HSC | ফিন্যান্স ব্যাংকিং ও বিমা: দ্বিতীয় পত্র | অধ্যায় ৬ ও ৭ | PDF : ফিন্যান্স, ব্যাংকিং ও বিমা দ্বিতীয় পত্রের ষষ্ট ও সত্তম অধ্যায় হতে গুরুত্বপূর্ণ সব প্রশ্ন উত্তর গুলো আমাদের এই পোস্টে পাবেন।
প্রিয় ছাত্র ছাত্রী বন্ধুরা আল্লাহর রহমতে সবাই ভালোই আছেন । এটা জেনে আপনারা খুশি হবেন যে, আপনাদের জন্য ফিন্যান্স, ব্যাংকিং ও বিমা দ্বিতীয় পত্রের ষষ্ট ও সত্তম অধ্যায় অধ্যায় হতে গুরুত্বপূর্ণ সব প্রশ্ন উত্তর নিয়ে আলোচনা করতে যাচ্ছি ।
সুতরাং সম্পূর্ণ পোস্টটি মনোযোগ সহকারে পড়ুন। আর এইচ এস সি- HSC এর যেকোন বিভাগের গুরুত্বপূর্ণ সকল সাজেশন পেতে জাগোরিকের সাথে থাকুন।
ষষ্ঠ অধ্যায়: চেক, বিল অব এক্সচেঞ্জ ও প্রমিসরি নোট
১. জনাব রাজন এমন একটি চেক পেয়েছেন যা সরকারি ব্যাংক কাউন্টার থেকে ভাঙানো যাবে না। প্রাপকের হিসাবে জমা দিয়ে অর্থ সংগ্রহ করতে হবে।
[আবদুল কাদির মোলা সিটি কলেজ, নরসিংদী]
ক. হস্তান্তরযোগ্য ঋণের দলিল কী?
খ. সরকারি নোট ও ব্যাংক নোটের মধ্যে পার্থক্য কী? ব্যাখ্যা করো।
গ. উদ্দীপকে জনাব রাজন কী ধরনের চেক পেয়েছেন? ব্যাখ্যা করো।
ঘ. “জনাব রাজনের চেকটি অধিক নিরাপদ”-উদ্দীপকের আলোকে বিশ্লেষণ করো।
উত্তর: মেইড ইজি উত্তরপত্র বইয়ের পৃষ্ঠা ৩৭৯ এর ১৯ নম্বর দ্রষ্টব্য।
২. রাজশাহীর রাসেদ ব্যবসায়ের প্রয়োজনে ঢাকার চকবাজারের কাশেমকে ১ কোটি ৩০ লক্ষ টাকার একটি চেক প্রদান করে। কাশেম সেটি নগদে উত্তোলন করতে চাইলে ব্যাংক তার নামে একটি হিসাব খুলতে বলে। পরবর্তীতে কাশেম হিসাব খুলে ১ জানুয়ারি ইস্যুকৃত চেকটি ৮ জুলাই তারিখে ব্যাংকে জমা দেন এবং টাকা উত্তোলন করতে চাইলে ব্যাংক টাকা দিতে অস্বীকৃতি জানারো। [ঢাকা সিটি কলেজ]
ক. বাসি চেক কাকে বলে?
খ. কোন হস্তান্তরযোগ্য ঋণের দলিলের আদিষ্ট ব্যাংক? ব্যাখ্যা করো।
গ. উদ্দীপকে বর্ণিত চেকটি কোন ধরনের চেক? বর্ণনা করো।
ঘ. উদ্দীপকে ব্যাংক কর্তৃক চেকের টাকা প্রদানে অস্বীকৃতি জানানো কতটুকু যুক্তিসঙ্গত? বিশ্লেষণ করো।
উত্তর: মেইড ইজি উত্তরপত্র বইয়ের পৃষ্ঠা ৩৭৮ এর ১৫ নম্বর দ্রষ্টব্য।
ক ও খ নং প্রশ্নের সাজেশন
ক নং প্রশ্ন (জ্ঞানমূলক)
প্রশ্ন-১. চেক কী? [য. বো. ১৭]
উত্তর: আমানতকারী কর্তৃক ব্যাংক থেকে অর্থ উত্তোলনের লিখিত শর্তহীন নির্দেশনামাকে চেক বলে।
প্রশ্ন-২. আদেষ্টা কী?
উত্তর: যে ব্যক্তি চেকে স্বাক্ষর প্রদানের মাধ্যমে কোনো ব্যক্তিকে অথবা নিজেকে অর্থ প্রদানের শর্তহীন নির্দেশ প্রদান করে তাকে চেকের আদেষ্টা বা উৎধবিৎ বলে।
প্রশ্ন-৩. আদিষ্ট কী?
উত্তর: আদেষ্টা চেক প্রস্তুত করে মূলত যার প্রতি এর অর্থ পরিশোধের নির্দেশ দেয় তাকে চেকের আদিষ্ট বা উৎধবিব বলে।
প্রশ্ন-৪. প্রাপক কী? [ব. বো. ১৭]
উত্তর: চেকের আদেষ্টা অর্থ পরিশোধের নিমিত্তে যার নাম চেকের পাতায় উলেখ করে তাকে চেকের প্রাপক বা চধুবব বলে।
প্রশ্ন-৫. অনুমোদনবলে প্রাপক কী?
উত্তর: অনুমোদন বা হস্তান্তরের মাধ্যমে চেকের স্বত্ব কেউ প্রাপ্ত হলে তাকে অনুমোদনবলে প্রাপক বা ঊহফড়ৎংবব বলে।
প্রশ্ন-৬. অনুমোদনকারী কী?
