ফিন্যান্স ব্যাংকিং ও বিমা ২য় | অধ্যায় ১ | সৃজনশীল প্রশ্ন ১-৫ | PDF : ফিন্যান্স, ব্যাংকিং ও বিমা দ্বিতীয় পত্রের প্রথম অধ্যায়ের গুরুত্বপূর্ণ সব কমন উপযোগী সৃজনশীল প্রশ্ন গুলো আমাদের এই পোস্টে পাবেন।
প্রিয় ছাত্র ছাত্রী বন্ধুরা আল্লাহর রহমতে সবাই ভালোই আছেন । এটা জেনে আপনারা খুশি হবেন যে, আপনাদের জন্য ফিন্যান্স, ব্যাংকিং ও বিমা দ্বিতীয় পত্রের প্রথম অধ্যায়ের গুরুত্বপূর্ণ সব কমন উপযোগী সৃজনশীল প্রশ্ন গুলো নিয়ে আলোচনা করতে যাচ্ছি ।
সুতরাং সম্পূর্ণ পোস্টটি মনোযোগ সহকারে পড়ুন। আর এইচ এস সি- HSC এর যেকোন বিভাগের গুরুত্বপূর্ণ সকল সাজেশন পেতে জাগোরিকের সাথে থাকুন।
ফিন্যান্স ব্যাংকিং ও বিমা ২য় | অধ্যায় ১ | সৃজনশীল প্রশ্ন ১-৫ | PDF
প্রশ্ন ১ ‘চিত্রা ব্যাংক’ কালীগঞ্জ শাখার মাধ্যমে নেকদিন যাবত ব্যাংকিং কার্যক্রম পরিচালনা করে আসছে। কালীগঞ্জের পাশেই মধুগঞ্জ মডেল টাউন নামে নতুন আবাসিক এলাকা গড়ে উঠেছে। এখানে নতুন স্কুল, কলেজ, হাসপাতাল, বড় বড় শপিংমল গড়ে উঠেছে। এলাকার লোকজনের সুবিধার কথা বিবেচনা করে ‘চিত্রা ব্যাংক’ মধুগঞ্জ মডেল টাউনের মধ্যে একটি নতুন শাখা স্থাপনের সিদ্ধান্ত নেয়। ‘কপোতাক্ষ ব্যাংক’ নামে এখানে একটি ব্যাংক আছে। এ ব্যাংক ন্য কোনো স্থানে শাখা খুলতে পারে না। [ঢা. বো. ১৭]
ক.বাণিজ্যিক ব্যাংক কী?১
খ.বাণিজ্যিক ব্যাংকের দীর্ঘমেয়াদি ঋণ দেয়া উচিত নয় কেন?২
গ.উদ্দীপকে উলিখিত ‘চিত্রা ব্যাংক’ সাংগঠনিক কাঠামোর ভিত্তিতে কোন ধরনের ব্যাংক? আলোচনা করো।৩
ঘ.‘কপোতাক্ষ ব্যাংক’-এর নতুন শাখা স্থাপনের ব্যর্থতার যৌক্তিকতা বিশ্লেষণ করো। ৪
১ নং প্রশ্নের উত্তর
ক উত্তর: যে ব্যাংক মুনাফা র্জনের উদ্দেশ্যে আমানত সংগ্রহ, ঋণ প্রদান ও ন্যান্য আর্থিক কার্যাবলি সম্পাদন করে তাকে বাণিজ্যিক ব্যাংক বলে।
খ উত্তর: বাণিজ্যিক ব্যাংক সংগৃহীত আমানত চাহিবামাত্র ফেরত দানে বাধ্য থাকে তাই তাদের দীর্ঘমেয়াদি ঋণ দেয়া উচিত নয়।
বাণিজ্যিক ব্যাংকসমূহের তহবিলের মূল উৎস হলো জনগণের নিকট থেকে সংগৃহীত আমানত। এ র্থ চাহিবামাত্র ব্যাংক তাদের ফেরত দেয়। তাই বাণিজ্যিক ব্যাংক এ র্থ দীর্ঘমেয়াদে ঋণ প্রদান বা বিনিয়োগ না করে স্বল্পমেয়াদে ঋণ দেয়।
গ উত্তর: উদ্দীপকের উলিখিত ‘চিত্রা ব্যাংক’ সাংগঠনিক কাঠামোর ভিত্তিতে একটি শাখা ব্যাংক।
