ফিন্যান্স ব্যাংকিং ও বিমা ২য় | অধ্যায় ১৩ | সৃজনশীল প্রশ্ন ১৫-২০ | PDF: ফিন্যান্স, ব্যাংকিং ও বিমা দ্বিতীয় পত্রের ত্রয়োদশ অধ্যায়ের গুরুত্বপূর্ণ সব কমন উপযোগী সৃজনশীল প্রশ্ন গুলো আমাদের এই পোস্টে পাবেন।
প্রিয় ছাত্র ছাত্রী বন্ধুরা আল্লাহর রহমতে সবাই ভালোই আছেন । এটা জেনে আপনারা খুশি হবেন যে, আপনাদের জন্য ফিন্যান্স, ব্যাংকিং ও বিমা দ্বিতীয় পত্রের ত্রয়োদশ অধ্যায়ের গুরুত্বপূর্ণ সব কমন উপযোগী সৃজনশীল প্রশ্ন গুলো নিয়ে আলোচনা করতে যাচ্ছি ।
সুতরাং সম্পূর্ণ পোস্টটি মনোযোগ সহকারে পড়ুন। আর এইচ এস সি- HSC এর যেকোন বিভাগের গুরুত্বপূর্ণ সকল সাজেশন পেতে জাগোরিকের সাথে থাকুন।
ফিন্যান্স ব্যাংকিং ও বিমা ২য় | অধ্যায় ১৩ | সৃজনশীল প্রশ্ন ১৫-২০ | PDF
প্রশ্ন ১৫: মি. রনির একটি ঔষধ তৈরির কারখানা আছে যেখানে নেক ধরনের রাসায়নিক দ্রব্য ব্যবহৃত হয়ে থাকে। সেখান থেকে যে কোনো সময় অগ্নিকাণ্ড ঘটতে পারে ভেবে ক্ষতি সংগঠনের পর ক্ষতির পরিমাণ নির্ণয় করার শর্তে তিনি ৪০ লক্ষ টাকা মূল্যের পণ্যদ্রব্যের বিপরীতে একটি বিমাপত্র গ্রহণ করেন। প্রথম কিস্তির প্রিমিয়াম প্রদানের পরপরই অগ্নিকান্ডে ৩০ লক্ষ টাকা মূল্যের সব পণ্যদ্রব্য ভস্মিভ‚ত হয়ে যায়। তিনি কোম্পানির নিকট ক্ষতিপূরণ চেয়ে আবেদন করেছেন। [ভিকারুননিসা নূন স্কুল এন্ড কলেজ, ঢাকা]
ক.স্বাস্থ্য বিমা কী?১
খ.শস্য বিমা কৃষকদের স্বনির্ভরতা র্জনে সাহায্য করে কীভাবে?২
গ.মি. রনি কোন প্রকৃতির অগ্নিবিমাপত্র গ্রহণ করেছেন? ব্যাখ্যা করো।৩
ঘ.মি. রনি বিমা কোম্পানির নিকট হতে কী পরিমাণ ক্ষতিপূরণ পাবেন? যুক্তিসহ মতামত দাও।৪
১৫ নং প্রশ্নের উত্তর
ক উত্তর: সুস্থতাজনিত কারণে চিকিৎসা ব্যয় বহনের জন্য যে বিমা করা হয় তাকে স্বাস্থ্য বিমা বলে।
খ উত্তর: কৃষি কাজে প্রাকৃতিক ও প্রাকৃতিক নানা বিপদের হাত থেকে কৃষকদের আঅর্থিকভাবে সুরক্ষার জন্য যে বিমা করা হয় তাকে শস্য বিমা বলে।
এ বিমা কৃষকদের স্বনির্ভর হতে সাহায্য করে। কারণ শস্য বিমা কৃষকদের ফসলের সব ধরনের আঅর্থিক নিরাপত্তা দেয়। এতে করে কৃষকরা তাদের বিনিয়োগকৃত অর্থের নিরাপত্তা পায়। যা থেকে তারা তাদের আয়ের স্থিতিশীলতা ধরে রাখতে পারে। আর এভাবেই তারা নিজেদের স্বনির্ভর করে গড়ে তোলে।
গ উত্তর: উদ্দীপকের মি. রনি মূল্যায়িত অগ্নিবিমা চুক্তি করেছেন।
মূল্যায়িত বিমাপত্রের বিষয়বস্তুর মূল্য ক্ষতি হওয়ায় পর নির্ধারণ করা হয়। এ বিমাপত্রের ক্ষেত্রে বিষয়বস্তুর প্রকৃত মূল্য ও বাজার মূল্যের ভিত্তিতে ক্ষতি নির্ণয় করা হয়।
উদ্দীপকের মি. রনির একটি ঔষধ তৈরির কারখানা আছে। যেখানে নেক ধরনের রাসায়নিক দ্রব্য ব্যবহার হয়ে থাকে। উক্ত রাসায়নিক দ্রব্য থেকে যেকোনো সময় আগুন লাগাতে পারে।