উত্তর: অনুমোদন বা হস্তান্তরের নিমিত্তে যে ব্যক্তি চেকের অর্থ প্রাপ্তির অধিকার অন্যের নিকট হস্তান্তর করে তাকে অনুমোদনকারী বা ঊহফড়ৎংবৎ বলে। সাধারণত আদেষ্টা বা ধারক চেক অনুমোদন করতে পারেন।
- HSC ব্যবসায়ের মৌলিক ধারণা প্রশ্নের উত্তরসহ অধ্যায়-১: PDF
- HSC অধ্যায়-১: প্রশ্নের উত্তরসহ ব্যবসায়ের মৌলিক ধারণা PDF
- (১ম পত্র)১ম: ব্যবসায়ের মৌলিক ধারণা প্রশ্ন উত্তরসহ PDF
- (১ম পত্র) অধ্যায়-২ ব্যবসায় পরিবেশ সৃজনশীল প্রশ্নোত্তর PDF
- (PDF ১ম পত্র) অধ্যায়-২ ব্যবসায় পরিবেশ সৃজনশীল প্রশ্নোত্তর
প্রশ্ন-৭. ধারক কী?
উত্তর: চেকের ধারক বলতে চেকের প্রাপক বা অনুমোদনবলে প্রাপককে বোঝায়, যার নিকট দলিলটি রয়েছে বা তার পক্ষে যে দলিলটি বহন করছে।
প্রশ্ন-৮. বাহক চেক কী?
উত্তর: যেকোনো ব্যক্তি বা বাহক ব্যাংকে উপস্থাপন করে যে চেকের অর্থ সংগ্রহ করতে পারে তাকে বাহক চেক বলে।
প্রশ্ন-৯. হুকুম চেক কী? [দি. বো. ১৭]
উত্তর: যে চেকে প্রাপকের নামের শেষে “অথবা আদেশানুসারে” শব্দদ্বয় লেখা থাকে তাকে হুকুম চেক বা আদেশ চেক বলে।
প্রশ্ন-১০. দাগকাটা চেক কী?
উত্তর: বাহক বা হুকুম চেকের বাম কোনায় আড়াআড়িভাবে দু’টি সমান্তরাল সরললেখা টানা হলে ঐ চেককে দাগকাটা চেক বলে।
প্রশ্ন-১১. সাধারণভাবে দাগকাটা চেক কী?
উত্তর: যদি কোনো রেখাঙ্কিত চেকের দুই দাগের মাঝে কিছু লেখা না থাকে বা লেখা থাকলেও ব্যাংক শব্দের উলেখ না থাকে তবে তাকে সাধারণভাবে দাগকাটা চেক বলে।
প্রশ্ন-১২. বিশেষভাবে দাগকাটা চেক কী?
উত্তর: কোনো দাগকাটা চেকের দুই দাগের মাঝখানে কোনো ব্যাংকের নাম উলেখ থাকলে তাকে বিশেষভাবে দাগকাটা চেক বলে।
প্রশ্ন-১৩. মার্কেট চেক কী?
উত্তর: যে চেকের দ্বারা বাজারে নিত্য প্রয়োজনীয় পণ্যদ্রব্য কেনাবেচা করা যায় তাকে মার্কেট চেক বলে।
প্রশ্ন-১৪. উপহার চেক কী?
উত্তর: আপনজনকে উপহার দেয়ার জন্য সঞ্চয় সংগ্রহের মাধ্যমে বাণিজ্যিক ব্যাংক যে চেক ইস্যু করে তাকে উপহার চেক বলে।
প্রশ্ন-১৫. ফাঁকা চেক কী?
উত্তর: যে চেকে সবকিছু যথাযথভাবে পূরণ করা হলেও টাকার অঙ্ক লেখার ঘর ফাঁকা রাখা হয় তাকে ফাঁকা চেক বলে।
প্রশ্ন-১৬. পূর্ব তারিখের চেক কী?
উত্তর: কোনো চেকে ইস্যুকৃত তারিখের পূর্বের কোনো তারিখ উলেখ করা হলে তাকে পূর্ব তারিখের চেক বলে। যেমন: আজকের তারিখ ২০ ফেব্র“য়ারি ২০১৭ হলেও ২০ জানুয়ারি ২০১৭ তারিখের চেক হলে সেটি হবে পূর্ব তারিখের চেক। এতে অর্থ উত্তোলনে সাধারণত সমস্যা হয় না।
প্রশ্ন-১৭. পরবর্তী তারিখের চেক কী?
উত্তর: চেক ইস্যুর তারিখ উলেখ না করে কোনো ভবিষ্যৎ বা পরবর্তী তারিখের উলেখ করলে তাকে পরবর্তী তারিখের চেক বলে। যেমন: আজকের তারিখ ১০ মার্চ ২০১৭ না লিখে ২৫ মার্চ ২০১৭ তারিখ লিখলে ২৫ মার্চ এর পূর্বে চেক ভাঙ্গানো যাবে না।
প্রশ্ন-১৮. বাসি চেক কী? [ঢা. বো. ১৭]
উত্তর: প্রস্তুত তারিখের পর থেকে চেক ভাঙানোর আইনানুগ নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যে চেক ভাঙানো না হলে উক্ত চেককে বাসি চেক বলে।
প্রশ্ন-১৯. হারানো চেক কী?
উত্তর: প্রস্তুতের পর উপস্থাপনের পূর্বে কোনো চেক হারানো গেলে বা চুরি হলে তাকে হারানো চেক বলে। এ ধরনের চেক হারানোর সাথে সাথেই তা ব্যাংকে অবহিত করতে হয়, যাতে ব্যাংক প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিতে পারে।
প্রশ্ন-২০. চেক প্রত্যাখ্যান বা অমর্যাদা কী?
