ফিন্যান্স ব্যাংকিং ও বিমা ২য় | অধ্যায় ৩ | সৃজনশীল প্রশ্ন ২১-২৫ | PDF: ফিন্যান্স, ব্যাংকিং ও বিমা দ্বিতীয় পত্রের তৃতীয় অধ্যায়ের গুরুত্বপূর্ণ সব কমন উপযোগী সৃজনশীল প্রশ্ন গুলো আমাদের এই পোস্টে পাবেন।
প্রিয় ছাত্র ছাত্রী বন্ধুরা আল্লাহর রহমতে সবাই ভালোই আছেন । এটা জেনে আপনারা খুশি হবেন যে, আপনাদের জন্য ফিন্যান্স, ব্যাংকিং ও বিমা দ্বিতীয় পত্রের তৃতীয় অধ্যায়ের গুরুত্বপূর্ণ সব কমন উপযোগী সৃজনশীল প্রশ্ন গুলো নিয়ে আলোচনা করতে যাচ্ছি ।
সুতরাং সম্পূর্ণ পোস্টটি মনোযোগ সহকারে পড়ুন। আর এইচ এস সি- HSC এর যেকোন বিভাগের গুরুত্বপূর্ণ সকল সাজেশন পেতে জাগোরিকের সাথে থাকুন।
ফিন্যান্স ব্যাংকিং ও বিমা ২য় | অধ্যায় ৩ | সৃজনশীল প্রশ্ন ২১-২৫ | PDF
প্রশ্ন ২১: যমুনা ব্যাংকে ৫০,০০০ টাকা জমা দিতে গিয়ে বন্যা জানতে পারল এ অর্থ থেকেই ব্যাংকটি ন্যদের ঋণদান করে। বন্যার জমাকৃত অর্থ থেকে যদি পরবর্তীতে আরও দুই জনকে ঋণ দেয়া হয় তাহলে ব্যাংকের আমানতের পরিমাণ বৃদ্ধি পায়। ব্যাংকের ঝখজ ২০%। [বেপজা পাবলিক স্কুল এন্ড কলেজ, সাভার]
ক.বাণিজ্যিক ব্যাংকের আয়ের প্রধান উৎস কোনটি?১
খ.বাণিজ্যিক ব্যাংকসমূহ কীভাবে তারল্য বজায় রাখে?২
গ.বন্যার অর্থের সর্বোচ্চ ব্যবহারে যমুনা ব্যাংক কোন কৌশল বলম্বন করছে? ব্যাখ্যা করো।৩
ঘ.বন্যার অর্থ থেকে যমুনা ব্যাংক কত টাকার আমানত সৃষ্টি করতে সমঅর্থ হবে? ব্যাখ্যা করো।৪
২১ নং প্রশ্নের উত্তর
ক উত্তর: বাণিজ্যিক ব্যাংকের আয়ের প্রধান উৎস হলো ঋণগ্রহীতাদের প্রদত্ত ঋণ থেকে প্রাপ্ত সুদ।
খ উত্তর:আমানতকারীদের নিকট থেকে সংগৃহীত অর্থের একটি নির্দিষ্ট অংশ নগদ হিসেবে তহবিল জমা রেখে বাণিজ্যিক ব্যাংক তারল্য বজায় রাখে।
বাণিজ্যিক ব্যাংকের তহবিলের মুখ্য উৎস হলো গ্রাহকদের আমানত। এ আমানত চাহিবামাত্র গ্রাহককে ফেরত দিতে ব্যাংক বাধ্য থাকে। আমানতের নির্দিষ্ট একটি অংশ নগদ হিসেবে জমা রেখে বাকিটুকু ব্যাংক ঋণ দেয়। নির্দিষ্ট নগদ দ্বারা চাহিবামাত্র গ্রাহকের অর্থ পরিশোধে ব্যাংক সমঅর্থ হয়।
গ উত্তর: উদ্দীপকের বন্যার অর্থের সর্বোচ্চ ব্যবহারে যমুনা ব্যাংক ঋণ আমানত সৃষ্টি কৌশল বলম্বন করেছে।
বাণিজ্যিক ব্যাংক আমানতের কিছু অংশ গ্রাহকের দৈনন্দিন চাহিদা মেটানোর জন্য নগদে সংরক্ষণ করে। বাকি অর্থ ঋণ দেয়, যা পুনরায় আমানতের সৃষ্টি করে। আর ঋণ প্রদানের মাধ্যমে পুনরায় আমানত সৃষ্টির এ কৌশল ঋণ আমানত নামে পরিচিত।
