুক।
উদ্দীপকের শরিক জাহিদকে বলেন যদি সম্পত্তির বর্তমান বাজার মূল্য ১৭,০০,০০০ টাকা হয় তাহলে ক্ষতিপূরণ হিসেবে শুধু ১৭,০০,০০০ টাকাই পাওয়া যাবে। বিষয়টি মূল্যায়িত বিমাপত্রের সাথে সামঞ্জস্যপূর্ণ না। তিনি মূল্যায়িত বিমাপত্রের বৈশিষ্ট্য তুলে ধরছেন। তাই আমি তার মতের সাথে একমত না। মূল্যায়িত বিমাপত্রের মূল্য প্রথমেই নির্দিষ্ট থাকে।
বাজার মূল্য যাই হোক না কেন যে মূল্যে মূল্যায়িত করে বিমাপত্রটি খোলা হয়েছিল সেই মূল্যটা এখানে বিবেচিত হয়। সম্পদিটির যে ংশ ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে তার বর্তমান বাজার মূল্য ২৫,০০,০০০ টাকা।
জাহিদ ক্ষতিপূরণ পাবে ২০,০০,০০০ টাকা। কারণ ২০,০০,০০০ টাকায় সম্পদটি মূল্যায়িত করা হয়েছিল। একইভাবে বাজারমূল্য ১৭,০০,০০০ টাকা হলেও সে ২০,০০,০০০ টাকা ক্ষতি পূরণ পাবে।
উক্ত বিষয় সম্পর্কে কিছু জানার থাকলে কমেন্ট করতে পারেন।
আমাদের সাথে ইউটিউব চ্যানেলে যুক্ত হতে এখানে ক্লিক করুন এবং আমাদের সাথে ফেইজবুক পেইজে যুক্ত হতে এখানে ক্লিক করুন। গুরুত্বপূর্ণ আপডেট ও তথ্য পেতে আমাদের ওয়েবসাইটে ভিজিট করুন।
আমাদের সাথে ইউটিউব চ্যানেলে যুক্ত হতে এখানে ক্লিক করুন এবং আমাদের সাথে ফেইজবুক পেইজে যুক্ত হতে এখানে ক্লিক করুন। গুরুত্বপূর্ণ আপডেট ও তথ্য পেতে আমাদের ওয়েবসাইটে ভিজিট করুন।