উত্তর: আমানতকারী কর্তৃক কোনো চেক ব্যাংকে উপস্থাপিত হওয়ার পর ব্যাংক উক্ত চেকের অর্থ পরিশোধ করতে অস্বীকৃতি জানালে তাকে চেক প্রত্যাখ্যান বা অমর্যাদা বা উরংযড়হড়ঁৎ বলে।
প্রশ্ন-২১. বিনিময় বিল কী?
উত্তর: বিনিময় বিল হলো এমন এক প্রকার হস্থান্তরযোগ্য ঋণের দলিল যাতে কোনো ব্যক্তি অপর কোনো ব্যক্তিকে কোনো নির্দিষ্ট পরিমাণ অর্থ প্রদানের জন্য শর্তহীন নির্দেশ প্রদান করে।
প্রশ্ন-২২. অঙ্গীকারপত্র কী?
উত্তর: অঙ্গীকারপত্র বা প্রমিসরি নোট হলো এমন এক ধরনের পত্র বা দলিলকে বোঝায় যাতে কোনো ব্যক্তি অপর কোনো ব্যক্তিকে একটি নির্দিষ্ট পরিমাণ অর্থ প্রদানের অঙ্গীকার প্রদান করে।
খ নং প্রশ্ন (অনুধাবনমূলক)
প্রশ্ন-১. চেককে প্রামাণ্য দলিল হিসেবে গ্রহণ করা হয় কেন? ব্যাখ্যা করো।
উত্তর: আমানতকারী চাহিবামাত্র ব্যাংক তার হিসাব থেকে অর্থ প্রদান করতে বাধ্য থাকে। এক্ষেত্রে চেক একটি প্রামাণ্য দলিল হিসেবে গ্রহণ করা হয়।
কারণ কোনো চেক যথা নিয়মে উপস্থাপনের পরও তা অমর্যাদাকৃত হলে এর জন্য দায়ী পক্ষ সংশ্লিষ্ট অন্যদের নিকট দায়বদ্ধ থাকে। সেক্ষেত্রে কোনোরূপ সাক্ষ্য প্রমাণ ছাড়াই অমর্যাদাকৃত চেকটি আদেষ্টার দায় নির্ধারণে যথেষ্ট বিবেচিত হয়। আর এজন্যই আদালত কর্তৃক চেককে প্রামাণ্য দলিল হিসেবে গ্রহণ করে।
প্রশ্ন-২. বাহক চেক, হুকুম চেক থেকে পৃথক কেন? ব্যাখ্যা করো।
উত্তর: বৈশিষ্ট্য ও ব্যবহারজনিত কারণে বাহক চেক ও হুকুম চেক একটি অপরটি থেকে আলাদা। নিচে এই দু’ধরনের চেকের কয়েকটি পার্থক্য দেয়া হলো:
পার্থক্যের বিষয় বাহক চেক হুকুম চেক
১. প্রকৃতি
বাহক চেকের অর্থ যেকোনো বাহককে ব্যাংক প্রদান করে। প্রাপকের হুকুম ছাড়া অন্য কাউকে হুকুম চেকের অর্থ প্রদান করা হয় না।
২. হস্তান্তর এ ধরনের চেক শুধু হাত বদলের ফলে মালিকানা হস্তান্তর হয়ে যায়। কেবল অনুমোদন দ্বারা এ ধরনের চেকের মালিকানা হস্তান্তরিত হয়।
৩. প্রাপকের নাম এ চেকে প্রাপকের নাম লেখা আবশ্যক না। এ চেকে প্রাপকের নাম লেখা থাকে।
৪. নিরাপত্তা এ চেকের নিরাপত্তা অপেক্ষাকৃত কম। কারণ যে কেউ ব্যাংকে উপস্থাপন করে চেকের অর্থ উত্তোলন করতে পারে। এ চেকের নিরাপত্তা বেশি। কারণ প্রাপক বা তার অনুমোদন ছাড়া কেউ অর্থ উত্তোলন করতে পারে না।
প্রশ্ন-৩. অগ্রিম চেক বলতে কী বুঝ? [দি. বো. ১৭]
উত্তর: যে চেক ভবিষ্যতের কোনো তারিখ দিয়ে প্রস্তুত করা হয় তাকে অগ্রিম চেক বলে।
এ ধরনের চেক প্রস্তুতে চেক ইস্যুর তারিখ উলেখ না করে কোনো ভবিষ্যৎ বা পরবর্তী তারিখের উলেখ করা হয়। আর উলিখিত তারিখের পূর্বে এ চেক ভাঙ্গানো যায় না।
প্রশ্ন-৪. চেকের অনুমোদন বলতে কী বোঝায়? [ঢা. বো. ১৭]
উত্তর: হস্তান্তরের উদ্দেশ্যে চেকের আদেষ্টা বা প্রাপক বা ধারক কর্তৃক চেকের উল্টোপিঠে কিংবা উক্ত কাগজে কোনো কিছু লিখে বা না লিখে স্বাক্ষর করাকে চেকের অনুমোদন বলে।
চেক একটি হস্তান্তরযোগ্য দলিল। চেক হস্তান্তরের জন্য অনুমোদনের প্রয়োজন হতেও পারে আবার নাও হতে পারে। চেক অনুমোদনের মুখ্য উদ্দেশ্য হলো চেকটি হস্তান্তর করা অর্থাৎ অনুমোদনকারী কর্তৃক অন্যকে চেকের স্বত্ব প্রদান করা। হস্তান্তরের জন্য বাহক চেকে অনুমোদন প্রয়োজন হয় না কিন্তু দাগকাটা চেকের ক্ষেত্রে অনুমোদনের প্রয়োজন হয়।
প্রশ্ন-৫. চেকের অনুমোদন কেন প্রয়োজন হয়? ব্যাখ্যা করো। [ঢা. বো. ১৭]
