ফিন্যান্স ব্যাংকিং ও বিমা ২য় | অধ্যায় ৮ | সৃজনশীল প্রশ্ন ১১-১৫ | PDF: ফিন্যান্স, ব্যাংকিং ও বিমা দ্বিতীয় পত্রের অষ্টম অধ্যায়ের গুরুত্বপূর্ণ সব কমন উপযোগী সৃজনশীল প্রশ্ন গুলো আমাদের এই পোস্টে পাবেন।
প্রিয় ছাত্র ছাত্রী বন্ধুরা আল্লাহর রহমতে সবাই ভালোই আছেন । এটা জেনে আপনারা খুশি হবেন যে, আপনাদের জন্য ফিন্যান্স, ব্যাংকিং ও বিমা দ্বিতীয় পত্রের অষ্টম অধ্যায়ের গুরুত্বপূর্ণ সব কমন উপযোগী সৃজনশীল প্রশ্ন গুলো নিয়ে আলোচনা করতে যাচ্ছি ।
সুতরাং সম্পূর্ণ পোস্টটি মনোযোগ সহকারে পড়ুন। আর এইচ এস সি- HSC এর যেকোন বিভাগের গুরুত্বপূর্ণ সকল সাজেশন পেতে জাগোরিকের সাথে থাকুন।
ফিন্যান্স ব্যাংকিং ও বিমা ২য় | অধ্যায় ৮ | সৃজনশীল প্রশ্ন ১১-১৫ | PDF
প্রশ্ন ১১: মিস জয়ন্তিকা গ্রামের মহিলাদেরকে নিয়ে হস্তশিল্পজাত পণ্য উৎপাদন প্রতিষ্টান গঠন করেন। প্রতিষ্ঠানটি সম্প্রতি দেশীয় চাহিদা পূরণ করে যুক্তরাষ্ট্রের রিচার্ড এন্ড সন্স লি.-এর নিকট ৫০,০০০ ডলার মূল্যের পণ্য রপ্তানির র্ডার পান। রিচার্ড এন্ড সন্স লি. ব্যাংকের মাধ্যমে মিস জয়ন্তিকাকে ৫ মাসের মধ্যে অর্থ পরিশোধের একটি নিশ্চয়তাপত্র প্রদান করে। পণ্য রপ্তানির ফরমায়েশপত্রে ডলারের মূল্য নির্ধারিত থাকলেও পরবর্তীতে তা হ্রাস পায়। যার ফলে মিস জয়ন্তিকা আঅর্থিকভাবে কিছুটা ক্ষতিগ্রস্ত হয়। [নটর ডেম কলেজ, ঢাকা]
ক.ফোরফেইটিং কী?১
খ.আঅর্থ সামাজিক উন্নয়নে রেমিটেন্সের ভ‚মিকা ব্যাখ্যা করো। ২
গ.মিস জয়ন্তিকা রিচার্ড এন্ড সন্স লি.-এর নিকট থেকে রপ্তানিকৃত পণ্যের মূল্য প্রাপ্তির নিশ্চয়তা কী বলে তুমি মনে কর? বৈদেশিক বাণিজ্যে এ ধরনের নিশ্চয়তার গুরুত্ব মূল্যায়ন করো। ৩
ঘ.উদ্দীপকে নির্দেশিত বৈদেশিক বিনিময় হার কোন তত্তে¡র উপর ভিত্তি করে নির্ধারণ করা হয়েছে? তত্ত¡টির যৌক্তিকতা মূল্যায়ন করো। ৪
১১ নং প্রশ্নের উত্তর
ক উত্তর: বৈদেশিক বাণিজ্যে আমদানিকারক ও রপ্তানিকাককে প্রাপ্য বিলের বিপক্ষে স্বল্প ও মধ্যম মেয়াদি অর্থায়ন করার আধুনিক ব্যবস্থাই হলো ফোরফেটিং।
খ উত্তর: বিদেশে কর্মরত জনশক্তি বা প্রবাসীরা বাংলাদেশে যে অর্থ পাঠায় তাই রেমিটেন্স।
রেমিটেন্সের প্রধান ভ‚মিকা হলো এটি দেশের বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ বাড়ায়। এছাড়াও রেমিটেন্স জাতীয় ও মাথাপিছু আয় বৃদ্ধিতে সহায়তা করে। রেমিটেন্স দেশের মুদ্রার মান বৃদ্ধি করার পাশাপাশি বেকার সমস্যা সমাধান, ভোগ ও উৎপাদন বৃদ্ধি করার মাধ্যমে আঅর্থ-সামাজিক উন্নয়নে বদান রাখে।
গ উত্তর: মিস জয়ন্তিকা রিচার্ড এন্ড সন্স লি.-এর থেকে রপ্তানিকৃত পণ্যের মূল্যের নিশ্চয়তাস্বরূপ প্রত্যয়পত্র পেয়েছে বলে আমি মনে করি।
যে দলিলের মাধ্যমে ব্যাংক আমদানিকারককের পক্ষে রপ্তানিকারকে পণ্য মূল্য প্রাপ্তির নিশ্চয়তা প্রদান করে তাকে প্রত্যয়পত্র বলে। প্রত্যয়নপত্রের মাধ্যমেই ব্যাংক আমাদানিকারক ও রপ্তানিকারকের মধ্যে মধ্যস্থতা করে বৈদেশিক বাণিজ্যে সহায়তা করে।
