ফিন্যান্স ব্যাংকিং ও বিমা ২য় | অধ্যায় ১১ | সৃজনশীল প্রশ্ন ২১-২৫ | PDF: ফিন্যান্স, ব্যাংকিং ও বিমা দ্বিতীয় পত্রের একাদশ অধ্যায়ের গুরুত্বপূর্ণ সব কমন উপযোগী সৃজনশীল প্রশ্ন গুলো আমাদের এই পোস্টে পাবেন।
প্রিয় ছাত্র ছাত্রী বন্ধুরা আল্লাহর রহমতে সবাই ভালোই আছেন । এটা জেনে আপনারা খুশি হবেন যে, আপনাদের জন্য ফিন্যান্স, ব্যাংকিং ও বিমা দ্বিতীয় পত্রের একাদশ অধ্যায়ের গুরুত্বপূর্ণ সব কমন উপযোগী সৃজনশীল প্রশ্ন গুলো নিয়ে আলোচনা করতে যাচ্ছি ।
সুতরাং সম্পূর্ণ পোস্টটি মনোযোগ সহকারে পড়ুন। আর এইচ এস সি- HSC এর যেকোন বিভাগের গুরুত্বপূর্ণ সকল সাজেশন পেতে জাগোরিকের সাথে থাকুন।
ফিন্যান্স ব্যাংকিং ও বিমা ২য় | অধ্যায় ১১ | সৃজনশীল প্রশ্ন ২১-২৫ | PDF
প্রশ্ন ২১: মি. চমন একটা জীবন বিমাপত্র খুলেছিলেন আজ থেকে ২৫ বছর আগে। প্রিমিয়াম দিয়ে চলেছেন। যতদিন তিনি বেঁচে থাকবেন ততদিনই তা দিয়ে যেতে হবে। এখন আর সেটা চালাতে পারছেন না। তিনি বিমা কর্ক উত্তর:র্তাকে বিষয়টি বহিত করলে বিমা কর্ক উত্তর:র্তা বললেন, “কিছু টাকা নিয়ে চলে যান। আপনাকে আর প্রিমিয়াম দিতে হবে না।” তিনি মনে মনে কষ্ট পাচ্ছেন। [ভিকারুননিসা নূন স্কুল এন্ড কলেজ, ঢাকা]
ক.মৃত্যুহার পঞ্জি কী?১
খ.জীবন বিমাকে নিশ্চয়তার চুক্তি বলা হয় কেন?২
গ.মি. চমন কোন ধরনের বিমাপত্র সংগ্রহ করেছেন তা ব্যাখ্যা করো।৩
ঘ.বিমা কর্ক উত্তর:র্তা মি. চমনকে যে পরামর্শ দিয়েছেন তার যৌক্তিকতা বিশ্লেষণ করো।৪
২১ নং প্রশ্নের উত্তর
ক উত্তর: নির্দিষ্ট বয়সের ১,০০০ ব্যক্তির মৃত্যু হারকে যে তালিকায় প্রকাশ করা হয় তাকে মৃত্যুহার পঞ্জি বলে।
খ উত্তর: জীবন বিমার ক্ষেত্রে ক্ষতিপূরণ প্রদানের পরিবর্তে আঅর্থিক প্রতিদানের নিশ্চয়তা দেয়া হয় বিধায় একে নিশ্চয়তার চুক্তি বলা হয়।
জীবন বিমা ক্ষতিপূরণের চুক্তি নয়। কেননা কারো জীবনহানি ঘটলে বা কেউ পঙ্গুত্ব বরণ করলে এর প্রকৃত আঅর্থিক ক্ষতি নির্ণয় করা সম্ভব নয়। এক্ষেত্রে বিমা কোম্পানি নির্দিষ্ট পরিমাণ অর্থ প্রদানের নিশ্চয়তা দেয়। এজন্যই একে নিশ্চয়তার চুক্তি বলা হয়।
গ উত্তর: উদ্দীপকে মি. চমন আজীবন বিমাপত্র সংগ্রহ করেছেন।
আজীবন বিমাপত্রে বিমাগ্রহীতা মৃত্যুকাল পর্যন্ত বিমা প্রিমিয়াম পরিশোধ করে থাকে। এক্ষেত্রে বিমাগ্রহীতার মৃত্যুর পর তার মনোনীত ব্যক্তিকে বিমার মূল্য পরিশোধ করা হয়।