উত্তর: চেকের অনুমোদন দ্বারা চেকের মালিকানা পরিবর্তন নিশ্চিত হওয়ায় চেক হস্তান্তরে চেকের অনুমোদন গুরুত্বপূর্ণ। বাহক চেক শুধু প্রদানের মাধ্যমে অনুমোদন হলেও হুকুম চেকের উল্টো পিঠে অবশ্যই বৈধ অধিকারী দ্বারা অনুমোদিত হতে হয়। চেকের অনুমোদন অবশ্যই সম্পূর্ণ চেকের জন্য হয়ে থাকে।
প্রশ্ন-৬. দাগকাটা চেক কেন অধিক নিরাপদ? ব্যাখ্যা করো।
উত্তর: বাহক চেক বা হুকুম চেকের বামকোণে দু’টো সমান্তরাল রেখা এঁকে যে চেক প্রস্তুত করা হয় তাকে দাগকাটা চেক বলে।
দু’টো সমান্তরাল রেখার মাঝখানে ‘অ/ঈ চধুবব’, ‘হস্তান্তরযোগ্য’, ‘নির্দিষ্ট অঙ্কের টাকা’ প্রভৃতি শব্দাবলি লেখা থাকে। অন্যান্য যেকোনো চেকের তুলনায় দাগকাটা চেক অধিক নিরাপদ কারণ দাগকাটা চেকের মাধ্যমে প্রাপকের ব্যাংক হিসাব ছাড়া কেউ এর অর্থ আদায় করতে পারে না। এতে ঝুঁকি হ্রাস পায়। তাই দাগকাটা চেক অধিক নিরাপদ।
প্রশ্ন-৭. ব্যাংক হিসাবে পর্যাপ্ত অর্থ না থাকা সত্তে¡ও চেক ইস্যু করা কি চেকের অমর্যাদার মধ্যে পড়ে? ব্যাখ্যা করো। [ব. বো. ১৭]
উত্তর: ব্যাংক হিসাবে পর্যাপ্ত অর্থ না থাকা সত্তে¡ও চেক ইস্যু করা চেকের অমর্যাদা হিসেবে গণ্য হয়।
ব্যাংক কর্তৃক চেকের অর্থ প্রদানের অস্বীকৃতিই মূলত চেকের অমর্যাদা। আর চেক ব্যাংকে উপস্থাপন মাত্র কোনো প্রকার অনিয়ম না থাকলে ব্যাংক উক্ত চেকের অর্থ প্রদানে বাধ্য থাকে। তবে একটি বৈধ চেকও কতগুলো অপরিহার্য শর্তের কারণে স্বভাবতই অমর্যাদাকৃত হতে পারে। আর এর মধ্যে অন্যতম হলো ব্যাংক হিসাবে আমানতকারীর পর্যাপ্ত টাকা না থাকা।
প্রশ্ন-৮. বাহক চেক, হুকুম চেক অপেক্ষা কম নিরাপদ কেন? [য. বো. ১৭]
উত্তর: বাহক চেক কেবল অর্পনের দ্বারা হস্তান্তরযোগ্য বলে তা হুকুম চেক অপেক্ষা কম নিরাপদ।
হুকুম চেকের প্রাপক অন্য কোনো ব্যক্তিকে চেক হস্তান্তর করলে চেকে যথাযথ অনুমোদন থাকতে হয়। এক্ষেত্রে ব্যাংক প্রাপক বা অনুমোদন বলে প্রাপকের যথার্থতা যাচাই করে অর্থ প্রদান করে। আর বাহক চেকে এ সুযোগ থাকে না বিধায় তা কম নিরাপদ।
প্রশ্ন-৯. বিনিময় বিল অপেক্ষা চেকের ব্যবহার অধিক নিরাপদ কেন? ব্যাখ্যা করো। [সি. বো. ১৭]
উত্তর: চেকের অর্থ ব্যাংক হিসাবের মাধ্যমে হস্তান্তরিত হওয়ায় তা বিনিময় বিল অপেক্ষা অধিক নিরাপদ।
বিনিময় বিল ও চেক উভয়ই হস্তান্তরযোগ্য দলিল হিসেবে ব্যবহৃত হয়। দাগকাটা চেকের অর্থ স্থানান্তরের ক্ষেত্রে তা ব্যাংক হিসাবের মাধ্যমে উপস্থাপন করতে হয়। এছাড়াও এই ধরনের চেক চুরি বা হারানো গেলেও ঝুঁকি থাকে না। অন্যদিকে, নির্দিষ্ট মেয়াদান্তে বিনিময় বিল প্রাপক কর্তৃক ব্যাংকে উপস্থাপন করলেই অর্থ প্রদান করা হয়। তাই নিরাপত্তা বিবেচনায় চেকের ব্যবহার অধিক নিরাপদ।
প্রশ্ন-১০. কোন চেক অধিক নিরাপদ? ব্যাখ্যা করো। [চ. বো. ১৬]
উত্তর: দাগকাটা চেক অধিক নিরাপদ।
বাহক চেক বা হুকুম চেকের উপরিভাগের বাম প্রান্তে কিছু লিখে বা না লিখে দু’টি আড়াআড়ি দাগ টানলে তাকে দাগকাটা চেক বলে। দাগকাটা চেকের অর্থ ব্যাংক হিসাবের মাধ্যমে পরিশোধিত হয় বলে এ চেক হারানো বা চুরি গেলেও এর অর্থ কেউ উত্তোলন করতে পারে না। তাই এ চেকের মাধ্যমে লেনদেন অধিক নিরাপদ।
সপ্তম অধ্যায়: ব্যাংক তহবিলের উৎস ও ব্যবহার
১. জনাব হানিফ একজন নবীন শিল্পোদ্যোক্তা। তিনি তার সদ্য প্রতিষ্ঠিত কোম্পানির অর্থায়নের উদ্দেশ্যে ১০০ কোটি টাকার শেয়ার বাজারে ছাড়েন। ব্যবসায় শুরুর এক বছর পর কারখানার জন্য নতুন বিল্ডিং নির্মাণ করতে তিনি অস্থাবর সম্পত্তি জামানত রেখে একটি বাণিজ্যিক ব্যাংক থেকে ঋণ গ্রহণ করেন। [চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশন আন্তঃ কলেজ]
ক. ভোক্তা ঋণ কী?
