ফিন্যান্স ব্যাংকিং ও বিমা ২য় | অধ্যায় ১১ | সৃজনশীল প্রশ্ন ১-৫ | PDF: ফিন্যান্স, ব্যাংকিং ও বিমা দ্বিতীয় পত্রের একাদশ অধ্যায়ের গুরুত্বপূর্ণ সব কমন উপযোগী সৃজনশীল প্রশ্ন গুলো আমাদের এই পোস্টে পাবেন।
প্রিয় ছাত্র ছাত্রী বন্ধুরা আল্লাহর রহমতে সবাই ভালোই আছেন । এটা জেনে আপনারা খুশি হবেন যে, আপনাদের জন্য ফিন্যান্স, ব্যাংকিং ও বিমা দ্বিতীয় পত্রের একাদশ অধ্যায়ের গুরুত্বপূর্ণ সব কমন উপযোগী সৃজনশীল প্রশ্ন গুলো নিয়ে আলোচনা করতে যাচ্ছি ।
সুতরাং সম্পূর্ণ পোস্টটি মনোযোগ সহকারে পড়ুন। আর এইচ এস সি- HSC এর যেকোন বিভাগের গুরুত্বপূর্ণ সকল সাজেশন পেতে জাগোরিকের সাথে থাকুন।
ফিন্যান্স ব্যাংকিং ও বিমা ২য় | অধ্যায় ১১ | সৃজনশীল প্রশ্ন ১-৫ | PDF
প্রশ্ন ১: জনাব রহিমের বর্তমান বয়স ৪৫ বছর। তিনি শিক্ষকতা পেশায় নিয়োজিত। তিনি তার সন্তানদের ভবিষ্যতের কথা চিন্তা করে নিজ নামে ১৫ বছরের একটি জীবন বিমাপত্র গ্রহণ করেন। তিনি তার স্ত্রীকে বিমাপত্রের নমিনি করেন। পরপর ৩ বছর কিস্তি প্রদান করার পর জনাব রহিমের মৃত্যু হয়। মেয়াদপূর্তির পর তার স্ত্রী বিমা কোম্পানির নিকট বিমা দাবি পেশ করে। [ঢা. বো. ১৭]
ক.প্রিমিয়াম কী?১
খ.সমর্পণ মূল্য বলতে কী বোঝায়?২
গ.জনাব রহিম কোন ধরনের বিমাপত্র গ্রহণ করেছেন? ব্যাখ্যা করো।৩
ঘ.উদ্দীপকের আলোকে জনাব রহিমের স্ত্রী কি বিমা দাবি করতে পারবেন? যুক্তিসহ ব্যাখ্যা করো।৪
১ নং প্রশ্নের উত্তর
ক উত্তর: বিমা চুক্তিতে বিমাগ্রহীতা এককালীন থবা নির্দিষ্ট সময় ন্তর বিমাকারীকে যে অর্থ প্রদান করে তাকে প্রিমিয়াম বলে।
খ উত্তর: যদি বিমাগ্রহীতা কর্তৃক বিমাপত্রের প্রিমিয়াম নিয়মিত পরিশোধ করা সম্ভব না হয়, তাহলে তিনি বিমাপত্র কোম্পানিকে সমর্পণ করে কিছু অর্থ গ্রহণ করেন। একে সমর্পণ মূল্য বলে।
সমর্পণ মূল্য প্রিমিয়ামের একটি ংশ। বিমা চুক্তির মেয়াদ কমপক্ষে দুই বছর উত্তীর্ণ হওয়ার পর সমর্পণ মূল্য পরিশোধ করা হয়।
গ উত্তর: উদ্দীপকের জনাব রহিম মেয়াদি বিমাপত্র গ্রহণ করেছেন।
এই বিমাপত্রে উলিখিত নির্দিষ্ট মেয়াদপূর্তিতে বিমাগ্রহীতাকে বিমা দাবির অর্থ বিমাকারী পরিশোধ করে থাকে। সাধারণত মেয়াদি বিমাপত্র নির্দিষ্ট মেয়াদের জন্যই গৃহীত হয়।