একটি কেন্দ্রীয় ফিসের ধীনে দেশ-বিদেশের বিভিন্ন স্থানে একই নামে নেকগুলো শাখা স্থাপনের মাধ্যমে এ ব্যাংক ব্যাংকিং সেবা প্রদান করে। এ ব্যাংকিং ব্যবস্থায় নিয়ন্ত্রণকারী ফিসকে প্রধান ফিস এবং বিভিন্ন স্থানে স্থাপিত শাখাগুলোকে শাখা ব্যাংক বলে আখ্যায়িত করা হয়।
উদ্দীপকে ‘চিত্রা ব্যাংক’ কালীগঞ্জ শাখার মাধ্যমে নেকদিন যাবত ব্যাংকিং কার্যক্রম পরিচালনা করে আসছে। তবে বর্তমানে ব্যাংকটি মধুগঞ্জ মডেল টাউনের মধ্যে একটি নতুন শাখা স্থাপনের সিদ্ধান্ত নিয়েছে। র্থাৎ ‘চিত্রা ব্যাংক‘ দীর্ঘদিন প্রধান ফিস দ্বারা পরিচালিত হলেও ব্যাংকটি একাধিক শাখা স্থাপনের ধিকার রাখে। সুতরাং, ‘চিত্রা ব্যাংক’-এর বৈশিষ্ট্যটি কাঠামোগত বিচারে শাখা ব্যাংকের সাথে সামঞ্জস্যúূর্ণ।
ঘ উত্তর: উদ্দীপকের ‘কপোতাক্ষ ব্যাংক’টি একক ব্যাংক হওয়ায় এটি নতুন শাখা স্থাপনে ব্যর্থ হয়েছে।
একক ব্যাংক ব্যবস্থায় শুধু একটি ফিসের মাধ্যমে ব্যাংকিং কার্যক্রম পরিচালিত হয়। এর ফলে ব্যাংকটির কার্য পরিসর সীমিত হয়।
উদ্দীপকে কপোতাক্ষ ব্যাংক নামে একটি ব্যাংকের উলেখ রয়েছে। মধুগঞ্জ মডেল টাউনে ব্যাংকটির ফিস আছে। এ ব্যাংকটি একক ব্যাংক হওয়ায় ন্য কোথাও নতুন শাখা খুলতে পারে না।
উলেখ্য ‘কপোতাক্ষ ব্যাংক’টি নতুন শাখা খোলার ধিকার রাখে না। কারণ এ ব্যাংকটি একক ব্যাংকের বৈশিষ্ট্যের আলোকে কেবল একটি ফিসের মাধ্যমে তাদের কার্যক্রম সম্পাদন করতে পারবে। সুতরাং, একক ব্যাংকের সাংগঠনিক কাঠামো নুসারে ‘কপোতাক্ষ ব্যাংক’-এর নতুন শাখা স্থাপনের ব্যর্থতা যুক্তিযুক্ত হয়েছে।
প্রশ্ন ২: গড়াই কো-পারেটিভ ফাইন্যান্স লি. দেশের বিভিন্ন জায়গায় তার শাখা স্থাপন করে জনগণের কাছ থেকে টাকা সংগ্রহ করে থাকে। কিন্তু তাদের ওপর জনগণের আস্থা কম। কারণ প্রতিষ্ঠানটি কোনো শক্তিশালী প্রতিষ্ঠানের ধীনে পরিচালিত হচ্ছে না। তাই প্রতিষ্ঠানটি আর্থিক সংকটে পড়লে উদ্ধার করার কেউ নেই। তারা তাদের ব্যবসায়ের ভবিষ্যৎ নিয়ে নেক চিন্তিত। এ জন্য তাদের কাঠামো পরিবর্তন করে তারা একটি শক্তিশালী ব্যাংকের ধীনে পরিচালিত হতে চায়। এ ব্যাংকটি তাদের ঋণ দানের শেষ আশ্রয়স্থল হিসেবে কাজ করবে। [রা. বো. ১৭]
ক.ব্যাংকিং কী?১
খ.কণঈ কেন প্রয়োজন? ব্যাখ্যা করো।২
গ.গড়াই কো-পারেটিভ ফাইন্যান্স লি. কোন ধরনের প্রতিষ্ঠান? আলোচনা করো।৩