উদ্দীপকে মি. চমন ২৫ বছর আগে একটি জীবন বিমাপত্র খুলেছিলেন। বর্তমানেও তিনি এ বিমার প্রিমিয়াম দিয়ে চলেছেন। এমনকি তিনি যতদিন বেঁচে থাকবেন ততদিনই তা দিয়ে যেতে হবে।
সাধারণত আজীবন বিমাপত্রের ক্ষেত্রেই মৃত্যুকাল পর্যন্ত বিমাগ্রহীতাকে প্রিমিয়াম পরিশোধ করতে হয়। এখানে মি. চমনের গৃহীত বিমাপত্রটির সাথে আজীবন বিমাপত্রের হুবহু মিল রয়েছে। তাই বলা যায়, তিনি আজীবন বিমাপত্র সংগ্রহ করেছেন।
ঘ উত্তর: উদ্দীপকে বিমা কর্ক উত্তর:র্তা মি. চমনকে সমর্পণ মূল্য গ্রহণের পরামর্শ দিয়েছেন এবং তা যৌক্তিক।
সমর্পণ মূল্য হলো বিমাগ্রহীতা কর্তৃক পরিশোধিত প্রিমিয়ামের সেই ংশ যা বিমাপত্র সমর্পণের সময় তাকে পরিশোধ করা হয়। অর্থাৎ, কোনো কারণে বিমাগ্রহীতা বিমা পলিসি চালাতে ব্যঅর্থ হলে তা মেয়াদের পূর্বে জমা দিলে বিমা কোম্পানি এ মূল্য প্রদান করে।
উদ্দীপকে মি. চমন একটি আজীবন বিমাপত্র খুলেছিলেন। তিনি ২৫ বছর যাবৎ এ বিমা পত্রের প্রিমিয়াম পরিশোধ করে আসছেন। বর্তমানে তিন এ প্রিমিয়াম পরিশোধ করতে পারছেন না। তখন বিমা কর্ক উত্তর:র্তা তাকে কিছু টাকা নিয়ে চলে যেতে বলে।
অর্থাৎ, মি. চমন তার বিমা পলিসিটি সমর্পণ করলে আর প্রিমিয়াম পরিশোধ করতে হবে না। এক্ষেত্রে বিমা কোম্পানি তাকে তার প্রদত্ত প্রিমিয়ামের একটি ংশ সমর্পণ মূল্য হিসেবে প্রদান করবে। তাই বলা যায়, মি. চমনের পারিপার্শ্বিক বস্থা বিবেচনায় বিমা কর্ক উত্তর:র্তার দেয়া সমর্পণ মূল্য গ্রহণের পরামর্শটি যৌক্তিক।
প্রশ্ন ২২ মি. মারজুক একজন সরকারি চাকরিজীবী ছিলেন। প্রতি মাসে তার বেতন থেকে একটি নির্দিষ্ট পরিমাণ অর্থ জীবন বিমার প্রিমিয়াম হিসেবে কেটে রাখা হতো। চাকরিতে যোগদানের বিশ বছর পর তিনি হঠাৎ করেই একদিন মারা যান। পরবর্তীতে তার ছেলে ও মেয়ের বিমা দাবির টাকা আদায় করতে গেলে বিমা কোম্পানি ছেলেকে টাকা না দিয়ে তার মেয়েকে টাকা প্রদান করে।
[ভিকারুননিসা নূন স্কুল এন্ড কলেজ, ঢাকা]
ক.আজীবন বিমাপত্র কী?১
খ.বোনাস বলতে কী বোঝায়?২
গ.মি. মারজুক কোন ধরনের জীবন বিমা করেছিলেন? মতামত দাও।৩
ঘ.বিমা কোম্পানি বিমা দাবির টাকা মি. মারজুক সাহেবের ছেলেকে প্রদান না করে তার মেয়েকে প্রদান করার কারণ কী বলে তোমার মনে হয়? যুক্তি দাও।৪
২২ নং প্রশ্নের উত্তর