উদ্দীপকের জনাব রহিম শিক্ষকতা পেশায় নিয়োজিত। তিনি সন্তানদের ভবিষ্যতের কথা বিবেচনা করে নিজ নামে ১৫ বছরের জন্য একটি বিমাপত্র গ্রহণ করেন। অর্থাৎ তিনি নির্দিষ্ট একটি মেয়াদকালের জন্য জীবন বিমাপত্রটি গ্রহণ করেছেন। যা জীবন বিমার আওতাভুক্ত মেয়াদি বিমাপত্র। উক্ত বিমাপত্রটি মেয়াদপূর্তিতে থবা তার বর্তমানে উত্তরাধিকারীদের আঅর্থিক সহায়তা প্রদান করবে।
ঘ উত্তর: উদ্দীপকের জনাব রহিমের গৃহীত মেয়াদি বিমাপত্রের একমাত্র মনোনীত ব্যক্তি তার স্ত্রী হওয়ায় তিনি বিমা দাবির যোগ্য ধিকারী।
মেয়াদি বিমাপত্রে নির্দিষ্ট মেয়াদপূর্তিতে বিমাগ্রহীতাকে বিমা দাবির অর্থ একত্রে পরিশোধ করা হয়। বিমাগ্রহীতার মৃত্যুতে তার মনোনীত ব্যক্তি বিমা চুক্তির অর্থ গ্রহণের ধিকার রাখে।
উদ্দীপকে জনাব রহিম ১৫ বছরের জন্য মেয়াদি একটি মেয়াদি জীবন বিমাপত্র গ্রহণ করেন। উক্ত বিমাপত্রে জনাব রহিম তার স্ত্রীকে নমিনি হিসেবে মনোনয়ন করেন। তবে পরপর তিন বছর বিমা কিস্তি প্রদানের পর জনাব রহিম মারা যান।
জনাব রহিমের স্ত্রী এ পর্যায়ে বিমাপত্রের একমাত্র দাবিদার। মেয়াদি বিমাপত্রের শর্ত পূরণ করে জনাব রহিম তিন বছর পর্যন্ত প্রিমিয়াম প্রদান করেছেন।
আর তার গৃহীত বিমাপত্রে তিনি তার স্ত্রীকে নমিনি হিসেবে উলেখ করায় বিমাকারী প্রতিষ্ঠান তার স্ত্রীকে বিমা দাবি পরিশোধে বাধ্য। সঙ্গত কারণে জনাব রহিমের স্ত্রী বিমা দাবি করতে পারবেন।
প্রশ্ন ২: জনাব তৌহিদ ১৫ বছরের জন্য ৫ লক্ষ টাকার একটি জীবন বিমা চুক্তি সম্পাদন করেন। ৫ বছর প্রিমিয়াম পরিশোধের পর তিনি আঅর্থিক সামঅর্থের কারণে তার পক্ষে বিমাপত্রটি চালিয়ে যাওয়া সম্ভব নয় বলে বিমা কোম্পানিকে জানান এবং বিমা দাবি আদায়ের জন্য আবেদন করেন। [রা. বো. ১৭]
ক.জীবন বিমা কী?১
খ.জীবন বিমাকে নিশ্চয়তার চুক্তি বলা হয় কেন? ব্যাখ্যা করো।২
গ.জনাব তৌহিদ কোন ধরনের জীবন বিমাপত্র গ্রহণ করেছেন- আলোচনা করো।৩
ঘ.জনাব তৌহিদ কী বিমাকারী কোম্পানি থেকে বিমা দাবি পাওয়ার ধিকারী হবেন? যুক্তি দাও।৪
২ নং প্রশ্নের উত্তর
ক উত্তর: প্রিমিয়াম বা বিমা সেলামির বিনিময়ে বিমাগ্রহীতা নিজের বা ন্যের জীবনের ঝুঁকিজনিত ক্ষতির প্রতিরোধ বা লাঘব করার জন্য বিমা কোম্পানির কাছ থেকে যে প্রতিশ্র“তি পেয়ে থাকেন তাকে জীবন বিমা বলা হয়।
