পঞ্চম শ্রেণি | প্রাথমিক বিজ্ঞান | অধ্যায় ১২ | বর্ণনামূলক প্রশ্ন উত্তর | PDF: পঞ্চম শ্রেণির প্রাথমিক বিজ্ঞান বিষয়টির ১২ তম অধ্যায়টি হতে বেশ কিছু গুরুত্বপূর্ণ বর্ণনামূলক প্রশ্ন উত্তর গুলো আমাদের এই পোস্টে আলোচনা করা হয়েছে। অতএব সম্পূর্ণ পোস্টটি মনযোগ সহকারে পড়ুন।
অধ্যায় ১২ জলবায়ু পরিবর্তন
বর্ণনামূলক প্রশ্ন :
প্রশ্ন \ ১ \ গ্রিন হাউজের ভেতরের পরিবেশ গরম থাকে কেন? ব্যাখ্যা কর।
উত্তর : গ্রিন হাউজ তৈরির মূল উপাদান কাচ, যা তাপ কুপরিবাহী বলে এতে প্রবেশ করা সূর্যের তাপ বেরিয়ে যেতে পারে না। তাই ভেতরের পরিবেশ গরম থাকে।
শীতপ্রধান দেশে তীব্র শীতের কারণে গাছপালা বেঁচে থাকতে পারে না। সেখানে কাচের তৈরি ঘরে শাকসবজির চাষ করা হয় যা গ্রিন হাউজ নামে পরিচিত। সূর্যের তাপ এ কাচ ভেদ করে ভেতরে প্রবেশ করে যা গাছপালা বৃদ্ধির জন্য প্রয়োজনীয়। কিন্তু এ তাপ কাচ ভেদ করে বাহিরে আসতে পারে না।
আরো দেখুন
প্রশ্ন \ ২ \ জলবায়ু পরিবর্তনের হার কমানো এবং এর সাথে খাপ খাওয়ানো কীভাবে সম্পর্কিত?
উত্তর : জলবায়ু পরিবর্তনের হার কমানো এবং এর সাথে খাপ খাওয়ানো অর্থাৎ অভিযোজন প্রক্রিয়া সম্পর্কিত।
পৃথিবীর বিভিন্ন দেশ জলবায়ু পরিবর্তনের হার কমানোর জন্য বিভিন্ন কর্মসূচী হাতে নিয়েছে। যেমন কয়লা, তেল, গ্যাস ইত্যাদি জীবাশ্ম জ্বালানির ব্যবহার কমিয়ে বায়ুমণ্ডলে নির্গত কার্বন ডাইঅক্সাইডের পরিমাণ নিয়ন্ত্রণ করা এবং নবায়নযোগ্য (যেমন : সৌরশক্তি, বায়ুশক্তি) শক্তির ব্যবহার বাড়ানো।
তবে জলবায়ুর যে পরিবর্তন ইতোমধ্যে সাধিত হয়েছে তার সাথে আমাদের খাপ খাওয়াতে হবে। এতে জলবায়ু পরিবর্তনের ফলে সৃষ্ট ঝুকি কমানো ও পরিবর্তিত পরিস্থিতিতে টিকে থাকার যথাযথ ব্যবস্থা গ্রহণ করা সম্ভব হবে।
প্রশ্ন \ ৩ \ কীভাবে আমরা জলবায়ু পরিবর্তনের হার কমাতে পারি?
উত্তর : বৈশ্বিক উষ্ণায়নের প্রধান কারণ বায়ুমণ্ডলে কার্বন ডাইঅক্সাইড নির্গমনের পরিমাণ কমিয়ে আমরা জলবায়ু পরিবর্তনের হার কমতে পারি।
বৈশ্বিক উষ্ণায়নের কারণে পৃথিবীর জলবায়ু ধীরে ধীরে পরিবর্তিত হচ্ছে। কয়লা, তেল, প্রাকৃতিক গ্যাস ইত্যাদি জীবাশ্ম জ্বালানি পোড়ানোর ফলে বায়ুমণ্ডলে কার্বন ডাইঅক্সাইড নির্গত হয়। আবার বনভূমি ধ্বংসের কারণে গাছপালার মাধ্যমে কার্বন ডাইঅক্সাইডের শোষণের হারও কমেছে।
তাই জলবায়ু পরিবর্তনের হার কমাতে জীবাশ্ম জ্বালানির ব্যবহার কমিয়ে নবায়নযোগ্য শক্তির ব্যবহার বাড়াতে হবে। বৃক্ষরোপণের মাধ্যমে বায়ুতে নির্গত কার্বন ডাইঅক্সাইডের শোষণ বাড়ানো সম্ভব। দৈনন্দিন জীবনে শক্তির ব্যবহার কমিয়েও আমরা কার্বন ডাইঅক্সাইডের নির্গমন কমাতে পারি।
প্রশ্ন \ ৪ \ পৃথিবীর বায়ুমণ্ডল গ্রিন হাউজের কাচের মতো কাজ করে কেন?
