ফিন্যান্স ব্যাংকিং ও বিমা ২য় | অধ্যায় ১০ | সৃজনশীল প্রশ্ন ২৬-২৭ | PDF: ফিন্যান্স, ব্যাংকিং ও বিমা দ্বিতীয় পত্রের দশম অধ্যায়ের গুরুত্বপূর্ণ সব কমন উপযোগী সৃজনশীল প্রশ্ন গুলো আমাদের এই পোস্টে পাবেন।
প্রিয় ছাত্র ছাত্রী বন্ধুরা আল্লাহর রহমতে সবাই ভালোই আছেন । এটা জেনে আপনারা খুশি হবেন যে, আপনাদের জন্য ফিন্যান্স, ব্যাংকিং ও বিমা দ্বিতীয় পত্রের দশম অধ্যায়ের গুরুত্বপূর্ণ সব কমন উপযোগী সৃজনশীল প্রশ্ন গুলো নিয়ে আলোচনা করতে যাচ্ছি ।
সুতরাং সম্পূর্ণ পোস্টটি মনোযোগ সহকারে পড়ুন। আর এইচ এস সি- HSC এর যেকোন বিভাগের গুরুত্বপূর্ণ সকল সাজেশন পেতে জাগোরিকের সাথে থাকুন।
ফিন্যান্স ব্যাংকিং ও বিমা ২য় | অধ্যায় ১০ | সৃজনশীল প্রশ্ন ২৬-২৭ | PDF
প্রশ্ন ২৬: সুমন সাহেব একটি ইলেকট্রনিকসের দোকান পরিচালনা করেন। তিনি দোকানের জঅন্য প্রয়োজনীয় মূলধনের ধিকাংশ অর্থই নিজস্ব তহবিল হতে ব্যবস্থা করেছেন। পর্যাপ্ত মূলধন না থাকায় এ মাসে সুমন সাহেব তার পাওনাদারদের দেনা পরিশোধ করতে ব্যঅর্থ হন। সম্প্রতি তিনি তার জীবনের জঅন্য একটি বিমা কোম্পানির সাথে চুক্তি করেন। তবে তার ক্যান্সার রোগের কথা বিমা কোম্পানির নিকট গোপন করলেও বিমা কোম্পানি তা পরবর্তীতে জানতে পারে।
[মদনমোহন কলেজ, সিলেট]
ক.বিমাযোগ্য স্বাঅর্থ কী?১
খ.বিমাকে ক্ষতিপূরণের চুক্তি বলা হয় কেন? ২
গ.উদ্দীপকে সুমন সাহেব কোন ধরনের ঝুঁকির সম্মুখীন হয়েছেন? ব্যাখ্যা করো। ৩
ঘ.যদি সুমন সাহেব মারা যান তাহলে মনোনীত ব্যক্তিকে বিমা কোম্পানি বিমা দাবি পরিশোধ করবে কি না যাচই করো। ৪
২৬ নং প্রশ্নের উত্তর
ক উত্তর: বিমাকৃত বিষয়বস্তুর ওপর বিমাগ্রহীতার যে আঅর্থিক স্বাঅর্থ বিদ্যমান তাই বিমাযোগ্য স্বাঅর্থ।
খ উত্তর: বিমা ক্ষতিপূরণের নীতির উপর প্রতিষ্ঠিত।
এই নীতি নুযায়ী বিমাপত্রে উলিখিত প্রত্যক্ষ কারণে বিমাকৃত বিষয়বস্তুর ক্ষতি হলে বিমাকারী তা প্রদান করে। বিমাকারী নির্দিষ্ট প্রিমিয়ামের বিনিময়ে বিমাগ্রহীতাকে আঅর্থিক ক্ষতিপূরণ প্রদান করে। এ ক্ষেত্রে বিমাকৃত সম্পদের যে টুকু ক্ষতি হয় তা পরিমাপ করে সেইটুকু ক্ষতিপূরণ প্রদান করা হয় বলে বিমাচুক্তি একটি ক্ষতিপূরণের চুক্তি।
গ উত্তর: উদ্দীপকের সুমন সাহেব আঅর্থিক ঝুঁকির সম্মুখীন হয়েছেন।
