নবম ও দশম শ্রেণীর আম আঁটির ভেঁপু গল্পের জ্ঞান ও অনুধাবনমূলক প্রশ্ন ও উত্তর (PDF) ফাইল ডাউনলোড করতে আমাদের ওয়েব সাইট ভিজিট করুন ।আম আঁটির ভেঁপু গল্পটির যেকোনো ধরনের বহু নির্বাচনী প্রশ্ন উত্তর গুলো আমাদের এই পোস্টে পাবেন ।
প্রিয় ছাত্র ছাত্রী বন্ধুরা আল্লাহর রহমতে সবাই ভালোই আছেন । এটা জেন আপনার খুশি হবেন যে, আপনাদের জন্য আম আঁটির ভেঁপু গল্পটি হতে গুরুপূর্ণ কিছু প্রশ্ন উত্তর আলোচনা করতে যাচ্ছি ।সুতরাং সম্পূর্ণ পোস্টটি মনোযোগ সহকারে পড়ুন। আর এসএসসি- SSC এর যেকোন বিভাগের গুরুত্বপূর্ণ সকল সাজেশন পেতে জাগোরিকের সাথে থাকুন।
আম আঁটির ভেঁপু গল্পের জ্ঞান ও অনুধাবনমূলক প্রশ্ন ও উত্তর (PDF)
জ্ঞানমূলক প্রশ্নোত্তর:
প্রশ্ন-১. ‘দৃষ্টিপ্রদীপ’ উপন্যাসের লেখক কে?
উত্তর: ‘দৃষ্টিপ্রদীপ’ উপন্যাসের লেখক বিভূতিভূষণ বন্দ্যোপাধ্যায়।
প্রশ্ন-২. টোল-খাওয়া টিনের ভেঁপু বাঁিশর দাম কত?
উত্তর: টোল-খাওয়া টিনের ভেঁপু বাঁিশর দাম চার পয়সা।
প্রশ্ন-৩. হরিহর রায়ের জ্ঞাতি ভ্রাতার নাম কী?
উত্তর: হরিহর রায়ের জ্ঞাতি ভ্রাতার নাম নীলমণি।
প্রশ্ন-৪. হরিহর রায়বাড়িতে কত টাকা বেতনে চাকরি করতেন?
উত্তর: হরিহর রায়বাড়িতে আট টাকা বেতনে চাকরি করতেন।
আম আঁটির ভেঁপু অনুধাবনমূলক প্রশ্নোত্তর:
প্রশ্ন-১. মায়ের সামনে সম্মুকে দুয়ার দিয়ে বাড়ি ঢুকতে দুর্গার সাহস হলো না কেন?
উত্তর: সারাদিন বাড়ির বাইরে বনবাদাড়ে ঘুরে বেড়ানোয় মায়ের সামনে সম্মুখ দুয়ার দিয়ে বাড়িতে ঢুকতে দুর্গার সাহস হলো না।
দুর্গা দশ-এগারো বছরের এক কিশোরী। এ বয়সে মেয়েরা ঘরের কাজে মাকে সাহায্য করে। বাড়ির বাইরে বিশেষত যায় না।কিন্তু
দুর্গা মায়ের চোখে ফাঁকি দিয়ে সকাল থেকে বাড়ির বাইরে বনবাদাড়ে ঘুরে বেড়িয়েছে। এ কারণেই দুপুরে সে মায়ের সামনে দিয়ে
ঘরে প্রবেশ করতে সাহস পায়নি।
প্রশ্ন-২. দুর্গা কেমন করে তার দিন কাটায়?
উত্তর: দুর্গা ব্যপক চঞ্চলতা ও দরুন্তপনার মধ্য দিয়ে তার দিন কাটায়।
দুর্গা সারাদিনই গ্রামের এদিক সেদিক দিয়ে ঘুরে বেড়ায়। কখনো এর বাড়ি, কখনো ওর বাড়ির ফলগাছ থেকে ফল আনতে ব্যস্ত থাকে। রোদ-বৃষ্টির তোয়াক্কা না করেই সে গাঁয়ের এ পাড়া, ও পাড়া মাতিয়ে বেড়ায়। কখনো ছোট ভাইয়ের সাথে খেলে, কখনো ঝগড়া করে হেসে খেলে তার দিন কাটায়।
প্রশ্ন-৩. হরিহরের আর্থিক অবস্থা কেমন?
