চতুর্থ শ্রেণি | বাংলা | লিপির গল্প | অনুশীলনী ও অতিরিক্ত প্রশ্ন উত্তর: চতুর্থ শ্রেণির বাংলা বিষয়টির অনুশীলনী হতে গুরুত্বপূর্ণ সব প্রশ্ন উত্তর গুলো আমাদের এই পোস্টে আলোচনা করা হয়েছে। অতএব সম্পূর্ণ পোস্টটি মনযোগ সহকারে পড়ুন।
লিপির গল্প
রচনাটি পড়ে জানতে পারব
প্রাচীনকালের মানুষের জীবনযাত্রার পরিচয়
লিপি উদ্ভবের ইতিহাস
বাংলা লিপি প্রচলনের ইতিহাস
বানানগুলো লক্ষ করি
রাক্ষস, বেঙ্গমী, অভ্যাস, পৃথিবী, বর্ণমালা, প্রাগৈতিহাসিক, ধর্মযাজক, ব্রাহ্মী, মহেঞ্জোদারো, মিশরীয়, ভাষাবিজ্ঞানী, প্রতœতাত্তি¡ক, গবেষণা।
১. জেনে নিই।
লিপির গল্পটিতে ভাষার প্রতীকচিহ্ন হিসেবে বর্ণমালা কীভাবে আস্তে আস্তে একটি রূপ পায় তার একটি ধারণা কথোপকথনের মাধ্যমে বোঝানোর চেষ্টা করা হয়েছে। এখানে শিক্ষক. ও শিক্ষার্থীদের মধ্যে আলোচনার মাধ্যমে লিপিমালা আবিষ্কারের তথ্য জানানোর চেষ্টা করা হয়েছে।
২. শব্দগুলো পাঠ থেকে খুঁজে বের করি। অর্থ বলি।
অভ্যাস সাক্ষর বন্ধন বঙ্গলিপি রূপান্তর
উত্তর :
শব্দ ———-অর্থ
অভ্যাস—–স্বভাব।
সাক্ষর—–অক্ষরজ্ঞান, বর্ণ চেনে এমন।
বন্ধন—–বাঁধন।
বঙ্গলিপি—–বাংলা ভাষার অক্ষর, বর্ণ বা হরফ।
রূপান্তর—–পরিবর্তন।
৩. ঘরের ভিতরের শব্দগুলো খালি জায়গায় বসিয়ে বাক্য তৈরি করি।
অভ্যাস বন্ধন সাক্ষর রূপান্তর বঙ্গলিপি।
ক. …………. লোকের সংখ্যা দিন দিন বাড়ছে।
খ. চা খাওয়ার সময় বাবার পত্রিকা পড়ার ……….।
গ. বাক্যটি সাধু থেকে চলিত ভাষায় ……….. কর।
ঘ. বাংলা লিপির পুরানো নাম ……….।
ঙ. মানুষের সাথে মানুষের ………… দৃঢ় হোক।
উত্তর :
ক. সাক্ষর লোকের সংখ্যা দিন দিন বাড়ছে।
খ. চা খাওয়ার সময় বাবার পত্রিকা পড়ার অভ্যাস।
গ. বাক্যটি সাধু থেকে চলিত ভাষায় রূপান্তর কর।
ঘ. বাংলা লিপির পুরানো নাম বঙ্গলিপি।
ঙ. মানুষের সাথে মানুষের বন্ধন দৃঢ় হোক।
৪. শূন্যস্থান পূরণ করি।
তুমি খুব —– প্রশ্ন করেছ।
আবার নতুন করে নতুন —– বানাতে হতো।
লিপিকে কেউ বলেন —– ।
বঙ্গলিপি থেকেই —– এসেছে।
উত্তর : সুন্দর, গল্প, লিখন পদ্ধতি, বাংলা লিপি।