উত্তর : পৃথিবীর বায়ুমণ্ডলে থাকা কার্বন ডাইঅক্সাইড ও জলীয় বাষ্প ভূপৃষ্ঠের বিকিরিত তাপ পৃথিবীর বাইরে যেতে বাধা প্রদান করে বলে বায়ুমণ্ডল গ্রিন হাউজের মতো কাজ করে।
বায়ুমণ্ডল হলো পৃথিবীকে ঘিরে থাকা বায়ুর স্তর। সেখানে থাকা কার্বন ডাইঅক্সাইড গ্যাস ও জলীয় বাষ্প গ্রিন হাউজের কাচের দেয়ালের মতো কাজ করে। দিনের বেলায় সূর্যের আলো বায়ুমণ্ডলের ভেতর দিয়ে ভূপৃষ্ঠে এসে পড়ে এবং ভূপৃষ্ঠ উত্তপ্ত হয়।
রাতে ভূপৃষ্ঠ হতে সেই তাপ বায়ুমণ্ডলে ফিরে আসে এবং ভূপৃষ্ঠ শীতল হয়। কিন্তু কিছু তাপ বায়ুমণ্ডলের ঐ গ্যাসগুলোর কারণে আটকা পড়ে। এতে রাতের বেলায়ও পৃথিবী উষ্ণ থাকে।
প্রশ্ন \ ৫ \ জলবায়ু পরিবর্তনের সাথে খাপ খাওয়ানো বা অভিযোজন কী ব্যাখ্যা কর।
উত্তর : পরিবর্তিত জলবায়ুতে বেঁচে থাকার জন্য গৃহীত কর্মসূচিই হলো ‘জলবায়ু পরিবর্তনের সাথে খাপ খাওয়ানো বা অভিযোজন’। অভিযোজনের উদ্দেশ্য হলো জলবায়ু পরিবর্তনের ফলে সৃষ্ট ঝুঁকি কমানো ও পরিবর্তিত পরিস্থিতিতে টিকে থাকার জন্য যথাযথ ব্যবস্থা গ্রহণ। এক্ষেত্রে, নিম্নলিখিত ব্যবস্থাগুলো গ্রহণ করা যেতে পারে। যেমন
১. ঘরবাড়ি, বিদ্যালয়, কলকারখানা ইত্যাদি অবকাঠামোর উন্নয়ন করা,
২. বন্যা ও ঘূর্ণিঝড় আশ্রয়কেন্দ্র নির্মাণ করা,
৩. উপক‚লীয় বন সৃষ্টি করা,
৪. লবণাক্ত পরিবেশে বাঁচতে পারে এমন ফসল উদ্ভাবন করা,
৫. জীবন যাপনের ধরন পরিবর্তন করা,
৬. জলবায়ু পরিবর্তনের কারণ সম্পর্কিত ধারণা সকলকে জানিয়ে।
প্রশ্ন \ ৬ \ পৃথিবীর গড় তাপমাত্রা বাড়তে থাকলে আমাদের জীবনে এর কী প্রভাব পড়বে?
