ফিন্যান্স ব্যাংকিং ও বিমা ২য় | অধ্যায় ১০ | সৃজনশীল প্রশ্ন ১১-১৫ | PDF: ফিন্যান্স, ব্যাংকিং ও বিমা দ্বিতীয় পত্রের দশম অধ্যায়ের গুরুত্বপূর্ণ সব কমন উপযোগী সৃজনশীল প্রশ্ন গুলো আমাদের এই পোস্টে পাবেন।
প্রিয় ছাত্র ছাত্রী বন্ধুরা আল্লাহর রহমতে সবাই ভালোই আছেন । এটা জেনে আপনারা খুশি হবেন যে, আপনাদের জন্য ফিন্যান্স, ব্যাংকিং ও বিমা দ্বিতীয় পত্রের দশম অধ্যায়ের গুরুত্বপূর্ণ সব কমন উপযোগী সৃজনশীল প্রশ্ন গুলো নিয়ে আলোচনা করতে যাচ্ছি ।
সুতরাং সম্পূর্ণ পোস্টটি মনোযোগ সহকারে পড়ুন। আর এইচ এস সি- HSC এর যেকোন বিভাগের গুরুত্বপূর্ণ সকল সাজেশন পেতে জাগোরিকের সাথে থাকুন।
ফিন্যান্স ব্যাংকিং ও বিমা ২য় | অধ্যায় ১০ | সৃজনশীল প্রশ্ন ১১-১৫ | PDF
প্রশ্ন ১১: মি. মূল্য বেসরকারি ফিসে চাকরি করেন। তার শরীরের বস্থাও সুবিধাজনক নয়। অন্যদিকে তার বন্ধু বিজয় সরকারি চাকুরে। বন্ধু বেতন কম পেলে কী হবে, সে তো চাকরি শেষে পেনশন পাবে। মি. মূল্য বিমা কর্ক উত্তর:র্তাকে করণীয় জিজ্ঞাসা করলেন। কর্ক উত্তর:র্তা বললেন, এমন পলিসি আছে যেখানে পেনসনের মত টাকাই শুধু নয় নানান সুবিধাও পাওয়া যাবে। মি. মূল্যের প্রশ্ন, যদি আমি তা শেষ পর্যন্ত চালাতে না পারি তবে কী হবে? বিমা কর্ক উত্তর:র্তার জবাব, এমন বস্থা হলে বিমা কোম্পানি আপনার টাকা মেরে খাবে এমন মনে করার কোন কারণ নেই। [কিশোরগঞ্জ সরকারি মহিলা কলেজ]
ক.আজীবন বিমাপত্র কী?১
খ.যৌথ বিমা বা যুগ্ম বিমা বলতে কী বোঝ? ২
গ.মি. মূল্যকে বিমা কর্মচারী কোন ধরনের বিমাপত্র খুলতে পরামর্শ দিয়েছেন ব্যাখ্যা করো। ৩
ঘ.মি. মূল্যের কি শেষ পর্যন্ত বিমা কর্ক উত্তর:র্তার কথায় আস্থা রাখা উচিত হবে? বিশ্লেষণ করো। ৪
১১ নং প্রশ্নের উত্তর
ক উত্তর: যে বিমাপত্রে বিমাগ্রহীতা মৃত্যুর পূর্বপর্যন্ত প্রিমিয়াম পরিশোধ করে কিন্তু মৃত্যুর পূর্বে বিমা দাবি পায় না তাকে আজীবন বিমাপত্র বলে।
খ উত্তর: একই বিমা পলিসির আওতায় একের ধিক ব্যক্তির জীবন একত্রে বিমা করা হলে তাকে যৌথ বা যুগ্ম বিমাপত্র বলে।
জীবন বিমার শুরুর দিকে একক জীবন বিমা প্রচলিত ছিল।
পরবর্তীতে বিমাগ্রহীতার প্রয়োজনে যৌথ বিমাপত্রের আবির্ভাব ঘটে। একাধিক ব্যক্তির জীবন এক সাথে স্ত্রী একত্রে নির্দিষ্ট মেয়াদের জঅন্য এ বিমা চুক্তি করতে পারেন। শুধু জীবন বিমার ক্ষেত্রে এটি প্রযোজ্য।
গ উত্তর: মি. মূল্যকে বিমা কর্মচারী সাধারণ মেয়াদি বিমাপত্র খুলতে পরামর্শ দিয়েছেন।
