ফিনল্যান্ডে উচ্চ শিক্ষা ও নাগরিকতার সুযোগ সম্পর্কে অনেকে জানা থাকলেও সমস্যা হচ্ছে কিভাবে ফিনল্যাণ্ডে যেতে হয় এবং যেতে হলে কি কি কাগজপত্র প্রয়োজন হয় সে সম্পর্কে অনেকে জানেন না।
আজকের লেখাটা মূলত তাদের জন্যেই যারা ফিনল্যাণ্ডে নাগরিকতা লাভ করে বসবাস করতে চান বা উচ্চ শিক্ষা অর্জন করতে ভালো মানের দেশ বা বিশ্ব বিদ্যালয় সম্পর্কে কম জানেন তাদের জন্যই ফিনল্যান্ডে উচ্চ শিক্ষা ও নাগরিকতার সুযোগ সম্পর্কে আজকের আলোচনা।
সর্ব উত্তরের ইউরোপীয় ইউনিয়নভুক্ত Scandinavia এর নর্ডিক অঞ্চলের একটি দেশ ফিনল্যাণ্ড। জীবনযাত্রার মান যথেষ্ট উন্নত হওয়ায় নানা দিক থেকে বিশ্বের মানুষের মাঝে বেশ আলোচিত একটি দেশ এটি । শীত প্রধান এই দেশটি বিগত কয়েক বছর যাবত বিশ্বের শ্রেষ্ট সফল দেশ হিসাবে বিভিন্ন জরিপে উঠে আসছে ।
ফিনল্যান্ড কেন যাবেন
ফিনল্যান্ড (ফিনীয়: Suomen tasavalta, উচ্চারণ: সুওমেন্ তাসাভাল্তা; সুয়েডীয়: Republiken Finland, উচ্চারণ: রেপুব্লিকেন্ ফিন্লান্দ্) উত্তর-পশ্চিম ইউরোপে বাল্টিক সাগরের উপকূলে অবস্থিত একটি রাষ্ট্র। ফিনল্যান্ড ইউরোপের সবচেয়ে উত্তরে অবস্থিত দেশগুলির একটি। এর এক-তৃতীয়াংশ এলাকা সুমেরুবৃত্তের উত্তরে অবস্থিত।
✎ অনলাইনে যেকোন শিক্ষা
এখানে ঘন সবুজ অরণ্য ও প্রচুর হ্রদ রয়েছে। প্রাচীরঘেরা প্রাসাদের পাশাপাশি আছে অত্যধুনিক দালানকোঠা। দেশটির বনভূমি এর সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ প্রাকৃতিক সম্পদ; এগুলিকে প্রায়ই ফিনল্যান্ডের “সবুজ সোনা” নামে ডাকা হয়। হেলসিঙ্কি ফিনল্যান্ডের রাজধানী ও বৃহত্তম শহর।
ফিনল্যান্ড একটি নিম্নভূমি অঞ্চল। কয়েক হাজার বছর আগেও এটি বরফে ঢাকা ছিল। বরফের চাপে এখানকার ভূমি স্থানে স্থানে দেবে গিয়ে হাজার হাজার হ্রদের সৃষ্টি করেছে। দেশটির সরকারি নাম ফিনল্যান্ড প্রজাতন্ত্র। তবে ফিনীয়রা নিজেদের দেশকে সুওমি বলে ডাকে। সুওমি শব্দের অর্থ হ্রদ ও জলাভূমির দেশ।
ফিনল্যান্ড উত্তর দিকে স্থলবেষ্টিত। উত্তরে নরওয়ে ও পূর্বে রাশিয়ার সাথে এর সীমান্ত আছে। দক্ষিণে ফিনল্যান্ড উপসাগর এবং পশ্চিমে বথনিয়া উপসাগর। ফিনল্যান্ডের দক্ষিণ-পশ্চিম উপকূলে হাজার হাজার ক্ষুদ্র, পাথুরে দ্বীপ আছে। এদের মধ্যে কতগুলিতে মনুষ্য বসতি আছে। এদের মধ্যে বথনিয়া উপসাগরের মুখে অবস্থিত অলান্দ দ্বীপপুঞ্জটি সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ।
ফিনল্যান্ডের মেরু অঞ্চলে মে থেকে জুলাই পর্যন্ত প্রায় সবসময় দিন থাকে। “মধ্যরাতের সূর্যের” এই দিনগুলিতে ফিনল্যান্ডের নয়নাভিরাম উপকূলীয় এলাকাগুলিতে হাজার হাজার লোক নৌকা নিয়ে বেড়াতে আসে। ফিনল্যান্ডের মধ্যভাগের বনভূমিতে অনেক পর্যটক রোমাঞ্চকর অভিযানের টানে ছুটে আসে।