এ চিন্তা থেকেই মি. রনি একটি বিমা চুক্তি করেন। তিনি ৪০ লক্ষ টাকার পণ্যদ্রব্যের জন্য বিমা চুক্তিটি করেন। এক্ষেত্রে বিষয়বস্তুর ক্ষতি হওয়ার পর ক্ষতির পরিমাণ নির্ণয় করে ক্ষতিপূরণ করা হবে।
অর্থাৎ মি. বনি বিমাপত্রে বিষয়বস্তু নির্দিষ্ট করলেও বিমাপত্রের মূল্য নির্দিষ্ট করেননি। যার বিমাদাবি পরিশোধের ক্ষেত্রে পণ্যের বাজার মূল্যকে বিবেচনা করা হবে। যা অগ্নিবিমার মূল্যায়িত বিমাপত্রের বৈশিষ্ট্যপূর্ণ। তাই উদ্দীপকে মি. বনি মূল্যায়িত অগ্নিবিমা চুক্তি করেছেন।
ঘ উত্তর: উদ্দীপকের মি. রনি বিমা কোম্পানির কাছ থেকে ক্ষতির বাজার মূল্য বিচারে ৩০ লক্ষ টাকা ক্ষতিপূরণ পাবেন।
মূল্যায়িত অগ্নিবিমাপত্রের ক্ষেত্রে চুক্তিতে বিষয়বস্তু নির্দিষ্ট থাকে। তবে বিমামূল্য উলেখ থাকে না। যা ক্ষতি হওয়ার পর বাজার মূল্যের ওপর ভিত্তি করে নির্ধারণ করা হয়।
উদ্দীপকের মি. রনি একটি ঔষধ তৈরির কারখানার মালিক। কেমিক্যাল থেকে কারখানায় আগুন লাগার সম্ভাবনা থাকায় তিনি ৪০ লক্ষ টাকার পণ্যের জন্য একটি বিমাচুক্তি করেন। যার বিমাদাবি বাজার মূল্য দ্বারা নির্ধারণ করা হবে। অর্থাৎ তিনি মূল্যায়িত বিমা চুক্তি গ্রহণ করেছেন। তবে প্রিমিয়ামের প্রথম কিস্তি দেয়ার পর কারখানায় আগুন লাগে। বাজার মূল্যে উক্ত ক্ষতির পরিমাণ ৩০ লাখ টাকা।
মি. রনি বিমা চুক্তিটি ৪০ লাখ টাকার জন্য করলেও আগুনে তার কারখানার সব পণ্য পুড়ে যায়। ৪০ লাখ টাকার পণ্য পরবর্তীতে বাজার মূল্য হিসেবে ৩০ লাখ টাকার নেমে আসে।
অর্থাৎ পণ্যের ক্রয়মূল্য যাই হোক না কেন ক্ষতির সময় এর বাজার মূল্য ছিল ৩০ লাখ। আর মূল্যায়িত বিমাচুক্তি নুযায়ী বিমা দাবি করলে বাজার মূল্যে দাবি পরিশোধ করা হয়। সুতরাং মি. রনি বিমা দাবি হিসেবে বিমা কোম্পানি থেকে ৩০ লাখ টাকা ক্ষতিপূরণ পাবেন।
প্রশ্ন ১৬: মি. রাজিবের দু’টি গুদামে দু’ধরনের পণ্য রয়েছে। একটি গুদামের পণ্যের বিমাকৃত মূল্য দশ লক্ষ টাকা যার আংশিক ক্ষতি হলেও বিমা কোম্পানি বিমাকৃত পুরো দশ লক্ষ টাকা বিমাদাবি পরিশোধ করবে। ন্য গুদামে বর্তমানে বাজার মূল্যে এক কোটি টাকার মালামাল রয়েছে যার বিমামূল্য ষাট লক্ষ টাকা। অগ্নিকাণ্ডে উক্ত গুদামের পঞ্চাশ লক্ষ টাকার মালামাল ক্ষতিগ্রস্ত হয়। বিমাদাবি করা হলে বিমা প্রতিষ্ঠান ত্রিশ লক্ষ টাকা প্রদান করে। এতে উভয়পক্ষের মধ্যে মতবিরোধ হলে আদালত বিমা প্রতিষ্ঠানের পক্ষে বস্থান করে।
[আদমজী ক্যান্টনমেন্ট কলেজ, ঢাকা]
ক.অগ্নিবিমা কী?১
খ.গড়পড়তা বিমাপত্র উত্তম কেন? ব্যাখ্যা করো।২
গ.মি. রাজিবের প্রথম গুদামের জন্য সংগৃহীত অগ্নিবিমাপত্রটি কোন ধরনের? ব্যাখ্যা করো।৩
ঘ.আদালতের বস্থান কতটা যৌক্তিক তা উদ্দীপকের আলোকে মূল্যায়ন করো।৪
১৬ নং প্রশ্নের উত্তর
ক উত্তর: অগ্নিজনিত ঝুঁকির বিপক্ষে আঅর্থিক প্রতিরক্ষামূলক ব্যবস্থাই হলো অগ্নিবিমা।
খ উত্তর: যে বিমাপত্রে বিমাকৃত মূল্যে ক্ষতিপূরণ না করে গড়পড়তা হারে ক্ষতিপূরণ করা হয় তাকে গড়পড়তা বিমাপত্র বলে।