খ উত্তর: যে বিমা চুক্তিতে কোনো ক্ষতি সংঘটিত হলে ক্ষতিপূরণ না করে নির্দিষ্ট পরিমাণ অর্থ প্রদানের প্রতিশ্র“তি দেয়া হয় তাকে নিশ্চয়তার চুক্তি বলা হয়।
জীবনহানি হলে বা দুর্ঘটনায় পড়লে, মানুষের ক্ষতির পরিমাণ নির্ণয় করা যায় না। তাই জীবন বিমাকৃত কেউ মারা গেলে বা পঙ্গু হলে কী পরিমাণ অর্থ প্রদান করা হবে- বিমা কোম্পানি তার নিশ্চয়তা দিয়ে থাকে। এ জন্য জীবন বিমাকে নিশ্চয়তার চুক্তি বলা হয়।
গ উত্তর: উদ্দীপকে জনাব তৌহিদ জীবন বিমার মেয়াদি বিমাপত্র (ঊহফড়সিবহঃ ঢ়ড়ষরপু) গ্রহণ করেছেন।
সাধারণত একটি নির্দিষ্ট সময়ের জন্য মেয়াদি বিমাপত্র করা হয়ে থাকে। এই বিমাপত্রে এমন শর্ত থাকে যে, উক্ত সময়ের মধ্যে বিমাগ্রহীতা মারা গেলে তার মনোনীত ব্যক্তি বিমাকৃত অর্থ পাবেন।
উদ্দীপকে জনাব তৌহিদ ১৫ বছরের জন্য ৫ লক্ষ টাকার একটি জীবন বিমা চুক্তি করেছেন। তাই এ বিমা পলিসির টাকা তিনি ১৫ বছর পর উত্তোলন করতে পারবেন।
কিন্তু তিনি এই সময়ের মধ্যে মারা গেলে তার মনোনীত ব্যক্তি এ অর্থ পাবেন। এখানে জনাব তৌহিদের বিমাটি ১৫ বছরের জন্য করা হয়েছে বিধায় তা একটি মেয়াদি জীবন বিমাপত্র হিসেবে বিবেচিত হবে।
ঘ উত্তর: উদ্দীপকের জনাব তৌহিদ বিমা দাবি পাওয়ার ধিকারী হবেন না, তবে তিনি বিমাপত্রের সমর্পণ (ঝঁৎৎবহফবৎ াধষঁব) মূল্য পাবেন।
বিমাগ্রহীতা আঅর্থিক সচ্ছলতা বা ন্য কোনো কারণে বিমা চালু রাখতে সক্ষম না হলে বিমা কোম্পানির কাছে তা সমর্পণ করতে পারেন। এর ফলে বিমাকারী কোম্পানি থেকে বিমাগ্রহীতা যে অর্থ পান তাকে বিমাপত্রের সমর্পণ মূল্য বলা হয়।
উদ্দীপকে জনাব তৌহিদ ৫ লক্ষ টাকার একটি মেয়াদি জীবন বিমাপত্র গ্রহণ করেন। ১৫ বছরের বিমাপত্রে তিনি ৫ বছর প্রিমিয়াম পরিশোধের পর আঅর্থিকভাবে সমঅর্থ হয়ে পড়েন। তাই তিনি বিমা দাবি আদায়ের জন্য আবেদন করেন।
এখানে তিনি চুক্তি নুযায়ী বিমাকৃত সম্পূর্ণ মূল্য দাবি করতে পারবেন না। কারণ বিমাপত্রের মেয়াদ আরও ১০ বছর বাকি আছে এবং তিনি এখনও জীবিত আছেন।
তবে তিনি বিমাপত্রের সমর্পণ মূল্য দাবি করতে পারেন। সমর্পণ মূল্য পাওয়ার ক্ষেত্রে একটি শর্ত হলো ন্যূনতম ২ বছর পর্যন্ত কিস্তি প্রদান করতে হবে। এখানে জনাব তৌহিদ ৫ বছর কিস্তি প্রদান করেছেন। তাই তিনি সম্পূর্ণ বিমা দাবি না পেলেও সমর্পণ মূল্য পাবেন।