খ. ‘সব ঋণে জামানত বাধ্যতামূলক নয়’- কেন?
গ. জনাব হানিফ শেয়ার ছেড়ে কোন ধরনের তহবিলের সংস্থান করেছেন? ব্যাখ্যা করো।
ঘ. জনাব হানিফ যে ধরনের ঋণ নিয়েছেন তুমি কি তা সমর্থন করো? তোমার উত্তরের সপক্ষে যুক্তি দাও।
উত্তর: মেইড ইজি উত্তরপত্র বইয়ের পৃষ্ঠা ৩৯৫ এর ১৮ নম্বর দ্রষ্টব্য।
২. মি. রাহী একজন ব্যবসায়ী। ২ জানুয়ারি ২০১৭ তার ব্যাংকে হিসাব জমা ছিল ৫ লক্ষ টাকা। কিন্তু বিশেষ প্রয়োজন হওয়ায় ঐ দিন তিনি ৬ লক্ষ টাকার চেক কেটে হিসাব থেকে উত্তোলন করেন। ব্যবসায়টি লাভজনক হওয়ায় তিনি এখন নতুন ইউনিট খোলার জন্য ঋণ গ্রহণের সিদ্ধান্ত নিয়েছেন। [নিউ গভ. ডিগ্রী কলেজ, রাজশাহী]
ক. ব্যাংক তহবিল কী?
খ. ব্যাংকের নিজস্ব তহবিলের মূল উৎস কোনটি ধারণা দাও।
গ. মি. রাহী এর গৃহীত ১ লক্ষ টাকা প্রকৃতি অনুযায়ী কোন ধরনের ঋণ ব্যাখ্যা করো।
ঘ. নতুন সিদ্ধান্ত বাস্তবায়নের মেয়াদ অনুযায়ী কোন ঋণ গ্রহণ অধিক যুক্তিযুক্ত বলে তুমি মনে করো। ব্যাখ্যা দাও।
উত্তর: মেইড ইজি উত্তরপত্র বইয়ের পৃষ্ঠা ৩৯৪ এর ১৬ নম্বর দ্রষ্টব্য।
ক ও খ নং প্রশ্নের সাজেশন
ক নং প্রশ্ন (জ্ঞানমূলক)
প্রশ্ন-১. ব্যাংক তহবিল কী? [রা. বো. ১৭]
উত্তর: ব্যবসায়িক প্রয়োজনে নিজস্ব বা বহিস্থ উৎস (যেমন: ব্যাংক ঋণ) থেকে ব্যাংক যে অর্থ সংগ্রহ করে তার সমষ্টিকে ব্যাংক তহবিল বলে।
প্রশ্ন-২. ব্যাংকের মূল চালিকাশক্তি কী?
উত্তর: ব্যাংকের মূল চালিকাশক্তি হলো অর্থ।
প্রশ্ন-৩. ব্যাংক তহবিল গঠনের প্রধান উদ্দেশ্য কী?
উত্তর: ব্যাংক তহবিল গঠনের প্রধান উদ্দেশ্য হলো আর্থিক সচ্ছলতা অর্জনের মাধ্যমে সুনামের সাথে ব্যাংক ব্যবসায় পরিচালনা করা।
প্রশ্ন-৪. ব্যাংকের নিজস্ব ও দীর্ঘমেয়াদি তহবিলের উৎস কী?
উত্তর: ব্যাংকের নিজস্ব ও দীর্ঘমেয়াদি তহবিলের উৎস হচ্ছে কোম্পানির শেয়ার বিক্রয় হতে প্রাপ্ত অর্থ।
প্রশ্ন-৫. ব্যাংক তহবিল গঠন প্রক্রিয়ার সমীকরণ কী?
উত্তর: ব্যাংক তহবিল গঠন প্রক্রিয়ার সমীকরণ হলো: ব্যাংক তহবিল = বাহ্যিক ঋণকৃত তহবিল + অভ্যন্তরীণ তহবিল।
প্রশ্ন-৬. ব্যাংকের জীবনীশক্তির মূল উৎস কী?
উত্তর: ব্যাংকের জীবনীশক্তির মূল উৎস হলো আমানত।
প্রশ্ন-৭. স্বল্পমেয়াদি ঋণকৃত তহবিল কী?