ফিনল্যান্ডকে সাধারণত স্ক্যান্ডিনেভিয়ার অংশ ধরা হয়, এবং স্ক্যান্ডিনেভিয়ার সাথে এর ঘনিষ্ঠ সম্পর্কও আছে। কিন্তু বহু শতাব্দী যাবৎ ফিনল্যান্ড বিরোধী শক্তি সুইডেন ও রাশিয়ার মধ্যে একটি সীমান্ত দেশ হিসেবেই বিদ্যমান ছিল। ৭০০ বছর সুইডেনের অধীনে শাসিন হবার পর ১৮০৯ সালে এটি রুশদের করায়ত্ত হয়। রুশ বিপ্লবের পর ১৯১৭ সালে এটি একটি স্বাধীন রাষ্ট্র হিসেবে জন্ম নেয়।
অনলাইনে যেকোন শিক্ষা
- আরো পড়ুন:-PDF অনার্স প্লেটো:পাশ্চাত্যের রাষ্ট্রচিন্তা সংক্ষিপ্ত প্রশ্নোত্তর
- আরো পড়ুন:-অনার্স প্লেটো:পাশ্চাত্যের রাষ্ট্রচিন্তা সংক্ষিপ্ত প্রশ্নোত্তরPDF
- আরো পড়ুন:-অনার্স প্লেটো:পাশ্চাত্যের রাষ্ট্রচিন্তা অতিসংক্ষিপ্ত প্রশ্নোত্তরPDF
- আরো পড়ুন:- PDF পাশ্চাত্যের রাষ্ট্রচিন্তা: রচনামূলক প্রশ্নোত্তর
- আরো পড়ুন:- ফ্রি PDF পাশ্চাত্যের রাষ্ট্রচিন্তা: সংক্ষিপ্ত প্রশ্নোত্তর
- আরো পড়ুন:- PDF পাশ্চাত্যের রাষ্ট্রচিন্তা: অতিসংক্ষিপ্ত প্রশ্নোত্তর
- আরো পড়ুন:- PDF গ্রিক সমাজ ও প্রতিষ্ঠান: রচনামূলক প্রশ্নোত্তর
দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের পর ১৯৪৮ সালে ফিনল্যান্ড ও সোভিয়েত ইউনিয়ন বন্ধুত্ব ও সহযোগিতার একটি চুক্তি সম্পাদন করে এবং ১৯৯১ সাল পর্যন্ত দেশ দুইটির মধ্যে দৃঢ় অর্থনৈতিক বন্ধন ছিল। ১৯৯১ সালের পরে ফিনল্যান্ড ইউরোপমুখী হয় এবং ১৯৯৫ সালে ইউরোপীয় ইউনিয়নের পূর্ণ সদস্যপদ লাভ করে।
ফিনল্যান্ড ইউরোপের সবচেয়ে নবীন রাষ্ট্রগুলির একটি হলেও এর সাংস্কৃতিক ঐতিহ্য, শিক্ষা ও স্বাতন্ত্র্য সুবিদিত। বিশেষত আধুনিক স্থাপত্যকলা ও শিল্পকারখানা ডিজাইনে ফিনল্যান্ডের সুনাম আছে। সাউনা তথা ফিনীয় ধাঁচের বাষ্পস্নান বিশ্ববিখ্যাত এবং এটি ফিনীয় দৈনন্দিন জীবনের অঙ্গ।
শুধু তাই নয়, শিক্ষা ক্ষেত্রেও দেশটি আমেরিকা আর ইউরোপ, এশিয়াসহ বিশ্বের সকল দেশকে পিছনে ফেলে জায়গা করে নিয়েছে প্রথম জায়গাটি । সহজেই নাগরিকত্ব আর সিকিউর Career তৈরী করা যায় বলে বাংলাদেশ সহ ইউরোপে বসবাসরত বাংলাদেশীদের মাঝে ফিনল্যাণ্ড এ স্টুডেন্ট হিসাবে কিংবা ওয়ার্ক পার্মিট এ আসার আকাঙ্খা ও প্রবণতা বাড়ছে ।
- আরো পড়ুন: ইউরোপের কোনদেশে যেতে বা পড়াশুনায় কত
- আরো পড়ুন: পোল্যান্ডের সেরা ১৫টি বিশ্ববিদ্যালয়ের লিংক
- আরো পড়ুন: ই-কমার্স ব্যবসায়ী হতে যায় করবেন
কিভাবে সহজেই ফিনিশ নাগরিকত্ব পাওয়া যেতে পারে সেই ব্যাপারেই আলোচনার মাধ্যমে জেনে নেবো । ছাত্র হিসাবে ডিগ্রী শেষ করে কিংবা working residence permit বহনকারী ব্যাক্তি হিসাবে ফিনিশ নাগরিকত্ব পাবার ক্ষেত্রে আপনাকে নিম্নোক্ত দিকগুলো খেয়াল রাখতে হবে । এবিষয় মতামত পেশ করবেন ফিনল্যান্ডে বসবাসরত বেশ কিছু শিক্ষার্থীরা।