এ বিমাপত্রের মূল উদ্দেশ্য হলো গ্রাহক যেন সম্পত্তির মূল্য ধিক দেখিয়ে তিরিক্ত ক্ষতিপূরণ না নিতে পারে সে ব্যবস্থা করা। আর এ বৈশিষ্ট্যের কারণেই গড়পড়তা বিমাপত্র উত্তম। সম্পত্তির আংশিক ক্ষতিতেও গড়পড়তা নীতিতে ক্ষতিপূরণ করা হয়ে থাকে।
গ উত্তর: উদ্দীপকে মি. রাজিবের ১ম গুদামের জন্য গৃহীত অগ্নিবিমাপত্রটি হলো নির্দিষ্ট বিমাপত্র।
যে বিমাপত্রে একটি নির্দিষ্ট পরিমাণ সম্পাত্তির বিপক্ষে একটি নির্দিষ্ট পরিমাণ মূল্যের কথা উলেখ থাকে তাকে নির্দিষ্ট বিমাপত্র বলে।
উদ্দীপকে উলেখ্য মি. রাজিবের প্রথম গুদামের পণ্যের বিমাকৃত মূল্য ১০ লক্ষ টাকা।
যার আংশিক ক্ষতি হলেও বিমাকৃত পুরো ১০ লক্ষ টাকাই বিমা কোম্পানি পূরণ করবে। এখানে সম্পত্তির নির্দিষ্ট মূল্য উলেখ আছে। যাকে বলে নির্দিষ্ট অগ্নিবিমাপত্র। এ বিমাপত্রের আওতায় কোনো সম্পত্তির বিমা নির্দিষ্ট সময়ের জন্য এবং নির্দিষ্ট অর্থে করা হয়।
ফলে ক্ষতি সাধিত হলে নির্দিষ্ট পরিমাণ অর্থ ক্ষতিপূরণ প্রদানে বিমাকারী বাধ্য থাকে। সুতরাং উক্ত অগ্নিবিমাপত্রটি হলো নির্দিষ্ট বিমাপত্র।
ঘ উত্তর: উদ্দীপকে উভয়পক্ষের মধ্যে মতবিরোধ সৃষ্টি হলেও মি. রাজিব গড়পড়তা বিমাপত্র গ্রহণ করায় আদালতের বস্থান যৌক্তিক বলে আমি মনে করি।
যে বিমাপত্রের ক্ষেত্রে ক্ষতির উদ্ভব হলে বিমাপত্রে উলিখিত ক্ষতির পরিমাণ পরিশোধ না করে গড়পড়তা হারে পরিশোধ করা হয় তাকে গড়পড়তা বিমাপত্র বলে।
বিমা দাবি = বিমাপত্রের মল্যদুর্ঘটনাকালে স¤ক্সত্তির প্রকৃত মল্য ক্ষতি
উদ্দীপকে মি. রাজিবের গৃহীত বিমাপত্রটি একটি গড়গড়তা বিমাপত্র। মি. রাজিবের গুদামে বর্তমান বাজার মূল্যে ১ কোটি টাকার মালামাল রয়েছে, যারা বিমামূল্য ৬০ লক্ষ টাকা। অগ্নিকাণ্ডে উক্ত গুদামের ৫০ লক্ষ টাকার মালামাল ক্ষতিগ্রস্ত হয়। বিমাদাবি করা হলে প্রতিষ্ঠান ৩০ লক্ষ টাকা প্রদান করে। সুতরাং মি. রাজিবের যৌক্তিক বিমাদাবি হলো
বিমাদাবি = ৬০০০০০০১০০০০০০০ ৫০,০০,০০০
= ৩০,০০,০০০ টাকা
সুতরাং গড়পড়তা বিমাপত্রের বিমাদাবি নির্ণয়ের মাধ্যমে মি. রাজিবের বিমাদাবি ৩০ লক্ষ টাকা। আর গড়পড়তা বিমার কারণে আদালত বিমা প্রতিষ্ঠানের বস্থানকেই যৌক্তিক মনে করেছে।
প্রশ্ন ১৭: জনাব নিশান একটি আসবাবপত্রের দোকানের মালিক। তিনি তার দোকনে রক্ষিত ৫ লক্ষ টাকার আসবাবপত্রের জন্য ২ লক্ষ টাকার একটি অগ্নিবিমাপত্র গ্রহণ করেন। সম্প্রতি আগুন লেগে উক্ত দোকানের ১ লক্ষ ৫০ হাজার টাকার সমমূল্যের আসবাবপত্র নষ্ট হয়। তিনি বিমা প্রতিষ্ঠানের কাছে সম্পূর্ণ ১ লক্ষ ৫০ হাজার টাকা ক্ষতিপূরণ দাবি করলে বিমা প্রতিষ্ঠানটি তার দাবি প্রত্যাখ্যান করে এবং গড়পড়তা হারে ক্ষতিপূরণের প্রতিশ্র“তি দেয়। [ঢাকা সিটি কলেজ]
ক.ঘোষণাযুক্ত বিমাপত্র কী?১
খ.‘অগ্নিবিমা ক্ষতিপূরণের চুক্তি’-ব্যাখ্যা করো।২
গ.উদ্দীপকে বর্ণিত জনাব নিশানের প্রাপ্তব্য প্রকৃত বিমা দাবির পরিমাণ নিরূপণ করো।৩