উদ্দীপকে মিস জয়ন্তিকা গ্রামের মহিলাদেরকে নিয়ে হস্তশিল্পজাত পণ্য উৎপাদনের একটি প্রতিষ্ঠান গঠন করেন। প্রতিষ্ঠানটি দেশীয় চাহিদা পূরণ করার পর সম্প্রতি যুক্তাষ্ট্রের রিচার্ড এন্ড সন্সের নিকট থেকে ৫০,০০০ ডলার পণ্য রপ্তানি করার একটি র্ডার পায়।
রিচার্ড এন্ড সন্স ৫ মাসের মধ্যে মূল্য পরিশোধের নিশ্চয়তা দিয়ে ব্যাংকের মাধ্যমে একটি নিশ্চয়তাপত্র মিস জয়ন্তিকাকে পাঠায়। এই নিশ্চয়তা পত্রটিই প্রত্যয়পত্র যা বৈদেশিক বাণিজ্যে গুরুত্বপূর্ণ ভ‚মিকা পালন করে। যেমন এই নিশ্চয়তপত্রটি পাবার পর মিস জয়ন্তিকা নির্ভয়ে পণ্য রপ্তানি করতে পারবেন।
কারণ তিনি প্রত্যয়পত্রের মাধ্যমে তার পণ্যের মূল্য প্রাপ্তির নিশ্চয়তা পেয়েছেন। প্রত্যয়পত্র এখানে রপ্তানি বাণিজ্যিকে সহজ ও নিরাপদ করেছে। এছাড়াও প্রত্যয়পত্র বৈদেশিক বাণিজ্যেকে পরিমাণ বৃদ্ধি করে। সুতরাং বলা যায়, মিস জয়ন্তিকার প্রাপ্ত গুরুত্বপূর্ণ দলিলটি হচ্ছে একটি প্রত্যয়পত্র।
ঘ উত্তর: উদ্দীপকে নির্দেশিত বৈদেশিক বিনিময় হার চাহিদা যোগান তত্তে¡র উপর ভিত্তি করে নির্ধারণ করা হয়েছে।
দুই দেশের মুদ্রার বিনিময় হার তাদের মুদ্রার পারস্পরিক চাহিদা ও যোগান নুযায়ী নির্ধারিত হওয়া সংক্রান্ত তত্ত¡কেই চাহিদা ও যোগান তত্ত¡ বলে। এই তত্ত¡ সবার কাছে সর্বাধিক গ্রহণযোগ্য হওয়ায় এটি বৈদেশিক বিনিময় হারের আধুনিক তত্ত¡ নামেও পরিচিত।
উদ্দীপকে মিস জয়ন্তিকা গ্রামের মহিলাদের নিয়ে হস্তশিল্পজাত পণ্য উৎপাদন করেন। সম্প্রতি তিনি যুক্তরাষ্ট্রের রিচার্ড এন্ড সন্সের কাছ থেকে একটি রপ্তানি র্ডার পান। রিচার্ড এন্ড সন্স একটি প্রত্যয়পত্র প্রেরণ করে মিস জয়ন্তিকাকে।
কিন্তু ফরমায়েশ পত্রে ডলারের মূল্য নির্ধারিত থাকলেও পরবর্তীতে তা হ্রাস পায়। ফলে মিস জয়ন্তিকা কিছুটা আঅর্থিক ক্ষতির সম্মুখীন হন। এখানে ডলার এবং টাকা উভয়ই ভাসমান মুদ্রা হওয়ায় চাহিদা ও যোগান তত্তে¡র উপর ভিত্তি করে ডলারের মূল্য নির্ধারিত হয়েছে।
ভাসমান মুদ্রাকে বাজার পরিস্থিতির উপর ছেড়ে দেয়া হয়। বাজারে চাহিদা ও যোগানের উপর ভিত্তি করে মুদ্রার বৈদেশিক বিনিময় হার নির্ধারিত হয়। মিস জয়ন্তিকার ফরমায়েশপত্রে ডলারের মূল্য নির্ধারণ করে দেয়া থাকলেও পরবর্তীতে তা কমে যায়, যার সম্ভাব্য কারণ হলো বাংলাদেশে ডলারের চাহিদা কমে যাওয়া।
অথবা আমদানি বৃদ্ধি হওয়ার ফলে ডলারের যোগান বেড়ে যাওয়া। চাহিদা-যোগান তত্ত¡ নুযায়ী যৌক্তিকভাবেই চাহিদা কমে গেলে বা যোগান বেড়ে গেলে বিনিময় হার কমে যায়। আবার স্বয়ংক্রিয়ভাবে বাজার পরিস্থিতির উপর ভিত্তি করে বিনিময় হার বাড়ে বা কমে বলে এই তত্ত¡টি সর্বাধিক গ্রহণযোগ্য এবং যৌক্তিক। সর্বোপরি বলা যায়, উদ্দীপকের নির্দেশিত বৈদেশিক বিনিময় হার চাহিদা-যোগান তত্ত¡ নুযায়ী নির্ধারিত হয়েছে।