৫. নিচের শব্দগুলো দিয়ে বিপরীত শব্দ লিখি ও বাক্য রচনা করি।
বিলুপ্ত – ………………………
শিক্ষক. – ………………………
আনন্দ – ………………………
চিন্তা – ………………………
আবিষ্কার – ………………………
সাক্ষর – ………………………
প্রাচীন – ………………………
উত্তর :
শব্দ ———-বিপরীত ———-বাক্য
বিলুপ্ত – উদ্ভব – অপরিচ্ছন্ন পরিবেশ ডেঙ্গু মশার উদ্ভব ঘটে।
শিক্ষক. – ছাত্র – আমি চতুর্থ শ্রেণির ছাত্র।
আনন্দ – বেদনা – অসুস্থ লোকটি বেদনায় কাতরাচ্ছে।
চিন্তা – নিশ্চিন্ততা – নিশ্চিন্ততার সাথে সে ঘুমুতে গেল।
আবিষ্কার – ধ্বংস – পৃথিবীতে অনেক. সভ্যতা ধ্বংস হয়েছে গিয়েছে।
সাক্ষর – নিরক্ষর – লোকটি একেবারে নিরক্ষর।
প্রাচীন – আধুনিক. – আমরা আধুনিক. যুগে বাস করছি।
৬. মুখে মুখে উত্তর বলি ও লিখি।
ক) লিপি বলতে কী বুঝি?
উত্তর : লিপি মানে লেখা। কোনো শব্দ শুনে বা জিনিস দেখে তা সম্পর্কে চিন্তা করে মনের কথা লেখা। মনের কথাকে রেখার বন্ধনে বন্দি করে রাখার ফন্দিই হলো লিপি। লিপির মাধ্যমে আমরা মনের ভাব প্রকাশ ও সংরক্ষণ করি।
খ) লিপি তৈরির চিন্তা এলো কীভাবে?
উত্তর : এখন থেকে প্রায় ছয়-সাত হাজার বছর আগে মানুষ লিখতে-পড়তে জানত না। তখন তারা বাচ্চাদের বানিয়ে বানিয়ে নানা রকম গল্প শোনাত। একসময়ে তারা গল্পগুলো ভুলে যেত। ভুলে গেলে আবার নতুন করে গল্প বানাতে হতো। তাই ভুলে যাওয়ার বিপদ থেকে মুক্তি পাওয়ার জন্য লিপি তৈরির চিন্তা মাথায় এল।
গ) লিপি আবিষ্কারকদের নাম লিখি।
উত্তর : প্রাগৈতিহাসিককালে কে, কখন, কীভাবে লিপি আবিষ্কার করেছিলেন তার কোনো সঠিক. তথ্য পাওয়া যায়নি। আধুনিককালে যাঁরা এ বিষয়ে কাজ করেছেন তাঁদের মধ্যে কোরিয়ার রাজা সে জং এবং ইউরোপের এক. ধর্মযাজক. সন্ত সিরিল-এর নাম জানা যায়।
ঘ) বাংলা লিপি কীভাবে এলো?
উত্তর : বাংলা লিপি কে প্রচলন করেছেন তা জানা যায় নি। প্রাচীন ব্রাহ্মী লিপি থেকে অশোক. লিপি, অশোক. লিপি থেকে কুটিল লিপি এবং কুটিল লিপি থেকে বঙ্গলিপি রূপান্তরিত হয়েছে বলে ধারণা করা হয়। এই বঙ্গলিপিই বাংলা লিপির পুরনো নাম।
ঙ) কখন থেকে মানুষের সভ্যতার পথে নতুন যাত্রা শুরু হলো?
