HSC | ফিন্যান্স ব্যাংকিং ও বিমা: দ্বিতীয় পত্র | পঞ্চম অধ্যায় | PDF : ফিন্যান্স, ব্যাংকিং ও বিমা দ্বিতীয় পত্রের দ্বিতীয় অধ্যায় অধ্যায় হতে গুরুত্বপূর্ণ সব প্রশ্ন উত্তর গুলো আমাদের এই পোস্টে পাবেন।
প্রিয় ছাত্র ছাত্রী বন্ধুরা আল্লাহর রহমতে সবাই ভালোই আছেন । এটা জেনে আপনারা খুশি হবেন যে, আপনাদের জন্য ফিন্যান্স, ব্যাংকিং ও বিমা দ্বিতীয় পত্রের দ্বিতীয় অধ্যায় অধ্যায় হতে গুরুত্বপূর্ণ সব প্রশ্ন উত্তর নিয়ে আলোচনা করতে যাচ্ছি ।
সুতরাং সম্পূর্ণ পোস্টটি মনোযোগ সহকারে পড়ুন। আর এইচ এস সি- HSC এর যেকোন বিভাগের গুরুত্বপূর্ণ সকল সাজেশন পেতে জাগোরিকের সাথে থাকুন।
পঞ্চম অধ্যায়: হস্তান্তরযোগ্য ঋণের দলিল
১.
ঢণত ব্যাংক লিমিটেড
…………… শাখা
অ/ঈ ৩৪২২৪৫৮৫
নাজমুল কে অথবা বাহককে
টাকা ত্রিশ হাজার টাকা মাত্র প্রদান করুন।
টাকা: ৩০০০০/-
আলম
স্বাক্ষর
[কুমিলা ভিক্টোরিয়া সরকারি কলেজ]
ক. হুকুম চেক কী?
খ. ব্যাংক নোট বলতে কী বোঝ?
গ. প্রদর্শিত চিত্রটি কোন ধরনের চেক? ব্যাখ্যা করো।
ঘ. এরূপ চেকের নিরাপত্তার বিষয়টি বিশ্লেষণ করো।
উত্তর: মেইড ইজি উত্তরপত্র বইয়ের পৃষ্ঠা ৩৬৫ এর ৯ নম্বর দ্রষ্টব্য।
২. সামি ৫০,০০০ টাকার মাল বিক্রয় করেছেন। ক্রেতা রাফি ১ মাস পর টাকা দিতে চায়। সামি বললেন, আপনি স্ট্যাম্পযুক্ত একটি কাগজে ১ মাস পর আমাকে টাকা দেবেন এটি লিখে দিন। অন্যদিকে সামি, রাসেল থেকে নিজেই ৭০,০০০ টাকার মাল কিনেছেন। এক মাস পর টাকা দিতে চাইলে রাসেল বললেন, আমি স্ট্যাম্পযুক্ত সাদা কাগজে একটি দলিল তৈরি করে দেই। আপনি তাতে স্বীকৃতি লিখে স্বাক্ষর করবেন। সামি স্বাক্ষর কেন করতে হবে-এ নিয়ে ভাবছেন। [বেপজা পাবলিক স্কুল এন্ড কলেজ, সাভার]
ক. চেক স্ত‚প পরিস্কারকরণ কী?
খ. মোবাইল ব্যাংকিং হোম ব্যাংকিং অপেক্ষা উত্তম কেন?
গ. রাফি প্রদত্ত দলিলটি কোন ধরনের হস্তান্তরযোগ্য দলিল? ব্যাখ্যা করো।
ঘ. রাসেল এর লিখিত দলিলে সামির স্বাক্ষরের আবশ্যকতা বিশ্লেষণ করো।
উত্তর: মেইড ইজি উত্তরপত্র বইয়ের পৃষ্ঠা ৩৬৪ এর ৭ নম্বর দ্রষ্টব্য।
ক ও খ নং প্রশ্নের সাজেশন
ক নং প্রশ্ন (জ্ঞানমূলক)
প্রশ্ন-১. হস্তান্তরযোগ্য ঋণের দলিল কী? [কু. বো.; চ. বো. ১৭]
উত্তর: ঋণের যে দলিলের মালিকানা এক হাত থেকে অন্য হাতে হস্তান্তর করলে গ্রহীতা এর বৈধ মালিকানা পায় তাকে হস্তান্তরযোগ্য ঋণের দলিল বলে।
প্রশ্ন-২. সরকারি নোট কী?