ঘ.উদ্দীপকে উলিখিত প্রতিষ্ঠানটি তার কাঠামো পরিবর্তনের ফলে দেশের র্থনৈতিক উন্নয়নে কি বেশি ভ‚মিকা রাখতে পারবে? তোমার মতামতের সপক্ষে যুক্তি দাও।৪
২ নং প্রশ্নের উত্তর
ক উত্তর: ব্যাংক সম্পাদিত সকল কাজের সমষ্টিকে ব্যাংকিং বলা হয়।
খ উত্তর: ব্যাংক যে ফরমের মাধ্যমে গ্রাহক সম্পর্কিত প্রয়োজনীয় তথ্য সংগ্রহ করে তাকে কণঈ (কহড়ি ণড়ঁৎ ঈঁংঃড়সবৎ) ফরম বলা হয়।
কণঈ ফরমের মাধ্যমে গ্রাহকের সঠিক পরিচয় শনাক্ত করা যায়। গ্রাহক কী উদ্দেশ্যে হিসাব খুলবেন, কেমন লেনদেন করবেন, কোনো বৈধ কর্ক উত্তর:াণ্ডে জড়িত কিনা-তা এই ফরম-এর তথ্য থেকে বোঝা যায়। এসব উদ্দেশ্য র্জনের জন্য ব্যাংক কণঈ ফরম সংরক্ষণ করে।
গ উত্তর: উদ্দীপকে গড়াই কো-পারেটিভ ফাইন্যান্স লি. একটি তালিকাভুক্ত ব্যাংক।
তালিকাভুক্ত ব্যাংক বলতে কেন্দ্রীয় ব্যাংকের সংরক্ষিত তালিকায় ন্তর্ভুক্ত নয় এমন ব্যাংককে বোঝায়। এসব ব্যাংককে -তফসিলি ব্যাংকও বলা হয়ে থাকে।
উদ্দীপকে গড়াই কো-পারেটিভ ফাইন্যান্স লি. নিজস্ব শাখা ফিসের মাধ্যমে মানুষের কাছ থেকে র্থ সংগ্রহ করছে।
তবে, তারা কোন শক্তিশালী প্রতিষ্ঠানের ধীনে পরিচালিত হচ্ছে না। র্থাৎ গড়াই কো-পারেটিভ ব্যাংকটি সরাসরি কেন্দ্রীয় ব্যাংকের ধীনে নয়। ফলে আর্থিক সংকটে পড়লে ব্যাংকটি কেন্দ্রীয় ব্যাংক থেকে ঋণ নিতে পারবে না।
সাধারণত, তালিকাভুক্ত ব্যাংকসমূহ কেন্দ্রীয় ব্যাংক থেকে ঋণের শেষ আশ্রয়স্থলের সুবিধাটি পায় না। এসকল বৈশিষ্ট্য বিবেচনায় বলা যায়, গড়াই কো-পারেটিভ ফাইন্যান্স লি. প্রতিষ্ঠানটি কেন্দ্রিয় ব্যাংকের আওতাভুক্ত নয়। তাই প্রতিষ্ঠানটি একটি -তফসিলি বা তালিকাভুক্ত ব্যাংক।
ঘ উত্তর: উদ্দীপকের প্রতিষ্ঠানটির কাঠামো পরিবর্তন করে তালিকাভুক্ত থেকে তালিকাভুক্ত ব্যাংকে পরিণত করা হলে, সেটি দেশের র্থনৈতিক উন্নয়নে বেশি ভ‚মিকা রাখতে পারবে।
তালিকাভুক্ত ব্যাংক বলতে কেন্দ্রীয় ব্যাংকের সংরক্ষিত তালিকায় ন্তর্ভুক্ত ব্যাংককে বোঝায়। এসব ব্যাংক পরিচালনা করতে কেন্দ্রীয় ব্যাংকের নির্দেশনা মেনে চলতে হয়।
উদ্দীপকে গড়াই কো-পারেটিভ ফাইন্যান্স লি. জনগণের কাছ থেকে আমানত সংগ্রহ করে। প্রতিষ্ঠানটি কেন্দ্রীয় ব্যাংকের তালিকাভুক্ত নয়। এজন্য এর প্রতি মানুষের আস্থা কম। এই সমস্যা সমাধানের জন্য প্রতিষ্ঠানটি তার কাঠামো পরিবর্তন করার মাধ্যমে তালিকাভুক্ত ব্যাংক থেকে তালিকাভুক্ত ব্যাংকে পরিণত হতে চায়।