প্রশ্ন ১২: মিস রিয়া ও মিস সীমা দু’জনই বৈদেশিক ব্যবসায়ে জড়িত। মিস রিমার পক্ষে ব্যাংক প্রত্যয়পত্র ইস্যু করে যার বিপরীতে রপ্তানিকারক পণ্য পাঠায়। প্রতিনিয়ত এরূপ প্রত্যয়পত্র সংগ্রহের ঝামেলা থেকে পরিত্রাণের জঅন্য তিনি এক বিশেষ ধরনের প্রত্যয়পত্র সংগ্রহ করেছেন। অন্যদিকে মিস সীমা তার নুক‚লে ইস্যুকৃত বিদেশি আমদানিকারক কর্তৃক প্রেরিত প্রত্যয়পত্র ব্যাংকে বন্ধক রেখে তার বিপক্ষে পণ্য আমদানির জঅন্য নতুন প্রত্যয়পত্র সংগ্রহ করেছেন।
[আদমজী ক্যান্টনমেন্ট কলেজ, ঢাকা]
ক.ফোরফেটিং কী?১
খ.স্থির প্রত্যয়পত্র কী? বুঝিয়ে লিখ। ২
গ.মিস রিমার পরবর্তীতে সংগৃহীত প্রত্যয়পত্রটি কোন ধরনের? বুঝিয়ে লিখ। ৩
ঘ.মিস সীমার প্রত্যয়পত্রটি তার ব্যবসায়ের অর্থসংস্থানে ভ‚মিকা রাখছে কি? তোমার উত্তরের সপক্ষে যুক্তি দাও। ৪
১২ নং প্রশ্নের উত্তর
ক উত্তর: বৈদেশিক বাণিজ্যে রপ্তানিকারককে প্রাপ্য বিলের বিপক্ষে স্বল্প ও মধ্যম মেয়াদি অর্থায়নের আধুনিক ব্যবস্থাকেই ফোরফেইটিং বলে।
খ উত্তর: ইস্যুকারী ব্যাংক মেয়াদউত্তীর্ণ ব্যতীত যে প্রত্যয়পত্র বাতিল করতে পারে না তাকে স্থির প্রত্যয়পত্র বলে।
প্রত্যয়পত্র খোলা হলে ব্যাংক রপ্তানিকারকের কাছে প্রতিশ্র“তিবদ্ধ থাকে যে তার পণ্যের মূল্য বশ্যই পরশোধ করা হবে। আমদানিকারকের এবং রপ্তানিকারকের মধ্যে মধ্যস্থতার দায়িত্ব পালন করে ব্যাংক। স্থির প্রত্যয়পত্রের ক্ষেত্রে আমদানিকারকের মৃত্যু ঘটলে বা দেউলিয়া হলেও ব্যাংক প্রত্যয়পত্রটি বাতিল করতে পারে না।
গ উত্তর: মিস রিমার সংগৃহীত প্রত্যয়পত্রটি ঘূর্ণায়মান প্রত্যয়পত্র।
ঘূর্ণায়মান প্রত্যয়পত্রে নির্দিষ্ট সময়ের জঅন্য অর্থের পরিমাণের সর্বোচ্চ সীমা নির্ধারণ করা হয়। উক্ত সময়ের মধ্যে উলিখিত অর্থের পরিমাণ পর্যন্ত পৌনঃপুনিকভাবে প্রত্যয়পত্রটি ব্যবহার করা যায়। ঘূর্ণায়মান প্রত্যয়পত্র আমদানিকারককে প্রত্যয়পত্র খোলার আনুষ্ঠানিক থেকে মুক্তি দেয়।
উদ্দীপকে মিস রিমা বৈদেশিক বাণিজ্যের সাথে জড়িত। একটি ব্যাংক তার পক্ষে প্রত্যয়পত্র ইস্যু করে। যার বিপরীতে রপ্তানিকারক পণ্য পাঠায়। প্রতিনিয়ত এরূপ প্রত্যয়পত্র সংগ্রহের ঝামেলা থেকে পরিত্রাণের জঅন্য তিনি বিশেষ ধরনের প্রত্যয়পত্র সংগ্রহ করেছেন। তার এ প্রত্যয়পত্রটি একটি ঘূর্ণায়মান প্রত্যয়পত্র যা তিনি নির্দিষ্ট সময় পর্যন্ত বারবার আমদানি করার জঅন্য ব্যবহার করতে পারবেন।
ধরা যাক, মিস. রিমা ৬ মাসের জঅন্য ৭ লক্ষ টাকার ঘূর্ণায়মান প্রত্যয়পত্র খুলেছেন। এই প্রত্যয়পত্রের মাধ্যমে তার ব্যাংক মূলত তাকে এ নিশ্চয়তা দেয় যে, আগামী ৬ মাসের মধ্যে ৭ লক্ষ টাকা পর্যন্ত আমদানি করার জঅন্য মিস রিমাকে আর কোনো প্রত্যয়পত্র খুলতে হবে না। একই প্রত্যয়পত্রে মিস রিমা বারবার ব্যবহার করতে পারবে। সুতরাং বলা যায়, মিস রিমা পরবর্তীতে যে প্রত্যয়পত্রটি সংগ্রহ করেছেন সেটি একটি ঘূর্ণায়মান প্রত্যয়পত্র।