উত্তর: হরিহর অর্থনৈতিকভাবে একেবারেই সচ্ছল ছিল না।
হরিহরের বাড়ি-ঘর দৈনন্দিন জীবন তার দরিদ্রতায় দিকটিকেই তুলে ধরে। সে ভীষণভাবে ঋণগ্রস্ত ছিল। সে তার ছোট ছেলেমেয়েগুলোকে ভালোভাবে খাওয়াতে-পরাতেও হিমশিম খেত।
প্রশ্ন-৪. দুর্গা-অপুর পারস্পরিক সম্পর্কের দিকটি তুলে ধরো।
উত্তর: দুর্গা-অপুর পারস্পরিক সম্পর্কে ভাই বোনের চিরায়ত সুন্দর সম্পর্ককেই মনে করিয়ে দেয়।
দুর্গা সারাদিন চঞ্চল ও দুরন্তর হয়ে ঘুরে বেড়ায়, সাথে সঙ্গী হয়, তার ছোট ভাই অপু। নানা জায়গা থেকে সংগ্রহ কর ফল দুই ভইবোন মজা করে খায়।
দুর্গা মাঝে মাঝে রাগ করে বাঁদর, হাবা বলে অপুকে-তাও যেন ভালোবাসার আবেগ। তাদের দুই ভাইবোনের সম্পর্ক মানুষের চিরায়ত শৈশবকে জীবিত করে তোলে।
প্রশ্ন-৫. হরিহর সবৃজয়াকে মন্ত্র দেবার ব্যাপারটা কাউকে বলতে নিষেধ করলেন কেন?
উত্তর: হরিহর সর্বজয়াকে মন্ত্র দেবার ব্যাপারটা কাউকে বলতে নিষেধ করলেন লোকটি নিচু বর্ণের বলে।
সর্বজয়া লোকটি নিচু বর্ণের বলে।
সর্বজয়া হরিহরকে মন্ত্র দিতে রাজি হতে বললেন এবং লোকটির কী জাত জিজ্ঞেস করলেন। হরিহর তখন কন্ঠ নামিয়ে বললেন, সদগোপ। তোমাদের তো আবার গল্প করে বেড়ানোর স্বভাব। কাউকে বলো না।
আম আঁটির ভেঁপু জ্ঞান (ক) ও অনুধাবনমূলক (খ) প্রশ্ন
১। কার একটা ছোট টিনের বাক্স আছে?
২। টিনের ভেঁপু বাশির দাম কত?
৩। হরিহরের পুত্রের নাম কি?
৪। অপুর দিদির নাম কি?
৫। হরিহরের স্ত্রীর নাম কী?
৬। দুর্ঘার বয়স কত?
৭। অপুর চোখগুলো কেমন?
৮। দূর্গার হাতের নারিকেল মালায় কী ছিল?
৯। আমের গুটি কোন সময়ের রোদে ঝরে পড়ে?
১০। কাদের বাড়ির চারদিকে জঙ্গল?
১১। অপুদের বাড়ি থেকে ভুবন মুখূষ্যের বাড়ি যেতে কত মিনিট লাগে?
১২। রান্না ঘরের দাওয়ায় সর্বজয়া কি কাটতে বসল?
১৩। হরিহর কোথায় তাগাদার জন্য গিয়েছিল?
১৪। কোন জাতের লোক হরিহরের কাছে ‘মন্তর” চেয়েছে?
১৫। কার গল্প করে বেড়ানোর স্বভাব?
১৬। রায় বাড়িতে হরিহর কত টাকা বেতন পায়?
১৭। কে দু’বেলা সর্বজয়াকে তাগাদা দেয়?
১৮। কোন গ্রামে বামুন নেই?
১৯। আজকাল কাদের ঘরে লক্ষী বাধা?
২০। আগ্রহে সর্বজয়ার কী বন্ধ হওয়ার উপক্রম হলো?
২১। দুর্গা কতগুলো রডা ফলের বিচি কী করল?
২২। খেলা বন্ধ করে দূর্গা রডা ফলের বিচি কী করল?
২৩। কার বাড়িটা অনেকদিন মেরামত হয় নি?
২৪। কে নিরীহমুখে বাড়িতে ঢুকল?