কাঠামোগত এ পরিবর্তনের ফলে জনগণের আস্থা র্জন করা ব্যাংকটির জন্য সহজ হবে। কেন্দ্রীয় ব্যাংকের প্রত্যক্ষ নিয়ন্ত্রণে থাকলে, প্রতিষ্ঠানটির বিনিয়োগে স্বচ্ছতা আসবে। এটির আর্থিক সংকটে কেন্দ্রীয় ব্যাংক ঋণের শেষ আশ্রয়স্থল হিসেবে কাজ করবে। ফলে ব্যাংকটি তার কার্যক্রম বাড়াতে পারবে, যা দেশের র্থনীতিতে ইতিবাচক ভ‚মিকা রাখবে।
প্রশ্ন ৩: ইছামতি ব্যাংক বেশ কয়েক বছর ধরে চরম তারল্য সংকটে ভুগছে। ব্যাংকটি তাদের গ্রাহকদের ঠিকমতো র্থ পরিশোধ করতে পারছে না, ঋণ গ্রহীতারাও ঋণের আবেদন করে ব্যর্থ হচ্ছে। ব্যাংকের সুনাম দিন দিন হ্রাস পাচ্ছে। সকল উৎস থেকে ঋণ সংগ্রহের চেষ্টা করে ব্যাংকটি ব্যর্থ হয়। এমন সময় তাদের সাহায্যে এগিয়ে আসে কেন্দ্রীয় ব্যাংক। ফলে ইছামতি ব্যাংকটি আবার নতুন জীবন লাভ করে। [দি. বো. ১৭]
ক.ব্যাংক কী?১
খ.‘ব্যাংক ধার করা র্থের ধারক’Ñ ব্যাখ্যা করো।২
গ.ইছামতি ব্যাংকের তারল্য সংকটের কারণ সংক্ষেপে লেখো।৩
ঘ.ইছামতি ব্যাংকের সাহায্যে এগিয়ে আসে কোন ব্যাংক এবং কেন? উদ্দীপক নুসারে বিশ্লেষণ করো।৪
৩ নং প্রশ্নের উত্তর
ক উত্তর: ব্যাংক হলো এমন একটি আর্থিক প্রতিষ্ঠান যা আমানত হিসেবে র্থ সংগ্রহ করে, ঋণ দেয় ও ন্যান্য র্থসংক্রান্ত কার্যাবলি সম্পাদন করে।
খ উত্তর: ব্যাংক একজনের জমাকৃত র্থ ন্যজনকে ঋণ হিসেবে প্রদান করে বলে ব্যাংক-কে ধার করা র্থের ধারক বলা হয়।
ব্যাংক স্বল্প সুদের বিনিময়ে গ্রাহকের র্থ আমানত হিসেবে সংগ্রহ করে কিছু র্থ জমা রেখে বাকিটা ধিক সুদে ঋণ দেয়। আমানতের মাধ্যমে ধার করা র্থ পরবর্তীতে ঋণ হিসেবে প্রদান করে ব্যবসায় পরিচালনা করে বলে ব্যাংক-কে ধার করা র্থের ধারক বলা হয়।
গ উত্তর: উদ্দীপকে ইছামতি ব্যাংকটি কাম্যমাত্রার চেয়েও ধিক পরিমাণে ঋণদান করায় তারল্য সংকটে পড়ে।
গ্রাহকদের জমাকৃত র্থ ফেরৎদানের ক্ষমতাই হলো তারল্য। আর গ্রাহকদের চেকের র্থ চাহিবামাত্র পরিশোধের জন্য কাম্য পরিমাণ তরল সম্পত্তি সংরক্ষণের কৌশলই হলো তারল্য নীতি।
উদ্দীপকে উলেখ্য ইছামতি ব্যাংক বিগত কয়েক বছর ধরে তারল্য সংকটে ভুগছে। ব্যাংকটি পর্যাপ্ত পরিমাণ আমানত সংগ্রহে ব্যর্থ হয়েছে। এটি গ্রাহকদের আমানতকৃত র্থ পরিশোধে ব্যর্থ হচ্ছে। র্থাৎ ব্যাংকটি সঠিক তারল্য নীতি নুসরণ না করে কাম্যমাত্রার ধিক ঋণদান করেছে। ফলে ইছামতি ব্যাংকের তারল্য ঘাটতির সৃষ্টি হয়েছে। এতে ব্যাংকটির সুনাম ক্ষুণœ হয়েছে, যা নতুন আমানত সৃষ্টিতে ব্যাংকটির জন্য বাধাস্বরূপ।