উত্তর : মানুষ যেদিন লিপি দিয়ে কথাকে বন্দি করে রাখতে শিখল, সেদিন থেকেই মানুষের সভ্যতার পথে নতুন যাত্রা শুরু হলো।
৭. বুঝিয়ে বলি।
শূন্যে মিলিয়ে যাওয়া কথাকে রেখার বন্ধনে বন্দি করার ফন্দি হলো লিপি।
উত্তর : অনেক. আগে মানুষ গল্পের মাধ্যমে কথাকে মনে রাখত। তখন লিপি ছিল না। ফলে গল্প ভুলে গেলে কথাও হারিয়ে যেত। তখন আবার গল্প বানাতে হতো। এই হারিয়ে যাওয়া কথাকে ধরে রাখার জন্য লিপির আবিষ্কার হয়েছে। লিপির মাধ্যমে মানুষের মনের কথাকে লিখে রাখা হয়। ফলে কথা হারিয়ে যায় না। এ জন্য বলা হয়েছে শূন্যে মিলিয়ে যাওয়া কথাকে রেখার বন্ধনে বন্দি করার ফন্দি হলো লিপি।
৬. কর্ম-অনুশীলন।
নাটিকাটি শিক্ষকের সহায়তায় অভিনয় করি।
উত্তর : শিক্ষকের সাহায্য নিয়ে নিজেরা কর।
সঠিক. উত্তরটি লেখ।
১) শিক্ষকের শোনানো লিপির গল্পটি ছিল ছ
ক. সম্পূর্ণ সত্য
খ. খানিকটা অনুমান
গ. সম্পূর্ণ মিথ্যা
ঘ. পুরোপুরি বানানো
২) লিপির গল্প মানে কী?
ক. কথা বলার ইতিহাস
খ. লেখার নিয়মকানুন
গ. কথা বলার নিয়মকানুন
ঘ. লেখার ইতিহাস
৩) কতদিন আগে মানুষ লেখা বা পড়া কিছুই জানত না?
ক. একশ-দুইশ বছর আগে
খ. এক-দুই হাজার বছর আগে
গ. তিন-পাঁচ হাজার বছর আগে
ঘ. ছয়-সাত হাজার বছর আগে
ডান পাশের বাক্যাংশের সাথে বাম পাশের বাক্যাংশের মিল কর।
কোরিয়ার রাজা তা কেউ জানেনা
ছয়-সাত হাজার বছর আগে কুটিল লিপি থেকে
লিপির সংখ্যা কত সে জং
বঙ্গলিপির রূপান্তর ঘটে ব্রাহ্মণী লিপি থেকে
কোনো বর্ণমালা ছিল না
উত্তর :
কোরিয়ার রাজা—–সে জং
ছয়-সাত হাজার বছর আগে—–কোনো বর্ণমালা ছিল না
লিপির সংখ্যা কত—–তা কেউ জানে না
বঙ্গলিপির রূপান্তর ঘটে—–কুটিল লিপি থেকে
নিচের বানানগুলো শুদ্ধ করে লেখ।
বর্নমালা, রুপান্তর, প্রতœতাত্তিক, মহেঞ্জদারো, পদ্ধতি।
উত্তর :
ভুল বানান ———-শুদ্ধ বানান
বর্নমালা – বর্ণমালা
রুপান্তর – রূপান্তর
প্রতœতাত্তিক. – প্রতœতাত্তি¡ক
মহেঞ্জদারো – মহেঞ্জোদারো
পদ্দতি – পদ্ধতি
নিচের শব্দগুলোর সমার্থক. শব্দ লেখ।
রাত, চাঁদ, নতুন, অক্ষর, পাহাড়।
উত্তর :
মূল শব্দ———- সমার্থক. শব্দ
রাত ———- নিশি, রাত্রি।
চাঁদ———- শশী, সুধাকর।
নতুন ———- নব, নবীন।
অক্ষর ———- হরফ, বর্ণ।
পাহাড়———- পর্বত, গিরি।
নিচের প্রশ্নগুলোর উত্তর লেখ।
ক) লিপির আর কী কী নাম আছে?
উত্তর : লিপিকে কেউ বলেন ‘লিখন পদ্ধতি’, কেউ বা ‘বর্ণমালা’, কেউ নাম দিয়েছেন ‘হরফ’, কেউ বলেন ‘অক্ষর’, কেউ বা আবার ‘অ্যালফাবেট’।
খ) লিপি নিয়ে বর্তমানে কারা, কী ধরনের কাজ করছেন?