১। ‘বাক্সের সমুদয় সম্পত্তি সে উপুড় করিয়া মেঝেতে ঢালিয়াছে।’ এখানে ‘সমুদয় সম্পত্তি’ দ্বারা কী বোঝানো হয়েছে।
২। ‘মা ঘাট থেকে আসে নি তো?’ এ লাইনে কোন ভাব প্রকাশ পেয়েছে?
৩। তেলের ভাঁড় ছুুঁলে অপুকে তার মা মারবে কেন?
৪। হরিহরের ঘরের অবস্থা কী রকম?
৫। মায়ের ডাকে দূর্গার উত্তর না দিতে পারার কারণ বুঝিয়ে দাও।
৬। অপুর কথা অর্ধপথে বন্ধ হয়ে যাওয়ার কারণ কী?
৭। সর্বজয়া স্বর্ণ গোযালিনীকে একটু সকাল করে আসতে বলার কারণ ব্যাখ্যা কর।
৮। ‘তোমার তো আবার গল্প করে বেড়ানো স্বভাব।’ এ লাইনে ‘গল্প করে বাড়ানো’ বলতে কী বোঝানো হয়েছে?
৯। সেজ ঠাক্রুন বন্ধত রাখা ছাড়া টাকা ধার দেয় না কেন?
১০। ‘আগ্রহ নর্বজয়ার কথা বন্ধ হইবার উপক্রম হইল।’ ব্যাখ্যা কর।
১১। ‘আজকাল চাষাদের ঘরে লক্ষী বাঁধা-কীভাবে?
সৃজনশীল প্রশ্নোত্তর : ০১
ব্রাহ্মণদের সব সময় ভালো যায় না যদি আশেপাশে ধনাঢ্য ব্যক্তি না থাকে তারা কোনো ধর্মীয় অনুষ্ঠানের আয়োজন না করলে মন্ত্র পাঠের কোনো প্রয়োজন হয় না। ব্রাহ্মণরা কাজের প্রয়োজনে তাদের মূল আবাস পরিবর্তন করতে দ্বিধা করে না। তা না করলে নানা চাপের মধ্যে কাটাতে হয়।
(ক) দুর্গার বয়স কত ছিল?
(খ) দুর্গার বয়সোচিত চঞ্চলতার কারণ কী? বুঝিয়ে লেখ।
(গ) উদ্দীপকটি ‘আম আঁটির ভেঁপু’ গল্পের একটি দিককে উন্মোচিত করেছে। ব্যাখ্যা কর।
(ঘ) উদ্দীপকটি ‘আম আঁটির ভেঁপু’ গল্পের সমগ্র দিককে প্রকাশ করেনি Ñ মূল্যায়ন কর।
উত্তর : (ক)
দূর্গার বয়স ছিল দশ-এগারো বছর।
উত্তর : (খ)
দূর্গার বয়সোচিত চঞ্চলতার কারণ হলো শৈশবকাল।
দূর্গা দশ-এগারো বছরের বালিকা। শৈশবের দূরন্তপনা তার মধ্যে লক্ষ করা যায়। সে বিভিন্ন বাগানে ঘুরে আম কুড়িয়ে নিয়ে এসে লবণ, তেল দিয়ে মাখিয়ে খায।
খেলার জন্য পড়ে থাকা বিভিন্ন জিনিস তুলে এন যতœ করে রাখে। মা-বাবাকে ফাঁকি দিয়ে যখন-তখন বাড়ির বাইরে বেরিয়ে পড়ে। এসবই দূর্গার শৈশবকালীন চঞ্চলতা।
সারকথাঃ দূর্গা শৈশবকালের একটি মেয়ে। এজন্যই তার মধ্যে এ রকম চঞ্চলতা লক্ষ করা যায়।
উত্তর : (গ)
উদ্দীপকটি ‘আম আঁটির ভেঁপু’ গল্পের একটি দিককে উম্মোচিত করেছে।
হিন্দুধর্মের অনুসারীদের চার ভাগে ভাগ করা হয় তার মধ্যে ব্রা²ণ একটি। ভাগ অনুযায়ী প্রত্যেকের কাজও ভিন্ন হয়।