সাধারণ মেয়াদি বিমাপত্র নির্দিষ্ট মেয়াদের জঅন্য করা হয়। নির্দিষ্ট মেয়াদের মধ্যে বিমাগ্রহীতা মারা গেলে বিমাকৃত ঙ্ক পায় মনোনীত ব্যক্তি। আর বিমাগ্রহীতা বেঁচে থাকলে মেয়াদ শেষে সে নিজেই বিমাকৃত অর্থ ভোগ করে।
উদ্দীপকে মি. মূল্য বেসরকারি ফিসে চাকরি করেন। তার শরীরের বস্থা সুবিধাজনক নয়। তার বন্ধু বিজয় কম বেতনে চাকরি করলেও চাকরি শেষে পেনশন পাবে। মি. মূল্য পেনশন সুবিধা পাওয়ার জঅন্য বিমা কর্ক উত্তর:র্তার পরামর্শ নেন।
বিমা কর্ক উত্তর:র্তা তাকে এমন বিমাপত্র নিতে বলেন, যেখানে পেনশনের সুবিধা লাভের পাশাপাশি নানান সুবিধা পাবেন। বিমা কর্ক উত্তর:র্তা মূলত তাকে মেয়াদি বিমাপত্র খুলতে বলেছেন।
এর আওতায় নির্দিষ্ট মেয়াদ শেষে পেনশনের মত একত্রে মোটা ঙ্কের টাকা পাবেন। আবার এ সময়ের মধ্যে মারা গলে তার পরিবার বিমাকৃত টাকা পাবেন। যা তার বন্ধুর পেনশনের চেয়ে সুবিধাজনক। তাই বলা যায়, বিমা কর্ক উত্তর:র্তা মি. মূল্যকে সাধারণ মেয়াদি বিমাপত্র খুলতে বললেন।
ঘ উত্তর: মি. মূল্যের শেষ পর্যন্ত বিমা কর্ক উত্তর:র্তার পরামর্শ মতো সাধারণ মেয়াদি বিমা খোলা উচিত।
সঞ্চয়ের পাশাপাশি আঅর্থিক সুরক্ষার ব্যবস্থা করে মেয়দি জীবন বিমাপত্র। এ বিমা নির্দিষ্ট সময়ের জঅন্য করা হয়। এ সময়ের মধ্যে বিমাগ্রহীতার মৃত্যু হলে তার মনোনীত ব্যক্তি আর বেঁচে থাকলে বিমাগ্রহীতা বিমাকৃত ঙ্ক পায়।
উদ্দীপকে মি. মূল্য বেসরকারি চাকরি করেন। তার বন্ধু বিজয় কম বেতন সরকারি চাকরি করেন। বন্ধু বিজয় চাকরি শেষে পেনশন পাবেন কিন্তু তিনি পাবেন না। তাই ভবিষ্যৎ নিশ্চয়তায় বিমা কর্ক উত্তর:র্তার পরামর্শ গ্রহণ করেন। বিমা কর্ক উত্তর:র্তা তাকে মেয়াদি জীবন বিমাপত্র নিতে বলেন। যা থেকে পেনশনের মতো সুবিধার পাশাপাশি বিভিন্ন সুবিধা পাবেন।
মেয়াদি বিমাপত্র নিশ্চিতভাবে বিমাকৃত অর্থ পাওয়া যায়। বিমাগ্রহীতার মৃত্যু বা বেঁচে থাকার যে কোনো বস্থায় বিমা দাবি পাওয়ার নিশ্চয়তা থাকায় জনাব মূল্যের এ বিমাপত্র গ্রহণ করা উচিত।
তাছাড়া প্রিমিয়াম চালাতে সমঅর্থ হলে সমপর্ন মূল্য পাওয়ার ব্যবস্থা রয়েছে এ বিমায়। তাই বিমা কোম্পানি দ্বারা মি. মূল্যের টাকা মেরে খাওয়ার সম্ভাবনা নেই। এ সকল সুবিধা বিবেচনায় মি. মূল্যের উচিত কর্ক উত্তর:র্তার কথায় আস্থা রাখা।
প্রশ্ন ১২: বিপর্যয়জনিত নিশ্চয়তা মানুষের জীবনের প্রতিটি ক্ষেত্রে প্রতি পদক্ষেপে প্রভাব বিস্তার করে থাকে। প্রত্যাশিত এবং মানুষের এ না চাওয়া নেক ঘটনার ফলে মানুষের মূল্যবান নেক সম্পদ এবং সম্পত্তি ক্ষতিগ্রস্থ হয়। নানারকম ঝুঁকি থেকে সৃষ্ট এই নিশ্চয়তা এবং নিশ্চয়তা থেকে সৃষ্ট ক্ষয়-ক্ষতি পূরণ করার জঅন্য বিমা নামে একটি চুক্তিনির্ভর ব্যবস্থার দ্বারস্থ হয় মানুষজন। এই পদ্ধতিকে বহু ব্যক্তির মধ্যে ক্ষতি বন্টনের সমবায় ব্যবস্থা হিসেবে পরিগণিত করা হয়।