উত্তর : প্রাচীন যেসব লিপির নমুনা পাওয়া গেছে যেমন- মহেঞ্জোদারোর লিপি, মিশরীয় লিপি ইত্যাদি নিয়ে কাজ করছেন ভাষাবিজ্ঞানী ও প্রতœতাত্তি¡কেরা। তাঁরা এ লিপিগুলোর পাঠ উদ্ধারের জন্য গবেষণা চালিয়ে যাচ্ছেন।
বুঝিয়ে লেখ
শূন্যে মিলিয়ে যাওয়া কথাকে রেখার বন্ধনে বন্দি করার ফন্দি হলো লিপি।
উত্তর : আলোচ্য অংশটুকু ‘লিপির গল্প’ নামক. রচনা থেকে নেওয়া হয়েছে।
এখানে মানুষের মনে লিপির ভাবনা আসার কারণটি তুলে ধরা হয়েছে।
আমরা যে কথা বলি তা অদৃশ্য। তাই আমাদের বলা কথাগুলো একসময় হারিয়ে যায়। মনের কথাকে লিখে রাখার জন্য মানুষ যে কৌশল আবিষ্কার করে তার নামই লিপি।
নিচের অনুচ্ছেদটি পড়ে ১, ২, ৩ ও ৪ নম্বর প্রশ্নের উত্তর লেখ।
শূন্যে মিলিয়ে যাওয়া কথাকে রেখার বন্ধনে বন্দি করার ফন্দিই হলো লিপি। এখন যন্ত্রের বাক্সে কথাকে বন্দি করে রাখা হয়, তখন হাতে আঁকা রেখায় কথাকে বন্দি করে রাখা হতো। কথাকে রেখার বন্ধনে বন্দি করে রাখার জন্যই তৈরি হলো লিপি। লিপিকে কেউ বলেন লিখন পদ্ধতি, কেউ বলেন বর্ণমালা, কেউ বলেন হরফ, কেউ বলেন অক্ষর, কেউ বলেন ‘অ্যালফাবেট’।
মানুষ যেদিন লিপি দিয়ে কথাকে বন্দি করে রাখতে শিখল সেদিন থেকেই মানুষের সভ্যতার পথে নতুন যাত্রা শুরু হলো। প্রাগৈতিহাসিক. কালে কে, কখন, কীভাবে লিপি আবিষ্কার করেছিলেন তা কেউ সঠিকভাবে বলতে পারবে না। আধুনিককালে যাঁরা এ-ধরনের কাজ করেছেন তাঁদের কারো কারো নাম জানা যায়।
যেমন, কোরিয়ার রাজা সে জং এবং ইউরোপের এক. ধর্মযাজক. সন্ত সিরিল। বাংলা লিপি কে প্রচলন করেছেন তা জানা যায় না। প্রাচীন ব্রাহ্মী লিপি থেকে অশোক. লিপি, অশোক. লিপি থেকে কুটিল লিপি এবং কুটিল লিপি থেকে বঙ্গলিপি রূপান্তরিত হয়েছে বলে ধারণা করা হয়। এই বঙ্গলিপিই বাংলা লিপির পুরনো নাম।
অনেক. লিপি কালে কালে বিলুপ্ত হয়ে গেছে। অনেক. লিপির নমুনা পাওয়া গেছে, যেমন : মহেঞ্জোদারোর লিপি, মিশরীয় লিপি। তবে এগুলোর পাঠ উদ্ধারের জন্য এখনো ভাষাবিজ্ঞানী ও প্রতœতাত্তি¡করা আরও গবেষণা করছেন।
১. সঠিক. উত্তরটি উত্তরপত্রে লেখ।
১) শূন্যে মিলিয়ে যাওয়া কথাকে কিসের মাধ্যমে বন্দি করা যায়?