উদ্দীপকে বর্ণিত আছে ব্রা²ণদের সব সময় ভালো যায় না যদি আশেপাশে ধনাঢ্য ব্যক্তি না থাকে , তারা কোনো দর্শীয় অনুষ্ঠানের অঅযোজন না করলে মন্ত্র পাঠের কোনো প্রয়োজন হয় না।
ব্রা²ণরা কাজের প্রয়োজনে তাদের মূল আবাস পরিবর্তস করতে দ্বিধা করে না। তা না করলে নানা চাপের মধ্যে থাকতে হয়। ‘অব্যাগীর স্বর্গ’ গল্পেও দেখতে পাই হরিহরের ব্রা²ণ, কাজের প্রয়োজনে বিভিন্ন সময় বাড়ির বাইরে থাকে।
এছাড়া সদগোপের কাছ থেকে পাওয়ার পর সেখানে সপরিবারে যাওয়ার কথা ভাবতে থাকে। এইন দিক থেকে উদ্দীপটি ‘আম আঁটির ভেঁপু’ রচনার সাথে সাদৃশ্যপূর্ণ।
সারকথাঃ উদ্দীপকটি হরিহরের বৈশিষ্ট্যকে ইঙ্গিত করে।
উত্তর : (ঘ)
উদ্দীপকটি ‘আম আঁটির ভেঁপু’ গল্পের সমগ্র দিককে প্রকাশ করে নি। উক্তিটি যথার্থ হয়েছে।
সমাজে শ্রেণি অনুযায়ী ব্রা²ণদের কাজকর্ম ভাগ করা থাকে। আর এ কাজের ঘাটতি হলে তারা নানা রকম সমস্যার সম্মুখীন হয়।
উদ্দীপবে ব্রা²ণদের জীবনযাত্রার বর্ণনা করা হয়েছে। ব্রা²ণদের সব সময়ে ভালো যায় না যদি আশেপাশে ধনাঢ্য ব্যক্তি না থাকে, তারা কোনো দর্শীয় অনুষ্ঠানের অঅযোজন না করলে মন্ত্র পাঠের কোনো প্রয়োজন হয় না।
ব্রা²ণরা কাজের প্রয়োজনে তাদের মূল আবাস পরিবর্তস করতে দ্বিধা করে না। ‘আম আঁটির ভেঁপু’ রচনায় কাজের প্রয়োজনে হরিহরের জায়গা পরিবর্তনের ভাবনা, গ্রামীণ জীবনে প্রকৃতিঘনিষ্ঠ দুই ভাই-বোনের আনন্দিত জীবনের আখ্যান বর্ণিত হয়েছে। গল্পে সর্বজয়া পল্লিমায়ের শাশ্বত চরিত্র য়ে উঠেছে।
উদ্দীপকের ‘আম অলাঁটির ভেঁপু’ গল্পের ব্রা²ণের অবস্থা শুরু বর্ণিত হয়েছে। ভাই-বোনের সম্পর্ক, শৈশবের দূরন্তপনা, পল্লিমায়ের শাশ্বত রুপ ইত্যাদি উদ্দীপকটিতে অনুপস্থিত। তাই বলা যায়, উক্তিটি যথার্থ হয়েছে।
সারকথাঃ গল্পে ব্রা²ণদের অবস্থা ছাড়া আরও বিভিন্ন বিষয় উপস্থিত আর ঋদ্দীপবে শুধু ব্রা²ণের বিষয়টিই স্থান পেয়েছে।
সৃজনশীল প্রশ্নোত্তর: ২
কালবোশেখির সময়টা। আমাদের ছেলেবেলার কথা। ঝড় মানেই আম কুড়ানো। বাড়–য্যেদের মাঠের বাগানের চাঁপাতলীর আম এ অঞ্চলে বিখ্যাত। কী মিষ্টি!এই সময়ে পাকে। ঝড় উঠলে তার তলায় ভিড়ও তেমনি। যে আগে পৌঁছাতে পারে তারই জয়। সবাই বললামÑতবে থাক। কিন্তু তখনো রোদ গাছপালার মাথায় দিব্যি রয়েছে।
ক.পটলিদের বাগানের কোন স্থানে আম পড়ে ছিল?
খ.আমের কথা বলতেই অপুকে দুর্গা থামিয়ে দিল কেন?