উদ্দীপকের বন্যা যমুনা ব্যাংকে টাকা জমা রাখতে গিয়ে জানতে পারল ব্যাংকটি সংগৃহীত আমানত থেকেই ন্যদের ঋণদান করে। তবে ব্যাংকটি এ আমানতের ২০% বিধিবদ্ধ তারল্য হিসেবে রেখে বাকিটুকু ঋণ দেয়। এক্ষেত্রে, যমুনা ব্যাংক ঋণের অর্থ নগদে প্রদান করে না। আমানত হিসাবের মাধ্যমে ঋণগ্রহীতাকে ঋণ প্রদান করে। যার ফলে প্রদত্ত ঋণের অর্থ ব্যাংকে পুনরায় আমানত হিসেবে জমা হয়, যা যমুনা ব্যাংকের জন্য প্রদত্ত ঋণ থেকে পুনরায় আমানত সৃষ্টি করে। আর এভাবেই বারবার ঋণ আমানত সৃষ্টির মাধ্যমে যমুনা ব্যাংক বন্যার অর্থের সর্বোচ্চ ব্যবহার নিশ্চিত করছে।
ঘ উত্তর: উদ্দীপকের বন্যার জমাকৃত অর্থ থেকে যমুনা ব্যাংক পুনরায় আমানত সৃষ্টি করতে সমঅর্থ হবে।
সংগৃহীত আমানত থেকে ঋণ প্রদানের মাধ্যমে পুনরায় আমানত সৃষ্টির কৌশলকে ঋণ আমানত বলে। বাণিজ্যিক ব্যাংক আমানত থেকে ঋণ এবং ঋণ থেকে আমানত সৃষ্টির মাধ্যমে ঋণ আমানত তৈরি করে।
উদ্দীপকের বন্যা যমুনা ব্যাংকে পঞ্চাশ হাজার টাকা আমানত হিসেবে জমা রাখে। ব্যাংকটি উক্ত আমানতের ২০% তারল্য হিসেবে সংরক্ষণ করে। বাকি অংশ ঋণ হিসেবে বিনিয়োগ করে। অর্থাৎ যমুনা ব্যাংক বন্যার আমানত থেকে ঋণ আমানত সৃষ্টি করে।
বন্যার অর্থ থেকে যমুনা ব্যাংক কত টাকার আমানত সৃষ্টি করতে পারবে তা আমরা গাণিতিক সূত্র ব্যবহার করে নির্ণয় করতে পারি।
আমরা জানি,
উউস = ১জৎ
= ৫০০০০০.২০
= ২,৫০,০০০ টাকাএখানে,
উউস (উবসধহফ উবঢ়ড়ংরঃ সঁষঃরঢ়ষরবৎ) = গুণিত আমানত
জৎ (জবয়ঁরৎবফ খরয়ঁরফরঃু ৎবংবৎাব ৎধঃরড়) = প্রয়োজনীয় তারল্য জমার নুপাত = ২০%
১ (সড়ঁহঃ ড়ভ ঞধশধ) = টাকার পরিমাণ = ৫০,০০০ টাকা
সুতরাং, যমুনা ব্যাংক বন্যার ৫০,০০০ টাকা থেকে ঋণ আমানত সৃষ্টির মাধ্যমে সর্বোচ্চ ২,৫০,০০০ টাকার আমানত সৃষ্টি করতে সমঅর্থ হবে।
প্রশ্ন ২২: ঈধৎব ইধহশ সদ্য প্রতিষ্ঠিত একটি বাণিজ্যিক ব্যাংক। তাদের মূল শ্লোগান হলো ‘সেবাই প্রথম’। বর্তমানে ব্যাংকটি গ্রাহকদের বিভিন্ন ধরনের হিসাব খোলার সুযোগ দিয়ে, ধিক শাখা স্থাপন করে, আমদানি-রপ্তানিতে সাহায্য করে সেবা প্রদান করে আসছে। ইতোমধ্যে ব্যাংকটি গ্রাহকদের দোরগোড়ায় সেবা পৌঁছে দেওয়ার লক্ষ্যে বিভিন্ন ধরনের আধুনিক ব্যাংকিং সেবা যেমন : নলাইন ব্যাংকিং, হোম ব্যাংকিং ছ-ঈধংয, মোবাইল ব্যাংকিং ইত্যাদি প্রদানের পরিকল্পনা করছে। যদিও উন্নত ব্যাংকিং সেবা প্রদান ব্যয়সাপেক্ষ, তবু তারা মনে করছে তাদের এই পরিকল্পনা ব্যাংকের লক্ষ্য র্জনে সহায়ক। [কিশোরগঞ্জ সরকারি মহিলা কলেজ]