ঘ উত্তর: উদ্দীপকে ইছামতি ব্যাংকের সাহায্যে এগিয়ে আসে দেশের কেন্দ্রীয় ব্যাংক।
এ ব্যাংককে ঋণের শেষ আশ্রয়স্থল বলা হয়। তালিকাভুক্ত ব্যাংকসমূহ যখন তারল্য সংকটে পড়ে, কেন্দ্রীয় ব্যাংক তখন ঋণ সরবরাহে এগিয়ে আসে।
উদ্দীপকে উলেখ্য ইছামতি ব্যাংক একটি বাণিজ্যিক ব্যাংক। ব্যাংকটি বিগত কয়েক বছর ধরে তারল্য সংকটে ভুগছে। এতে ব্যাংকটি গ্রাহকের চাহিদা মাফিক র্থ পরিশোধ করতে পারছে না। এমতাবস্থায় ব্যাংকটি ঋণদানে ক্ষম হয়ে পড়ায় সকল উৎস থেকে ঋণ সংগ্রহের চেষ্টা করেও ব্যর্থ হয়েছে।
ইছামতি ব্যাংকটির এমন বস্থায় কেন্দ্রীয় ব্যাংক প্রয়োজনীয় ঋণ সরবরাহ করে। কারণ ইছামতি ব্যাংকটি কেন্দ্রীয় ব্যাংকের তালিকাভুক্ত। আর তালিকাভুক্ত ব্যাংকসমূহ যখন ন্যান্য উৎস থেকেই ঋণ গ্রহণে ব্যর্থ হয় তখন কেন্দ্রীয় ব্যাংক ঋণ সহায়তা প্রদান করে।
প্রশ্ন ৪: ” ব্যাংকের একই নামে নেক শাখা আছে। ন্যদিকে ‘ই’ ব্যাংক একটি মাত্র ফিস নিয়ে ব্যাংকিং কার্যক্রম পরিচালনা করে। ” ব্যাংকের মুনাফা ‘ই’ ব্যাংকের তুলনায় যেমন বেশি তেমনি এর কার্য পরিধিও নেক ব্যাপক ও বিস্তৃত। [কু. বো. ১৭]
ক.ব্যাংক কী?১
খ.শাখা ব্যাংক বলতে কী বোঝ?২
গ.” ব্যাংকটি কী ধরনের সুবিধা পায়? ব্যাখ্যা করো।৩
ঘ.উদ্দীপকে ও ই ব্যাংকের মধ্যে তুলনামূলক পার্থক্য দেখাও।৪
৪ নং প্রশ্নের উত্তর
ক উত্তর: ব্যাংক হলো এমন একটি আর্থিক প্রতিষ্ঠান যা আমানত হিসেবে র্থ সংগ্রহ করে, ঋণ দেয় ও র্থসংক্রান্ত ন্যান্য কার্যাবলি সম্পাদন করে।
খ উত্তর: যে ব্যাংকিং ব্যবস্থায় একটি প্রধান ফিসের ধীনে দেশে-বিদেশে শাখা প্রতিষ্ঠার মাধ্যমে ব্যাংকিং কাজ করা হয় তাকে শাখা ব্যাংক বলে।
শাখা ব্যাংক একটি বৃহদায়তন ব্যাংকিং প্রতিষ্ঠান। কারণ এর আর্থিক সামর্থ্য বেশি থাকে। বাংলাদেশের ব্যাংক ব্যবস্থা সাগ উত্তর:্রিকভাবে শাখা ব্যাংকের আওতাধীন।
গ উত্তর: উদ্দীপকে ব্যাংকটি শাখা ব্যাংকের সুবিধাসমূহ পায়।
শাখা ব্যাংক ব্যবস্থায় নেকগুলো শাখা ফিসের মাধ্যমে ব্যাংকিং কার্যক্রম পরিচালনা করা হয়। একটি কেন্দ্রীয় ফিসের মাধ্যমে এই শাখাগুলোকে পরিচালনা করা হয়।
উদ্দীপকে ব্যাংকের একই নামে নেক শাখা আছে। র্থাৎ ব্যাংক নেকগুলো শাখা ফিসের মাধ্যমে কার্যক্রম পরিচালনা করে। তাই এটি নিঃসন্দেহে শাখা ব্যাংক।