গ.উদ্দিপকে ‘আম-আঁটির ভেঁপু’ গল্পের কোন ঘটনার ছায়াপাত ঘটেছে? ব্যাখ্যা করো।
ঘ.বাগানের গাছের আম কুড়ানো শৈশবের এক অমূল্য স্মৃতিÑউদ্দীপক ও ‘আম-আঁটির ভেঁপু’ গল্প অবলম্বনে উক্তিটি বিশ্লেষণ করো।
উত্তর : (ক)
পটলিদের বাগানের সিঁদুরকৌটোর তলায় আম পড়ে ছিল।
উত্তর : (খ)
মায়ের বকুনি খাওয়ার ভয়ে আমের কথা বলতেই অপুকে দুর্গা থামিয়ে দিল।
দুর্গা মায়ের চোখ এড়িয়ে পটলিদের বাগান থেকে আম এনে তেল ও নুন দিয়ে মেখে অপুকে খেতে দেয়। দুজনই মায়ের কাছে বিষয়টি গোপন করতে তৎপর থাকে।
কিন্তু চালভাজা খাওয়ার সময় হঠাৎ করেই অপু মনের ভুলে আমের কথা বলে ফেলে। মায়ের বকুনির কথা মনে করে সঙ্গে সঙ্গে দুর্গা তাকে থামিয়ে দেয়।
উত্তর : (গ)
উদ্দীপকে ‘আম- আঁটির ভেঁপু’ গল্পের আম কুড়ানোর ঘটনার ছায়াপাত ঘটেছে।
‘আম – আঁটির ভেঁপু’ গল্পে আম কুড়ানোর জন্য দুর্গা পটলিদের বাগানের সিঁদুরকৌটোর তলায় হাজির হয়। তারপর কুড়ানো আম নুন ও তেল দিয়ে মাখিয়ে ভাইয়ের সঙ্গে মজা করে খায়। একইাভাবে বিকেলে পটলিদের কাঁকুড়তলির আম কুড়ানোর কথাও সে ভাইকে জানায়।
উদ্দীপকে কালবোশেখির ঝড়ে আম কুড়ানোর প্রসঙ্গ এসেছে। বাড়–য্যেদের মাঠের বাগানের চাঁপাতলীর মিষ্টি আম কুড়ানোর জন্য ঝড় উঠলে তার তলায় খুব ভিড় হয়। আগে পৌঁছানো নিয়ে বেশ প্রতিযোগিতাও হয়।
এ দৃশ্যপটটি শৈশবে আম কুড়ানোর স্মৃতিকে জীবন্ত করে। এছাড়া তা ‘আম-আঁটির ভেঁপু’ গল্পের দুর্গার আম কুড়ানোর কথাকেও মনে করিয়ে দেয়। এ থেকে বোঝা যায় উদ্দীপকে ‘আম-আঁটির ভেঁপু’ গল্পের আম কুড়ানোর ঘটনার ছায়াপাত ঘটেছে।
উত্তর : (ঘ)
উদ্দীপক ও ‘আম-আঁটির ভেঁপু’ গল্পে যে আম কুড়ানোর বিষয়টি চিত্রিত হয়েছে তা সত্যিকার অর্থেই শৈশবের এক অমূল্য স্মৃতি।
‘আম-আঁটির ভেঁপু’ গল্পে দুর্গা চৈত্র মাসের রোদকে উপেক্ষা করে পটলিদের বাগানে যায় আম কুড়ানোর জন্য। এছাড়া ভাইয়ের সঙ্গে আম খাওয়া নিয়ে তার মন কষাকষিও হয়।
উদ্দীপকে কালবোশেখির ঝড়ে আম কুড়ানোর একটি দৃশ্য উন্মেচিত হয়েছে। চাঁপাতলীর মিষ্টি আম কুড়ানোর জন্য সেখানে রীতিমতো প্রতিযোগিতা হয়। আম কুড়ানোর এক পরিপূর্ণ স্মৃতি সেখানে উপস্থিত যা গল্পের চেয়েও অনেকখানি জীবন্ত।
উদ্দীপক ও গল্পে আম কুড়ানোর যে চিত্র উপস্থাপিত হয়েছে,তা মানুষের জীবনের সবচেয়ে মধুর সময়কে মনে করিয়ে দেয়। শৈশবে মানুষ প্রকৃতির বুকে দুরন্তভাবে ছুটে বেড়ায়।
সে সময় গাছের ফল তার কাছে হয়ে ওঠে পরম আকাক্সিক্ষত। তাই ঝড়ের সময় আম কুড়ানোর জন্য সে ছুটে যায় আম গাছের নিচে। শৈশব পেরিয়ে পরবর্তীকালে মানুষ যখন একথাগুলো মনে করে,তখন আম কুড়ানোর স্মৃতি তার কাছে হয়ে ওঠে অমূল্য।
প্র্যাকটিস অংশ:- সৃজনশীল প্রশ্ন:
১. একটি মেরামতহীন বাড়ি। ছোট একটি ছেলে তার খেলনা ছড়িয়ে নিয়ে খেলছে। একটি দশ এগারো বছরের মেয়ে উঠান ঝাড়– দিচ্ছে। আর বাড়ির গৃহিণী বারান্দায় বসে তরকারি কাটছে।
(ক) কয়টার সময় অপু খেলা করছিল?