উত্তর : বিজ্ঞানীরা গবেষণা করে দেখেছেন যে, পৃথিবীর গড় তাপমাত্রা ধীরে ধীরে বাড়ছে। এভাবে তাপমাত্রা বেড়ে যাওয়াই হলো বৈশ্বিক উষ্ণায়ন। বৈশ্বিক উষ্ণায়নের প্রভাবে মেরু অঞ্চলের বরফ গলছে এবং সমুদ্রের পানির উচ্চতা বৃদ্ধি পাচ্ছে। এর ফলে আমাদের বিভিন্ন প্রাকৃতিক দুর্যোগের সম্মুখীন হতে হয়। এ সকল দুর্যোগের মধ্যে বন্যা, ঘূর্ণিঝড়, জলোচ্ছ্বাস , টর্নেডো, নদী ভাঙন ইত্যাদি অন্যতম।
কাঠামোবদ্ধ প্রশ্ন ও উত্তর
যোগ্যতাভিত্তিক প্রশ্ন :
প্রশ্ন \ ১ \ পৃথিবীল বায়ুমণ্ডলে কার্বন ডাইঅক্সাইড গ্যাস বেড়ে যাওয়ার কারণগুলো পাঁচটি বাক্যে লেখ।
উত্তর : পৃথিবীর বায়ুমণ্ডলে কার্বন ডাইঅক্সাইড গ্যাস বেড়ে যাওয়ার কাণগুলো হলো-
১. প্রাকৃতিক জ্বালানি, যেমন- কাঠ, পাতা, জৈব পদার্থ ইত্যাদি পোড়ানো।
২. যানবাহন ও কলকারখানা জীবাশ্ম-জ্বালানি যেমন- কয়লা, তেল, গ্যাস ইত্যাদির ব্যবহার।
৩. এছাড়াও বেশি বেশি গাছপালা কাটা বা বন উজাড় করার ফলে বাতাসের কার্বন ডাইঅক্সাইড গ্রহীতার পরিমাণ কমে যাচ্ছে।
৪. অতিরিক্ত জনসংখ্যার শ্বসনের ফলে বায়ুমণ্ডলে কার্বন ডাইঅক্সাইডের পরিমাণ বৃদ্ধি পাচ্ছে।
৫. শক্তির ব্যবহার বৃদ্ধি ও অপচয়ের কারণে ও কার্বন ডাইঅক্সাইডের পরিমাণ বাড়ছে।
প্রশ্ন \ ২ \ তুমি দৈনিক পত্রিকা পড়লে পৃথিবীর গড় তাপমাত্রা ধীরে ধীরে বাড়ছে। পৃথিবীর তাপমাত্রা এভাবে বেড়ে যাওয়াকে কী বলে? পরিবেশের ওপর এর প্রভাব সম্পর্কে ৪টি বাক্য লিখ।
উত্তর : পৃথিবীর গড় তাপমাত্রা ধীরে ধীরে বেড়ে যাওয়াকে বৈশ্বিক উষ্ণায়ন বলে।
পরিবেশের ওপর বৈশ্বিক উষ্ণায়নের প্রভাব হলো-
১. আবহাওয়ার বিভিন্ন উপাদানের পরিবর্তন ঘটেছে।
২. বৃষ্টিপাতের ধরন বদলে যাচ্ছে।
৩. বৈশ্বিক উষ্ণতার কারণে পৃথিবীর জলবায়ুও ধীরে ধীরে পরিবর্তিত হচ্ছে।
৪. বায়ুমণ্ডলে কার্বন ডাইঅক্সাইড বৃদ্ধি পাচ্ছে।
প্রশ্ন \ ৩ \ গ্রিন হাউজ কী? একটি গ্রিন হাউজ গ্যাসের নাম লেখ। জলবায়ু পরিবর্তন রোধে আমাদের তিনটি করণীয় লেখ।
উত্তর : গ্রিন হাউজ হলো কাচের তৈরি ঘর যা ভেতরে সূর্যের তাপ আটকে রেখে শীত প্রধান দেশে গাছপালা জন্মাতে সাহায্য করে।
একটি গ্রিন হাউজ গ্যাসের নাম কার্বন ডাইঅক্সাইড।
জলবায়ু পরিবর্তন রোধে আমাদের তিনটি করণীয় নিম্নরূপ :
১. জলবায়ু পরিবর্তন রোধে কারণ ডাইঅক্সাইড গ্যাসের নিঃসরণ কমানো ও বেশি করে গাছ লাগানো।
২. কয়লা, পেট্রোলিয়াম ও প্রাকৃতিক গ্যাস পোড়ানো কমিয়ে তার বদলে নবায়নযোগ্য জ্বালানি যেমন : সৌরশক্তি, বায়ুপ্রবাহ, জৈব জ্বালানি ব্যবহার করা।