প্রশ্ন ৩: ভবিষ্যতের কথা চিন্তা করে মি. কামাল একটি জীবন বিমা পলিসি গ্রহণ করেন। যার উত্তরাধিকারী করা হয় তার স্ত্রীকে। বিমা পলিসি গ্রহণকালে তিনি তার একটি মারাÍক রোগের কথা গোপন রাখেন। তিনটি প্রিমিয়ামের টাকা প্রদানের পর মি. কামাল মৃত্যুবরণ করেন। মিসেস কামাল বিমা দাবি পেশ করলে বিমা কোম্পানি তা প্রত্যাখ্যান করে। [দি. বো. ১৭]
ক.স্থলাভিষিক্তকরণ নীতি কী?১
খ.‘বিমা হলো ক্ষতিপূরণের চুক্তি’Ñ ব্যাখ্যা করো।২
গ.মি. কামাল কোন ধরনের জীবন বিমা করেছিলেন? ব্যাখ্যা করো।৩
ঘ.বিমা কোম্পানি মিসেস কামালের বিমা দাবি প্রত্যাখ্যান করে কেন? বুঝিয়ে বলো।৪
৩ নং প্রশ্নের উত্তর
ক উত্তর: যে নীতি নুযায়ী বিমাকৃত সম্পত্তির ক্ষতিতে সম্পূর্ণ ক্ষতিপূরণের পর বশিষ্ট সম্পত্তির মালিকানা বিমা কোম্পানির নিকট স্থানান্তরিত হয় তাকে স্থলাভিষিক্তকরণ নীতি বলে।
উদাহরণ : জনাব আসগর তার ব্যক্তিগত গাড়িটি ৩০ লক্ষ টাকার বিমা করেন। দুর্ঘটনায় গাড়িটি ক্ষতিগ্রস্ত হলে বিমা কোম্পানি জনাব আসগরের বিমাদাবি পরিশোধ করে।
এদিকে ক্ষতিগ্রস্ত গাড়িটি বিমা কোম্পানি জনাব রহমানের নিকট ২০,০০০ টাকায় বিক্রি করে। স্থলাভিষিক্তকরণ নীতি নুযায়ী এই ২০,০০০ টাকা জনাব আসগর দাবি করতে পারবেন না। এই অর্থ বিমা কোম্পানির।
খ উত্তর: বিমা হলো এক ধরনের লিখিত চুক্তি। এই চুক্তিতে বিমাগ্রহীতা বিমাকৃত বস্তুর ক্ষতির ভার নির্দিষ্ট প্রিমিয়াম প্রদানের মাধ্যমে বিমা কোম্পানির ওপর র্পণ করে।
সাধারনত কোনো ব্যক্তি বা বস্তুকে ক্ষতির হাত থেকে রক্ষা করতে বিমা চুক্তি করা হয়। এ চুক্তি নুসারে বিমাকৃত বস্তু যদি ক্ষতিগ্রস্ত হয় তবে বিমা কোম্পানি বিমাগ্রহীতাকে ক্ষতিপূরণ প্রদান করে। যেহেতু ক্ষতি হতে রক্ষাঅর্থে এ চুক্তি সম্পাদন করা হয় তাই বিমা চুক্তিকে ক্ষতিপূরণের চুক্তি বলা হয়।
গ উত্তর: উদ্দীপকে মি. কামাল আজীবন বিমা গ্রহণ করেছিলেন।
এ বিমা চুক্তির মাধ্যমে এককালীন, নির্দিষ্ট সময় পর্যন্ত বা আজীবন প্রিমিয়াম প্রদানের বিনিময়ে বিমাকারী বিমাগ্রহীতার মৃত্যুতে তার মনোনীত ব্যক্তিকে বিমাকৃত অর্থ প্রদানের প্রতিশ্র“তি দেয়।