(খ) দুর্গা প্রায়ই বাড়ির বাইরে থাকে কেন?
(গ) উদ্দীপকের চিত্রের সাথে ‘আম আঁটির ভেঁপু’ রচনার সাদৃশ্য নির্ণয় কর।
(ঘ) ‘একমাত্র দারিদ্র্যের কারণেই বাড়ি মেরামতহীন হয়ে আছে’Ñ মূল্যায়ন কর।
২. শোনো, মা এখন ঘুমিয়ে আছেন
দিদি গেছে ইশকুলে,
এই ফাঁকে মোরে আর ছোকানুরে
নৌকায় নাও তুলে।
…………………………….
মাঝি, তুমি দেখো ছোকানুরে, ভাই
ও বড়োই ভীতু কিনা।
(ক) ‘আম আঁটির ভেঁপু’ রচনা কোন উপন্যাস থেকে নেওয়া হয়েছে?
(খ) সর্বজয়া সেদিকে ইচ্ছে সেদিকে বেরিয়ে যেতে চায় কেন?
(গ) উদ্দীপকের সাথে ‘আম আঁটির ভেঁপু’ রচনার সাদৃশ্য নির্ণয় কর।
(ঘ) উদ্দীপকটি ‘আম আঁটির ভেঁপু’ রচনার আংশিক বিষয়ের প্রতিনিধিত্ব করে। মূল্যায়ন কর।
৩. ময়না সেই তেরো বছর বয়সে বউ হয়ে জসিমের ঘরে এসছে। ময়না তিন সন্তানের জননী হয়েছে। দারিদ্র্য তার দোরগোড়া থেকে কখনো বিদায় নেয় নি। ময়না আপ্রাষ চেষ্টায় এই সয়সারটাকে টিকিয়ে রেখেছে। জসিমে শুধু অর্থ উপার্জনের চিন্তা মাথায় আর ময়না সংসারের কোন জিনিসটা আগে প্রয়োজন কোনটা সংসারের জন্য কল্যাণকর, ছেলেমেয়েদের কী লাগবে সবদিকে তার খেয়াল। ময়নার কারণেই সেই সংসারটা টিকে আছে। মাঝে মাঝে বিরক্ত হয়ে ওঠে, আবার পরক্ষনেই কী এক মায়ার বন্ধনে বাঁধঅ পড়ে যায়।
(ক) দূর্গা যখন অপুকে ডাকছিল তখন তার স্বর কেমন ছিল?
(খ) বাসি কাপড়ে তেলের ভার ছুঁলে সর্বজয়া অপুকে মারবে কেন?
(গ) উদ্দীপকের ময়নার সাথে ‘আম আঁটির ভেঁপু’ রচনার সর্বজয়ার সাদৃশ্য কোথায়?
(ঘ) সংসােের নারীর অবদান পুরুষের তুলনায় কোনো অংশে কম নয়, বরং অনেককাংশে বেশি। উদ্দীপক ও ‘আম আঁটির ভেঁপু’ রচনার আলোকে মূল্রায়ন কর।
৪. হঠাৎ দুর্ঘটনায় পা দুটি হারিয়ে রমিজ মিয়া অথই সাগরে পড়েছেন। কোনোভাবেই আর রিকশা চালানো তার পক্ষে সম্ভব নয়। এই রিকশা থেকে উপার্জিত আয়ই তার পরিবারের পেছনে ব্যয় হতো। ঋণ করেছেন অনেক জায়গা থেকে। কিন্তু কিছুতেই শোধ করতে পারছেন না। পাওনাদাররা তাকে এখন কটু কথা শোনায়। পাওনাদারের অত্যাচারে রমিজ মিয়া মাঝে মাছে গলায় দড়ি দিয়ে আত্মহত্যা করার চিন্তা করেন।
(ক) অপুর পিস্তলের দাম কত?
