HSC | বাংলা ২য় | প্রতিবেদন রচনা ৬-১০ | PDF Download: বাংলা দ্বিতীয় পত্র হতে গুরুত্বপূর্ণ সব প্র্রতিবেদন রচনা পত্র গুলো আমাদের এই পোস্টে পাবেন।
প্রিয় ছাত্র ছাত্রী বন্ধুরা আল্লাহর রহমতে সবাই ভালোই আছেন । এটা জেনে আপনারা খুশি হবেন যে, আপনাদের জন্য বাংলা দ্বিতীয় পত্র বিষয়টির গুরুপূর্ণ কিছু প্র্রতিবেদন রচনা পত্র নিয়ে আলোচনা করতে যাচ্ছি ।
সুতরাং সম্পূর্ণ পোস্টটি মনোযোগ সহকারে পড়ুন। আর এইচ এস সি- HSC এর যেকোন বিভাগের গুরুত্বপূর্ণ সকল সাজেশন পেতে জাগোরিকের সাথে থাকুন।
৬. বৃক্ষরোপণ অভিযান সম্পর্কে একটি প্রতিবেদন রচনা করো।
[রা. বো. ১৫, ব. বো. ১৫]
অথবা
বৃক্ষরোপণের গুরুত্ব বর্ণনা করে একটি প্রতিবেদন রচনা করো।
সবুজের অভিযানে কুড়িগ্রাম জেলা প্রশাসন
নিজস্ব প্রতিবেদক : স¤প্রতি কুড়িগ্রাম জেলায় সরকারি উদ্যোগে উদ্যাপিত হলো বৃক্ষরোপণ অভিযান। জেলা প্রশাসকের তত্ত¡াবধানে এ উদ্যোগ গ্রহণ করা হয়েছিল। বৃক্ষরোপণের প্রয়োজনীয়তাকে উপলব্ধি করানোর জন্য এ উদ্যোগ যথেষ্ট ফলপ্রসূ ভ‚মিকা রেখেছে।
মাননীয় এমপি মহোদয়ের হাতে বৃক্ষরোপণ অভিযানের সূচনা হয়। তিনি প্রথমে একটি নিমগাছের চারা রোপণ করেন। এরপর একে একে ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা একটি করে গাছের চারা রোপণ করেন। তাঁরা এলাকাবাসীকে বৃক্ষরোপণে উদ্বুদ্ধ করতে মূল্যবান বক্তব্য দেন।
একটি দেশের মূল ভ‚খণ্ডের শতকরা ২৫ ভাগ বনভ‚মি থাকা আবশ্যক। কিন্তু আমাদের দেশে বনভ‚মি আছে মাত্র ১৭ ভাগ। বনভ‚মির পরিমাণের এ স্বল্পতা আমাদের পরিবেশের জন্য বিরাট হুমকি। বৃক্ষরাজি নির্বিচারে ধ্বংস করার ফলে বাংলাদেশে নানা ধরনের প্রাকৃতিক দুর্যোগ আঘাত হেনেছে। জলবায়ু ক্রমশ এগিয়ে যাচ্ছে চরমভাবাপন্ন পরিণতির দিকে। তাই একটি বৃক্ষ কাটলে তার বদলে অন্তত পাঁচটি বৃক্ষ রোপণ করা উচিত।
‘ক’ জেলা প্রশাসন কর্মকর্তাদের গৃহীত এ বৃক্ষরোপণের এ উদ্যোগ সত্যিই প্রশংসনীয় ছিল। এলাকাবাসীর উদ্দেশ্যে তাঁদের বক্তব্য সবাইকে যথেষ্ট অনুপ্রাণিত করেছে বলে আমার বিশ্বাস। সবশেষে তাঁরা এলাকাবাসীর মাঝে বিনামূল্যে চারা বিতরণ করে আনুষ্ঠানিকতা সমাপ্ত করেন।
প্রতিবেদক
আজিজুল বাশার
চিলমারি, কুড়িগ্রাম
৫/৮/২০১৬।
[এখানে পত্রিকার ঠিকানাসংবলিত খাম আঁকতে হবে]