ক উত্তর: যে বিমাপত্রে বিমাগ্রহীতা মৃত্যুকাল বা নির্দিষ্ট সময়কাল পর্যন্ত প্রিমিয়াম প্রদান করে এবং বিমা কোম্পানি, বিমাগ্রহীতার মৃত্যুর পর তার মনোনীত ব্যক্তিকে বিমার অর্থ পরিশোধ করে তাকে আজীবন বিমাপত্র বলে।
খ উত্তর: বিমা কোম্পানি বিমাগ্রহীতাকে বিমাকৃত অর্থের তিরিক্ত যে আঅর্থিক সুবিধা প্রদান করে তাকে বোনাস বলে।
জীবন বিমা ব্যবসায়ে মুনাফার একটি ংশ জীবন বিমাপত্র গ্রহীতাদের মধ্যে বণ্টন করা হয়। এই বণ্টনকৃত মুনাফার ংশই বোনাস হিসেবে বিবেচিত। চুক্তিতে উলেখ থাকলে এ বোনাস নগদে দেয়া হয়। ক্ষেত্রবিশেষে এ বোনাস প্রিমিয়ামের সাথে সমন্বয় করা হয়ে থাকে।
গ উত্তর: উদ্দীপকে মি. মারজুক আজীবন বিমাপত্র গ্রহণ করেছিলেন।
আজীবন বিমাপত্রের ক্ষেত্রে বিমাগ্রহীতা মৃত্যুকাল থবা নির্দিষ্ট সময়কাল পর্যন্ত প্রিমিয়াম পরিশোধ করে। এক্ষেত্রে বিমাগ্রহীতার মৃত্যুর পর তার মনোনীত ব্যক্তিকে বিমা কোম্পানি বিমার অর্থ পরিশোধ করে।
উদ্দীপকে মি. মারজুক একজন সরকারি চাকরিজীবী ছিলেন। প্রতি মাসে তার বেতন থেকে একটি নির্দিষ্ট পরিমাণ অর্থ জীবন বিমার প্রিমিয়াম হিসেবে কেটে রাখা হতো। চাকরিতে যোগদানের ২০ বছর পর হঠাৎ একদিন তিনি মারা যান।
তাই বিমা কোম্পানি তার মেয়েকে বিমার মূল্য পরিশোধ করে। এখানে আজীবন বিমাপত্রের মতোই মি. মারজুক নির্দিষ্টকাল পর্যন্ত প্রিমিয়াম পরিশোধ করেছেন। অর্থাৎ তার বিমাপত্রের বৈশিষ্ট্য পর্যালোচনা করে বলা যায়, তিনি আজীবন বিমাপত্র সংগ্রহ করেছিলেন।
ঘ উত্তর: উদ্দীপকে মি. মারজুকের বিমাপত্রের মনোনীত ব্যক্তি হিসেবে তার মেয়ের নাম থাকায় বিমা কোম্পানি ছেলেকে না দিয়ে মেয়েকে বিমা দাবি পরিশোধ করে।
মনোনীত ব্যক্তি বলতে, বিমাগ্রহীতা তার বর্তমানে বিমাপত্রের দাবিদার হিসেবে যার নাম উলেখ করেন তাকে বোঝায়। কোনো নামের উলেখ না থাকলে তার উত্তরাধিকারগণ বিমা দাবি পেয়ে থাকে।
উদ্দীপকে মি. মারজুক সরকারি চাকরি করেন। তিনি প্রতি মাসে বেতনের নির্দিষ্ট ংশ হিসেবে জীবন বিমার প্রিমিয়াম হিসেবে প্রদান করতেন। হঠাৎ তিনি মারা যাওয়ার পর বিমা কোম্পানি তার ছেলেকে টাকা না দিয়ে মেয়েকে তা প্রদান করে।
বিমা চুক্তি নুযায়ী বিমাগ্রহীতার মৃত্যুর পর বিমা কোম্পানি তার মনোনীত ব্যক্তিকে বিমার অর্থ প্রদান করে। এখানে মি. মারজুকের মৃত্যুর পর তার ছেলে ও মেয়ে উভয় বিমা দাবি করেন।