উত্তর: একটি দেশের সরকার নিজ দায়িত্বে বিহিত মুদ্রা হিসেবে যে নোটের প্রচলন করে তাকে সরকারি নোট বলে। বর্তমানে বাংলাদেশে এক টাকা, দুই টাকা এবং পাঁচ টাকা হচ্ছে সরকারি নোট। সরকার কর্তৃক ইস্যুকৃত এই নোটগুলোকে বিহিত মুদ্রা বলা হয়।
প্রশ্ন-৩. ব্যাংক নোট কী?
উত্তর: সরকারের অনুমতিক্রমে সরকারের ব্যাংক হিসেবে দায়িত্ব পালনকারী প্রতিষ্ঠান কেন্দ্রীয় ব্যাংক কর্তৃক ইস্যুকৃত কাগজী মুদ্রা বা নোটকে ব্যাংক নোট বলে। বর্তমানে বাংলাদেশে দশ টাকা, বিশ টাকা, পঞ্চাশ টাকা, একশত টাকা, পাঁচশত টাকা এবং এক হাজার টাকা নোট হচ্ছে ব্যাংক নোট।
প্রশ্ন-৪. পে-অর্ডার কী? [ব. বো. ১৬]
উত্তর: ব্যাংকের কোনো একটি শাখা যে দলিলের মাধ্যমে এর গ্রাহকদের নির্দিষ্ট পরিমাণ অর্থ প্রদানের নিশ্চিত প্রতিশ্র“তি প্রদান করে তাকে পে-অর্ডার বলে।
প্রশ্ন-৫. কোন ব্যবসায়ের ফলে চেকের প্রচলন শুরু হয়?
উত্তর: ব্যাংক ব্যবসায়ের ফলে চেকের প্রচলন শুরু হয়।
প্রশ্ন-৬. পাওনাদার কর্তৃক কোন বিল লিখা হয়?
উত্তর: পাওনাদার কর্তৃক বিনিময় বিল লিখা হয়।
প্রশ্ন-৭. বিনিময় বিল ও চেকে কয়টি পক্ষ থাকে?
উত্তর: বিনিময় বিল ও চেকে তিনটি পক্ষ থাকে।
প্রশ্ন-৮. বিহিত মুদ্রা কী?
উত্তর: সরকার কর্তৃক ইস্যুকৃত নোটকে বিহিত মুদ্রা বলা হয়। এক টাকা, দুই টাকা এবং পাঁচ টাকা বাংলাদেশে প্রচলিত বিহিত মুদ্রা।
প্রশ্ন-৯. অঙ্গীকারপত্র কী? [ঢা. বো. ১৭]
উত্তর: অঙ্গীকারপত্র বা প্রমিসরি নোট বলতে সাধারণ অর্থে এমন কোনো পত্র বা দলিলকে বোঝায় যাতে কোনো ব্যক্তি অপর ব্যক্তিকে কোনো নির্দিষ্ট পরিমাণ অর্থ নির্দিষ্ট সময় পর প্রদানের অঙ্গীকার প্রদান করে।
প্রশ্ন-১০. অঙ্গীকারপত্রের অপর নাম কী? [সি. বো. ১৭]
উত্তর: অঙ্গীকারপত্রের অপর নাম প্রতিশ্র“তিপত্র।
প্রশ্ন-১১. রেজিস্টার্ড ঋণপত্র কী?
উত্তর: গৃহীত ঋণের স্বীকারোক্তি হিসেবে ঋণদাতাকে প্রতিষ্ঠান যে ঋণের দলিল প্রদান করে তাকে রেজিস্টার্ড ঋণপত্র বলে।
প্রশ্ন-১২. বাণিজ্যিক বিনিময় বিল কী?
উত্তর: ব্যবসায়িক লেনদেন নিষ্পত্তির জন্য যে বিনিময় বিল ব্যবহৃত হয় তাই বাণিজ্যিক বিনিময় বিল।
প্রশ্ন-১৩. আদেষ্টা কে?