ঘ.উদ্দীপকে বর্ণিত বিমা কোম্পানি কর্তৃক গড়পড়তা হারে ক্ষতিপূরণ প্রদান কতটা যৌক্তিক? বিমার ধরন বিবেচনায় তোমার মতামত দাও।৪
১৭ নং প্রশ্নের উত্তর
ক উত্তর: যে বিমাপত্রে বিমাগ্রহীতা তার কাছে সর্বোচ্চ যে পরিমাণ পণ্য মজুত থাকতে পারে তার ওপর বিমাপত্র গ্রহণ করে প্রিমিয়ামের ৭৫% গ্রিম প্রদান করে তাকে ঘোষণাযুক্ত বিমাপত্র বলে।
খ উত্তর: অগ্নিবিমা হলো অগ্নিজনিত ক্ষতির বিপক্ষে আঅর্থিক প্রতিরক্ষার ব্যবস্থা। এ কারণে তা নিঃসন্দেহে ক্ষতিপূরণের চুক্তি।
অগ্নিকাণ্ডের ফলে বিমাকৃত সম্পত্তি নষ্ট হলে চুক্তি নুযায়ী বিমাকারী আঅর্থিক ক্ষতিপূরণে বাধ্য থাকে। এক্ষেত্রে ক্ষতি আংশিক বা সম্পূর্ণ যাই হোক না কেন বিমা কোম্পানি আনুপাতিক হারে ক্ষতিপূরণ করে থাকে।
গ উত্তর: জনাব নিশানের প্রাপ্তব্য প্রকৃত বিমাদাবির পরিমাণ নিæরূপ :
এখানে,
বিমা দাবি = বিমাপত্রের মল্য বা বিমাকৃত ঙ্কদুর্ঘটনাকালে স¤ক্সত্তির প্রকৃত মল্য ক্ষতির পরিমাণ
= ২০০০০০৫০০০০০ ১,৫০,০০০
= ৬০,০০০ টাকা
সুতরাং জনাব নিশানের প্রাপ্তব্য প্রকৃত বিমাদাবির পরিমাণ ৬০,০০০ টাকা।
উত্তর : ৬০,০০০ টাকা।
ঘ উত্তর: উদ্দীপকের বিমা কোম্পানি কর্তৃক গড়পড়তা হারে ক্ষতিপূরণ প্রদানের প্রতিশ্র“তি যৌক্তিক হয়েছে বলে আমি মনে করি।
যে বিমাপত্রে ক্ষতির উদ্ভব হলে বিমাপত্রে উলখিত পরিমাণ অর্থ পরিশোধ না করে গড়পড়তা হারে ক্ষতিপূরণ করা হয় তাকে গড়পড়তা বিমাপত্র বলে। বিমাগ্রহীতা বিমাকৃত বিষয়বস্তুর মূল্য প্রকৃত মূল্য পেক্ষা কম দেখালে এ নিয়ম প্রযোজ্য হয়।
উদ্দীপকের জনাব নিশান একজন ব্যবসায়ী। তিনি তার দোকানে রক্ষিত ৫ লক্ষ টাকার আসবাবপত্রের জন্য ২ লক্ষ টাকায় একটি অগ্নিবিমাপত্র গ্রহণ করেন। আগুন লেগে ১.৫০ লক্ষ টাকার আসবাবপত্রের ক্ষতি হলে তিনি বিমা কোম্পানির নিকট ক্ষতিপূরণ দাবি করেন। কিন্তু বিমা কোম্পানি ১.৫০ লক্ষ টাকার দাবি প্রত্যাখ্যান করে গড়পড়তা হারে ক্ষতিপূরণের প্রতিশ্র“তি দেয়।
জনাব নিশানের অগ্নিজনিত ক্ষতির সম্পূর্ণ ংশ বিমাকৃত নয়। তিনি ৫ লক্ষ টাকার আসবাবপত্রের জন্য ২ লক্ষ টাকার বিমাপত্র গ্রহণ করেছেন। অর্থাৎ বাকি ৩ লক্ষ টাকা মূল্যের আসবাবপত্র বিমাকৃত। যার জন্য জনাব নিশানকে কম প্রিমিয়াম দিতে হয়েছে। তাই ১.৫০ লক্ষ টাকা মূল্যের আসবাবপত্র পুড়ে গেলেও সম্পূর্ণ আসবাবপত্র বিমাকৃত ছিল না। চুক্তি নুযায়ী বিমা কোম্পানি বিমাকৃত ংশেরই ক্ষতিপূরণ করবে। বিমাকৃত ংশের ক্ষতিতে ক্ষতিপূরণ করবে না। তাই বিমাকারী গড়পড়তা হারে ক্ষতিপূরণ করা যৌক্তিক সিদ্ধান্ত।
প্রশ্ন ১৮: জনাব রাসেল একটি ফার্নিচার দোকানের মালিক। তিনি তার দোকানে রক্ষিত ৩ লক্ষ টাকার আসবাবপত্রের জন্য ২ লক্ষ টাকার একটি বিমাপত্র গ্রহণ করেন। সম্প্রতি আগুন লেগে উক্ত দোকানের ১.৬ লক্ষ টাকার আসবাবপত্র পুড়ে যায়। তিনি বিমা প্রতিষ্ঠানের কাছে দাবি করলে বিমা কোম্পানি উক্ত ক্ষতিপূরণের সম্পূর্ণ অর্থ পরিশোধের দাবিটি প্রত্যাখ্যান করে। রাসেল সাহেব আদালতের সাহায্যে নিতে চাইলে আদালতও বিমা কোম্পানির পক্ষে বস্থান নেয়। [ঢাকা ইমপিরিয়াল কলেজ]