ক.ঋণ আমানত সৃষ্টি কাকে বলে?১
খ.মুনাফা র্জন করাই বাণিজ্যিক ব্যাংকের মূল উদ্দেশ্য কেন তা ব্যাখ্যা করো।২
গ.ঈধৎব ইধহশ তাদের ব্যাংকিং কার্যক্রম কোন নীতির ভিত্তিতে পরিচালনা করছে তা বর্ণনা করো।৩
ঘ.উদ্দীপকে উলিখিত ব্যাংকটি তাদের মূল লক্ষ্য র্জনে যে সমস্ত পরিকল্পনা করছে তা কতটুকু যুক্তিসঙ্গত তা আলোচনা করো।৪
২২ নং প্রশ্নের উত্তর
ক উত্তর: যে পদ্ধতিতে সরাসরি নগদে ঋণ না দিয়ে তা ঋণগ্রহীতার আমানত হিসেবে স্থানান্তরপূর্বক আবার নতুন ঋণের সৃষ্টি করে তাকে ঋণ আমানত সৃষ্টি বলে।
খ উত্তর:বাণিজ্যিক ব্যাংকের প্রধান ও প্রথম উদ্দেশ্য হলো ন্যূনতম ঝুঁকিতে আঅর্থিক লেনদেনের মাধ্যমে মুনাফা র্জন করা।
স্বল্পহারে স্থায়ী, সঞ্চয়ী ও চলতি হিসাবের মাধ্যমে আমানত সংগ্রহ করে বাণিজ্যিক ব্যাংক। এ সংগৃহীত অর্থ উচ্চহারে ঋণ দিয়ে বাণিজ্যিক ব্যাংক মুনাফা র্জন করে থাকে, যা এ ব্যাংকের মূল উদ্দেশ্য।
গ উত্তর: উদ্দীপকে উলিখিত ঈধৎব ইধহশ তাদের ব্যাংকিং কার্যক্রম আধুনিকায়ন নীতির ভিত্তিতে পরিচালনা করছে।
সর্বাধুনিক প্রযুক্তি ব্যবহার করে নতুন নতুন গ্রাহক সেবা সৃষ্টির কাজে জড়িত ব্যাংকের নীতি হলো আধুনিকায়নের নীতি। নালাইন ব্যাংকিং, হোম ব্যাংকিং, ছ-ঈধংয, মোবাইল ব্যাংকিং, এটিএম সেবা চালু এ নীতির সমঅর্থন করে।
উদ্দীপকের ঈধৎব ইধহশ একটি সদ্য প্রতিষ্ঠিত বাণিজ্যিক ব্যাংক। সর্বোত্তম সেবা দেয়ার জন্য ঈধৎব ইধহশ গ্রাহকদের বিভিন্ন ধরনের হিসাব খোলার সুযোগ দিচ্ছে। ব্যাংকটি গ্রাহকদের দোরগোড়ায় সেবা পৌঁছে দিতে ও আধুনিক ব্যাংকিং সেবা চালু করার জন্য পরিকল্পনা করছে। যেমন: নলাইন ব্যাংকিং, হোম ব্যাংকিং, ছ-ঈধংয, মোবাইল ব্যাংকিং ইত্যাদি।
এসব আধুনিক ব্যাংকিং সেবা আধুনিকায়নের নীতিকে সমঅর্থন করে। গ্রাহক সর্বোত্তম আধুনিক প্রযুক্তি নির্ভর করে ব্যাংকিং সেবা গ্রহণ করে সময় ও শ্রম সাশ্রয় করতে পারছে।
নিরাপদে ও স্বাচ্ছন্দ্যে সুবিধাজনক স্থান হতে সুবিধাজনক সময়ে ব্যাংকিং সেবা গ্রহণ করতে পারছে। এভাবে গ্রাহক সন্তুষ্টি র্জনে ব্যাংক আধুনিকায়নের নীতি ব্যবহার করে। এ থেকে বলা যায়, ঈধৎব ইধহশ সর্বোত্তম সেবা নিশ্চিত করার জন্য সেবার নীতি নুসরণ করছে।