উত্তর: যিনি বিল প্রস্তুত করে এতে স্বাক্ষর প্রদান করেন তাকে আদেষ্টা বলে।
প্রশ্ন-১৪. আদিষ্ট কে?
উত্তর: বিনিময় বিলে পণ্যের মূল্য পরিশোধের জন্য নির্দেশিত ব্যক্তিকে আদিষ্ট বলে।
প্রশ্ন-১৫. পে-অর্ডারে মোট কয়টি পক্ষ থাকে?
উত্তর: পে-অর্ডারে মোট ২টি পক্ষ থাকে, যথা: প্রস্তুতকারী ও প্রাপক।
- উত্তর ডাউনলোড করুন> (১ম পত্র) ব্যবসায়ের মৌলিক ধারণা ১ম পত্র সৃজনশীল প্রশ্ন
- উত্তর ডাউনলোড করুন>(১ম পত্র)১ম: ব্যবসায়ের মৌলিক ধারণা প্রশ্ন উত্তরসহ PDF
- উত্তর ডাউনলোড করুন> HSC ব্যবসায়ের মৌলিক ধারণা প্রশ্নের উত্তরসহ অধ্যায়-১: PDF
- উত্তর ডাউনলোড করুন> HSC অধ্যায়-১: প্রশ্নের উত্তরসহ ব্যবসায়ের মৌলিক ধারণা PDF
- উত্তর ডাউনলোড করুন>অধ্যায়৩: SSC ফিন্যান্স ও ব্যাংকিং‘র সৃজনশীল প্রশ্নোত্তর PDF
- উত্তর ডাউনলোড করুন> অধ্যায়৩: SSC ফিন্যান্স ও ব্যাংকিং‘র জ্ঞানমূলক প্রশ্নোত্তরPDF
প্রশ্ন-১৬. বাংলাদেশে সরকারি নোটে কার স্বাক্ষর থাকে?
উত্তর: বাংলাদেশে সরকারি নোটে অর্থ সচিবের স্বাক্ষর থাকে।
প্রশ্ন-১৭. অবাধে হস্তান্তরযোগ্য দলিল কোনগুলো?
উত্তর: অবাধে হস্তান্তরযোগ্য দলিলগুলো হলো- বিনিময় বিল, প্রতিশ্র“তিপত্র ও চেক।
প্রশ্ন-১৮. ভ্রমণকারীর চেক কী?
উত্তর: বিদেশ ভ্রমণে সহায়তার জন্য ভ্রমণকারীদের অনুক‚লে ব্যাংক যে বিশেষ ধরনের চেক ইস্যু করে তাকেই ভ্রমণকারীর চেক বলে।
প্রশ্ন-১৯. ভ্রাম্যমান নোট কী? [কু. বো. ১৭]
উত্তর: ব্যাংক কর্তৃক ইস্যুকৃত যে অবাণিজ্যিক ঋণের দলিলের মাধ্যমে ব্যাংক তার এক বা একাধিক শাখা বা প্রতিনিধিকে কোনো ব্যক্তিকে নির্দিষ্ট অর্থ প্রদানের নির্দেশ দেয় তাকে ভ্রাম্যমান নোট বলে।
প্রশ্ন-২০. ব্যাংক ড্রাফট বা আজ্ঞাপত্র কী? [চ. বো. ১৭]
উত্তর: চাহিবামাত্র প্রাপককে অর্থ পরিশোধের জন্য ব্যাংকের এক শাখা কর্তৃক অন্য শাখা বা প্রতিনিধি ব্যাংককে যে লিখিত নির্দেশ দেয়া হয় তাকে ব্যাংক ড্রাফট বলে।
প্রশ্ন-২১. ব্যাংক নোট কে প্রচলন করে?
উত্তর: ব্যাংক নোট সরকারের পক্ষে কেন্দ্রীয় ব্যাংক প্রচলন করে। বাংলাদেশের ক্ষেত্রে ‘বাংলাদেশ ব্যাংক’ এটি করে থাকে।
প্রশ্ন-২২. অভ্যন্তরীণ ড্রাফট কী?
উত্তর: ড্রাফটের ক্রেতা এবং প্রাপক দেশের ভেতরে অবস্থান করলে সে ড্রাফটকে অভ্যন্তরীণ ড্রাফট বলে।
প্রশ্ন-২৩. দশ টাকার নোট কোন ধরনের নোট?