(খ) দুর্গা অপুকে হাবা বলেছে কেন? বুঝিয়ে বল।
(গ) উদ্দীপবের রমিজ মিয়ার সাথে ‘আম আঁটির ভেঁপু’ রচনার হরিহরের বৈসাদৃশ্য কোথায়?
(ঘ) উদ্দীপবে দারিদ্র্যের কশাঘাত মাঝে মাঝে অনহনীয় হয়ে ওঠে, ‘আম আঁটির ভেঁপু’ রচনার আলোকে মূল্যায়ন কর।
৫. অন্তু, রওশন, মেঘনা, সেতু সবার সাথে খুব ভাব। স্কুল থেকে ফিরে পুকুরে একসঙ্গে গোসল করতে যাওয়া, শিবুদের ফলের বাগানে চার বন্ধু যুক্তি করে বিভিন্ন রকম ফল চুরি করে নিয়ে এস বড় প্রাচীরের ওপর বসে খায়। এছাড়া সারাদিন দাড়িয়াবান্ধা, হাডুডু, গোল্লাছুট আরও কত কী কেলা হতো! অন্তুর পুতুলের সাথে মেঘনার পুকুলের বিয়ে দিয়েছিল। বিয়েতে রও,ন ও সেতু ছাড়াও আরও অনেক বন্ধুকে দাওয়াত করা হয়েছিল। সারাদিনে অনেক মজা হয়েছিল।
(ক) সর্বজয়া রান্নাঘরে বঁটি পেতে কী বাটতে বসল?
(খ) হরিহর ‘সদগোপ’ কথাটা বলতে সর্বজয়াকে নিষেধ করল কেন?
(গ) উদ্দীপকের চত্রিগুাে মাঝে ‘আম আঁটির ভেঁপু’ রচনার বৈসাদৃশ্য দেখাও।
(ঘ) উদ্দীপকও ‘আম আঁটির ভেঁপু’ গল্প আলোচনায় শৈশব স্মৃতিই মুখ্য হয়ে ওঠে। মূল্যায়ন কর।
SSC- আম আঁটির ভেঁপু গল্পের বহুনির্বাচনী সমুহ ( MCQ PDF Download)
৬. (১) ছেলেটার বয়স হবে বছর -দশেক,
—–
মার খায় দমাদম,
গাল খায় অজস্য,
ছাড়া পেলেই আবার দেয় দৌড়।
(২)একদিন পাকড়াশিদের মেজোছেলে একটা কাচ-পরানো চোঙ নিয়ে,
ওকে বললে, ‘দেখ না ভিতর- বাগে।
ধেখলে নানা রঙ সাজানো,
নাড়া দিলেই নতুন হয়ে ওঠে।
বললে, দে-না ভাই আমাকে।
তোকে দেব আমার ঘষা ঝিনুক,
কাঁচা আম ছাড়াবি মজা করে,
আর দেব আমের কষির বাঁশি।
(ক) হরিহরের জ্ঞাতি-ত্রাতা নীলমণি কবে মারা গিয়েছেন?
(খ) সদৃগোপ জানা সত্তে¡ সর্বজয়া হরিহরকে রাহি হতে বলল কেন?