ক.অগ্নি পচয় কী?১
খ.নির্দিষ্ট বিমাপত্রের সুবিধা কী? ব্যাখ্যা করো।২
গ.জনাব রাসেল কত টাকা ক্ষতিপূরণ পাবেন বিমা কোম্পানির কাছ থেকে?৩
ঘ.বিমা কোম্পানি কর্তৃক সম্পূর্ণ অর্থ পরিশোধের দাবিটি প্রত্যাখ্যাণের ক্ষেত্রে কোন অগ্নিবিমা পত্রের প্রতিফলন ঘটেছে বলে তুমি মনে করো? আলোচনা করো।৪
১৮ নং প্রশ্নের উত্তর
ক উত্তর: অগ্নিকাণ্ডের ফলে সহায়-সম্পত্তির যে ক্ষতি হয় তাকে অগ্নি পচয় বলে।
খ উত্তর: নির্দিষ্ট বিমাপত্রে ক্ষতির পরিমাণ যাই হোক না কেন, ক্ষতি সংগঠিত হলে বিমাকৃত মূল্যের সমপরিমাণ ক্ষতিপূরণ লাভ করা যায়।
এ বিমাপত্রের ধীনে নির্দিষ্ট সম্পত্তির জন্য নির্দিষ্ট মূল্যের বিমা করা হয়। এক্ষেত্রে সংঘটিত ক্ষতিতে কোনো বস্থাতেই বিমাপত্রে উলিখিত ঙ্কের কম বা বেশি অর্থ প্রদানের সুযোগ থাকে না। যা নির্দিষ্ট বিমাপত্র গ্রহীতাদের জন্য একটি সুবিধা।
গ উত্তর: জনাব রাসেলের প্রকৃত বিমাদাবির পরিমাণ নিæরূপ :
আমরা জানি,
বিমা দাবি = বিমাপত্রের মল্য বা বিমাকৃত ঙ্কদুর্ঘটনাকালে স¤ক্সত্তির প্রকৃত মল্য ক্ষতির পরিমাণ
এখানে,
বিমাপত্রের মূল্য = ২,০০,০০০ টাকা
দুর্ঘটনাকালে সম্পত্তির প্রকৃত মূল্য = ৩,০০,০০০ টাকা
ক্ষতির পরিমাণ = ১,৬০,০০০ টাকা
বিমাদাবি = ২০০০০০৩০০০০০ ১,৬০,০০০
= ১,০৬,৬৬৭ টাকা
জনাব রাসেল বিমা কোম্পানির কাছ থেকে ক্ষতিপূরণ বাবদ ১,০৬,৬৬৭ টাকা পাওয়ার ধিকারী।
উত্তর : ১,০৬,৬৬৭ টাকা।
ঘ উত্তর: উদ্দীপকের বিমা কোম্পানি কর্তৃক সম্পূর্ণ অর্থ পরিশোধের দাবিটি প্রত্যাখ্যানের ক্ষেত্রে গড়পড়তা অগ্নিবিমাপত্রের প্রতিফলন ঘটেছে বলে আমি মনে করি।
যে বিমাপত্রের ক্ষেত্রে ক্ষতির উদ্ভব হলে বিমাপত্রে উলিখিত পরিমাণ বিমাদাবি পরিশোধ না করে গড়পড়তা হারে বিমা দাবি নির্ধারণ করা হয় তাকে গড়পড়তা বিমাপত্র বলে। এ ধরনের বিমাপত্রের ক্ষেত্রে ক্ষতি সংঘটনের পর ক্ষতিপূরণ মূল্য নির্ণয় করা হয়।
উদ্দীপকের জনাব রাসেল একটি ফার্নিচার দোকানের মালিক। সে তার দোকানে রক্ষিত ৩ লক্ষ টাকার আসবাবপত্রের জন্য ২ লক্ষ টাকার একটি গিবিমাপত্র গ্রহণ করেন।
আগুন লেগে ১ লক্ষ ৬০ হাজার টাকার আসবাবপত্রের ক্ষতি হয়। যার প্রেক্ষিতে জনাব রাসেল বিমা কোম্পানির নিকট ক্ষতিপূরণ দাবি করেন। কিন্তু বিমা কোম্পানি ক্ষতিগ্রস্থ সম্পূর্ণ ংশ ক্ষতিপূরণে স্বীকৃতি জানায়। অর্থাৎ এ পর্যায়ে বিমা কোম্পানি গড়পড়তা হারে বিমা দাবি পরিশোধ করবে।
উদ্দীপকে জনাব রাসেলের অগ্নিজনিত ক্ষতির সম্পূর্ণ ংশ বিমাকৃত নয়। কেননা, তিনি ৩ লক্ষ টাকার আসবাবপত্রের জন্য ২ লক্ষ টাকার বিমাপত্র গ্রহণ করেছেন।