এ ধরনের ঝুঁকি সাধারণত আঅর্থিক সংকটের মাধ্যমে সৃষ্টি হয়। সাধারণত ব্যক্তি বা প্রতিষ্ঠারে দেউলিয়াত্বের সময়, মূলধন স্বল্পতার কারণে আঅর্থিক সংকটের বা ঝুঁকির সৃষ্টি হয়।
উদ্দীপকে সুমন সাহেব একিট ইলেকট্রনিকসের দোকান পরিচালনা করেন। তিনি দোকানের জঅন্য প্রয়োজনীয় মূলধনের ধিকাংশ অর্থই নিজস্ব তহবিল হতে ব্যবস্থা করেন। পর্যাপ্ত মূলধন না থাকায় এ মাসে সুমন সাহেব তার পাওনাদারদের পরিশোধ করতে ব্যঅর্থ হন।
এই বিষয়গুলো তাকে দেউলিয়াত্বের দিকে ধাবিত করছে। অন্যদিকে তার এই ঝুঁকির প্রধান কারণই মূলধনের ঘাটতি। আঅর্থিক ঝুঁকির ক্ষেত্রে আমরা একই বৈশিষ্ট্য দেখতে পাই। সুতরাং আমরা বলতে পারি সুমন সাহেব আঅর্থিক ঝুঁকির সম্মুখীন হয়েছেন।
ঘ উত্তর: সুমন সাহেব মারা গেলে চ‚ড়ান্ত সদ্বিশ্বাসের নীতির আওতায় বিমাকারী তার মনোনীত ব্যক্তিকে বিমা দাবি পরিশোধ করবে না।
এই নীতি নুসারে বিমাপত্রের উভয়পক্ষ বিমার বিষয়বস্তু ও অন্যাঅন্য ব্যাপারে যাবতীয় গুরুত্বপূর্ণ তথ্য একে অন্যের কাছে প্রকাশ করবে। বিমাচুক্তি সম্পাদনের সময় কোন তথ্য গোপন রাখবে না।
উদ্দীপকের সুমন সাহেব তার জীবনের জঅন্য একটি বিমাচুক্তি করেন। চুক্তি করার সময় তার ক্যান্সার রোগ ছিল। কিন্তু তিনি এটা গোপন করে ছিলেন। তবে বিমা কোম্পানি পরবর্তীতে বিষয়টি জানতে পারে।
এই চুক্তিতে চ‚ড়ান্ত সদ্বিশ্বাসের নীতি লঙ্ঘিত হয়েছে। চ‚ড়ান্ত সদ্বিশ্বাসের নীতি বিমাপত্রের একটা গুরুত্বপূর্ণ নীতি। সুমন সাহেব এই নীতি নুসরণ না করে তথ্য গোপন করেছে।
বিমা কোম্পানি যখনই বিষয়টি জানতে পেরেছে তখনই বিমাচুক্তি বাতিল বলে গণ্য হবে। এমনও হতে পারত বিষয়টি আগে জানলে বিমা কোম্পানি তার সাথে কোন চুক্তি করত না। কিংবা বেশি প্রিমিয়াম দাবি করত। সুতরাং বলা যায়, সুমন সাহেব কোন বিমা দাবি পাবেন না।
প্রশ্ন ২৭: রাতুল এ বছর ষ্টম শ্রেণিতে পড়ে। তার বাবা রাহুল তার সন্তানের ভবিষ্যৎ পড়াশোনার খরচ নির্বাহের জঅন্য খুবই চিন্তিত। তিনি তার এক বন্ধুর পরামর্শ নুযায়ী রাতুলের পড়াশুনার ব্যয় নির্বাহের জঅন্য একটি বিমা কোম্পানির সাথে চুক্তিবদ্ধ হওয়ার জঅন্য উপনীত হন। তিনি প্রস্তাবক হিসাবে তার ছেলে রাতুলকে ন্তর্ভুক্ত করতে চান। কিন্তু বিমা কোম্পানি রাতুলকে প্রস্তাবক হিসাবে গ্রহণ করতে স্বীকৃতি জানায়। উপায় না পেয়ে রাহুল নিজেই প্রস্তাবক হিসেবে বিমা চুক্তিটি সম্পাদন করেন। [ মেহেরপুর সরকারি মহিলা কলেজ]