ঘ উত্তর: মিস সীমার প্রত্যয়পত্রটি তার ব্যবসায়ের অর্থ সংস্থানে ভ‚মিকা রাখছে।
প্রত্যয়পত্র হচ্ছে একটি দলিল যার মাধ্যমে ব্যাংক রপ্তানিকারককে তার পণ্যের মূল্য প্রাপ্তির নিশ্চয়তা প্রদান করে। প্রত্যয়পত্র একটি নিশ্চয়তাপত্র হওয়ায় এর মাধ্যম অর্থসংস্থান করা সম্ভব।
উদ্দীপকে মিস সীমা বৈদেশিক ব্যবসায়ের সাথে জড়িত। তিনি একজন রপ্তানিকারক। তার নুক‚লে বিদেশি ব্যাংক কর্তৃক ইস্যুকৃত প্রত্যয়পত্র আমদানিকারক তাকে প্রেরণ করেছে।
তিনি আবার সেই প্রত্যয়পত্র বন্ধক রেখে তার বিপক্ষে পণ্য আমদানির জঅন্য নতুন একটি প্রত্যয়পত্র ব্যাংক থেকে সংগ্রহ করেন। এক্ষেত্রে ব্যাংকে নতুন প্রত্যয়পত্র খোলার ক্ষেত্রে তিনি রপ্তানিকারক হিসেবে যে প্রত্যয়পত্রটি পেয়েছেন সেটি ব্যবহার করেছেন নিশ্চয়তা স্বরূপ।
আমদানিকারকের পক্ষে প্রত্যয়পত্র খোলার ক্ষেত্রে ব্যাংকের ঝুঁকি থাকে। কারন কোনো কারণে আমদানিকারক যদি পণ্যের মূল্য পরিশোধ না করে তাহলে ব্যাংককে তা পরিশোধ করতে হবে। এজঅন্য ব্যাংক আমদানিকারকের কাছ থেকে নিশ্চয়তা স্বরূপ অর্থ বা কোনো জামানত চায়।
মিস সীমার ক্ষেত্রে তার ব্যাংকের জঅন্য জামানত বা নিশ্চয়তাস্বরূপ কাজ করেছে রপ্তানিকারক হিসেবে প্রাপ্ত তার প্রত্যয়পত্রটি। সুতরাং মিস সীমা প্রত্যয়পত্রটি দেয়ার মাধ্যমে তার আমদানি করার জঅন্য প্রত্যয়পত্র খোলার খরচ থেকে রক্ষা পেয়েছেন। অর্থাৎ প্রত্যয়পত্রটি মিস সীমার ব্যবসায়ের অর্থসংস্থানে ভ‚মিকা পালন করেছে।
প্রশ্ন ১৩: জনাব হাকিম সাহেব তার ব্যবসায়িক প্রয়োজনে মি. আরেফিনের নিকট হতে ব্যাংকের একটি ঋণের দলিলের মাধ্যমে কিছু টাকা ধার করেন। এক্ষেত্রে জনাব হাকিমের পক্ষ থেকে ব্যাংক মি. আরেফিনকে তার প্রদত্ত ঋণের অর্থ ফেরত পাবার নিশ্চয়তা দেয় এবং পরবর্তীতে জনাব হাকিম হঠাৎ করে জাপান চলে যান এবং দীর্ঘদিন পরে বাংলাদেশে ফিরে আসে। তবে এ ব্যাপারে মি, আরেফিন বিন্দুমাত্র বিচলিত হননি। [ঢাকা সিটি কলেজ]
ক.ভাসমান মুদ্রা কী?১
খ.প্রত্যয়পত্র ছাড়া কি বৈদেশিক বাণিজ্য সম্ভব? ব্যাখ্যা করো।২
গ.উদ্দীপকে কোন ঋণ দলিলের মাধ্যমে জনাব হাকিম অর্থ ধার করেছিলেন? ব্যাখ্যা করো।৩
ঘ.মি. আরেফিন তার প্রদত্ত ঋণের অর্থ প্রাপ্তিতে কেন বিচলিত হননি? উদ্দীপকের আলোকে বিশ্লেষণ করো। ৪
১৩ নং প্রশ্নের উত্তর
ক উত্তর: যে মুদ্রার মান মুদ্রাবাজারের চাহিদা ও যোগানের দ্বারা সৃষ্টি হয় তাকে ভাসমান মুদ্রা বলে।
খ উত্তর: প্রত্যয়পত্র ছাড়া বৈদেশিক বাণিজ্য সম্ভব নয়।
বৈদেশিক বাণিজ্যের ক্ষেত্রে আমদানিকারক ও রপ্তানিকারক সাধারণত পরিচিত হয়ে থাকে। তাই আমদানিকারকও পণ্য প্রাপ্তির পূর্বে মূল্য পরিশেধে ঝুঁকি নিতে চায় না। আবার, রপ্তানিকারকও মূল্য প্রাপ্তির পূর্বে পণ্য প্রেরণ করতে চায় না। এমতাবস্থায় ব্যাংক প্রত্যয়পত্রের মাধ্যমে আমদানিকারকের পক্ষে রপ্তানিকারককে অর্থ পরিশোধের নিশ্চয়তা দেয়। এরূপ নিশ্চয়তা ছাড়া অর্থাৎ প্রত্যয়পত্র ছাড়া বৈদেশিক বাণিজ্য সম্ভব নয়।