(ক) লিপির মাধ্যমে
(খ) যন্ত্রের মাধ্যমে
(গ) বর্ণমালার মাধ্যমে
(ঘ) সবগুলোর মাধ্যমেই
২) সন্ত সিরিল কে ছিলেন?
(ক) ইউরোপের একজন রাজা
(খ) লিপির গবেষক
(গ) কোরিয়ার একজন ধর্মযাজক
(ঘ) বাংলা লিপির উদ্ভাবক
৩) বাংলা লিপির পুরনো নাম কী?
(ক) অশোক. লিপি
(খ) মিশরীয় লিপি
(গ) কুটিল লিপি
(ঘ) বঙ্গলিপি
৪) প্রাচীনকালের নিদর্শন গবেষণা করে যাঁরা ইতিহাস আবিষ্কারের চেষ্টা করেন তাঁদের কী বলা হয়?
(ক) ভাষাবিদ
(খ) প্রাগৈতিহাসিক
(গ) প্রততাত্তিক.
(ঘ) ধর্মযাজক
৫) অনুচ্ছেদে প্রকাশিত হয়েছে
(ক) লিপি পড়ার নিয়মকানুন
(খ) লিপি আবিষ্কারের ইতিহাস
(গ) বাংলা লিপির পরিচয়
(ঘ) বিলুপ্ত হওয়া লিপির পরিচয়
উত্তর : ১) (ঘ) সবগুলোর মাধ্যমেই; ২) (খ) লিপির গবেষক; ৩) (ঘ) বঙ্গলিপি; ৪) (গ) প্রতœতাত্তি¡ক;
৫) (খ) লিপি আবিষ্কারের ইতিহাস।
২. নিচের শব্দগুলোর অর্থ লেখ।
ফন্দি, ধর্মযাজক, রূপান্তরিত, বন্ধন, বিলুপ্ত
উত্তর : শব্দ অর্থ
ফন্দি—–কৌশল।
ধর্মযাজক.—–ধর্ম প্রচারক।
রূপান্তরিত—–পরিবর্তিত।
বন্ধন—–বাঁধন।
বিলুপ্ত—–বিলীন হয়েছে যা।
৩. নিচের প্রশ্নগুলোর উত্তর লেখ।
ক) অশোক. লিপি কোন লিপি থেকে রূপান্তরিত হয়?
উত্তর : অশোক. লিপি রূপান্তরিত হয়েছে প্রাচীন ব্রাহ্মী লিপি থেকে।
খ) লিপি নিয়ে কারা, কেন গবেষণা করছেন?
উত্তর : ভাষাবিজ্ঞানী ও প্রতœতাত্তি¡কেরা লিপি নিয়ে গবেষণা করছেন। তাদের উদ্দেশ্য নানা রকম লিপির পাঠোদ্ধার করা।
গ) চারটি লিপির নাম লেখ।
উত্তর : চারটি লিপির নাম হচ্ছে :
(১) বঙ্গলিপি, (২) ব্রাহ্মী লিপি, (৩) মিশরীয় লিপি, (৪) মহেঞ্জোদারোর লিপি।
৪. অনুচ্ছেদটির মূলভাব লেখ।
উত্তর : প্রাচীনকালে মানুষের মুখের কথাকে রেখার বাঁধনে বন্দি করে রাখার জন্যই লিপির উদ্ভব ঘটে। লিপির আবিষ্কারের পর থেকে মানব সভ্যতায় এক. নতুন যুগের সূচনা হয়। লিপির আবিষ্কারকদের মধ্যে শুধু আধুনিক. কয়েকজনের নামই জানা যায়। প্রাচীন ব্রাহ্মী লিপি থেকে নানা ধাপে পরিবর্তিত হয়ে বাংলা লিপির প্রচলন ঘটে। বিজ্ঞানীরা এখনও নানা রকম লিপির পাঠ উদ্ধারে গবেষণা চালিয়ে যাচ্ছেন।
