পঞ্চম শ্রেণি | প্রাথমিক বিজ্ঞান | অধ্যায় ১০ | বর্ণনামূলক প্রশ্ন উত্তর | PDF: পঞ্চম শ্রেণির প্রাথমিক বিজ্ঞান বিষয়টির ১০ম অধ্যায়টি হতে বেশ কিছু গুরুত্বপূর্ণ বর্ণনামূলক প্রশ্ন উত্তর গুলো আমাদের এই পোস্টে আলোচনা করা হয়েছে। অতএব সম্পূর্ণ পোস্টটি মনযোগ সহকারে পড়ুন।
অধ্যায় ১০ আমাদের জীবনে তথ্য
বর্ণনামূলক প্রশ্ন :
প্রশ্ন \ ১ \ “বাংলাদেশে ঘূর্ণিঝড় আসছে” এই তথ্যটি তুমি টেলিভিশন থেকে পেলে। এখন তুমি কী করবে?
উত্তর : “বাংলাদেশে ঘূর্ণিঝড় আসছে” এই তথ্যটি টেলিভিশন থেকে জানতে পারলে আমি আইসিটি ব্যবহার করে নিচের কাজগুলো করার চেষ্টা করব :
১. প্রথমেই পরিবার ও প্রতিবেশীর সাথে তথ্রটি বিনিময় করব।
২. দূরে থাকা পরিচিতজনদের মোবাইল ফোন বা টেলিফোনের মাধ্যমে তথ্যটি জানাব।
৩. খুদে বার্তা (এসএমএস), ই-মেইল, সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম যেমন- ফেসবুক বা টুইটার ব্যবহার করে ইন্টারনেটের মাধ্যমেও সবাইকে জানাতে পারি।
৪. পরিবার ও পরিচিত সবাইকে নিয়ে নিরাপদ জায়গায় বা ঘূর্ণিঝড় আশ্রয়কেন্দ্রে যাব।
প্রশ্ন \ ২ \ কীভাবে আমরা ইন্টারনেটের মাধ্যমে তথ্য সংগ্রহ করব তা বর্ণনা কর।
উত্তর : ইন্টারনেটের মাধ্যমে তথ্য সংগ্রহ করার পদ্ধতি নিচে বর্ণনা করা হলো
১. ঝবধৎপয ইঞ্জিন যেমন গুগল (মড়ড়মষব), ইয়াহু (ুধযড়ড়), পিপীলিকা (ঢ়রঢ়রষরশধ) ইত্যাদি ব্যবহার করব।
২. যে বিষয়ের তথ্য অনুসন্ধান করছি সে বিষয় সম্পর্কিত “মূল শব্দটি” ঝবধৎপয ইধৎ” এ লিখে “ঝবধৎপয” লেখাটিতে অথবা “ঊহঃবৎ শবু” তে চাপ দেব।
আরো দেখুন
৩. সার্চ ইঞ্জিনে ওয়েবসাইটের যে তালিকাটি এসেছে সেখান থেকে ওয়েবসাইট বেছে নিয়ে প্রয়োজনীয় তথ্য সংগ্রহ করব।
৪. যতবার প্রয়োজন ততবার পূর্বের ধাপগুলো পুনরাবৃত্তি করব। অথবা আরও সুনির্দিষ্ট ‘মূল শব্দ’ নির্বাচন করে প্রয়োজনীয় তথ্যটি অনুসন্ধান করব।
প্রশ্ন \ ৩ \ কেন তথ্য খুঁজে পেতে, বুঝতে, মূল্যায়ন ও ব্যবহার করতে আমাদের যথাযথ দক্ষতা অর্জন করতে হবে?