গ উত্তর: উদ্দীপকে প্রত্যয়পত্র দলিলের মাধ্যমে জনাব হাকিম অর্থ ধার করেছিলেন।
প্রত্যয়পত্র হলো ব্যাংক কর্তৃক প্রদত্ত গ্রাহকের পক্ষে অন্য ব্যক্তিকে অর্থ পরিশোধের নিশ্চয়তাপত্র। সাধারণত বৈদেশিক বাণিজ্যে এটি ব্যবহৃত হলেও ভ্যন্তরীণ ব্যবসায়ে এটি সীমিত পরিসরে ব্যবহৃত হচ্ছে।
উদ্দীপকে জনাব হাকিম সাহেব মি. আরেফিনের নিকট হতে কিছু টাকা ধার করেন। তবে ব্যাংক কর্তৃক প্রদত্ত একটি দলিলের কারণে মি. আরেফিন হাকিম সাহেবকে অর্থ ধার দেন। কেননা, এ দলিলের মাধ্যমে ব্যাংক হাকিম সাহেবের পক্ষে মি আরেফিনকে ঋণ পরিশোধের নিশ্চয়তা দিয়েছে।
অর্থাৎ হাকিম সাহেব ঋণের অর্থ পরিশোধ করতে না পারলে ব্যাংক এ অর্থ পরিশোধ করবে। এ সকল বৈশিষ্ট্য পর্যালোচনা করে বলা যায়, এ দলিলটি হলো প্রত্যয়পত্র।
ঘ উত্তর: উদ্দীপকে প্রত্যয়পত্রের মাধ্যমে ব্যাংক ঋণের অর্থ ফেরতের নিশ্চয়তা প্রদান করায় মি. আরেফিন বিচলিত হননি।
প্রত্যয়পত্র হলো ব্যাংক কর্তৃক প্রদত্ত এক ধরনের নিশ্চয়তাপত্র। এ পত্রের মাধ্যমে গ্রাহকের পক্ষে ব্যাংক অন্য ব্যক্তিকে অর্থ পরিশোধের নিশ্চয়তা দেয়।
উদ্দীপকে মি. আরেফিন প্রত্যয়পত্র দলিলের মাধ্যমে জনাব হাকিক উত্তর:ে ঋণ প্রদান করেন। মূলত এ দলিলের মাধ্যমে ব্যাংক মি. আরেফিনের অর্থ প্রাপ্তির নিশ্চয়তা প্রদান করেছে। পরবর্তীতে জনাব হাকিম হঠাৎ জাপান চলে গেলেও মি. আরেফিন বিচলিত হননি।
এখানে জনাব হাকিম ঋণের অর্থ পরিশোধে ব্যঅর্থ হলে ব্যাংক এ অর্থ পরিশোধ করবে। কেননা, ব্যাংক প্রত্যয়পত্রের মাধ্যমে মি. আরেফিনকে অর্থ পরিশোধের নিশ্চয়তা দিয়েছে। তাই জনাব হাকিম দেশে না থাকলেও মি. আরেফিনের কোনো ঝুঁকি নেই। আর এ কারণেই তিনি বিচলিত হননি।
প্রশ্ন ১৪: জনাব সাঈদ একজন গার্মেন্টস ব্যবসায়ী। তিনি জানেন দেশের রপ্তানি আয়ের ৮০% আসে এ খাত থেকে। তবে তা আমাদের দেশের মুদ্রাকে শক্তিশালী করছে না। এর কারণ জনাব সাঈদের তৈরি পোশাকের জঅন্য বেশিরভাগ খরচই চলে যায় কাঁচামাল আমদানি বাবদ ব্যয়ে। আবার আরব বিশ্বে বেশ কয়েক বছর ধরে শ্রমিক নেয়া বন্ধ ছিল। সম্প্রতি সৌদি আরব আবার শ্রমিক নিবে বলে ঘোষণা দেয়। এ ঘোষণায় জনাব সাঈদ ভবিষ্যতে মুদ্রার মূল্যমান শক্তিশালী হবে বলে আশা করছেন। [আবদুল কাদির মোলা সিটি কলেজ, নরসিংদী]
ক.ভাসমান মুদ্রা কী?১
খ.প্রত্যয়পত্র বলতে কী বোঝায়? ব্যাখ্যা করো। ২
গ.জনাব সাঈদ টাকা শক্তিশালী না হওয়ার ক্ষেত্রে কোন কারণ উলেখ করেছেন? ব্যাখ্যা করো। ৩
ঘ.জনাব সাঈদের প্রত্যাশা নুযায়ী মুদ্রামান শক্তিশালী হবে কীভাবে? বিশ্লেষণ করো। ৪
১৪ নং প্রশ্নের উত্তর