[ক্যান্টনমেন্ট পাবলিক স্কুল এ্যান্ড কলেজ, সৈয়দপুর]
ক.বাজি চুক্তি কী?১
খ.“বিমা চুক্তি বাজি ধরার চুক্তি নয়”Ñ ব্যাখ্যা করো। ২
গ.উদ্দীপকের আলোকে মানুষের মূল্যবান সম্পদ ও সম্পত্তির জঅন্য বিভিন্ন বিমার গুরুত্ব আলোচনা করো। ৩
ঘ.“বিমা হলো ঝুঁকি বন্টনের ব্যবস্থা”-এ উক্তি সম্পর্কে তোমার মতামতের যথাঅর্থতা আলোচনা করো। ৪
১২ নং প্রশ্নের উত্তর
ক উত্তর: যে চুক্তির বিষয়বস্তুতে পক্ষসমূহের সংগত স্বাঅর্থ জড়িত থাকে না তাই বাজিচুক্তি।
খ উত্তর: বিমা চুক্তি কোন বাজি ধরার চুক্তি নয়।
বাজি চুক্তিতে বৈধ চুক্তির নেক পরিহার্য উপাদান উপস্থিত থাকে না। এই চুক্তি আইন দ্বারা স্বীকৃত নয়। অন্যদিকে বিমাচুক্তিতে চুক্তির বিষয়বস্তুর উপর উভয়পক্ষের স্বাঅর্থ জড়িত থাকে।
বিমা চুক্তিতে বিমাগ্রহীতা ও বিমাকারীর মধ্যে চ‚ড়ান্ত সদ্বিশ্বাসের ভিত্তিতে আঅর্থিক ক্ষতিপূরণের চুক্তি হয়। যে নিশ্চিত ঘটনার জঅন্য চুক্তি করা হয় ঐ ঘটনা ঘটা বা না ঘটার উপর লেনদেন নির্ভর করে না। সুতরাং বিমা চুক্তি বাজি ধরার চুক্তি নয়।
গ উত্তর: মানুষের মূল্যবান সম্পদ ও সম্পত্তির জঅন্য বিমার গুরুত্ব পরিসীম।
মানুষের জীবন ও সম্পদের সাথে জড়িত ঝুঁকিগুলো আঅর্থিকভাবে মোকাবিলা করাই হল বিমা। বিমাকৃত সম্পদের কোন ক্ষতি হলে বিমা কোম্পানি সব কিছু ঠিকঠাক থাকা সাপেক্ষে ক্ষতিপূরণ প্রদান করে।
উদ্দীপকে বিমা ব্যবস্থা সম্পর্কে ধারণা দেয়া হয়েছে। বিপর্যয়জনিত নিশ্চয়তা মানুষের জীবনের প্রতিটি ক্ষেত্রে প্রভাব বিস্তার করে থাকে। প্রত্যাশিত নেক ঘটনার ফলে মানুষের মূল্যবান নেক সম্পদের ক্ষতি হয়।
নৌবিমার ক্ষেত্রে দেখা যায়, বিমা ব্যবসার সুফলে মানুষ নিরাপদে পণ্য আনা-নেওয়া করতে পারে। নানারকম ঝুঁকি থেকে সৃষ্ট নিশ্চয়তা এবং নিশ্চয়তা থেকে সৃষ্ট ক্ষয়ক্ষতি পূরণ করার জঅন্য বিমা কোম্পানির কাছে মানুষ দ্বারস্থ হয়।
বিমাকে নেকে ঝুঁকি বণ্টনের সমবায় ব্যবস্থাও বলা হয়। বিভিন্ন ধরনের কলকারখানায় যেকোনো সময় গ্নিকাণ্ড ঘটাতে পারে। গ্নিবিমাপত্র উক্ত ঝুঁকির দায়িত্ব নেয়। সুতরাং মানুষের মূল্যবান সম্পত্তির জঅন্য বিমার গুরুত্ব পরিসীম।
ঘ উত্তর: ‘বিমা হলো ঝুঁকি বণ্টনের ব্যবস্থা’ এ উক্তিটি বিমার জঅন্য একটি যথাঅর্থ উক্তি।