উত্তর: দশ টাকার নোট হলো ব্যাংক নোট।
প্রশ্ন-২৪. কোনটি বহুল আলোচিত ও জনপ্রিয় হস্তান্তরযোগ্য ঋণের দলিল?
উত্তর: চেক হলো বহুল আলোচিত ও জনপ্রিয় হস্তান্তরযোগ্য ঋণের দলিল।
প্রশ্ন-২৫. ব্যাংকের আজ্ঞাপত্র সাধারণত কত মাস পর্যন্ত কার্যকর থাকে?
উত্তর: ব্যাংকের আজ্ঞাপত্র সাধারণত ৩ মাস পর্যন্ত কার্যকর থাকে।
প্রশ্ন-২৬. কোন ব্যাংক নোট প্রচলন করার ক্ষেত্রে একচ্ছত্র অধিকার ভোগ করে?
উত্তর: কেন্দ্রীয় ব্যাংক নোট প্রচলন করার ক্ষেত্রে একচ্ছত্র অধিকার ভোগ করে।
প্রশ্ন-২৭. বিনিময় বিল কী?
উত্তর: বিনিময় বিল হলো এমন এক প্রকার হস্তান্তরযোগ্য ঋণের দলিল যাতে কোনো ব্যক্তি অপর কোনো ব্যক্তিকে একটি নির্দিষ্ট পরিমাণ অর্থ প্রদানের জন্য শর্তহীন নির্দেশ প্রদান করে এবং অপরপক্ষ এতে স্বীকৃতি দান করে।
প্রশ্ন-২৮. চেক কী?
উত্তর: চেক হলো ব্যাংক কর্তৃক সরবরাহকৃত এমন এক প্রকার ছাপানো পত্র বিশেষ, যা ব্যাংক হতে টাকা উঠানোর মাধ্যম হিসেবে ব্যবহৃত হয়।
প্রশ্ন-২৯. ‘অ/ঈ চধুবব ড়হষু’ এ কথাটির অর্থ কী?
উত্তর: ‘অ/ঈ চধুবব ড়হষু’ এ কথাটির অর্থ হলো ‘প্রাপকের হিসাবে প্রদেয়’।
প্রশ্ন-৩০. পৃষ্ঠাঙ্কন কী?
উত্তর: হস্তান্তরযোগ্য দলিলের প্রস্তুতকারক বা ধারক হস্তান্তরের উদ্দেশ্যে দলিলের সামনে বা পিছনে বা সংযুক্ত পৃথক কোনো কাগজে অথবা একই উদ্দেশ্যে একটি স্ট্যাম্পযুক্ত কাগজে স্বাক্ষর করে একে হস্তান্তরযোগ্য দলিলে পরিণত করাকে পৃষ্ঠাঙ্কন বলে।
প্রশ্ন-৩১. আদেষ্টার দায় কী?
উত্তর: আদিষ্ট বা স্বীকৃতিকারী কর্তৃক বিনিময় বিল বা চেক প্রত্যাখ্যাত হলে এবং লেখককে প্রত্যাখ্যানের উপযুক্ত বিজ্ঞপ্তি প্রদান করা হলে চেকের লেখক, ধারকের নির্দিষ্ট ক্ষতিপূরণের জন্য দায়ী হওয়াকে আদেষ্টার দায় বলে।
খ নং প্রশ্ন (অনুধাবনমূলক)
প্রশ্ন-১. হস্তান্তরযোগ্য ঋণ দলিল বলতে কী বোঝায়? [ঢা. বো. ১৭]
উত্তর: হস্তান্তরের মাধ্যমে যে দলিলের মালিকানার পরিবর্তন ঘটে তাকে হস্তান্তরযোগ্য ঋণের দলিল বলে।
যথানিয়মে একহাত থেকে অন্যহাতে হস্তান্তরের মাধ্যমে এ দলিলের হস্তান্তরগ্রহীতা এর বৈধ মালিকানা লাভ করে। আমাদের দেশের আইনে অঙ্গীকারপত্র, বিনিময় বিল ও চেক হস্তান্তরযোগ্য দলিল হিসেবে গণ্য।
প্রশ্ন-২. হস্তান্তরযোগ্য দলিলকে প্রামাণ্য দলিল বলা হয় কেন?