রেসিডেন্ট পার্মিট স্টেটাস
১. আপনি যদি student হন তাহলে আপনার রেসিডেন্ট পার্মিট স্টেটাস হবে B যেটা আপনার Permanent কোনো কাজের মাধ্যমে A স্টেটাস রেসিডেন্ট পার্মিট এ পরিবর্তন করতে হবে (ডিগ্রী শেষ করেই সাপ্তাহিক ২০ ঘন্টা কাজেই এখন সম্ভব হচ্ছে, তাই অবস্যই ডিগ্রিত সম্মানের সাথে শেষ করুন )।
আর যারা normally ওয়ার্কিং পার্মিট রেসিডেন্ট এ আছেন উনাদের স্টেটাস A status ক্যাটাগরিতেই। সেইখানে নাগরিকত্বের আবেদনের ক্ষেত্রে আপনাদের সবাইকেই উপযুক্ত সময়ের জন্যই অপেক্ষা করা বাঞ্চনীয় ।
নাগরিকত্ব পাবার সুযোগ
২. ফিনল্যাণ্ড এর আমরা যারা আছি তারা A status কিংবা B status এই থাকি না কেন, আপনার ফিনল্যাণ্ড এ বসবাসের সকল প্রকার সময়ই নাগরিকত্ব পাবার ক্ষেত্রে Countable । এই ক্ষেত্রে বর্তমান আপডেটেড rules এ যেটা অনুসরণ করা হচ্ছে তা হলে B status ধারী ব্যাক্তিদের দ্বিগুন বছরকে A স্টেটাস এর সমসাময়িক এক বছর ধরা হবে । আপনি যদি স্টুডেন্ট B Status ধারী ব্যাক্তি হন তবে ফিনল্যাণ্ড আপনার অতিবাহিত ৪ বছর A status resident permit এর ২ বছর হিসাবেই ধরা হবে ।
A স্টেটাস
৩. A স্টেটাস এর সমসাময়িক চার বছর যদি আপনি ফিনল্যাণ্ড এ থাকেন তবে নির্দ্বিধায় ফিনিশ নাগরিকত্বের জন্য আবেদন করতে পারবেন । এইক্ষেত্রে যেটার দরকার তা হলো, পর্যাপ্ত ভাষা দক্ষতার সনদ গ্রহণ (এই ক্ষেত্রে নিচের সংগৃহীত অংশটি পড়ুন ), যৌক্তিক Permanent অর্থনৈতিক সাপোর্ট (চাকরি, ব্যবসা) এইক্ষেত্রে অনেকেই মনে করেন ভাষার দক্ষতা পরীক্ষাটা কঠিন হতে পারে , কিন্তু এমনটা মোটেও নয়।
- আরো পড়ুন: পোল্যান্ডে উচ্চশিক্ষাঃনিজের আবেদন নিজেই করুন
- আরো পড়ুন: পোল্যান্ডে উচ্চশিক্ষাঃ IELTS কি! কোথায় পরীক্ষা দিবেন
- আরো পড়ুন: গণিতে ভালো করার সহজতর কৌশল
বরং নিচের উল্লেখিত তিনটি সেট এর যেকোনো একটি সেট এ আপনি গড়ে ৩ পেলেই যোগ্যতার সাথেই পরীক্ষার সনদ আর সর্বশেষে নাগরিকত্ব পাবার ক্ষেত্রে যোগ্য হিসাবে বিবেচিত হবেন । ভাষার পরীক্ষাটা অনেকটা আমাদের দেশের IELTS এর মতই হয়, অনেক ক্ষেত্রে অধিকতর সহজ। আপনি একবার এই পরীক্ষায় প্রস্তুতিমূলক হিসাবে এমনি এমনি অংশগ্রহন করে দেখতে পারেন, যেটা আমি suggest করব ।
ফিনল্যান্ডে পড়াশোনা কেন?
ব্যাচেলর অব মাষ্টার্স পর্যয়ের বিষয়সমূহ:
উক্ত বিষয় সম্পর্কে কিছু জানার থাকলে কমেন্ট করতে পারেন।
আমাদের সাথে ইউটিউব চ্যানেলে যুক্ত হতে এখানে ক্লিক করুন এবং আমাদের সাথে ফেইজবুক পেইজে যুক্ত হতে এখানে ক্লিক করুন। গুরুত্বপূর্ণ আপডেট ও তথ্য পেতে আমাদের ওয়েবসাইটে ভিজিট করুন।