মানুষের জীবন ও সম্পত্তির ঝুঁকি মোকাবিলার একটি সমবায়মূলক ব্যবস্থা হলো বিমা। বিমাকারী একজন বিাগ উত্তর:্রহীতার ঝুঁকি সব বিমাগ্রহীতার মধ্যে সুষমভাবে বণ্টন করে দেয়।
উদ্দীপকে বিমার ঝুঁকি বণ্টন ব্যবস্থা কথা বলা হয়েছে। এক সঙ্গে নেকগুলো বিমাগ্রহীতার বিমা কোম্পানির সাথে বিমা চুক্তি থাকে। সব বিমাগ্রহীতারই ঝুঁকি থাকে। বিমাকারী কোম্পানি এই সমস্ত বিমা গ্রহীতার মধ্যে যোগসূত্র স্থাপন করে।
যে যে প্রতিষ্ঠানের ক্ষতি হয় বিমাকারী তাদেরকে ক্ষতিপূরণ দেয়। কিন্তু এই ক্ষতিপূরণটি আসে সমস্ত বিমাগ্রীতার প্রদত্ত প্রিমিয়াম থেকে। বিমা গ্রীতারা যখন প্রিমিয়াম প্রদান করে বিমাকারী সেগুলো একত্রিত করে।
সেই তহবিল বিমা কোম্পানি বিনিয়োগ করে। এই পুঞ্জীভ‚ত প্রিমিয়াম থেকেই ক্ষতিপূরণ প্রদান করা হয়, কোন বিমা গ্রহীতার ক্ষতি হলে। ফলে সমস্ত বিমা কোম্পানির ঝুঁকি একে অন্যের সাথে বণ্টিত হয়ে যায়। এই কাজটি বিমা কোম্পানি করে থাকে। সুতরাং বলা যায়, বিমা হলো একটি ঝুঁকি বণ্টনের ব্যবস্থা।
প্রশ্ন ১৩: পাটের ব্যবসায়ী মমিন সাহেব পাটের গুদাম বিমা করেছিল। পাটের পরিমাণ সঠিকভাবে উলেখ না করায় বিমা কোম্পানি তার বিমাচুক্তি বাতিল করেছে। অন্যদিকে জনাব তুহিন সাহেব দীর্ঘদিন একটি ভাড়া বাসায় থাকেন। তিনি নিজ নামে ভবনটির বিমা করতে চাইলে বিমা কোম্পানি তাতে স্বীকৃতি জানায়। [নোয়াখালী সরকারি মহিলা কলেজ]
ক.প্রিমিয়াম কী?১
খ.স্থলাভিষিক্তকরণ নীতি বলতে কী বোঝায়? ২
গ.উদ্দীপকে উলিখিত মমিন সাহেবের বিমাচুক্তি কোন কারণে বাতিল হয়েছে? ব্যাখ্যা করো। ৩
ঘ.বিমা কোম্পানি কর্তৃক জনাব তুহিনের প্রস্তাবটি প্রত্যাখ্যানের কারণ কী? যুক্তিসহকারে বিশ্লেষণ করো। ৪
১৩ নং প্রশ্নের উত্তর
ক উত্তর: বিমাগ্রহীতাকে প্রদত্ত ক্ষতিপূরণ নিশ্চয়তার বিপরীতে বিমা কোম্পানি বিমা গ্রহীতার নিকট থেকে যে অর্থ নেয় তাকে প্রিমিয়াম বলে।
খ উত্তর: ক্ষতিপূরণ প্রদান করার পর বিমাকৃত বিষয়বস্তুর ভগ্নাবশেষের মালিকানা পরিবর্তন হওয়ার নীতিকে স্থলাভিষিক্তকরণের নীতি বলে।
সাধারণ বিমার বেলায় বিমাকৃত সম্পদের সম্পূর্ণ ক্ষতি হলে বিমা কোম্পানি সম্পূর্ণ ক্ষতিপূরণ প্রদান করে।
কিন্তু ঐ সম্পদের যা বশিষ্ট থাকে তার ধিকারী হন বিমা কোম্পানি। অর্থাৎ ভগ্নাবশেষ সম্পত্তিটির মালিকানা বিমা কোম্পানির কাছে হস্তান্তর হয়ে যায়। এই নীতিটিই স্থলাভিষিক্তকরণের নীতি।
গ উত্তর: চ‚ড়ান্ত সদ্বিশ্বাসের ভাবে উদ্দীপকে উলিখিত মমিন সাহেবের বিমা চুক্তিটি বাতিল হয়েছে।