উত্তর: সাধারণত ব্যাংক বাহ্যিক উৎস (যেমন: আমানত হিসেবে সংগৃহীত অর্থ, মুদ্রাবাজার থেকে গৃহীত ঋণ প্রভৃতি) হতে স্বল্পমেয়াদে যে তহবিল সংগ্রহ করে তাকে স্বল্পমেয়াদি ঋণকৃত তহবিল বলে।
প্রশ্ন-৮. ব্যাংকের স্বল্পমেয়াদি ঋণকৃত তহবিলের উৎস কী?
উত্তর: আমানত হিসেবে সংগৃহীত ঋণ, কেন্দ্রীয় ব্যাংক হতে সংগৃহীত ঋণ, মুদ্রাবাজার হতে সংগৃহীত ঋণ এবং ব্যাংক দলিলের মাধ্যমে সংগৃহীত ঋণ ব্যাংকের স্বল্পমেয়াদি ঋণকৃত তহবিলের উৎস।
প্রশ্ন-৯. ব্যাংকের দীর্ঘমেয়াদি তহবিল কী?
উত্তর: ব্যাংক যে উৎস হতে দীর্ঘমেয়াদের জন্য তহবিল সংগ্রহ করে তাকে ব্যাংকের দীর্ঘমেয়াদি তহবিল বলে। ব্যাংকের দীর্ঘমেয়াদি তহবিলের উৎসগুলো হলো পরিশোধিত মূলধন, সঞ্চিতি তহবিল, বিশেষ আমানত হিসাব, ঋণপত্র বা সিকিউরিটিজ বিক্রয় ইত্যাদি।
প্রশ্ন-১০. ইক্যুইটি মূলধন বা ঙহিবৎং ঊয়ঁরঃু কী?
উত্তর: ইক্যুইটি মূলধন বা ঙহিবৎং ঊয়ঁরঃু বলতে ব্যাংকের মালিক বা স্টক বা শেয়ারহোল্ডারগণ যে তহবিলের যোগান দিয়ে থাকেন তাকে বোঝায়।
প্রশ্ন-১১. পরিশোধিত মূলধন কী?
উত্তর: ব্যাংক তার শেয়ার বিক্রি করে যে মূলধন সংগ্রহ করে তাকেই পরিশোধিত মূলধন বা চধরফ-ঁঢ় ঈধঢ়রঃধষ বলে।
প্রশ্ন-১২. সঞ্চিতি তহবিল কী?
উত্তর: ব্যাংক তার অর্জিত মুনাফা বা নিট আয়ের সবটুকু শেয়ারহোল্ডারদের মধ্যে লভ্যাংশ আকারে বণ্টন না করে যে পরিমাণ অর্থ সংরক্ষিত আয় হিসেবে কোম্পানিতে রেখে দেয় তাকে সঞ্চিতি তহবিল বা জবংবৎাব ঋঁহফ বলে।
প্রশ্ন-১৩. সঞ্চিতি তহবিলের আরেক নাম কী?
উত্তর: সঞ্চিতি তহবিলের আরেক নাম অভ্যন্তরীণ ইক্যুইটি।
- উত্তর ডাউনলোড করুন> (১ম পত্র) ব্যবসায়ের মৌলিক ধারণা ১ম পত্র সৃজনশীল প্রশ্ন
- উত্তর ডাউনলোড করুন>(১ম পত্র)১ম: ব্যবসায়ের মৌলিক ধারণা প্রশ্ন উত্তরসহ PDF
- উত্তর ডাউনলোড করুন> HSC ব্যবসায়ের মৌলিক ধারণা প্রশ্নের উত্তরসহ অধ্যায়-১: PDF
- উত্তর ডাউনলোড করুন> HSC অধ্যায়-১: প্রশ্নের উত্তরসহ ব্যবসায়ের মৌলিক ধারণা PDF
- উত্তর ডাউনলোড করুন>অধ্যায়৩: SSC ফিন্যান্স ও ব্যাংকিং‘র সৃজনশীল প্রশ্নোত্তর PDF
- উত্তর ডাউনলোড করুন> অধ্যায়৩: SSC ফিন্যান্স ও ব্যাংকিং‘র জ্ঞানমূলক প্রশ্নোত্তরPDF
প্রশ্ন-১৪. সংরক্ষিত মুনাফা কী? [দি. বো. ১৭]
উত্তর: কোম্পানি অর্জিত আয়ের যে অংশ ভবিষ্যৎ বিনিয়োগ বা ব্যবসায় সম্প্রসারণের জন্য অবণ্টিত রাখে তাকে সংরক্ষিত মুনাফা বলে।
প্রশ্ন-১৫. সাধারণ রিজার্ভ কী?
উত্তর: ব্যাংক তার অর্জিত মুনাফার অংশ বিশেষ জমা হিসেবে রেখে যে ফান্ড গঠন করে তাকে সাধারণ রিজার্ভ বলে।
প্রশ্ন-১৬. স্বল্পমেয়াদি ঋণ কী?
উত্তর: সাধারণত ১ বছরের কম সময়ের জন্য যে ঋণ প্রদান করা হয় তাকে স্বল্পমেয়াদি ঋণ বলে। নগদ ঋণ, জমাতিরিক্ত ঋণ, চাহিবামাত্র প্রদেয় ঋণ প্রভৃতি এই ধরনের ঋণের উদাহরণ।
প্রশ্ন-১৭. মধ্যমেয়াদি ঋণ কী?
উত্তর: ১ বছর থেকে ৫ বছরের সময়ের জন্য যে ঋণ প্রদান করা হয় তাকে মধ্যমেয়াদি ঋণ বলা হয়। সাধারণত স্থাবর সম্পত্তি জামানতের বিপরীতে ব্যাংক বাণিজ্যিক ও অ-বাণিজ্যিক খাতে এই ঋণ মঞ্জুর করে। তুলনামূলকভাবে এর সুদের হার অধিক হয়।
প্রশ্ন-১৮. দীর্ঘমেয়াদি ঋণ কী?