ক.বিমাকে পরম সদ্বিশ্বাসের চুক্তি বলা হয় কেন?১
খ.কোন বিমাপত্রে নগদ বিমাদাবি দেয়া হয় না। ব্যাখ্যা করো। ২
গ.উদ্দীপকে গৃহীত বিমাটি কোন ধরনের বিমা? ব্যাখ্যা করো। ৩
ঘ.চুক্তির কোন উপাদানটির নুপস্থিতিতে রাতুরকে প্রস্তাবক হিসেবে ন্তর্ভুক্ত করা যায়নি? আলোচনা করো। ৪
২৭ নং প্রশ্নের উত্তর
ক উত্তর: বিমাচুক্তিতে বিমাগ্রহীতা ও বিমা কোম্পানি বিমা সম্পর্কিত সকল তথ্য পরস্পরকে প্রদানে বাধ্য থাকায় বিমাকে পরম সদ্বিশ্বাসের চুক্তি বলা হয়।
খ উত্তর: পুনঃস্থাপন বিমাপত্রে নগদ বিমাদাবি দেয়া হয় না।
বিমাকৃত বিষয়বস্তু ক্ষতিগ্রস্ত হলে পুনঃস্থাপন বিমাপত্রে বিমা কোম্পানি সম্পত্তি পুনঃস্থান করে দেয়। এর ফলে বিমাগ্রহীতা কোনো নগদ ক্ষতিপূরণ পায় না। শুধু ক্ষতিগ্রস্ত সম্পত্তির পরিবর্তে নতুন সম্পত্তি লাভ করে। এক পুরনো প্রদীপের বদলে নতুন প্রদীপ’ বিমাপত্রও বলা হয়। সম্পত্তি বিমার ক্ষেত্রে এটি প্রযোজ্য।
গ উত্তর: উদ্দীপকে গৃহীত বিমাটি জীবন বিমার আওায় শিক্ষাবৃত্তি বিমাপত্র।
নির্দিষ্ট মেয়াদ শেষে ছেলে-মেয়েদের শিক্ষা ব্যয় নির্বাহের জঅন্য পিতামাতা শিক্ষাবৃত্তি বিমাপত্র করে। ফলে শিক্ষা ব্যয় বহনে পিতা-মাতাকে হিমশিম খেতে হয় না।
উদ্দীপকে রাতুল এ বছর ষ্টম শ্রেণিতে পড়ে। তার বাবা রাহুল তার সন্তানের ভবিষ্যৎ পড়াশুনার খচর নির্বাহের জঅন্য খুবই চিন্তিত। বন্ধুর পরামর্শে ছেলের পড়াশুনা ব্যয় নির্বাহের জঅন্য তিনি একটি বিমা চুক্তি করেন।
এক্ষেত্রে লেখাপড়ায় খরচ মেটাতে শিক্ষাবৃত্তি বিমাপত্র করা হয়েছে। এর আওতায় বিমাগ্রহীতা নির্দিষ্ট মেয়াদ পর্যন্ত প্রিমিয়াম পরিশোধ করে। নির্দিষ্ট সময়ের পরে বিমা কোম্পানি তার পোষ্যদের নির্দিষ্ট সময় পর্যন্ত শিক্ষাবৃত্তি দিয়ে থাকে।
বিমাগ্রহীতা নির্দিষ্ট মেয়াদের আগে মারা গেলে আর বিমাকিস্তির অর্থ পরিশোধের প্রয়োজন হয় না। মৃত্যুরপর থেকেই বিমাকারি শিক্ষাবৃত্তি দিয়ে থাকে। উদ্দীপকেকে রাহুল তার ছেলে রাতুলের পড়াশুনার খরচ নির্বাহের জঅন্য বিমাপত্র করে। উদ্দেশ্যের দিক থেকে রাহুলের বিমাপত্রটি শিক্ষাবৃত্তি বিমাপত্রের স্বরূপ।