ঘ উত্তর: উদ্দীপকে উলিখিত ঈধৎব ইধহশ তাদের মূল লক্ষ্য র্জনে ভিন্ন ভিন্ন ধরনের পদক্ষেপ নিচ্ছে এবং পরিকল্পনা করছে, যা ত্যন্ত যুক্তিসঙ্গত।
বাণিজ্যিক ব্যাংকের মূল লক্ষ্য হলো মুনাফা র্জন করা। মুনাফা র্জনের জন্য বাণিজ্যিক ব্যাংক বিভিন্ন পদ্ধতি বলম্বন করে। বর্তমানে বাণিজ্যিক ব্যাংক নানা ধরনের আধুনিক ইলেকট্রনিক ব্যাংকিং সেবার মাধ্যমে গ্রাহকদের সন্তুষ্ট করছে।
উদ্দীপকের ঈধৎব ব্যাংকটি তার গ্রাহকের জন্য বিভিন্ন ধরনের হিসাব খোলার সুযোগ করে দিয়েছে। কারণ গ্রাহকের চাহিদা নুযায়ী হিসাবের ভিন্নতা রয়েছে। এছাড়া ধিক শাখা স্থাপন করে আমদানি-রপ্তানিতে সাহায্য করে সেবা প্রদান করছে। এভাবে দোরগোড়ায় আধুনিক ব্যাংকিং সেবা পৌঁছে দিচ্ছে।
বর্তমানে প্রতিযোগিতাপূর্ণ বাজারে আধুনিকায়ন নীতির কার্যকর বাস্তবায়নের ওপর এ ব্যাংকের সাফল্য সম্পূর্ণভাবে নির্ভরশীল। তাই উন্নত ব্যাংকিং সেবা ব্যয়সাপেক্ষ জেনেও এ পরিকল্পনা ঈধৎব ব্যাংকের লক্ষ্য র্জনে সহায়ক।
পরিশেষে বলা যায়, উদ্দীপকে উলিখিত ঈধৎব ব্যাংকটি তাদের মূল লক্ষ্য র্জনে যেসব পরিকল্পনা করছে তা সম্পূর্ণ যুক্তিসঙ্গত।
প্রশ্ন ২৩: সুখী ব্যাংক লি. কাপড় ব্যবসায়ীদের প্রচুর ঋণ দেয়। এ বছর শীত কম থাকায় নেক ব্যবসায়ী বেকায়দায় পড়ে তাদের ব্যবসায় গুটিয়ে দিয়েছে। ফলে ব্যাংকের ঋণের টাকা ঠিকমত আদায় হচ্ছে না। আমানতকারীগণ তাদের অর্থ ফেরত নেওয়ার জন্য আবেদন দিচ্ছে। [নিউ গভ. ডিগ্রী কলেজ, রাজশাহী]
ক.ব্যাংক কী?১
খ.ব্যাংক হার নীতি বলতে কী বোঝ?২
গ.সুখী ব্যাংক লি. বর্তমানে কি সমস্যায় পড়েছে? ব্যাখ্যা করো।৩
ঘ.উদ্দীপকে ব্যাংকটির কী একক ক্ষেত্রে ঋণ দেওয়া যুক্তিযুক্ত হয়েছে? ব্যাখ্যা করো।৪
২৩ নং প্রশ্নের উত্তর
ক উত্তর: যে প্রতিষ্ঠান অর্থ ও ঋণের ব্যবসায়ে জড়িত থাকে তাকে ব্যাংক বলে।
খ উত্তর:যে হারে কেন্দ্রীয় ব্যাংক বাণিজ্যিক ব্যাংকের বিল, সিকিউরিটি, ঋণপত্র প্রভৃতি বাট্টা করে তাকে ব্যাংক হার বলে।
এ হারের হ্রাস-বৃদ্ধি করে কেন্দ্রীয় ব্যাংকের ঋণ নিয়ন্ত্রণ করার কৌশলই হলো ব্যাংক হার নীতি। ব্যাংক হার বাড়ালে বাজারে ঋণের পরিমাণ কমে। নুরূপভাবে ব্যাংক হার কমালে বাজারে ঋণের পরিমাণ বাড়ে।
গ উত্তর: উদ্দীপকের সুখী ব্যাংক লি. বর্তমানে তারল্য ঘাটতিতে পড়েছে।