উত্তর: হস্তান্তরযোগ্য দলিল আইন মোতাবেক হস্তান্তরযোগ্য দলিল প্রামাণ্য দলিল হিসেবে গ্রহণযোগ্যতা পায়।
হস্তান্তরযোগ্য দলিল দু’পক্ষের লেনদেনের ক্ষেত্রে ব্যবহৃত হয় এবং এ দলিলে দু’পক্ষের লেনদেনের সকল বিবরণী, অর্থ ফেরতের সময় তাদের স্বাক্ষরসহ উলেখ করা থাকে।
তাই পরবর্তীতে ধার করা ব্যক্তি অর্থ ফেরতে অস্বীকার করলে অর্থের প্রাপক এই দলিলকে প্রমাণ হিসেবে আইনের সাহায্য নিতে পারে। তাই হস্তান্তরযোগ্য দলিলকে প্রামাণ্য দলিল বলা হয়।
প্রশ্ন-৩. ‘চেকের আদিষ্ট হলো ব্যাংক’ কথাটি বুঝিয়ে লেখো।
উত্তর: চেকের আদিষ্ট হলো ব্যাংক।
হস্তান্তরযোগ্য দলিল আইনের ৬ ধারায় বলা হয়েছে যে, চেক হলো একটি বিনিময় বিল, যা কোনো ব্যাংকের ওপর কাটা বা ইস্যু করা হয় এবং এর অর্থ চাহিবামাত্র পরিশোধ্য। অর্থাৎ চেকের মাধ্যমে আমানতকারী প্রাপককে একটি নির্দিষ্ট পরিমাণ অর্থ প্রদানের জন্য ব্যাংককে নির্দেশ দেয়। ব্যাংক সব ঠিক থাকলে চেকের অর্থ চাহিবামাত্র নির্দিষ্ট ব্যক্তিকে প্রদানে বাধ্য থাকে।
প্রশ্ন-৪. বিনিময় বিল বলতে কী বোঝ? [কু. বো. ১৬]
উত্তর: বিনিময় বিল হচ্ছে এমন একটি হস্তান্তরযোগ্য ঋণের দলিল যার মাধ্যমে প্রস্তুতকারক কোনো নির্দিষ্ট ব্যক্তিকে বা তার আদেশে অন্য কাউকে বা বাহককে নির্দিষ্ট তারিখে নির্দিষ্ট পরিমাণ অর্থ প্রদানের জন্য ব্যাংক শর্তহীন নির্দেশ দেয়।
সাধারণত ধারে পণ্য ক্রয়-বিক্রয়ের ক্ষেত্রে বিক্রেতা বিনিময় বিলের মাধ্যমে ক্রেতার নিকট থেকে নির্দিষ্ট মেয়াদান্তে অর্থ আদায় করে। মেয়াদের আগেই অর্থ সংগ্রহ করলে ক্রেতা-বিক্রেতার নিকট থেকে বাট্টা পায়।
প্রশ্ন-৫. লভ্যাংশ ওয়ারেন্ট বলতে কী বোঝায়? [চ. বো. ১৬]
উত্তর: লভ্যাংশ ঘোষণার পর তা ব্যাংক হতে সংগ্রহের জন্য কোম্পানি শেয়ার মালিকদের যে প্রমাণপত্র প্রদান করে তাকে লভ্যাংশ ওয়ারেন্ট বলে।
লভ্যাংশ ওয়ারেন্টে প্রাপ্ত মোট লভ্যাংশের পরিমাণ উলেখ থাকে। এটি ব্যাংকে জমা দিয়ে শেয়ার মালিক অর্থ সংগ্রহ করে নিতে পারে। এরূপ ওয়ারেন্ট দাগকাটা না হলে যথানিয়মে এটি হস্তান্তরযোগ্য দলিলের মর্যাদা পায়। এর দ্বারা হস্তান্তরগ্রহীতা এর অর্থ সংগ্রহের অধিকারী হয়।
- HSC ব্যবসায়ের মৌলিক ধারণা প্রশ্নের উত্তরসহ অধ্যায়-১: PDF
- HSC অধ্যায়-১: প্রশ্নের উত্তরসহ ব্যবসায়ের মৌলিক ধারণা PDF