উদ্দীপকে ভবিষ্যতের কথা চিন্তা করে মি. কামাল একটি জীবন বিমা পলিসি গ্রহণ করেন। বিমাপত্রে তিনি তার স্ত্রীকে নমিনি হিসেবে উলেখ করেন।
অর্থাৎ জীবন বিমা পত্রটি মি. কামাল কোনে নির্দিষ্ট মেয়াদকালের জন্য গ্রহণ করেন নি। মূলত বিমাপত্রটি তিনি তার বর্তমানে পরিবারের আঅর্থিক নিরাপত্তার কথা বিবেচনা করে গ্রহণ করেছেন। যা আজীবন বিমাপত্রের মূল বিষয়।
ঘ উত্তর: উদ্দীপকে মি. কামাল দ্বারা আজীবন বিমাপত্র গ্রহণে বিমাপত্রের পরিহার্য উপাদান সদ্বিশ্বাসের সম্পর্ক লঙ্ঘিত হওয়ায় বিমা কোম্পানি দাবি প্রত্যাখ্যান করে।
বিমাচুক্তি সম্পাদনের ক্ষেত্রে বিমাকারী ও বিমাগ্রহীতার মধ্যে সদ্বিশ্বাসের সম্পর্ক প্রতিষ্ঠিত হয়। তাই এক্ষেত্রে বিমাকৃত বিষয়বস্তু সম্পর্কে সকল গুরুত্বপূর্ণ তথ্য সঠিকভাবে প্রদানে উভয়পক্ষ একে ন্যের নিকট বাধ্য থাকে।
উদ্দীপকে মি. কামাল বিমাচুক্তি সম্পাদনে তার সম্পর্কে সম্পূর্ণ তথ্য প্রকাশ করেন নি। অর্থাৎ তিনি বিমার পরিহার্য উপাদান সদ্বিশ্বাসের সম্পর্ক ভঙ্গ করেছেন।
যার ফলে বিমাকারী চুক্তি বাতিল বা ক্ষতিপূরণ প্রদান হতে বিরত থাকতে পারে। তাই পরবর্তীতে তার মৃত্যুতে বিমাদাবি উত্থাপিত হলে বিমা কোম্পানি তা যৌক্তিকভাবেই প্রত্যাখ্যান করে।
প্রশ্ন ৪ জনাব হাবিবুর রহমান একজন কলেজের প্রভাষক। কলেজ থেকে ফেরার সময় একটি দুর্ঘটনায় তিমি মারা যান। জনাব হাবিবুর রহমানের মৃত্যুর পর তার স্ত্রী সংসার চালাতে ভয় পান। কিন্তু তিনি জানতে পারলেন যে, তার স্বামী পরিবারের কথা ভেবে ১৫ বছরমেয়াদি একটি বিমা পলিসি করেছিলেন। বিমাপত্রে জনাব রহমানের মনোনীত ব্যক্তি ছিলেন তার স্ত্রী। বিমার দাবি পেশ করায় বিমা কোম্পানি জনাব রহমানের স্ত্রীকে দাবি পরিশোধের আশ্বাস দেন। [কু. বো. ১৭]
ক.আজীবন বিমাপত্র কী?১
খ.কোন ধরনের বিমাপত্রের ধীনে কারখানার সকল শ্রমিকের বিমাপত্র করা যায়Ñ ব্যাখ্যা করো।২
গ.উদ্দীপকের আলোকে জনাব রহমান কী ধরনের জীবন বিমা পলিসি গ্রহণ করেছিলেন? আলোচনা করো।৩
ঘ.জনাব রহমানের এই পলিসি তার পরিবারের কাছে কতটুকু গুরুত্ব বহন করেছে বলে তুমি মনে করো? উত্তরের সপক্ষে যুক্তি দেখাও।৪
৪ নং প্রশ্নের উত্তর
ক উত্তর: যে জীবন বিমাপত্রে শুধু বিমাকৃত ব্যক্তির মৃত্যুর পরই তার মনোনীত ব্যক্তিকে বিমাদাবি পরিশোধ করা হয় তাকে আজীবন বিমাপত্র বলে।