চাওয়া মাত্র নগদে গ্রাহকের অর্থ পরিশোধ করার ক্ষমতাই হলো তারল্য। তারল্য নীতি নুযায়ী আমানতকারীদের জমাকৃত অর্থ চাওয়ামাত্র ফেরত দিতে ব্যাংক বাধ্য থাকে। কেননা গ্রাহক অর্থ উত্তোলন করতে যেয়ে ব্যঅর্থ হলে ব্যাংকের প্রতি তার আস্থা নষ্ট হয়। এতে ব্যাংক তার সুনাম হারাতে পারে।
উদ্দীপকের সুখী ব্যাংক লি. কাপড় ব্যবসায়ীদের প্রচুর ঋণ দেয়। এ বছর শীত থাকায় শীত পোষাকের চাহিদাও কম ছিল। এর ফলে ব্যবসায়ে লোকসান হওয়ায় নেক ব্যবসায়ী তাদের ব্যবসায় গুটিয়ে নিয়েছে। এতে সুখী ব্যাংক প্রদত্ত ঋণের টাকা ঠিক মতো আদায় করতে পারছে না।
আমানতকারীগণ তাদের অর্থ ফেরত নেয়ার জন্য আবেদন করছে। অর্থাৎ সুখী ব্যাংক সংঘটিত পরিস্থিতিতে তারল্য সংকটে পড়েছে। যার ফলে ব্যাংকটি গ্রাহকের অর্থ পরিশোধ করতে ব্যঅর্থ হচ্ছে।
ঘ উত্তর: উদ্দীপকের ব্যাংকটির ঋণদান ও বিনিয়োগ নীতি নুযায়ী একক ক্ষেত্রে ঋণ দেয়া যুক্তিযুক্ত হয় নি।
ঋণদান ও বিনিয়োগ নীতি নুযায়ী বাণিজ্যিক ব্যাংক ঋণ দেয়ার ক্ষেত্রে অর্থ ফেরত পাওয়ার বিষয়ে সর্বোচ্চ সতর্কতা বলম্বন করে। পাশাপাশি সর্বোচ্চ মুনাফা র্জন করার চেষ্টা করে। এ নীতির আওতায় বাণিজ্যিক ব্যাংক এক ধরনের খাতে সম্পূর্ণ অর্থ বিনিয়োগ করে না।
উদ্দীপকের সুখী ব্যাংক লি. কাপড় ব্যবসায়ীদের প্রচুর ঋণ দেয়। এ বছর শীত কম থাকায় নেক ব্যবসায়ী লোকসানের সম্মুখীন হয়। এর ফলে তারা ব্যবসায় গুটিয়ে নিয়েছে। এতে সুখী ব্যাংকের দেয়া ঋণের অর্থ আদায় হচ্ছে না। অর্থাৎ সুখী ব্যাংকটি একটি মাত্র খাতে সমস্ত ঋণ দেয়ায় এ ধরনের পরিস্থিতির সৃষ্টি হয়েছে।
এ ক্ষেত্রে ঋণদান ও বিনিয়োগ নীতি প্রয়োগ করলে সুখী ব্যাংক ঋণের অর্থ ফেরত পেতে পারতো। অর্থাৎ একের ধিক খাতে বিনিয়োগ করলে একটি খাতের ক্ষতি ন্য সব খাতের মুনাফা দ্বারা সমন্বয় করতে পারতো।
এতে সুখী ব্যাংকে তারল্য ঘাটতির সৃষ্টি হতো না। সুতরাং ঋণ দেয়ার ক্ষেত্রে একটি খাতে বিনিয়োগ করা সুখী ব্যাংকের জন্য যৌক্তিক হয়নি।
প্রশ্ন ২৪: বাণিজ্যিক ব্যাংকগুলো বিভিন্ন হিসাবে মানুষের গচ্ছিত টাকা নিয়মানুযায়ী সংরক্ষণ করে। বাকি অর্থ জনগণকে ঋণ প্রদানের মাধ্যমে মুনাফা র্জন করে। কিন্তু দেখা যায়, মঞ্জুরকৃত ঋণের সম্পূর্ণটা গ্রাহক একবারেই ব্যাংক থেকে উত্তোলন করে না। এ সুযোগকে কাজে লাগিয়ে এবং জমাকৃত অর্থের উপযোগিতা বৃদ্ধি ও বেশি পরিমাণ ঋণ প্রদানের উদ্দেশ্যে ব্যাংকগুলো একটি ভিনব প্রক্রিয়ায় ঋণের বিপরীতে আমানত এবং আমানতের বিপরীতে ঋণ তৈরি করছে। প্রতিক‚ল পরিস্থিতিতে মাঝে মাঝে ঋণ সৃষ্টির ক্ষেত্রে সুবিধাও সৃষ্টি হয়।