এক্ষেত্রে বিমা কোম্পানি তার ছেলেকে বিমার অর্থ প্রদান করতে স্বীকৃতি জানায়। অর্থাৎ বিমাপত্রে মি. মারজুকের বর্তমানে মনোনীত ব্যক্তি হিসেবে তার মেয়ের নাম রয়েছে। এ কারণেই বিমা কোম্পানি তার ছেলেকে টাকা না দিয়ে মেয়েকে টাকা দেয়।
প্রশ্ন ২৩ মি. রাতুল নির্দিষ্ট প্রিমিয়াম প্রদানের পরিপ্রেক্ষিতে ২ বছরের একটি বিমাপত্র গ্রহণ করেন। কিন্তু মেয়াদ পূর্ণ হলেও বিমা কোম্পানি কোনো অর্থ পরিশোধ করেনি। ন্যদিকে মি. রনি ১০ বছরের জন্য একটি বিমা চুক্তি সম্পাদন করে এবং ৫ বছর পর তিনি মারা যান। মি. রনির মনোনীত ব্যক্তি বিমা দাবি করলে বিমা কোম্পানি তা পরিশোধ করে। [নটর ডেম কলেজ, ঢাকা; নিউ গভ. ডিগ্রী কলেজ, রাজশাহী]
ক.জীবন বিমা কী?১
খ.জীবন বিমাকে নিশ্চয়তার চুক্তি বলা হয় কেন?২
গ.মি. রাতুল কোন ধরনের বিমাপত্র সংগ্রহ করেছেন? ব্যাখ্যা করো।৩
ঘ.মি. রনির বিমাপত্রটি একই সাথে বিনিয়োগ ও আঅর্থিক সুরক্ষার সুযোগ দেয়- বিশ্লেষণ করো।৪
২৩ নং প্রশ্নের উত্তর
ক উত্তর: মানুষের জীবন সংশ্লিষ্ট ঝুঁকি আঅর্থিকভাবে মোকাবেলার ব্যবস্থাই হলো জীবন বিমা।
খ উত্তর: জীবন বিমায় কারো জীবনহানি হলে বা কেউ পঙ্গুত্ব বরণ করলে তার ক্ষতি অর্থ দ্বারা পূরণ করা সম্ভব নয় বলে একে নিশ্চয়তার চুক্তি বলে।
কারো জীবনহানি কিংবা পঙ্গুত্বের ক্ষতি আঅর্থিকভাবে পরিমাণ করা সম্ভব নয়। তাই বিমা কোম্পানি ক্ষতিগ্রস্ত পরিবার বা ব্যক্তিকে কখনই প্রকৃত ক্ষতি পূরণ করতে পারে না। এজন্য জীবন বিমায় বিমা কোম্পানি সবসময় নির্দিষ্ট অর্থ প্রদানের নিশ্চয়তা দেয় বিধায় একে নিশ্চয়তার চুক্তি বলে।
গ উত্তর: উদ্দীপকে মি. রাতুল সাময়িক জীবন বিমাপত্র সংগ্রহ করেছেন।
সাময়িক বিমাপত্র সাধারণত ৩ মাস থেকে সর্বোচ্চ ৫ বছর পর্যন্ত হয়। এক্ষেত্রে বিমাগ্রহীতা মারা গেলেই কেবল বিমার অর্থ তার মনোনীত ব্যক্তিকে প্রদান করা হয়। বিমাগ্রহীতা বেঁচে থাকলে কোনো বিমা দাবি পরিশোধ করা হয় না।
উদ্দীপকে মি. রাতুল নির্দিষ্ট প্রিমিয়াম প্রদানের মাধ্যমে ২ বছরের জন্য একটি বিমাপত্র গ্রহণ করেন। কিন্তু মেয়াদপূর্ণ হলে বিমা কোম্পানি কোনো অর্থ পরিশোধ করেনি। এখানে মি. রাতুলের গৃহীত বিমাপত্রের মেয়াদ সাময়িক বিমাপত্রের মেয়াদের নুরূপ।
অন্যভাবে বলা যায়, ২ বছরের মধ্যে মি. রাতুল মারা না যাওয়ায় বিমা কোম্পানি বিমার অর্থ পরিশোধ করেনি বিধায় এটি বশ্যই সাময়িক বিমাপত্র।