নেকগুলো শাখা ফিস থাকায় প্রতিষ্ঠানটির গ্রাহকের সংখ্যাও ধিক হয়। গ্রাহকের সংখ্যা বৃদ্ধির কারণে ব্যাংকের আমানত সংগ্রহের সম্ভাবনাও বৃদ্ধি পায়। এই কারণেই ব্যাংকটি ধিক মূলধন গঠনের সুবিধা পায়। নেকগুলো শাখা থাকার কারণে ব্যাংকের এক শাখা প্রয়োজন পড়লে পাশের শাখা হতে র্থ সংগ্রহ করতে পারে। এ কারণে ব্যাংকের তারল্য সংকটের আশংকা খুবই কম। র্থাৎ ব্যাংকটি শাখা ব্যাংকের সকল সুবিধাই পায় বলে আমি মনে করি।
ঘ উত্তর: উদ্দীপকে ও ই ব্যাংকের মধ্যে প্রধান পার্থক্য হলো ব্যাংক শাখা ব্যাংকিং পদ্ধতি এবং ই ব্যাংক একক ব্যাংকিং পদ্ধতি নুসরণ করে।
শাখা ব্যাংকিং পদ্ধতি বলতে কেন্দ্রীয় ফিসের ধীনে নেকগুলো শাখা পরিচালনা করাকে বোঝায়। পরপক্ষে একক ব্যাংকিং পদ্ধতি বলতে একটি মাত্র ফিসের মাধ্যমে ব্যাংকিং কার্যক্রম পরিচালনাকে বোঝায়।
উদ্দীপকে ব্যাংকের একই নামে নেক শাখা আছে। র্থাৎ ব্যাংকটি হলো শাখা ব্যাংক। পরদিকে ই ব্যাংক একটি মাত্র ফিস নিয়ে ব্যাংকিং কার্যক্রম পরিচালনা করে। র্থাৎ ই ব্যাংকটি হলো একক ব্যাংক।
এখানে ই ব্যাংকের কার্যক্রম একটি নির্দিষ্ট ঞ্চল পর্যন্তই সীমাবদ্ধ। পরপক্ষে ব্যাংকের কার্যক্রম নেকগুলো ঞ্চলে বিস্তৃত। ই ব্যাংকটি হলো একটি ক্ষুদ্রায়তন ব্যাংকিং প্রতিষ্ঠান। পরপক্ষে ব্যাংকটি হলো একটি বৃহদায়তন ব্যাংকিং প্রতিষ্ঠান।
একটি মাত্র ফিস থাকায় ই ব্যাংকে ধিক তারল্য (খরয়ঁরফরঃু জবংবৎাব) রাখতে হয়। তবে এক শাখা হতে পাশের শাখায় সহজেই র্থ নেয়া যায় বিধায় ব্যাংকে কম তারল্য রাখলেও চলে। একটি মাত্র শাখা থাকায় ই ব্যাংকে ঝুঁকি বণ্টন সম্ভব হয় না। নেকগুলো শাখা থাকায় ব্যাংক সহজে ঝুঁকি বণ্টন করতে পারে। এতে এক শাখায় লোকসান হলেও তা ন্য শাখার মুনাফার সাথে সমন্বয় করা যায়।
প্রশ্ন ৫: জনগণকে বৃহৎ পরিসরে ব্যাংকিং সেবা প্রদান ও মুনাফা র্জনের লক্ষ্যে ‘সুরমা ব্যাংক লি.’ দেশের বিভিন্ন ঞ্চলে তাদের কার্যক্রম সম্প্রসারিত করেছে। এর ফলে ব্যাংকটি প্রচুর পরিমাণে আমানত সংগ্রহসহ গ্রাহকদের বিভিন্ন ধরনের আধুনিক ব্যাংকিং সুবিধা প্রদান করতে সক্ষম হচ্ছে। ন্যদিকে, ‘বাংলাদেশ ব্যাংক’-এর পর্যবেক্ষণে প্রতীয়মান হয় যে, ব্যাংকটি দীর্ঘসময় ধরে কয়েকজন ঋণখেলাপি ব্যক্তিকে ঋণ প্রদান করছে এবং পর্যাপ্ত পরিমাণে সঞ্চিতি তহবিল সংরক্ষণ ছাড়াই শেয়ার বাজারে ধিক ঝুঁকিপূর্ণ শেয়ারে বিনিয়োগ করছে। আন্তর্জাতিক চুক্তি নুযায়ী মূলধনের আদর্শমান সংরক্ষণ না করায় ‘বাংলাদেশ ব্যাংক’ সুরমা ব্যাংক লি.-এর বিরুদ্ধে কঠোর বস্থান গ্রহণের সিদ্ধান্ত নিয়েছে। [চ. বো. ১৭]