বিমার ক্ষেত্রে বিমাকারী ও বিমাগ্রহীতার মধ্যে সদ্বিশ্বাসের সম্পর্ক প্রতিষ্ঠিত হয়। তাই এ ক্ষেত্রে সকল গুরুত্বপূর্ণ তথ্য সঠিকভাবে প্রদানে উভয়পক্ষ একে অন্যের নিকট বাধ্য থাকে। বিমাচুক্তির এই নীতিকে চ‚ড়ান্ত সদ্বিশ্বাসের নীতি বলে।
উদ্দীপকের পাটের ব্যবসায়ী মমিন সাহেব পাটের গুদাম বিমা করে ছিলেন। তিনি পাটের পরিমাণ সঠিকভাবে উলেখ করেননি। পাটের পরিমাণ সঠিকভাবে উলেখ না করায় বিমা কোম্পানি তার চুক্তি বাতিল করেছে।
বিমাচুক্তি করার সময় তিনি ইচ্ছাকৃতভাবে ভুল উপস্থাপন করেছেন। তার সঠিক তথ্য পেলে বিমা কোম্পানি চুক্তিতে পরিবর্তন ও আনতে পারত। সুতরাং চ‚ড়ান্ত সদ্বিশ্বাসের নীতি লঙ্ঘন করার কারণে মমিন সাহেবের চুক্তিটি বাতিল হয়েছে।
ঘ উত্তর: বিমাযোগ্য স্বাঅর্থের ভাবে জনাব তুহিন এর বিমা প্রস্তাবটি বিমা কোম্পানি প্রত্যাখ্যান করেছে।
বিমাযোগ্য স্বাঅর্থ বলতে সাধারণত মালিকানা স্বত্ব বা আঅর্থিক স্বাঅর্থকে বোঝায়। বিমাকৃত সম্পদ বা কারো জীবনের ঝুঁকির সাথে বিমাগ্রহীতার আঅর্থিক স্বাঅর্থ থাকতে হয়। অর্থাৎ বিমার বিষয়বস্তুর উপস্থিতি বিমাগ্রহীতাকে আঅর্থিকভাবে লাভবান করবে।
উদ্দীপকের জনাব তুহিন সাহেব দীর্ঘদিন একটা ভাড়া বাসায় থাকেন। তিনি নিজ নামে ভবনটির বিমা করতে চাইলে বিমা কোম্পানি তাতে স্বীকৃতি জানায়। তুহিন সাহেব দীর্ঘদিন ঐ বাড়িতে ভাড়া থাকলেও ঐ বাড়িতে তার কোন বিমাযোগ্য স্বাঅর্থ নেই। বিমাযোগ্য স্বাঅর্থ বিমা চুক্তির একটি পরিহার্য উপাদান এবং নীতি।
তুহিন সাহেবের ভাড়া বাড়িটি কোনো কারণে ক্ষতিগ্রস্ত হলে তিনি আর একটা বাড়িতে ভাড়া থাকতে পারবেন। ঐ বাড়িটি ধ্বংস বা নষ্ট হয়ে যাওয়ার সাথে তুহিন সাহেবের আঅর্থিক কোন সম্পর্ক নেই।
তিনি নির্দিষ্ট ভাড়ার বিনিময়ে ঐ বাড়িতে বস্থান করেন। একমাত্র প্রকৃত মালিকের ঐ বাড়িতে বিমাযোগ্য স্বাঅর্থ আছে। তুহিন সাহেবের কোন বিমাযোগ্য স্বাঅর্থ নেই। বিমাযোগ্য স্বাঅর্থ ছাড়া কেউ ঐ বাড়ির বিমা করতে পারবে না।
যেহেতু তুহিন সাহেব ঐ বাড়ির ভাড়াটিয়া তাই তার ঐ বাড়ির উপর বিমাযোগ্য স্বাঅর্থ নেই। সুতরাং বিমাযোগ্য স্বাঅর্থ নীতির নুপস্থিতির কারণে জনাব তুহিন সাহেবের প্রস্তাবটি প্রত্যাখ্যাত হয়েছে।
প্রশ্ন ১৪: সাজিদ তার মোটরসাইকেলের জঅন্য ৫ লক্ষ টাকার বিমা করেন। দুর্ঘটনায় মোটরসাইকেলটি সম্পূর্ণ ক্ষতিগ্রস্ত হয়। সাজিদ বিমা দাবি উপস্থাপন করলে বিমা কোম্পানি দাবিকৃত ক্ষতিপূরণ প্রদান করে। পরবর্তীকালে মোটরসাইলেকটি ৫০,০০০ টাকায় সাজিদ বিক্রয় করতে চাইলে বিমা কোম্পানি তাকে বধা দেয়।
[জালালাবাদ ক্যান্টনমেন্ট পাবলিক স্কুল এন্ড কলেজ, সিলেট]
ক.বিশুদ্ধ ঝুঁকি কী?১
খ.স্বাঅর্থ ছাড়া বিমা চুক্তি সম্পন্ন হয় না কেন? ব্যাখ্যা করো। ২