অর্থাৎ বাকি ১ লক্ষ টাকা মূল্যের আসবাবপত্র বিমাকৃত। তাই ১ লক্ষ ৬০ হাজার টাকা মূল্যের আসবাবপত্র পুড়ে গেলেও সম্পূর্ণ ংশ বিমাকৃত ছিল না। চুক্তি নুযায়ী বিমা কোম্পানি বিমাকৃত ংশেরই ক্ষতিপূরণ করবে।
যা গড়পড়তা অগ্নিবিমাপত্রের মূল বিষয়। তাই বলা যায়, বিমা কোম্পানি গড়পড়তা বিমাপত্রের আলোকে সম্পূর্ণ অর্থ পরিশোধের দাবি প্রত্যাখ্যান করেছে।
প্রশ্ন ১৯: মি. চৌধুরী ২.৫০ লক্ষ টাকায় কেনা আসবাবপত্র ৩ লক্ষ টাকায় বিমা করেন। বিমাচুক্তিতে উলেখ রয়েছে ক্ষতি হলে বাজার মূল্য বিবেচনা করা হবে না। আগুন লেগে আসবাবপত্রের র্ধেক ংশ বিনষ্ট হয়। [বেপজা পাবলিক স্কুল এন্ড কলেজ, সাভার]
ক.ঘোষণাযুক্ত বিমাপত্র কী?১
খ.অগ্নিজনিত ক্ষতির পরোক্ষ কারণগুলো কী কী?২
গ.মি. চৌধুরী কোন ধরনের ীগ্ন বিমাপত্র সংগ্রহ করেছেন? ব্যাখ্যা করো।৩
ঘ.বিমা কোম্পানি মি. চৌধুরীকে কত টাকা ক্ষতিপূরণ দিবে বলে তুমি মনে করো।৪
১৯ নং প্রশ্নের উত্তর
ক উত্তর: পরবর্তী ঘোষণার মাধ্যমে প্রিমিয়াম নির্ধারিত হবে এ শর্তে সর্বোচ্চ মজুতের ওপর যে অগ্নিবিমাপত্র গৃহীত হয় তাকে ঘোষণাযুক্ত বিমাপত্র বলে।
বৃহৎ পরিসরে যারা পণ্য উৎপাদন করে তারা সর্বোচ্চ পরিমাণ মজুতের ওপর ঘোষণাযুক্ত বিমাপত্র গ্রহণ করে থাকে। এক্ষেত্রে প্রিমিয়ামের ৭৫% শুরুতেই প্রদান করে।
খ উত্তর: অগ্নিকাণ্ডের ফলে দালানকোঠা, শিল্প-কারখানা, ব্যবসা-বাণিজ্য ও সম্পত্তির যে আঅর্থিক ক্ষতি হয় তাকে অগ্নিজনিত ক্ষতি বলে।
অগ্নিকাণ্ড সংগঠনে সরাসরি যুক্ত নয় তবে পরোক্ষভাবে প্রভাব বিস্তার করে এমন কিছু বিষয় রয়েছে।
যা অগ্নিজনিত ক্ষতির পরোক্ষকারণ হিসেবে চিহ্নিত। যেমন- ত্র“টিপূর্ণ নির্মাণ কাঠামো, দাহ্য পদাঅর্থের উপস্থিতি, অগ্নি নির্বাপক যন্ত্রের প্রতুলতা ইত্যাদি।
গ উত্তর: উদ্দীপকের মি. চৌধুরী মূল্যায়িত বিমাপত্র গ্রহণ করেছেন।
যে বিমাপত্রে বিমার বিষয়বস্তুর মূল্য পূর্ব থেকেই নির্ধারিত থাকে তাকে মূল্যায়িত বিমাপত্র বলে। এ বিমাপত্রের আওতায় ক্ষতি সংঘটনের পর সম্পত্তির বাজারমূল্য বিবেচনা করা হয় না।
উদ্দীপকের মি. চৌধুরী ২.৫০ লক্ষ টাকায় কেনা আসবাবপত্র ৩ লক্ষ টাকায় বিমা করেন। তবে উক্ত বিমা চুক্তিতে উলেখ রয়েছে ক্ষতি সংঘটিত হলে বিমার বিষয়বস্তুর বাজার মূল্য বিবেচনা করা হবে না।
অর্থাৎ বিমাপত্রে সম্পত্তির যে মূল্য নির্ধারণ করা হয়েছে সে নুযায়ী ক্ষতিপূরণ প্রদান করা হবে। এক্ষেত্রে বৈশিষ্ট্যের বিচারে মি. চৌধুরীর গৃহীত বিমাপত্রটি একটি মূল্যায়িত বিমাপত্র। তাই বলা যায়, মি. চৌধুরী মূল্যায়িত অগ্নিবিমাপত্র গ্রহণ করেছেন।
ঘ উত্তর: উদ্দীপকের বিমা কোম্পানি মি. চৌধুরীকে অগ্নিবিমার আংশিক ক্ষতিপূরণের নীতি নুযায়ী ১.৫০ লক্ষ টাকা ক্ষতিপূরণ দেবে।
অগ্নিবিমা ক্ষতিপূরণের চুক্তি। ক্ষতি আংশিক সংঘটিত হলে বিমাকারী প্রতিষ্ঠান আংশিক ক্ষতিপূরণ প্রদান করে থাকে। এক্ষেত্রে ক্ষতি সংঘটিত হওয়ার পর বিমা কোম্পানি ক্ষতির পরিমাণ নির্ধারণ করে থাকে।