ঘ উত্তর: উদ্দীপকে মি. রনির মেয়াদি বিমাপত্রটি একই সাথে বিনিয়োগ ও আঅর্থিক সুরক্ষার সুযোগ দেয়।
মেয়াদি বিমাপত্র মূলত একটি নির্দিষ্ট সময়ের জন্য খোলা হয়ে থাকে। এ সময়ের মধ্যে বিমাগ্রহীতা মারা গেলে তার মনোনীত ব্যক্তিকে বিমা দাবি পরিশোধ করা হয়। আর বিমাগ্রহীতা মারা না গেলে মেয়াদ শেষে তাকে বিমা দাবি পরিশোধ করা হয়।
উদ্দীপকে মি. রনি ১০ বছরের জন্য একটি বিমা চুক্তি সম্পাদন করে। বিমা চুক্তির ৫ বছর পর তিনি মারা যান। পরবর্তীতে, মি. রনির মনোনীত ব্যক্তি বিমা দাবি করলে বিমা কোম্পানি তা পরিশোধ করে।
এখানে, মি. রনি নির্দিষ্ট সময়ের জন্য বিমা করায় নির্দ্বিধায় বলা যায়, তিনি মেয়াদি বিমাপত্র সংগ্রহ করেছেন। বিমা চুক্তিতে উলিখিত সময়ের মধ্যে তিনি মারা যাওয়ায় বিমা কোম্পানি মনোনীত ব্যক্তিকে বিমার অর্থ পরিশোধ করে।
অর্থাৎ এ বিমাপত্রের মাধ্যমে মি. রনির পরিবার বা মনোনীত ব্যক্তি আঅর্থিক সুরক্ষা লাভ করে। আবার মি. রনি যদি মারা না যেতেন তাহলে তাকেই বোনাসসহ সকল অর্থ পরিশোধ করা হতো।
অর্থ এ বিমাপত্রের মাধ্যমে তিনি বিনিয়োগ সুবিধাও পেতে পারতেন। তাই বলা যায়, মেয়াদি বিমাপত্রটি বিনিয়োগ ও আঅর্থিক সুরক্ষা উভয় সুবিধাই প্রদান করে।
প্রশ্ন ২৪ জনাব পলক এবং জনাব কবির দুইজন সরকারি চাকরিজীবী। জনাব পলক দুই বছরের জন্য দেশের বাহিরে যান। তিনি তাঁর সন্তানদের ভবিষ্যতের কথা চিন্তা করে দুই বৎসরের জন্য একটি বিমাপত্র গ্রহণ করেন, যেখানে তিনি মারা গেলেই কেবল তাঁর সন্তানেরা বিমাদাবি পাবে। পরদিকে জনাব কবির বার্ষিক ৫০,০০০ টাকা বিমা কিস্তিতে ১৫ বছরের জন্য সাত লক্ষ টাকার একটি বিমাপত্র গ্রহণ করেন। এ ধরনের বিমাপত্রে তিনি জীবিত থাকলেও নির্দিষ্ট সময় শেষে বিমাদাবি পাবেন। [ঢাকা সিটি কলেজ]
ক.মৃত্যুহার পঞ্জি কাকে বলে?১
খ.“জীবন বিমা নিশ্চয়তার চুক্তি” ব্যাখ্যা করো।২
গ.উদ্দীপকে জনাব পলকের গৃহীত বিমাপত্রটি কোন ধরনের? ব্যাখ্যা করো।৩
ঘ.জনাব পলক এবং জনাব কবিরের গৃহীত দুটি বিমাপত্রের মধ্যে কোনটি বেশি লাভজনক বলে তুমি মনে করে? উদ্দীপকের আলোকে বিশ্লেষণ করো।৪
২৪ নং প্রশ্নের উত্তর
ক উত্তর: বয়স ক্রমে প্রতি হাজার লোকের মাঝে মৃত্যু ব্যক্তির সংখ্যা সংবলিত তালিকা হলো মৃত্যুহার পঞ্জি। এ পঞ্জি নুসারে জীবন বিমার প্রিমিয়াম নির্ধারণ করা হয়।