[ক্যান্টনমেন্ট পাবলিক স্কুল এন্ড কলেজ, সৈয়দপুর]
ক.শেয়ার বলেখন কী?১
খ.‘বাণিজ্যিক ব্যাংক সর্বদা স্বল্পমেয়াদি ঋণ দেয়’ বুঝিয়ে লিখ।২
গ.উদ্দীপকের আলোকে ব্যাংকগুলোর ঋণ আমানত সৃষ্টির উপায় আলোচনা করো।৩
ঘ.বাণিজ্যিক ব্যাংকগুলোর এই ঋণ সৃষ্টির ক্ষমতা কমার কারণগুলো সম্পর্কে তোমার মতামত দাও।৪
২৪ নং প্রশ্নের উত্তর
ক উত্তর: কমিশনের বিনিময়ে শেয়ার বিক্রির যাবতীয় কার্য সম্পাদনকে শেয়ার বলেখন বলে।
খ উত্তর:বাণিজ্যিক ব্যাংক স্বল্পমেয়াদি ঋণের ব্যবসায়ী।
বাণিজ্যিক ব্যাংক মুনাফা র্জনের উদ্দেশ্যে স্বল্প লাভে আমানত সংগ্রহ করে ধিক লাভে ঋণ দেয়। এ ব্যাংকের তহবিলের মুখ্য উৎস হলো আমানত। যার ধিকাঅংশই চাওয়ামাত্র ফেরত দিতে ব্যাংক বাধ্য থাকে। তাই ব্যাংক দীর্ঘমেয়াদে এ অর্থ ঋণ দিতে পারে না। যে কারণে বাণিজ্যিক ব্যাংক সর্বদা স্বল্পমেয়াদি ঋণ দেয়।
গ উত্তর: উদ্দীপকের বাণিজ্যিক ব্যাংকগুলো আমানত থেকে ঋণ প্রদানের মাধ্যমে ঋণ আমানত সৃষ্টি করে।
বাণিজ্যিক ব্যাংক আমানতকৃত অর্থ থেকে তারল্য হিসেবে কিছু অর্থ সংরক্ষণ করে। বাকি অংশ ঋণ হিসেবে বিনিয়োগ করে। তবে প্রদত্ত ঋণের অর্থ ব্যাংক নগদে প্রদান না করে ব্যাংক হিসাবের মাধ্যমে প্রদান করে। এটি ব্যাংকের জন্য ঋণ থেকে নতুন আমানতের সৃষ্টি করে।
উদ্দীপকে উলেখ্য বাণিজ্যিক ব্যাংকগুলো আমানতকারীদের ব্যাংক হিসাবের আমানতকৃত অর্থ থেকে নিয়ম নুযায়ী তারল্য সংরক্ষণ করে। বাকি অর্থ জনগণকে ঋণ হিসেবে প্রদান করে মুনাফা র্জন করে। তবে মঞ্জুরিকৃত ঋণের সম্পূর্ণটা ঋণগ্রহীতা একবারে উত্তোলন করে না।
এ সুযোগকে কাজে লাগিয়ে এবং জমাকৃত অর্থের উপযোগিতা বৃদ্ধি করতে ব্যাংকগুলো একটি ভিনব প্রক্রিয়া নুসরণ করে। এটি ঋণ আমানত সৃষ্টি নামে পরিচিত। এ প্রক্রিয়ায় ব্যাংকগুলো সংগৃহীত আমানত থেকে ঋণ প্রদান করে।
ব্যাংক হিসাবের মাধ্যমে ঋণের অর্থ প্রদান করায় তা পুনরায় ব্যাংকে নতুন আমানতের সৃষ্টি করে। আর উক্ত আমানত থেকে ব্যাংকগুলো পুনরায় ঋণ প্রদান করে। বারবার এ প্রক্রিয়ার ব্যবহার করেই বাণিজ্যিক ব্যাংকগুলো ঋণ আমানত সৃষ্টি করে।
ঘ উত্তর: উদ্দীপকের বাণিজ্যিক ব্যাংকগুলোর ঋণ আমানত সৃষ্টির ক্ষমতা কমার কারণ হিসেবে এ প্রক্রিয়ার সীমাবদ্ধতাকে দায়ী করা যায়।