৭. তোমার স্কুলে বাংলা নববর্ষ উদ্যাপন সম্পর্কে একটি প্রতিবেদন রচনা করো। [সি. বো. ১৫]
১৬ই এপ্রিল, ২০১৬
বরাবর
প্রধান শিক্ষক
রনছ রুহিতপুর উচ্চ বিদ্যালয়
কাটাখালি, মুন্সীগঞ্জ।
বিষয় : পহেলা বৈশাখ উদ্যাপন সম্পর্কে প্রতিবেদন।
জনাব,
স¤প্রতি রনছ রুহিতপুর উচ্চ বিদ্যালয়ে পহেলা বৈশাখ উদ্যাপন সম্পর্কে আদেশপাপ্ত হয়ে নিম্নলিখিত প্রতিবেদন উপস্থাপন করছি।
উৎসাহ উদ্দীপনার সাথে পহেলা বৈশাখ উদ্যাপিত
পহেলা বৈশাখ বাঙালির কাছে অত্যন্ত তাৎপর্যবহুল একটি দিন। প্রতিবছরেই এ দিনটি অত্যন্ত উৎসাহ-উদ্দীপনার মধ্য দিয়ে পালিত হয়। জাতি-ধর্ম-বর্ণ নির্বিশেষে সবাই একযোগে পালন করে থাকে বাংলা নববর্ষ। পুরাতন বছরকে বিদায় জানিয়ে নতুন বছরকে সাদরে বরণ করে নেওয়া হয় বাংলা নববর্ষ উদ্যাপনের মাধ্যমে। রনছ রুহিতপুর উচ্চ বিদ্যালয়ে প্রতিবছর নানা কর্মসূচি গ্রহণ করা হয় বাংলা নববর্ষ উদ্যাপনের উদ্দেশ্যে।
এবারও তার ব্যতিক্রম হলো না। নববর্ষের দিন সকালে বিদ্যালয়ের শিক্ষকগণের উদ্যোগে ছাত্র-ছাত্রীরা নববর্ষের র্যালি নিয়ে বের হয়। এ র্যালিটি বিদ্যালয়ের আশপাশের এলাকা প্রদক্ষিণ করে। এরপর র্যালি নিয়ে সবাই বিদ্যালয় প্রাঙ্গণে উপস্থিত হয় এবং নববর্ষের ঐতিহ্যবাহী খাবার পান্তা-ইলিশ খায়। বিদ্যালয়ের সৌজন্যে এ ছাড়াও নানা মুখরোচক খাবারের আয়োজন করা হয়।
এরপর সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের পর্ব শুরু হয়। যারা সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানে অংশ নেবে তারা আগেই প্রস্তুতি গ্রহণ করেছিল। অনুষ্ঠানের প্রধান অতিথি ছিলেন বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মঞ্জুরুল ইসলাম। সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানটি সঞ্চালনার দায়িত্বে ছিলেন শ্রদ্ধেয় শিক্ষিকা পারভীন নাহার। তিনি প্রথমেই তাঁর সুন্দর বাচনভঙ্গি দিয়ে অনুষ্ঠানটির শুভ সূচনা করেন।
এরপর বাংলা নববর্ষের সেই অমর সংগীত “এসো হে বৈশাখ, এসো এসো”Ñ গানটি সমবেত কণ্ঠে পরিবেশন করে বিদ্যালয়ের ছাত্র-ছাত্রীরা। নাচ, গান, অভিনয়, কৌতুক, আবৃত্তি সব মিলিয়ে দারুণ উপভোগ্য ছিল অনুষ্ঠানটি। প্রত্যেকের উপস্থাপনাই খুব সুন্দর ছিল। অনুষ্ঠান শেষ হয় দুপর ২টার দিকে। শিক্ষকদের সহায়তায় মাঠে নানা ধরনের স্টল সাজিয়েছিল বিভিন্ন শ্রেণির শিক্ষার্থীরা।