উত্তর : তথ্য খুঁজে পেতে, বুঝতে, মূল্যায়ন ও ব্যবহার করতে আমাদের যথাযথ দক্ষতা অর্জন করা জরুরি। বর্তমান সময়ে তথ্যের সবচেয়ে বড় উৎস হলো ইন্টারনেট। তাই তথ্য খুঁজতে আমাদের প্রথমেই ইন্টারনেটের ব্যবহার জানতে হবে। ইন্টারনেটের নানান বিষয় যেমন- সার্চ ইঞ্জিন, সার্চ বার, তথ্য নির্বাচন ইত্যাদি বিষয় সম্পর্কে ধারণা থাকা জরুরি।
তা না হলে তথ্য সংগ্রহকারী তথ্য সংগ্রহে ব্যর্থ হবে। আবার তথ্য সংগ্রহকারী যদি সঠিক তথ্য ও তথ্যর গুরুত্ব অনুধাবন করতে না পারেন তবে তথ্য জানার কোনো সুফল পাওয়া যাবে না। জানা তথ্য সবার সাথে বিনিময় করতে হবে।
তথ্য বিনিময়ের জন্য বিনিময় মাধ্যম, যেমন- ইন্টারনেট, ই-মেইল, সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম, রেডিও, টেলিভিশন, মোবাইল ফোন ব্যবহার করার জন্য অভিজ্ঞতার প্রয়োজন। যদি তথ্য সংগ্রহকারী তথ্যের গুরুত্ব মূল্যায়ন করতে না পারেন তবে সে তথ্য ব্যবহার করে তেমন কোনো সুফল পাওয়া যাবে না।
প্রশ্ন \ ৪ \ তথ্য বিনিময় না করলে কী হতে পারে ব্যাখ্যা কর।
উত্তর : তথ্য আমাদের নতুন কিছু লিখতে, কোনো ব্যাপারে সিদ্ধান্ত নিতে, নিরাপদ থাকতে সাহায্য করে। আর তথ্য বিনিময় হলো একটি প্রক্রিয়া যার মাধ্যমে কোনো তথ্য বন্ধু, পরিবার ও অন্যান্য মানুষের সাথে আদান-প্রদান করা হয়। তথ্য বিনিময় আমাদের জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। তথ্য সঠিকসময়ে যথাযথভাবে বিনিময় না করলে ব্যক্তিগত, সামাজিক ও রাষ্ট্রীয় জীবনের উপর ক্ষতিকর প্রভাব পড়তে পারে।
তথ্য বিনিময় আমাদের নিরাপদে থাকতে, ভালোভাবে বাঁচতে এবং বিপদ থেকে রক্ষা পেতে সাহায্য করে। এছাড়া তথ্য বিনিময় না হলে জাতীয় ও আন্তর্জাতিক বিভিন্ন সা¤প্রতিক ঘটনা সম্পর্কে ধারণা রাখা সম্ভব হবে না। সর্বোপরি বলা যায় যে, তথ্য বিনিময়ের মাধ্যমে ক্ষতি কমানো যায়।
প্রশ্ন \ ৫ \ তোমার একজন বন্ধু জাপানে থাকে। তুমি তার সাথে তথ্য বিনিময় করতে চাও। কোন কোন উপায়ে তুমি তার সাথে তথ্য বিনিময় করতে পার। এর জন্য তোমার কী কী প্রযুক্তির দরকার হবে? লেখ।
উত্তর : জাপানে থাকা বন্ধুর সাথে আমি নিম্নলিখিত উপায়ে তথ্য বিনিময় করতে পারি :
