কিভাবে ফর্সা হওয়া যায় (সেরা ১৫টি সহজ উপায়) ।। কিবাবে ফর্সা হওয়া যায়! এমন প্রশ্ন সবার। আসলেই কি ফর্সা হওয়া যায়। চলুন জেনে নেই প্রাকৃতিকভাবে ফর্সা হওয়ার নানা ওপায় আছে কি-না । যা কেউ কেউ ফর্সা হবার চেষ্টা করে আসছেন। কিন্তু সঠিক নিয়ম মেনে না জানার কারনে ফর্সা হতে পারেননি। তাদের জন্যই আজকে আমরা তুলে ধরাবো যা সঠিক ভাবে ব্যবহার করলে আসলেই ফর্সা হওয়া সম্বাব।
আসলে কেনা চায় পুতুলের মতো লম্বা চুল, ফর্সা গায়ের রঙ আর উজ্জ্বল ত্বকের অধিকারিণী হতে! ধরুন কেমিক্যাল প্রোডাক্টগুলো কথাই! আমরা জানি এগুলো আমাদের কোমল ত্বকের অনেক ক্ষতি করে। সেটা জেনেও সুন্দর দেখানোর জন্য আমরা অনেক সময় কেমিক্যালের আশ্রয় নেই। আজ আমি সেই সৌন্দর্য পিপাসুদের জন্য সাধারণ কিছু উপাদান দিয়ে নিরাপদে প্রাকৃতিকভাবে ফর্সা হওয়ার কিছু টিপস দিব। এগুলো ব্যবহারে ত্বক হবে প্রাকৃতিকভাবেই ফর্সা।
প্রাকৃতিকভাবে ফর্সা হওয়ার দারুণ কিছু উপায় /কিভাবে ফর্সা হওয়া যায় (সেরা ১৫টি সহজ উপায়)
জন্মগতভাবে আমরা একেকজন একেক ধরনের গায়ের রং পাই। কেউবা ফর্সা, কেউবা শ্যামলা। গায়ের রং চাপা হলে তা নিয়ে মন খারাপ করেন অনেকেই। আরেকটু উজ্জ্বল ত্বক পাওয়ার আকাঙ্ক্ষা থাকে তাদের। আবার জন্মগতভাবে ফর্সা ত্বক পেয়েও ধুলোবালি আর রোদের কারণে তা হারাতে বসেন অনেকেই। তাই ত্বকের উজ্জ্বলতা ধরে রাখতে তখন নানারকম ক্রিম ব্যবহার করে থাকেন। কিন্তু সেসব ক্রিম কেমিক্যালযুক্ত হওয়ার কারণে তা ত্বকের জন্য সবসময় উপকারী নাও হতে পারে।
১ টেবিল চামচ গুঁড়ো দুধ, ১ টেবিল চামচ মধু, ১ টেবিল চামচ লেবুর রস এবং আধা টেবিল চামচ বাদামের তেল সহ নিম্ন উল্লেখিত ফমূলাগুলো ভালোভাবে মিশিয়ে মুখে ১০-১৫ মিনিট লাগিয়ে রাখুন। তারপর পরিষ্কার করুন। এই প্যাকটি মুখে উজ্জলতা ফিলিয়ে আনবে পাশাপাশী রোদে পোড়া ভাব দূর করবে।
তাই ফর্সা পেতে মেনে চলতে পারেন এই উপায়গুলো
পেঁপে আর ডিমের মাস্ক
পেঁপে আর ডিম একসঙ্গে ব্যবহার করলে ত্বকের রঙ আস্তে আস্তে ফর্সা হচ্ছে আর হালকা হবে। তার সঙ্গে আসছে একটা সুন্দর উজ্জ্বল ভাব। ডিমের প্রোটিন ত্বককে টানটান রাখবে। এর সঙ্গে দই যখন যোগ হবে তখন তা আপনার স্কিনকে ভিতর থেকে পরিষ্কার করবে।
৩ চামচ পেপের রস, ২ চামচ দই, ৪ চামচ অ্যাপেল সিডার ভিনিগার, ৩ চামচ আমন্ড অয়েল, গ্লিসারিন ও একটি ডিমের সাদা অংশ নিন। গ্লিসারিন আর ডিম ছাড়া বাকি সবকটি উপকরণ একটি পাত্রে নিয়ে ভালো করে মিশিয়ে নিন। একটা ঘন পেস্ট মতো তৈরি হবে। সেটা এবার ফ্রিজে রেখে দিন ঘণ্টা দুয়েকের মতো। তারপর বের করে তাতে দিন গ্লিসারিন আর ডিমের সাদা অংশ। খুব ভালো করে মেশান। এবার এই পেস্ট মুখে মাখুন আর রেখে দিন প্রায় ২০ থেকে ২৫ মিনিট। তারপর হালকা গরম পানি দিয়ে ধুয়ে নিন।