স্টলগুলোতে গ্রামীণ ঐতিহ্য ধারণকারী বৈচিত্র্যপূর্ণ পণ্য প্রদর্শিত হয়। প্রধান অতিথি ঘুরে ঘুরে স্টলগুলো দেখেন। সন্ধ্যা ছয়টায় দিনব্যাপী এই অনুষ্ঠানের সমাপ্তি ঘোষণা করা হয়। ছাত্র-ছাত্রীদের পাশাপাশি অভিভাবকগণও এই আয়োজনে আমন্ত্রিত হয়েছিলেন। সবার স্বতঃস্ফ‚র্ত অংশগ্রহণ উৎসবমুখর একটি পরিবেশের সৃষ্টি হয়। সব মিলিয়ে অত্যন্ত আনন্দ ও উচ্ছ¡াসের মধ্য দিয়ে রনছ রুহিতপুর উচ্চ বিদ্যালয়ের বাংলা নববর্ষ উদ্যাপিত হলো।
নিবেদক
সালমা খাতুন
বাণিজ্য বিভাগ
রোল নং-০৫।
[এখানে প্রতিষ্ঠানের ঠিকানাসংবলিত খাম আঁকতে হবে]
৮. তোমার স্কুলে বার্ষিক সাহিত্য ও সাংস্কৃতিক সপ্তাহ উদ্যাপন সম্পর্কিত একটি প্রতিবেদন রচনা করো। [রা. বো. ১৫, চ. বো. ১৫]
১৬ই এপ্রিল, ২০১৬
বরাবর
প্রধান শিক্ষক,
গাছুয়া উচ্চ মাধ্যমিক বিদ্যালয়
মুলাদী, বরিশাল।
বিষয় : বার্ষিক সাহিত্য ও সাংস্কৃতিক সপ্তাহ সম্পর্কে প্রতিবেদন।
জনাব,
স¤প্রতি গাছুয়া উচ্চ মাধ্যমিক বিদ্যালয়ে বার্ষিক সাহিত্য ও সাংস্কৃতিক সপ্তাহ উদ্যাপন সম্পর্কে আদেশপাপ্ত হয়ে নিম্নলিখিত প্রতিবেদন উপস্থাপন করছি।
বার্ষিক সাহিত্য ও সাংস্কৃতিক সপ্তাহ উদ্যাপিত
গাছুয়া উচ্চ মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের বার্ষিক সাহিত্য ও সাংস্কৃতিক সপ্তাহ উদ্যাপিত হয়েছে। সাত দিন ধরে চলে এ অনুষ্ঠান। এবার বিভিন্ন ক্ষেত্রে অংশ নিয়েছে শিক্ষার্থীরা। অনুষ্ঠানের বিষয় ও সময়সূচি ছিল নিম্নরূপ :
তারিখ সময় বিষয়
০৪/০১/২০১৬ ১০:০০ – ১২:০০টা
১২:০০ – ২:০০টা রবীন্দ্রসংগীত
নজরুলসংগীত
০৫/০১/২০১৬ ১০:০০ – ১২:০০টা
১২:০০ – ২:০০টা নৃত্য
কবিতা আবৃত্তি
০৬/০১/২০১৬ ১০:০০ – ১২:০০টা
১২:০০ – ২:০০টা অভিনয়
উপস্থিত বক্তৃতা
০৭/০১/২০১৬ ১০:০০ – ১২:০০টা কৌতুক
দেশাত্মবোধক গান
০৮/০১/২০১৬ ১০:০০ – ১২:০০টা
১২:০০ – ২:০০টা চিত্রাঙ্কন
হাতের লেখা
০৯/০১/২০১৬ ১০:০০ – ১:০০টা অঙ্ক প্রতিযোগিতা
১০/০১/২০১৬ ১০:০০ – ১:০০টা গল্প লেখা প্র্রতিযোগিতা