(গ) উদ্দীপকের ছেলেটার সাথে ‘আম আঁটির ভেপু’ রচনার সাদৃশ্য নির্ণয় কর।
(ঘ) “কৈশোরের দূরস্তপনাই উদ্দীপক ও আম আঁটির ভে৭পু রচনায় প্রতীকায়িক ” মূল্যায়ন কর।
৭. কেবল বাগদী দুলেপাড়ায় ঘুরে ঘুরে জন্ম কাটালো। ভদ্দরলোকের গাঁয়ে বাস করা যায় না। সমাজে থাকতে হলে সেই রকম মেনে চলতে হয়। সহায়হরি বিস্মিত হইয়া কী বলিতে যাইতেছিলেন, অনুপূর্ণা পূর্ববৎ সুরেই পুনর্বার বলিয়া উঠিলেন –একঘরে কবে গো তোমাকে, একঘরে করবে, কাল চৌধুরীদের চন্ডীমন্ডপে এসব কথা হয়েছে। আমাতের হাতে ছোয়া জাল আর কেউ খাবে না। আর্শীবাদ হয়ে মেয়ের বিয়ে হলো না-ও নাকি উচ্ছুগ্গ করা মেয়ে-গাঁয়ের কোনো কাজ তোমাকে আর কেউ যেতে বলবে না- যাও ভালোই হয়েছে তোমার তখন গিয়ে দুলে-বাড়ি, বাগদী বাড়ি উঠে ব’সে দিন কাটাও।
(ক) মানুষের গলার আওয়াজ পেয়ে অপু কী করল?
(খ) দুর্গা সর্বজায়ার সামনে সত্য গোপান করতে চায় কেন?
(গ) উদ্দীপকের অন্নফ’র্ণার উপলম্ধির সাথে ‘আম আটির ভেঁপু রচনার সর্বজায়ার উপলম্ধির কী কী পার্থক্য লক্ষ্য করা যায়?
(ঘ) উদ্দীপকের জাতপ্রথার প্রসঙ্গটি ‘আস আঁটির ভেঁপু’ রচনাতেও প্রতিফলিত। মূল্যায়ন কর।
বাংলা ১ম:অন্ধবধূ কবিতার সৃজনশীল বহু নির্বাচনী প্রশ্নোত্তর (PDF)
৮. বাগানের পেছনে গন্ধ লেবুর ঝোপে সন্ধ্যার আগেই আর্ধার নামতো । সেখানে জোনাকির আড্ডা। আমরা দু’তিন জন ছোট ছোট কাচের শিশি নিয়ে জোনাকি ধরার প্রতিযোগিতায় নামতাম। লেবুর কাঁটায় গা ছিড়ে যেত। তবু থামাথামি নেই। যম স্যারের কাছে পড়বার সময় নেই শিশি থাকতো পকেটে। শিশির মুখ পাতলা কাপড় দিয়ে বাঁধা। তথনও রোজই লোডশেডিং হতো। আর লোযশোডিং হলেই আমরা জোনাকিগুলো ঝেড়ে দিতাম। মনে হতো, আকাশ থেকে অসংখ্য তারা নেমে এসেছে মাটিতে।
(ক) ‘আম আঁটির ভে৭পু’ রচনায় কোন মাসের কথা বলা হয়েছে?
(খ) দুর্গা ও অপুর মধ্যে কেমন সম্পর্ক বিদ্যমান?
(গ) উদ্দীপকটিকে ‘আম আঁটির ভেঁপু’ রচনার যে বিষয়েে ওপর গুরুত্ব দেওয়া হয়েছে তা ব্যাখ্যা কর।
(ঘ) ‘মিল থাকলেও লেখক পুরোপুরি দূর্গা নয়।’ মূল্যায়ন কর।
৯. একটা মেরামতহীন বাড়ি। ছোট একটি ছেলে তার খেলনা ছড়িয়ে নিয়ে খেলছে। একটি দশ œগোরো বছরের মেয়ে উঠান ঝাড়– দিচ্ছে। আর বাড়ির গৃহিনী বারান্দায় বসে তরকারি কাটছে।
(ক) কয়টার সময় অপু খেলা করছিল?
(খ) দুর্গা প্রায়ই বাড়ির বাইরে থাকে কেন?
(গ) উদ্দীপকের চিত্রের সাথে ‘আম আঁটির ভেঁপু’ রচনার সাদৃশ্য নির্ণয় কর।
(ঘ) ‘একমাত্র দারিদ্র্যের কারণেই বাড়ি মেরামতহীন হয়ে আছে’- মূল্যায়ন কর।
উক্ত বিষয় সম্পর্কে কিছু জানার থাকলে কমেন্ট করতে পারেন।
আমাদের সাথে ইউটিউব চ্যানেলে যুক্ত হতে এখানে ক্লিক করুন এবং আমাদের সাথে ফেইজবুক পেইজে যুক্ত হতে এখানে ক্লিক করুন। গুরুত্বপূর্ণ আপডেট ও তথ্য পেতে আমাদের ওয়েবসাইটে ভিজিট করুন।