- উত্তর ডাউনলোড করুন> (১ম পত্র) ব্যবসায়ের মৌলিক ধারণা ১ম পত্র সৃজনশীল প্রশ্ন
- উত্তর ডাউনলোড করুন>(১ম পত্র)১ম: ব্যবসায়ের মৌলিক ধারণা প্রশ্ন উত্তরসহ PDF
- উত্তর ডাউনলোড করুন> HSC ব্যবসায়ের মৌলিক ধারণা প্রশ্নের উত্তরসহ অধ্যায়-১: PDF
- উত্তর ডাউনলোড করুন> HSC অধ্যায়-১: প্রশ্নের উত্তরসহ ব্যবসায়ের মৌলিক ধারণা PDF
- উত্তর ডাউনলোড করুন>অধ্যায়৩: SSC ফিন্যান্স ও ব্যাংকিং‘র সৃজনশীল প্রশ্নোত্তর PDF
- উত্তর ডাউনলোড করুন> অধ্যায়৩: SSC ফিন্যান্স ও ব্যাংকিং‘র জ্ঞানমূলক প্রশ্নোত্তরPDF
ঘ উত্তর: চুক্তি সম্পাদনে যোগ্যতার নুপস্থিতিতে রাতুলকে প্রস্তাবক হিসেবে ন্তর্ভুক্ত করা যায়নি।
বিমা হলো দুই পক্ষের মাঝে একটি লিখিত চুক্তি। বিমাকারী ও বিমাগ্রহীতা এ চুক্তির দু’পক্ষ। বিমা চুক্তি সম্পাদনের জঅন্য সকল বৈশিষ্ট্য এ দু’পক্ষের থাকা প্রয়োজন।
উদ্দীপকে রাতুল ষ্টম শ্রেণির ছাত্র। তার বাবা রাহুল তার শিক্ষা ব্যয় নির্বাহের জঅন্য রাতুলের নামে একটি শিক্ষা বৃত্তি বিমাপত্র করতে চেয়েছেন। কিন্তু বিমা কোম্পানি রাতুলকে প্রস্তাবক হিসেবে মেনে নিতে স্বীকৃতি জানায়।
তাই রাহুল নিজেই প্রস্তাবক হিসেবে চুক্তিটি করেন।
বাংলাদেশে প্রচলিত ১৮৭২ সালের চুক্তি আইন নুযায়ী, চুক্তি সম্পাদনের অন্যূনতম বয়স হলো ১৮ বছর। ১৮ বছরের কম বয়সীরা নাবালক এ আইন নুসারে, তৃতীয় পক্ষের সাথে চুক্তি কতে পারে না। উদ্দীপকের রাতুল ষ্টম শ্রেণির ছাত্র।
এ বিবেচনায় তার বয়স বশ্যই ১৮ বছরের চাইতে কম। তাই সে নাবালক। এ কারণে তার চুক্তি সম্পাদনের যোগ্যতা নেই। এ থেকে বলা যায়, চুক্তি সম্পাদনে যোগ্যতার নুপস্থিতিতে রাতুলকে প্রস্তাব হিসাবে নুভুক্ত করা যায়নি।
উক্ত বিষয় সম্পর্কে কিছু জানার থাকলে কমেন্ট করতে পারেন।
আমাদের সাথে ইউটিউব চ্যানেলে যুক্ত হতে এখানে ক্লিক করুন এবং আমাদের সাথে ফেইজবুক পেইজে যুক্ত হতে এখানে ক্লিক করুন। গুরুত্বপূর্ণ আপডেট ও তথ্য পেতে আমাদের ওয়েবসাইটে ভিজিট করুন।
আমাদের সাথে ইউটিউব চ্যানেলে যুক্ত হতে এখানে ক্লিক করুন এবং আমাদের সাথে ফেইজবুক পেইজে যুক্ত হতে এখানে ক্লিক করুন। গুরুত্বপূর্ণ আপডেট ও তথ্য পেতে আমাদের ওয়েবসাইটে ভিজিট করুন।