৩. বৃক্ষ রোপন করে বায়ুমণ্ডলে থাকা কার্বন ডাইঅক্সাইডের শোষণ বাড়ানো।
প্রশ্ন \ ৪ \ চাঁদনী রাতে খাবার পর হাটাহাটি করতে শামসু বাসার বাইরে বের হলো। কিন্তু বাতাস বেশ উষ্ণ অনুভব করল। এর কারণ ব্যাখ্যা কর।
উত্তর : বায়ুমণ্ডলের জলীয় বাষ্প ও কার্বন ডাইঅক্সাইড ভূপৃষ্ঠের বিকিরিত তাপ আটকে রাখে বলে রাতের বেলাও পৃথিবী বেশ উষ্ণ থাকে।
বায়ুমণ্ডল হলো পৃথিবীকে ঘিরে থাকা বায়ুর স্তর। এই বায়ুমণ্ডলের জলীয় বাষ্প ও কার্বন ডাইঅক্সাইড গ্যাস গ্রিন হাউজের কাচের দেয়ালের মতো কাজ করে। দিনের বেলায় সূর্যের তাপে ভূপৃষ্ঠ উত্তপ্ত হয়। রাতে ভূপৃষ্ঠ থেকে সেই তাপ বায়ুমণ্ডলে ফিরে আসে এবং ভূপৃষ্ঠ শীতল হয়।
কিন্তু কিছু তাপ বায়ুমণ্ডলের জলীয় বাষ্প ও কার্বন ডাইঅক্সাইড গ্যাসের কারণে আটকে পড়ে। ফলে রাতের বেলায় ও পৃথিবী উষ্ণ থাকে। একে বলে গ্রিন হাউজ প্রভাব। অর্থাৎ এই গ্রিন হাউজ প্রভাবের কারণেই শামসুর কাছে রাতের বাতাস বেশ উষ্ণ অনুভব হলো।
প্রশ্ন \ ৫ \ তোমাদের এলাকায় নির্বিচারে বৃক্ষ নিধন হচ্ছে। এ কর্মকাণ্ড কীভাবে বৈশ্বিক উষ্ণয়নকে প্রভাবিত করবে ৫টি বাক্যে লেখ।
উত্তর : বৈশ্বিক উষ্ণায়নে বৃক্ষ নিধনের প্রভাব :
১. আমাদের এলাকায় নির্বিচারে বৃক্ষ নিধনের ফলে গাছপালার মাধ্যমে কার্বন ডাইঅক্সাইড গ্যাসের শোষণের হার কমছে যা বৈশ্বিক উষ্ণায়নকে প্রভাবিত করছে।
২. গাছ থেকে প্রাপ্ত কাঠ পোড়ানোর ফলে প্রকৃতিতে কার্বন ডাইঅক্সাইড গ্যাস নির্গত হয়।
৩. বৈশ্বিক উষ্ণায়নের ফলে পৃথিবীর গড় তাপমাত্রা বৃদ্ধি পায়। যার প্রধান কারণ বায়ুমণ্ডলে কার্বন ডাইঅক্সাইড গ্যাসের পরিমাণ বৃদ্ধি।
৪. সবুজ উদ্ভিদ সালোকসংশ্লেষণ প্রক্রিয়ায় খাদ্য তৈরিতে বায়ুমণ্ডলের কার্বন ডাইঅক্সাইড গ্যাস ব্যবহার করে।
৫. প্রকৃতিতে সবুজ উদ্ভিদের সংখ্যা যত বাড়বে তাদের মাধ্যমে কার্বন ডাইঅক্সাইড গ্যাস শোষণের হারও ততই বাড়বে এবং বৈশ্বিক উষ্ণায়ন তথা জলবায়ু পরিবর্তনের হার তত কমবে।
প্রশ্ন \ ৬ \ তুমি কেন নবায়নযোগ্য শক্তির ব্যবহারকে উৎসাহিত করবে? সপক্ষে যুক্তি উপস্থাপন কর।
উত্তর : বায়ুমণ্ডলে জীবাশ্ম জ্বালানি থেকে নির্গত কার্বন ডাইঅক্সাইডের পরিমাণ কমিয়ে জলবায়ু পরিবর্তনের হারকে হ্রাস করতে আমি নবায়নযোগ্য শক্তির ব্যবহারকে উৎসাহিত করব।
বৈশ্বিক উষ্ণায়নের ফলে পৃথিবীর গড় তাপমাত্রা বৃদ্ধি পাচ্ছে। এর প্রধান কারণ বায়ুমণ্ডলে কার্বন ডাইঅক্সাইড গ্যাসের পরিমাণ বৃদ্ধি। বিদ্যুৎ উৎপাদন কেন্দ্র, কলকারখানা, যানবাহনে বিভিন্ন জীবাশ্ম জ্বালানি পোড়ানো হয়। এ থেকে বায়ুমণ্ডলে প্রচুর পরিমাণ কার্বন ডাইঅক্সাইড গ্যাস নির্গত হয়।