ক.তালিকাভুক্ত ব্যাংক কী?১
খ.কণঈ ফরম কেন গুরুত্বপূর্ণ?২
গ.উদ্দীপকে উলিখিত ‘সুরমা ব্যাংক লি.’ সংগঠন কাঠামোর ভিত্তিতে কোন ধরনের ব্যাংক? ব্যাখ্যা করো।৩
ঘ.উদ্দীপকে উলিখিত ‘সুরমা ব্যাংক লি’-এর বিরুদ্ধে ‘বাংলাদেশ ব্যাংক’ কঠোর বস্থান গ্রহণের যে সিদ্ধান্ত নিয়েছে সেটির যৌক্তিকতা মূল্যায়ন করো।৪
৫ নং প্রশ্নের উত্তর
ক উত্তর: কোনো দেশের যে ব্যাংকসমূহ কেন্দ্রীয় ব্যাংকের সংরক্ষিত তালিকায় ন্তর্ভুক্ত থাকে সে সকল ব্যাংককে তালিকাভুক্ত ব্যাংক বলে।
খ উত্তর: কণঈ (কহড়ি ণড়ঁৎ ঈঁংঃড়সবৎ) ফরমের মাধ্যমে গ্রাহক সম্পর্কে সঠিক তথ্য জানা যায়। এটি গ্রাহকের লেনদেনের স্বচ্ছতা নিশ্চিত করে।
ব্যাংক যে ফরমের মাধ্যমে গ্রাহক সম্পর্কিত যাবতীয় তথ্য সংগ্রহ করে সেটিই মূলত কণঈ ফরম। এর দ্বারা গ্রাহকের সঠিক পরিচয় শনাক্ত করা যায়। গ্রাহক কী উদ্দেশ্যে ব্যাংকে হিসাব খুলবেন, কেমন লেনদেন করবেন, গ্রাহক কোনো বৈধ কর্ক উত্তর:াণ্ডে জড়িত কিনা তা এই ফরম থেকে জানা যায়। আর এ উদ্দেশ্যকে লক্ষ্য রেখেই ব্যাংক কণঈ ফরম সংরক্ষণ করে।
গ উত্তর: উদ্দীপকে সংগঠন কাঠামোর ভিত্তিতে সুরমা ব্যাংক লি. হলো একটি শাখা ব্যাংক।
শাখা ব্যাংকিং পদ্ধতিতে একাধিক শাখার মাধ্যমে ব্যাংকিং কার্যক্রম পরিচালনা করা হয়। এ পদ্ধতিতে প্রতিটি শাখা ফিসই কেন্দ্রীয় ফিসের নিয়ন্ত্রণে থাকে। যুক্তরাজ্যে এরূপ ব্যাংকের উৎপত্তি হওয়ায় একে ব্রিটিশ ব্যাংকিং পদ্ধতিও বলা হয়।
উদ্দীপকে সুরমা ব্যাংক লি.-এর কার্যক্রম সম্বন্ধে বলা হয়েছে। জনগণকে বৃহৎ পরিসরে ব্যাংকিং সেবা প্রদান ও মুনাফা র্জনের লক্ষ্যে ব্যাংকটি প্রতিষ্ঠিত হয়েছে। বর্তমানে দেশের বিভিন্ন ঞ্চলে ব্যাংকটি কার্যক্রম প্রসারিত করছে।
নেকগুলো শাখা ফিসের মাধ্যমে এটি কার্যক্রম পরিচালনা করছে। সাধারণত শাখা ব্যাংকের কার্যক্রম দেশে-বিদেশে বিস্তৃত থাকে। উদ্দীপকেও সুরমা ব্যাংক দেশের বিভিন্ন ঞ্চলে ব্যাংকিং কার্যক্রম পরিচালনা করছে। তাই বলা যায়, সুরমা ব্যাংক লি. একটি শাখা ব্যাংক।
- উত্তর ডাউনলোড করুন> (১ম পত্র) ব্যবসায়ের মৌলিক ধারণা ১ম পত্র সৃজনশীল প্রশ্ন