সাত দিনব্যাপী বর্ণাঢ্য আয়োজনে শিক্ষার্থীরা স্ব স্ব ক্ষেত্রে নিজেদের পারদর্শিতা প্রদর্শন করে। শিক্ষার্থীদের প্রতিভা দেখে বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষিকা অত্যন্ত উচ্ছ¡সিত হন। প্রতিটি শাখায় তিনজন করে সেরা প্রতিযোগীকে নির্বাচিত করা হয়। বিজয়ীদের নাম ঘোষণা করা হলেও পুরস্কার বিতরণী অনুষ্ঠান আগামী মাসে উদ্যাপন করার ঘোষণা দেন প্রধান শিক্ষক। তিনি জানান, উক্ত অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে থাকবেন মাননীয় শিক্ষামন্ত্রী মহোদয়।
এ ঘোষণায় শিক্ষার্থীরা অত্যন্ত উৎফুল্ল হয়ে ওঠে। সুশৃঙ্খলভাবে সাহিত্য ও সাংস্কৃতিক সপ্তাহ উদ্যাপন করে শিক্ষক-শিক্ষিকাগণ এবং শিক্ষার্থীরা বেশ খুশি। সর্বোপরি প্রতিটি পর্বই ছিল বেশ উপভোগ্য। শিক্ষার্থীদের সাবলীল উপস্থাপনা সত্যিই বেশ প্রশংসনীয় ছিল।
প্রতিবেদক
শিমুল অধিকারী
নবম শ্রেণি
মানবিক বিভাগ।
[এখানে প্রতিষ্ঠানের ঠিকানাসংবলিত খাম আঁকতে হবে]
৯. তোমার এলাকায় সম্প্রতি অনুষ্ঠিত বইমেলা সম্পর্কে একটি প্রতিবেদন রচনা করো।
টাঙ্গাইলে বইমেলা অনুষ্ঠিত
টাঙ্গাইলের মাওলানা ভাসানী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসে ১লা ফেব্রæয়ারি থেকে সপ্তাহব্যাপী বইমেলা অনুষ্ঠিত হয়েছে। বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের আয়োজনে অনুষ্ঠিত এ মেলার উদ্বোধন করেন জেলা প্রশাসক মো. নজরুল ইসলাম। মেলায় ছোটবড় প্রায় ১০০টি স্টল ছিল। বাংলা একাডেমিসহ দেশের খ্যাতনামা বেশ কয়েকটি প্রকাশনা প্রতিষ্ঠান এ মেলায় অংশ নেয়। ফলে দর্শক সমাগম হয় প্রচুর।
বইয়ের ব্যাপারে বয়স্কদের তুলনায় তরুণদের আগ্রহই বেশি লক্ষ করা যায়। এতে প্রতিষ্ঠিত লেখকদের কবিতা, গল্প ও উপন্যাসের বই বেশি বিক্রি হয়েছে। সবচেয়ে বেশি বিক্রি হয়েছে জনপ্রিয় লেখক হুমায়ূন আহমেদের উপন্যাস। দ্বিতীয় পর্যায়ে রয়েছে আল মাহমুদ ও শামসুর রাহমানের কাব্যগ্রন্থ। নতুন লেখকদের বইও কিছু কিছু বিক্রি হয়েছে। বইমেলাকে কেন্দ্র করে জেলার সাহিত্যমোদী মানুষের মাঝে ব্যাপক আগ্রহ উদ্দীপনার সৃষ্টি হয়।
বইমেলার শেষদিনে এক আলোচনা সভা ও সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়। স্থানীয় শিল্পীদের কণ্ঠে মনোমুগ্ধকর দেশাত্মবোধক, লোক, রবীন্দ্র ও নজরুলসংগীত পরিবেশিত হয়। বিশ্ববিদ্যালয়ের ভিসি প্রফেসর ড. মো আলাউদ্দিনের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্য রাখেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক ড. আশরাফ সিদ্দিকী।