ক উত্তর: কোনো দেশের মুদ্রার মান সরকারিভাবে নিয়ন্ত্রণ না করে বৈদেশিক মুদ্রার চাহিদা ও যোগানের বা বাজার পরিস্থিতির উপর ছেড়ে দিলে ঐ মুদ্রাকে ভাসমান মুদ্রা বলে।
খ উত্তর: যে পত্রের মাধ্যমে ব্যাংক আমদানিকারকের পক্ষে রপ্তানিকারককে পণ্যের মূল্য পরিশোধের নিশ্চয়তা দেয় তাকে প্রত্যয়পত্র বলে।
বৈদেশিক বাণিজ্যে প্রত্যয়পত্র ব্যবহার করা হয়।
আমদানিকারক ও রপ্তানিকারকের মাঝে ব্যাংক মধ্যস্থতা করে প্রত্যয়পত্রের মাধ্যমে। এর মাধ্যমে ব্যাংক রপ্তানিকারককে এই মর্মে নিশ্চয়তা প্রদান করে যে, কোনো কারণে আমদানিকারক পণ্যের মূল্য পরিশোধ করতে ব্যঅর্থ হলে ব্যাংক তা পরিশোধ করবে।
গ উত্তর: জনাব সাঈদ টাকা শক্তিশালী না হওয়ার ক্ষেত্রে লেনদেনের উদ্বৃত্তের কথা উলেখ করেছেন।
চাহিদা-যোগান তত্ত¡ নুযায়ী কোনো দেশের মুদ্রার মান নির্ভর করে মুদ্রাটির চাহিদা ও যোগানের উপর। আবার কোনো দেশের মুদ্রার চাহিদা ঐ দেশের আন্তর্জাতিক বাণিজ্যিক লেনদেনের উদ্বৃত্তের সাথে সম্পর্কিত। লেনদেনের উদ্বৃত্ত নুক‚লে হলে বিদেশে দেশিয় মুদ্রার চাহিদা বাড়ে ফলে মুদ্রার মান বৃদ্ধি পায়।
উদ্দীপকে জনাব সাঈদ একজন গার্মেন্টস ব্যবসায়ী। তিনি জানেন যে দেশের মোট রপ্তানি আয়ের শতকরা ৮০ ভাগ আসে গার্মেন্টস খাত থেকে। কিন্তু সেটি আমাদের মুদ্রাকে ততটা শক্তিশালী করছে না কারণ জনাব সাঈদের তৈরি পোশাকের বেশির ভাগ খরচই চলে যায় কাঁচামাল আমদানি সংক্রান্ত ব্যয়ে। অর্থাৎ এই ক্ষেত্রেও আমাদের বাণিজ্য ঘাটতি বিদ্যমান।
রপ্তানি থেকে আয় হওয়া বেশিরভাগ বৈদেশিক মুদ্রা আমদানির জঅন্য ব্যয় হয়ে যাওয়ার কারণে দেশের বৈদেশিক মুদ্রার যোগান কমে যায়। আবার এর বাণিজ্য ঘাটতির কারণে বিদেশে দেশীয় মুদ্রার চাহিদা কম থাকে। সর্বোপরি আন্তর্জাতিক বাণিজ্যের এই ঘাটতি দেশীয় মুদ্রার মানকে শক্তিশালী করছে না।
ঘ উত্তর: জনাব সাঈদের প্রত্যাশা নুযায়ী বেশি রেমিট্যান্স আসার মাধ্যমে মুদ্রামান শক্তিশালী হবে।
দেশে বিদেশি মুদ্রার রিজার্ভ বৃদ্ধি পেলে দেশীয় মুদ্রার মান বৃদ্ধি পায়। চাহিদা-যোগান তত্ত¡ নুযায়ী বৈদেশিক মুদ্রার যোগান বৃদ্ধি পেলে দেশীয় মুদ্রার মান বৃদ্ধি পায়।
উদ্দীপকে জনাব সাঈদ একজন গার্মেন্টেস ব্যবসায়ী। তিনি দেশের মুদ্রামান কমে যাওয়া নিয়ে চিন্তিত।
তবে আবার বিশ্বে শ্রমিক নেয়া বেশ কয়েক বছর ধরে বন্ধ থেকে পুনরায় চালু হওয়ায় তিনি আশাবাদী যে মুদ্রার মান বাড়বে। কারণ বিদেশ থেকে শ্রমিকেরা অর্থ পাঠালে তা বৈদেশিক মুদ্রায় পাঠাবে এবং দেশের রিজার্ভ বৃদ্ধি পাবে। ফলে মুদ্রার মান বাড়বে।
রেমিট্যান্স মুদ্রার মান বৃদ্ধিতে যথেষ্ট ভ‚মিকা রাখে। চাহিদা যোগান তত্ত¡ নুযায়ী দেশে বৈদেশিক মুদ্রার চাহিদা বেশি এবং যোগান কম থাকলে দেশীয় মুদ্রার মান কমে। পক্ষান্তরে চাহিদা নুযায়ী পর্যাপ্ত পরিমাণ যোগান থাকলে দেশীয় মুদ্রার মান বাড়ে।