বেসন আর লেবুর রসের প্যাক
ত্বকের জন্য বেসন বেশ উপকারী। আর এর পাশাপাশি লেবু খুব ভালোভাবে ত্বককে পরিষ্কার করে।
৩ চামচ বেসন, ২ চামচ লেবুর রস, ১ চামচ হলুদ গুঁড়া ও সামান্য গোলাপ জল নিন। সবকটি উপকরণ খুব ভালো করে একটি পাত্রে মিশিয়ে নিন। তারপর তা মুখে মাখুন। মিশ্রণটা মুখে শুকোতে দিন। তারপর হালকা গরম পানি দিয়ে মুখ ধুয়ে নিন। এটা আপনি সপ্তাহে দুদিন করতে পারেন। হলুদ আপনার ত্বকে উজ্জ্বলতা বাড়াবে আর এর অ্যান্টি ব্যাকটেরিয়াল উপাদান কোনো রকম দাগ হতে দেবে না।
নারী-পুরুষ: বীর্য বা ধাতুর জন্মকথা
মধু আর লেবুর রসের প্যাক
লেবুর রস মুখ পরিষ্কার করে, ডিটক্সিফাই করে সেটা তো আমরা সবাই জানি। সঙ্গে মধু খুব সুন্দর ভাবে মুখের ময়েশ্চার ধরে রাখে। তাই এই মাস্ক কিন্তু খুব কার্যকরী।
২ চামচ মধু ও ২ চামচ লেবুর রস নিন। দুটি উপকরণ মিশিয়ে মুখে মাখতে হবে। তারপর তা রেখে দিতে হবে ২০ মিনিট। এরপর হালকা গরম পানি দিয়ে ধুয়ে নিতে হবে। সপ্তাহে তিন দিন এটা করাই যায়।
দুধ আর লেবুর রসের প্যাক
দুধ ত্বকের জন্য যে কত ভালো তা আমরা সকলে জানি। এটি ত্বককে পরিষ্কার করে, নরম রাখে।
৩ চামচ দুধ, ২ চামচ লেবুর রস, ১ চামচ মধু ও হলুদ গুঁড়া নিন। একটি পাত্রে দুধ নিয়ে তাতে বাকিসব উপকরণ মেশান। তারপর এই প্যাক মুখে মাখুন। শুকোতে দিন আর গরম পানি দিয়ে ধুয়ে নিন। মুখে সঙ্গে সঙ্গে একটা উজ্জ্বলতা দেখতে পাবেন। সপ্তাহে এক দিন করে করুন।
টমেটো আর মধুর প্যাক
মুখে যদি রোদের থেকে হওয়া পোড়া দাগ থাকে বা মুখ অতিরিক্ত কালো হতে শুরু করে, তাহলে এটি ব্যবহার করুন। টমেটো এই দাগ খুব ভালোভাবে হালকা করতে পারে।
একটি টমেটো ও ৪ চামচ মধু নিন। একটি পাত্রে আগে টমেটো চটকে নিন। তার মধ্যে এবার মধু মিশিয়ে ভালো করে মেশান। এই প্যাক মুখে মেখে রেখে দিন ২০ মিনিট মতো। তারপর গরম পানিতে ধুয়ে নিন। মুখ সঙ্গে সঙ্গেই তরতাজা লাগবে।
লেমন দুধ বাদাম তেল মধু
২. বেসন, দুধ ২ চা চামচ এবং লেবুর রসের মিশ্রণ মুখে, গলায় লাগিয়ে ১৫ মিনিট পর ঠাণ্ডা পানি দিয়ে ধুয়ে ফেলুন। সপ্তাহে ২ বার এটা লাগান আপনার গায়ের রঙ অবশ্যই উজ্জ্বল হবে।
বেসনের মাস্ক
৩. আমরা সবাই কমলা খেয়ে খোসাটা ফেলে দেই। অথচ এই ফেলনা জিনিসটাই আপনাকে পৌছে দিবে আপনার স্বপ্নের অনেক কাছাকাছি। কমলার খোসা রোদে শুকিয়ে নিন। তারপর মিহি করে গুঁড়ো করে নিন। তারপর ১ টেবিল চামচ গুঁড়োর সাথে ১ টেবিল চামচ টক দইয়ের পেস্ট মুখে লাগিয়ে ১৫-২০ মিনিট পর ধুয়ে ফেলুন।
প্রাকৃতিকভাবে ফর্সা হতে কমলার খোসার প্যাক