খ উত্তর: জীবন বিমার ক্ষেত্রে অর্থ প্রদানের প্রতিশ্র“তি দেয়া হয় বিধায় একে নিশ্চয়তার চুক্তি বলা হয়।
জীবন বিমা ব্যতীত সকল বিমাই ক্ষতিপূরণের চুক্তি। সম্পত্তির ক্ষতিতে ক্ষতিপূরণ করা সম্ভব। কিন্তু জীবনের হানি বা ক্ষতিতে প্রকৃত ক্ষতিপূরণ প্রদান সম্ভব নয়।
এ চুক্তি নুযায়ী নির্দিষ্ট কারণে বিমাকৃত ব্যক্তির মৃত্যুতে বা পঙ্গুত্ব বা বার্ধক্যজনিত ক্ষতির বিপরীতে নির্দিষ্ট অর্থ প্রদানের নিশ্চয়তা দেয়া হয়। তাই একে নিশ্চয়তার চুক্তি বলা হয়ে থাকে।
গ উত্তর: উদ্দীপকে জনাব পলকের গৃহীত বিমাপত্রটি সাময়িক বিমাপত্র।
সাময়িক বিমাপত্র মূলত স্বল্পমেয়াদের জন্য গ্রহণ করা হয়। এ সময়ের মধ্যে বিমাগ্রহীতা মারা গেলে তার মনোনীত ব্যক্তি বা উত্তরাধিকার এ বিমার দাবি পেয়ে থাকে। তবে বেঁচে থাকলে বিমা কোম্পানি কোনো অর্থ প্রদান করে না।
উদ্দীপকে জনাব পলক একজন সরকারি চাকরিজীবী। তিনি দুই বছরের জন্য দেশের বাইরে যান। যাওয়ার পূর্বে তিনি তার সন্তানদের ভবিষ্যতের কথা চিন্তা করে দুই বছরের জন্য একটি বিমাপত্র গ্রহণ করেন।
তবে এ বিমাপত্রের আওতায় তিনি মারা গেলেই কেবল তার সন্তানেরা বিমা দাবি পাবে। অর্থাৎ একদিকে স্বল্পমেয়াদ এবং ন্যদিকে বিমার বৈশিষ্ট্য পুরোটাই সাময়িক বিমাপত্রের নুরূপ। তাই বলা যায়, জনাব পলক সাময়িক বিমাপত্র গ্রহণ করেছেন।
ঘ উত্তর: উদ্দীপকে জনাব পলক ও জনাব কবিরের গৃহীত বিমাপত্র যথাক্রমে সাময়িক ও মেয়াদি বিমাপত্র। সাময়িক বিমাপত্রের চেয়ে মেয়াদি বিমাপত্রটি ধিক লাভজনক।
মেয়াদি বিমাপত্র বলতে নির্দিষ্ট মেয়াদের জন্য গৃহীত জীবন বিমাকে বোঝায়। এ বিমার ক্ষেত্রে মেয়াদ শেষে বোনাসসহ সমুদয় অর্থ পরিশোধ করা হয়। তবে, বিমাগ্রহীতা মারা গেলে তার মনোনীত ব্যক্তিকে এ অর্থ পরিশোধ করা হয়।
উদ্দীপকে জনাব পলক ও জনাব কবির দুইজন সরকারি চাকরিজীবী। জনাব পলক ২ বছরের জন্য একটি সাময়িক বিমাপত্র গ্রহণ করেন। ন্যদিকে, জনাব কবির ১৫ বছরের জন্য একটি মেয়াদি বিমাপত্র গ্রহণ করেন।
জনাব পলকের গৃহীত বিমাপত্রের ক্ষেত্রে তিনি মারা গেলেই কেবল বিমা দাবি তার সন্তানদেরকে অর্থ প্রদান করবে। ন্যদিকে, জনাব কবিরের বিমাপত্রের ক্ষেত্রে তিনি এ সময়ের মধ্যে মারা না গেলেও মেয়াদ শেষে বোনাসসহ আসল অর্থ প্রদান করা হবে।