কারণ তখন মানুষ কম টাকার বিনিময়ে বৈদেশিক মুদ্রা কিনতে পারে। রেমিট্যান্স এর মাধ্যমে বিদেশ থেকে বাড়তি বৈদেশিক মুদ্রা আসলে দেশে যোগান বৃদ্ধি পাবে। ফলে জনাব সাঈদের আশা নুযায়ী দেশের মুদ্রামান শক্তিশালী হবে।
প্রশ্ন ১৫: বৈদেশিক বাণিজ্যে রপ্তানীকৃত পণ্যের মূল্য প্রাপ্তি এবং আমদানিকৃত পণ্যের প্রাপ্তি নিয়ে যাতে কাউকেই চিন্তার মধ্যে থাকতে না হয় এজঅন্য একটি বহুল ব্যবহৃত ঋণের দলিল ব্যবহৃত হয়। এই দলিলের মাধ্যমে ব্যাংক আমদানিকারকের দেনার দায়িত্ব গ্রহণ করে। এতে ব্যাংক তার আমদানিকারকের পক্ষে রপ্তানিকারককে পণ্যের মূল্য নির্দিষ্ট শর্তসাপেক্ষে পরিশোধের নিশ্চয়তা দেয় এবং আমদানিকারকের পারগতায় নিজে সেটি পরিশোধ করবে বলে প্রতিশ্র“তি দেয়। এটি দেশের অর্থনেতিক গতিশীলতা সৃষ্টিসহ সাগ উত্তর:্রিক উন্নয়নে নস্বীকার্য ভ‚মিকা রাখছে। [ক্যান্টনমেন্ট পাবলিক স্কুল এ্যান্ড কলেজ, সৈয়দপুর]
ক.নগদ ঋণ কী?১
খ.“জামানতযুক্ত ঋণ ব্যাংকের জঅন্য নিরাপদ”Ñ ব্যাখ্যা করো। ২
গ.উদ্দীপকের এই ঋণের দলিলটির মাধ্যমে আমদানি-রপ্তানি কার্যক্রম সম্পর্কে আলোচনা করো। ৩
ঘ.উদ্দীপকে উলিখিত দলিলটি ব্যবসা বাণিজ্যে কীভাবে সহায়তা করছে বলে তুমি মনে কর? মতামত দাও। ৪
১৫ নং প্রশ্নের উত্তর
ক উত্তর: পণ্য বা স্থাবর সম্পত্তি জামানতের বিপক্ষে ব্যাংক তার ব্যবসায়ী গ্রাহককে চলতি হিসাবের মাধ্যমে যে ঋণ প্রধান করে তাকে নগদ ঋণ বলে।
খ উত্তর: ব্যাংক ঋণ পরিশোধ প্রাপ্তির নিশ্চয়তাস্বরূপ জামানত নেয় বলে জামানতযুক্ত ঋণ ব্যাংকের জঅন্য নিরাপদ।
ঋণ পরিশোধের নিশ্চয়তা বিধানের লক্ষ্যে ঋণগ্রহীতা ব্যাংকে যে সম্পত্তি বন্ধক রাখে বা গ্যারান্টি প্রদান করে তাই জামানত। জামানতযুক্ত ঋণ পরিশোধে ঋণগ্রহীতা ব্যঅর্থ হলে ব্যাংক জামানতের সম্পত্তি বিক্রি করে ঋণের টাকা উদ্ধার করতে পারে। কিন্তু জামানত বিহীন ঋণের ক্ষেত্রে সেটি সম্ভব নয়। এজঅন্যই জামানতযুক্ত ঋণ ব্যাংকের জঅন্য বেশি নিরাপদ।
গ উত্তর: উদ্দীপকে বর্ণিত আমদানি-রপ্তানি কাজে সহায়তাকারী দলিলটির নাম হলো প্রত্যয়পত্র।
যে দলিলের মাধ্যমে আমদানিকারকের পক্ষে রপ্তানিকারককে এই কর্মে নিশ্চয়তা প্রদান করে যে, কোনো কারণে আমদানিকারক পণ্যের মূল্য পরিশোধ না করলে ব্যাংক তা পরিশোধ করবে। ব্যাংকের মধ্যস্থতায় শুধুমাত্র প্রত্যয়পত্রের মাধ্যমেই আমদানি-রপ্তানি সম্ভব হয়।
উদ্দীপকের আলোচনার মাধ্যমে মূলত প্রত্যয়পত্রের কথা বলা হয়েছে। বৈদেশিক বাণিজ্যে আমদানিকারক ফরমায়েশ প্রদান করে উপযুক্ত রপ্তানিকারক নির্বাচন করার পর। রপ্তানিকারক ফরমায়েশপত্রে সম্পত্তি প্রদান করলে আমদানিকারককে প্রত্যয়পত্র পাঠাতে বলে।
আমদানিকারক তার ব্যাংকের সাথে যোগাযোগ করে একটি প্রত্যয়পত্র খুলে তা রপ্তানিকারকে পাঠায়। রপ্তানিকারক শুধুমাত্র প্রত্যয়পত্র পাওয়ার পরই তার পণ্য পাঠায়। পরে সেই প্রত্যয়পত্রের মাধ্যমেই পণ্যের মূল্য পরিশোধিত হয় এবং আমাদানি-রপ্তানি প্রক্রিয়া সম্পন্ন হয়। প্রত্যয়পত্র ছাড়া মূলত রপ্তানিকারক পণ্য পাঠাতে সম্মত হত না। কারণ রপ্তানিকারক ও আমদানিকারকের মধ্যকার পরস্পরের বিশ্বাসের সেতু বন্ধন হিসেবে কাজ করেছে প্রত্যয়পত্র।