৪. ঝকঝকে ত্বকের জন্য চন্দন গুঁড়োর অবদান অনস্বীকার্য। চন্দন গুঁড়োর সাথে দুধ মিশিয়ে প্রত্যেক দিন হালকা হাতে ম্যাসাজ করুন। অল্প দিনের মধ্যে আপনার মুখে হাসি ফুটবেই।
মিল্ক ও চন্দন গুঁড়ো
৫. আপনার যদি টমেটোতে অ্যালার্জি না থেকে থাকে তাহলে কয়েক ফোঁটা লেবুর রসের সাথে টমেটো পিউরি মিশিয়ে মুখে এবং গলায় ব্যবহার করুন ফর্সা ত্বকের জন্য এবং ১৫ মিনিট পর ধুয়ে ফেলুন।
প্রাকৃতিকভাবে ফর্সা হতে টমেটো ও লেমন প্যাক
৬. আধা কাপ চায়ের লিকার (ঠাণ্ডা), ২ চামচ চালের গুঁড়ো, আধা চামচ মধু মিশিয়ে মুখে লাগান। চালের গুঁড়ো স্ক্রাবার হিসেবে কাজ করবে আর মধু মুখের আর্দ্রতা বজায় রাখবে।
চালের গুঁড়ো ও চায়ের লিকার
৭. শশার রস আর মধু সমপরিমাণ নিয়ে ১৫ মিনিট মুখে লাগিয়ে রাখুন। এটি শুষ্ক ত্বকের জন্য অনেক উপকারী। তৈলাক্ত ত্বকে মধুর বদলে লেবু ব্যবহার করতে হবে।
প্রাকৃতিকভাবে ফর্সা হতে মধু শসা ও লেবুর প্যাক
৮. সপ্তাহে একবার পাকা কলা চটকিয়ে মুখে লাগান আর ৩/৪ মিনিট পর ধুয়ে ফেলুন। মুখে লুকিয়ে থাকা সব ময়লা নিমিষেই পালিয়ে যাবে আর আপনি হয়ে উঠবেন আরো আকর্ষণীয়।
ছেলে হবে না মেয়ে ৭লক্ষণে বঝুতে পারবেন
প্রাকৃতিকভাবে ফর্সা হতে কলা
৯. ২ টেবিল চামচ বেসন, ২ চিমটি কাঁচা হলুদ, ২-৩ ফোঁটা লেবুর রস আর ১ চা চামচ দুধ দিয়ে প্যাক বানিয়ে ফেলুন। মুখে ৫ মিনিট ভালোভাবে ম্যাসাজ করুন এই প্যাকটি। তারপর ২০ মিনিট পরে ঠাণ্ডা পানি দিয়ে ধুয়ে ফেলুন। তবে মনে রাখবেন হলুদ কিন্তু সবার ত্বকের জন্য নয়। তাই আগে একটু টেস্ট করে নিবেন কাঁচা হলুদ আপনার বন্ধু না শত্রু।
ফর্সা হতে হলুদের প্যাক / কিভাবে ফর্সা হওয়া যায় (সেরা ১৫টি সহজ উপায়)
১০. কাঁচা আলুর রস অথবা আলু পাতলা করে কেটে অথবা আলুর পাল্প দিনে ২ বার করে ব্যবহার করলেও ভালো ফল পাবেন।
ফর্সা হতে আলুর প্যাক
আশা করছি প্রাকৃতিকভাবে ফর্সা হওয়ার উপায় ও টিপসগুলো আপনাদের কাজে লাগবে। কিন্তু অবশ্যই খেয়াল রাখবেন উপাদানগুলোর সাথে আপনার ত্বক মানিয়ে নিতে পারে কিনা। আপনার এক বন্ধু বা আত্মীয় এক উপাদান দিয়ে উপকার পায় বলে আপনিও পাবেন এমন কোন কথা নেই। সেজন্য আমি বিভিন্ন উপাদানের প্যাকের রেসিপি দিয়েছি। সব সময় আগে অল্প করে হাতে লাগিয়ে দেখবেন কোন ধরনের চুলকানি কিংবা জায়গাটা লাল হয়ে যাচ্ছে কিনা। তারপর পছন্দসই প্যাকটি বেছে নিন।
উক্ত বিষয় সম্পর্কে কিছু জানার থাকলে কমেন্ট করতে পারেন।
আমাদের সাথে ইউটিউব চ্যানেলে যুক্ত হতে এখানে ক্লিক করুন এবং আমাদের সাথে ফেইজবুক পেইজে যুক্ত হতে এখানে ক্লিক করুন। গুরুত্বপূর্ণ আপডেট ও তথ্য পেতে আমাদের ওয়েবসাইটে ভিজিট করুন।
Comments ১