বাণিজ্যিক ব্যাংক ঋণ আমানত সৃষ্টি প্রক্রিয়ায় ধিক মুনাফা র্জনকে প্রাধান্য দিয়ে বেশি পরিমাণ ঋণ প্রদান করে থাকে। যা ব্যাংকের পর্যাপ্ত নগদ তহবিলের কারণ।
উদ্দীপকের বাণিজ্যিক ব্যাংকগুলো জনগণকে ঋণ প্রদানের মাধ্যমে মুনাফা র্জন করে থাকে।
তবে মঞ্জুরীকৃত ঋণের সম্পূর্ণটা গ্রাহক একবারেই হিসাব থেকে উত্তোলন করে না। আর এ সুযোগকে কাজে লাগিয়ে ব্যাংকগুলো ঋণ আমানত সৃষ্টি প্রক্রিয়া নুসরণ করে। যার ফলে ব্যাংকের জমাকৃত অর্থের উপযোগিতা বৃদ্ধি পায়। পাশাপাশি ব্যাংকগুলোর ঋণদান ক্ষমতা বৃদ্ধি পায়।
উক্ত প্রক্রিয়ায় ব্যাংকগুলো আমানত থেকে ঋণ এবং ঋণের বিপরীতে আমানত তৈরি করে। তবে প্রতিক‚ল পরিস্থিতিতে মাঝে মাঝে ঋণ সৃষ্টির ক্ষেত্রে প্রতিবন্ধকতার সৃষ্টি হয়।
উলেখ্য পরিস্থিতিতে ঋণ আমানত সৃষ্টি প্রক্রিয়ার সীমাবদ্ধতা ব্যাংকগুলোর জন্য বাধার সৃষ্টি করছে। অর্থাৎ আমানত থেকে ধিক পরিমাণে ঋণ প্রদান করায় বাণিজ্যিক ব্যাংকগুলোতে পর্যাপ্ত নগদ তহবিলের তৈরি হচ্ছে। এছাড়াও ব্যাংকগুলোর কাছে পর্যাপ্ত পরিমাণ ঋণযোগ্য আমানত থাকলেও উপযুক্ত জামানতের ভাবে এ ঋণ আমানত প্রক্রিয়া ব্যাহত হচ্ছে। পাশাপাশি কেন্দ্রীয় ব্যাংক ঋণ নিয়ন্ত্রণে কঠোর নীতি প্রয়োগ করলেও এ প্রক্রিয়াটি বাধাগ্রস্ত হয়। সুতরাং বলা যায়, উপর্যুক্ত কারণগুলোই বাণিজ্যিক ব্যাংকগুলোর ঋণ আমানত সৃষ্টি প্রক্রিয়ার বাধাস্বরূপ।
প্রশ্ন ২৫: পদ্মা ব্যাংকে ১,৫০,০০০ টাকা জমা দিতে গিয়ে সীমা জানতে পারল এ অর্থ থেকেই ব্যাংকটি ন্যদের ঋণদান করে। সীমার জমাকৃত অর্থ থেকে যদি পরবর্তীতে আরও দুইজনকে ঋণ দেয়া হয় তাহলে ব্যাংকের আমানতের পরিমাণ বৃদ্ধি পায়। ব্যাংকের ঝখজ ২০%। [কুমিলা ভিক্টোরিয়া সরকারি কলেজ]
ক.বাণিজ্যিক ব্যাংকের আয়ের প্রধান উৎস কোনটি?১
খ.ব্যাংককে ধার করা অর্থের ধারক বলা হয় কেন?২
গ.সীমার অর্থের সর্বোচ্চ ব্যবহার নিশ্চিতকরণে পদ্মা ব্যাংক কোন কৌশল বলম্বন করছে? ব্যাখ্যা করো।৩
ঘ.সীমার অর্থ থেকে পদ্মা ব্যাংক কত টাকার আমানত সৃষ্টি করতে সমঅর্থ হবে? ব্যাখ্যা করো।৪
২৫ নং প্রশ্নের উত্তর
ক উত্তর: বাণিজ্যিক ব্যাংকের আয়ের প্রধান উৎস হলো ঋণের সুদ।
খ উত্তর:ব্যাংক একজনের জমাকৃত অর্থ ন্যজনকে ঋণ হিসেবে প্রদান করে বলে একে ধার করা অর্থের ধারক বলা হয়।
ব্যাংক স্বল্প সুদের বিনিময়ে গ্রাহকের অর্থ আমানত হিসেবে সংগ্রহ করে কিছু অর্থ সংরক্ষণ করে। বাকিটা ধিক সুদে ঋণ দেয়। ব্যাংক আমানতের মাধ্যমে ধার করা অর্থ পরবর্তীতে ঋণ হিসেবে প্রদান করে ব্যবসায় পরিচালনা করে।