আবার, মারা গেলেও তার মনোনীত ব্যক্তি বা উত্তরাধিকারদেরকে বিমা দাবি প্রদান করা হবে। অর্থাৎ জনাব কবিরের বিমাপত্রে আঅর্থিক সুরক্ষা ও বিনিয়োগ উভয় সুবিধাই রয়েছে। তাই বলা যায়, সাময়িক বিমাপত্রের চেয়ে মেয়াদি বিমাপত্রটি বেশি লাভজনক।
প্রশ্ন ২৫: জনাব রাশেদ ৪০ বছর বয়সী একজন ক্যান্সার আক্রান্ত ব্যাক্তি। তিনি তার জীবনের জন্য ‘রমনা’ বিমা কোম্পানির সাথে ১২ বছরের জন্য চুক্তিবদ্ধ হয়ে ২,০০,০০০ টাকা বিমাপত্র গ্রহণ করেন। বিমাপত্র গ্রহণকালে তিনি তার রোগের বিষয়টি গোপন রাখেন। চুক্তির ২ মাস পর তিনি মারা গেলে তার মনোনীত ব্যক্তি বিমা কোম্পানির নিকট বিষয়টি বিহিত করেন। বিমা কোম্পানি রোগের তথ্য গোপনের বিষয়টি জানতে পেরে বিমা দাবি পরিশোধ স্বীকৃতি জানায়।
[ঢাকা ইমপিরিয়াল কলেজ]
ক.স্থলাভিষিক্তকরণের নীতিটি কী?১
খ.শস্য বিমার গুরুত্ব লেখো।২
গ.জনাব রাশেদ কোন ধরনের জীবন বিমাপত্র গ্রহণ করেছিলেন? ব্যাখ্যা করো।৩
ঘ.উদ্দীপকে বিমা কোম্পানির সিদ্ধান্তটি কী যৌক্তিক হয়েছে বলে তুমি মনে করো? তোমার মতামত দাও।৪
২৫ নং প্রশ্নের উত্তর
ক উত্তর: কোনো সম্পত্তির সম্পূর্ণ ক্ষতিতে পুরোপুরি ক্ষতিপূরণের পর ঐ ক্ষতিগ্রস্ত সম্পত্তির ধ্বংসাবশেষের মালিক হবে বিমা কোম্পানি, এ নীতিকে স্থলাভিষিক্তকরণের নীতি বলে।
খ উত্তর: শস্য বিমা হলো কৃষিপণ্য উৎপাদনের সাথে জড়িত সম্ভাব্য ঝুঁকি প্রতিরক্ষার ব্যবস্থা।
প্রাকৃতিক ও প্রাকৃতিক কারণে কৃষি উৎপাদন ক্ষতিগ্রস্ত হতে পারে। কৃষকদের আঅর্থিক সচ্ছলতার কারণে একবার ক্ষতিগ্রস্ত হলে সহজে তা কাটিয়ে উঠতে পারে না।
শস্য বিমার মাধ্যমে এরূপ ক্ষতি আঅর্থিকভাবে পূরণ করা সম্ভব। চুক্তিতে উলিখিত কারণে কৃষক ক্ষতিগ্রস্ত হলে বিমা কোম্পানি তা পূরণ করবে। ফলে কৃষকরা আঅর্থিক ক্ষতির হাত থেকে সুরক্ষা পাবেন। তাই বলা যায়, কৃষিক্ষেত্রে শস্য বিমার গুরুত্ব পরিসীম।
গ উত্তর: উদ্দীপকে জনাব রাশেদ মেয়াদি জীবন বিমাপত্র গ্রহণ করেছিলেন।
মেয়াদি জীবন বিমাপত্র মূলত নির্দিষ্ট মেয়াদের জন্য করা হয়ে থাকে। এ সময়ের মধ্যে বিমাগ্রহীতা মারা গেলে তার পরিবার বিমার অর্থ পেয়ে থাকে। আর মারা না গেলে তিনি নিজেই এ অর্থ পাবেন।
উদ্দীপক জনাব রাশেদ ৪০ বছর বয়সী একজন ক্যান্সার আক্রান্ত ব্যক্তি। তিনি ‘রমনা’ বিমা কোম্পানির সাথে ২ লক্ষ টাকার একটি বিমাচুক্তি করেন। তিনি ১২ বছরের জন্য এ বিমা চুক্তি করেন।