উত্তর: সাধারণত ৫ বছর বা তার অধিক মেয়াদের জন্য যে ঋণ প্রদান করা হয় তাকে দীর্ঘমেয়াদি ঋণ বলে। মিল-কারখানা নির্মাণ, গৃহ নির্মাণ, জমি ও যন্ত্রপাতি ক্রয় ইত্যাদি খাতে ব্যাংক এই ধরনের ঋণ মঞ্জুর করে। স্থাবর সম্পত্তি বšধক রেখে এরূপ ঋণ প্রদত্ত হয়।
প্রশ্ন-১৯. ধার বা ঋণ কী?
উত্তর: ব্যাংক সুনির্দিষ্ট জামানতের বিপরীতে কোনো ব্যক্তি বা প্রতিষ্ঠানকে একটি নির্দিষ্ট সময়ের জন্য যে অর্থ প্রদান করে তাকে ধার বা ঋণ বলা হয়।
প্রশ্ন-২০. নগদ ঋণ কী?
উত্তর: যে ব্যবস্থার মাধ্যমে ব্যাংক তার মক্কেলকে অগ্রিম ঋণ মঞ্জুর করে, কিন্তু সরাসরি নগদে সেই টাকা উত্তোলনের অনুমতি দেয় না তাকে নগদ ঋণ বলে।
প্রশ্ন-২১. জমাতিরিক্ত ঋণ কী? [সি. বো. ১৭]
উত্তর: ব্যাংক তার চলতি হিসাবের গ্রাহককে জমাকৃত আমানতের বাইরে একটি নির্দিষ্ট পরিমাণ পর্যন্ত অর্থ চেক কেটে উত্তোলনের সুযোগ প্রদান করলে ঐ অতিরিক্ত অর্থকে জমাতিরিক্ত ঋণ বলে।
প্রশ্ন-২২. ঋণের জামানত কী?
উত্তর: ঋণ প্রদান করার সময় ব্যাংক ঋণগ্রহীতার নিকট থেকে ঋণের টাকা পরিশোধের নিশ্চয়তা হিসেবে যেসব স্থাবর-অস্থাবর সম্পত্তি বা ব্যক্তিগত গ্যারান্টি বা তৃতীয় পক্ষ প্রদত্ত গ্যারান্টি জামানত হিসেবে গ্রহণ করে তাকে ঋণের জামানত বলে।
প্রশ্ন-২৩. পূর্বস্বত্ব বা লিয়েন কী?
উত্তর: পূর্বস্বত্ব বা লিয়েন এমন একটি উপায় যার মাধ্যমে ঋণ প্রদানের বিপক্ষে ঋণগ্রহীতার নিকট হতে প্রাপ্ত সম্পত্তি বা জামানতের ওপর প্রাপক অর্থাৎ ব্যাংকের বৈধ অধিকার প্রতিষ্ঠা করা যায়।
খ নং প্রশ্ন (অনুধাবনমূলক)
প্রশ্ন-১. ব্যাংক কীভাবে ঋণের মাধ্যমে তহবিল গঠন করে? ব্যাখ্যা করো।
উত্তর: ব্যাংক প্রধানত আমানতকারীর নিকট থেকে তাদের জমাকৃত অর্থ সংগ্রহ করে, যা ব্যাংকের জন্য ঋণ। এছাড়া ব্যাংক বিভিন্ন উৎস থেকে সরাসরি ঋণ গ্রহণ করে তহবিল গঠন করে। এর মধ্যে রয়েছে কেন্দ্রীয় ব্যাংক থেকে গৃহীত ঋণ, মুদ্রাবাজার ঋণ, ব্যাংক দলিল (আমানত সনদ, সেভিংস বন্ড)-এর মাধ্যমে গৃহীত ঋণ প্রভৃতি। এই সকল উৎস থেকে অর্থ সংগ্রহ করে ব্যাংক সাধারণত তহবিল গঠন করে থাকে।
প্রশ্ন-২. ঋণ মঞ্জুরের কালে গ্রাহকের চরিত্র বিবেচনা করতে হয় কেন? ব্যাখ্যা করো। [রা. বো. ১৭]
উত্তর: ঋণের অর্থ ফেরত পাওয়ার নিশ্চয়তার জন্য ব্যাংক ঋণ মঞ্জুরে ঋণগ্রহীতার চরিত্র বিবেচনা করে।
যদি ঋণ গ্রহীতার অতীত গৃহীত ঋণ পরিশোধ ঝামেলাপূর্ণ হয় তবে তা নতুন আবেদনকৃত ব্যাংক ঋণকে সমস্যাগ্রস্ত ঋণে পরিণত করতে পারে। অর্থাৎ ঋণগ্রহীতার চারিত্রিক বৈশিষ্ট্য বিচারে ব্যাংক ঋণ মঞ্জুরের সঠিক সিদ্ধান্ত গ্রহণ করতে পারে।
প্রশ্ন-৩. ‘জামানতের রক্ষাকবচ হলো বিমা’ ব্যাখ্যা করো।
উত্তর: বিমা করা থাকলে জামানতকৃত সম্পদের আর্থিক সুরক্ষা নিশ্চিত থাকে। তাই জামানতের রক্ষাকবচ হিসেবে বিমাকে গণ্য করা হয়।