উদ্দীপকের মি. চৌধুরী ২.৫০ লক্ষ টাকার আসবাবপত্র ৩ লক্ষ টাকায় অগ্নিবিমা করেন। এক্ষেত্রে তিনি মূল্যায়িত বিমাপত্র গ্রহণ করেছেন। পরবর্তীতে মি. চৌধুরীর বিমাকৃত আসবাবপত্রের র্ধেক অংশ আগুনে বিনষ্ট হয়।
এক্ষেত্রে তিনি বিমা কোম্পানির নিকট বিমা দাবি পেশ করেন।
মূল্যায়িত বিমার ক্ষেত্রে সম্পত্তির আংশিক ক্ষতিতে আংশিক ক্ষতিপূরণের নীতি নুসরণ করা হয়। এতে ক্ষতি সংঘটিত হলে বাজার মূল্য বিবেচনা করা হয় না। এক্ষেত্রে বিমাকৃত মূল্যের ওপর ভিত্তি করে সম্পত্তির ক্ষতিগ্রস্ত অংশের ক্ষতিপূরণ করা হয়।
উদ্দীপকে যেহেতু মি. চৌধুরীর আসবাবপত্রের র্ধেক ক্ষতি হয়েছে তাই তিনি বিমাকৃত মূল্যের র্ধেক ক্ষতিপূরণ পাবেন। অর্থাৎ আনুপাতিক ক্ষতিপূরণ হিসেবে ১.৫০ লক্ষ টাকা পাবেন।
- উত্তর ডাউনলোড করুন> (১ম পত্র) ব্যবসায়ের মৌলিক ধারণা ১ম পত্র সৃজনশীল প্রশ্ন
- উত্তর ডাউনলোড করুন>(১ম পত্র)১ম: ব্যবসায়ের মৌলিক ধারণা প্রশ্ন উত্তরসহ PDF
- উত্তর ডাউনলোড করুন> HSC ব্যবসায়ের মৌলিক ধারণা প্রশ্নের উত্তরসহ অধ্যায়-১: PDF
- উত্তর ডাউনলোড করুন> HSC অধ্যায়-১: প্রশ্নের উত্তরসহ ব্যবসায়ের মৌলিক ধারণা PDF
- উত্তর ডাউনলোড করুন>অধ্যায়৩: SSC ফিন্যান্স ও ব্যাংকিং‘র সৃজনশীল প্রশ্নোত্তর PDF
- উত্তর ডাউনলোড করুন> অধ্যায়৩: SSC ফিন্যান্স ও ব্যাংকিং‘র জ্ঞানমূলক প্রশ্নোত্তরPDF
প্রশ্ন ২০: মাধবদীর ব্যবসায়ী জনাব আরিফের মোটর যন্ত্রাংশ তৈরির একটি কারখানা আছে। অগ্নিজনিত ক্ষতি মোকাবেলার জন্য ৫০ লক্ষ টাকা মূল্যের যন্ত্রপাতির মধ্যে নির্দিষ্ট ৩০ লক্ষ টাকা মূল্য নির্ধারণ করে বিমাচুক্তি সম্পাদন করেন। বৈদ্যুতিক সর্ট সার্কিট হতে অগ্নিকাণ্ড সংঘটিত হয়ে সম্পূর্ণ যন্ত্রপাতি ভস্মীভ‚ত হয়ে যায়। তিনি সম্পূর্ণ ক্ষতিপূরণ পাওয়ার জন্য বিমা কোম্পানির নিকট ক্ষতিপূরণ চেয়ে আবেদন করেছেন। [আবদুল কাদির মোলা সিটি কলেজ, নরসিংদী]
ক.গড়-পড়তা বিমাপত্র কী?১
খ.অগ্নিবিমায় কোন ঝুঁকিকে বিশেষ প্রাধান্য দেয়া হয়? ব্যাখ্যা করো।২
গ.জনাব আরিফ কর্তৃক গৃহীত বিমাপত্রটি কোন ধরনের? ব্যাখ্যা করো।৩
ঘ.জনাব আরিফ কি সম্পূর্ণ ক্ষতিপূরণ পাওয়ার ধিকারী? যুক্তিসহ বিশ্লেষণ করো।৪
২০ নং প্রশ্নের উত্তর
ক উত্তর: যে বিমাপত্রের ক্ষেত্রে ক্ষতির উদ্ভব হলে বিমাপত্রে উলিখিত পরিমাণ দাবি পরিশোধ না করে গড়পড়তা হারে ক্ষতিপূরণ করা হয় তাকে গড়পড়তা বিমাপত্র বলে।
খ উত্তর: অগ্নিবিমায় নৈতিক ঝুঁকিকে বিশেষ প্রাধান্য দেয়া হয়।
বিমাগ্রহীতার চরিত্র বা পার্শ্ববর্তী লোকজনের কার্যকলাপ থেকে অগ্নিবিমার নৈতিক ঝুঁকির সৃষ্টি হয়। লোভের বর্শবর্তী হয়ে নেক সময় বিমাগ্রহীতা নিজের সম্পত্তিতে আগুন লাগিয়ে দাবি আদায়ের চেষ্টা করে।
আবার নেক সময় শত্র“তাবশত, রাজনৈতিক আক্রোশ বা ধর্মীয় কারণেও সম্পত্তিতে অগ্নিসংযোগ ঘটতে পারে। এ সকল ঝুকি পূর্ব থেকে নুমান করে সঠিক প্রিমিয়াম চার্জ করা যায় না। তাই অগ্নিবিমায় নৈতিক ঝুঁকির পরিমাণ বেশি।