খ উত্তর: গোষ্ঠী বিমাপত্রের ধীনে কারখানার সকল শ্রমিকের জন্য বিমাপত্র গ্রহন করা যায়।
এ বিমাপত্রের ক্ষেত্রে একটি বিশেষ গোষ্ঠীর সকলের জীবনকে একক বিমাপত্রের ধীনে বিমা করা হয়। সাধারণত একই স্থানে কর্মরত কর্মীদের জন্য এ ধরনের বিমা করা হয়ে থাকে। নিয়োগকর্তা এ ধরনের বিমা করে কর্মীদের ভবিষ্যৎ নিরাপত্তা ব্যবস্থা গড়ে তুলতে পারেন।
গ উত্তর: উদ্দীপকে জনাব রহমান মেয়াদি জীবন বিমা পলিসি গ্রহণ করেছিলেন।
মেয়াদি বিমাপত্র সাধারণত নির্দিষ্ট সময়ের জন্য খোলা হয়ে থাকে। নির্দিষ্ট সময় শেষে বিমাকৃত অর্থ বিমাগ্রহীতাকে দেয়া হয়। তবে, বিমা গ্রহীতা মারা গেলে তার মনোনীত ব্যক্তিকে এ অর্থ মেয়াদের পূর্বেই দেয়া হয়। এরূপ বিমাপত্রে একদিকে বিনিয়োগ ও ন্যদিকে প্রতিরক্ষার সুবিধা পাওয়া যায়।
উদ্দীপকে জনাব হাবিবুর রহমান একজন কলেজের প্রভাষক। কলেজ থেকে ফেরার পথে তিনি দুর্ঘটনায় মারা যান। পরবর্তীতে তার স্ত্রী জানতে পারেন যে, তিনি ১৫ বছর মেয়াদি একটি বিমা পলিসি করেছিলেন।
বিমাপত্রে জনাব রহমানের মনোনীত ব্যক্তি ছিলেন তার স্ত্রী। অর্থাৎ মেয়াদি বিমা পলিসির শর্তানুযায়ী ১৫ বছরের মধ্যে জনাব রহমান মারা গেলে তার স্ত্রী এ অর্থ পাবে।
আর যদি মারা না যান তাহলে মেয়াদ শেষে তিনি এ অর্থ পাবেন। এ সকল বৈশিষ্ট্য বিবেচনায় বলা যায়, জনাব রহমানের বিমাটি একটি মেয়াদি জীবন বিমা।
ঘ উত্তর: উদ্দীপকে জনাব রহমানের মেয়াদি জীবন বিমা পলিসিটি তার পরিবারের কাছে আঅর্থিক নিরাপত্তাস্বরূপ ভ‚মিকা রাখছে।
জীবন বিমা হলো নিশ্চয়তার চুক্তি। কেননা, মানুষের জীবনহানির কোনো ক্ষতিপূরণ প্রদান সম্ভব নয়। এক্ষেত্রে বিমাকৃত ব্যক্তির জীবনহানি বা দুর্ঘটনায় ক্ষতিগ্রস্ত হলে তার পরিবার কিংবা তাকে আঅর্থিকভাবে সহায়তা দেয়া হয়।
উদ্দীপকে জনাব হাবিবুর রহমান কলেজ থেকে ফেরার পথে দুর্ঘটনায় মারা যান। এতে তার পরিবার দুশ্চিন্তায় পড়ে যায়। পরবর্তীতে তার স্ত্রী জানতে পারেন, তিনি ১৫ বছর মেয়াদি একটি জীবন বিমা পলিসি করেছিলেন।
বিমাদাবি পেশ করায় বিমা কোম্পানি জনাব রহমানের স্ত্রীকে এ দাবি পরিশোধের আশ্বাস দেন। জীবন বিমা পলিসি হওয়ার কারণে ১৫ বছর পূর্ণ না হলেও তার স্ত্রী বিমাকৃত সম্পূর্ণ অর্থ পাবে।