বিশেষ অতিথি ছিলেন টাঙ্গাইল শিল্পকলা একাডেমির পরিচালক এম এ মুহিত, করটিয়া সাদত বিশ্ববিদ্যালয় কলেজের বাংলা বিভাগের প্রধান ড. কামালুদ্দীন চৌধুরী প্রমুখ। বক্তারা তাঁদের বক্তৃতায় বই পড়ার ওপর গুরুত্বারোপ করেন। জ্ঞানভিত্তিক আলোকিত সমাজ নির্মাণের আহŸান জানান। শ্রেষ্ঠ স্টল হিসেবে পুরস্কৃত হয় ঐতিহ্য প্রকাশনী।
স্টলের সুন্দর ডেকোরেশনের জন্য পুরস্কৃত হয় পাঠশালা প্রকাশন। মেলাকে কেন্দ্র করে তরুণ শিক্ষার্থীদের আগ্রহ উদ্দীপনা ছিল চোখে পড়ার মতো। অনুষ্ঠান ও মেলার শৃঙ্খলা রক্ষায় তারা ছিল খুবই তৎপর। অতিথিরা মেলার সুন্দর আয়োজনের ভ‚য়সী প্রশংসা করেন।
প্রতিবেদক
আরেফিন চৌধুরী
মির্জাপুর, টাঙ্গাইল
১০/০২/২০১৬।
[এখানে প্রতিষ্ঠানের ঠিকানাসংবলিত খাম আঁকতে হবে]
HSC | বাংলা ২য় | কলেজ ভিত্তিক অনুবাদ ১৬১-১৮৫ | PDF Download
HSC | বাংলা ২য় | কলেজ ভিত্তিক অনুবাদ ১৪১-১৬০ | PDF Download
HSC | বাংলা দ্বিতীয় | কলেজ ভিত্তিক অনুবাদ ১২১-১৪০ | PDF Download
HSC | বাংলা দ্বিতীয় | বোর্ড ভিত্তিক অনুবাদ ১০১-১২০ | PDF Download
HSC | বাংলা দ্বিতীয় পত্র | অনুবাদ ৬১-৮০ | Onubad | PDF Download
১০. এলাকার গ্রন্থাগারের দুরবস্থা তুলে ধরে একটি পত্রিকায় প্রকাশের জন্য একটি প্রতিবেদন লেখো। [কু. বো. ১৫]
খুলনা বিভাগীয় গণগ্রন্থাগারের বেহাল দশা
নিজস্ব প্রতিবেদক : খুলনা বিভাগীয় সরকারি গণগ্রন্থাগার ভবনটি সংস্কারের অভাবে জরাজীর্ণ ও এর ভেতরে স্যাঁতসেঁতে হয়ে পড়েছে। ফলে এ গ্রন্থাগারের দুষ্প্রাপ্য ও মূল্যবান বইগুলো নষ্ট হয়ে যাচ্ছে। গ্রন্থাগার সূত্র জানায়, ১৯৬৪ সালে একটি দোতলা ভবনে গ্রন্থাগারটির কার্যক্রম শুরু হয়েছিল। প্রতিষ্ঠার পর থেকে বিএল কলেজ, খুলনা মহিলা কলেজ, আযম খান সরকারি কমার্স কলেজ, এমএম সিটি কলেজসহ বিভিন্ন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের শিক্ষার্থী এবং বিভিন্ন শ্রেণি-পেশার মানুষ নিয়মিত গ্রন্থাগারটিতে আসছেন।
গ্রন্থাগারটির আওতায় দশটি জেলা সরকারি গ্রন্থাগারের প্রশাসনিক ও আর্থিক কার্যক্রম পরিচালিত হয়। বর্তমানে অবকাঠামো এবং জনবল সংকটসহ নানা সমস্যার শিকার গ্রন্থাগারটি। এখানে ১৮ জনের জনবল কাঠামো রয়েছে। কিন্তু কর্মরত আছেন ১৪ জন। লাইব্রেরিয়ানের একটি পদ, রিডিং হল সহকারীর একটি পদ এবং নৈশপ্রহরী ও মালীর একটি করে পদ শূন্য রয়েছে। একটিমাত্র ফটোস্ট্যাট মেশিন, সেটিও অকেজো পড়ে রয়েছে।