- (১ম পত্র)১ম: ব্যবসায়ের মৌলিক ধারণা প্রশ্ন উত্তরসহ PDF
- (১ম পত্র) অধ্যায়-২ ব্যবসায় পরিবেশ সৃজনশীল প্রশ্নোত্তর PDF
- (PDF ১ম পত্র) অধ্যায়-২ ব্যবসায় পরিবেশ সৃজনশীল প্রশ্নোত্তর
প্রশ্ন-৬. লেনদেন নিষ্পত্তিতে হস্তান্তরযোগ্য দলিল গুরুত্বপূর্ণ কেন? ব্যাখ্যা করো।
উত্তর: বাংলাদেশে বহাল আইন অনুযায়ী প্রাপকের নির্দেশ অনুসারে প্রদেয় অঙ্গীকারপত্র, বিনিময় বিল ও চেককে হস্তান্তরযোগ্য দলিল বলে।
বৈদেশিক বাণিজ্যে লেনদেন নিষ্পত্তিতে বিনিময় বিল ব্যাপকভাবে ব্যবহৃত হয়। সকল সমাজেই লেনদেন নিষ্পত্তিতে আমরা চেকের ব্যবহার লক্ষ করি। অঙ্গীকারপত্রও পাওনাদারগণ গ্রহণ করে। মেয়াদি বিনিময় বিল ও অঙ্গীকারপত্রে বাট্টাকরণের সুযোগ থাকে। সর্বোপরি এরূপ দলিল আদালতে ঋণের প্রামান্য দলিল হিসেবে ব্যবহৃত হয়। সে কারণে লেনদেন নিষ্পত্তিতে হস্তান্তরযোগ্য দলিল গুরুত্বপূর্ণ ভ‚মিকা পালন করে।
প্রশ্ন-৭. সরকারি নোট ও ব্যাংক নোটের মধ্যে পার্থক্য কী? [কু. বো. ১৭]
উত্তর: ব্যাংক নোট ও সরকারি নোটের ব্যবহার ও উদ্দেশ্যগত দিক একই হলেও এদের মধ্যে কিছু পার্থক্য রয়েছে। নিæে পার্থক্যসমূহ তুলে ধরা হলো :
পার্থক্যের বিষয় সরকারি নোট ব্যাংক নোট
১. সংজ্ঞা দেশের সরকার নিজ কর্তৃক ও নিজ দায়িত্বে বিহিত মুদ্রা হিসেবে যে নোটের প্রচলন করে তাকে সরকারি নোট বলে। সরকারের অনুমতিক্রমে সরকারের ব্যাংক হিসেবে দায়িত্ব পালনকারী প্রতিষ্ঠান কেন্দ্রীয় ব্যাংক কর্তৃক ইস্যুকৃত কাগজী মুদ্রা বা নোটকে ব্যাংক নোট বলে।
২. মূল্যমান বাংলাদেশের এক টাকা, দুই টাকা ও পাঁচ টাকার নোটগুলো সরকারি নোট। এক টাকা, দুই টাকা ও পাঁচ টাকার নোট ব্যতীত বাকি সব কাগজী নোট ব্যাংক নোট।
৩. ইস্যুকারী কর্তৃপক্ষ সরকারি নোট অর্থ মন্ত্রণালয়ের দায়িত্ব ও প্রত্যক্ষ নিয়ন্ত্রণে ইস্যু হয়ে থাকে। ব্যাংক নোট কেন্দ্রীয় ব্যাংকের অধীনে ইস্যু হয়ে থাকে।
৪. রূপান্তরযোগ্যতা সরকারি নোট অহস্তান্তরযোগ্য বিহিত মুদ্রা হওয়ায় এটি চিহ্নিত মুদ্রায় রূপান্তর করা যায় না। ব্যাংক নোট চিহ্নিত মুদ্রায় রূপান্তরযোগ্য।
উক্ত বিষয় সম্পর্কে কিছু জানার থাকলে কমেন্ট করতে পারেন।
আমাদের সাথে ইউটিউব চ্যানেলে যুক্ত হতে এখানে ক্লিক করুন এবং আমাদের সাথে ফেইজবুক পেইজে যুক্ত হতে এখানে ক্লিক করুন। গুরুত্বপূর্ণ আপডেট ও তথ্য পেতে আমাদের ওয়েবসাইটে ভিজিট করুন।