এর ফলে তার পরিবার আঅর্থিক নিরাপত্তা পেয়েছে। কেননা, জীবন বিমা পলিসিটি না করা থাকলে তার পরিবারকে চরম আঅর্থিক সংকটে পড়তে হতো।
প্রশ্ন ৫: জনাব সাঈদ একজন ব্যবসায়ী। তিনি তার সন্তানদের লেখাপড়ার স্বাঅর্থে ১০ বছর মেয়াদি একটি বিশেষ ধরনের বিমাপত্র গ্রহণ করেছেন। যেখানে তিনি নির্দিষ্ট মেয়াদ পর্যন্ত বিমা কোম্পানিকে প্রিমিয়াম পরিশোধ করবেন এবং মেয়াদ শেষে বিমা কোম্পানি আবার নির্দিষ্ট মেয়াদ পর্যন্ত তার সন্তানদেরকে বৃত্তি প্রদান করবে। তিনি চার বছর নিয়মিত প্রিমিয়াম পরিশোধ করার পর হঠাৎ ব্যবসায় ক্ষতির সম্মুখীন হলে বিমাপত্রটি বাতিলের জন্য আবেদন করেন। বিমা কোম্পানিটি তার আবেদনপত্র পরীক্ষা-নিরীক্ষা করে আঅর্থিক সুবিধা প্রদানের উদ্যোগ গ্রহণ করে। [চ. বো. ১৭
ক.বিমাযোগ্য স্বাঅর্থ কী?১
খ.জীবন বিমাকে কেন নিশ্চয়তার চুক্তি বলা হয়?২
গ.উদ্দীপকে জনাব সাঈদ কোন ধরনের মেয়াদি জীবন বিমাপত্র গ্রহণ করেছেন? ব্যাখ্যা করো।৩
ঘ.উদ্দীপকে বিমা কোম্পানিটি জনাব সাঈদকে আঅর্থিক সুবিধা প্রদানের জন্য যে উদ্যোগ গ্রহণ করেছে সেটির যৌক্তিকতা মূল্যায়ন করো।৪
৫ নং প্রশ্নের উত্তর
ক উত্তর: বিমাযোগ্য স্বাঅর্থ বলতে বিমাকৃত সম্পদ বা জীবনের ওপর বিমাগ্রহীতার আঅর্থিক স্বাঅর্থকে বোঝায়।
উদাহরণ : জনাব রাব্বির ব্যবহৃত গাড়ি জনাব রাফি বিমা করতে পারবেন না। কারণ এখানে জনাব রাফির উক্ত গাড়ির ওপর কোনো আঅর্থিক স্বাঅর্থ নেই। তবে জনাব রাব্বি তার গাড়িটি জনাব রাফির নিকট বন্ধক রাখলে সেক্ষেত্রে জনাব রাফির আঅর্থিক স্বাঅর্থ সৃষ্টি হবে।
খ উত্তর: যে বিমা চুক্তিতে কোনো ক্ষতি সংঘটিত হলে ক্ষতিপূরণ না করে নির্দিষ্ট পরিমাণ অর্থ প্রদানের প্রতিশ্র“তি দেয়া হয় তাকে নিশ্চয়তার চুক্তি বলা হয়।
জীবনহানি হলে বা দুর্ঘটনায় পড়লে, মানুষের ক্ষতির পরিমাণ নির্ণয় করা যায় না। তাই জীবন বিমাকৃত কেউ মারা গেলে বা পঙ্গু হলে কী পরিমাণ অর্থ প্রদান করা হবে- বিমা কোম্পানি তার নিশ্চয়তা দিয়ে থাকে। এ জন্য জীবন বিমাকে নিশ্চয়তার চুক্তি বলা হয়।
গ উত্তর: উদ্দীপকে জনাব সাঈদ মেয়াদি জীবন বিমার শিক্ষাবৃত্তি বিমাপত্রটি গ্রহণ করেছেন।
শিক্ষাবৃত্তি বিমাপত্রে নির্দিষ্ট মেয়াদ পর্যন্ত বিমাগ্রহীতা কিস্তির অর্থ বা প্রিমিয়াম প্রদান করে। পরবর্তীতে বিমা কোম্পানি নির্দিষ্ট সময় পর্যন্ত বিমাপত্রে উলিখিত নমিনিকে বৃত্তি হিসেবে অর্থ প্রদান করে।