গ.সাজিদ কোন নীতির আওতায় বিমা কোম্পানির কাছ থেকে অর্থ লাভ করেছেন? ব্যাখ্যা করো। ৩
ঘ.উদ্দীপকে বিমা কোম্পানি কর্তৃক সাজিদকে বাধা দেয়ার যৌক্তিকতা বিশ্লেষণ করো। ৪
১৪ নং প্রশ্নের উত্তর
ক উত্তর: যে সকল সম্ভাব্য বিপদজনক বা ঝুঁকিগত বস্থায় থবা কোনো দুর্ঘটনায় ব্যক্তি বা প্রতিষ্ঠান নিশ্চিত ক্ষতির সম্মুখীন হয় তাকে বিশুদ্ধ ঝুঁকি বলে।
খ উত্তর: স্বাঅর্থ বা বিমাযোগ্য স্বাঅর্থ ছাড়া বিমা চুক্তি সম্পন্ন হয় না। স্বাঅর্থ বলতে এখানে সাধারণ ও আঅর্থিক স্বাঅর্থকে বোঝায়। বিমার বিষয়বস্তুতে যার স্বাঅর্থ নেই সে বিমা করতে পারে না। বিমার মূল নীতিগুলোর মধ্যে বিমাযোগ্য স্বাঅর্থ নীতি একটা গুরুত্বপূর্ণ নীতি। এই নীতিকে উপেক্ষা করে কখনই বিমা চুক্তি সম্পন্ন হয় না।
গ উত্তর: সাজিদ স্থলাভিষিক্ততার নীতির আওতায় বিমা কোম্পানির কাছ থেকে অর্থ লাভ করেছেন।
স্থলাভিষিক্তকরণের নীতির আওতায় বিমাকারী বিমাগ্রহীতার সম্পূর্ণ ক্ষতি পরিশোধ করে দেয়। কিন্তু ঐ সম্পদ থেকে যে পরিমাণ সম্পদ উদ্ধার করা যায় তার মালিক হয় বিমাকারী।
উদ্দীপকে সাজিদ তার মোটরসাইকেলের জঅন্য ৫ লক্ষ টাকার বিমা করেন। দুর্ঘটনায় মোটরসাইকেলটি সম্পূর্ণ ক্ষতিগ্রস্ত হয়। সাজিদ বিমা দাবি উপস্থাপন করলে বিমা কোম্পানি পুরো ক্ষতিপূরণ প্রদান করে।
পরবর্তীকালে মোটরসাইকেলটি ৫০,০০০ টাকায় সাজিদ বিক্রয় করতে চাইলে বিমা কোম্পানি তাকে বাধা দেয়। তিনি সম্পূর্ণ বিমাদাবি পেয়ে গেছেন। পরবর্তী ভগ্নাবশেষ সম্পদটির উপর এখন বিমাকারীর দাবি আছে।
স্থলাভিষিক্তকরণের নীতি নুযায়ী সাজিদ চাইলেও বিক্রয় করতে পারবে না। অর্থাৎ স্থলাভিষিক্তকরণের নীতির আওতায় বিমাকারী ক্ষতিপূরণ প্রদান করেছে এবং এই নীতির আওতায়ই সাজিদ বিমা কোম্পানির কাছ থেকে অর্থ লাভ করেছে।
ঘ উত্তর: উদ্দীপকের বিমা কোম্পানি কর্তৃক সাজিদকে বাধা দেয়াটা যৌক্তিক ছিল।
স্থলাভিষিক্ততার নীতি নুসারে সম্পূর্ণ ক্ষতিপূরণ নেওয়ার পর ভগ্নাবশেষ ংশের মালিক বিমা গ্রহীতা থাকে না। ঐ ংশের মালিক হয় বিমাকারী প্রতিষ্ঠান। বিমাকারী প্রতিষ্ঠান বিক্রি করে যেটুকু উদ্ধার করতে পারবে তা নিজের কাছে রাখবে।
উদ্দীপকের সাজিদকে দেখা যায় তিনি সম্পূর্ণ ক্ষতিপূরণ নিয়েছেন। তিনি পুনরায় মোটরসাইকেলটির ভগ্নাবশেষ ংশটুকু বিক্রি করে অর্থলাভের চেষ্টা করেন। বিমাচুক্তির নীতি নুসারে তিনি আর ঐ সম্পদের উপর দাবি করতে পারবেন না।
বিমাচুক্তির স্থলাভিষিক্ততার নীতি নুযায়ী বিমা কোম্পানি এখন ঐ মোটরসাইকেলটির মালিক। সাজিদ যদি ঐটা বিক্রি করতে যায় তাহলে নীতি লঙ্ঘন করা হবে। বিমাকারীর ধিকার আছে সাজিদকে বাধা দেওয়ার।