সরেজমিনে গিয়ে ভবনটির মেঝে ও দেয়ালগুলো স্যাঁতসেঁতে দেখা গেছে। গ্রন্থাগারের মধ্যে রাখা বইগুলোর অবস্থা অত্যন্ত নাজুক। ধুলা জমে রয়েছে বইগুলোর ওপর। অধিকাংশ চেয়ার-টেবিল ফাঁকা পড়ে থাকতে দেখা যায়। দোতলায় গিয়ে দেখা যায়, সেখানে নতুন বইয়ের স্ত‚প। কিন্তু ক্যাটালগ তৈরি না হওয়ায় সব বই পাঠকের জন্য উন্মুক্ত করা হয়নি।
কয়েকজন কর্মচারী নাম না প্রকাশের শর্তে বলেন, গ্রন্থাগারের মূল সমস্যা জনবল সংকট। ক্যাটালগারের পদ না থাকায় নতুন যে বইগুলো আসে, সেগুলো পাঠকদের জন্য সহজে উন্মুক্ত করা সম্ভব হয় না। একাধিক পাঠকের সাথে কথা বললে তাঁরা আক্ষেপ প্রকাশ করেন। তাঁদের অভিযোগ, আমাদের পক্ষে সব বই কিনে পড়া সম্ভব নয়। তাই এখানে আসি। কিন্তু বই পড়ার সুষ্ঠু পরিবেশ যেমন নেই, তেমনি নেই প্রয়োজনীয় অনেক বই।
অবিলম্বে গ্রন্থাগারটির সংস্কার দাবি করেন তাঁরা। বিভাগীয় গণগ্রন্থাগারের উপপরিচালক রেজাউল করীম বলেন, প্রয়োজনীয় জনবলের অভাবে কাজ করতে খুব সমস্যা হয়। আমরা প্রতি মাসের রিপোর্টের সঙ্গে ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে এসব সমস্যার কথা জানাই। কিন্তু কোনো কাজ হয় না। প্রতিবছর গ্রন্থাগারের সংস্কারকাজের জন্য যে পরিমাণ টাকা বরাদ্দ করা হয়, তা প্রয়োজনের তুলনায় খুবই কম। গণপূর্ত অধিদপ্তরকে বলা হয়েছে নতুন করে ভবন তৈরি করার জন্য একটি প্রকল্প হাতে নিতে।
বহু বছর ধরে খুলনা শহরবাসীর জ্ঞান তৃষ্ণা মিটিয়ে আসছে খুলনা বিভাগীর গণগ্রন্থাগারটি। কিন্তু প্রয়োজনীয় সংস্কারের অভাবে এটির এখন নাজুক অবস্থা। শীঘ্রই এর দিকে নজর না দিলে জ্ঞানার্জনের এ তীর্থস্থানটি সম্পূর্ণরূপে ব্যবহারের অনুপযোগী হয়ে পড়বে।
প্রতিবেদক
সমীর বড়–য়া
খুলশী, খুলনা।
[এখানে পত্রিকার ঠিকানা সংবলিত খাম আঁকতে হবে]
উক্ত বিষয় সম্পর্কে কিছু জানার থাকলে কমেন্ট করতে পারেন।
আমাদের সাথে ইউটিউব চ্যানেলে যুক্ত হতে এখানে ক্লিক করুন এবং আমাদের সাথে ফেইজবুক পেইজে যুক্ত হতে এখানে ক্লিক করুন। গুরুত্বপূর্ণ আপডেট ও তথ্য পেতে আমাদের ওয়েবসাইটে ভিজিট করুন।