- উত্তর ডাউনলোড করুন> (১ম পত্র) ব্যবসায়ের মৌলিক ধারণা ১ম পত্র সৃজনশীল প্রশ্ন
- উত্তর ডাউনলোড করুন>(১ম পত্র)১ম: ব্যবসায়ের মৌলিক ধারণা প্রশ্ন উত্তরসহ PDF
- উত্তর ডাউনলোড করুন> HSC ব্যবসায়ের মৌলিক ধারণা প্রশ্নের উত্তরসহ অধ্যায়-১: PDF
- উত্তর ডাউনলোড করুন> HSC অধ্যায়-১: প্রশ্নের উত্তরসহ ব্যবসায়ের মৌলিক ধারণা PDF
- উত্তর ডাউনলোড করুন>অধ্যায়৩: SSC ফিন্যান্স ও ব্যাংকিং‘র সৃজনশীল প্রশ্নোত্তর PDF
- উত্তর ডাউনলোড করুন> অধ্যায়৩: SSC ফিন্যান্স ও ব্যাংকিং‘র জ্ঞানমূলক প্রশ্নোত্তরPDF
ঘ উত্তর: উদ্দীপকে উলিখিত প্রত্যয়পত্রটি ব্যবসায় বাণিজ্যে বিশেষ করে আমদানি-রপ্তানি বাণিজ্যে সুদূর প্রসারি ভ‚মিকা রাখে।
প্রত্যয়পত্রের মাধ্যমে ব্যাংক আমদানিকারকের পক্ষ হয়ে রপ্তানিকারককে পণ্যের মূল্য পরিশোধের নিশ্চয়তা দেয়। প্রত্যয়পত্রের মাধ্যমে ব্যাংক বৈদেশিক বাণিজ্যে এবং দেশের ব্যবসায় বাণিজ্যের সম্প্রসারণে পরিসীম ভ‚মিকা রাখে।
বৈদেশিক বাণিজ্যে মূল্য প্রাপ্তি নিয়ে নিশ্চয়তায় মধ্যে থাকতে হয় না প্রত্যয়পত্রের কারণে। এই দলিলের মাধ্যমে ব্যাংক আমদানিকারকের দেনার দায়িত্ব গ্রহণ করে। এর মাধ্যমে ব্যাংক আমদানিকারকের পক্ষে রপ্তানিকারকের পণ্যের মূল্য পরিশোধ করবে বলে নিশ্চয়তা দেয়।
প্রত্যয়পত্র বৈদেশিক বাণিজ্যকে সহজ ও নিরাপদ করেছে। রপ্তানিকারক ব্যাংক থেকে নিশ্চয়তাপত্র অর্থাৎ প্রত্যয়পত্র না পেলে সাধারণত পণ্য রপ্তানি করে না। কারণ আমাদিনারক যদি পণ্যের মূল্য পরিশোধ না করে সেক্ষেত্রে রপ্তানিকারক ক্ষতির সম্মুখীন হতে পারে।
কিন্তু ব্যাংক প্রত্যয়পত্রের মাধ্যমে নিশ্চয়তা প্রদান করায় রপ্তানিকারকের পণ্য প্রেরণে আর কোনো সমস্যা থাকে না। প্রত্যয়পত্র না থাকলে আমদানিকারক ও রপ্তানিকারকের মধ্যে বোঝা পড়ায় কোনো মধ্যস্থতাকারী থাকত না ফলে আমদানি বা রপ্তানি কমে যেত বা ব্যবসা বাণিজ্যের ক্ষতির কারণ হয়ে দাঁড়াত।
আবার প্রত্যয়পত্র আমদানি-রপ্তানি বাণিজ্যে একটি গুরুত্বপূর্ণ প্রামাণ্য দলিল হিসেবেও কাজ করে। সুতরাং বলা যায়, ব্যবসায় বণিজ্যে প্রত্যয়পত্রের সহায়তা নেক গুরুত্বপূর্ণ।
উক্ত বিষয় সম্পর্কে কিছু জানার থাকলে কমেন্ট করতে পারেন।
আমাদের সাথে ইউটিউব চ্যানেলে যুক্ত হতে এখানে ক্লিক করুন এবং আমাদের সাথে ফেইজবুক পেইজে যুক্ত হতে এখানে ক্লিক করুন। গুরুত্বপূর্ণ আপডেট ও তথ্য পেতে আমাদের ওয়েবসাইটে ভিজিট করুন।
আমাদের সাথে ইউটিউব চ্যানেলে যুক্ত হতে এখানে ক্লিক করুন এবং আমাদের সাথে ফেইজবুক পেইজে যুক্ত হতে এখানে ক্লিক করুন। গুরুত্বপূর্ণ আপডেট ও তথ্য পেতে আমাদের ওয়েবসাইটে ভিজিট করুন।