প্রয়োজনে বিমাকারী প্রতিষ্ঠান আইনের আশ্রয় নিতে পারবেন। বিমাচুক্তির অন্যতম নীতি নুযায়ী রায় তাদের পক্ষে থাকে। সুতরাং বিমা কোম্পানি কর্তৃক সাজিদকে বাধা দেওয়াটা যৌক্তিক ছিল।
প্রশ্ন ১৫ শাকিল যশোরের বেজপাড়া তার বাবা-মার সাথে থাকে। তাদের বাসার পাশে ‘যমুনা লাইফ ইন্স্যুরেন্স’ নামের একটি সাইনবোর্ড শাকিল প্রায় লক্ষ্য করে। একদিন সে তার বাবাকে সাইনবোর্ডের ব্যাপারে জিজ্ঞেস করলে তার বাবা বলেন, এটি এক ধরনের ব্যবসায় যা মানুষের বিভিন্ন ধরনের ঝুঁকির বিপরীতে আঅর্থিক সহায়তা প্রদান করে। এ ব্যবসায় আঅর্থিক নিরাপত্তা নিশ্চিত করে। বর্তমানে ব্যবসায়টি সকলের নিকট গ্রহণযোগ্য ও প্রচলিত। [ক্যান্টনমেন্ট কলেজ, যশোর]
ক.বিমাযোগ্য ঝুঁকি কী?১
খ.বিমাকে ঝুঁকি বণ্টনের ব্যবস্থা বলা হয় কেন? ২
গ.উদ্দীপকে উলিখিত ‘যমুনা লাইফ ইন্স্যুরেন্স’ কোন ধরনের কোম্পানি? বর্ণনা করো। ৩
ঘ.‘যমুনা লাইফ ইন্স্যুরেন্স’ ব্যবসায়টি গ্রহণযোগ্য ও প্রচলিত হওয়ায় যথাঅর্থ কারণ আছে কি? মূল্যায়ন করো। ৪
১৫ নং প্রশ্নের উত্তর
ক উত্তর: যেসব ঝুঁকির বিপরীতে বিমাপত্র গ্রহণ করা যায় না, তাকে বিমাযোগ্য ঝুঁকি বলে।
যেমন: চাহিদা পরিবর্তন, যুদ্ধ, হরতাল-বরোধ, সরকারি নীতির পরিবর্তন ইত্যাদি।
খ উত্তর: মানুষের জীবন ও সম্পত্তির ঝুঁকি মোকাবিলার একটি সমবায়মূলক ব্যবস্থা হলো বিমা।
বিমা কোম্পানিতে এক সঙ্গে নেকগুলো ব্যক্তি বা প্রতিষ্ঠা বিমা করে। কারও ঝুঁকি কম আবার কারও ঝুঁকি বেশি। বিমাকারী কোম্পানি বিমাগ্রহীতাদের ঝুঁকি সব বিমা গ্রহীতার মধ্যে সুষমভাবে বণ্টন করে দেয়। এ জঅন্যই বিমাকে ঝুঁকি বণ্টনের ব্যবস্থা বলা হয়।
গ উত্তর: উদ্দীপকে উলিখিত ‘যমুনা লাইফ ইন্স্যুরেন্স’ একটি বিমা কোম্পানি।
মানুষের জীবন ও সম্পদের সাথে জড়িত ঝুঁকি আঅর্থিকভাবে মোকাবিলার কৌশলই বিমা। বিমা মানুষের জীবন ও সম্পত্তির নিরাপত্তা নিশ্চিত করে।
উদ্দীপকের শাকিল তার বাবা-মার সাথে থাকে। তাদের বাসার পাশে ‘যমুনা লাইফ ইন্স্যুরেন্স’ নামের একটি সাইনবোর্ড সে প্রায় লক্ষ করে। একদিন সে তার বাবাকে সাইনবোর্ডের ব্যাপারে জিজ্ঞেস করে। তার বাবা বলেন, এটি এক ধরনের ব্যবসায় যা মানুষের বিভিন্ন ধরনের ঝুঁকির বিপরীতে আঅর্থিক সহায়তা প্রদান করে।
এ ব্যবসায় আঅর্থিক নিরাপত্তা নিশ্চিত করে। আমরা বিমা ব্যবসায় এর ক্ষেত্রে দেখতে পাই যে, বিমা ব্যবসায় ঝুঁকির বিপরীতে আঅর্থিক সহায়তা প্রদান করে। ফলে ব্যবসায় এর নিরাপত্তা নিশ্চিত হয়। সুতরাং বলা যায়, যমুনা লাইফ ইন্স্যুরেন্স একটি বিমা ব্যবসায়।