- উত্তর ডাউনলোড করুন>(১ম পত্র)১ম: ব্যবসায়ের মৌলিক ধারণা প্রশ্ন উত্তরসহ PDF
- উত্তর ডাউনলোড করুন> HSC ব্যবসায়ের মৌলিক ধারণা প্রশ্নের উত্তরসহ অধ্যায়-১: PDF
- উত্তর ডাউনলোড করুন> HSC অধ্যায়-১: প্রশ্নের উত্তরসহ ব্যবসায়ের মৌলিক ধারণা PDF
- উত্তর ডাউনলোড করুন>অধ্যায়৩: SSC ফিন্যান্স ও ব্যাংকিং‘র সৃজনশীল প্রশ্নোত্তর PDF
- উত্তর ডাউনলোড করুন> অধ্যায়৩: SSC ফিন্যান্স ও ব্যাংকিং‘র জ্ঞানমূলক প্রশ্নোত্তরPDF
ঘ উত্তর: উদ্দীপকে সুরমা ব্যাংক লি.-এর বিরুদ্ধে বাংলাদেশ ব্যাংক ব্যাসেল-১ এবং ব্যাসেল-২ নুযায়ী কঠোর বস্থান গ্রহণের সিদ্ধান্ত নিয়েছে।
ব্যাসেল-১ এবং ব্যাসেল-২ হলো কেন্দ্রীয় ব্যাংকের তালিকাভুক্ত ব্যাংকসমূহের ঝুঁকিভিত্তিক মূলধন পর্যাপ্ততা নিশ্চিত করার জন্য জারিকৃত নির্দেশনা। আমানতকারীদের স্বার্থ সংরক্ষণ করার উদ্দেশ্যে কেন্দ্রীয় ব্যাংক ব্যাসেল-১ এবং ব্যাসেল-২ জারি করেছে।
উদ্দীপকে সুরমা ব্যাংক লি. দীর্ঘসময় ধরে কয়েকজন ঋণখেলাপী ব্যক্তিকে ঋণ প্রদান করছে। এছাড়া পর্যাপ্ত পরিমাণ সঞ্চিতি তহবিল সংরক্ষণ ছাড়াই ব্যাংকটি শেয়ার বাজারে ধিক ঝুঁকিপূর্ণ শেয়ারে বিনিয়োগ করছে। মূলধনের আদর্শমান সংরক্ষণ না করায় সুরমা ব্যাংকের বিরুদ্ধে বাংলাদেশ ব্যাংক কঠোর বস্থান গ্রহণের সিদ্ধান্ত নেয়।
আন্তর্জাতিক মানদণ্ড নুযায়ী বাংলাদেশ ব্যাংক মূলধনের আদর্শমান সংরক্ষণের জন্য সুরমা ব্যাংককে ব্যাসেল-১ ও ২ এর নির্দেশনা জারি করে। এতে সুরমা ব্যাংকের মুখ্য মূলধন (ঈড়ৎব পধঢ়রঃধষ), সম্পূরক মূলধন (ঝঁঢ়ঢ়ষবসবহঃধৎু পধঢ়রঃধষ) এবং তিরিক্ত সম্পূরক মূলধনের পর্যাপ্ততা নিশ্চিত হবে। এর ফলে ব্যাংকের আমানতকারীদের স্বার্থ সংরক্ষিত হবে। সুতরাং, বাংলাদেশ ব্যাংক কর্তৃক এরূপ নির্দেশনা বা শাস্তির সিদ্ধান্তটি যৌক্তিক।
উক্ত বিষয় সম্পর্কে কিছু জানার থাকলে কমেন্ট করতে পারেন।
আমাদের সাথে ইউটিউব চ্যানেলে যুক্ত হতে এখানে ক্লিক করুন এবং আমাদের সাথে ফেইজবুক পেইজে যুক্ত হতে এখানে ক্লিক করুন। গুরুত্বপূর্ণ আপডেট ও তথ্য পেতে আমাদের ওয়েবসাইটে ভিজিট করুন।
আমাদের সাথে ইউটিউব চ্যানেলে যুক্ত হতে এখানে ক্লিক করুন এবং আমাদের সাথে ফেইজবুক পেইজে যুক্ত হতে এখানে ক্লিক করুন। গুরুত্বপূর্ণ আপডেট ও তথ্য পেতে আমাদের ওয়েবসাইটে ভিজিট করুন।