১. টেলিফোন বা মোবাইল ফোনের মাধ্যমে।
২. চিঠি আদান-প্রদান করে।
৩. ক্যামেরার মাধ্যমে ছবি বা ভিডিও করে।
৪. ক্ষুদে বার্তা (এস.এম.এস), ই-মেইল, সামাজিক যোগাযোগের মাধ্যমে, যেমন- ফেসবুক বা টুইটার ব্যবহার করে।
তথ্য বিনিময়ের জন্য আমার যেসকল প্রযুক্তি দরকার তা হলো :
১. টেলিফোন বা মোবাইল ফোন,
২. কম্পিউটার,
৩. ইন্টারনেট,
৪. সার্চ ইঞ্জিন ইত্যাদি।
কাঠামোবদ্ধ প্রশ্ন ও উত্তর
যোগ্যতাভিত্তিক প্রশ্ন :
প্রশ্ন \ ১ \ একজন শিক্ষার্থী হিসেবে তুমি কীভাবে শিক্ষায় ইন্টারনেট ব্যবহার করতে পার? তা ৫টি বাক্যে লেখ।
উত্তর : আমি বিভিন্নভাবে শিক্ষায় ইন্টারনেট ব্যবহার করতে পারি। যেমন
১. পাঠ্যবইয়ের পরিবর্তে ই-বুক ব্যবহার করতে পারি।
২. ঘরে বসেই পৃথিবীর যেকোনো দেশের খ্যাতনামা লাইব্রেরির বই পড়তে পারি।
৩. শিক্ষাবিষয়ক বিভিন্ন তথ্য সংগ্রহ ও সংরক্ষণ করতে পারি।
৪. শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের ভর্তি ফরম পূরণ করতে পারি।
৫. ইন্টারনেটের মাধ্যমে ক্লাসে অংশগ্রহণ করতে পারি।
প্রশ্ন \ ২ \ আমাদের জীবনে তথ্য প্রযুক্তির পাঁচটি ব্যবহার লেখ।
উত্তর : আমাদের জীবনের বিভিন্ন কাজে তথ্যের আদান-প্রদান করতে হয়। নিচে তথ্য প্রযুক্তির পাঁচটি ব্যবহার উল্লেখ করা হলো:
১. আবহাওয়ার পূর্বাভাস পেতে আমরা তথ্য প্রযুক্তিকে কাজে লাগাই। এর সাহায্যে আমরা একটি অঞ্চলের বায়ুমণ্ডলের তাপ, চাপ, উষ্ণতা, আর্দ্রতা, বৃষ্টিপাত, বায়ুপ্রবাহ ইত্যাদির অবস্থা জানতে পারি।
২. তথ্য প্রযুক্তি ব্যবহার করে আমরা চিকিৎসা ক্ষেত্রে বিভিন্ন রোগের লক্ষণ, ওষুধের ক্রিয়া-প্রতিক্রিয়া ইত্যাদি জানতে পারি।
৩. আমাদের পরীক্ষার উত্তরপত্র মূল্যায়ন ও ফলাফল প্রকাশে তথ্যপ্রযুক্তি ব্যবহৃত হয়।
৪. ছবি আঁকতে, ডিজাইন করতে, তথ্য সংরক্ষণ করে রাখতে তথ্য প্রযুক্তি কাজে লাগে।
৫. বৈজ্ঞানিক গবেষণায় বিভিন্ন তথ্য বিশ্লেষণ, সিদ্ধান্ত গ্রহণ, যন্ত্রপাতি নিয়ন্ত্রণ ইত্যাদি কাজে তথ্যপ্রযুক্তি ব্যবহৃত হয়।
প্রশ্ন \ ৩ \ তথ্য প্রযুক্তি বলতে কী বুঝ? শিক্ষাক্ষেত্রে তথ্য প্রযুক্তি কীভাবে কাজে লাগে তা তিনটি বাক্যে লেখ।
উত্তর : বিংশ শতাব্দীর মাঝামাঝি উদ্ভাবিত যে নতুন প্রযুক্তির উদ্ভাবন ও বিকাশ সম্পর্কে ধারণা পেয়েছি তাকে তথ্য প্রযুক্তি বলে।