এ অংশে পাঠ্য বই বহির্ভূত অনুচ্ছেদ/কবিতাংশ দেওয়া থাকবে। প্রদত্ত অনুচ্ছেদ/কবিতাংশটি পড়ে ৩ ধরনের প্রশ্নের উত্তর করতে হবে। এখানে থাকবে (৫) বহুনির্বাচনি প্রশ্ন, (৬) শূন্যস্থান পূরণ ও (৭) প্রশ্নের উত্তর লিখন। প্রতিটি প্রশ্নের উত্তর করতে হবে।
পাঠ্য বই বহির্ভূত অনুচ্ছেদ/কবিতাংশ পরীক্ষায় কমন পড়বে না। তাই এটি এখানে দেওয়া হলো না। তবে পরীক্ষার প্রশ্নের পূর্ণাঙ্গ. নমুনা (ঋড়ৎসধঃ) বোঝার সুবিধার্থে বইয়ের প্রথম দুটি অধ্যায়ে পাঠ্য বই বহির্ভূত অংশটি সংযোজন করা হয়েছে।
৮. নিচের যুক্তবর্ণগুলো কোন কোন বর্ণ দিয়ে গঠিত ভেঙে দেখাও এবং প্রতিটি যুক্তবর্ণ দিয়ে একটি করে শব্দ গঠন করে বাক্যে প্রয়োগ. দেখাও।
ত্ত, ষ্ক, প্র, হ্ম, চ্ছ।
উত্তর :
ত্ত = ত + ত—–সত্তর
সে গণিতে সত্তর পেয়েছে।
ষ্ক. = ষ + ক.—–পরিষ্কার
ঘরটি পরিষ্কার করা হলো।
প্র = প + র-ফলা ( ্র)—–প্রাণী
আমরা সকল প্রাণীকে ভালোবাসব।
হ্ম = হ + ম—–ব্রহ্মপুত্র
সঠিক. ছন্দে কবিতাটি পড়ো।
চ্ছ = চ + ছ—–স্বচ্ছ
নদীটির পানি বেশ স্বচ্ছ।
৯. সঠিক. স্থানে বিরামচিহ্ন বসিয়ে অনুচ্ছেদটি আবার লেখ।
রাক্ষস খোক্কসের গল্প বেঙ্গমা বেঙ্গামীর গল্প নাকি সুয়োরানি দুয়োরানির গল্প
উত্তর : রাক্ষস-খোক্কসের গল্প, বেঙ্গমা-বেঙ্গমীর গল্প, নাকি সুয়োরানি-দুয়োরানির গল্প?
১০. নিচের ক্রিয়াপদগুলোর চলিত রূপ লেখ।
বানাইতেন, বসিয়া, করিবার, জানিতে, শুনিব।
উত্তর : ক্রিয়াপদ চলিত রূপ
বানাইতেন ———- বানাতেন
বসিয়া ———- বসে
করিবার ———- করবার
জানিতে ———- জানতে
শুনিব ———- শুনব
১১. নিচের শব্দগুলোর বিপরীত শব্দ লেখ।
সত্য, সাক্ষর, বন্দি, নতুন, সঠিক।
উত্তর :
মূল শব্দ ———-বিপরীত শব্দ
সত্য ———- মিথ্যা
সাক্ষর ———- নিরক্ষর
বন্দি ———- মুক্ত
নতুন ———- পুরাতন/পুরনো
সঠিক. ———- ভুল
১২. নিচের প্রশ্নগুলোর উত্তর দাও।
(গদ্যের ক্ষেত্রে প্রযোজ্য নয়)
উক্ত বিষয় সম্পর্কে কিছু জানার থাকলে কমেন্ট করতে পারেন।
আমাদের সাথে ইউটিউব চ্যানেলে যুক্ত হতে এখানে ক্লিক করুন এবং আমাদের সাথে ফেইজবুক পেইজে যুক্ত হতে এখানে ক্লিক করুন। গুরুত্বপূর্ণ আপডেট ও তথ্য পেতে আমাদের ওয়েবসাইটে ভিজিট করুন।