কিন্তু নবায়নযোগ্য শক্তি থেকে বিদ্যুৎ উৎপাদন করা সম্ভব। এতে প্রচুর পরিমাণ জীবাশ্ম জ্বালানি সংরক্ষিত হবে এবং বৈশ্বিক উষ্ণায়নও হ্রাস পাবে। এ জন্য আমাদের উচিত নবায়নযোগ্য শক্তির ব্যবহারকে উৎসাহিত করা।
প্রশ্ন \ ৭ \ জলবায়ু পরিবর্তনের মূল কারণ কী? এর সাথে খাপ খাওয়াতে তোমার পরিকল্পনা উপস্থাপন কর।
উত্তর : জলবায়ু পরিবর্তনের মূল কারণ হলো বৈশ্বিক উষ্ণায়ন এবং বৈশ্বিক উষ্ণায়নের মূল কারণ হলো বায়ুমণ্ডলে কার্বন ডাইঅক্সাইড গ্যাসের পরিমাণ বৃদ্ধি পাওয়া।
জলবায়ু পরিবর্তনের সাথে খাপ খাওয়াতে আমার পরিকল্পনা হলো
১. ঘরবাড়ি, বিদ্যালয়, কলকারখানা ইত্যাদি অবকাঠামোর উন্নয়ন করা।
২. বন্যা ও ঘূর্ণিঝড় আশ্রয়কেন্দ্র নির্মাণ করা।
৩. উপক‚লীয় বন সৃষ্টি করা।
৪. লবণাক্ত পরিবেশে বাঁচতে পারে এমন ফসল উদ্ভাবন করা।
৫. জীবন যাপনের ধরন পরিবর্তন করা।
৬. জলবায়ু পরিবর্তনের কারণ সম্পর্কিত ধারণা সকলকে জানানো।
আরো পড়তে পারেনঃ
পঞ্চম শ্রেণি | বাংলাদেশ ও বিশ্বপরিচয় | অধ্যায় ১ | সংক্ষিপ্ত প্রশ্ন উত্তর
পঞ্চম শ্রেণি | বাংলাদেশ ও বিশ্বপরিচয় | অধ্যায় ২ | সংক্ষিপ্ত প্রশ্ন উত্তর
পঞ্চম শ্রেণি | বাংলাদেশ ও বিশ্বপরিচয় | অধ্যায় ৩ | সংক্ষিপ্ত প্রশ্ন উত্তর
পঞ্চম শ্রেণি | বাংলাদেশ ও বিশ্বপরিচয় | অধ্যায় ৫ | সংক্ষিপ্ত প্রশ্ন উত্তর
সাধারণ প্রশ্ন :
প্রশ্ন \ ১ \ শীতপ্রধান দেশে কী উদ্দেশ্যে গ্রিনহাউজ বানানো হয়? বায়ুমণ্ডলে কার্বন ডাইঅক্সাইড গ্যাস বেড়ে যাওয়ার তিনটি কারণ লিখ।
উত্তর : শীতপ্রধান দেশে তীব্র শীতে গাছপালা টিকতে পারে না। এজন্য কাচের ঘর বানিয়ে সবুজ শাকসবজি চাষ করা হয় যাতে এই ঘরের ভিতর উদ্ভিদ উষ্ণ ও সজীব থাকে। এ উদ্দেশ্যে গ্রিন হাউজ বানানো হয়।
বায়ুমণ্ডলে কার্বন ডাইঅক্সাইড গ্যাস বেড়ে যাওয়ার তিনটি কারণ নিম্নরূপ :
১. যানবাহন বা কলকারখানায় নানা কাজে জ্বালানি হিসেবে কাঠ, কয়লা, কেরোসিন, পেট্রোল, প্রাকৃতিক গ্যাস প্রভৃতি পোড়ানোর ফলে প্রতিনিয়ত বাতাসে কার্বন ডাইঅক্সাইডের পরিমাণ বেড়ে চলেছে।
২. মানুষ ও অন্যান্য প্রাণী অক্সিজেন গ্রহণ করে ও কার্বন ডাইঅক্সাইড ত্যাগ করে। এতেও বায়ুমণ্ডলে কার্বন ডাইঅক্সাইডের পরিমাণ বাড়ছে।
৩. অবাধে ও অপরিকল্পিতভাবে বন উজাড় হওয়ার ফলে কার্বন ডাইঅক্সাইড বেড়ে যাচ্ছে।
প্রশ্ন \ ২ \ বাস্তব ঘটনা থেকে কীভাবে বৈশ্বিক উষ্ণায়ন পর্যবেক্ষণ করা সম্ভব?