শিক্ষাক্ষেত্রে তথ্য প্রযুক্তির ব্যবহার :
১. পরীক্ষার ফরম পূরণ করতে তথ্য প্রযুক্তি কাজে লাগে।
২. তথ্য প্রযুক্তির মাধ্যমে পরীক্ষার রেজাল্ট পেতে পারি।
৩. শিক্ষাক্ষেত্রে বিজ্ঞান চর্চা ও গবেষণায় তথ্যপ্রযুক্তির ভ‚মিকা অনস্বীকার্য।
প্রশ্ন \ ৪ \ ইন্টারনেট কী কী কাজে লাগে দুইটি বাক্যে লেখ। তথ্য সংরক্ষণের তিনটি উপায় লেখ।
উত্তর : ইন্টারনেট যেসব কাজে লাগে তা দুইটি বাক্যে লেখা হলো :
১. ইন্টারনেটের মাধ্যমে যেকোনো তথ্য সহজেই সংগ্রহ করা যায়।
২. রসধমব, ারফবড়ং, ঝযড়ঢ়ঢ়রহম বা অন্য ঙঢ়ঃরড়হ ঝবষবপঃ করে তথ্য সম্পর্কিত ছবি, ভিডিও বা চৎড়ফঁপঃ কেনা সম্পর্কে তথ্য নেওয়া যায়।
তথ্য সংরক্ষণের তিনটি উপায় নিম্নরূপ :
১. ইন্টারনেটে তথ্যটি অনুসন্ধানের পর প্রাপ্ত তথ্যটি আমরা খাতায় লিখে, ছবি তুলে সংরক্ষণ করতে পারি।
২. বর্তমানে তথ্য সংরক্ষণের জন্য বিভিন্ন তথ্য সংরক্ষণ প্রযুক্তি যেমন : পেনড্রাইভ, সিডি, ডিভিডি, মেমরিকার্ড ইত্যাদি ব্যবহার করি।
৩. ইন্টারনেটে তথ্যটি অনুসন্ধানের পর ভিডিও রেকর্ড করে তথ্য সংরক্ষণ করতে পারি।
প্রশ্ন \ ৫ \ কম্পিউটারের বিভিন্ন অংশের নাম লেখ। ইন্টারনেটের তিনটি ব্যবহার লেখ।
উত্তর : কম্পিউটারের বিভিন্ন অংশের নাম নিম্নরূপ :
১. সিপিইউ; ২. মনিটর; ৩. স্পিকার; ৪. প্রিন্টার; ৫. মাউস; ৬. কি-বোর্ড।
ইন্টারনেটের তিনটি ব্যবহার :
১. ইন্টারনেটের মাধ্যমে বই, খবরের কাগজ, অথবা যেকোনো তথ্য সংগ্রহ করা যায়।
২. ইন্টারনেটের মাধ্যমে বহিঃবিশ্বের সাথে তথ্য বিনিময় করা যায়।
৩. ইন্টারনেটের মাধ্যমে শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের ভর্তি ফরম পূরণ করা যায়।
প্রশ্ন \ ৬ \ তথ্য কী? তথ্য সংরক্ষণের চারটি উপায় লিখ।
উত্তর : তথ্য হলো কাঁচামাল, উপাত্ত যখন বিশেষ প্রয়োজনে ব্যবহৃত হয় তখন তাই তথ্য।
তথ্য সংরক্ষণের চারটি উপায় নিম্নরূপ :
১. ইন্টারনেটে তথ্যটি অনুসন্ধানের পর প্রাপ্ত তথ্যটি আমরা খাতায় লিখে, ছবি তুলে সংরক্ষণ করতে পারি।
২. বর্তমানে তথ্য সংরক্ষণের জন্য বিভিন্ন তথ্য সংরক্ষণ প্রযুক্তি যেমন : পেনড্রাইভ, সিডি, ডিভিডি, মেমরিকার্ড ইত্যাদি ব্যবহার করি।