উদ্দীপকে জনাব সাঈদ একজন ব্যবসায়ী। তিনি তার সন্তানদের লেখাপড়ার স্বাঅর্থে ১০ বছর মেয়াদি একটি বিশেষ ধরনের বিমাপত্র গ্রহণ করেন।
বিমা চুক্তির শর্তানুযায়ী তিনি নির্দিষ্ট মেয়াদ পর্যন্ত বিমা কোম্পানিকে প্রিমিয়াম পরিশোধ করবেন। মেয়াদ শেষে বিমা কোম্পানি নির্দিষ্ট মেয়াদ পর্যন্ত তার সন্তানদেরকে বৃত্তি প্রদান করবে। জনাব সাঈদ মূলত তার সন্তানদের লেখাপড়ার ভবিষ্যতের খরচ নির্বাহের উদ্দেশ্যেই এ বিমা করেছেন।
উপরিউক্ত বৈশিষ্ট্য পর্যালোচনা করে বলা যায়, জনাব সাঈদের গৃহীত বিমাটি মেয়াদি জীবন বিমার শিক্ষাবৃত্তি বিমার সাথে সামঞ্জস্যপূর্ণ। সুতরাং, তার গৃহীত বিমাপত্রটি একটি শিক্ষা বৃত্তি বিমাপত্র।
ঘ উত্তর: উদ্দীপকে বিমা কোম্পানি জনাব সাঈদকে সমর্পণ মূল্য প্রদানের যে উদ্যোগ গ্রহণ করেছে তা যৌক্তিক হয়েছে।
সমর্পণ মূল্য হলো বিমা পলিসি সমর্পণের বিনিময় মূল্য। বিমাগ্রহীতা কোনো কারণে বিমা পলিসির কিস্তি চালিয়ে যেতে সমঅর্থ হলে বিমা কোম্পানি সমর্পণ মূল্য প্রদান করে থাকে।
উদ্দীপকে জনাব সাঈদ তার সন্তানদের লেখাপড়ার স্বাঅর্থে ১০ বছর মেয়াদি শিক্ষাবৃত্তি বিমাপত্র গ্রহণ করেন। তিনি চার বছর নিয়মিত প্রিমিয়াম পরিশোধের পর বিমাপত্রটি বাতিলের জন্য আবেদন করেন।
মূলত তিনি আঅর্থিকভাবে সমঅর্থ হওয়ার কারণে এরূপ আবেদন করেন। বিমা কোম্পানিও তাকে আঅর্থিক সুবিধা প্রদানের উদ্যোগ গ্রহণ করে। অর্থাৎ তিনি বিমা কোম্পানি হতে সমর্পণ মূল্য পাবেন।
শর্ত নুযায়ী সমর্পণ মূল্য পেতে হলে কমপক্ষে দুই বছর বিমার কিস্তির অর্থ বা প্রিমিয়াম পরিশোধ করতে হয়। এখানে জনাব সাঈদ বিমার কিস্তি চার বছর পর্যন্ত নিয়মিতভাবেই পরিশোধ করেন।
অর্থাৎ তিনি সমর্পণ মূল্য পাওয়ার শর্ত পূরণ করেছেন। সুতরাং, বিমা কোম্পানি কর্তৃক তাকে সমর্পণ মূল্য প্রদানের সিদ্ধান্তটি যথাঅর্থই যৌক্তিক।
উক্ত বিষয় সম্পর্কে কিছু জানার থাকলে কমেন্ট করতে পারেন।
আমাদের সাথে ইউটিউব চ্যানেলে যুক্ত হতে এখানে ক্লিক করুন এবং আমাদের সাথে ফেইজবুক পেইজে যুক্ত হতে এখানে ক্লিক করুন। গুরুত্বপূর্ণ আপডেট ও তথ্য পেতে আমাদের ওয়েবসাইটে ভিজিট করুন।