ব্যাংক প্রদত্ব ঋর্ণ আদায়ে ব্যর্থ হলে জামানতকৃত সম্পদ বিক্রি করে তা আদায় করে থাকে। কিন্তু কোনো কারণে ঐ সম্পত্তি বা পণ্য হারিয়ে গেলে বা ধ্বংস হলে সেই জামানত থেকে ব্যাংক ঋণ আদায় করতে পারে না। কিন্তু বিমাকৃত জামানতের ক্ষেত্রে ব্যাংক ঋণ আদায় করতে পারে। তাই জানামতের রক্ষাকবচ হলো বিমা।
প্রশ্ন-৪. অব্যক্তিক জামানত বলতে কী বুঝ? [দি. বো. ১৭]
উত্তর: ব্যাংক যখন স্থাবর ও অস্থাবর সম্পত্তি জামানত রেখে ঋণ মঞ্জুর করে তখন ঐ জামানতকে অব্যক্তিক জামানত বলে।
ঋণগ্রহীতা এ পর্যায়ে জমি, দালানকোঠা, পণ্যদ্রব্য ইত্যাদি জামানত হিসেবে প্রদানের মাধ্যমে ঋণগ্রহণের সুযোগ পায়। এ ধরনের জামানত গ্রহণ ব্যাংকের জন্য অধিকতর নিরাপদ। ঋণগ্রহীতা ঋণ পরিশোধ না করলে প্রয়োজনে এ ধরনের জামানত বিক্রয় করে ব্যাংক ঋণের অর্থ আদায় করতে পারে।
প্রশ্ন-৫. ব্যাংক কখন অতিরিক্ত জামানত গ্রহণ করে? ব্যাখ্যা করো। [ঢা. বো. ১৬]
উত্তর: ঋণগ্রহীতা মূল জামানতের সাথে যে অতিরিক্ত সম্পত্তি বা গুরুত্বপূর্ণ দলিল জামানত হিসেবে ব্যাংকে প্রদান করে সেগুলোই হলো অতিরিক্ত জামানত।
অতিরিক্ত জামানত সাধারণত অব্যক্তিক (ব্যক্তির সুনাম, আর্থিক অবস্থা) হয়ে থাকে। কোনো ঋণ প্রদানের ক্ষেত্রে ব্যাংক অতিরিক্ত ঝুঁকি অনুভব করলে কেবল সেই ক্ষেত্রে ব্যাংকটি অতিরিক্ত জামানত গ্রহণ করে থাকে। কারণ মূল জামানত বিক্র্রি করে সম্পূর্ণ অর্থ আদায় সম্ভব না হলে ব্যাংক অতিরিক্ত জামানত থেকে ঋণ আদায়ের চেষ্টা করে থাকে।
প্রশ্ন-৬. ভোগ্যপণ্য ক্রয়ের জন্য ঋণদানে কোন ধরনের জামানত দিতে হয়? বুঝিয়ে লিখ। [কু. বো. ১৭]
উত্তর: ভোগ্যপণ্য ক্রয়ের জন্য ঋণ গ্রহণে ব্যক্তিগত জামানত গুরুত্বপূর্ণ।
ঋণ গ্রহণের সময় ঋণগ্রহীতা ঋণের বন্ধক হিসেবে কোনো প্রকার স্থাবর সম্পত্তি জামানত না দিয়ে কেবল নিজস্ব বা তৃতীয় পক্ষের নিশ্চয়তা প্রদান করে ব্যক্তিগত জামানতে। আর এ ধরনের ব্যক্তিগত জামানত ব্যাংক হতে ভোক্তা ঋণ গ্রহণে সহায়ক।
প্রশ্ন-৭. সব ঋণে জামানত বাধ্যতামূলক নয় কেন? ব্যাখ্যা করো। [য. বো. ১৬]
উত্তর: ঝুঁকিগত তারতম্যের কারণে সব ধরনের ঋণে জামানতের প্রয়োজন হয় না। সাধারণত দীর্ঘমেয়াদি ও মধ্যমেয়াদি ঋণগুলো খেলাপী ঋণে (উবভধঁষঃবফ খড়ধহং) পরিণত হওয়ার সম্ভাবনা বেশি হওয়ায় এই ঋণের ঝুঁকি ও সুদের হার উভয়ই বেশি হয়। এই ঝুঁকি হ্রাসকরণে তথা ঋণদানকৃত অর্থের ফেরত প্রাপ্তির নিশ্চয়তার জন্য ব্যাংক জামানত গ্রহণ করে থাকে।
কিন্তু স্বল্পমেয়াদি ঋণের ঝুঁকি ও খেলাপী হওয়ার সম্ভাবনা দীর্ঘ ও মধ্যমমেয়াদি ঋণ অপেক্ষা তুলনামূলক কম হওয়ায় ব্যাংক প্রায়ই জামানত ব্যতীত এই ধরনের ঋণ মঞ্জুর করে থাকে। ব্যাংক জমাতিরিক্ত ঋণ হলো স্বল্পমেয়াদি ঋণের উত্তম উদাহরণ যাতে জামানতের প্রয়োজন হয় না। তাই বলা যায়, সব ঋণে জামানত বাধ্যতামূলক নয়।
উক্ত বিষয় সম্পর্কে কিছু জানার থাকলে কমেন্ট করতে পারেন।
আমাদের সাথে ইউটিউব চ্যানেলে যুক্ত হতে এখানে ক্লিক করুন এবং আমাদের সাথে ফেইজবুক পেইজে যুক্ত হতে এখানে ক্লিক করুন। গুরুত্বপূর্ণ আপডেট ও তথ্য পেতে আমাদের ওয়েবসাইটে ভিজিট করুন।