অর্থাৎ ১২ বছরের মধ্যে তিনি মারা গেলে তার পরিবার বিমার অর্থ পাবে। আর বেঁচে থাকলে ১২ বছর পর তিনি নিজেই এ অর্থ উত্তোলন করতে পারবেন। বিমাচুক্তির বৈশিষ্ট্য নুযায়ী বলা যায়, তিনি মেয়াদি জীবন বিমাপত্র গ্রহণ করেছেন।
- উত্তর ডাউনলোড করুন> (১ম পত্র) ব্যবসায়ের মৌলিক ধারণা ১ম পত্র সৃজনশীল প্রশ্ন
- উত্তর ডাউনলোড করুন>(১ম পত্র)১ম: ব্যবসায়ের মৌলিক ধারণা প্রশ্ন উত্তরসহ PDF
- উত্তর ডাউনলোড করুন> HSC ব্যবসায়ের মৌলিক ধারণা প্রশ্নের উত্তরসহ অধ্যায়-১: PDF
- উত্তর ডাউনলোড করুন> HSC অধ্যায়-১: প্রশ্নের উত্তরসহ ব্যবসায়ের মৌলিক ধারণা PDF
- উত্তর ডাউনলোড করুন>অধ্যায়৩: SSC ফিন্যান্স ও ব্যাংকিং‘র সৃজনশীল প্রশ্নোত্তর PDF
- উত্তর ডাউনলোড করুন> অধ্যায়৩: SSC ফিন্যান্স ও ব্যাংকিং‘র জ্ঞানমূলক প্রশ্নোত্তরPDF
ঘ উত্তর: উদ্দীপকে বিমার পরিহার্য নীতি সদ্বিশ্বাসের সম্পর্ক ভঙ্গ করায় বিমা কোম্পানি বিমা দাবি প্রত্যাখ্যান করেছে এবং তা যৌক্তিক হয়েছে।
বিমার ক্ষেত্র বিমাকারী ও বিমাগ্রহীতার মধ্যে সদ্বিশ্বাসের সম্পর্ক প্রতিষ্ঠিত হয়। এ সম্পর্কের কারণেই একে ন্যের নিকট বিমা চুক্তির বিষয়ে সকল তথ্য সঠিক ও সম্পূর্ণভাবে প্রকাশে বাধ্য থাকে।
উদ্দীপকে জনাব রাশেদ একজন ক্যান্সার আক্রান্ত ব্যক্তি। তিনি তার জীবনের জন্য ‘রমনা’ বিমা কোম্পানির কাছ থেকে ১২ বছর মেয়াদি জীবন বিমাপত্র গ্রহণ করেন। তবে, বিমার চুক্তিতে তার রোগের বিষয়টি গোপন রাখেন। চুক্তির ২ মাস পর তিনি মারা গেলে তার মনোনীত ব্যক্তিকে বিমার অর্থ প্রদানে বিমা কোম্পানি স্বীকৃতি জানায়।
বিমাচুক্তিতে কিছু পরিহার্য শর্ত রয়েছে। এখানে জনাব রাশেদ তার রোগের বিষয়টি গোপন রেখে সদ্বিশ্বাসের সম্পর্কের শর্তটি ভঙ্গ করেছে। তাই বিমা কোম্পানি এ চুক্তি বাতিলের ধিকার রাখে। সুতরাং, বিমা কোম্পানির গৃহীত সিদ্ধান্তটি আইনসঙ্গত এবং যৌক্তিক হয়েছে।
উক্ত বিষয় সম্পর্কে কিছু জানার থাকলে কমেন্ট করতে পারেন।
আমাদের সাথে ইউটিউব চ্যানেলে যুক্ত হতে এখানে ক্লিক করুন এবং আমাদের সাথে ফেইজবুক পেইজে যুক্ত হতে এখানে ক্লিক করুন। গুরুত্বপূর্ণ আপডেট ও তথ্য পেতে আমাদের ওয়েবসাইটে ভিজিট করুন।
আমাদের সাথে ইউটিউব চ্যানেলে যুক্ত হতে এখানে ক্লিক করুন এবং আমাদের সাথে ফেইজবুক পেইজে যুক্ত হতে এখানে ক্লিক করুন। গুরুত্বপূর্ণ আপডেট ও তথ্য পেতে আমাদের ওয়েবসাইটে ভিজিট করুন।