গ উত্তর: উদ্দীপকের সীমার অর্থের সর্বোচ্চ ব্যবহার নিশ্চিতকরণে পদ্মা ব্যাংক ঋণ আমানত সৃষ্টি কৌশল বলম্বন করেছে।
বাণিজ্যিক ব্যাংক একই অর্থ থেকে বারবার আমানত সৃষ্টি করে থাকে। যা ব্যাংকের ঋণদান ক্ষমতা বৃদ্ধি করে। একেই ঋণ আমানত সৃষ্টি বলে।
উদ্দীপকের সীমা পদ্মা ব্যাংকের টাকা জমা দিতে গিয়ে জানতে পারল ব্যাংকটি এ অর্থ থেকেই ন্যদের ঋণদান করে। এক্ষেত্রে পদ্মা ব্যাংক যখন ঋণগ্রহীতাকে ঋণ প্রদান করে তখন তা নগদে প্রদান করে না।
ব্যাংক হিসাবের মাধ্যমে প্রদান করে। এতে ঋণ থেকে নতুন আমানতের সৃষ্টি হয়। এ প্রক্রিয়ায় ব্যাংকটি উক্ত আমানতের ২০% বিধিবদ্ধ তারল্য হিসেবে জমা রাখে। বাকিটুকু ব্যাংক হিসাবের মাধ্যমে ঋণ দেয়। আর এভাবেই বারবার ঋণ আমানত সৃষ্টির মাধ্যমে পদ্মা ব্যাংক সীমার অর্থের সর্বোচ্চ ব্যবহার নিশ্চিত করে।
- উত্তর ডাউনলোড করুন> (১ম পত্র) ব্যবসায়ের মৌলিক ধারণা ১ম পত্র সৃজনশীল প্রশ্ন
- উত্তর ডাউনলোড করুন>(১ম পত্র)১ম: ব্যবসায়ের মৌলিক ধারণা প্রশ্ন উত্তরসহ PDF
- উত্তর ডাউনলোড করুন> HSC ব্যবসায়ের মৌলিক ধারণা প্রশ্নের উত্তরসহ অধ্যায়-১: PDF
- উত্তর ডাউনলোড করুন> HSC অধ্যায়-১: প্রশ্নের উত্তরসহ ব্যবসায়ের মৌলিক ধারণা PDF
- উত্তর ডাউনলোড করুন>অধ্যায়৩: SSC ফিন্যান্স ও ব্যাংকিং‘র সৃজনশীল প্রশ্নোত্তর PDF
- উত্তর ডাউনলোড করুন> অধ্যায়৩: SSC ফিন্যান্স ও ব্যাংকিং‘র জ্ঞানমূলক প্রশ্নোত্তরPDF
ঘ উত্তর: সীমার অর্থ থেকে পদ্মা ব্যাংক যে পরিমাণ ঋণ আমানত সৃষ্টি করতে পারবে তা নিæে নির্ণয় করা হলো
আমরা জানি, উউস = ওজৎ
এখানে,
উউস = (উবসধহফ উবঢ়ড়ংরঃ গঁষঃরঢ়ষরবৎ) = গুণিত আমানত
জৎ = (জবয়ঁরৎবফ খরয়ঁরফরঃু ৎবংবৎাব জধঃরড়) = প্রয়োজনীয় তারল্য জমা নুপাত = ২০% বা ০.২০
ও = (সড়ঁহঃ ড়ভ রহরঃরধষ উবঢ়ড়ংরঃ) = ১,৫০,০০০ টাকা
উউস = ১৫০০০০০.২০ = ৭,৫০,০০০ টাকা
সুতরাং পদ্মা ব্যাংক সীমার ১,৫০,০০০ টাকা থেকে সর্বোচ্চ ৭,৫০,০০০ টাকার ঋণ আমানত সৃষ্টি করতে পারবে।
উক্ত বিষয় সম্পর্কে কিছু জানার থাকলে কমেন্ট করতে পারেন।
আমাদের সাথে ইউটিউব চ্যানেলে যুক্ত হতে এখানে ক্লিক করুন এবং আমাদের সাথে ফেইজবুক পেইজে যুক্ত হতে এখানে ক্লিক করুন। গুরুত্বপূর্ণ আপডেট ও তথ্য পেতে আমাদের ওয়েবসাইটে ভিজিট করুন।