উত্তর : সমুদ্রের পানির উচ্চতা বৃদ্ধি পরিমাপ করে বৈশ্বিক উষ্ণায়ন পর্যবেক্ষণ করা সম্ভব। পৃথিবীর মেরু অঞ্চলে ও পর্বতের চ‚ড়ায় প্রচুর পরিমাণে বরফ জমা আছে। বৈশ্বিক উষ্ণায়নের ফলে ঐ বরফ গলে গিয়ে সমুদ্রের পানির উচ্চতা বৃদ্ধি পাচ্ছে। ভূ-উপগ্রহ থেকে তোলা ছবি পর্যবেক্ষণ করলে মেরু অঞ্চলের সঞ্চিত বরফের পরিমাণ হ্রাস পাওয়ার ঘটনা স্পষ্ট হয়ে ওঠে।
বিজ্ঞানীদের ধারণা এভাবে পৃথিবীর তাপমাত্রা ও সমুদ্র পৃষ্ঠের উচ্চতা বৃদ্ধি পেলে বাংলাদেশের উপক‚লীয় অঞ্চলসহ পৃথিবীর অন্যান্য নিম্নভূমি পানিতে তলিয়ে যাবে। অর্থাৎ সমুদ্রের পানির উচ্চতা বৃদ্ধির বাস্তব ঘটনা থেকে বৈশ্বিক উষ্ণায়ন পর্যবেক্ষণ করা সম্ভব।
প্রশ্ন \ ৩ \ বৈশ্বিক উষ্ণায়ন কী? জলবায়ু পরিবর্তন রোধের চারটি করণীয় লেখ।
উত্তর : পৃথিবীর গড় তাপমাত্রা ধীরে ধীরে বাড়ছে। পৃথিবীর তাপমাত্রা এভাবে বেড়ে যাওয়াকে বৈশ্বিক উষ্ণায়ন বলে।
জলবায়ু পরিবর্তন রোধের তিনটি করণীয় নিচে উল্লেখ করা হলো :
১. বায়ুমণ্ডলে কার্বন ডাইঅক্সাইড নির্গমনের পরিমাণ কমিয়ে দেওয়া।
২. জীবাশ্ম জ্বালানী যেমন : কয়লা, তেল, প্রাকৃতিক গ্যাস ইত্যাদি জীবাশ্ম-জ্বালানির ব্যবহার কমিয়ে নবায়নযোগ্য প্রাকৃতিক সম্পদের ব্যবহার বৃদ্ধি করা।
৩. বৃক্ষরোপণ করা।
৪. শক্তির ব্যবহার ও অপচয় কমিয়ে কার্বন ডাইঅক্সাইড নির্গমন কমালে।
উক্ত বিষয় সম্পর্কে কিছু জানার থাকলে কমেন্ট করতে পারেন।
আমাদের সাথে ইউটিউব চ্যানেলে যুক্ত হতে এখানে ক্লিক করুন এবং আমাদের সাথে ফেইজবুক পেইজে যুক্ত হতে এখানে ক্লিক করুন। গুরুত্বপূর্ণ আপডেট ও তথ্য পেতে আমাদের ওয়েবসাইটে ভিজিট করুন।