- উত্তর ডাউনলোড করুন> (১ম পত্র) ব্যবসায়ের মৌলিক ধারণা ১ম পত্র সৃজনশীল প্রশ্ন
- উত্তর ডাউনলোড করুন>(১ম পত্র)১ম: ব্যবসায়ের মৌলিক ধারণা প্রশ্ন উত্তরসহ PDF
- উত্তর ডাউনলোড করুন> HSC ব্যবসায়ের মৌলিক ধারণা প্রশ্নের উত্তরসহ অধ্যায়-১: PDF
- উত্তর ডাউনলোড করুন> HSC অধ্যায়-১: প্রশ্নের উত্তরসহ ব্যবসায়ের মৌলিক ধারণা PDF
- উত্তর ডাউনলোড করুন>অধ্যায়৩: SSC ফিন্যান্স ও ব্যাংকিং‘র সৃজনশীল প্রশ্নোত্তর PDF
- উত্তর ডাউনলোড করুন> অধ্যায়৩: SSC ফিন্যান্স ও ব্যাংকিং‘র জ্ঞানমূলক প্রশ্নোত্তরPDF
ঘ উত্তর: “যমুনা লাইফ ইন্স্যুরেন্স’ ব্যবসায়টি ঝুঁকি বণ্টন ও আঅর্থিক নিরাপত্তা প্রদানের জঅন্য সকলের নিকট গ্রহণযোগ্য ও প্রচলিত।
এ ব্যবসায় মানুষের জীবন ও সম্পত্তির ঝুঁকি মোকাবিলা করে। এতে বিমাগ্রহীতাদের আঅর্থিক নিরাপত্তা নিশ্চিত হয়। ঝুঁকি মোকাবিলা বলতে বিমা গ্রহীতাদের ঝুঁকি বহন করা বা সবার মাঝে বণ্টন করে দেয়াকে বোঝায়।
উদ্দীপকের শাকিল এর বাবা বলেন বর্তমানে ‘যমুনা লাইফ ইন্স্যুরেন্স’ ব্যবসায়টি সকলের নিকট গ্রহণযোগ্য ও প্রচলিত। অর্থাৎ শুধু এই কোম্পানিই নয় বরং সকল বিমা ব্যবসায় সকলের নিকট গ্রহণযোগ্য ও প্রচলিত। বর্তমানে মানুষ বিমা ব্যবসায়ের উপর নেক খানি নির্ভরশীল হয়ে পড়ছে। জীবন ও সম্পদের নিশ্চয়তা বলতে তারা সরাসরি বিমা ব্যবসায়কে বুঝছে।
প্রত্যেকটা মানুষের জীবন ও সম্পত্তির উপর ছোট বড় সংখ্য খুঁকি বিদ্যমান। যেকোনো উপায়ে মানুষ তার ঝুঁকি কমাতে চায়। যমুনা লাইফ ইন্স্যুরেন্স ব্যবসায় এর মত বিমা কোম্পানিগুলো মানুষের প্রত্যাশা পূরণ করে।
বিমা ব্যবসায়গুলো নির্দিষ্ট প্রিমিয়ামের বিনিময়ে মানুষের ঝুঁকি নিজে বণ্টন করে নেয়। আবার জীবন বিমার ক্ষেত্রে কোন দুর্ঘটনা না ঘটলে ভবিষ্যতে মুনাফাসহ সমুদয় অর্থ ফেরত পাওয়া যায়। যা মানুষকে নিরাপদ সঞ্চয়ে উৎসাহিত করে। উপরোক্ত কারণে মানুষের কাছে বিমা ব্যবসায় গ্রহণযোগ্য ও প্রচলিত।
উক্ত বিষয় সম্পর্কে কিছু জানার থাকলে কমেন্ট করতে পারেন।
আমাদের সাথে ইউটিউব চ্যানেলে যুক্ত হতে এখানে ক্লিক করুন এবং আমাদের সাথে ফেইজবুক পেইজে যুক্ত হতে এখানে ক্লিক করুন। গুরুত্বপূর্ণ আপডেট ও তথ্য পেতে আমাদের ওয়েবসাইটে ভিজিট করুন।
আমাদের সাথে ইউটিউব চ্যানেলে যুক্ত হতে এখানে ক্লিক করুন এবং আমাদের সাথে ফেইজবুক পেইজে যুক্ত হতে এখানে ক্লিক করুন। গুরুত্বপূর্ণ আপডেট ও তথ্য পেতে আমাদের ওয়েবসাইটে ভিজিট করুন।