গ উত্তর: উদ্দীপকের জনাব আরিফ কর্তৃক গৃহীত বিমাপত্রটি হলো অগ্নিবিমার ন্তর্গত নির্দিষ্ট বিমাপত্র।
নির্দিষ্ট বিমাপত্রে মূলত কোনো সম্পত্তির নির্দিষ্ট পরিমাণ মূল্য পূর্বেই উলেখ থাকে। এ ধরনের বিমাপত্রে ক্ষতি যাই হোক না কেন বিমা কোম্পানি ঐ নির্দিষ্ট মূল্যে ক্ষতিপূরণ দিয়ে থাকে।
উদ্দীপকের জনাব আরিফের একটি মোটর যন্ত্রাংশ তৈরির কারখানা রয়েছে। অগ্নিজনিত ক্ষতি মোকাবেলার জন্য তিনি সম্পূর্ণ যন্ত্রপাতির মধ্যে শুধুমাত্র ৩০ লক্ষ টাকার উলেখ করে একটি বিমা করেন। তবে যন্ত্রপাতির প্রকৃত মূল্য ছিল ৫০ লক্ষ টাকা।
অর্থাৎ বিমা চুক্তি নুযায়ী, তার যন্ত্রপাতি দুর্ঘটনায় ক্ষতি হলে তিনি ৩০ লক্ষ টাকাই ক্ষতিপূরণ পাবেন। এক্ষেত্রে ক্ষতির পরিমাণ ৩০ লক্ষ টাকার কম বা বেশি যাই হোক, তিনি ক্ষতিপূরণ বাবদ ৩০ লক্ষ টাকাই পাবেন।
অর্থাৎ জনাব আরিফের গৃহীত বিমাপত্রটি অগ্নিবিমার নির্দিষ্ট বিমাপত্রের সাথে সঙ্গতিপূর্ণ। কেননা নির্দিষ্ট বিমাপত্রেই সম্পত্তির নির্দিষ্ট মূল্যের উলেখ করে বিমা চুক্তি সম্পাদন করা হয়। এ থেকে বলা যায়, উদ্দীপকে জনাব আরিফ নির্দিষ্ট বিমাপত্র গ্রহণ করেছেন।
ঘ উত্তর: উদ্দীপকের জনাব আরিফ ‘নির্দিষ্ট অগ্নি বিমা’ চুক্তি নুযায়ী ৩০ লক্ষ টাকা পর্যন্ত ক্ষতিপূরণ পাওয়ার ধিকারী।
অগ্নিজনিত ঝুঁকির হাত থেকে বিমাগ্রহীতাকে আঅর্থিকভাবে রক্ষা করাই হলো অগ্নিবিমা চুক্তির মূল উদ্দেশ্য। এ চুক্তি ক্ষতিপূরণের চুক্তি।
উদ্দীপকের জনাব আরিফ তার ৫০ লক্ষ টাকার মোটর যন্ত্রপাতির জন্য নির্দিষ্ট অগ্নিবিমাপত্র গ্রহণ করেন।
এতে সম্পত্তির প্রকৃত মূল্য ৫০ লক্ষ টাকা হলেও তিনি ৩০ লক্ষ টাকার জন্য বিমাপত্র গ্রহণ করেন। বৈদ্যুতিক শট সার্কিটের কারণে আগুন লেগে ক্ষতি হলে তিনি সম্পূর্ণ ক্ষতিপূরণের জন্য বিমা দাবি করেন।
অগ্নি বিমাচুক্তি নুযায়ী বিমা কোম্পানি বশ্যই জনাব আরিফকে বিমা দাবি পরিশোধে বাধ্য। নির্দিষ্ট বিমাপত্রের শর্ত মোতাবেক ক্ষতি যাই হোক না কেনো জনাব আরিফ ৩০ লক্ষ টাকা ক্ষতিপূরণ পাওয়ার ধিকারী।
তার সম্পত্তির সম্পূর্ণ ংশ ক্ষতি হলেও তিনি নির্দিষ্ট মূল্যের বেশি বিমা দাবি পাওয়ার ধিকারী নয়। তাই তিনি সম্পূর্ণ ক্ষতিপূরণ ৫০ লক্ষ টাকা পাওয়ার ধিকারী নয়। শুধুমাত্র ৩০ লক্ষ টাকা পাওয়ার ধিকারী।
উক্ত বিষয় সম্পর্কে কিছু জানার থাকলে কমেন্ট করতে পারেন।
আমাদের সাথে ইউটিউব চ্যানেলে যুক্ত হতে এখানে ক্লিক করুন এবং আমাদের সাথে ফেইজবুক পেইজে যুক্ত হতে এখানে ক্লিক করুন। গুরুত্বপূর্ণ আপডেট ও তথ্য পেতে আমাদের ওয়েবসাইটে ভিজিট করুন।
আমাদের সাথে ইউটিউব চ্যানেলে যুক্ত হতে এখানে ক্লিক করুন এবং আমাদের সাথে ফেইজবুক পেইজে যুক্ত হতে এখানে ক্লিক করুন। গুরুত্বপূর্ণ আপডেট ও তথ্য পেতে আমাদের ওয়েবসাইটে ভিজিট করুন।