৩. ইন্টারনেটে তথ্যটি অনুসন্ধানের পর ভিডিও রেকর্ড করে তথ্য সংরক্ষণ করতে পারি।
৪. তথ্য সংরক্ষণের জন্য ভয়েস রেকর্ড এর মাধ্যমে তথ্য সংরক্ষণ করা যায়।
প্রশ্ন \ ৭ \ শিক্ষাক্ষেত্রে তথ্য প্রযুক্তির পাঁচটি ব্যবহার লিখ।
উত্তর : শিক্ষাক্ষেত্রে তথ্যপ্রযুক্তির পাঁচটি ব্যবহার নিচে উল্লেখ করা হলো :
১. শ্রেণিকক্ষে শিখন পরীক্ষার উত্তরপত্র মূল্যায়ন ও ফলাফল প্রকাশ ইত্যাদি কাজে তথ্যপ্রযুক্তি ব্যবহার হয়।
২. তথ্য প্রযুক্তির সাহায্যে বিশ্বের নামি-দামি স্কুল, কলেজ, বিশ্ববিদ্যালয়ের লাইব্রেরিতে সংরক্ষিত বই পড়া যায়।
৩. ছবি আঁকতে, ডিজাইন করতে, তথ্য সংরক্ষণ করে রাখতে তথ্য প্রযুক্তি কাজে লাগে।
৪. ভর্তি ফরম পূরণ হতে শুরু করে বিভিন্ন পাঠ্যপুস্তক পড়তে শিক্ষার্থীরা ইন্টারনেট প্রযুক্তি ব্যবহার করতে পারে।
৫. শ্রেণির পাঠ্যবইগুলো তথ্যপ্রযুকিত ব্যবহার করে সংরক্ষণ করা যায়।
আরো পড়তে পারেনঃ
পঞ্চম শ্রেণি | বাংলাদেশ ও বিশ্বপরিচয় | অধ্যায় ১ | সংক্ষিপ্ত প্রশ্ন উত্তর
পঞ্চম শ্রেণি | বাংলাদেশ ও বিশ্বপরিচয় | অধ্যায় ২ | সংক্ষিপ্ত প্রশ্ন উত্তর
পঞ্চম শ্রেণি | বাংলাদেশ ও বিশ্বপরিচয় | অধ্যায় ৩ | সংক্ষিপ্ত প্রশ্ন উত্তর
পঞ্চম শ্রেণি | বাংলাদেশ ও বিশ্বপরিচয় | অধ্যায় ৫ | সংক্ষিপ্ত প্রশ্ন উত্তর
প্রশ্ন \ ৮ \ টেলিভিশন সংবাদের মাধ্যমে জানতে পারলে দেশে ‘ফ্লু’ ছড়িয়ে পড়বে। এখন তোমার করণীয় কী?
উত্তর : টেলিভিশন সংবাদের মাধ্যমে ফ্লু ছড়িয়ে পড়ার খবর পেলে আমি অন্যদের সাথে তথ্যটি বিনিময় করব এবং রোগটি ছড়িয়ে পড়া রোধে কার্যকর পদক্ষেপ নেব।
ফ্লু ছড়িয়ে পড়া সংক্রান্ত তথ্য বিভিন্ন মাধ্যমে প্রচারিত হলে মানুষের ফ্লুতে আক্রান্ত হওয়ার ঝুকি হ্রাস পাবে। এই তথ্য প্রচারে আমিও অংশগ্রহণ করব। পাশাপাশি মুখে মাস্ক ব্যবহার করা, প্রতিষেধক হিসেবে টিকা নেওয়ার ব্যাপারে ডাক্তারের সাথে যোগাযোগের পরামর্শ দেব। মানুষ এই তথ্যগুলো ব্যবহার করে প্রতিরোধমূলক ব্যবস্থা গ্রহণ করবে এবং রোগ থেকে মুক্ত থাকবে।
প্রশ্ন \ ৯ \ ইন্টারনেট কী? এখান থেকে প্রাপ্ত তথ্য কীভাবে সংগ্রহ করবে? কোনো স্থান সম্পর্কে পূর্ণাঙ্গ তথ্য পেতে তুমি কী করবে?
উত্তর : ইন্টারনেট হলো পৃথিবীর বিভিন্ন প্রান্তের কম্পিউটারগুলোর সংযুক্তকারী বিশাল নেটওয়ার্ক।
ইন্টারনেট থেকে প্রাপ্ত তথ্য খাতায় লিখে, ছবি তুলে পেনড্রাইভ, সিডি, ডিভিডি, মেমোরি কার্ড ইত্যাদির মাধ্যমে সংরক্ষণ করব।
কোনো স্থান সম্পর্কে পূর্ণাঙ্গ তথ্য পেতে হলে আমি ইন্টারনেটের সাহায্য নেব। এজন্য সার্চ ইঞ্জিন পিপীলিকার ঝবধৎপয ইধৎ-এ স্থানটির নাম লিখে ঝবধৎপয লেখাটিতে বা ঊহঃবৎ কবু তে চাপ দেব। এরপর ঝবধৎপয ইঞ্জিনে ওয়েবসাইটের যে তালিকা আসবে সেখান থেকে সংশ্লিষ্ট ওয়েবসাইটটি বেছে নিয়ে স্থানটি সম্পর্কে পূর্ণাঙ্গ তথ্য সংগ্রহ করব।
সাধারণ প্রশ্ন :
প্রশ্ন \ ১০ \ ইন্টারনেটের মাধ্যমে তথ্য সংগ্রহ সহজ কেন?
উত্তর : ইন্টারনেট পৃথিবীর বিভিন্ন প্রান্তের অগণিত কম্পিউটারকে একই নেটওয়ার্কে যুক্ত করে বলে এর মাধ্যমে তথ্য সংগ্রহ করা সহজ।
বিভিন্ন মাধ্যম থেকে তথ্য সংগ্রহ করা যায়। তবে ইন্টারনেটের মাধ্যমে তথ্য সংগ্রহ করা অনেক সহজ। ইন্টারনেট হলো তথ্যের সুবিশাল ভাণ্ডার। আমরা আমাদের প্রতিটি তথ্য কম্পিউটার বা মোবাইল ফোনের মাধ্যমে ইন্টারনেট থেকে খুব সহজে সংগ্রহ করতে পারি। একাজে আমাদেরকে সাহায্য করে সার্চ ইঞ্জিন নামক অ্যাপ্লিকেশন সফটওয়্যার, পিপীলিকা, গুগল, ইয়াহু ইত্যাদি।
প্রশ্ন \ ১১ \ বর্তমান পৃথিবীতে তথ্য যোগাযোগ এতো প্রয়োজনীয় কেন?
উত্তর : বর্তমানে পৃথিবী উন্নতির চরম শিখরে পৌঁছেছে। আমাদের বিভিন্ন কাজে যেমন বিদেশের সাথে ব্যবসা-বাণিজ্য, যাতায়াত, কোনো জরুরি খবর, আবহাওয়ার পূর্বাভাস, সতর্কতা সংকেত মুহূর্তে এক দেশ থেকে অন্য দেশের বা একই দেশে বিভিন্ন স্থানে পাঠানো প্রয়োজন। এজন্য তথ্য যোগাযোগ ব্যবস্থা প্রয়োজন।
প্রচার মাধ্যম, ইন্টারনেট, টেলিফোন তথ্য যোগাযোগে বিশেষভাবে ভ‚মিকা রাখে। এর মাধ্যমে ঘরে বসে বিশ্বের ঘটনাবলি মুহূর্তে আমাদের জানা হয়ে যায়। যেখানে যাতায়াত অত্যন্ত কষ্টসাধ্য সেখানের তথ্যও আমরা ঘরে বসে মুহূর্তেই পেয়ে যাই। বর্তমান পৃথিবীতে তথ্য প্রযুক্তির বলে স্বল্প সময়ে, স্বল্প ব্যয়ে, স্বল্প শ্রমে সবই চোখের সামনে চলে আসছে।
উক্ত বিষয় সম্পর্কে কিছু জানার থাকলে কমেন্ট করতে পারেন।
আমাদের সাথে ইউটিউব চ্যানেলে যুক্ত হতে এখানে ক্লিক করুন এবং আমাদের সাথে ফেইজবুক পেইজে যুক্ত হতে এখানে ক্লিক করুন। গুরুত্বপূর্ণ আপডেট ও তথ্য পেতে আমাদের ওয়েবসাইটে ভিজিট করুন।